Logo
শিরোনাম

বাংলাদেশের দুর্বিষহ কর ব্যবস্থা ও পরিসংখ্যান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ তার উন্নয়ন কার্যক্রম চালানোর জন্য অর্থ যোগানে রাজস্ব বাড়াতে লড়াই করছে, এমনকি একই আয়ের তালিকায় থাকা অন্যান্য দেশগুলির চেয়েও বেশি। আর্থিক বছর ২০২২ এ, মাত্র ১.৪% মানুষ আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছে। প্রতিবেশী ভারতে এই সংখ্যা ৫.৮%।

ফ্রান্সে অবস্থিত ওইসিডি(OECD) অর্গানাইজেশন ফর ইকনোমিক কর্পোরেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট জরিপ মতে ২০২০ সালে বাংলাদেশের কর-টু-জিডিপি হার ১০.২ শতাংশ যেখানে এশিয়ার দেশগুলোর কর-টু-জিডিপি হার ১৯.১ শতাংশ যা আমাদের দেশের তুলনায় ৮.৯ শতাংশ বেশি এবং যদি ওইসিডি(OECD) ভুক্ত দেশগুলোর সাথে তুলনা করি তাহলে ওইসিডি(OECD) দেশগুলোর কর- টু-জিডিপি হার ৩৩.৫ শতাংশ যা আমাদের দেশ থেকে ২৩.৩ শতাংশ বেশি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে ১৫%, শ্রীলংকায় ১১.৫%, পাকিস্তানে ১১.৮%, আফগানিস্তানে এ হার ৯.৩% ও নেপালে ১৮% ।

যদি, আমরা ২০০৭ থেকে ২০২০ সালের পরিসংখ্যান লক্ষ করি , তাহলে দেখা যাবে যে ২০০৭ সালে বাংলাদেশের কর-টু-জিডিপি হার ৮.৫ শতাংশ ছিল, ২০২০সালে যা শুধু ১.৭শতাংশ বেঁড়ে ১০.২ শতাংশ হয়েছিল, যার মধ্যে ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ ১০.৮ শতাংশ ছিল।

সিইআইসি(CEIC) এর তথ্য মতে, ২০২২ সালে কত কর-টু-জিডিপি হার ছিল ৮ শতাংশ ২০২৩সালে যা এসে দাঁড়িয়েছে ৭.৮ শতাংশ। গত এক বছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে এক বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে, এঁর পিছনে নানান কারন জড়িত। রিজার্ভ ঘাটতি মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় এ দেশের অর্থনীতিতে বড়সড় আঘাত লেগেছে, যার কারনে নিত্যপন্য দ্রব্য থেকে শুরু করে বিলাসবহুল জিনি্সের বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পরেছে। এই সমস্যার আরেকটি বড় কারণ হলো সরকার কাঙ্ক্ষিত কর তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। যার কারন হতে পারে জনগনের কর ফাঁকি অথবা কর দানে অনুৎসাহ, ফলশ্রুতিতে জিডিপিতে কর হার এত কম।

অর্থনীতির এই জটিল অবস্থায় অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশ যখন আইএমএফ(IMF) এর কাছে ঋণ অনুমোদন চায় তখন আইএমএফ এর দেয়া শর্তগুলোর মধ্যে একটি ছিল , কর-টু-জিডিপি হার ২০২৪ এর মধ্যে ৮.৩ শতাংশ এবং ২০২৬ এর মধ্যে ৯.৫%মধ্যে উন্নিত করতে হবে। এত কিছুর পরেও ২০২৩ সালে সরকার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৪ হাজার কোটি টাকা কর আয় কম তুলতে পেরেছে ।

ওইসিডি(OECD) তথ্য অনুসারে বাংলাদেশের কর আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস মূল্য সংযোজন কর / পণ্য ও পরিষেবা কর(value added taxes / goods and services tax) যার হার মোট কর উত্তলনের ৩৩ শতাংশ, এখানে ব্যক্তি আয়কর (Personal income tax) সবচেয়ে কম ১১ শতাংশ, আশ্চর্য ভাবে এদেশের সামাজিক নিরাপত্তা (Social security contributions) খাতের ক্ষেত্রে কোনো কর আদায় হয় না। কিন্তু যা অন্যান্য উন্নত দেশের প্রধানতম আয়ের উৎস। যদি এশিয়ার দেশ গুলোর দিকে দেখি তাহলে, ব্যক্তি আয়কর ১৬ শতাংশ, মূল্য সংযোজন কর ২৩ শতাংশ, সামাজিক নিরাপত্তা খাত থেকে আয় ৬ শতাংশ। আর ওইসিডি(OECD) ভুক্ত দেশ গুলোতে ব্যক্তি আয়কর ২৩ শতাংশ, মূল্য সংযোজন কর ২০ শতাংশ, সামাজিক নিরাপত্তা খাত থেকে আয় ২৬ শতাংশ। সুতরাং স্পষ্ট ভাবে বুঝা যাচ্ছে তাদের কর আদায়ের উৎস এবং প্রক্রিয়া কতটা ফলপ্রসূ এবং কার্যকর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এপ্রিল-জুন ২০২২সালের ত্রৈমাসিক কর আদায় এর তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে কর আয় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩,৪৬,০০০ কোটি টাকা, যা বাস্তবে অর্জিত হয় ৩,০৮,৬২৫ কোটি টাকা। ২০২১সালে কর আয় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩,১৬,০০০ কোটি টাকা যাতে অর্জিত হয় ২,৬৯ ,০০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব বোর্ড থেকেই আয় হয় ৯১.৩ ভাগ।

এমন এক সমীকরণ সামনে রেখে নতুন আয়কর আইন ২০২৩ সালের জুন মাসে সংসদে পাস হয়েছে এবং এটি বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে। দেশের কর ব্যবস্থা এত দিন ধরে ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশ দিয়ে চলেছে। তবে বিভিন্ন সময়ে সেই আয়কর অধ্যাদেশের সংশোধন করা হয়েছে। আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর পর এটিই প্রথম পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে তৈরিকৃত আয়কর আইন। সবচেয়ে বড় কথা, দেশে এখন পরিপূর্ণ আয়কর আইন প্রণীত হয়েছে। প্রথমেই যে সেই আইনে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে তেমনটা আশা করা যায় না। এখন এই আইনকে ভিত্তি ধরে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পরিমার্জনের মাধ্যমে সময়ের পরিক্রমায় হয়তো আইনটি পরিপূর্ণ মাত্রা পাবে। আসা করা যায় এরই ফলশ্রুতিতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থায় কর আয়ের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে।


আরও খবর

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কেটে যাবে

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মাভাবিপ্রবিতে টিই বিভাগের অ্যাপ্যারেল ডিজাইন এর ভবিষ্যৎ" শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাংগাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি)তে পোশাক ডিজাইনের ভবিষ্যৎ, বাংলাদেশে শিক্ষার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি ) সকাল ১০টায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ারুল আজিম আখন্দ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথির হিসেবে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইঞ্জি. মোঃ ইকবাল মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মামুন  এবং স্বাগত বক্ততৃতা করেন  সেমিনার ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক ও বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ কে এম আয়াতুল্লাহ হোসেন আসিফ। 


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন

বিশ্বব্যাপী ফ্যাশন ও অ্যাপ্যারেল শিল্প একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল খাত। প্রযুক্তি, টেকসই উন্নয়ন, এবং ভোক্তাদের চাহিদার পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়াই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ডিজিটালাইজেশন, যেমন ৩ডি ডিজাইন সফটওয়্যার এবং এআই-চালিত ট্রেন্ড প্রেডিকশন, এ খাতকে আরও গতিশীল করে তুলছে।

তিনি আরও বলেন,  টেকসই ফ্যাশন এখন সময়ের দাবি। আমরা জানি, পৃথিবীর পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে ফ্যাশন শিল্পের দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই, পরিবেশ-বান্ধব উপাদান ব্যবহার, পুনর্ব্যবহারযোগ্য ফ্যাব্রিক এবং ন্যায্য শ্রম নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা এই খাতকে আরও নৈতিক ও স্থায়িত্বশীল করতে পারি।

আজকের সেমিনারে নতুন প্রজন্মের ডিজাইনাররা তাদের সৃজনশীলতার মাধ্যমে কীভাবে বৈশ্বিক মানচিত্রে বাংলাদেশকে আরও উজ্জ্বল করতে পারে, সে সম্পর্কে আলোচনা হবে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী ক্ষমতা, এবং শ্রমশক্তি আমাদের এই শিল্পকে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিবে। 

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে  তিনি বলেন,  এখান থেক ডিগ্রি নিয়ে শুধু নিজেকে নিয়ে না ভেবে দেশ ও দেশের অর্থনীতির কথাও চিন্তা করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে শিক্ষার পাশাপাশি  মানবিক গুণের অধিকারীও হতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন তেজগাঁও এপিলিয়ন গ্রুপের 

সিনিয়র ডিজাইনার বদরুল হুদা এবং সম্মানিত বক্তা ছিলেন ডিজিটাল ফ্যাশনওয়্যার লিমিটেড এর 3D ফ্যাশন ডিজাইনার এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রেদওয়ানুল ইসলাম।

এছাড়া অনুষ্ঠানে  টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক,  শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



এভোরেজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীদের পিঠা উৎসব

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রাজধানীর লালমাটিয়ায় ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষাথীদের উদ্যোগে দিনভর পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার লালমাটিয়া ভয়েজ স্কুল মাঠে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

পিঠা উৎসবের আয়োজন নিয়ে এভোরেজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামান জানান, বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পিঠা উৎসবে শিক্ষার্থীরা তাদের আনন্দ উপভোগ করতে নিজেরাই পিঠা উৎসবে পিঠার স্টল দিয়েছে। স্টলে রাখা প্রতিটি পিঠা তারা রাতভর কষ্ট করে তৈরি করে আজকে তা ষ্টলে তুলেছে। আমরা চাই আমাদের মতো প্রতিটি শিক্ষাঙ্গন শিক্ষার্থীদের মাঝে বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে কাজ করবে।

শিক্ষার্থীদের পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন, এভোরেজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামান। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের অভিভাবক লালমাটিয়া এলাকার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। 


আরও খবর



নির্বাচন যত বিলম্ব হচ্ছে, সংকট তত বাড়ছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

নির্বাচন যত বিলম্ব হচ্ছে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট তত বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় চলতি বছরের মাঝামাঝিতে নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন নয়। সবার দৃষ্টি জাতীয় নির্বাচনের দিকে। সবকিছু প্রস্তুত, এখন নির্বাচন করতে বেশি সময় লাগবে না। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, নির্বাচন পেছানোর চিন্তা যুক্তিযুক্ত নয়। একটি দেশে গণতন্ত্র হচ্ছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিচার হতেই হবে। রাজনৈতিক দলগুলো এ বিচার চালিয়ে নেবে। তড়িঘড়ি করলে বিচারকাজ প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ঘোষণাপত্রের খসড়া বিএনপি হাতে পেয়েছে, তা নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়েছে, আরও আলোচনা দরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, জামায়াতের সঙ্গে কোনো মতপার্থক্য নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন থাকতেই পারে।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত। বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তিই জনগণ মেনে নেবে না।


আরও খবর



একই ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

একই ব্যক্তি একই সঙ্গে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা হতে না পারার সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী পদে কোনো ব্যক্তি দুবারের বেশি থাকতে না পারা, স্থানীয় সরকারে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই টার্মে সীমিত করারও সুপারিশ করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের নয় পৃষ্ঠার সুপারিশ জমা দেয়। এতে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে এমন সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী (ক) সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই টার্মে সীমিত করা।

(খ) সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে দুবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের অযোগ্য করা।

(গ) একই ব্যক্তি একইসঙ্গে যাতে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা হতে না পারেন তার বিধান করা। এবং দ্বৈত প্রতিনিধিত্বের সুযোগ বন্ধ হয়।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (ক) দল-নিরপেক্ষ, সৎ, যোগ্য ও সুনামসম্পন্ন ব্যক্তির রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার বিধান করা।

(খ) জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষের সদস্য এবং স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তর নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার বিধান করা। কার্যকর সংসদের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংসদ সদস্যদের প্রত্যাহারের (রিকল) বিধান করা।

সংসদ সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা (ক) সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি, আবাসিক প্লট, সব ধরনের প্রটোকল ও ভাতা পর্যালোচনা ও সংশোধন করা।

(খ) একটি সংসদ সদস্য আচরণ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের বাৎসরিকভাবে সম্পদের হিসাব দেওয়া এবং স্বার্থের দ্বন্দ্বের বিষয়সমূহ ঘোষণা করা।

(গ) সংবিধান লঙ্ঘন করে সংসদ সদস্যদের স্থানীয় উন্নয়নে জড়িত থাকার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের আনোয়ার হোসেন বনাম বাংলাদেশ মামলার রায় কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা এবং ভবিষ্যতে সংসদ সদস্যদের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টার পদ থেকে অপসারণ করা।

(ঘ) সংসদ সদস্যদের জন্য বিশেষ প্রটোকলের অবসান করা।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ/গণমাধ্যম

(ক) নিশ্চল (স্টেশনারি) পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেওয়া, যাতে পর্যবেক্ষকরা সারাদিন কেন্দ্রে থাকতে পারে, কিন্তু ভোটকক্ষে সার্বক্ষণিকভাবে নয়।

(খ) নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে প্রাক-নির্বাচনকালীন পর্যবেক্ষণের অফিসিয়াল অনুমতি দেওয়া।

(গ) পক্ষপাতদুষ্ট ভুয়া পর্যবেক্ষক নিয়োগ বন্ধ করা।

(ঘ) ব্যক্তি পর্যায়ে পর্যবেক্ষক নিয়োগের বিধান চালু করা।

(ঙ) পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ভবিষ্যতে নির্বাচন ভালো করার জন্য কাজে লাগানোর বিধান করা।

(চ) আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপগুলো সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষক সংস্থার জন্য সুস্পষ্ট করা। সরকারের পরিবর্তে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়া।

(ছ) নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রদত্ত বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিকদেরকে সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ, দিনে মোটরসাইকেল ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করা।

নির্বাচনী আচরণবিধি

(ক) ব্যানার, তোরণ ও পোস্টারের পরিবর্তে লিফলেট, ভোটার-প্রার্থী মুখোমুখি অনুষ্ঠান, পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও সরকারি গণমাধ্যমে প্রচারের সম-সুযোগ দেওয়ার বিধান করা।

(খ) সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ মেনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণার বিধান করা।

(গ) ১৯৯০ সালের তিন জোটের রূপরেখার মতো রাজনৈতিক দলের জন্য আচরণবিধি প্রণয়ন করা।

সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কার্যক্রম শুরু করবে অন্তর্বর্তী সরকার।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় হত্যা রহস্য উদর্ঘাটন পূর্বক ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় জাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যার ঘটনা। অবশেষে হত্যা রহস্য উদঘার্টন সহ ৩ জন কে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতভর জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেন পুলিশ। এঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানান, নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সফিউল সারোয়ার।

হত্যাকান্ডের শিকার জাহিদুল ইসলাম (৪১) নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের কোতালী গ্রামের মৃত অছিমুদ্দিনের ছেলে। আটককৃতরাও হলেন একই গ্রামের গুলজার হোসেনের ছেলে মামুনুর রশিদ (৩৬), ইসমাইল হোসেনের ছেলে রুবেল হোসেন (২৫) ও আবুল কালাম আজাদের ছেলে মোহাম্মদ রাজু হাসান (৩২)। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে জাহিদুল ইসলামকে জবাই করে হত্যার পর মৃতদেহটি পত্নীতলা উপজেলা থেকে একটি অটোচার্জার ভ্যানে করে মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নের আরমান সরদারের জমির পাশে কালভার্ট ব্রীজের নিচে ফেলে রেখে যায় আসামিরা। এসময় মৃতদেহটি একটি নীল পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ছিলো। এঘটনায় পরে নিহতের স্ত্রী থানায় মামলা করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করেন এবং গত সেমাবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, এই হত্যাকান্ডের মোড় ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আসামীরা মৃতদেহটি পত্নীতলা থেকে একটি অটোচার্জার ভ্যানে করে মহাদেবপুরে এনে গুমের চেষ্টা করেছিলেন। এছড়াও আলামত ধ্বংসের উদ্দেশ্যে জাহিদুল ইসলামের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি একটি মাঠের মধ্যে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পর আসামীরাই ভিকটিমের মৃতদেহ উদ্ধারসহ দাফন কাফন কাজে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতাও করেছেন যাতেকরে তাদেরকে কেউ যেন সন্দেহ না করে।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা এই হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে। পূর্ব শত্রুতা এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, ফারজানা হোসেন, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হাসমত আলীসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।


আরও খবর