Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

বাসচাপায় শিক্ষার্থী নাদিয়ার মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জানুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

রাজধানীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাদিয়া সুলতানাকে চাপা দেওয়া বাসের চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

 ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের পুলিশের উপকমিশনার মো. আব্দুল আহাদ জানান, গ্রেপ্তার করা ভিক্টর পরিবহনের ওই বাসের চালক মো. লিটন ও সহকারী আবুল খায়েরের বাড়ি ভোলায়। এর আগে গতকালই এ ঘটনায় বাদী হয়ে ভাটারা থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করেন নাদিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম। এই ঘটনায় ভিক্টর পরিবহনের বাসটি জব্দ রয়েছে। রোববার ক্লাস না থাকায় এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে বই কিনতে বসুন্ধরা যাচ্ছিলেন নাদিয়া । কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় তাঁদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয় ভিক্টর ক্ল্যাসিক পরিবহনের একটি বাস। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় নাদিয়া।  


আরও খবর



সাংবাদিকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, তথ্য চাইতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডে তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ের কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বাংলাদেশের কোথাও একজন সাংবাদিক তথ্য চাওয়ার জন্য কোনোভাবে যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয়, সেই সুরক্ষা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই, বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যেন কোনো ধরনের হয়রানি বা ঝুঁকির মুখে না পড়ে। তাদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনভাবে গণমাধ্যম তাদের কাজ করবে। কর্তৃপক্ষকে, সরকারকে প্রশ্ন করবে, সমালোচনা করবে, এরকম একটি সমাজব্যবস্থা আমরা তৈরি করতে চাই। এর বাইরে বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকার চিন্তা করে না।

ঢাকার বাইরে গণমাধ্যমের একজন সাংবাদিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দিয়ে জেলে নেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ খবরটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি খোঁজ নিয়েছি। তথ্য কমিশন অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এ বিষয়টি আমলে নেয়। ইতোমধ্যে তারা বিষয়টির তদন্ত করেছে। আমি কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছি, আমরা সঠিক তথ্য জানতে চাই।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, সাংবাদিকদের সুরক্ষা বলয় তৈরির জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রয়াসের অংশ হিসেবে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে কল্যাণ অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এখানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা রাজনৈতিক বিশ্বাস বা অন্য কোনো কিছু দেখেননি, শুধু প্রয়োজন দেখেছেন, মানুষ দেখেছেন, সাংবাদিককে দেখেছেন। কে কোন দলের, কার পক্ষে ছিলেন, বিপক্ষে ছিলেন এগুলো চিন্তা করেননি এবং তার ভিত্তিতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সাংবাদিকদের অনুদানের কাজটি করা হয়েছে। রাজনৈতিক চিন্তার ঊর্ধ্বে উঠে প্রয়োজন এবং পেশা বিবেচনায় সরকার সাংবাদিকদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে।

নবম ওয়েজ বোর্ডের বকেয়া পাওনা দ্রুততার সঙ্গে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সব গণমাধ্যমের মালিকপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিকবান্ধব ও গণমাধ্যমবান্ধব। আমরা গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই এবং পেশাদার সাংবাদিকদের পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাই। সেই নিরিখে সাংবাদিকদের কল্যাণের স্বার্থে সরকার কাজ করছে। বেসরকারি খাতকেও অনুরোধ করতে চাই, তারাও বিশেষ করে মালিকপক্ষ যেন সহানুভূতি ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করে।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে এ সরকার দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পক্ষে কাজ করতে চায় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের একটি বড় জায়গা হচ্ছে গণতন্ত্র। গণতন্ত্র, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম পাশাপাশি হাতে হাত ধরে চলে, সে পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী ব‌লেন, যারা সমাজে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে অপতথ্য ছড়ায়, তাদের আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করব। কারণ অপতথ্য গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, সুস্থ সাংবাদিকতা ও সুস্থ গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার সবসময় পাশে থাকবে।

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ঢাকার ৪২ জন সাংবাদিককে কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৬৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে বিতরণের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর আগে একই অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ে ২৩৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।

প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে দুস্থ, অসচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা/কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকে ৩ হাজার ৯৩২ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।


আরও খবর



মাধবদীতে মিষ্টির কারিগর খুন মোবাইলের সূত্র ধরে হত্যাকারী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর মাধবদীতে নিজের বসতঘরে নির্মল দেবনাথ (৪৫) নামে এক মিষ্টির কারিগর খুনের ঘটনার প্রায় ৪ মাস পর রহস্য উদঘাটন করেছে নরসিংদীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। খুনের সময় নির্মল দেবনাথের খোয়া যাওয়া বাটন মোবাইলটি চারজনের হাতবদল হয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়ে সচল হয়। এক এক করে সর্বশেষ ব্যক্তির কাছে পৌঁছাতেই বেরিয়ে আসে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পিবিআইয়ের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. এনায়েত হোসেন মান্নান।

নিহত নির্মল দেবনাথ মাধবদী পৌর শহরের জলখাবার মিষ্টি দোকানের কারিগর ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের সরারচর কোতালিয়া এলাকার রঞ্জিত দেবনাথের ছেলে। তিনি দক্ষিণ বিরামপুরে নিজ মালিকানাধীন একটি একতলা বাড়িতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন।

অতিরিক্ত ডিআইজি মো. এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, গত ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার ভাই ফোটা উপলক্ষে সন্তানদের নিয়ে শিবপুরের শাষপুর এলাকায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান নির্মল দেবনাথ এর স্ত্রী মনি দেবনাথ। ঐ রাতে তারা বাড়ি না ফেরায় নির্মল দেবনাথ নিজ বাড়িতে একাই ছিলেন। পরীক্ষা থাকায় তাঁর ছেলে স্কুলছাত্র অর্থ দেবনাথ পরদিন বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় বাড়ি ফিরে আসে। বাড়ি ফিরে সে ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় দেখতে পায় এবং খাটে পিতা নির্মল দেবনাথের গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। এসময় ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পাওয়া যায়।

কে বা কারা নির্মল দেবনাথকে খুন করে তার ব্যবহৃত সিম্ফোনি বাটন মোবাইলটি নিয়ে যায়। এঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে দুর্জয় দেবনাথ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মাধবদী থানায় মামলা করেন। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে গত ৩১ ডিসেম্বর মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।

এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, ‘মামলাটির তদন্তে নেমে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ভুক্তভোগী নির্মল দেবনাথের মোবাইল ফোন উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করা হয়। একপর্যায়ে জানা যায় মোবাইলটি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর থানা এলাকায় সচল রয়েছে। গত ১ মার্চ দুপুরে ঠাকুরগাঁও থেকে লাইলী খাতুন নামে একজনকে ওই মোবাইলসহ আটক করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘মোবাইলের বিষয়ে লাইলী জানায় মাধবদী এলাকায় চাকরি করার সময় শাকিল নামের এক ছেলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। শাকিল তাঁকে মোবাইলটি দিয়েছিল। পরে শাকিলকে নরসিংদী থেকে আটক করা হলে সে জানায়, রবিন নামে একজনের কাছ থেকে ২৫০ টাকায় মোবাইলটি কিনেছিল সে। একপর্যায়ে রবিনকে আটক করলে সে জানায়, প্রায় তিন মাস আগে মোবাইলটি তার ফুফাতো ভাই মাসুম বিল্লা তাকে বিক্রির জন্য দেয়। পরে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। গত ৬ মার্চ মাধবদী থেকে মাসুম বিল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মাসুম বিল্লা জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে।’

মাসুম বিল্লার দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. এনায়েত হোসেন বলেন, ‘গত ১৪ নভেম্বর রাত তিনটার দিকে চুরির উদ্দেশ্যে বাড়ির ছাদে উঠে গেট দিয়ে নির্মল দেবনাথের বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় ঘুমন্ত নির্মলের মোবাইল ও মানিব্যাগটি নিয়ে নেয় সে। একপর্যায়ে ঘুম ভেঙে গেলে নির্মল বটি নিয়ে চোরকে ধাওয়া করে। ধারালো বটি হাতে মাসুম বিল্লার দিকে এগিয়ে গেলে, সে তার হাত ধরে ফেলে। এরপর তাদের মধ্যে প্রায় ২০ মিনিট ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে মাসুম বিল্লা নির্মলের হাতে থাকা বটি কেড়ে নেয় এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।


আরও খবর



ভারত থেকে এলো ৪০০ মেট্রিক টন আলু

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত দুদিনে ভারত থেকে ৪০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজ খান।

তিনি জানান, ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে গত দুদিনে ১৬ ট্রাকে ৪০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। এসব আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস বলে জানা গেছে। আলুর চালান বন্দর থেকে খালাস নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করা হয়েছে।

ট্রান্সমেরিন লজিস্টিক লিমিটেড সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লা জানান, বুধ ও বৃহস্পতিবার ভারতীয় ১৬ ট্রাকে ৪০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন আলুর আমদানি খরচ পড়ছে ১৯৪ মার্কিন ডলার। আলুর চালানটি রোববার খালাস হবে।

এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, বন্দর দিয়ে দুই চালানে ৪০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। আলুর চালানটি এখনও বন্দরে রয়েছে। দ্রুত ছাড়করণের জন্য আমদানিকারকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার বলেন, আমদানিকারকের পক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে মান পরীক্ষা শেষে খালাসের অনুমতি দেওয়া হবে।

এর আগে গত ২ ডিসেম্বরে তিন ট্রাকে ৭৪ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়। এরপর আর কোনো আলু আমদানি হয়নি এ বন্দর দিয়ে।

 


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




বিপজ্জনক অ্যাপ সরিয়ে নিলো গুগল

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

গুগলে আসল অ্যাপের রূপে ঘাপটি মেরে থাকে অনেক নকল ও বিপজ্জনক অ্যাপ। যা ব্যবহারকারীদের ফোনের তথ্য চুরি করে। এসব তথ্য ডার্ক ওয়েবে বিক্রি করে আবার কখনো সরাসরি ব্যবহারকারীকে ব্ল্যাকমেইল করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এবার আরও ১০ অ্যাপ প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে নিলো গুগল।

গাইডলাইন অমান্য করেছে। এমন অভিযোগেই জনপ্রিয় ১০টি অ্যাপকে প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল।গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১০টি অ্যাপের বিরুদ্ধে নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ তোলে গুগল। প্লে স্টোরের পরিষেবার জন্য এই ডেভেলপাররা গুগলকে কোনোরকম অর্থ দেয়নি। বকেয়া মেটানোর জন্য তাদের অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেও পর কোনো সাড়া দেয়নি অ্যাপগুলো। আর সেকারণেই এবার নাকি চরম সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন সংস্থা।

গুগল একটি পোস্ট করে জানিয়েছে, বর্তমানে গুগল প্লে স্টোরের সঙ্গে যুক্ত দুই লাখেরও বেশি ভারতীয় ডেভেলপার। তারা প্রত্যেকেই আমাদের পলিসি মেনে চলে। আমরা যে একটি নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম, সেই সত্যতা বজায় রাখতেই এই পলিসি মেনে চলতে বলা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত সময় দেওয়ার পরও ১০টি কোম্পানি প্লে স্টোরকে কোনো বকেয়া অর্থ দেয়নি। যদিও অন্য অ্যাপ স্টোরের পেমেন্ট পলিসি মেনেই কাজ করেছে তারা।

এরপরই গুগল জানায়, এই ডেভেলেপারদের তিন বছরেরও বেশি সময় দেওয়া হয়েছে যাতে তারা গাইডলাইন মেনে চলে। তা সত্ত্বেও নিয়ম মানেনি তারা। সেই কারণেই এধরনের সিদ্ধান্তের পথে এগোতে হচ্ছে।


আরও খবর



নওগাঁয় ছেলের লাঠির আঘাতে প্রাণ গেলো বাবার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর বদলগাছীতে ছেলের লাঠির আঘাতে আহত বাবা নূর ইসলাম (৫২) এর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল বুধবার (২০ মার্চ) ছেলে নাসিম (২০) তার বাবার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। নিহত নূর ইসলাম উপজেলার জালালপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকাল থেকে বাবা ছেলে সাংসারিক বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। চলে বিকেল পর্যন্ত। বিকেল ৫ টার দিকে হঠাৎ করে ছেলে নাসিম ও তার বাবা নূর ইসলামের মধ্যে আবারো তর্ক শুরু হয়ে যায়। এর এক পর্যায়ে নাসিম ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাবা নূর ইসলামের মাথায় লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করে। এতে করে নূর ইসলাম আহত হয়ে পড়লে গ্রামবাসী তাকে প্রথমে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নূর ইসলামকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এব্যাপারে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন, নিহত নূর ইসলামের মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া এঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে এবং নিহতের ছেলে পলাতক রয়েছে।


আরও খবর