Logo
শিরোনাম

বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : মার্চ মাস প্রায় শেষ, আসছে এপ্রিল, বাড়বে তাপমাত্রা। গরমে অতিষ্ঠ হবে জীবন। তাই গরমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ কারণে এলএনজি আমদানি বাড়ানো হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে।

এখন পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে মনে করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এপ্রিলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও কৃষিকাজে সেচ পুরোদমে চালু হলে বিদ্যুৎ চাহিদা আরও বাড়াবে। সেক্ষেত্রে বিদ্যুতের যোগান বা সরবরাহ স্বাভাবিক রাখাই চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ খাত-সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র জানায়, গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম নতুন করে না বাড়লে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক থাকবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিদুৎ কর্মকতা প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, চৈত্র মাস চলছে, লোডশেডিং নেই বললেই চলে। সামনে বৈশাখ; ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। চিন্তার কিছু নেই। এ দেশে মৌসুম বিবেচনায় নিয়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর-কমানোর পরিকল্পনা করা হয়। সামনে কৃষিজমিতে সেচের জন্য বিদ্যু চাহিদা কিছুটা বাড়বে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর প্রস্তুতিও আছে। এরমধ্যে ভারতের গোড্ডা থেকে আদানির বিদ্যুৎ এবং বাগেরহাট থেকে রামপালের বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও অনুকূলে চলে এসেছে। স্পট মার্কেটে এলএনজির দামও কমে এসেছে। সমস্যা হবে না।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের ঐ কর্মকর্তা আরা বলেন, রমজান ও গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ চাহিদা বেড়ে যাবে, এটি বিবেচনায় নিয়েই সরকার স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ওই এলএনজির কারণেই গ্যাসের যোগান বেড়েছে। কয়েকটি খাতে রেশনিং করে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, চৈত্র মাস চলছে, লোডশেডিং নেই বললেই চলে। সামনে বৈশাখ; ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। চিন্তার কিছু নেই। এ দেশে মৌসুম বিবেচনায় নিয়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর-কমানোর পরিকল্পনা করা হয়। সামনে সেচে চাহিদা কিছুটা বাড়বে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর প্রস্তুতিও আছে। এরমধ্যে ভারতের গোড্ডা থেকে আদানির বিদ্যুৎ এবং বাগেরহাট থেকে রামপালের বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও অনুকূলে চলে এসেছে। স্পট মার্কেটে এলএনজির দামও কমে এসেছে। সমস্যা হবে না।

বিদ্যুৎ, সার কারখানা, ক্যাপটিভ, যানবাহন (সিএনজি), আবাসিকে রান্না, বাণিজ্যিকসহ নানা খাতে দেশে বর্তমানে দৈনিক গড়ে গ্যাসের চাহিদা প্রায় চার হাজার এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট)। রাষ্ট্রীয় খনি থেকে দেশি-বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে গ্যাস উৎপাদন এবং তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি- এই দুইয়ে মিলে সর্বোচ্চ সরবরাহ হয় তিন হাজার এমএমসিএফ। রমজান মাসে ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই এ সময় বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়া হয় বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।

বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম কমে এসেছে জানিয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, এখন প্রতি এমএমবিটিইউ (মিলিয়ন মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) এলএনজি খোলা বাজার থেকে ১২ থেকে ১৩ মার্কিন ডলারে কিনছে পেট্রোবাংলা।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জানান, এলএনজি আমদানির দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় সব মিলিয়ে ৫৬টি জাহাজে এলএনজি আসবে। অন্যদিকে স্পট মার্কেট (দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি না করে খোলা বাজার থেকে যে জ্বালানি কেনা হয়) থেকে জুন পর্যন্ত ১২ কার্গো এলএনজি আসবে। এলএনজি সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে বিদ্যুৎ উৎপাদনও স্বাভাবিক থাকবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।

পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এখন দৈনিক গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে গড়ে প্রায় ২৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এরমধ্যে এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে ৭২০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে দুই হাজার ১৮০ মিলিয়ন ঘনফুট।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মার্চ থেকে আগামী জুন পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে সরকার। সে অনুযায়ী, আগামী জুনে স্পট মার্কেট থেকে সর্বোচ্চ এলএনজি আমদানি করা হবে।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি আওতায় এলএনজি আসা অব্যাহত থাকলেও জানুয়ারি মাসে স্পট মার্কেট থেকে কোন এলএনজি আমদানি হয়নি। দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন এবং দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় আমদানির মাধ্যমে জানুয়ারিজুড়ে গড়ে ২৬শ থেকে ২৭শ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারিতে প্রতিদিন গড়ে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট স্পট মার্কেটের এলএনজি যুক্ত হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতেও প্রতিদিন গড়ে ২৬শ থেকে ২৭শ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। তবে মার্চ থেকে এলএনজির সরবরাহ বেড়েছে। ২৩শ মিলিয়ন ঘনফুট দেশীয় গ্যাসের সঙ্গে ৭৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করে গড়ে প্রতিদিন তিন হাজার ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। জুন পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহে কাজ করছে পেট্রোবাংলা।

পেট্রেবাংলার তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল, মে, জুন মাসে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি আমদানি কমবে। তবে এ সময় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বাড়বে।

গরম ও সেচ- দুই কারণে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চাহিদা থাকে সর্বোচ্চ। ফলে এ সময় ঘিরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে বিশেষ নজর দেয় সরকার। এ বছর গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা হতে পারে ১৫ হাজার মেগাওয়াট। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে বিদ্যুৎ খাতে এক হাজার পাঁচশ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হবে।

তবে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, এবার গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সর্বোচ্চ গ্যাসের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে পেট্রোবাংলা দৈনিক এক হাজার ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছে।

পেট্রোবাংলা বলছে, দুটি এলএনজি টার্মিনালের দৈনিক গ্যাস সরবরাহ ক্ষমতা এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু সাধারণত ৮৫০ মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ করে থাকে। পেট্রোবাংলা যদি সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদার সময় গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি করতে চায় তাহলে এলএনজির সরবরাহ আরও ১৭০ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়াতে হবে।

গরম ও সেচে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগ ইতোমধ্যে একটি বৈঠক করে জ্বালানি আমদানি স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পায়রা এবং রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা আমদানি যাতে ডলার সংকট যাতে প্রতিবন্ধক না হয়, সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

রমজানে রাজধানীর বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান বলেন, বিদ্যুৎতের সমস্যা যাতে না হয় সেজন্য সাবস্টেশন, ট্রান্সফরমার মেনটেইনেন্স চলমান আছে। কোন সমস্যা হলে প্রত্যেকটি উপকেন্দ্রকে দ্রুত সমাধানের নির্দেশনা দেওয়া আছে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানির আন্তর্জাতিক বাজার আবারও ঊর্ধ্বমুখী হলে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি গরমে মানুষের যেন াবদ্যুৎ প্রাপপ্তির সমস্যা না হয়।

 


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




নওগাঁয় গ্রাম পুলিশের মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার ইউনিয়ন সমূহের গ্রাম পুলিশ সদস্যদের জন্য ৩০দিনের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে। জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে কোর্সটি বাস্তবায়ন করছে নওগাঁ সদর উপজেলা প্রশাসন। রবিবার নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম. রবিন শীষের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে কোর্সের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মওলা। 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধান অতিথি প্রশিক্ষণার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং প্রশিক্ষণ উপকরণ বিতরণ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের (এনআইএলজি) উপপরিচালক খন্দকার মোঃ মাহবুবুর রহমান। 

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) গাজিউর রহমান বিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সোহেল রানা, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুঃ জাবেদ ইকবাল, কীর্ত্তিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য দপ্তরের প্রধানগন, সদর উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সচিবগণ। উক্ত প্রশিক্ষণে সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৪০জন গ্রাম পুলিশ অংশগ্রহণ করছেন। এসময় প্রধান অতিথি বলেন, প্রশিক্ষণ হলো একজন মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের প্রতিটি বাড়ি যাদের চেনা তারা হলেন গ্রাম পুলিশ। তাই গ্রাম পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাহিনী। কিন্তু এই বাহিনীর সদস্যরা তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে ভয় পান। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের গ্রাম পুলিশ বাহিনীকে আরো আধুনিকায়ন ও চৌকস করতে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে আসছে। তাই আগামীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট গ্রাম পুলিশ বাহিনীর কোন বিকল্প নেই। মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ থেকে লব্ধ জ্ঞান অক্ষরে অক্ষরে পালন ও প্রয়োগ করতে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন প্রধান অতিথি।


আরও খবর



নওগাঁয় পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ ও বিক্রয় চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

তরুণ ও যুব সমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয়ের অন্যতম প্রধান কারণ পর্নো গ্রাফি সংরক্ষণ ও বিক্রয় চক্রের ৩ জন সদস্যকে নওগাঁর আগ্রাদিগুন বাজার থেকে আটক করেছে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্পের অভিযানিক দল।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশনাল দল ২০ এপ্রিল নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট থানাধীন আগ্রাদিগুন বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পর্নো গ্রাফি ভিডিও সংরক্ষণ ও সরবরাহকারী ১। মোঃ মাসুদ রানা (২৮), পিতা-রায়হান কবীর, সাং-আওয়ালদিঘী, ২। মোঃ আতোয়ার হোসেন (৩৮), পিতা-মৃত তমিজ উদ্দিন, সাং-আওয়ালদিঘী, ৩। মোঃ নুরুজ্জামান (৩০), পিতা-নুর ইসলাম, সাং-উত্তর কাশিপুর, সকলের থানা-ধামুইরহাট, জেলা-নওগাঁ কে আটক করেন।

আটককৃতরা নওগাঁ জেলার ধামুইরহাটের আগ্রাদিগুন বাজারস্থ তাদের দোকানের নিজস্ব কম্পিউটার এর হার্ডডিস্কে অশ্লিল সিনেমা ও গানের ভিডিও ক্লিপ আপলোড ব্যবসার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ করে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে স্থানীয় কিশোর ও স্কুল পডুয়া ছাত্রদের কাছে পর্নোগ্রাফি ভিডিও সরবরাহ করত বলে জানিয়েছেন র‌্যাব।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল অশ্লিল সিনেমা ও গানের ভিডিও ক্লিপ আপলোড ব্যবসার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি সরবরাহের বিষয়টি তদন্ত শুরু করে এবং তদন্তে এর সত্যতা পেয়ে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর একটি অভিযানিক দল ধামুইরহাট থানাধীন আগ্রাদিগুন বাজারস্থ পর্নোগ্রাফি ভিডিও সংরক্ষণ ও সরবরাহকারীদের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত পর্নোগ্রাফি ব্যবসায়ীদেরকে আটক করেন।

পরে আটককৃত আসামীদেরকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন র‌্যাব।


আরও খবর



ঝড়-বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়েছে সিলেট নগরী। আবারও সিলেটে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি একই গতিতে চট্টগ্রাম অঞ্চলেও ঝড়ে আশঙ্কা রয়েছে। এসব এলাকার নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসের এসব তথ্য জানা যায়।

রোববার (৩১ মার্চ) রাতে সিলেট নগরে তাণ্ডব চালায় কালবৈশাখী ঝড়। এ সময় পড়ে শিলাবৃষ্টিও। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলা দমকা হাওয়ায় অনেক বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর শিলাবৃষ্টিতে গাড়ির গ্লাস ও টিনের চাল ফুটো হয়ে যায়।

এদিকে সোমবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

প্রথম দিনের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে-চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও রাতে সামান্য কমবে।

নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। এ ছাড়া জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে এসব অঞ্চলে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

দ্বিতীয় দিনে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্য জায়গায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়বে।

তৃতীয় দিনে সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়বে।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




মেঘনায় ঢাকাগামী লঞ্চে আগুন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ভোলা থেকে রাজধানী সদরঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ কর্ণফুলী-৩ এ আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে ৭ যাত্রী আহত হয়েছেন। অনেকে আতঙ্কে নদীতে লাফিয়ে পড়েন। পরে লঞ্চটি চাঁদপুরের হাইমচর সংলগ্ন আবাল বিল নামে একটি চরে নোঙর করা হয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে হাইমচর সংলগ্ন আবাল বিল চর এলাকার মেঘনা নদীতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের সহকারী মাস্টার মো. রইচ উদ্দিন সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কয়েক শ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটের দিকে লঞ্চটির ইঞ্জিনরুমে হঠাৎ করে আগুন লেগে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে লঞ্চটি আবাল বিল চরে নোঙর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

সহকারী মাস্টার আরও জানান, আগুন লাগার পরই তা পুরো ইঞ্জিনরুমে ছড়িয়ে পড়ে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের সহায়তা চাওয়া হয়। চরে নামিয়ে দেওয়া যাত্রীদের কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ ঢাকায় নিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

এদিকে লঞ্চটিতে থাকা মনিরুল ইসলাম রুবেল নামে এক যাত্রী জানান, আগুন লাগার খবরে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ইঞ্জিনরুমসহ লঞ্চের নিচতলা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে।

ভোলা জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর হোসাইন জানান, ঘটনাটি জানার পর তিনি কোস্টগার্ডকে বিষয়টি অবগত করেছেন। চাঁদপুরের একটি কোস্টগার্ড টিম ঘটনাস্থলে যাবে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ঘটনাস্থল ভোলার বাইরে, সেজন্য এখনো নিশ্চিত করে ঘটনার বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব না।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




৪২ ডিগ্রিতে উঠতে পারে তাপমাত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগ এবং দুই জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। যা অব্যাহত থাকতে পারে আরও কয়েকদিন। এই সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এ বছর এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহে পুড়ছে প্রায় সারাদেশ।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রায় প্রতিবছরই এপ্রিল মাসে গড়ে সাধারণত দুই-তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ও এক-দুটি তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। তবে এ বছরের তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল বিগত বছরগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

এর মধ্যেই সোমবার (১৫ এপ্রিল) পটুয়াখালির খেপুপাড়ায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গাতেও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

দেশজুড়ে চলমান এই তাপপ্রবাহ এপ্রিল মাসের বাকি সময়জুড়েও থাকবে বলেও জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে। মাঝখানে বৃষ্টির কারণে কিছুটা সময় তাপমাত্রা সহনীয় ছিল। ১১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে, যা এ মাসজুড়েই অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, এপ্রিল মাসের বাকি সময়জুড়ে দেশে তাপপ্রবাহ থাকবে। তবে কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে। এ মাসে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠার আশঙ্কা রয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, লেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে।

এছাড়াও আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ২০ এপ্রিলের পর দেশের কোথাও কোথাও স্থানীয়ভাবে অস্থায়ীভাবে দমকা বাতাস, ঝোড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী ও বজ্রপাত হতে পারে, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে।

উল্লেখ্য, তাপপ্রবাহকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। কোনো স্থানের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা যখন ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তাকে বলে মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর, তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে আবার বলে তীব্র তাপপ্রবাহ।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মতে, কোনো জায়গার দৈনিক যে গড় তাপমাত্রা, সেটি পাঁচ ডিগ্রি বেড়ে গেলে এবং পরপর পাঁচদিন তা চলমান থাকলে তাকে হিটওয়েভ বা তাপপ্রবাহ বলা হয়।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪