Logo
শিরোনাম

বাংলাদেশসহ ১৩ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা সৌদির

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

পবিত্র হজ সামনে রেখে নিরাপত্তা ও বাড়তি ভিড় এড়াতে বিশেষ পদক্ষেপ নিল সৌদি আরব। হজ মৌসুমে বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশের ওপর ওমরাহ, ব্যবসা ও পারিবারিক ভিসার সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সৌদি আরব। খবর জিয়ো নিউজ

জানা যায়, ওমরাহ, ব্যবসা ও পারিবারিক ভিসার ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে। এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা জুনের মাঝামাঝি শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, ওমরাহ ভিসাধারীরা ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবেন। এই তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, নাইজেরিয়া, জর্ডান, আলজেরিয়া, সুদান, ইথিওপিয়া, তিউনিসিয়া ও ইয়েমেন। সূত্র জানায়, সাময়িক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আইন অমান্যকারীদের সৌদি আরবে পুন:প্রবেশ ও অবস্থানে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।


আরও খবর



মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

হুথি বিদ্রোহীরা জানিয়েছেন, মার্কিন বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাজধানীতে অন্তত ১২ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।

হুথি নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ চ্যানেলে সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোরে প্রকাশিত একটি ফুটেজে দেখা গেছে, হামলায় যানবাহন ও ভবনের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকজন মানুষ শিশুর মরদেহ হাতে আর্তনাদ করছেন আর অনেককে স্ট্রেচারে বহন করে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সানার শুব জেলায় ফারওয়া মহল্লার এক বাজারে হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে হুথিরা। ওই এলাকা আগেও মার্কিনদের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছিল।

সোমবার গভীররাতে ইয়েমেনের আমরান, হোদেইদা, মারিব এবং সাদা প্রদেশসহ আরও কিছু অংশে হামলা চালানো হয়।

হুথিদের বিরুদ্ধে চলমান মার্কিন অভিযানে হতাহতের এখন পর্যন্ত সর্বশেষ ঘটনা এটি। হামলা বা বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এপির জিজ্ঞাসার জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড।

গত সপ্তাহে, দেশটির রাস ইসা জ্বালানি বন্দরে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলায় অন্তত ৭৪ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে হুথিরা। ফিলিস্তিনে আগ্রাসন বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জাহাজে হামলা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত শতাধিক বাণিজ্য জাহাজ হুথিদের হামলার শিকার হয়েছে। ওই বাণিজ্য রুট দিয়ে বছরে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের পণ্য পরিবহন হয়।

ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের স্বঘোষিত প্রতিরোধের অক্ষ (অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স) গুড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ইরান সমর্থিত হুথিদেরও নিষ্ক্রিয় করার অভিযানে নেমেছে।


আরও খবর



চিকিৎসা ব্যয় বহনে বছরে গরিব হচ্ছেন ৫০ লাখ মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

চিকিৎসা ব্যয় বহন করে প্রতি বছর দেশের ৫০ লাখ মানুষ গরিব হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম।

রবিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরো সার্জনসের (বিএসএনএস) তিন দিনব্যাপী চতুর্থ অন্তর্বর্তীকালীন সভার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি।

অধ্যাপক শাহিনুল আলম বলেন, দেশের বেশিরভাগ মানুষ সুদের ওপর বা ধার করে টাকা নিয়ে চিকিৎসা করেন। পরে তাদের টাকা শোধ করতে হয় নিজেদের জমি-জমা বিক্রি ক।

তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যা বিশাল। প্রচুর রোগী রয়েছে। তাই এখানে চাইলেই গবেষণা করা যায়। অনেক উন্নত দেশ আছে আধুনিক যন্ত্রপাতি আছে, কিন্তু রোগী কম। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিত্র আলাদা।

বিএমইউ উপাচার্য আরো বলেন, দেশে স্বাস্থ্যসেবা এখন এক বৃহৎ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত কয়েক বছরে দেশে চিকিৎসাসেবা গ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে, তবে সরকারি ও বেসরকারি খাতে চিকিৎসা খরচ নিয়ে মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। রোগীর সংখ্যা বাড়লেও চিকিৎসার খরচ কমানোর কার্যকর কোনো উদ্যোগ বা নীতির অভাব দেখা যাচ্ছে।


আরও খবর



রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যে ফাটল ধরাতে চাইছে সরকার

প্রকাশিত:শনিবার ১০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বললেন, অন্তর্বর্তী সরকার নানা ইস্যু সৃষ্টি করে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরানোর ক্ষেত্র হয়তো তৈরি করতে চাচ্ছে। বাংলাদেশ খ্রিষ্টান ফোরামের উদ্যোগে ইস্টার পুনর্মিলনী ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, অভিযোগ উঠেছে- সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে অন্তর্বর্তী সরকার একদিকে পলাতক স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদের নিরাপদে দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে। অন্যদিকে অত্যন্ত সুকৌশলে নানা ইস্যু সৃষ্টি করে স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের ফাটল ধরানোর একটা ক্ষেত্র তৈরি করতে চাচ্ছে। পলাতক স্বৈরাচারের সহযোগীদেরও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রও হয়তো তৈরি করতে চাইছে। এই বিষয়গুলো ঘুরেফিরে মানুষের মনে প্রশ্ন তৈরি করছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে তৎকালীন র‌্যাব সদস্যরা ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনকে গুম করে। আজ পর্যন্ত আমাদের এই সহকর্মীর হদিস আমরা পাইনি। স্বৈরাচারের শাসনকালে শুধু একজন সুমন নয়, ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে এ রকম অসংখ্য সুমনদের গুম, খুন ও অপহরণ করা হয়েছিল। এর প্রতিবাদে পলাতক স্বৈরাচারের সময় গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গুম হওয়া সুমনের বোনের নেতৃত্বে ২০১৪ সালে গঠিত হয়েছিল সামাজিক একটি সংগঠন ‘মায়ের ডাক'। অত্যন্ত আশ্চর্য এবং উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, গুম হওয়া সুমনকে ধরার জন্য গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় সুমনের বোনের বাসায় অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন।

তিনি বলেন, এখন প্রশাসন বলছে, তারা নাকি সুমন সম্পর্কে জানতো না। তর্কের খাতিরে আমরা ধরে নিলাম যে, প্রশাসন সুমন সম্পর্কে জানতো না। কিন্তু এই যে পলাতক স্বৈরাচারের সময়ের একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি (আবদুল হামিদ) বিমানবন্দর দিয়ে চলে গেছেন দেশ ছেড়ে। এর আগে ৫ আগস্ট একইভাবে আরেকজন দেশ ছেড়ে পালিছেন। এবার সাবেক ওই রাষ্ট্রপতিও অনেকটা একই কায়দায় পালিয়ে গেছেন। কিন্তু বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার তার এই দেশত্যাগের ব্যাপারে কিছুই জানে না! প্রত্যেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জানেটা কী?

তারেক রহমান বলেন, একটি রাষ্ট্রে সংখ্যাগুরু কিংবা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সদস্য হওয়া না হওয়ার ওপর দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা কিন্তু নির্ভর করে না। দেশে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন না থাকলে কথিত সংখ্যাগুরু কিংবা সংখ্যালঘু, অর্থাৎ আপনি কিংবা আমি-আমরা কেউ নিরাপদ নই। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বও নিরাপদ নয়। রাষ্ট্রে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনই নিশ্চয়তা দিতে পারে নাগরিকদের নিরাপত্তা। দেশে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করার অন্যতম পূর্ব শর্ত হচ্ছে, জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সংসদ এবং সরকার প্রতিষ্ঠা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়। এই দেশ জনগণের।

এ সময় তিনি ষড়যন্ত্র রুখে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালানোর পর দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ হয়েছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ ষড়যন্ত্র করতে না পারে। আমাদের যে যার জায়গা থেকে ভূমিকা রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, জনগণের ভোটে তাদের কাছে দায়বদ্ধ একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনপি প্রতিটি ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি এখনও তাদের সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। তবে বিভিন্ন কারণে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের দায়িত্ব পালনে সক্ষমতার পরিচয় দিতে পারছে কি-না, এ নিয়ে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষের মধ্যে ধীরে ধীরে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট জন গমেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর



ইতালি যেতে আগ্রহীদের সুখবর দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ইতালি সরকার লিগ্যাল চ্যানেলে বাংলাদেশ থেকে আরও শ্রমিক নিতে আগ্রহী। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপদেষ্টার সঙ্গে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতিও পিয়ান্তিদোসির সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, তারা (ইতালি) বলেছেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা কঠোর পরিশ্রমী। সে কারণে তারা আমাদের দেশ থেকে নতুন করে লিগ্যাল চ্যানেলে লোক নিতে আগ্রহী। অন্যদেশের ভিসা নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে যাওয়ার যে প্রবণতা, সেটাতে তারা নিরুৎসাহিত করেছে। আমরা তাদের বলেছি- এতদিন যারা এই লাইনে গিয়েছে তাদেরকেও যেন বৈধতা দিয়ে দেওয়া হয়।

ইতালিতে কী পরিমাণ বাংলাদেশি শ্রমিক আছে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রকৃত সংখ্যাটা তো আমি বলতে পারব না। শুনেছি সেখানে লাখখানেক বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন। ওনারা নতুন করে লোক নেবে, তবে প্রোপার চ্যানেলে যেতে হবে।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা কিছু বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বলেছি। বিশেষ করে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও বিজিবির সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য তারা একমত হয়েছেন। তারা আমাদের সহযোগিতা করবেন।

ইতালি কী ধরনের সহযোগিতা দেবে? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা মূলত আমাদের ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ের জন্য প্রশিক্ষণ দেবে।

সম্প্রতি এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা যেন না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সোমবার (৪ মে) রাতে এ ঘটনায় ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার বা আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটানোর চেষ্টা করছে, তাদের কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

জুলাই আন্দোলনে যারা সামনের সারিতে ছিলেন, তাদের ওপর কিছু দিন পরপর হামলা হচ্ছে এতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন- এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটার সংখ্যা কমে আসছে। আস্তে আস্তে এটা কমে যাবে। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করবে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে আগেই যেন ধরতে পারি, সেই ব্যবস্থা আমরা করব।


আরও খবর



যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলাম তা উদ্বুদ্ধ করবে

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে বন‍্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন‍্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে সম্পন্ন করায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, এটি একটি ছোট প্রকল্প। ৩শ ঘর নির্মাণ, কিন্তু এর মাধ্যমে সঠিকভাবে কাজ করার যে দৃষ্টান্ত আমরা স্থাপন করলাম তা আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে।

বুধবার সকালে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যারা বাড়ি পেয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন। দেশের মানুষ আপনাদের পাশে দাঁড়িয়ে যে সাহস জুগিয়েছে সে সাহস সবসময় মনের মধ্যে ধারণ করবেন।

প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, এই কাজে যারা নিরলস পরিশ্রম করে গৃহহীন পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন বিশেষ করে স্থানীয় প্রশাসন, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের সদস্যগণ, এলজিইডির প্রকৌশলীগণ ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ তাদের প্রত্যেককে আন্তরিক ধন্যবাদ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের দায়িত্ব দেওয়া হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তা পালন করার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকবে।

তিনি জানান, প্রকল্পের আওতায় ২৯৮টি ঘর ইতোমধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতায় দুটি ঘর নির্মাণ করা যায়নি, সেগুলো খুব শিগগিরই নির্মাণ হয়ে যাবে।

গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান।

উল্লেখ্য, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পে নির্মিত মোট ৩শটি ঘর ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলায় বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ফেনী জেলায় ১১০টি, নোয়াখালী জেলায় ৯০টি, কুমিল্লা জেলায় ৭০টি ও চট্টগ্রাম জেলায় ৩০টি ঘর প্রদান করা হয়।

ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা জেলার চারজন উপকারভোগী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম পাটোয়ারী।


আরও খবর