Logo
শিরোনাম
গজারিয়ার ভাটেরচর দেওয়ান আব্দুল মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়

বেঞ্চে বসা নিয়ে সংঘর্ষ: ২শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল: গজারিয়ার ভাটেরচর দেওয়ান আব্দুল মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ে মারামারির ঘটনায় নবম শ্রেণির ২ শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে স্কুল পরিচালনা কমিটি।

ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এক জরুরি সভায় সর্বসম্মতভাবে রায়হান ও ইমন নামের ২ ছাত্রকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান শিকদার।

স্কুল সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্থানীয় আনারপুরা গ্রামের রায়হান ও ইমন বহিরাগতদের সহায়তায় তাহিন (১৬), জোবায়ের (১৫), মো. আবদুল্লাহ (১৫) ও সাইফুল ইসলাম (১৭) নামের ৪ শিক্ষার্থীকে মারধর করে আহত করে। আহতদের গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রোববার ক্লাস রুমে দুইদল ছাত্রের মধ্যে কথাকাটাকাটির জের ধরে এই ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে আহত এক ছাত্রের মা গজারিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

উল্লেখ্য গতকাল ২০,০৪,২০২৫  রোববার বেঞ্চে বসাকে ঘটনা কেন্দ্র করে উক্ত বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ জন আহত হয়েছেন। আহত ৫ ছাত্রকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এ ঘটনা গজারিয়া থানায় দু'পক্ষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের ভাটেরচর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- তাহিন (১৬), জোবায়ের (১৫), মো. আবদুল্লাহ (১৫) ও সাইফুল ইসলাম (১৭) । এরা সকলেই বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. সাঈদ মিয়া ভবেরচর ইউনিয়নের আনারপুরা গ্রামের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভাটেরচর দেওয়ান আব্দুল মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্থানীয় আনারপুরা ও বড়ইকান্দী ভাটেরচর গ্রামের বাসিন্দা দুইদল ছাত্রের মধ্যে গতকাল রোববার বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে টেবিলে বসা ও শুয়ে থাকা নিয়ে কথাকাটি হয়। ওই ঘটনার জের ধরে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আনারপুরা গ্রামের কয়েকজন শিক্ষার্থী বহিরাগতদের সহযোগিতায় বড়ইকান্দী ভাটেরচর গ্রামের বাসিন্দা ৪ ছাত্রকে হকিস্টিক ও কাঠের ডাসা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।

আহত শিক্ষার্থী মো. সাঈদ জানান, সে ক্লাসের বেঞ্চে শুয়ে ছিলো, আমি তাকে উঠতে বললে সে আমাকে বকাঝকা শুরু করে। তাদের গ্রামে স্কুল সে কারণে এরা দূর এলাকার ছাত্রদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার আলম আজাদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দুইপক্ষই অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



সাগর-রুনি হত্যার তদন্তে সময় বাড়লো আরো ৬ মাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

১৩ বছর ধরে ঝুলে থাকা সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে টাস্কফোর্সকে আরো ছয় মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্টমঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আরশাদুর রউফ তদন্ত শেষ করতে ৯ মাস সময় চান।

তিনি আদালতে বলেন, তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে। আরো সময় দরকার। ৫ আগস্টে ডিবি অফিসে আগুন দেওয়া হয়। তখন অনেক রেকর্ড পুড়ে গেছে।

শুনানি শেষে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ তদন্ত শেষ করতে ছয় মাস সময় দেন।

তদন্তের গোপনীয়তার কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ এদিন অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেনি।

মামলার বাদী পক্ষের কৌঁসুলি মো. শিশির মনির বলেন, বারবার সময় নেওয়া হলে জনমনে খারাপ ধারণার জন্ম দেয়। আমরা বলেছিলাম তিন মাস সময় দেওয়া হোক। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ছয় মাস সময় দেন।

এদিকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল নথি পোড়ার কথা বলায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এই প্রেক্ষাপটে টাস্কফোর্সের অধীনে মামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা পিবিআই একটি বিবৃতি দিয়েছে।

সেখানে বলা হয়, কেউ কেউ ডিবির নথি পুড়ে যাওয়ার নিউজ করছেন তা সঠিক নয়। আগুনে পুড়ে যাওয়ার কথা বলা হয় নাই। অ্যাডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদ রউফ বলেছেন, ডিবির অধিকাংশ অফিসার বদলি হওয়ায় পুরোনো নথি ও ডকুমেন্টস খুঁজে পাওয়া সময় সাপেক্ষ।



আরও খবর



দাবানলে পুড়েই চলছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ইসরায়েলের জেরুজালেমে লাগা দাবানল কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। ফলে একরের পর একর বনাঞ্চল পুড়েই যাচ্ছে। ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যার পর দাবানলের তীব্রতা আরও ছড়িয়ে পড়ে। খবর টাইমস অব ইসরায়েল

ইসরায়েলের ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ফায়ার ফাইটারের ১৬৩ জনের একটি দল স্থল থেকে এবং আকাশ থেকে ১২টি বিমান আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। কিন্ত তাতে তেমন কোনো কাজ হয়নি, বরং জেরুজালেমের একাধিক স্থানে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে- লাটরান, নেভে শালম এবং এসটাওলে। এ ছাড়াও মেভো হারোন, বার্মা রোডের বেইত মেইর, মেসিলাত জিওন এবং শাহার গাহাই গ্যাস স্টেশনের কাছেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।

দাবানলে ফলে ডজনখানেক মানুষ আহত হয়েছেন। তবে তাদের কারো অবস্থা গুরুতর নয়। দাবানলের ফলে ২ হাজার ৯০০ এক এলাকা পুড়ে গেছে।

সরিয়ে নেয়া এস্টাওল সম্প্রদায়ের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল সন্ধ্যায় জেরুজালেম জেলার ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিসের কমান্ডার শমুলিক ফ্রিডম্যান সতর্ক করে বলেছেন, জেরুজালেম পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়া আগুন সম্ভবত ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হতে পারে। আগুন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বেইত শেমেশের কাছে মেসিলাত সিয়োন এলাকার নিকটবর্তী স্থান থেকে দাবানল শুরু হয় এবং প্রবল বাতাসের কারণে দ্রুত এটি পশ্চিম দিকে ছড়িয়ে পড়ে, পরে দিক পরিবর্তন করে পূর্বমুখী হয়ে যায়।

শমুলিক বলেন, আগুনের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। কারণ বাতাসের গতিবেগ বেড়েই চলছে। যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কী কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে সে বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই। আগুণের কারণ খুঁজতে আমরা এখনও কাজ শুরু করিনি।

তবে ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত জানিয়েছে, কিছু এলাকায় ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগানো হতে পারে। যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

চলতি অর্থবছরের (২৪-২৫) জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মাসের দেশভিত্তিক রপ্তানি তথ্য থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

জানা গেছে, এই সময়ে ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যা পোশাক খাতের স্থিতিস্থাপকতা এবং সম্ভাবনা তুলে ধরে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

তথ্য থেকে জানা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানির ৪৯ দশমিক ৮২ শতাংশই রপ্তানি হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নে। যার মোট বাজার মূল্য ১৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

এরপরেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার। এ বাজারে মোট রপ্তানি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। যা মোট রফতানির ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। যেখানে কানাডার মোট বাজার অংশ ছিল ৯৬৩ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলার। যার বাজার অংশ ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের বাজারও গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যার রপ্তানি মূল্য ৩ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ১১ দশমিক ১০ শতাংশ ।

প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ইইউতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বছরের পর বছর ধরে উল্লেখযোগ্যভাবে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখিত সময়ে যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৭ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং কানাডা ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ এর একটি সামান্য প্রবৃদ্ধির হার প্রদর্শন করেছে।

ইইউর মধ্যে, জার্মানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, স্পেন ২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ফ্রান্স ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ইতালি ১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার, পোল্যান্ড ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার এবং নেদারল্যান্ডস ১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার।

প্রবৃদ্ধির হার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল- জার্মানি (১০ দশমিক ৭২ শতাংশ), ফ্রান্স (১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ), নেদারল্যান্ডস (২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ), পোল্যান্ড (১০ দশমিক ৩২ শতাংশ), ডেনমার্ক (১২ দশমিক ৮০ শতাংশ) এবং সুইডেন (১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ) ।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতেও অপ্রচলিত বাজারে প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে মোট রফতানি ৫ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশের মোট রফতানির ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ দখল করেছে।

এই বাজারগুলোর মধ্যে জাপান মোট ৯৬০ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে শীর্ষে রয়েছে, তারপরে অস্ট্রেলিয়া ৬৫৩ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন ডলার এবং ভারত ৫৩৫ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে।

তুরস্ক এবং মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতেও উল্লেখযোগ্য রফতানি হয়েছে। তুরস্কে ৩৫৭ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার এবং মেক্সিকোতে ২৫১ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার, যা প্রশংসনীয়। উল্লেখিত সময়ে ভারতে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, জাপান ১০ দশমিক ০৬ শতাংশ, মেক্সিকো ২৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং তুরস্কের ৩২ দশমিক ৫৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

রিপোর্টে দেখা গেছে, এই সময়কালে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, তুরস্ক এবং মেক্সিকোতে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক থাকলেও রাশিয়া, কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মালয়েশিয়ায় রফতানি হ্রাস পেয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া এবং কোরিয়ায় নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি এই বাজারগুলোতে আরও গুরুত্বসহকারে রফতানি বাজার দেখা দরকার।

নিটওয়্যার খাত মোট ১১ দশমিক ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। ওভেন সেক্টরেও ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রবৃদ্ধি ধীর হলেও অপ্রচলিত বাজারে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পয়েছে।

রফতানির চলমান প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল। যা বাংলাদেশের প্রধান বাজার হিসেবে অব্যাহত রয়েছে। যা এই ক্ষেত্রগুলির মধ্যে আরও সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।

বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘এটি আমাদের মোট রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ঐতিহ্যবাহী বাজারের তাৎপর্য প্রদর্শন করে।’ তিনি আরও বলেন, অপ্রচলিত বাজারে মাঝারি প্রবৃদ্ধি এই বিভাগে আরও গবেষণা এবং মনোযোগের গুরুত্বকে তুলে ধরে, কারণ এর যথেষ্ট প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, যা ঐতিহ্যবাহী বাজারের ওপর নির্ভরতা ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করবে।

রুবেল বলেন, স্থায়ী বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা ক্রমাগত বৈশ্বিক পরিবেশকে পুনর্গঠন করছে। এমন সুযোগ তৈরি করছে যা বাংলাদেশ সুবিধা নিতে পারে।

সূত্র : বাসস


আরও খবর



পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ওয়াক্ফ আইন ঘিরে অতি সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে যে সহিংসতা ঘটল, তা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মনে করে ভারত। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম গত ৮ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

শফিকুল আলমের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজ শুক্রবারের বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনায় বাংলাদেশের তরফ থেকে যে বক্তব্য এসেছে, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।”

“বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চলমান নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সাথে তুলনা করার জন্য এটি একটি ছদ্মবেশী এবং ছলনাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যেখানে এই ধরনের অপরাধের জন্য দায়ীরা এখনও মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অযৌক্তিক মন্তব্য করা এবং সদ্গুণের পরামর্শ প্রদানের পরিবর্তে বাংলাদেশ যদি তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করে, তাহলে আরও ভাল করবে।”

গত ২ এপ্রিল গভীর রাতে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভা এবং পরের দিন উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাস হয় ‘সংশোধিত ওয়াক্ফ বিল, ২০২৫’। তারপর ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে আইনে পরিণত হয় সেই বিল এবং ৮ এপ্রিল তা কার্যকর হয়।

এদিকে আইন কার্যকর হওয়ার পরপরই ভারতের রাজধানী দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুরসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু করেন মুসলিমরা ও বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এই বিক্ষোভকে ঘিরে আক্ষরিক অর্থেই রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদীয়াসহ বিভিন্ন জেলা। পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘাতে মুর্শিদাবাদে ৩ জন সংবাদও পাওয়া গেছে এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ২ শতাধিক বিক্ষোভকারী। তবে বর্তমানে মুর্শিদাবাদ ও অন্যান্য জেলার অবস্থা শান্ত।

আইন স্থগিতের দাবিতে ইতমধ্যে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি সঞ্জিব খান্নার বেঞ্চে বুধবার মামলার ওপর শুনানিও শুরু হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হওয়ার দিনই আইনটির কার্যকর হওয়ার সময় পিছিয়ে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।


আরও খবর



৩৩টি লেকের পাড়ে সবুজায়ন কার্যক্রম শুরু আগামী সপ্তাহে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

রাজধানীর ৩৩টি খাল ও লেক দখলমুক্ত এবং দূষণরোধে খাল ও লেকের পাড়ে সবুজায়ন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী সপ্তাহে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

৮ মে ঢাকা শহরের খাল ও লেকের পাড় সবুজায়ন কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন শেষে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতিবেদন প্রদান সভায় এ তথ্য জানান ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

সভায় উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানগুলোর সদস্যরা সরেজমিন পরিদর্শনকালে খালসগুলোতে বিদ্যমান অবস্থার বিবরণ উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া দূষণরোধ ও সবুজায়নের জন্য করণীয় কর্মপরিকল্পনাও উপস্থাপন করা হয়।

স্বেচ্ছাসেবকদের দেওয়া তথ্য ও মতামতের ভিত্তিতে যেসব স্থানে অসঙ্গতি রয়েছে, সেসব স্থানে দ্রুত অভিযানের পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে ডিএনসিসির। পাশাপাশি খালে গৃহস্থালি বর্জ্য না ফেলার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে স্বেচ্ছাসেবকরা। এ জন্য চিহ্নিত স্থানগুলোতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

ডিএনসিসি প্রশাসক জানান, পরিবেশ বিপর্যয় রোধে ক্ষতিকর প্লাস্টিক ব্যবহার কমাতে ডিএনসিসির সব অনুষ্ঠানে প্লাস্টিক বাক্স ও পানির বোতল পরিহার করা হবে। এ ছাড়া খালের পাড়ে দ্রুত বর্জ্য অপসারণ এবং গাছ লাগানোর মতো পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।



আরও খবর