আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে
টেস্ট ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের আসন্ন ভারত সফর। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়
ও শেষ টেস্ট। দুই টেস্টের পাশাপাশি তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে
টাইগারদের। সম্প্রতি পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে টেস্টে হোয়াটওয়াশ করে দারুণ ছন্দে
রয়েছে নাজমুল শান্তর দল। তবে টাইগারদের সামনে এবারের ভারত চ্যালেঞ্জ কেমন হবে, সেটি নিয়েই চলছে নানা
পর্যালোচনা। টেস্টে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান রোহিতদের বিপক্ষে কথা
বললেও, এবারের সিরিজে শান্ত-সাকিবরা
লড়াই আভাস দিয়ে রাখছে।
তার আগে রোহিত শর্মাদের সতর্ক করলেন সুনীল গাভাস্কার। পাকিস্তানকে
দেখে শেখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানকে তাদের ঘরের মাঠে দুই
টেস্টের সিরিজে চুনকাম করে জিতেছে বাংলাদেশ। তাই তাদের হাল্কা ভাবে না নেওয়ার
পরামর্শ দিয়েছেন গাভাস্কার।
তিনি বলেন, পাকিস্তানকে তাদের দেশে দুটো টেস্টে হারিয়ে বাংলাদেশ বুঝিয়ে দিয়েছে
ওরা শক্তিশালী দল। কয়েক বছর আগেও যখন ভারত বাংলাদেশে খেলতে যেত, কড়া টক্কর হত। এখন
পাকিস্তানকে হারিয়ে ওদের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ভারতকে হারানোর কথা
ভাবছে ওরা।
ঘরের মাঠে বরাবরই শক্তিশালী দল বাংলাদেশ। কিন্তু বিদেশে তেমন খেলতে
পারত না তারা। এবার সেই পরিস্থিতি নেই বলেই মনে করেন গাভাস্কার। পাকিস্তান সেই
ভুলই করেছিল বলে মনে করেন তিনি। বাবর আজমদের দেখে রোহিতদের শেখার পরামর্শ দিয়েছেন
তিনি।
এ নিয়ে গাভাস্কার বলেন, ওদের দলে বেশ কয়েক জন ভাল ক্রিকেটার রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিদেশে
গিয়ে ওরা আর খেলতে ভয় পায় না। তাই যে দলই ওদের হাল্কাভাবে নেবে তারা ভুগবে।
পাকিস্তান ভুগেছে। ওদের দেখে ভারতের শিখতে হবে। মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।
টেস্টের ইতিহাসে যে দুই দেশকে বাংলাদেশ কোনও দিন হারাতে পারেনি তার
একটি ভারত এবং অপরটি দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের বিপক্ষে ১৩টি টেস্টের মধ্যে ১১টি
জিতেছে ভারত। দুইটি টেস্ট ড্র হয়েছে। ২০২২ সালে ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে জয়ের কাছে
পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ ইনিংসে ১৪৫ রান তাড়া করতে নেমে ৭৪ রানে ৭ উইকেট
পড়ে গিয়েছিল ভারতের। সেখান থেকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৪২) ও শ্রেয়স আয়ারের (২৯)
জুটি ভারতকে জেতায়।