Logo
শিরোনাম

বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মুন্সী (বীর প্রতীক) আর নেই

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের চন্দ্রাবাজ এলাকার বাসিন্দা খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মুন্সী বীর প্রতীক (৮০) ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার রাতে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মুন্সী বীর প্রতীক বকশীগঞ্জের চন্দ্রাবাজ এলাকায় জন্ম গ্রহন করেন। যুদ্ধ পরবর্তীকালে তিনি পাশ্ববর্তী শেরপুর জেলার শ্রীবরদী পৌর শহরে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ন সাহসী ভূমিকা রাখায় তাকে বীর প্রতীক উপাধি দেয়া হয়। তিনি দুইবার বীর প্রতীক উপাধি লাভ করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মুন্সী দীর্ঘদিন যাবত ডায়াবেটিস ও কিডনি সমস্যাসহ নানা রোগে ভোগছিলেন। রোববার রাতে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ সোমবার সকাল ১১ টায় চন্দ্রবাজ রশিদা বেগম স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ও দুপুর আড়াইটায় শ্রীবরদী সরকারি কলেজ মাঠে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে। 

তার মৃত্যুতে সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ এমপি,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রউফ তালুকদার,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা,পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর, জেলা পরিষদ সদস্য জয়নাল আবেদীন, বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহীনা বেগম,সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বাবুল তালুকদার,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন,চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ও বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম শাহীন আল আমীনসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেধনা জানিয়েছেন।


আরও খবর



বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আহবান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলমের আহ্বান   

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম গত মঙ্গলবার লন্ডনে প্রথবারের মতো বাংলাদেশ হাই কমিশন আয়োজিত রেমিট্যান্স মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশে প্রবাসিদের প্রেরিত অর্থ সুরক্ষিত থাকবে এবং এই অর্থ থেকে সরকারি প্রণোদনাসহ সঞ্চয় ও বিনিয়োগের মাধ্যমের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি মুনাফা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।”

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, “বাংলাদেশে অর্থ পাঠানো ঝুঁকিপূর্ণ বলে কোন কোন মহল বিভিন্ন মাধ্যমে ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে কোনো ঝুঁকির মধ্যে নেই। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা উল্লেখ করে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩১তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলা করে বাংলাদেশ এখনো বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে তার অবস্থান বজায় রেখেছে।” 

কোন ধরনের অপ্রপচারে বিভ্রান্ত না হয়ে বৈধ পথে বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তিনি প্রবাসিদের আহ্বান জানান এবং চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে রেজিট্রেশন করে বৈধ পথে যুক্তরাজ্য থেকে অর্থ প্রেরণের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “বর্তমানে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ। ব্রিটিশ-বাংলাদেশিরা বৈধ উপায়ে আরো বেশি অর্থ দেশে পাঠালে এই অবস্থান ভবিষ্যতে উন্নীত হতে পারে।”

অনুষ্ঠানে রেমিটেন্স প্রেরণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনাসহ উৎসাহব্যঞ্জক পদক্ষেপ গ্রহণের বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করলে প্রতিমন্ত্রী এসব বিবেচনার আশ্বাস প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে যুক্তরাজ্যে সোনালী ব্যাংক চালু করেছিলেন। তারই ভিত্তিতে পরবর্তীতে যুক্তরাজ্য থেকে বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠানোর সূচনা হয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতি অনুসরণ করে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেমিট্যান্স প্রেরণের জন্য ২.৫% প্রণোদনা ও সিআইপি মর্যাদাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবাসীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।”

হাইকমিশনার আশা করেন রেমিটেন্স মেলা প্রবাসিদের বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণে আরো উৎসাহিত করবে। তিনি ব্রিটিশ-বাংলাদেশিরা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে আজ পর্যন্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ায় যে বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছেন তার প্রশংসা করে বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রেরণের মাধ্যমে তাদের এই গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে পূর্ব লন্ডনে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডনের এই বিশেষ মেলায় রেমিটেন্স প্রেরণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। মেলায় যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী প্রধান ১৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়ে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরনের সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা সম্পর্কে মেলায় আগত দর্শকদের অবহিত  করে। মেলা উপলক্ষে ফি ছাড়া এবং বিশেষ মুদ্রা বিনিময় হারে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়। মেলায় বিপুলসংখ্যক ব্রিটিশ-বাংলাদেশি অংশ নেন এবং অনেকেই মেলা থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রেমিটেন্স বাংলাদেশে পাঠান। মেলায় বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোর ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাস মার্চে আয়োজিত এই মেলায় ব্রিটিশ-বাংলাদেশী শিল্পীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে একটি বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩




হোয়াইট হাউস বিতর্ক প্রতিযোগিতা সেরা বিতার্কিক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী রাকিব

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

মোস্তাফিজুর রহমান বকুল, পার্বতীপুর (দিনাজপুর)

হোয়াইট হাউসে মার্কিন সরকার কর্তৃক আয়োজীত সংসদীয় বিতর্কে অতিতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে টানা ১৪৪টি বিতর্কে জিতে সেরা বিতার্কিক হয়েছেন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী শাহ মুহাম্মদ রাকিব হাসান। তিনি মেধায় মার্কিনীসহ প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারী ৭৩ দেশের প্রতিযোগীদের রীতিমত অবাক করে দিয়ে হোয়াইট হাউস রেকর্ড বুকে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছেন। শাহ মুহাম্মদ রাকিব হাসান রংপুর পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

‘বিশ্বের ভবিষ্যত নেতাদের খোঁজা’ শীর্ষক ‘হোয়াইট হাউজ আন্তর্জাতিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৩’ গত ২৭ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত অনলাইনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। মার্কিন সরকার কর্তৃক আয়োজিত সংসদীয় এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এবছর সারা বিশ্বের ৭৩ দেশের ৫৩৪ জন বিতার্কিক অংশগ্রহণ করে। তারা খুব উদ্যমী হয়েই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন। বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফলাফল গত ১৭ মার্চ  হোয়াইট হাউসে প্রকাশিত হয়। মার্কিন সরকার প্রতিবছর একটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি বা এশিয়ান পার্লামেন্টারি বিতর্কের আয়োজন করে থাকেন।

এতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে রাশিয়ান ফেডারেশন, ১ম রানার আপ হয়েছে কিংডম অফ নেদারল্যান্ডস, ২য় রানার আপ হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফাইনালের সেরা বক্তা হল্যান্ড লোপ মিশিগান (রাশিয়ান ফেডারেশন)।

টুর্নামেন্টের সেরা বিতার্কিক হয়েছে শাহ মুহাম্মদ রাকিব হাসান (গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ)। আগামী মঙ্গলবার (২৮শে মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় ওয়াশিংটন হোয়াইট হাউস সাউথ কোর্ট অডিটোরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার বিরতণ করা হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং বিশেষ অতিথি থাকবেন জেফ জায়েন্টস। তবে পাসপোর্ট না থাকায় রাকিব সরাসরি পুরষ্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারছেন না।

উল্লেখ্য, শাহ মুহাম্মদ রাকিব হাসান টানা ১৪৪টি বিতর্কে জিতে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গেছেন এবং হোয়াইট হাউস রেকর্ড বুকে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এর আগে সর্বশেষ রেকর্ড করেছিলেন লুই অ্যান্ডারসন। তিনি টানা ১৩৯ বিতর্কে জয়লাভ করেছিলেন।

১৭ বছর বয়সী শাহ মোহাম্মদ রাকিব হাসান রংপুর পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। রংপুর শহরের লালকুঠি এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছেন রাকিব। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার রামরায়পুর গ্রামে। তার বাবা শাহ মোঃ আবু সায়েম পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং মা মোছাঃ রোকেয়া বেগম একজন গৃহিণী। রাকিব জন্মের পর থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। ছেলের সাফল্যে গর্বিত মা-বাবা রাকিবের জন্য দেশ বিদেশের সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।

ইতিপূর্বে রাকিব জাতীয় যুব পার্লামেট-২০২২ ১ম রানার আপ জাতীয় বিতর্ক-২০১৯ বিজয়ী, বঙ্গবন্ধু জাতীয় মেধা অন্বেষণ ২০২২ রংপুর মহানগর পর্যায় প্রথম (সেরা মধাবী), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মডেল ইউনাইটেট নেশনস-২০২৩ ভারবাল মেনশন এওয়ার্ড, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনাইটট নেশনস-২০২৩ ভারবাল মেনশন এওয়ার্ড-২০২২, স্পেশাল মেনশন এওয়ার্ড নটর ডেম কলেজ মডেল ইউনাইটট নেশনস-২০২৩ ভারবাল মেনশন এওয়ার্ড অর্জনের কৃতিত্ব দেখিয়ছে। 


আরও খবর



র‍্যাবের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক সহ এক যুবক আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় র‍্যাবের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক সহ একজন যুবক আটক।

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার মোল্লাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১টি ওয়ান শুটারগান ও ২৯ গ্রাম হেরোইন সহ মোঃ মাসুদ করিম (২৫) নামের ঐ যুবককে আটক করেছেন র‍্যাব।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্প থেকে জানানো হয়,

র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ মোস্তফা জামান এর নেতৃতে শুক্রবার পূর্বরাত আড়াই টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে পত্নীতলা উপজেলার

মোল্লাপাড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদ এর যুবক ছেলে মাসুদ করিমকে অস্ত্র ও মাদক সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

র‍্যাব আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত যুবক মোল্লাপাড়া এলাকার একজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। সে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজনের উপর তার আধিপত্য বিস্তার করতো।

এব্যাপারে নওগাঁর পত্নীতলা থানায় অস্ত্র আইন-১৮৭৮ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুসারে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন র‍্যাব।


আরও খবর



চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি অস্কার :যাদের হাতে গেল

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

৯৫তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের আসর বসেছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে। চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি অস্কার পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা শুরু হয়েছে।


বেস্ট ডকুমেন্টারি শর্ট ফিল্ম


এবারের আসরে ভারতের হয়ে প্রথম অস্কার পেল দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স। সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র বিভাগে মনোয়ন পেয়েছিল গুনিত মোঙ্গা প্রযোজিত তামিল ভাষার এই ছবি।


অস্কারে সেরা অ্যানিমেটেড ছবি


এ বছর অস্কার আসরে সেরা অ্যানিমেটেড ছবির পুরস্কার পেয়েছে মেক্সিকান ছবি নির্মাতা গুইলারমো দেল তোরোর অ্যানিমেশন ছবি পিনোচ্চিও।


সেরা পার্শ্ব অভিনেতা


এ বছর অস্কার আসরে সেরা পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন ভিয়েতানিমিজ-আমেরিকান অভিনেতা কে হুই কুয়ান। এবারই প্রথমবারের মতো অস্কারের জন্য মনোনিত হয়েছিলেন তিনি। এভরিথিং এভরিহোয়ার অল এট ওয়ান্স ছবিতে অসাধারণ অভিনয়ের স্বীকৃতি এ পুরস্কার।


সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী


এভরিথিং এভরিহোয়ার অল এট ওয়ান্স ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করার সুবাদে এ বছর সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন জেমি লি কোর্তোয়া। এ ছবিটির অভিনেতা কে হুই কুয়ান সেরা পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার জিতে নেন। এর মাধ্যমে সেরা পার্শ্ব অভিনেতা এবং অভিনেত্রী দুটি পুরস্কারই পেলেন একই ছবিতে কাজ করা দুই শিল্পী।


স্বল্প দৈর্ঘ্যের সেরা লাইভ অ্যাকশন


এ ক্যাটাগরিতে এবার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন টম ব্রাকলে এবং রস হোয়াইটের স্বল্পদৈর্ঘ্যর ছবি অ্যান আইরিশ গুডবাই


সেরা সিনেমাটোগ্রাফি


সেরা সিনেমাটোগ্রাফির পুরস্কার জিতেছে অল কুয়াইট অন দ্য ওয়েস্টান ফ্রন্ট। ১৯২৯ সালে এরিখ মারিয়া যুদ্ধবিরোধী এ বিখ্যাত উপন্যাসটি লিখেন। এর ওপর সিনেমাটোগ্রাফি তৈরি করেছেন জেমস ফ্রেন্ড। এই উপন্যাস এবং সিনেমোটাগ্রাফিটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার ওপর লেখা ও তৈরি করা হয়েছে।


সেরা মেকাপ আর্টিস্ট


দ্য হোয়াল ছবিতে অসাধারণ কাজ করার সুবাদে সেরা মেকাপ আর্টিস্টের পুরস্কার জিতেছেন আদ্রিয়েন মোরোট, জুডি চিন এবং অ্যান্নিমারি ব্র্যাডলি।


দ্য হোয়াল ছবিতে অভিনেতা ব্র্যান্ডস জেমস ফ্রেসার একজন ইংরেজি শিক্ষকের অভিনয় করেন। তাকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে মেকাপ আর্টিস্টরা কঠোর পরিশ্রম করেন।


সেরা আন্তর্জাতিক ছবি


৯৫তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে দ্বিতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছেন অল কুয়াইট অন দ্য ওয়েস্টান ফ্রন্ট ছবিটি। সেরা সিনেমাটোগ্রাফির পর এটি সেরা আন্তর্জাতিক ছবির খেতাব জিতে নিয়েছে।


সেরা এনিমেটেড শর্ট ফিল্ম

দ্য বয়, দ্য মোল, দ্য ফক্স এন্ড দ্য হর্স নামের এনিমেশন ছবি জিতেছে সেরা এনিমেটেড শর্ট ফিল্মের পুরস্কার। ছবিটি তৈরি করেছেন চার্লি ম্যাকাসি এবং ম্যাথু ফ্রিউড।


আরও খবর

মা হলেন মাহিয়া মাহি

বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩

শাকিবকে বাঁচাতে মরিয়া অপু-বুবলী

মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩




বিশ্ব জলবায়ুর নেতিবাচক আচরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আগামীর বাংলাদেশে ব্যাপক অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, অসময়ে প্রবল বন্যা, মরুময়তা, ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপ, খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্র্যোগের সম্ভাবনা ইতোমধ্যে লক্ষ করা গেছে। সম্প্রতি আমাজনের জঙ্গলের তীব্র আগুন এবং বাহামা দ্বীপপুঞ্জে প্রবল ঘূর্ণিঝড় বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাবের প্রমাণ। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশগত সমস্যা পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে প্রকট।

 

ভৌগোলিক অবস্থান, ঘন জনবসতি, জীবিকার জন্য প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীলতা এবং দারিদ্র্যসহ নানা কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্বের বিচারে দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা, পূর্বাঞ্চলের হাওর-বাঁওড়, উত্তরাঞ্চলের খরাপ্রবণ এলাকা বিশ্বের সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ।


জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতেও শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ হিসেবেও বাংলাদেশের নাম রয়েছে সর্বাগ্রে। ভূ-গর্ভ থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের ফলে পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের তথ্যানুসারে, ঢাকা শহরের পানির স্তর বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭০ ফুটের অধিক নিচে। বিগত ৫০ বছরে ধ্বংস হয়ে গেছে বাংলাদেশের ৫২০টি নদী। এক আন্তর্জাতিক গবেষণার তথ্য মতে, ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। জলবায়ুর আমূল পরিবর্তনের কারণে বন্যা ও খরার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। উত্তাপ বাড়ার কারণে হিমবাহের গলন আরও বাড়বে। হিমালয় অঞ্চলে তৈরি হবে অসংখ্য হিমবাহ লেক।

এসব লেকে বিস্ফোরণ হলে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ব-দ্বীপ বাংলাদেশ, এখানে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিজনিত বিভিন্ন হুমকি ও চ্যালেঞ্জের ঝুঁকি অধিক। সেক্ষেত্রে জলবায়ুর চরমভাবাপন্ন বৈরী আচরণ এবং পরিবেশের অবনমন টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে চ্যালেঞ্জস্বরূপ।

জলবায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্যানেলের (আইপিসি) সম্প্রতি রিপোর্টে উল্লিখিত জাতিসংঘের বিজ্ঞানীদের একটি প্যানেল হুঁশিয়ার করেছে, মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের পরিণতিতে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে দ্রুত সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে এবং প্রতিনিয়ত বরফ গলছে। মেরু অঞ্চলের বরফের আচ্ছাদন বিলীন হওয়ার কারণে কার্বণ নিঃসরণের মাত্রাও বেড়ে চলছে। বিভিন্ন জীবজন্তুর আবাসস্থল বদলাচ্ছে। এই শতকের শেষ ভাগে যদি বিশ্বের তাপমাত্রা ১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায় তবে তার পরিণতি কী হতে পারে সে বিষয়ে বিজ্ঞানীরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ভীতিকর দিক হচ্ছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সমুদ্র এবং বরফে আচ্ছাদিত অঞ্চলের বরফ দ্রুত গলার ফলে প্রাণিজগতের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মানুষের নানা কর্মকাণ্ডে পরিবেশে যে বাড়তি তাপ তৈরি হচ্ছে তার ৯০ শতাংশই শুষে নেয় সাগর। ১৯৯৩ সাল থেকে শুষে নেওয়ার এই মাত্রা দ্বিগুণ বেড়েছে। একই সঙ্গে গলছে অ্যান্টার্কটিকা এবং গ্রিনল্যান্ডের বরফও। দেখা গেছে, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যে হারে অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলছে তা তার আগের ১০ বছরের তুলনায় তিনগুণ।

জানা যায়, সারা বিশ্বে ১ লাখ ৭০ হাজার হিমবাহ রয়েছে, যা পৃথিবীর ৭ লাখ ৩০ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে বিদ্যমান। এ থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার ৭ সেন্টিমিটার। বিশেষ করে, আন্দিজ, মধ্য ইউরোপ ও উত্তর এশিয়ায় যেসব হিমবাহ রয়েছে, সেগুলোর বরফ ২১০০ সাল নাগাদ ৮০ শতাংশ গলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এসব বরফগলা পানি গিয়ে পড়বে সাগরে। ফলে সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমেয়। আইপিসির শেষ রিপোর্টে জানা যায়, সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা ১.১ মিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে যা আগের ধারণার চেয়ে ১০ সেন্টিমিটার অধিক। আর তা হলে মারাত্মক পরিবেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বিশ্বের এক ডজনের বেশি বড় বড় শহর। পরিবেশবাদীদের আশঙ্কা, সাগরের উচ্চতা বাড়লে নিচু উপকূলীয় এলাকার ৭০ কোটি মানুষ বিপদে পড়বে। সাগরের তাপমাত্রা বাড়লে আবহাওয়াও দিন দিন বিরূপ আচরণ শুরু করবে।

জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়ও বেড়ে যাবে। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের বেশকিছু জায়গায় বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও করছেন বিজ্ঞানীরা। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি নেই স্থলভাগের খুব ভেতরের বসবাসরত মানুষগুলোর। বন্যায় ক্ষতির মাত্রা বেড়ে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হয়ে যেতে পারে। সাগরের ৯০ শতাংশ প্রবাল বিলীন হতে পারে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে। মাছের শরীরে পারদের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, জলজ প্রাণীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বাড়তি তাপ। সাগরের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখতে রয়েছে বেশকিছু করণীয়। তার জন্য কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমপক্ষে ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে ২০৩০ সালের মধ্যে।

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি নিশ্চিতকরণের জন্য জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, কার্বন নিঃসরণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানোর কোনো উদ্যোগ লক্ষ করা যায়নি। অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ বন্ধে এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিতে অর্থ বরাদ্দে আজও তেমন সাফল্য অর্জিত হয়নি। আইনি কাঠামো বাস্তবায়নে তেমন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্যে আসেনি অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো। অথচ প্যারিস সম্মেলনে ২০১৫ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না বাড়ার বাধ্যতামূলক চুক্তিরও সিদ্ধান্ত ছিল।

এ ছাড়াও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রতিরোধে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার লক্ষ্য নির্ধারণে ধনী দেশগুলো ২০২০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ শতকরা ৪০ ভাগ কমিয়ে আনার কথা ছিল। চুক্তিতে আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে এনে কোপেনহেগেন গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড গঠনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব উদ্যোগ উষ্ণায়ন রোধে তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখেনি। সেই চুক্তির ফলে কার্বন নির্গমন ২০৫০ সালের মধ্যে কার্যত শূন্যে নামিয়ে বিভিন্ন দেশকে এই মুহূর্তে কার্বন নির্গমন ব্যাপক হারে কমানো জরুরি হয়ে পড়েছে। কার্বন নিঃসরণ কার্যকরভাবে বন্ধ বা হ্রাস করা সম্ভব না হলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বর্তমান শতাব্দীতে তীব্রতর হতে থাকবে।
 
ভবিষ্যতে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং যেসব অঞ্চলে পর্যাপ্ত ক্ষতি হয়েছে সেখানে অভিযোজন ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসতে হবে ।

প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অভিযোজন প্রক্রিয়ায় এবং বিকল্প জ্বালানির সন্ধানে সহায়তার লক্ষ্যে উন্নত বা তুলনামূলক ধনী দেশ ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা এবং এই অর্থের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির যে প্রস্তাব রয়েছে তা বাস্তবায়ন আবশ্যক। বর্তমান জ্বালানি ব্যবস্থার কাক্সিক্ষত পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে জ্বালানি সংরক্ষণ, গতানুগতিক জ্বালানি চাহিদা হ্রাস, বিদ্যমান যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি দক্ষতার উন্নয়ন, জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার জোরদার করাও জরুরি। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধ নিশ্চিত করে সামষ্টিক উন্নয়নে সাহায্য-সহযোগিতা বিনিময়, উন্নত বিশ্বের কার্বন নিঃসরণ, জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ন্ত্রণসহ পরিবেশবান্ধব টেকসই উন্নয়ন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।

 বাংলাদেশে খরাসহিষ্ণু কৃষিপণ্য উৎপাদন, আধুনিক পদ্ধতিতে শস্য ও বীজ সংরক্ষণসহ কৃষিজমি রক্ষার্থে বনভূমি উজাড়, জলাধার ভরাট বন্ধ করা ভিন্ন কোনো বিকল্প নেই। ব-দ্বীপ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য প্রকল্পিত দীর্ঘ মেয়াদি ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০, নীতি এবং অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ডেল্টা ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্রোচ গ্রহণ পরিবেশের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে হবে।

চরম ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ। জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা মানুগুলোকে বাঁচাতে না পারলে বিশ্বসভ্যতাই হুমকির মুখে পড়বে। ইন্টারন্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টারের হিসাব অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত ৬ বছরে বাংলাদেশের ৫৭ লাখ মানুষ গৃহহারা হয়েছে। ঢাকার বস্তি এলাকায় বাসবাসকারীদের প্রায় ৭০ শতাংশ পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে স্থানান্তরিত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমও। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের সম্মুখীন হন বাংলাদেশের নারীরা।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের ৮০ শতাংশই নারী। জলবায়ু, খাদ্য উৎপাদন ও নারী- তিনটি একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯ জেলাধীন ১৪৭ উপজেলায় ২০১১ সালের আদমশুমারির ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের মধ্যে ৪৯ শতাংশ নারী। নিমজ্জিত নিম্নাঞ্চলে লবণাক্ত পানি বৃদ্ধির কারণে সেখানে বসবাসরত জনগোষ্ঠী পরিবেশগত, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্যগতসহ জীবন-জীবিকাজনিত নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন। ফলে ঘটছে তাদের পেশার পরিবর্তন। কর্মস্থানের খোঁজে ত্যাগ করছে পুরান আবাসভূমি। বাড়ছে কর্মস্থানহীনতা, পরিবর্তন হচ্ছে তাদের জীবন ও জীবিকা এবং পেশার ধরন।

আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ২০১৫ সালে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) রোডম্যাপ চূড়ান্ত করে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারী ও শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নারী ও শিশুর সামাজিক সুরক্ষাকরণ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ।


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩