Logo
শিরোনাম

বাড়তি চালের দাম

প্রকাশিত:রবিবার ২০ নভেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : পাইকারি ও খুচরা বাজারসহ কোথাও চালের ঘাটতি নেই। সরবরাহ স্বাভাবিক আছে, দুর্ভিক্ষ হওয়ারও কোনো আশঙ্কা নেই এরপরও বিভিন্ন অজুহাতে বাড়ছে চালের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সংকটের খবরে হঠাৎ প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাল ক্রয়, করপোরেট কোম্পানিগুলোর বাজার থেকে চাল ক্রয় এবং উৎপাদন খরচ বেশি এই তিন অজুহাতে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। ফলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে।

এক সপ্তাহ আগেও খুচরা বাজারে জাত ও মানভেদে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৬৫ থেকে ৭২ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৬৫ থেকে ৭৮ টাকা, মাঝারি মানের বিআর আটাশ চাল ৫২ থেকে ৫৬ টাকা, মোটা চাল স্বর্ণা ৪৬ টাকা এবং হাইব্রিড ৪৬ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। পাইকারি বাজারে চিকন চাল প্রতি কেজি মিনিকেট মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। ৫০ কেজির বস্তা ৩৪০০ থেকে ৩৫৫০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে মানভেদে বিক্রি হয়েছিল ৬২ থেকে ৬৯ টাকা আর বস্তা ৩০০০ থেকে ৩৪০০ টাকা। নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৩ থেকে ৭৫ টাকা আর ৫০ কেজির বস্তা ৩২৫০ থেকে ৩৭৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৬০ থেকে ৭২ টাকা, বস্তা ৩০০০ থেকে ৩১০০ টাকা। মাঝারি মানের প্রতি কেজি বিআর ২৮ নম্বর প্রতি কেজি চাল ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা আর বস্তা ২৭৫০ থেকে ২৮৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৫ থেকে ৫৫ টাকা, বস্তা ২৭০০ থেকে ২৭৫০ টাকা। মোটা চাল প্রতি কেজি স্বর্ণা মানভেদে ৫০ থেকে ৫২ টাকা আর বস্তা ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা, বস্তা ২৩৫০ থেকে ২৪০০ টাকা। হাইব্রিড ধানের চাল বা সবচেয়ে মোটা চালের দাম কেজিতে ৪৬ টাকা আর বস্তা ২৩০০ টাকা, যা আগে ছিল ৪১ টাকা কেজি, বস্তা ২০৫০ টাকায় বিক্রি হতো।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের বাজারে বর্তমানে যেসব চাল সরবরাহ রয়েছে, তা বোরো মৌসুমের। বোরোর শেষ পর্যায় ও আমনও উঠতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে বাজারে নতুন চাল আসছে। তারপরও দাম বাড়ছে হুজুগে। আগামী বছর সংকট হতে পারে সেই খবরে মানুষ প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাল কিনছে। আমনে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ফলে ধানের দাম বেশি। এছাড়া করপোরেট কোম্পানিগুলো বাজার থেকে চাল কিনে নিচ্ছে এবং সরকারও এ বছর ধান ও চালের দাম বেশি নির্ধারণ করে দিয়েছে, যা মানা হচ্ছে না কোথাও। কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনে মজুদ করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তারা পরে বেশি দামে মিলমালিকদের কাছে বিক্রি করছেন। এজন্য মৌসুমি ব্যবসায়ী কমানো, করপোরেট কোম্পানিগুলোর সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা, সংকটের খবর নিয়ে সবাইকে আরো সচেতন করতে প্রচার বাড়ানো এবং সরকারের মনিটরিং বাড়ানোর পরামর্শ ব্যবসায়ীদের।

সরকার এ বছর ধানের দাম বাড়িয়েছে ফলে সাধারণ কৃষক তো বেশি দামে ধান বিক্রি করছে। যদিও তাদেরও উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এছাড়া বড় বড় করপোরেট কোম্পানিগুলো বেশি চাল কিনে নিচ্ছে। তারপর তারা আরো বেশি দামে প্যাকেটজাত করে বাজারে ছাড়ে। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে আগামী বছর সংকট হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। ফলে মানুষ হুজুগে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে, হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। এজন্য করপোরেট কোম্পানিগুলোকে সরাসরি কৃষকদের থেকে ধান নিতে হবে, সরকারের মনিটরিং বাড়াতে হবে।

 দেশের কিছু জেলায় আগাম জাতীয় আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। আমন ধানের দাম বেশি ফলে চালেরও দাম বেশি। আগামী বছর বিশ্বে এবং দেশে খাদ্যসংকটের আশঙ্কা থেকে অনেকেই বেশি পরিমাণে চাল কিনে রাখছেন বলে জানা গেছে। মানুষের মধ্যে যে ভয় কাজ করছে, সেটা দূর করতে প্রচার বাড়াতে হবে, নতুন ধান যখন ওঠে তখন কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী বা অসাধু ব্যবসায়ী দেখা যায়, তাদের কমাতে হবে এবং সরকারের আরো নজরদারি বাড়াতে হবে। তাহলে বাজার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

এদিকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সারা বছরে মোট চালের চাহিদা ৩ কোটি ৬০ লাখ টন। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে চাল উৎপাদন হয় ৩ কোটি ৭৬ লাখ টন। আর ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে মোট চাল আমদানি হয় ১০ লাখ ৬৭ হাজার টন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৮ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি গুদামে চাল মজুদ রয়েছে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৮ টন এবং ধান ১১ হাজার ৬৩২ টন।


আরও খবর

দাম বাড়ল এলপি গ্যাসের

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

কমলো আকরিক লোহার দাম

শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3




স্কুলে ভর্তির লটারির ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির লক্ষ্যে টেলিটকের কারিগরি সহায়তায় ডিজিটাল অনলাইন লটারির মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। বোতাম টিপে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এই ফল প্রকাশ করেন।

এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম হাবিবুর রহমানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, টেলিটক ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

ডিজিটাল লটারির ভর্তির ফলাফল ওয়েবসাইট এবং টেলিটক মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এসএসএসের মাধ্যমে জানার জন্য মোবাইলে GSA লিখে স্পেস দিয়ে Result লিখে স্পেস দিয়ে User ID লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নাম্বারে।

জানা গেছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন ৬৫৮টি সরকারি ও ৩ হাজার ১৮৮ টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিতে অনলাইনে আবেদন শুরু হয় গত ২৪ অক্টোবর। এই প্রক্রিয়া চলমান ছিল ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত।

এ প্রক্রিয়ায় দেশব্যাপী ৩ হাজার ৮৪৬ টি বিদ্যালয়ে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির লক্ষ্যে মোট ১০ লাখ ৬০ হাজার ৯ টি শূন্য আসনের চাহিদা পাওয়া যায়। শূন্য আসনের বিপরীতে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯২ টি আবেদন জমা পড়ে। আবেদনগুলো থেকে ভর্তির লক্ষ্যে শ্রেণিভিত্তিক বন্টন কার্যক্রমে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।

প্রসঙ্গত, লটারিতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকারি নিয়মে ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী, সাধারণ, ক্যাচমেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা, পোষ্য কোটা, অক্ষম, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিবন্ধী কোটাসহ নিয়মানুযায়ী সকল কোটা বিবেচনা করা হয়েছে।

শূন্য আসন থাকা সাপেক্ষে এবং প্রার্থীর স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ক্লাস, শিফট ও পছন্দের ক্রমানুযায়ী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ডিজিটাল অনলাইন লটারি কার্যক্রমে সফটওয়্যারের মাধ্যমে দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বাচন করা হয়।

মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর সরাসরি তত্বাবধানে উক্ত ডিজিটাল অনলাইন লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী নির্বাচন কার্যক্রমে শতভাগ সঠিকতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

 


আরও খবর



অসঙ্গতির কারনে বহু স্বতন্ত্র প্রার্থির প্রার্থিতা বাতিল করতে যাচ্ছে ইসি

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন : সংসদ নির্বাচনে কোনো ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাইলে তাকে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের মোট ভোটারের এক শতাংশের স্বাক্ষরসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থাপন করতে হয়।

 এ সম্পর্কিত একটি বিধিমালা রয়েছে যা স্বতন্ত্র প্রার্থী (প্রার্থিতার পক্ষে সমর্থন যাচাই) বিধিমালা ২০১১ হিসেবে পরিচিত। 

ওই বিধিমালার বিধি ৪ অনুযায়ী প্রার্থীতার সমর্থন সূচক তালিকা যাচাই করবেন রিটার্নিং অফিসার। 

বিধি ৪(২) এর বিধান অনুযায়ী এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের প্রয়োজন হবে। এক শতাংশের কম হলে রিটার্নিং অফিসার প্রার্থিতা বাতিল করবেন। 

বিধি ৪(৩) এর বিধান অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থীর জমা দেওয়া এক শতাংশ ভোটারের তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠাবেন এবং নির্বাচন কমিশন একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে দৈব চয়নের ভিত্তিতে দশটি নাম রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাবেন।

 রিটার্নিং অফিসার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে এই দশটি নাম যাচাই-বাছাই করবেন। 

বিধি ৫ অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসারের কাছে ১ শতাংশ ভোটারের তালিকায় কোন গরমিল কিংবা জালিয়াতি ধরা পড়লে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবেন।

সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে, যেসব ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তাদের কেউ কেউ সংসদীয় আসনের মোট ভোটারের এক শতাংশের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে পারে না। 

এক্ষেত্রে তারা অনেক ভোটারের স্বাক্ষর জাল করে তালিকা পাঠায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে ভোটারের শুধুমাত্র নাম ঠিকানা থাকে, কোনো স্বাক্ষর থাকে না। 

এসব ক্ষেত্রে বিধিমালা অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে।


আরও খবর



মোংলায় কবর থেকে উঠানো হলো মাহে আলম’র মরদেহ

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 |

Image

বাগেরহাট প্রতিবেদক:

অবশেষে বহুল আলোচিত মোংলার বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলমের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে।২০ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টায় মোংলার পশ্চিম চিলা গ্রাম থেকে ৭ মাস ১০ দিন পরে মাহে আলম’র মরদেহ উত্তোলন করা হবে।  গত ১৪ এপ্রিল হিলটন নাথ হিসেবে মরদেহটি সমাহিত হয়েছিলো। ডিএনএ টেস্ট’র রিপোর্টে ইতিমধ্যেই প্রমাণিত করেছে লাশটি মাহে আলম’র। এমতাবস্থায় বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ৮ নভেম্বর বুধবার এক আদেশে বহুল আলোচিত লাশটি উত্তোলন করার কথা বলেছে। আদালতের নির্দেশে বাগেরহাট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মনোনীত নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ্ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোংলা মোঃ হাবিবুর রহমান’র উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোন করা হবে। লাশ উত্তোলনকালে আরো উপস্থিত থাকবেন মোংলা উপজেলা নির্বাহি অফিসার দীপংকর দাশ, মোংলা-রামপাল সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার, মোংলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্ম সামসুদ্দীন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ইমরান হোসেন, চিলা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন প্রমূখ। লাশটি উত্তোলন পূর্বক মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার কাছে হস্তান্তরের আদেশ প্রদান করেছেন বাগেরহাটের আমলী আদালত।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,  হিলটন নাথ ৭ এপ্রিল সুন্দরবনে মাছ ধরতে যেয়ে নিখোঁজ হয়। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল মোংলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহে আলম বাড়ী থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজলে একটি অজ্ঞাতনামা লাশ পাওয়া যায়। ১৪ এপ্রিল দাকোপ থানা পুলিশ হিলটন নাথের মা বিথিকা নাথের কাছে অজ্ঞাতনামা লাশটি হস্তান্তর করে। হিলটন নাথ খুন এবং মাহে আলম নিখোঁজ বিষয়ে দাকোপ (খুলনা) থানা এবং মোংলা (বাগেরহাট) থানায় দুুটি পৃথক মামলা হয়। অন্যদিকে  নিখোঁজ হওয়া মোংলার ব্যবসায়ী মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার দাবীর প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলী আদালত ’গ’ অঞ্চল খুলনা; হিলটন হিসেবে সমাহিত লাশটির ডিএনএ টেস্ট’র জন্য এক আদেশ প্রদান করেন। হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথ এবং মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার ডিএনএ টেস্ট’র প্রেক্ষিতে গত ১ আগস্ট প্রকাশিত ”ডিএনএ পরীক্ষায় সুদৃঢ় ভাবে প্রমানিত হয় যে, অজ্ঞাত মৃত দেহ সুমন রানার জৈবিক পিতা।” অর্থ্যাৎ মাহে আলম’র। এমতাবস্থায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে ৭ মাস ১০ দিন পরে আজ ২০ নভেম্বর সোমবার সকাল ১১টায় লাশটি উত্তোলন করা হচ্ছে। মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানা বলেন আদালত এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় আজ ৭ মাস ১০ দিন পরে বাবার মরহে পেতে যাচ্ছি। সুন্দরবনে দস্যুবৃত্তি ও অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য’র সাথে জড়িত একটি মহল আমার বাবার খুন এবং লাশ গুম এর সাথে জড়িত বলে ধারনা করছি। আশা করছি পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনবেন।


আরও খবর



ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলনে হুমকির মূখে রক্ষা বাঁধ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

পাবনা জেলা প্রতিনিধি :

ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের ইসলামপাড়া এলাকায় রক্ষা বাঁধের সন্নিকটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে মেতেছে বালু খেকোরা। এতে হুমকির মূখে পড়েছে ২০১৭ সালে দুই শতাধিক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রক্ষা বাঁধ। প্রভাবশালী কথিত যুবলীগ নেতার নের্তৃত্বে বালু উত্তোলন করা হলেও ভয়ে এলাকার লোকজন কেউই কিছু বলতে সাহস পায়না। ইতোপূর্বে সাঁড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ঘাট হতে ইসলামপাড়া এলাকা পর্যন্ত বাঁধের সন্নিকটে বালু উত্তোলন করায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়। এতে ওই এলাকার কিছু কিছু স্থানে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। ভাঙন শুরু হওয়ায় পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারা আতংকিত। সাঁড়ার ব্লকপাড়া, থানা পাড়া ও ইসলামপাড়া এলাকার কিছু অংশ ব্যাপকভাবে ভেঙে ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে এরইমধ্যে বালুর বস্তা ডাম্পিং করার কাজ চলছে। অপরিকল্পিতভাবে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু উত্তোলনের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ।  বালু উত্তোলন প্রতিরোধে নৌ পুলিশের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।

বিগত ৫ জুন ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন এবং কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসন বালু কাটা বন্ধে পদ্মায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় বালু কাটা ও পরিবহনের কাজে জড়িত শ্রমিকরা গ্রেফতার হলেও মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে।

পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকা দখল করে গড়ে ওঠেছে অবৈধ বালু মহাল। বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রকরা বালুমহাল বলছেন না, বলছেন বালুর খোলা। অন্যান্য স্থান হতে বালু এনে এখানে স্তুপিকৃত করে ব্যবসা করছেন বলে তাদের দাবি। লক্ষীকুন্ডা নৌ-পুলিশ এসব দেখেও দ্যাখেন না। নির্বিঘ্নে বালুর ব্যবসার কাজে অনেকেরই সহযোগীতা রয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলমান হরতাল-অবরোধের পাশাপাশি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের ব্যস্ততার সুযোগ গ্রহন করে বালু উত্তোলনে মেতেছে চক্রটি। বিগত প্রায় ১৫ দিন ধরে নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু কাটা হচ্ছে। প্রথমদিকে দিনের বেলায় বালু উত্তোলন করা হলেও গত কয়েকদিন ধরে রাতের আঁধারে ‘চুপেচাপে’ নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে। সাঁড়ার ওই এলাকায় পাহাড় সমান বালুর স্তুপ সাজিয়ে ভ্যাট-ট্যাক্স ছাড়াই শুধু ম্যানেজ করেই বছরের বছর জমিয়ে চলছে রমরমা বালুর ব্যবসা। খরচ বলতে নৌকা ভাড়া, চাঁদা আর লেবার খরচ। 

সরেজমিনে ইসলামপাড়া এলাকার কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা কেউই বালু চক্রের হোতার নাম বলতে রাজী হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসীরা জানান, বালুর উত্তোলনের সাথে যারা জড়িত, তারা খুবই প্রভাবশালী। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত গভীর রাতেও নদীতে বালু কাটা হয়েছে। নদী থেকে মাত্র ১০-২০ মিটার দূরে বসতবাড়ি। ভাঙনে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হলে বসতবাড়ি বিলীনের আশংকায় তারা আতঙ্কগ্রস্থ। এরইমধ্যে ভাঙনে প্রায় ৫০ একর জমি নিশ্চিহ্ণ হয়েছে। অভিযান হয় কিন্তু তবে মুল হোতারা সবসময় ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই থাকে বলে অভিযোগ করেছেন।


পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ভাঙন ঠেকাতে নিয়মানুযায়ী বালুর বস্তা ডাম্পিং করা হচ্ছে। নদীর অপর প্রান্তের কিছুটা আগে জেগে উঠা চর এবং অবৈধভাবে বালু উত্তেলন করায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। এখন নদীর স্রোত সরাসরি প্রবাহিত না হয়ে এই এলাকায় এসে আছড়ে পড়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে হলে বালু উত্তোলন বন্ধের পাশাপাশি গতিপথ পরিবর্তনের জন্য দ্রুত ওই চর এলাকায় ড্রেজিং করে স্রোতের গতিপথ পরিবর্তন করতে হবে। তবে পাবনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বার বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী (ডিইএন-২) বীরবল মন্ডল বলেন, পদ্মা নদীর পানি প্রবাহ মূলত আপস্ট্রিমের পানি প্রবাহ। এভাবে যদি বালু কাটা হয় তাহলে হঠাৎ বণ্যা হলে  রা বাধটাকে ধ্বংস হবে। 

লক্ষীকুন্ডা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমদাদুল হক বালু উত্তোলনকারীদের সাথে তাদের কোন সখ্যতা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বালু কাটার বিষয়টি এখনও আমাদের নলেজে নাই। 

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার বলেন, নদীতে অভিযান পরিচালনার জন্য লক্ষীকুন্ডা নৌ পুলিশের ফাঁড়ি রয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


আরও খবর



বন্ধ হয়ে গেল গাজার বড় দুই হাসপাতাল

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফার হৃদরোগ ওয়ার্ড ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়েছে। হামলা এবং জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সংকটের কারণে হাসপাতালটির সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চিকিৎসার অভাবে অনেক রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৬৫০ রোগীর জীবন এখন ঝুঁকিতে। তাদের মধ্যে ৩৭ শিশু। তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য প্রতিবেশী মিশর সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া আল শিফা হাসপাতাল চত্বরে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ। পানি ও খাদ্য সংকটে তাদের বেঁচে থাকাও খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।

এদিকে আল শিফা হাসপাতাল বন্ধ হতে না হতে গাজা শহরের দ্বিতীয় বৃহত্তম আল কুদস হাসপাতালও জ্বালানি সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু এ দুটি নয়, এর আগে একই কারণে বন্ধ হয়ে গেছে গাজার আরও ২৫ থেকে ৩০টি হাসপাতাল। এখন সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় রোগীদের জীবন বাঁচানো নিয়ে শুরু হয়েছে স্বজন ও চিকিৎসকদের আরেক যুদ্ধ। ইসরায়েল সরকারের দাবি, হাসপাতালের নিচে রয়েছে হামাসের গোপন সুড়ঙ্গ। আর সে সুড়ঙ্গ ধ্বংস করতেই এসব হামলা চালানো হচ্ছে। যদিও হামাস হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গ থাকার দাবি নাকচ করে দিয়েছে। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা শহরের প্রধান হাসপাতালগুলো ঘিরে রেখে হামলা চালাচ্ছে। খবর আল জাজিরার।

ইসরায়েলের অবরোধ আরোপ, জ্বালানি প্রবেশ করতে না দেওয়া ও অব্যাহত হামলার কারণে শনিবার রাতে গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফা বন্ধ হয়ে গেছে। হামলার কারণে হাসপাতালটির হৃদরোগ ওয়ার্ড সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া হামলার কারণে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রটিও এখন অচল হয়ে পড়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভেতরে থাকা ৬৫০ রোগীর জীবন এখন ঝুঁকিতে। তাদের মধ্যে ৩৭টি শিশু রয়েছে। হাসপাতালের ভেতর যেসব রোগী আছেন, তারা এখনো সেখানে আটকে আছেন, সদ্যই জন্ম নেওয়া দুটি শিশু মারা গেছে এবং হাসপাতালের আশপাশে প্রচণ্ড লড়াই হচ্ছে। হাসপাতাল চত্বরে আশ্রয় নেওয়া প্রায় দেড় হাজার মানুষ মারাত্মক ভীতিকর অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এই মুহূর্তে খাদ্য তো দূরের কথা, খাওয়ার পানি পর্যন্ত নেই তাদের।

আল শিফার এ ধরনের অবস্থার মধ্যে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম আল কুদস হাসপাতালও বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর এসেছে। ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলের আল কুদস হাসপাতালে আর কোনো ধরনের সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই ওই হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে পিআরসিএসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি, চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব, খাদ্য ও পানির ঘাটতি এবং বিদ্যুৎ না থাকার পরও হাসপাতালের কর্মীরা রোগীদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। চলমান ইসরায়েলি বোমা বর্ষণে হাসপাতালটিতে আর কোনো কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না। সেখানকার চিকিৎসা কর্মী, রোগী এবং বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর উপস্থিতি আরও বেড়ে গেছে। রেড ক্রসের কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সও পাঠাতে পারছেন না।

এদিকে গাজার পূর্বাঞ্চলীয় খান ইউনিসের একটি আবাসিক ভবনে হামলার ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। ওই হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হয়েছে বিবিসি। তিনি জানিয়েছেন, হামলার সময় মাটি যেন কেঁপে উঠেছিল। হামলায় আবাসিক ভবনটি ধ্বংস হয়ে গেছে। এর আগেও এ ধরনের বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে জাতিসংঘ জানায়, গাজায় অবস্থিত তাদের একটি কার্যালয়ে রাতভর গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। ওই কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু এবং আহত হওয়ার খবর পেয়েছেন তারা।


আরও খবর