Logo
শিরোনাম

বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বায়ুদূষণের শীর্ষে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা। অন্যদিকে ভারতের দিল্লি রয়েছে দ্বিতীয় নম্বরে। ১৮ মার্চ সকাল ৮টা ২১ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।

দূষণ তালিকায় শীর্ষে থাকা ঢাকার স্কোর ১৮২ অর্থাৎ ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দিল্লির দূষণ স্কোর ১৭৭ অর্থাৎ অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে সেখানকার বায়ু।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ। এই শহরের দূষণ স্কোর ১৭৬ অর্থাৎ সেখানকার বাতাসও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

তৃতীয় নম্বরে রয়েছে উগান্ডার কামপালা। শহরটির স্কোর ১৬১ অর্থাৎ অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে সেখানকার বাতাসও।


আরও খবর



জ্যোতির প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ইতিহাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর বসছে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে, ভারতের মাটিতে। আট দলের এই বিশ্ব আসরে জায়গা করে নিতে বাছাই পর্ব খেলছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের লাহোরে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামে নিগার সুলতানার নেতৃত্বাধীন দল, প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড। আগে ব্যাট করে অধিনায়ক জ্যোতির সেঞ্চুরিতে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর করেছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৭১ রান। জিততে হলে এই রানের মধ্যেই থামাতে হবে থাইল্যান্ডকে।

লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। দলীয় ১৫ রানেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার তানজিম। এরপর শারমিনের সঙ্গে ১০৪ রানের জুটি গড়েন ফারজানা। দলীয় ১১৯ রানে ফারজানার বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ৮২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৫৩ রান তোলেন ফারজানা। এরপর জ্যোতির সঙ্গে ১৫২ রানের বড় জুটি গড়েন শারমিন। যেখানে জ্যোতি সেঞ্চুরি পেলেও ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন শারমিন। ৮০ বলে ১৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় জ্যোতি ফেরেন ১০১ রান করে। তার বিদায়ে বাংলাদেশ থামে ২৭১ রানে। থাইল্যান্ডের হয়ে মায়া, পুত্তাংয়ু ও কামছম্পু নেন একটি করে উইকেট।

থাইল্যান্ডকে পেয়ে জয় ছাড়া কিছু ভাবতে রাজি নয় বাংলাদেশ। ওয়ানডে ফরম্যাটে এবারই প্রথমবার থাইল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামল বাংলাদেশ। যদিও টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের দেখা হয়েছে সাতবার, যেখানে প্রতিবারই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শুভ সূচনা করতে চায় নিগার-ফারজানারা।


আরও খবর



জাতিসংঘের দুটি আঞ্চলিক সংস্থায় নির্বাচিত বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ইউএনইএসসিএপি)-এর ৮১তম অধিবেশনে বাংলাদেশ একটি তাৎপর্যপূর্ণ কূটনৈতিক জয়লাভ করেছে।

আঞ্চলিক সহযোগিতায় ক্রমবর্ধমান নেতৃত্ব প্রদর্শন করে বাংলাদেশ ইউএনইএসসিএপির অধীনে মর্যাদাবান দুটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং কাউন্সিলের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেনিং সেন্টার অন আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট (এপিসিআইসিটি) এবং এশিয়া-প্যাসিফিক সেন্টার ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব ডিজাস্টার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট (এপিডিআইএম)-এর গভর্নিং কাউন্সিলে তিন বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।

উদ্বোধনী অধিবেশনে জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল এবং ইএসসিএপি‘র নির্বাহী সচিব আর্মিদা সালসিয়াহ আলিশাবানা, থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী বক্তব্য দেন।

নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৮১তম অধিবেশনের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং বাংলাদেশের অর্থ উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

উদ্বোধনী অধিবেশনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের একটি ভিডিও ভাষণ প্রচার করা হয়। এ ভাষণে তিনি সকল ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা জোরদার করার আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণের নীতির ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন বিশ্ব গড়ার আহ্বান জানান।

তিনি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

গুরুত্বপূর্ণ এই অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অর্থ উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তার সঙ্গে রয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটিডি) সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

‘এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীল এবং টেকসই নগর উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা’ শীর্ষক অধিবেশনে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর আরও জোর দিয়েছে। বিশেষ করে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী টেকসই উন্নয়নের ওপর ডিসকোর্স তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

তিনি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উল্লেখযোগ্যহারে প্রযুক্তিগত সহায়তা বৃদ্ধি, গবেষণা সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং স্মার্ট, সবুজ ও স্থিতিশীল নগরায়ণ প্রকল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য ইএসসিএপি এবং এর সদস্য দেশগুলোর প্রতি জোরালো আহ্বান জানান।

অধিবেশনে শীষ হায়দার চৌধুরী তার বক্তব্যে জাতি ও অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারগুলোর ওপর জোর দেন। তিনি স্থিতিশীল ও টেকসই নগর উন্নয়ন অর্জনের জন্য আন্তঃসীমান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বহুমুখী পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, জলবায়ু অর্থায়নে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি এবং আন্তঃসীমান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আন্তঃসীমান্ত সমাধানের প্রসার ঘটানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, ‘তিনটি শূন্যের মাধ্যমে টেকসই নগরায়ণকে কেন্দ্র করে একটি উচ্চপর্যায়ের সাইড ইভেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও এগিয়ে নিয়েছে।

শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, এই উদ্যোগটি নগর উন্নয়নের একটি উদ্ভাবনী মডেলকে প্রচার করে, যা দৃঢ়ভাবে শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণের নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত। এই মডেল অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘এ ওয়ার্ল্ড অব থ্রি জিরোস: দ্য নিউ ইকোনমিক্স অব জিরো পোভার্টি, জিরো আনএমপ্লয়মেন্ট, জিরো নেট কার্বন এমিশনস’ বই থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃষ্টিভঙ্গির রূপরেখা তুলে ধরেছে।

‘তিন শূন্য’ বিষয়ক অধিবেশনের আলোচনায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণের এজেন্ডা এগিয়ে নিতে আঞ্চলিক অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য অর্জনে উন্নত নগর রূপান্তর অভিযাত্রায় প্রাণবন্ত জ্ঞান বিনিময়, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে কারিগরি সহায়তা প্রদানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

নির্বাচন ও বিষয়ভিত্তিক অধিবেশনের বাইরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ইউএনইএসসিএপি’র নির্বাহী সচিবের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করে।

বৈঠকে আইসিটি উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা জোরদার করা এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আঞ্চলিক সক্ষমতা জোরদার করার ওপর আলোচনা করা হয়।

তাৎপর্যপূর্ণ এই দুটি নির্বাচনী বিজয় বাংলাদেশের প্রাগ্রসর নীতি এবং এই অঞ্চলের মধ্যে এর প্রভাবশালী নেতৃত্বের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্রমবর্ধমান আস্থার প্রতিফলন।

দুটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং কাউন্সিলের নির্বাচনে মূল্যবান সমর্থনের জন্য বাংলাদেশ সকল সদস্য রাষ্ট্র এবং গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্রগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ইউএনইএসসিএপি’র নির্বাহী সচিবের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

সূত্র: বাসস


আরও খবর



সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সরকার সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার (ইসিএ) মধ্যে নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্প স্থাপন নিষিদ্ধ করেছে। এ বিষয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে জাতীয় পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন কমিটির নির্বাহী কমিটির ১৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় সুন্দরবনের পরিবেশগত সুরক্ষায় ২০১৭ সালের জাতীয় পরিবেশ কমিটির একটি সিদ্ধান্ত এবং ২০২১ সালের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দ্বারা সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার ইসিএ এলাকার মধ্যে স্থাপিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ করা হবে। আদালতের আদেশ থাকার কারণে প্রভাব নিরূপণের পর স্থাপিত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এছাড়াও, সভায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট বিধিমালা সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশোধনের পর সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ও এনজিওগুলো যৌথভাবে প্রকল্প প্রস্তাব দিতে পারবে। শব্দদূষণ রোধে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে সব মন্ত্রণালয় থেকে মতামত নেওয়া হবে।

সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এনফোর্সমেন্ট বাজেটে অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হবে। বন অধিদপ্তরের কর্মচারীদের ঝুঁকিভাতা চালু ও বাড়ানোর প্রস্তাবও পাঠানো হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ভবন নির্মাণে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ ব্লক ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে মে মাসে সচিব পর্যায়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীরপ্রতীক) এবং কৃষি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ; বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজ; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান; স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী; গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম-সহ কমিটির সদস্য হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে গত সভার সিদ্ধান্ত ও সভার কার্যপত্র উপস্থাপন করেন কমিটির সদস্য সচিব ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ফাহমিদা খানম।


আরও খবর



গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

চলমান গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল করিম।

তিনি বলেছেন, বিদ্যমান সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখতে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। আমরা আশা করছি, এই গ্রীষ্মকালে বিদ্যমান সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

বিপিডিবি চেয়ারম্যান বলেন, বিদ্যমান বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো গড়ে ১৪,০০০-১৪,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, যেখানে দৈনিক চাহিদা আনুমানিক ১৫,০০০ মেগাওয়াট ।

তিনি বলেন, সর্বোচ্চ চাহিদা ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বলে অনুমান করা হয়েছে, যেখানে ২০২৪ সালে সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট।

বিপিডিবির তথ্য অনুসারে, শনিবার দেশে ১১ হাজার ৯৭১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে, যেখানে চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৪৫১ মেগাওয়াট। রবিবার কর্মদিবস হওয়ায় চাহিদা প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিপিডিবি সূত্র জানিয়েছে, গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের ঘাটতি ৭৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত থাকবে। তবে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। সূত্র এও জানিয়েছে, কারিগরি সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে।

বিপিডিবি গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে, যেখানে সর্বোচ্চ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৭ হাজার ২৬০ মেগাওয়াট। এছাড়া সরকার গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সংগ্রহ করছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

জ্বালানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ও দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে গত ১৭ এপ্রিল সরকার আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

এর আগে মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের মেসার্স এক্সেলেরেট এনার্জি, এলপি থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এভাবে সরকার প্রায়ই এলএনজি সংগ্রহ করে থাকে। অন্যদিকে জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এলএনজি নিয়ে কাতার ও ওমানের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি রয়েছে।

সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, গ্রীষ্মকালে লোডশেডিং কমাতে সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। গ্রীষ্মকালে সারা দেশে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সরকার কিছু নির্দেশনা দিয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে সরকারি অফিস, ব্যাংক, বাড়ি ও মসজিদে এয়ার কন্ডিশনারের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা উচিত নয়। যদি এটি বজায় রাখা যায়, তাহলে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। শীতকালের তুলনায় গ্রীষ্মকালে জাতীয় বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকে।

লোডশেডিং সম্পর্কে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, সরবরাহ ও চাহিদায় অমিলের কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। কিন্তু যদি ট্রান্সফরমারটি বিকল হয়ে যায় অথবা ঝড় ও বৃষ্টিপাতের কারণে কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দেয়, তাহলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।


আরও খবর



২৯ এপ্রিল থেকে হজের ফ্লাইট শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

পবিত্র হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল)। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন বাংলাদেশি পবিত্র হজ পালনে ঢাকা থেকে সৌদি আরব যাবেন।

ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টার দফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ফ্লাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। ওইদিন রাত ২টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪১৯ জন হজযাত্রীর প্রথম দলটি সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হবে।

হজ ব্যবস্থাপনাকে সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন করতে সরকারিভাবে ১১২ জন এবং বেসরকারিভাবে ১ হাজার ৭৪৩ জন গাইড হজযাত্রীদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন। এছাড়াও, ৭০ জন মোয়াল্লেম হজযাত্রীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেবেন।

হাজিদের পরিবহনের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, সাউদিয়া এবং নাস এয়ারলাইনস প্রস্তুত রয়েছে। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত হজের ফ্লাইট চলবে। ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন এবং শেষ হবে ১০ জুলাই।

এ বছর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ১১৮টি, সাউদিয়া ৮০টি এবং নাস এয়ারলাইনস ৩৪টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা হলো আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা। আগামী ৯ জিলহজ (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৫ সালের ৫ জুন) মসজিদে নামিরা থেকে এই খুতবা প্রদান করা হবে। বরাবরের মতো এবারও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে এই খুতবা। বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে, খুতবার তাৎক্ষণিক অনুবাদ করা হবে ২০টি বিভিন্ন ভাষায়, যার মধ্যে বাংলাও রয়েছে।

অনুবাদ করা ভাষাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - বাংলা, ফরাসি, মালয়, উর্দু, ফারসি, চীনা, তুর্কি, রাশিয়ান, হাউসা, ইংরেজি, সুইডিশ, স্প্যানিশ, সোয়াহিলি, আমহারিক, ইতালিয়ান, পর্তুগিজ, বসনিয়ান, মালায়লাম, ফিলিপিনো এবং জার্মান।

উল্লেখ্য, ১৪৪৬ হিজরির ৯ জিলহজ, যা ২০২৫ সালের ৫ জুন (চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল) তারিখে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর