Logo
শিরোনাম

বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় প্রশিক্ষিত আনসার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৯২জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে পুলিশের এসকর্ট সুবিধা গত ১৪ মে প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার। পুলিশের পরিবর্তে তাদের নিরাপত্তায় প্রস্তুত করা হয়েছে আনসারের বিশেষ প্রশিক্ষিত জনবল। তবে এসব আনসার সদস্যের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিতে গেলে অর্থ খরচ করতে হবে কূটনীতিকদের। সেক্ষেত্রে জনপ্রতি আনসার সদস্যকে ৩০০ ডলার করে দিতে হবে।

আগে পুলিশি নিরাপত্তার জন্য কোনো অর্থ খরচ করতে হতো না বিদেশি কূটনীতিকদের। মূলত সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিনামূল্যে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হতো। তবে গত ১৪ মে বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় সরকার পুলিশের এসকর্ট সুবিধা তুলে নেওয়ায় এখন থেকে অর্থ খরচ করে নিরাপত্তা নিতে হবে তাদের।

বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তার জন্য সরকারের কাছ থেকে গাড়ি নিলে জ্বালানি খরচ ছাড়াও সঙ্গে দিতে হবে আরো এক হাজার ডলার। এছাড়া অন্য কোনো লজিস্টিক সাপোর্ট লাগলে তাও বহন করতে হবে ওই দূতাবাসকেই।

গত ১৭ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কূটনীতিকদের আনসার বাহিনী কীভাবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা (এসকর্ট) দেবে, সেটি চূড়ান্ত হয়েছে। নোট ভার্বালের (কূটনৈতিক পত্র) মাধ্যমে দূতাবাসগুলোকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আনসার বাহিনীর সদর দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দূতাবাসগুলোতে কূটনৈতিকপত্র পৌঁছে গেছে। পত্রে এসকর্ট সুবিধা পেতে হলে যোগাযোগের জন্য পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ডিরেক্টরের (অপস) ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি কোনো বিদেশি কূটনীতিক।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দূতাবাসে ছয় বছর নিরাপত্তায় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের (এজিবি)। পর্যাপ্ত অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত লোকবল সরবরাহের সক্ষমতাও রয়েছে বাহিনীটির।

১৭ মে বৈঠক শেষে আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক বলেন, কূটনীতিকদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত আছে আনসার বাহিনী। তবে এখন পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থিত কোনো বিদেশি দূতাবাস থেকে কূটনীতিক নিরাপত্তার জন্য আনসারের এসকর্ট সুবিধা পেতে আনুষ্ঠানিক আগ্রহ দেখানো হয়নি, এমনকি জানানো হয়নি লিখিত চাহিদাও।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আনসার সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন-এজিবি ইউনিট গঠন করা হয়। গঠন করা হবে আরো একটি ব্যাটালিয়ন, সে প্রক্রিয়া চলছে।

আনসার সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, একজন পরিচালকের নেতৃত্বে আটজন কর্মকর্তা ও ৪১৬ জন আনসার সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত এজিবি। এজিবির মতো প্রশিক্ষিত জনবলে রয়েছেন আরো তিন হাজার সদস্য। কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় এজিবিকে ব্যবহার কিংবা প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যদের নিয়ে আলাদা ব্যাটালিয়নও গড়া যেতে পারে। এতে পোশাকসহ কাঠামোগত পরিবর্তনও প্রয়োজন হবে না।

আনসার সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের (এজিবি) সদস্যদের দেশে-বিদেশে কুইক রেসপন্স ট্রেনিং (কিউআরটি), স্পেশাল ট্যাকটিক্যাল ট্রেনিং (এসটিটি), স্পেশাল প্রটেকশন ট্রেনিং ও বিশেষ অস্ত্র চালনার ট্রেনিংও রয়েছে। আনসারের কর্মকর্তারা এসএসএফ ও র‌্যাব, সচিবালয়, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (ডিজিএফআই) এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে প্রেষণে কর্মরত থেকে নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন।

বুধবার (২৪ মে) সকালে আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর পরিচালক (অপারেশনস) সৈয়দ ইফতেহার আলী বলেন, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আমাদের পক্ষ থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

 


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




মশার কামড়ে নতুন রোগের আতঙ্ক!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

মশার কামড় খাননি, এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। তবে কার শরীরের গন্ধ কেমন, তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে, পতঙ্গটি কার প্রতি কতটা আকৃষ্ট হবে। নতুন এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে। এ গবেষণার ফলাফল গত শুক্রবার (১৯ মে) কারেন্ট বায়োলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণাটি করেন জনস হপকিনস ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের সহকারী অধ্যাপক কোনর ম্যাকমেনিম্যান এবং গবেষক দিয়েগা গিলারদো ও স্টেফানি রানকিন-টার্নার। তাদের সঙ্গে যুক্ত ছিল এডগার সিমুলুনডুর নেতৃত্বাধীন জাম্বিয়ার মাকা রিসার্চ ট্রাস্ট।

মশা সাধারণত ফল-মূল ও লতা-পাতার রস খায়। তবে ডিম ফোটাতে স্ত্রী মশার অতিরিক্ত প্রোটিনের দরকার হয়। তখন তারা মানুষসহ বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীর রক্ত খেতে হুল ফোটায় বা কামড়ায়। তবে ভয়ের কথা হলো, কামড়ের মাধ্যমে তারা পরজীবী ও ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়। এতে করে যত ধরনের অসুখ হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হলো ম্যালেরিয়া। এখনো প্রতিবছর ম্যালেরিয়ায় ছয় লাখের বেশি মানুষ মারা যায়।

গবেষণায় মূলত আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের অ্যানোফিলিস গাম্বিয়ায় প্রজাতির মশার আচরণ খতিয়ে দেখা হয়েছে। গবেষকরা দেখতে পান, মানুষের শরীরের ঘামে থাকা নানা ধরনের রাসায়নিক উপাদানের কারণে মশার আকৃষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে তারতম্য ঘটে। ভিন্ন ভিন্ন মানুষের শরীরের ভিন্ন ভিন্ন গন্ধে মশা কতটা আকৃষ্ট হয়, তার তুলনা করা হয়। দেখা যায়, এ পতঙ্গ ২০ মিটার বা ৬৬ ফুট দূর থেকে গন্ধ শনাক্ত করতে পারে।

গবেষকরা দেখতে পান, কার্বোক্সিলিক অ্যাসিডের প্রতি সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট হয় মশা। এ অ্যাসিডের মধ্যে রয়েছে বিউটিরিক, যা দুর্গন্ধযুক্ত পনিরে পাওয়া যায়। এ অ্যাসিড মানুষের ত্বকে সৃষ্টির জন্য দায়ী একধরনের ব্যাকটেরিয়া। পাশাপাশি ইউক্যালিপটল নামের একধরনের রাসায়নিকের প্রতিও তাদের আকর্ষণ বেশি, যা গাছগাছালিতে থাকে।

গবেষণাটির সহলেখক এডগার সিমুলুনডু বলেন, এ গবেষণার ফলাফল মশাকে প্রলোভনে ফেলা বা বিমুখ করার নতুন ধারণা সামনে নিয়ে এসেছে। এর মাধ্যমে মশাকে মানুষের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার পথ বন্ধ করা যেতে পারে। এতে করে আফ্রিকা অঞ্চলে মহামারিতে পরিণত হওয়া ম্যালেরিয়াকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতে পারে।

 সূত্র : সিএনএন।


আরও খবর

একদিনে করোনায় মৃত্যু ২

শুক্রবার ০২ জুন 2০২3




যে নিয়ম মানলে চুল পড়া বন্ধ হবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৫১জন দেখেছেন

Image

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরে পরিবর্তন আসে। স্বাস্থ্য, ত্বক এবং চুলেও এর প্রভাব পড়ে। অনেকের ক্ষেত্রে বয়স মাত্র ত্রিশ পার হলেই দেখা দেয় বলিরেখা, টাক পড়ার মতো সমস্যা। তাই বয়স ত্রিশ পার হওয়ার আগেই ত্বক ও চুলের প্রতি যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এসময় থেকে যত্ন না নিলে চুল পাতলা হতে শুরু করে। এমনকী অনেকের ক্ষেত্রে দেখা দেয় টাক পড়ার সমস্যাও। মাথায় টাক পড়ার সমস্যা এড়াতে মেনে চলুন এই ৫ নিয়ম :

খাবার খেতে হবে বুঝেশুনে

বাইরের খাবার যতই এড়িয়ে চলতে চান, তবু নানা কারণে সপ্তাহে অন্তত দুই-একবার খেতেই হয়। বলা বাহুল্য, বাইরের বেশিরভাগ খাবারই অস্বাস্থ্যকর। আর এ ধরনের খাবার খেতে ভালোলাগে ঠিকই, খাওয়ার পরে শরীরে এর প্রভাব পড়ে মারাত্মক। তাই বাইরে খাবার খাওয়া যদি একান্তই এড়াতে না পারেন, তবে সতর্ক হোন। অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন। এর পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর খাবার খান। প্রতিদিনের খাবারে প্রচুর শাক-সবজি, ফল, শস্য, পানি ইত্যাদি যোগ করুন।

পানির ঘাটতি পূরণ করুন

চুল এবং ত্বক ভালো রাখার জন্য নিয়মিত পানি পান করা জরুরি। শরীরের ভেতরে যেন পানির ঘাটতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ত্বক ভালো রাখার পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই পানি। তাই পানি এবং তরল খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। সেইসঙ্গে ব্যবহার করতে হবে সঠিক হেয়ার প্রোডাক্ট। নিয়মিত চুলে তেল ব্যবহার করতে হবে। দিন অন্তত আড়াই লিটার পানি পান করতে হবে।

প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার

চুলের যত্নের জন্য কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট নয়, ব্যবহার করুন প্রাকৃতিক উপাদান। এতে আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো হবে, বাড়বে উজ্জ্বলতাও। বাড়িতে থাকা নানা উপকারী উপাদান দিয়েই চুলের পরিচর্যা করা সম্ভব। প্রাকৃতিক বলে সেসব উপাদানে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে না। তাই চুল ভালো রাখার জন্য বেছে নিন প্রাকৃতিক উপাদান।

দুশ্চিন্তা দূরে রাখুন

বয়স ত্রিশ পার হলে অনেক রকম দায়িত্ব চলে আসে। সেসব পালন করতে গিয়ে বাড়তে থাকে দুশ্চিন্তাও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ে। তার প্রতিফলন দেখা যায় আমাদের চুলেও। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে হবে।

নিয়মিত শরীরচর্চা করুন

আমাদের হেয়ার ফলিকলে যদি প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান থাকে এবং অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিক থাকে তবে চুল ভালো রাখা সহজ হয়। চুলের ঘনত্বও বাড়ে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা করার অভ্যাস করুন। এতে শরীরের প্রতিটি অংশে অক্সিজেন সরবরাহ ঠিকভাবে হয়। যে কারণে হেয়ার ফলিকলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায়। তাই চুলের বৃদ্ধি ঠিকভাবে হয়।

তথ্য : রিমিস ড্রিম


আরও খবর

খালি পেটে গ্রিন টি নয়

রবিবার ২১ মে ২০২৩




বেড়েছে তেল-চিনি ডিম-আলু পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

ঈদ উল ফিতরের আগে থেকে বেড়ে গেছে মুরগি ও গরুর গোশতের দাম। ঈদ শেষ হওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ হয়ে গেলেও এখনও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের গোশত। গোশতের পাশাপাশি এবার বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সব ধরনের সবজি। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজিই মিলছে না। এতে বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ।

রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মরিচ ১২০ টাকা, করলার কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা, পটল ৬০-৮০ টাকা, লাউ পিস ৬০, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস ৩০-৩৫ টাকা, চাল কুমড়া ৫০-৬০ টাকা, সজনে ১৪০ টাকা কেজি, ৩০০ গ্রাম ওজনের ফুলকপি ৪০ টাকা, পাতাকপি ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা কেজি, কাঁকরোল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, কচু ১২০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা কেজি ও লেবু ৩০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাসাবো বাজারে আসা ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কোনো পণ্যের দাম একবার বাড়লে আর সেটি কমছে না। গরু-খাসীর দাম বাড়ায় সেগুলো আর কিনতে পারি না। এখন মুরগির দামও বেড়ে গেছে। খাবার মত সামর্থ আছে সবজির। সেটিও এখন ৫০ টাকার নিচে মিলছে না।

বিক্রেতারা বলছেন, আমাদের নিজেদেরকেও সবজি খেতে হয়। ৫০-৬০ টাকায় সবজি খাওয়া আমাদের জন্যও কষ্টের। আমরা চাই সব ধরণের সবজি ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি করি। কিন্তু পাইকারী বাজারে দাম বেশি। বেশি দামে কেনা থাকায় কম দামে সবজি বিক্রি সম্ভব হচ্ছে না।

বাজারে পাট শাক জোড়া আঁটি ২০ টাকা, কলমি শাক জোড়া আঁটি ২০ টাকা, কচুর দুই আঁটি ১০ টাকা, লাল শাকের জোড়া আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা, শাপলা ডাটা ১০ টাকা, ডাটা শাক ১০ টাকা, সবুজ ডাটা ২০ টাকা আঁটিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ধনে পাতা ১০০ গ্রাম ৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

এছাড়াও বাজারে নতুন করে তেল, চিনি, ডিম, আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দামও বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটারে ১২ টাকা এবং খোলা সয়াবিনের লিটারে লিটারে ৯ টাকা বেড়েছে। আর ৫ লিটারের বোতলের দাম বেড়েছে ৫৪ টাকা। এছাড়া পাম সুপার ওয়েলের দাম লিটারে বাড়ানো হয়েছে ১৮ টাকা। এখন বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৯৯ টাকা, ৫ লিটারের দাম ৯৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারের দাম ১৭৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে কোথাও মিলছে না প্যাকেটজাত চিনি। খোলা চিনি কিনতে হলে খুঁজতে হচ্ছে দুই-চার দোকান। কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম আরো বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজিপ্রতি। যা গত সপ্তাহে ১২০-১২৫ টাকার মধ্যে ছিল।

এ ছাড়া বাজারে ঈদের পরে আলুর দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। সারাবছরই স্থিতিশীল থাকলেও মৌসুমের শুরুতে আলুর অস্থিতিশীল বাজারকে অস্বাভাবিক মনে করছেন ক্রেতারা।

দফায় দফায় দাম বেড়ে খুচরা বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, যা ঈদের আগে ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে ছিল। আর গত বছরের এ সময় আলুর দাম ছিল ১৬ থেকে ২০ টাকা।

আগে দেশী পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। যা এখন বেড়ে হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। একইভাবে আমদানি করা চায়না রসুনের কেজি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর দেশী রসুনের কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। রোজার ঈদের দুই-এক দিন পরও চায়না রসুনের কেজি ছিল ১৩০ টাকার আশপাশে। আর দেশি রসুন বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।

পাশাপাশি দর বেড়েছে আদার। দেশী আদা ২০০ থেকে ২২০ এবং আমদানি করা চায়না আদার কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগেও দেশী আদা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা এবং আমদানি করা আদার দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে ছিল।

এদিকে বাজারে ঈদের মধ্যে বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম কমেনি। বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। সোনালি মুরগির কেজি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা। এর সাথে গত দুই দিন ধরে বাড়ছে ডিমের দাম। ১৫ টাকা বেড়ে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পাঙ্গাস ১৭০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। প্রতি কেজি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। তাজা রুই, কাতলা, মৃগেল বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে। দেশি প্রজাতির টেংরা, শিং, গচি ও বোয়াল মাছের কেজি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 


আরও খবর



ধামরাইয়ে আমেনা নূর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন ( স্টাফ রিপোর্টার)

ঢাকার ধামরাইয়ে আমেনা নূর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শনিবার সকাল ০৯ থেকে বিকাল ০৪ টা পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ঔষধ প্রদান করা হয়। চার জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা এ সেবা দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের মাঝে। 

এসময় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নান্নার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ মোল্লা। 

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সিআইপি ও বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ আল জামান। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধামরাই পৌর যুবলীগের সভাপতি আমিনুর রহমান, ধামরাই উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জাকারিয়া দিপু, যুবলীগ নেতা কুশুরা ইউনিয়ন জাহিদুর রহমান জাহিদ, ঢাকা জেলা মোটর চালকলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর, ধামরাই সরকারি কলেজের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব ও যুবলীগ কর্মী আলমগীর হোসেন সহ উপস্থিত ছিলেন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।


আরও খবর



কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুূদ্রবন্দরে ৮ নং মহাবিপদ সংকেত জারি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন

Image

পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড় মোখা এখন উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। আজ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমে কক্সবাজার ৮৬০ মোংলা ৮৯০  পায়রা ৮৫৫ দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছিলো।

এটু আরও উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সকাল ছয়টার মধ্যে কক্সবাজার উত্তর ও মায়ানমার অতিক্রম করতে পারে। সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও এর আশপাশের এলাকায় প্রভাব শুরু হবে। 

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের৭৪ এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কিমি দমকা না ঝড়ো হাওয়া আকারে ১৬০ কিলোমিটার  পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

উপকূলীয় জেলা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনি নোয়াখালী লক্ষী পুর, চাঁদপুর, বরিশাল ভোলা পটুয়াখালী ঝালকাঠি, পিরোজপুর বরগুনা আট নম্বর মহা বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতায় বায়ূ তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। 


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩