Logo
শিরোনাম

বাজেটে সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়বে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতা ও পরিধি বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। যার আওতায় বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের মাসিক ভাতা অন্তত ১০০ টাকা বাড়ানোর পাশাপাশি সুবিধাভোগীও বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দরিদ্র ও পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য ১ লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষা খাতে বর্তমান বরাদ্দের সঙ্গে আরো ৫ শতাংশ তহবিল বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে মন্ত্রণালয়।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সরকার সামাজিক সুরক্ষা-নেট কর্মসূচির জন্য ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছিল। যা দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২.৫৫ শতাংশ। আগামী নির্বাচন ও বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট বিবেচনায় সরকার আসছে বাজেটে এই তহবিল বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দারিদ্র্য ও বৈষম্য কমাতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর পরিধি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি করছে সরকার। সমাজের পিছিয়ে পড়া দুস্থ, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে নানামুখী কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। সে কারণে সরকার সামাজিক সুরক্ষায় আলাদা বরাদ্দ রাখছে এবং প্রতি বছরই ভাতার পরিমাণ ও সুবিধাভোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে যাচ্ছে।

ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, আসছে বাজেটেও বরাদ্দ বৃদ্ধি করবে সরকার। চলমান মুদ্রাস্ফীতি ও মৌলিক চাহিদা পূরণে ভাতার পরিমাণ অন্তত ১০০ টাকা বৃদ্ধির চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। যদিও বরাদ্দ আরো বৃদ্ধির চেষ্টা ছিল কিন্তু একসঙ্গে বরাদ্দ বেশি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকারের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় বিধবা, বয়স্ক জনসংখ্যা, শারীরিক প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধা, অবসরপ্রাপ্ত বেসামরিক কর্মচারী ইত্যাদি রয়েছে। এছাড়া নগদ ভিত্তিক সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা, যার মধ্যে রয়েছে কাজের জন্য খাবার (কাবিখা), কাজের জন্য নগদ অর্থ, খোলা বাজারে পণ্য বিক্রয় ও শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি।

সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে ৫৭ লাখ ১ হাজার বয়স্ক ব্যক্তিকে জনপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা হারে ভাতা প্রদান করা হয়। এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে ৩ হাজার ৪৪৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগামী বাজেটে প্রস্তাব অনুযায়ী সুবিধাভোগী ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করা হবে। একইসঙ্গে সুবিধাভোগী ৫৮ লাখে উন্নীত করে বরাদ্দ ৭৬১ কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব আসছে।

অন্যদিকে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৪ লাখ ৭৫ হাজার বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাকে জনপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা হারে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। যেজন্য বরাদ্দ রাখা হয় ১ হাজার ৪৯৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগামী বাজেট প্রস্তাবনায় যা জনপ্রতি ৬০০ টাকায় উন্নীত করতে যাচ্ছে সরকার। একইসঙ্গে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে আগামী বাজেটে ২১৬ কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিবন্ধী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারের বর্তমান বরাদ্দ থেকে আগামী বাজেটে ৫৫০ কোটি টাকা অতিরিক্ত তহবিল দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার আওতায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা ২৩ লাখ ৬৫ হাজার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২৯ লাখ উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে এই তহবিলে বরাদ্দ রয়েছে ২ হাজার ৪২৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ভাতার পরিমাণও আগামী বাজেটে বৃদ্ধির প্রস্তাব রয়েছে।

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার হতে যাচ্ছে প্রায় ৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা, যা হবে মোট জিডিপির প্রায় ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ। চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় প্রায় ৮২ হাজার কোটি টাকা বেশি হবে নতুন বাজেটের আকার। বিশাল আকারের এ বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৫ লাখ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৬৭ হাজার কোটি টাকা বেশি। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এনবিআর, এনবিআরবহির্ভূত এবং করবহির্ভূত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা।

বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হতে যাচ্ছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে তাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ এনবিআরের রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ১৬ দশমিক ২০ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে আগামী বাজেটে। টাকার অঙ্কে বাড়তি ৬০ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে হবে এনবিআরকে।

এছাড়া এনবিআরবহির্ভূত করের মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা এবং করবহির্ভূত রাজস্ব খাত থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা আশা করছে সরকার।

 


আরও খবর



গজারিয়ায় নির্মাণাধীন কোম্পানি রির্মাকে এক শ্রমিকের অপমৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল :

মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় বাউশিয়া এলাকায় নির্মাণাধীন রিমার্ক এইচ.বি. লিমিটেডে নামে প্রসাধনী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে মেশিন চাপায় এক শ্রমিকের অপমৃত্যু হয়। জানা যায় এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।

খোজঁ নিয়ে জানা যায়, দূর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের নাম কাউসার হোসেন (২২)। সে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাই'র উপজেলার চান্দহর গ্রামের মোনাফ হোসেনের ছেলে। ঘটনায় আহত অন্য শ্রমিকের নাম রবিউল (২১)।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ২৭ মে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এমন ঘটনা ঘটে। প্রতিষ্ঠানটির নিচ তলায় ফেস ওয়াশ তৈরির মেশিনে কাজ করছিলেন মেশিনটির এসিস্ট্যান্ট অপারেটর কাউসার হোসেন। সূত্র আরও জানায়, মেশিনটি কিছুদিন আগে কোম্পানিতে আনা হয় সেজন্য এটিকে স্থায়ীভাবে প্রতিস্থাপিত করা হয়নি। মেশিনটির নিচে চাকা আছে যার মাধ্যমে এটিকে সুবিধামতো জায়গায় নিয়ে কাজ করা যায়। অপারেটর কাউসার মেশিনটিকে টেনে  সামনে আনতে চাইলে পেছনের চাকা উপরে উঠে যায় এবং অর্তকিত মেশিনটি তার উপর এসে পরে। তাৎক্ষনিক তার মাথা থেতলে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় রবিউল নামে আরো এক শ্রমিক আহত হয়।


আহত শ্রমিকদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রথমে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রিমার্ক কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা তৌহিদ হোসেন বলেন, ঘটনাটির সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময়ের। আমরা অফিস শেষ করে ইতিমধ্যে ঢাকাতে চলে এসেছি তবে মুঠোফোনে এরকম একটা খবর পেয়েছি। শুনেছি দুর্ঘটনায় একজন শ্রমিক নিহত ও একজন আহত হয়েছে। 

বিষয়টি সম্পর্কে মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল হাসান বলেন পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



বেড়েছে তেল-চিনি ডিম-আলু পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

ঈদ উল ফিতরের আগে থেকে বেড়ে গেছে মুরগি ও গরুর গোশতের দাম। ঈদ শেষ হওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ হয়ে গেলেও এখনও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের গোশত। গোশতের পাশাপাশি এবার বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সব ধরনের সবজি। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজিই মিলছে না। এতে বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ।

রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মরিচ ১২০ টাকা, করলার কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা, পটল ৬০-৮০ টাকা, লাউ পিস ৬০, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস ৩০-৩৫ টাকা, চাল কুমড়া ৫০-৬০ টাকা, সজনে ১৪০ টাকা কেজি, ৩০০ গ্রাম ওজনের ফুলকপি ৪০ টাকা, পাতাকপি ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা কেজি, কাঁকরোল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, কচু ১২০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা কেজি ও লেবু ৩০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাসাবো বাজারে আসা ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কোনো পণ্যের দাম একবার বাড়লে আর সেটি কমছে না। গরু-খাসীর দাম বাড়ায় সেগুলো আর কিনতে পারি না। এখন মুরগির দামও বেড়ে গেছে। খাবার মত সামর্থ আছে সবজির। সেটিও এখন ৫০ টাকার নিচে মিলছে না।

বিক্রেতারা বলছেন, আমাদের নিজেদেরকেও সবজি খেতে হয়। ৫০-৬০ টাকায় সবজি খাওয়া আমাদের জন্যও কষ্টের। আমরা চাই সব ধরণের সবজি ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি করি। কিন্তু পাইকারী বাজারে দাম বেশি। বেশি দামে কেনা থাকায় কম দামে সবজি বিক্রি সম্ভব হচ্ছে না।

বাজারে পাট শাক জোড়া আঁটি ২০ টাকা, কলমি শাক জোড়া আঁটি ২০ টাকা, কচুর দুই আঁটি ১০ টাকা, লাল শাকের জোড়া আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা, শাপলা ডাটা ১০ টাকা, ডাটা শাক ১০ টাকা, সবুজ ডাটা ২০ টাকা আঁটিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ধনে পাতা ১০০ গ্রাম ৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

এছাড়াও বাজারে নতুন করে তেল, চিনি, ডিম, আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দামও বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটারে ১২ টাকা এবং খোলা সয়াবিনের লিটারে লিটারে ৯ টাকা বেড়েছে। আর ৫ লিটারের বোতলের দাম বেড়েছে ৫৪ টাকা। এছাড়া পাম সুপার ওয়েলের দাম লিটারে বাড়ানো হয়েছে ১৮ টাকা। এখন বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৯৯ টাকা, ৫ লিটারের দাম ৯৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারের দাম ১৭৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে কোথাও মিলছে না প্যাকেটজাত চিনি। খোলা চিনি কিনতে হলে খুঁজতে হচ্ছে দুই-চার দোকান। কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম আরো বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজিপ্রতি। যা গত সপ্তাহে ১২০-১২৫ টাকার মধ্যে ছিল।

এ ছাড়া বাজারে ঈদের পরে আলুর দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। সারাবছরই স্থিতিশীল থাকলেও মৌসুমের শুরুতে আলুর অস্থিতিশীল বাজারকে অস্বাভাবিক মনে করছেন ক্রেতারা।

দফায় দফায় দাম বেড়ে খুচরা বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, যা ঈদের আগে ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে ছিল। আর গত বছরের এ সময় আলুর দাম ছিল ১৬ থেকে ২০ টাকা।

আগে দেশী পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। যা এখন বেড়ে হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। একইভাবে আমদানি করা চায়না রসুনের কেজি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর দেশী রসুনের কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। রোজার ঈদের দুই-এক দিন পরও চায়না রসুনের কেজি ছিল ১৩০ টাকার আশপাশে। আর দেশি রসুন বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।

পাশাপাশি দর বেড়েছে আদার। দেশী আদা ২০০ থেকে ২২০ এবং আমদানি করা চায়না আদার কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগেও দেশী আদা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা এবং আমদানি করা আদার দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে ছিল।

এদিকে বাজারে ঈদের মধ্যে বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম কমেনি। বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। সোনালি মুরগির কেজি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা। এর সাথে গত দুই দিন ধরে বাড়ছে ডিমের দাম। ১৫ টাকা বেড়ে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পাঙ্গাস ১৭০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। প্রতি কেজি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। তাজা রুই, কাতলা, মৃগেল বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে। দেশি প্রজাতির টেংরা, শিং, গচি ও বোয়াল মাছের কেজি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 


আরও খবর



ফুলবাড়িতে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) 

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে উপজেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

রবিবার ০৭ (মে) উপজেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক, আতাউর রহমান রতন এর সভাপতিত্বে,যুগ্ন আহ্বায়ক সেরাজুল ইসলাম সেরার সঞ্চলনায় বিকেল চারটায় পোদ্দার মার্কেট উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক, জননেতা আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রউফ সরদার (রপু) সহ-সভাপতি আমানত উল্লাহ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, সোহেল আহমদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আতাউর রহমান, সদস্য কামাল হোসেন প্রমুখ।বর্ধিত সভায় উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মোখার ঝুঁকিতে ১৫ লাখের বেশি শিশু

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে বাংলাদেশে ১৫ লাখের বেশি শিশু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কক্সবাজারে সীমান্ত এলাকায় মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান ওনো ভন মানেন এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে প্রায় পাঁচ লাখ শিশু বাস করে এবং ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় প্রবল বাতাস ও জলোচ্ছ্বাসের ফলে শিশুরা ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হতে পারে এমন আশংকা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

এদিকে, কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকা থেকে স্থানীয়দের সরে যেতে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন সেখানকার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।

বারবার তাদের পাহাড় ধসের ঝুঁকির কথা বলা হলেও স্থানীয়রা কেউ সরতে চাইছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বান্দরবান-কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দী।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তারা মানুষকে সচেতন করতে তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকা ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে আবহাওয়াবিদরা আগে থেকেই জানিয়ে আসছেন। সূত্র : বিবিসি।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




রেমিটেন্স আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

রেমিটেন্স আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সরকারের রেমিটেন্স আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে। দেশের যেকোনো অগ্রগতি ও সফলতায় তাদের গাত্রদাহের বহিঃপ্রকাশ মির্জা ফখরুলদের নেতিবাচক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বারবার উন্মোচিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। যারা কেবল দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আর্জি নিয়ে চাতক পাখির মতো বিদেশি প্রভুদের দিকে চেয়ে থাকে, তারা রেমিটেন্স বৃদ্ধির সুখবর কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবে না, সেটাই স্বাভাবিক। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ওপর শেখ হাসিনার ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা প্রদানের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণেই রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার সফল নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো শক্তিশালী হওয়ায় এবং বিনিয়োগের নিরাপদ স্থান হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতোই প্রবাসীরাও দেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত হচ্ছে। বিএনপি সেই রাজনৈতিক দল যারা বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, যারা সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে নিরুৎসাহিত করে দেশে অর্থনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি করতে চায়। কাজেই রেমিটেন্স বৃদ্ধির সুখবরে বিএনপি নেতারা খুশি নয়।

বিবৃতিতে কাদের বলেন, বর্তমান সরকার অর্থপাচার রোধে কার্যকর আইন প্রণয়ন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির স্থাপন করেছে। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট শাসনামলে দুর্নীতি ও অর্থপাচারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। হাওয়া ভবন খুলে খালেদা জিয়ার পুত্ররা দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচারের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছিল। তাদের দুর্নীতি ও অর্থপাচার সম্পর্কে বিশ্বখ্যাত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই সাক্ষ্য দিয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে খালেদা জিয়ার পুত্রদের পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। বরং বিএনপিই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আগুন দিয়ে শতশত নিরীহ ও নিরাপরাধ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী অপশক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপিই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। কানাডার উচ্চ আদালত বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু তারা তাদের অতীত অপকর্ম নিয়ে অনুতপ্ত না হয়ে উল্টো নতুন নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের সুনির্দিষ্ট আইন প্রণিত হয়েছে এবং অবকাঠামো উন্নয়ন ও কারিগরি সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণসহ নির্বাচনী ব্যবস্থার সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও অনুরূপভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এটাই শেখ হাসিনা সরকারের সংকল্প।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি নিশ্চিত পরাজয় জেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণে ভয় পায়। এতিমের অর্থ আত্মসাতের কারণে খালেদা জিয়া দণ্ডিত, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড। তারেক রহমান বিদেশে পালিয়ে থাকায় নির্বাচনী মাঠে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কোনো নেতা তাদের নেই; সে কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সৎ সাহস রাখে না বিএনপি। তাই তারা নির্বাচন বানচাল এবং গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারাকে ব্যাহত করতেই দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ যেকোনো মূল্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে অগ্রসরমান উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখবে।


আরও খবর