Logo
শিরোনাম

বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক- হাইকমিশনার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

কুমিল্লা ব্যুরো :

বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। আমরা যেমন ভৌগোলিক, তেমন ভাষার আবার সংস্কৃতিরও। ভারত কখনও বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করে না। এটি আমাদের বিশেষ সম্পর্ক।  কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নে কাশিনগর ডিগ্রি কলেজে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে (হিন্দিতে) এসব কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সোমবার (২ অক্টোবর) সন্ধ‌্যায় ভারত সরকারের অর্থায়নে ডিগ্রি কলেজের নির্মিত স্নাতক ভবনের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। 

এসময় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও শিক্ষার মান উন্নয়নে ভারত স্বাধীনতার পর থেকে সহযোগিতা করে আসছিল। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধু দেশের প্রতি ভারতের উপহার। ২০২০ সালে করোনা সংকটের মাঝেই এই ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। গত বছরেও এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অনেকে জিপিএ -৫ পেয়েছে। বাংলাদেশে অনেক প্রজেক্ট ভারতের অর্থায়নে হচ্ছে। এই কাজটি সবচেয়ে ভালো ও সমৃদ্ধ। আমি বিশ্বাস করি এই অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা শিক্ষার মানে এগিয়ে যাবে। এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা আর বাইরে যেতে হবে না। সামাজিক ও আর্থিক উন্নতি হবে। 

এসময় তিনি ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ভারত বহু আগ থেকেই বাংলাদেশের মিত্র। দুদেশ এক সাথেই সমৃদ্ধ হচ্ছে। যুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ভারত যে সহযোগিতা করেছে তা বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসা। এতেই বুঝা যায় বাংলাদেশকে ভারত প্রথম প্রায়োরিটি দেয়। বাংলাদেশের রেলপথ, সড়ক পথসহ সকল ক্ষেত্রেই ভারতের অবদান রয়েছে। এই উন্নয়নের হাত সবসময় অব্যাহত থাকবে। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে নবনির্মিত ভবনের ফলক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি  ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মজিবুল হক মুজিব এমপি, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। কাশিনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোশাররেফ হোসেনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন কাশিনগর ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. সামসুল আলম।


আরও খবর



হজ নিবন্ধনে নেই আশানুরূপ সাড়া

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

২০২৪ সালে হজ পালন করতে যারা যাবেন, তাদের নিবন্ধন শুরু হয়েছে ১৫ নভেম্বর থেকে। নিবন্ধনের সময় আছে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দশ দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এখনো এক হাজার নিবন্ধনকারী হজযাত্রী পাওয়া যায়নি। ফলে এবারও বাংলাদেশি হজযাত্রীর কোটা পূরণ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। হজযাত্রীদের দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন করার পরামর্শ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। নিবন্ধন শেষ হলে হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ। তবে শেষ সময়ে নিবন্ধন বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। চলতি বছরের মতো আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

হজ পোর্টালের তথ্যানুযায়ী সরকারি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ৬০৭ জন। এর মধ্যে সরকারিতে ২২৩ এবং বেসরকারিতে ৩৮৪ জন। আগামী বছর হজে যেতে নিবন্ধন শুরু হয়েছে গত ১৫ নভেম্বর। অর্থাৎ গত ৯ দিনে এক হাজার হজযাত্রীও নিবন্ধন সম্পন্ন করেননি। নিবন্ধনের শেষ সময় ১০ ডিসেম্বর। এ হিসেবে বাকি ১৭ দিনে বাংলাদেশের কোটা পূরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে গতকাল সন্ধ্যায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার আমাদের সময়কে বলেন, হজযাত্রীরা শেষ সময়ে এসে নিবন্ধন করেন। আগামী হজের জন্য আমরা আগেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। এজন্য কার্যক্রম আগেই শুরু করা হয়েছে। সৌদি আরব আমাদের হজযাত্রীর সংখ্যা চেয়েছে ডিসেম্বরের মধ্যেই। এ কারণে নিবন্ধন শুরু করা হয়েছে। আমার পরামর্শ, হজযাত্রীরা যেন দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন করেন। একই সঙ্গে তারা যেন অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে লেনদেন করেন।

সরকারিভাবে আগামী বছর হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিশেষ হজ প্যাকেজের মধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা।

সরকারি প্যাকেজের সঙ্গে সমন্বয় করে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) হজ প্যাকেজ ঘোষণা করছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সাধারণ প্যাকেজে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। গত বছরের তুলনায় এবার খরচ কমেছে ৮২ হাজার ৮১৮ টাকা। একই সঙ্গে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় আগামী বছর বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা।

হাব জানিয়েছে, হজযাত্রীকে কোরবানি বাবদ আনুমানিক ৮০০ সৌদি রিয়াল নিতে হবে এবং কোরবানি নিজ দায়িত্বে সম্পন্ন করতে হবে। সৌদি আরবে ৩০ থেকে ৪৮ দিন অবস্থান করতে পারবেন। মদিনায় অবস্থান করতে পারবেন পাঁচ থেকে আট দিন।

হজযাত্রীদের নিবন্ধন আশানুরূপ না হওয়া প্রসঙ্গে সিটি নিয়ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেদওয়ান খান বোরহান আমাদের সময়কে বলেন, যারা ২৯ হাজার টাকা দিয়ে প্রাক-নিবন্ধন করেছেন, তাদের এখন নিবন্ধন করার জন্য পুরো টাকা দিতে হবে। সর্বনিম্ন দুই লাখ টাকা দিয়ে নিবন্ধন করে বাকি টাকা কেউ কেউ এক, দুই বা তিন ধাপে পরিশোধ করতে পারবেন। শেষ সময়ে এসে আমাদের হজযাত্রীদের নিবন্ধনের হিড়িক পড়বে। আমি মনে করি, সময় থাকতে আগেই নিবন্ধন সম্পন্ন করা উচিত। আশা করছি বাকি সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোটা পূর্ণ হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, গত বছর নয় দফা বাড়ানো হয় নিবন্ধনের সময়। এর মধ্যেও কোটা পূরণ হয়নি, ৬ হাজার ৭০৭ জন বাকি ছিল। তবে হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের বাদ দিয়ে সাড়ে ৩ হাজারের কোটা খালি থাকে। নিবন্ধনের কোটা পূরণ না হওয়ার কারণ হিসেবে হজের ব্যয় বেশি বলে ধারণা করা হয়েছিল।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছর ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর

খরচ কমিয়ে হজ প্যাকেজ ঘোষণা

শুক্রবার ০৩ নভেম্বর ২০২৩




৯৫ শতাংশ বুকিং বাতিল ছাঁটাই শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা :  প্রকৃতিতে শীতের আমেজ ও বছরের শেষ সময় পর্যটন মৌসুমের শুরু হিসেবে ধরা হলেও কাঙ্ক্ষিত পর্যটকের আগমন নেই মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জসহ অন্যান্য এলাকায়। গত মাসের মধ্যবর্তী সময়ও জেলার যেসব পর্যটন কেন্দ্র সকাল-সন্ধ্যা কোলাহল মুখর ছিল, সেসব স্থান এখন নীরব।

গত অক্টোবরের ২৮ তারিখ থেকে অবরোধ-হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রায় ৯৫ শতাংশ বাতিল হয়েছে। অলস সময় পার করছেন জেলার দেড় শতাধিক হোটেল, গেস্ট হাউস, মোটেল, রিসোর্টের কর্মীরা। এতে প্রতিদিন কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম আহমেদ। এতে মৌসুমের শুরুতেই ক্ষতির মুখে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

জেলার অন্যতম পর্যটন স্পটগুলো হলো কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর স্মৃতিসৌধ, মণিপুরী পাড়া, হামহাম জল প্রপাত, ছয়সিঁড়ি দীঘি, ক্যামেলিয়া লেক, পাত্রখোলা লেক, পদ্মছড়া লেক, বামবুতল লেক, হরিনারায়ন দিঘি, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে সবুজ চা বাগান, রাবার বাগান, বধ্যভূমি একাত্তর চত্বর, হাইল হাওর, বাইক্কা বিল, হাকালুকি হাওর, মুন ব্যারেজ।

সাধারণত বন্ধের দিন ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি ভিড় থাকে। গতকাল শুক্রবার ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জেলার বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট কোনো পর্যটক শূন্য দেখা গেছে। পর্যটন নগরীর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান খালি, দেশী- বিদেশি কোনো পর্যটক নেই। অথচ গত এক মাস আগেও পর্যটন কেন্দ্রগুলো মুখরিত ছিল।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে পরের বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মৌলভীবাজারের প্রায় দেড় শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টাহাউসে শতভাগ অগ্রিম বুকিং থাকত। চলতি বছরেও অগ্রিম বুকিং হয়েছিল। তবে অক্টোবরের ২৮ তারিখ থেকে অবরোধ-হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রায় ৯৫ শতাংশ বাতিল হয়েছে। দ্রুত এ অবস্থা থেকে উত্তরণ না হলে পর্যটনশিল্পে আবারও বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা করছেন তারা।

শ্রীমঙ্গল হোটেল প্যারাডাইজের স্বত্বাধিকারী হাজী আবুজার বাবলা জানান, নভেম্বর পর্যটনের ভরা মৌসুম। প্রতি বছর এ সময়ে পর্যটন স্পটগুলোতে উপচে পড়া ভিড় থাকে। কিন্তু হরতাল ও অবরোধের কারণে চলতি মৌসুমের তুলনায় ১০ ভাগ ট্যুরিস্টও নাই।

আবুজার বাবলা বলেন, এখন ক্ষতির মুখে আমরা। এই ক্ষতি কিভাবে পোষাব, বুঝতে পারছি না। কর্মচারী ও বিদ্যুৎ বিল, ব্যাংকের লোন, বাসা ভাড়া সব কিছু দিতে হিমসীম খেতে হচ্ছে। এভাবে যদি চলে তাহলে হোটেল রিসোর্ট গুটিয়ে নিতে হবে।

কমলগঞ্জ অরণ্য বিলাস ইকো রিসোর্টের মালিক এহসান কবির সবুজ বলেন, করোনাভাইরাস, বন্যাসহ নানা কারণে কয়েক বছরে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার অতীতের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার আশায় ছিলাম। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে পর্যটক বলতেই নাই। এ অবস্থা চলতে থাকলে কর্মচারী ছাঁটাই করতে হবে, সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পাশের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, লাউয়াছড়ায় ডাব বিক্রি করে সংসার চলে। এক মাস ধরে এ উদ্যানে কোনো ট্যুরিস্ট নাই। বেচা-বিকি নাই। দুরবস্থায় আছি। সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। একই ধরনের কথা জানান কসমেটিক ও চা-পাতা ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন।

পর্যটন সেবা সংস্থার সভাপতি ও গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের মালিক সেলিম আহমেদ বলেন, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট রয়েছে। সবগুলোই এখন ফাঁকা। প্রতিদিন প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান ছাঁটাই শুরু করেছে। অনেকের ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি ডিসেম্বর ও জানুয়ারি এই সমস্যা থাকে, তাহলে ধ্বংসের মুখে পড়বে হোটেল রিসোর্ট।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ম্যানাজার শাহিন আহমেদ বলেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দেশি-বিদেশি পর্যটক বছরের এই সময়ে প্রতিদিন ৫০০-৭০০ ট্যুরিস্ট আসতেন, তখন টিকিট বিক্রি করে সরকারের রাজস্ব আয় হত ৩৫-৪০ হাজার টাকা। এখন গড়ে ৮০-১২০ জন পর্যটক আসছেন সরকারের রাজস্ব আসছে ৩-৫ হাজার টাকা।

লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, এই মৌসুমে হাজার হাজার পর্যটক দেখা যেত। বর্তমানে হরতাল ও অবরোধের কারণে দেখা নাই। মানুষ নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে না, যানবাহন চলে না, তাই ভ্রমণে আসে না। প্রতি বছর যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হতো তা এখন হচ্ছে না।

ট্যুরিস্ট পুলিশ মৌলভীবাজার জোনের উপ-পরিদর্শক প্রবাণ সিনহা বলেন, নানা কারণে তুলনামূলকভাবে এবার পর্যটক অনেক কম। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশ জেলার পর্যটন স্পটগুলোতে নিয়মিত টহল দিচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসব ব্যাপারে সোচ্চার। পর্যটকরা যাতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হয়, সে লক্ষ্যে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

 


আরও খবর

তিন শতাধিক পর্যটক আটকা সেন্টমার্টিনে

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় 'বিস্ফোরণ' মামলায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা শহরে অবরোধের সমর্থনে বের করা মিছিল থেকে নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার ২৭ নভেম্বর বিকেল ৩ টারদিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এব্যাপারে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, গত ২৯ অক্টোবর নওগাঁ শহরের তাজের মোড় এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। 

ঐ মামলায় বায়েজিদ হোসেন পলাশ এজাহার ভুক্ত আসামি। সে এতদিন পলাতক ছিলেন।আজ দুপুরে তার অবস্থান জানতে পেরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। 

অপরদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা জানায়, নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম টুকু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলুর নেতৃত্বে অবরোধের সমর্থনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা শহরের ব্রিজের মোড় থেকে একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি পুরাতন সোনালী ব্যাংক রোড এলাকায় পৌছালে পুলিশ মিছিল থেকে বায়েজিদ হোসেন পলাশ কে গ্রেফতার করেন। 

নওগাঁ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু বলেন, গত ২৯ অক্টোবর বায়েজিদ হোসেন পলাশ ও আমি সহ দলের অন্য অনেক নেতাকর্মী ঢাকায় অবস্থান করছিলাম। অথচ সেই মামলায় তার নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে এবং আজকে সেই ভুয়া মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হলো। 

তিনি আরো জানান, এ ধরণের মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় গত এক মাসে শুধু নওগাঁ জেলা সদর উপজেলা থেকে বিএনপির ১শ' ২৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা জুড়ে একই সময়ের মধ্যে আরো ৬ শতও বেশি বিএনপির নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



গাজীপুরে ৪টি আসনে প্রার্থিতায় অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন :উত্তরাঞ্চলের প্রবেশ দ্বার শিল্প নগরী গাজীপুর টি সংসদীয় আসনের সমন্বয়ে গঠিত। দ্বিতীয় গোপালগঞ্জখ্যাত দেশে ,লীগের অন্যতম ঘাঁটি হিসেবে সমধিক পরিচিত এই জেলা।শিল্পশহর হওয়ায় দেশের সব জেলার মানুষের পদচারনায় মুখর থাকে এই জনপদ

দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল হওয়ায় জাতীয় অর্থনীতি এই জেলা সমধিক গুরুত্বপূর্ণ।এখানকার মানুষ অত্যধিক রাজনীতি সচেতন।তারপরেও এখানে বিএনপি জাপার বিশাল ভোটব্যাংক রয়েছে।রয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী জামাতেরও কিছু অস্তিত্ব

এখানকার নির্বাচনগুলোতে জাপা জামাত যেদিকে ভীড়ে ভোটের ফলাফল অনেকটাই সেই প্রার্থির অনুকূলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তবে ভোটের বিচারে আওয়ামীগের সুদৃড় মজবুত ভিত্তি থাকায় অন্য দলগুলোর দৃশ্যমান কর্মসূচি বা ভোটের মাঠে আওয়ামীগের প্রার্থিকে পরাস্ত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে

এমনি বাস্তবতায় আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের ৪টি আসনের প্রার্থিতায় অপরিবর্তন রেখে টি আসনে চমকপ্রদ পরিবর্তন আসছে বলে জানা গেছে

দলটির বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, গাজীপুরের টি সংসদীয় আসনের মধ্যে টি আসনে পরিবর্তন আসছে এবং অপর ৪টি আসনের প্রার্থিতায় কোন পরিবর্তন আনছে না আওয়ামী লীগ

তবে কোন আসনে পরিবর্তন আসছে সে ব্যাপারে কোন তথ্য প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করেছে সূত্রটি।বিভিন্ন সূত্র থেকে ব্যাপারে ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও দলটির মনোনয়ন ঘোষণার আগে বাধ্যবাধকতা থাকায় তা প্রকাশ করার সুযোগ নেই

বিশেষ সূত্রমতে, এমন একটি আসনে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে যা অকল্পনীয়।প্রার্থিতায়ও থাকবে বিশেষ চমক।যার সততা,আদর্শিক দিক প্রশ্নবিদ্ধ নয়,যিনি বিশেষ পরিচিত না হলেও অজ্ঞাত কোন ব্যক্তি নয়

আওয়ামী লীগের মূল শেকড়ের সাথে যার সুনিবীড়ড় ভিত্তি রয়েছে এমন কোন ব্যক্তিকে ওই আসন থেকে নৌকার মাঝি করতে যাচ্ছে দলটি

সূত্রমতে, আসন্ন নির্বাচনে আগেই সবুজ সংকেত প্রদানের যে কথা আলোচনায় ছিল দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি সময় হাতে না থাকার কারনে তা হচ্ছে না।তবে অনেক আসনেই সংকেত প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।বিশেষ করে হেভিওয়েট প্রার্থিরা সংকেত পেয়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গণে

কিন্তু দলিয়ভাবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে সবুজ সংকেত পাওয়া প্রার্থিরা বিধি-নিষেধ থাকায় কেউ মুখ খুলছেন না।তবে দেশের ৩০০ আসনেই প্রচারে থাকা মনোনয়ন যারা পাবেন না এসব প্রার্থিদের অনেককেই আকার ইঙ্গিতে নিরুৎসাহীত করা হচ্ছে

থেকে তারা বুঝে যাচ্ছেন যে এবারের জাতীয় নির্বাচনে তারা দলিয় টিকেট পাচ্ছেন না।ইতিমধ্যেই ধরনের প্রার্থিরা তাদের প্রচারণা থেকে নিজেদেরকে অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছেন

 


আরও খবর



হোমায়রা হিমু’র কথিত প্রেমিক আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর আত্মহত্যার পর পলাতক তার কথিত প্রেমিক মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রুফিকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে বিকেলে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে র‍্যাব। র‌্যাবের পক্ষ থেকে তার নাম মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন জানানো হলেও হিমুর মৃত্যুর পর তার নাম উরফি জিয়া বলে জানা যাচ্ছিল। র‍্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং থেকে এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

গতকাল বিকেলে ফ্যানের হ্যাঙ্গারে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয় হিমুকে। সেখান থেকে হিমুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম গতকাল বলেন, শুনেছি, একজন যুবক হিমুকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর সেই যুবক তার মোবাইলসহ পালিয়ে গেছেন।

উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোর্শেদ আলম গতকাল বলেছিলেন, প্রেমিক উরফির সাথে তার বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। কয়েক দিন ধরে হুমায়রা হিমুর সাথে উরফির ঝগড়া-বিবাদও হয়েছে৷ হাসপাতালে হিমুকে ফেলে উরফি পালিয়েছে। আমরা উরফিকে খুঁজছি। তাকে পেলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অভিনেত্রীর মৃত্যুর আসল কারণ কি।

হুমাইরা হিমু ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ইডেন মহিলা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম নাট্য জগতে প্রবেশ করেন। ফ্রেঞ্চ নামক নাট্য দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেন।

২০১১ সালে আমার বন্ধু রাশেদ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে হুমায়রা হিমুর অভিষেক হয়। চলচ্চিত্রের গল্পটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে তৈরি এবং চলচ্চিত্রে তার অসাধারণ অভিনয় সমালোচকদের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিল।


আরও খবর

নওগাঁয় নবান্ন উৎসব উদযাপন

বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩