
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ফুলগাছ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের জমি বিক্রয় করে অর্থ আত্মসাত, দ্বায়িত্বে অবহেলা সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও তার নিকট তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী তথ্য জানতে চাইলেও তিনি তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার, ১ নং মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ফুলগাছ উচ্চ বিদ্যালয়টি। যা ১৯৯৪ সালে স্থাপিত হয়। এ সময় ফুলগাছ এলাকার বাসিন্দা মোঃ জালাল উদ্দিন বিদ্যালয়ের নামে ১১০ শতক জমি কবলা করে দেন। অভিযোগকারীর তথ্য মতে মোঃ জালাল উদ্দিন ১১০ শতক ও মোঃ জহির উদ্দিন ৪০ শতক জমি প্রতিষ্ঠানের নামে কবলা করে দেন। এতে মোট ১৫০ শতক জমি ফুলগাছ উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯৭ সালে ফুলগাছ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামে খারিজ করেন।
জানা যায় , ফুলগাছ উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৯ সালে নিম্ন মাধ্যমিক ও ২০০১ সালে মাধ্যমিক শাখা এমপিও হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক হিসেবে দ্বয়িত্ব পালন করেন মোঃ শাহজাহান আলী। সূচনা লগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব সম্পত্তি মনে করে আসছেন প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলী। তিনি নিজের ইচ্ছেমত সকল কাজ করে আসছেন বলেও বিভিন্ন জনের নিকট তথ্য পাওয়া যায়। তারই ধারাবাহিকতায় বিদ্যালয়ের ১১০ শতক জমি বিক্রয় করে সমুদয় অর্থ আত্মসাত করেন প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমিতে বর্তমানে মুরগীর খামার রয়েছে।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে সাক্ষাত করতে ৪ (চার) দিন স্বশরীরে বিদ্যালয়ে গেলেও তার দেখা পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন অজুহাতে তিনি বিদ্যালয়ে থাকেন না। অবশেষে তার বিদ্যালয়ের দ্বায়িত্ব ছেড়ে তিনি বাড়িতে অবস্থানের কারন জানতে চাইলে সহকারি প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম শফি ও সহকারি শিক্ষক দীনেশ চন্দ্র জানান তিনি বাড়িতে বসে বোর্ডের খাতা মূল্যায়ন করতে বাসায় আছেন। সহকারি দীনেশ চন্দ্র আরও বলেন আমরাই প্রধান শিক্ষকের দ্বায়িত্ব পালন করি। তার বিদ্যালয়ে অবস্থান করা নিয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় লোকজন জানান তিনি প্রতিদিনই দুপুর ১২ টা বা ১ টা বাজলেই বাড়িতে চলে যান আর আসেন না। মোবাইলে তার নিকট তথ্য জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমি বিক্রয়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।
জেলা শিক্ষা অফিসার জনাব আব্দুল বারি- এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমি বিক্রয়ের বিষয়ে আমার নিকট তথ্যএসেছে, অচিরেই আমি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।