Logo
শিরোনাম

‘বেনজীরের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় নেবে না পুলিশ বাহিনী' : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সাবেক আইজিপি বেন‌জীর দেশে নাকি বিদেশে সে বিষ‌য়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। 


তবে অপরাধ করলে বিচার হবে। অভিযোগের তদন্ত চল‌ছে। তার ব্যক্তিগত অপরাধের দায় পুলিশ বাহিনী নেবে না।



শনিবার (১ জুন) দুপুর দেড়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) ছাত্রলীগ কর্তৃক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত 'আমাদের বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক বক্তৃতা প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।


এমপি আনার হত্যাকাণ্ড নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মূল হত্যাকাণ্ড যেহেতু ভারতে হয়েছে সেহেতু মূল মামলাও ভারতে হয়েছে৷ ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দী বিনিময় চুক্তি আছে।


 তাই ভারতই এ হত্যাকাণ্ডের মূল তদন্ত করবে। আমাদের দেশে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হলে আমাদের পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করতো। তারা যদি আমাদের সম্পৃক্ত করে তাহলে আমরা তাদের সহযোগিতা করবো।


হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত একজন নেপালে পালিয়ে গেছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একজন সংসদ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে আর আমরা বসে থাকবো এমন হতে পারে না। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং সহযোগিতাকারী সবাইকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে। 


নেপালে একজন পালিয়ে গেছে। তবে সে কোথায় আছে সেটা সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তদন্ত হচ্ছে, তাকে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




বিমানবন্দরে সতর্কতা জোরদারের নির্দেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

কোভিড ১৯-এর সাব-ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। প্রতিনিয়ত পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত হচ্ছে নতুন আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভেরিয়েন্ট সাধারণ রোগীর বেলায় এতটা ঝুঁকিপূর্ণ নয়, তবে জটিল রোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে কঠিন হতে পারে। এজন্য সংক্রমণের হার যত কমিয়ে আনা যায় ততটাই ভালো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কোভিডে আক্রান্ত এবং যারা আক্রান্ত নন তাদের উভয়ের উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জনসমাগমে মাস্ক ব্যবহার এবং হাত ধোয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। যদিও এসব নির্দেশনা সেভাবে আমলে নিচ্ছে না কেউ। সরকারের পক্ষ থেকেও সেভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ আছে। ফলে ক্রমশ এই সংক্রমণ বাড়ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৮৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। গত ১৬ জুন দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে নতুন শনাক্ত ২৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সতর্ক হওয়ার দরকার আছে, তবে ভয়ের কিছু নেই। এ অবস্থায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

সম্প্রতি বেবিচকের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী, যাত্রী চলাচল বাড়ায় বিমানবন্দরে কঠোর স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিমানবন্দরে আগত প্রতিটি যাত্রীকে থার্মাল স্ক্যানিং সিস্টেমের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সন্দেহজনক উপসর্গযুক্ত যাত্রীদের তাৎক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্য বিভাগে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে, যাতে তারা প্রয়োজন অনুযায়ী আইসোলেশন, চিকিৎসা মূল্যায়ন ও হাসপাতালে রেফার করার ব্যবস্থা নিতে পারেন।

বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম মজুদ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। একই সঙ্গে উপসর্গযুক্ত স্টাফদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং স্থানীয় জনস্বাস্থ্য নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

ভ্রমণকারী যাত্রী এবং গ্রাউন্ড স্টাফদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য সহযোগী অপারেটরদের সম্মিলিত সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যে কোনো সহায়তার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। যোগাযোগের নম্বর : +৮৮০১৭৯৯৪৩০০৩৩।

অন্যদিকে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে- জনসমাগম যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে এবং উপস্থিত হতে হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে। হাঁচি বা কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে। ব্যবহৃত টিস্যু অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলতে হবে। ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে (অন্তত ২০ সেকেন্ড)। অপরিষ্কার হাত চোখ, নাক ও মুখে লাগান যাবে না। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে- জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে হবে। রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সেবাদানকারীদেরও সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজন হলে কাছের হাসপাতালে অথবা আইইডিসিআর (০১৪০১১৯৬২৯৩) অথবা স্বাস্থ্য বাতায়নের (১৬২৬৩) নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে।

এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, রোগীর চাপ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দেখা যাচ্ছে, করোনা এখনও নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ইতোমধ্যেই বিশেষ টিম গঠন করেছে এবং গাইডলাইন হালনাগাদের কাজ চলছে।

ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বর্তমানে আমরা তিনটি পৃথক পদ্ধতিতে করোনার নমুনা পরীক্ষা করছি। চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতাল এবং ইউনিট স্থাপন করেছি। রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় আমাদের প্রস্তুতি পর্যাপ্ত।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে দেশীয় অস্ত্রসহ জমি দখলের চেষ্টা, এলাকায় চরম উত্তেজনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান,ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার চরশুক্তাগড় এলাকায় দেশীয় অস্ত্রসহ শতাধিক লোক নিয়ে জমি দখলের চেষ্টার ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, জমি দখলের সময় একটি পরিবারকে ঘিরে রেখে বাড়ির বাইরে বের হতে বাধা দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগীদের ভাষ্য মতে, চরশুক্তাগড় এলাকার বাসিন্দা জাফর আলী হাওলাদারের পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত প্রায় ৫০ একর জমিতে একদল লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র—রামদা, বল্লম, লাঠিসোটা, হকিস্টিক ও লোহার রড নিয়ে প্রবেশ করে। এরপর তারা রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে জমিতে জোরপূর্বক ট্রাক্টর চালিয়ে চাষাবাদ শুরু করে। ঘটনাস্থলে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় মাদ্রাসা শিক্ষক মাসুদুর রহমান, খায়রুল ইসলাম, আব্দুল হাই এবং আলতাফ।

জাফর আলী হাওলাদারের ছেলে রাকিব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “ওরা আমাদের বাড়ি ঘিরে ফেলে এবং হুমকি দেয়, আমরা যদি বাইরে যাই, তবে মেরে ফেলা হবে। সম্পূর্ণ বৈধভাবে মালিকানাধীন জমি তারা জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এমনকি তারা গতকাল আমাদের তিনটি ছাগলও নিয়ে গেছে।”

অভিযুক্ত শিক্ষক মাসুদুর রহমান এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এই জমির প্রকৃত মালিক আমরা এবং আমাদের সঙ্গে এলাকার আরও অনেকে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জাফর আলী আমাদের জমি জবরদখল করে রেখেছেন। আমরা আমাদের জমিতেই চাষাবাদ করছি।”

ঘটনার বিষয়ে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। তারা দ্রুত প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপ কামনা করেছি।


আরও খবর



জ্বালানি খাতে ভয়াবহ বিপর্যয়ের শঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে আপাতত বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে কোনো প্রভাব না পড়লেও যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে ব্যাপক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যুদ্ধ যদি দ্রুত না থামে এবং দীর্ঘদিন চলতে থাকে, তাহলে বাংলাদেশের মতো দুর্বল অর্থনীতির দেশে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে শতভাগই আমদানিনির্ভর।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান বলেন, আমাদের জ্বালানি তেল আমদানি ও সরবরাহে আপাতত প্রভাব পড়েনি। আমরা আশা করছি, হয়তো এ যুদ্ধ দ্রুতই থেমে যাবে। তবে যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদে চললে জ্বালানি তেল সরবরাহের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং দাম বাড়তে পারে। সব কিছুই নির্ভর করবে এ যুদ্ধ কত দ্রুত থামে সেটার ওপর।

এদিকে পেট্রোবাংলার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা আপাতত ঠিক আছে। তবে যুদ্ধের কারণে দাম বেড়ে গেলে স্পট মার্কেট থেকে কেনা এলএনজির দাম বেড়ে যেতে পারে, যা আর্থিক ক্ষতি করবে। একই সঙ্গে যদি জাহাজ চলাচলে কোনো বিঘœ ঘটে এবং নিয়মিত এলএনজি আমদানিতে বাধা তৈরি হয়, তবে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে বাংলাদেশ। আমাদের এলএনজি সরবরাহ এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থকলেও গ্যাসের সংকট তীব্র হয়।

এদিকে গত মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম আপাতত বাড়ানো হবে না। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ক্রয় এবং অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ সরকার পর্যবেক্ষণ করছে। জ্বালানি তেলের দামের বিষয়ে আরও অপেক্ষা করব। এখন পর্যন্ত আমদানিতে যুদ্ধের প্রভাব পড়েনি। চলমান বাজারদরেই সব আমদানি করা হচ্ছে। তবে স্বাভাবিকভাবেই এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। জ্বালানি ছাড়াও অন্য অনেক পণ্যে এর প্রভাব পড়বে।

যুদ্ধের কারণে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় এখনই কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ জন্য এলএনজি ও সার আমদানির কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আপাতত আমাদের বাণিজ্য ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। জ্বালানি মন্ত্রণালয় বিকল্প চিন্তা অবশ্যই করছে। যেহেতু আমরা এলএনজির ওপর নির্ভর করি বেশি। যুদ্ধে শুধু জ্বালানি না, সার ও জাহাজ চলাচলেও প্রভাব পড়বে। হরমুজ প্রণালী দিয়ে জাহাজ আসে, সেখানে প্রভাব পড়তে পারে।

প্রসঙ্গত, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের ফলে জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ এই অঞ্চল থেকে আসা সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে। যুদ্ধ শুরুর পর অপরিশোধিত তেলের দাম ৭ থেকে ৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭৪.২৩ ডলারে লেনদেন হয়েছে। তবে ২০২২ সালের গোড়ার দিকে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর বেড়ে যাওয়া দামের তুলনায় এটি এখনও নিচে; ওই সময় অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলারেরও উপরে উঠেছিল। এদিকে গত শুক্রবার এশিয়া ও ইউরোপজুড়ে শেয়ারের দাম কমেছে। জাপানের নিক্কেই শেয়ার সূচক ০.৯ শতাংশ কমেছে।

চরম পরিস্থিতিতে ইরান যদি হরমুজ প্রণালীতে অবকাঠামো বা জাহাজ চলাচলের ওপর টার্গেট করে, তাহলে প্রতিদিন লাখ লাখ ব্যারেল তেল সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে। এই প্রণালী দিয়ে বিশ্বব্যপি তেলের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ সরবরাহ হয়ে থাকে।

বিপিসির একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। সামনে আরও বাড়তে পারে। ইতোমধ্যে জাহাজে তেল পরিবহনের খরচ বাড়তে শুরু করেছে। হরমুজ প্রণালী বন্ধ হয়ে গেলে তেলের দাম অনেক বেড়ে যাবে।

বিপিসি বলছে, পরিশোধিত জ্বালানি তেলের ২০ শতাংশ ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ৩০ শতাংশ পরিবহন করা হয় হরমুজ প্রণালী দিয়ে। এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে কী করে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যায়, সেটা নিয়ে ভাবছে সরকার।

দেশে দুই ধরনের জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত। তবে একমাত্র জ্বালানি শোধনাগারের সক্ষমতা অনুযায়ী বছরে ১৫ লাখ টনের বেশি অপরিশোধিত তেল আমদানির সুযোগ নেই। অপরিশোধিত হিসেবে সৌদি আরব থেকে অ্যারাবিয়ান লাইট ও আরব আমিরাত থেকে মারবান লাইট আমদানি করে বিপিসি। সাধারণত দুই মাস আগের গড় দাম ধরে বিল হিসাব করা হয়। অর্থাৎ, জুনে সরবরাহ করা তেলের দাম নির্ধারিত হয় মার্চের গড় দাম ধরে। তাই এখনও দামে প্রভাব পড়েনি। বিপিসি সূত্র বলছে, দুই দেশ থেকেই অপরিশোধিত তেল আসে হরমুজ প্রণালী হয়ে।

বাংলাদেশ বেশি আমদানি করে ডিজেল, ফার্নেস, অকটেন, জেট ফুয়েলের মতো পরিশোধিত জ্বালানি তেল। এগুলোর কোনোটাই মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসে না। আসে মূলত সিঙ্গাপুর ও এর আশপাশের কয়েকটি দেশ থেকে। বছরে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টন জ্বালানি তেল বিক্রি করে বিপিসি। এর মধ্যে ৪৬ লাখ টন ডিজেল। দেশের একমাত্র শোধনাগারটি থেকে পাওয়া যায় ৬ লাখ টন ডিজেল, বাকিটা আমদানি করতে হয়।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




তেহরানে ঝুঁকিতে ৪০০ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের জেরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানের রাজধানী তেহরানে ভয়ংকর পরিস্থিতিতে রয়েছেন বাংলাদেশিরা। সেখানে দূতাবাসের কর্মকর্তারাসহ ৪০০ বাংলাদেশি বসবাস করেন।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী এ তথ্য জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা জানান, ইরানে দুই হাজারের বেশি বাংলাদেশি আছেন। সবাইকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সরিয়ে রাখার ব‍্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তেহরান ছাড়াও আশপাশের দেশের শহরগুলোতে খোঁজ খবর রাখছে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদেরকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী জানান, অচিরেই যুদ্ধ বন্ধ হবার সম্ভাবনা না দেখলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আহ্বান জানাচ্ছি। এ মুহূর্তে বাংলাদেশিরা ইরান ত্যাগ করা কঠিন।

নিষেধাজ্ঞা থাকায় দেশটিতে ব্যাংককিং চ্যানেলে টাকা পাঠানো যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

এদিকে, ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনার আগে তাদের জন্য একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করছে দূতাবাস। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ‘ফেরার আগে কাগজপত্র ঠিকঠাক করার সময় বাংলাদেশিরা যেন সেখানে থাকতে পারেন, সেজন্য তেহরানের দূতাবাস একটি আশ্রয়কেন্দ্র ভাড়া করার জন্য কাজ করছে।’

ইরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের যোগাযোগ ও সহায়তার জন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। নম্বরগুলো হলো— +৯৮৯৯০৮৫৭৭৩৬৮, +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি নম্বরও (+৮৮০১৭১২০১২৮৪৭) চালু রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ইরানে প্রায় ৬০০ বাংলাদেশি রয়েছেন, যাদের মধ্যে শিক্ষার্থী, রোগী ও বিভিন্ন পেশার মানুষ আছেন। এর বাইরেও কয়েক হাজার বাংলাদেশি থাকতে পারেন, যারা কাগজপত্র ছাড়া সেখানে রয়েছেন। আজারবাইজান হয়ে ইউরোপে যাওয়ার জন্য তারা ইরানকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করেন।


আরও খবর



লাব্বাইকে’ মুখর হওয়ার অপেক্ষায় আরাফাতের ময়দান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। মক্কার অদূরে তাঁবুর শহর খ্যাত মিনায় অবস্থান নিয়েছেন লাখ লাখ হাজি। তারা সেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবুতে অবস্থান করে ইবাদত-বন্দেগিতে নিমগ্ন আছেন। রাত পোহালেই তারা রওয়ানা করবেন আরাফাতের ময়দানে। সেখানেই পালিত হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।

পবিত্র আরাফাতের ময়দানে জড়ো হবেন লাখ লাখ হাজি। সেখানে মসজিদে নামিরায় খুতবা দেবেন হজের ইমাম। এই ময়দানে অবস্থান করাই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। এজন্য আরাফাতের ময়দানে অবস্থানকেই হজের দিন বলা হয়।

বৃহস্পতিবার লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠবে আরাফাত প্রান্তর। দুই খণ্ড সাদা কাপড় (পুরুষের ইহরাম) শরীরে জড়িয়ে একত্রিত হবে আরাফার ময়দানে। সবার মুখেই একই ধ্বনি লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক- আমি হাজির, হে আল্লাহ, আমি হাজির।’‘লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই। ইন্নাল হামদা ওয়াননিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক সব প্রশংসা ও নেয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার, তোমার কোনো শরিক নেই

এবার বিশ্বের নানা প্রান্তের ১৪ লাখ ৭০ হাজার হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। স্থানীয় হজযাত্রী মিলে এই সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯৫৮ জন।

হজ পালন নির্বিঘ্ন করতে কড়া নিরাপত্তাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি সরকার। ধর্মীয় বিষয়ক প্রেসিডেন্সি রোববার (২৫ মে) ঘোষণা করেছে যে, এ বছর হজে আরাফার দিনের ঐতিহাসিক খুতবা প্রদান করবেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার শেখ সালেহ বিন হুমাইদ।

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এক রাজকীয় ফরমানে তাকে আরাফাহর দিনে খুতবা দেওয়ার অনুমোদন দেন। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার পরপর এই ভাষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। হজের খুতবা একযোগে ৩৪টি ভাষায় অনূদিত হবে।

৯ জিলহজ বৃহস্পতিবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করে হাজিরা চলে যাবেন মুজদালিফায়। সেখানে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন।

১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, দমে শোকর বা কোরবানি দেওয়া ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন।

সেখান থেকে তারা আবার মিনায় ফিরবেন। পরে মিনায় ১১ ও ১২ জিলহজ থেকে তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ি তওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

এদিকে এবার এমন সময় হজ পালিত হচ্ছে যখন সৌদি আরবের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে। এজন্য হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য তাপজনিত শারীরিক সমস্যা এড়াতে হজ পালনকারীদের সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সরাসরি সূর্যালোক এড়িয়ে ক্যাম্পের ভেতরে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।

গত বছর প্রচণ্ড গরমে ১ হাজার ৩০১ জন হাজির মৃত্যু হয়েছিল। এ বছর সেই ভয়াবহতা এড়াতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ছায়াযুক্ত এলাকা তৈরিসহ নানা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

গত বছরের প্রাণঘাতী গরমের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে তাদের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করতে, এবার কাজ করছে ৪০টিরও বেশি সরকারি সংস্থা এবং আড়াই লাখ কর্মকর্তা। সৌদি হজমন্ত্রী তাওফিক আল-রাবিয়া জানান, এবারে ছায়াযুক্ত জায়গা ৫০ হাজার বর্গমিটার (১২ একর) বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৪০০টির বেশি শীতলীকরণ ইউনিট এবং দ্রুত চিকিৎসা সহায়তার জন্য অতিরিক্ত হাজার হাজার মেডিকেল কর্মী মোতায়েন থাকবে।

এছাড়া, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সাহায্যে এবার হজ ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হয়েছে ড্রোন ক্যামেরা ও বিশাল তথ্য বিশ্লেষণ ব্যবস্থা। বিশাল জনসমাগমের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে এ প্রযুক্তি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

গত বছরের মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন অনিবন্ধিত হাজি। তাদের জন্য পর্যাপ্ত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবু বা বাসের ব্যবস্থা ছিল না। এবার অনিবন্ধিত হাজীদের ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে কঠোর পদক্ষেপ। চলছে টেক্সট মেসেজ সতর্কতা, ড্রোন নজরদারি এবং নিয়মিত অভিযান।

 


আরও খবর