Logo
শিরোনাম

বাংলাদেশে আসবেন ফিফা প্রেসিডেন্ট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় যুব উৎসবে যোগ দিতে সম্মত হয়েছেন ফিফা প্রেসিডেন্টে জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। খবর- বাসস

বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা বাকুতে অবস্থান করছেন। চার দিনের সরকারি সফরে গেছেন তিনি। সোমবার বাকুতে পৌঁছান।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯-এর ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বেশ কয়েকজন বিশ্ব নেতা ও সংস্থার প্রধানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে উপস্থিত ফিফা প্রেসিডেন্টকে যুব উৎসব সম্পর্কে অবহিত করেন ড. ইউনূস। সাফ জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে স্বনামধন্য নারী ফুটবল দলকে বাংলাদেশে আনতে তার সহায়তা চান।

চার দিনের এই সফরে প্রধান উপদেষ্টা কপ২৯-এর বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেবেন। এছাড়া বিভিন্ন সাইডলাইন ইভেন্টে বক্তব্য রাখবেন তিনি। এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এসেছিলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট ইনফান্তিনো।


আরও খবর



ইরানের হয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের প্রস্তাব

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ইরান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব জমা দিয়েছে রাশিয়া, চীন এবং পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের পর রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রস্তাব জমা দিয়েছে।

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এই খসড়া প্রস্তাব ভোটে দেওয়া হয়নি। এটি এখনও একটি খসড়া হিসেবেই রয়েছে এবং ভোটাভুটির জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে এটি বিতরণ করতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহের শুরুতে বা মাঝামাঝি সময়ে এটি ভোট গ্রহণের জন্য উত্থাপন করা হতে পারে।

রাশিয়া, চীন এবং পাকিস্তানের জমা দেওয়া খসড়া প্রস্তাবটি আকারে ছোট, মাত্র দেড় পৃষ্ঠার মতো, তবে এতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

১. ইরানে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার তত্ত্বাবধানে থাকা শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার নিন্দা।

খসড়া প্রস্তাবে ইরানে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সুরক্ষায় থাকা শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থান এবং স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এই ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি এবং এটি সংস্থার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার জন্য একটি বড় ঝুঁকি।

তবে খসড়া প্রস্তাবের কোথাও যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

২. অবিলম্বে ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান। এই খসড়া প্রস্তাবে অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে। তিনটি দেশই পক্ষগুলোকে কূটনীতির পথে ফিরে আসার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।


আরও খবর



দুর্গাপুরের বিজয়পুর সীমান্তে তিন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

মোঃ মাসুম বিল্লাহ, দুর্গাপুর(নেত্রকোনা) :

ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক তিন বাংলাদেশিকে বিজিবি‘র কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মঙ্গলবার (০৩) জুন সকালে নেত্রকোনার দুর্গাপুর বিজয়পুর সীমান্তের ১১৫২/এমপি পিলারের নিকট শূন্যরেখায় ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে এই হস্তান্তর কার্যক্রম করা হয়।  

এ বিষয়ে ৩১ বিজিবির বিজয়পুর সামীন্ত ফাঁড়ির নায়েক শাহ আলম দুর্গাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তিন বাংলাদেশীরা হলেন, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ী থানার বিড়ালশাখ গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে মোঃ সিরাজ উদ্দিন (৩১), শেরপুরের ডোবারচর গ্রামের সুলতান মিয়ার মেয়ে সুমি আক্তার সিমা (২৫) ও পাবনার চটমোহর থানার মথুরাপুর বাজার এলাকার মুরাদ খন্দকারের মেয়ে মারুফা খাতুন (২৮)। তারা ২জুন সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।

বিজিবি জানায়, সকাল পৌনে ৯টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফ দলের ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। পরে বিএসএফ তিন বাংলাদেশীকে বিজিবির কাছে হন্তান্তর করে। মিটিং শেষে বিজিবি তাদের দুর্গাপুর থানায় নিয়ে যায় এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিজ নিজ জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। 

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত  কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, পতাকা বৈঠকের পর হস্তান্তর কার্যক্রম শেষে দুর্গাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন বিজিবি। পরবর্তীতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।


আরও খবর



ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’: সর্বাত্মক সতর্কতা জরুরি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ : সাংবাদিক ও কলাম লেখক

চলতি মাসের ১১ তারিখে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত একটি খবর বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ফেসবুকে পোস্ট করা খবরটি ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রীক। ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস শিরোনামে লেখা ফেসবুক পোস্টির হুবুহু লেখাটি হচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে মে মাসের ২৩ তারিখ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে শক্তি (শ্রীলঙ্কার দেওয়া নাম) ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা উপকূল ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী যে কোনো স্থানের ওপর দিয়ে স্থল-ভাগে আঘাত করার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ২৪ থেকে ২৬শে মে মধ্যে। তবে সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত বেশি পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে স্থল-ভাগে আঘাত করার। এই পোষ্টটি যিনি লিখেছেন তার নাম মোস্তফা কামাল পলাশ। তিনি একজন আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক হিসেবে পরিচিত।

ঘূর্ণিঝড় মানে হচ্ছে, এটি একটি নিম্নচাপযুক্ত এলাকা। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র হচ্ছে সেই অঞ্চলের সর্বনিম্ন বায়ুমণ্ডলীয় চাপের এলাকা। কেন্দ্রের কাছে, চাপের গ্রেডিয়েন্ট বল (ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে চাপের তুলনায় ঘূর্ণিঝড়ের বাইরের চাপের তুলনায়) এবং কোরিওলিস প্রভাবের বল আনুমানিক ভারসাম্যে থাকে, অন্যথায় চাপের পার্থক্যের ফলে ঘূর্ণিঝড়টি নিজেই ভেঙে পড়ে। ইংরেজ বিজ্ঞানী হেনরি পিডিংটন ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন নামটির প্রবক্তা। গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় নিয়ে তার গবেষণাপত্র ৪০টি। এগুলো তিনি দ্য জার্নাল অফ দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি-তে প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি সাইক্লোন শব্দটিও প্রবর্তন করেন, যার অর্থ সাপের কুণ্ডলী

২০২৪ খ্রিস্টাব্দে ঘূর্ণিঝড় রেমাল-এর কারণে বাংলাদেশে এক ভয়ংকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। স্যাফির-সিম্পসন ঘূর্ণবাত বায়ুপ্রবাহ মাপনী যা সংক্ষেপে এসএসএইচডাব্লিউএস-তে রেমাল-কে গত ১ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ওয়েদার ইনফরমেশন সার্ভিস থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ প্রতিবছর গড়ে অন্তত ৪ বার ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে। বৈশিষ্ট্যগতভাবে, বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড় কেবল বাংলাদেশের প্রভাব বলয়ে প্রবেশ করে না বরং স্থলভাগেও আঘাত হানে।

পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, তুলনামূলকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল হচ্ছে, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং ঢাকা। সাধারণত ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম গ্রীষ্মকালীন বর্ষার উপর নির্ভর করে। এর আগের (মে থেকে জুন) এবং পরে (অক্টোবর থেকে নভেম্বর) মাসগুলোতে সবচেয়ে তীব্র ঝড় হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেখানে জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যায় মানবিকতা বিঘ্নিত হয়েছে বা হচ্ছে এমন দেশগুলোয় সরেজমিনে কাজ করছেন ফ্রান্সের সাংবাদিক ম্যানুয়েল ক্যালোকুইস্পে ফ্লোরেস। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তিনি এসব বিষয়ে কাজ করছেন। যেসব দেশে আপদকালীন সংকটে জাতিসংঘসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক সংস্থাগুলো ত্রাণ নিয়ে যায়, সেগুলোর সুষ্ঠু বন্টন নিয়েও তিনি কাজ করছেন। ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে ঘূর্ণিঝড় রেমাল পূর্ববর্তী সময়ে সাংবাদিক ম্যানুয়েল ক্যালোকুইস্পে ফ্লোরেস বাংলাদেশে এসেছিলেন।

তিনি বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত এবং আক্রান্ত এলাকার মানুষের অসহায়ত্বের কথা জাতিসংঘের কাছে তুলে ধরেন। এক প্রতিবেদনে তিনি লেখেন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দের ২৬ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টায় বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলায় ঐ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার এবং সেই সময় এর ব্যাস ছিল ১০৩ কিলোমিটার। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সাফির-সিম্পসন শ্রেণীবিভাগ অনুসারে, এটি একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় ঘূর্ণিঝড়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল। বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে রেমাল সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়।

বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে সার্বিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। তার সেই আবেদন বিশ্ববাসীর কাছে সাড়া জাগায়। তার প্রতিবেদনটি ইউএনএইচসিআর-এ প্রকাশিত।

চলতি বছরে স্যাফির-সিম্পসন স্কেলে কমপক্ষে ৩ নম্বর শ্রেণিতে পৌঁছানো নয়টি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের স্যাটেলাইট ছবি জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে, ভিন্স (প্রথম সারিতে তৃতীয় চিত্র) সবচেয়ে তীব্র, যার সর্বনিম্ন কেন্দ্রীয় চাপ প্রতি ঘণ্টায় ৯২৩ কিলোমিটার। স্যাফির-সিম্পসন জানায়, গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় সাতটি প্রধান জলাশয়ে তৈরি হবে, যা সাধারণত গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় অববাহিকা নামে পরিচিত। সাম্প্রতিক সময়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন আবহাওয়া সংস্থা গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করবে। যেমন শক্তি-এর নামকরণ করেছে শ্রীলঙ্কা। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হল ঘূর্ণিঝড় ভিন্স যার সর্বনিম্ন গতি বেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ৯২৩ কিলোমিটার।

ঘূর্ণিঝড়ের আর্কাইভ ঘেটে জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে ২০২০ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানআম্ফান ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী এবং বিপর্যয়কর গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাবে পূর্ব ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় এবং বাংলাদেশে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। এটি ছিল গাঙ্গেয় বদ্বীপে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলেন, আম্ফান ছিল একটি বিরল ঘূর্ণিঝড় যা ২১ মে ভোরে প্রবল বাতাসের সাথে বাংলাদেশের রাজশাহী থেকে রংপুর পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলে উপর আঘাত হানে। এটি রাজশাহী ও রংপুরের আম উৎপাদনে মারাত্মক ক্ষতি করে।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘূর্ণিঝড় শক্তি-এর সাথে আম্ফান-এর সাদৃশ্য রয়েছে। ২০২০ খ্রিস্টাব্দের ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ১৩ মে শ্রীলঙ্কার কলম্বো থেকে কয়েকশ মাইল (৩০০ কিলোমিটার) পূর্বে অবস্থিত একটি নিম্নচাপ অঞ্চল থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। ২০২০ খ্রিস্টাব্দের ১৫ মে আম্ফান সিস্টেমটিকে একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় নিম্নচাপে উন্নীত করে এবং পরের দিন ভারত আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) একইভাবে পরিস্থিতি অনুসরণ করে। ১৭ মে আম্ফান দ্রুত তীব্রতা অর্জন করে এবং ১২ ঘণ্টার মধ্যে একটি অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। সেই সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হলে, হয়তো ক্ষয়-ক্ষতি এবং বহু প্রাণ বাঁচানো যেতো বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করেন।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডাব্লিউএমও)-এর সর্বশেষ তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড় শক্তিআম্ফান-এর সাথে ঠিক কতটা সাদৃশ্যময় সেটা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করার মতো পর্যাপ্ত সময় হাতে নেই। সিস্টেমটি ট্র্যাক করার জন্য স্যাটেলাইট ডেটা ব্যবহার করে তারা জানিয়েছে, উষ্ণ সমুদ্রের তাপমাত্রার কারণে প্রায়শই মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের সঞ্চালন তীব্র হয়। বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বর্তমানে ২৯-৩০ক্কসেলসিয়াস, যা ঘূর্ণিঝড় গঠনের জন্য আদর্শ। বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় শক্তি আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং চলতি মাসের ২৩ মে থেকে ২৮ মের মধ্যে এটি আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় শক্তি ২৪ থেকে ২৬ মের মধ্যে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। সম্ভাব্য আঘাতের এলাকা ভারতের ওড়িশা উপকূল থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের খুলনা বিভাগ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূল। এখনো ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হয়নি। তবে বঙ্গোপসাগরে যে পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, তা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য অনুকূল বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। পরিস্থিতি যেমন যাচ্ছে, এতে করে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাই সবাইকে আগাম সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি যদি বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসে, তাহলে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া, ভারি বৃষ্টি এবং জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। এতে মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষতির ঝুঁকি বাড়বে।

বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে আঘাত হানা গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে প্রায় ১.৫৪ মিলিয়ন মানুষ নিহত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় শক্তির ভয়াবহতা অনুধাবন করতে পারছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। তাদের কেউ কেউ বলছেন, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় শক্তি ২০২৫ সালের প্রথম বড় ঝড় হতে পারে এবং ঘূর্ণিঝড় শক্তি ২০২৫ পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত আনতে পারে। বিশেষজ্ঞরা উপকূলীয় এলাকার মানুষদের এখন থেকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশেষ করে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলোকে নিরাপদ স্থানে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আশঙ্কায় যে কোনো সময় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার কথাও বলা হয়েছে। অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড় শক্তির মোকাবিলায় নিজেদের সর্বাত্মক শক্ত বলয় গড়ে তোলা অত্যাবশ্যক।।



আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




জটিল রোগাক্রান্তদের হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

২০২৬ সালে পবিত্র হজ পালনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। এতে ১২ অক্টোবরের মধ্যে হজে যেতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ৯ নভেম্বর বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের দ্বিপক্ষীয় হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

তবে এবার মেডিকেল ফিটনেস (শারীরিক সুস্থতা) ছাড়া কেউ হজে অংশ নিতে পারবেন না। এর মধ্যে হৃদরোগ, ফুসফুস ও কিডনি জটিলতা, লিভার সিরোসিস, নিউরোলজিক্যাল বা মানসিক সমস্যা, কেমোথেরাপি/রেডিওথেরাপি নেওয়া ক্যানসার এবং ঝুঁকিপূর্ণ অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ জটিল রোগে আক্রান্তদের হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি আরব। সম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এই ধরনের একটি রোডম্যাপ হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব), হজ এজেন্সি ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো পাঠিয়েছে।

সৌদি আরবের বরাত দিয়ে রোডম্যাপে বলা হয়েছে, হজ এজেন্সিগুলোর আগামী বছর হজে সর্বোচ্চ দুটি সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করার সুযোগ থাকবে। সব ধরনের চুক্তি এবং অর্থ প্রদান ‘নুসুক মাসার’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই সম্পন্ন করতে হবে। এর বাইরে কোনো অর্থ দেওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। কুরবানির অর্থও এই প্ল্যাটফর্মে জমা দিতে হবে। এছাড়া হজযাত্রীদের খাবারসংক্রান্ত চুক্তি করতে হবে সৌদি ক্যাটারিং কোম্পানির সঙ্গে। একই সঙ্গে তাঁবু, সেবা প্যাকেজ এবং পরিবহণ খরচ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশে জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হজের নিবন্ধন করতে পারবেন না বলে জানানো হয়।

আরো জানা যায়, ১০ জুলাই হজ কোটা ঘোষণা করবে সৌদি সরকার। ২৬ জুলাই থেকে ‘নুসুক মাসার’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ক্যাম্পসংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষণ ও অর্থ স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে। ৯ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত চলতি হজ মৌসুমের ব্যবহৃত ক্যাম্পগুলো আগামী হজ মৌসুমের জন্য পুনর্ব্যবহারের সুযোগ থাকবে। এছাড়া প্যাকেজ, আবাসন, পরিবহণ চুক্তি, এয়ারলাইন্স নির্ধারণসহ ফ্লাইট সূচি চূড়ান্ত করতে হবে ২৪ আগস্টের মধ্যে।

একই সঙ্গে হজযাত্রীদের তথ্য নুসুক মাসারে আপলোড এবং গ্রুপ গঠন শুরু করতে হবে। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁবু ভাড়া ও মাশায়ের প্যাকেজ বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠাতে হবে। ৪ জানুয়ারির মধ্যে সেবা সংস্থার সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি এবং ফ্লাইট সূচি নির্ধারণ করতে হবে। ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে মক্কা-মদিনার হোটেল ও পরিবহণসংক্রান্ত অর্থ স্থানান্তর প্রক্রিয়া, যা চূড়ান্ত করতে হবে ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। হজযাত্রীদের ভিসা দেওয়া শুরু হবে ৮ ফেব্রুয়ারি এবং চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রা শুরু হবে ১৮ এপ্রিল।

এ বিষয়ে হজ অধিশাখার যুগ্ম সচিব ড. মো. মঞ্জুরুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, সৌদি সরকারের নির্দেশনা আমরা যথাযথ অনুসরণ করব। হজের প্রাক-নিবন্ধন করার আগে সিভিল সার্জন কর্মকর্তার কর্তৃক শারীরিক সুস্থতার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অবহিত করব।


আরও খবর

আগামী ২৫ বছর গরমকালে হজ হবে না

মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫




চাপের কারণে লন্ডনে কিছু অর্থ জব্দ হয়েছে : গভর্নর

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২১ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ‘বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার ও তা ফেরত আনার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। সেই চাপের কারণে লন্ডনে কিছু অর্থ জব্দ হয়েছে। এটা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। লন্ডনে আরও যেসব অর্থ গেছে, দুবাই, সিঙ্গাপুরসহ যেসব দেশে পাচারের অর্থ গেছে তা ফেরত আনার জন্য চাপ রাখতে হবে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্ম–সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ঋণ সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক ও বাংলাদেশে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং।

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির লন্ডনে মালিকানাধীন ৯০ মিলিয়ন বা প্রায় ৯ কোটি পাউন্ডের (প্রায় ১ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা) বিলাসবহুল সম্পত্তি জব্দ করেছে ব্রিটিশ ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)। এরা হলেন– সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান এফ রহমান ও সালমান এফ রহমানের ভাতিজা আহমেদ শাহরিয়ার রহমান। এর ফলে এখন লন্ডনে তাদের সম্পদ বিক্রি করতে পারবেন না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, দেশ থেকে চুরি করা অর্থ ফেরত আনা আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। সব সরকারেরই এই অঙ্গীকার থাকা উচিত। কিছুদিন আগে অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে আলোচনার জন্য আমি লন্ডনে গিয়ে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। প্রধান উপদেষ্টা চেষ্টা করছেন। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস বলি, লন্ডন টাইমস বা আল–জাজিরার মতো গণমাধ্যম বাংলাদেশের অর্থ পাচার নিয়ে বড়–বড় নিবন্ধ লিখছে। আগামীতে এধরনের আরও প্রতিবেদন আসবে। সামনের দিনে এই চাপ আরও বেগবান করতে হবে। সেখানে অনেক প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি আছে যাদের অর্থ বাংলাদেশ থেকে নেওয়া হয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরও বিভিন্ন দেশে এধরনের সম্পদ রয়েছে সে বিষয়ে কি ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সে বিষয়েও আমরা কাজ করছি। গত সপ্তাহে দুবাই গিয়েছিলাম। শিগগিরই সিঙ্গাপুর যাবো। আবারও লন্ডনে যাবো। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এসবকে সক্রিয় রাখতে হবে। এটা সক্রিয় না রেখে ভুলে গেলে আর এগোবে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে। এটা নৈতিকতা বিরোধী। অন্যের অর্থ রাখা ঠিক নয়, এটা জনগণের সম্পদ, আমানতকারীর সম্পদ। এটা বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।

জব্দ করা অর্থ কতোদিনের মধ্যে ফেরত আসতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, এই সিদ্ধান্ত অর্থ ফেরত আসার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। অর্থ ফেরত আসবে বিচার শেষ হওয়ার পর। তবে এখন আর তারা এই সম্পদ বিক্রি করতে পারবে না। এর পরবর্তী ধাপ হিসেবে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তারা যদি বিক্রি করে চলে যেতো তাহলে তো আর আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে লাভ হতো না। সম্পদটা আটকে গেল। এটা খুবই একটা গুরিুত্বপূর্ণ ধাপ। আর নড়া–চড়া করতে পারবে না। বিচারক সিদ্ধান্ত নেবেন, এসব সম্পদ যুক্তরাজ্যের না বাংলাদেশের।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫