মির্জা হৃদয় সাগর, নেত্রকোনা :
আজ ১৪ মার্চ ২০২৪ ইং, বেলা ১০.৩০ মিনিট এ বাংলাদেশ উদীচী শিল্পিগোষ্ঠী নেত্রকোনা কার্যালয়ে জেলা পর্যায়ে কৃষক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি গবেষণা উন্নয়ন সংস্থা বারসিক এর আয়োজনে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর অতিরিক্ত উপ—পরিচালক জনাব সাধন কুমার গুহ মজুমদার। নেত্রকোনা জেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটি’র সভাপতি জনাব সায়েদ আহমদ খান বাচ্চু’র সভাপতিত্বে সভাটি সঞ্চালনা করেন বারসিক’র কর্মসূচি কর্মকর্তা রনি খান। সভায় নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৩০ টি কৃষক সংগঠণের যুব কৃষক, প্রবীণ কৃষক, কৃষাণী, হাওরের কৃষক, আদিবাসী কৃষক, সমতলের কৃষক, কৃষক নেতা, জেলে সংগঠনের নেতা, রাজনৈতিক নেতা, সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক ও যুব সংগঠকসহ মোট ৩৩ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বারসিক নেত্রকোনা অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়ক মো: অহিদুর রহমান। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পিগোষ্ঠী নেত্রকোনা জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক জনাব অসিত কুমার ঘোষ, বারসিক’র সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়ক শংকর ¤্রং, মোহনগঞ্জ উপজেলা কৃষক প্রতিনিধি জনাব সজীব দাস, আটপাড়া উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটি’র সমন্বয়ক যোগেশ বর্মণ, মদন উপজেলা কৃষক প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম পুতুল, কলমাকান্দা উপজেলা কৃষক প্রতিনিধি ও বহুত্ববাদী সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক কুমকুম নকরেক প্রমুখ।
সভায় হাওর থেকে পাহাড় বিস্তৃত এ জনপদের কৃষির সাফল্য, সংকট, সম্ভাবনার কথা উঠে আসে। বর্তমান সরকারের নানা সময়োপযোগী উদ্যোগের কথা তাঁর বক্তব্যে ব্যক্ত করেন প্রধান অতিথি। তিনি বলেন ‘এ সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। কৃষিকে যুগোপযোগী করতে নানা ধরণের প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। তবুও আপনারা যারা মাঠে কাজ করেন তারাই কৃষির প্রাণ। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলেই একটি সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবো।’ সভায় কৃষকদের আলোচনার প্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত দাবীগুলো তুলে ধরা হয়।
১। সীমান্ত অঞ্চলে যেখানে পাহাড়ি বালুতে জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সেখানে সরকারি উদ্যোগে বালু সহনশীল ফসল চাষ করতে পারি কি না চেষ্টা করে দেখতে হবে।
২। টপ সয়েল বিক্রি করা বন্ধ করতে হবে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
৩। বন্যা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ভূমি রূপ অনুযায়ী ধান গবেষণা করতে হবে।
৪। কৃষি উৎপাদন ব্যয় সাশ্রয়ী হতে হবে। উৎপাদনের উপকরণগুলোর দাম কমাতে হবে।
৫। কৃষিজমি সুরক্ষা আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬। হওরের মাছে কৃত্রিম খাদ্য, রোটানলসহ সকল ধরণের কীটনাশক, ভিটামিন ইত্যাদি প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।
৭। নিরাপদ কৃষি বিপনণ কেন্দ্র তৈরি করতে হবে।
৮। নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টিকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।