Logo
শিরোনাম

বিএনপি গুজব ছড়াচ্ছে আর কিছু মিডিয়া অপপ্রচারে নেমেছে: কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ |

Image



বিডি টুডে ডেস্ক রিপোর্ট:


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ফখরুলরা গুজব ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ঢালাওভাবে দুর্নীতির অভিযোগ আনছে। 


পুলিশকেও ঢালাওভাবে আক্রমণ করছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও তাদের সেই মতলব আছে। বিএন‌পি আজকে গুজব ছড়িয়ে আমাদেরকে দুর্নীতিবাজ দল হিসেবে পরিচিত করার চক্রান্ত করছে। কিছু কিছু মিডিয়া সেই অপপ্রচারে নেমেছে ।



শুক্রবার (২১ জুন) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রার উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে তিনি এ কথা বলেন।



 আওয়ামী লীগের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রাটি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়। এটি শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড ও মিরপুর রোড হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি-বিজড়িত বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।



নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকারও নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে আবার মাঠে নেমে আগুন সন্ত্রাস, খুনের রাজনীতি করলে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দেবে।


 আওয়ামী লীগ কচুপাতার ওপর শিশির বিন্দু নয় যে একটু টোকা লাগলেই পড়ে যাবে। বিএনপি ভুয়া। ভুয়া দলের ভুয়া আন্দোলনে জনগণ নেই, আগেও ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তি দিয়ে চ‌লে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মাথা নত করার দল নয়।


বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলন করবেন... ২৮ অক্টোবরের মতো পালিয়ে যাবেন না তো? আপনাদের আন্দোলন তো ভুয়া। বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। বিএনপির আন্দোলন, বিএনপি নেতৃত্ব, বিএনপির এক দফা, বিএনপি দল সব ভুয়া। ভুয়া দলের ভুয়া আন্দোলনে জনগণ নেই। আগেও ছিল না, এখনো নেই, ভবিষ্যতে থাকবে না। 


যে আন্দোলনে জোয়ার হয় না, সেই আন্দোলন কোনো আন্দোলন নয়। আজকে আন্দোলনের নামে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, খুনের রাজনীতি শুরু করেছে। আমরা রাজপথে আছি জবাব, দিতে প্রস্তুত।



আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।



এছাড়া ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ,  ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম,  ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজ‌লে শামস পরশ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



আরও খবর



হার্ভার্ডের ২.৩ বিলিয়ন ডলারের অনুদান স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বেশ কিছু দাবি সোমবার প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ বলেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবিগুলো মানা হলে তা বিশ্ববিদ্যালয়টির নিয়ন্ত্রণ একটি রক্ষণশীল সরকারের কাছে হস্তান্তর করত। এটি সেই সরকার, যে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিপজ্জনকভাবে বামপন্থি হিসেবে চিত্রিত করছে।

হার্ভার্ডের এমন অবস্থান গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মাথায় ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দেয়, তারা বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করছে।

গতকাল হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গার্বার এক চিঠিতে লিখেছেন, ক্ষমতায় যে দলই থাকুক না কেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী পড়াতে পারবে, কাকে ভর্তি করতে পারবে, কাকে নিয়োগ দিতে পারবে, অধ্যয়ন ও অনুসন্ধানের কোন ক্ষেত্রগুলো অনুসরণ করতে পারবে, তা কোনো সরকারেরই নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত নয়।


আরও খবর



তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ |

Image

নতুন তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের দাম কমছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের ইন্টারনেটের দাম কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। সোমবার ফয়েজ আহমদ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান।

তিনি লিখেছেন, ফাইবার অ্যাট হোম কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা তাদের আইটিসি পর্যায়ে ১০ শতাংশ, আইআইজি পর্যায়ে ১০ শতাংশ ও এনটিটিএন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ দাম কমাবে।

ফয়েজ আহমদ তার পোস্টে লিখেছেন, এর আগে আইএসপি লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোম্পানিগুলোর সংগঠন ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট প্রদানের নিশ্চয়তা দিয়েছে। তারও আগে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানি তাদের সব আইআইজি ও আইএসপি গ্রাহকদের জন্য ১০ শতাংশ এবং পাইকারি গ্রাহকদের জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশসহ মোট ২০ শতাংশ দাম কমিয়েছে। এ নিয়ে ইন্টারনেট সেবায় লাইসেন্সের ধাপে ধাপে মোট তিন থেকে চারটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফয়েজ আহমদ দেশের তিনটি বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের দাম কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, বাকি আছে শুধু মোবাইল সেবাদাতা তিনটি বেসরকারি কোম্পানির দাম কমানোর ঘোষণা। ইতোমধ্যেই সরকার মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ডিডব্লিউডিএম (নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণের যন্ত্র— ডেন্স ওয়েভলেংথ ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং) ও ডার্ক ফাইবার সুবিধা প্রদান করেছে। এ অবস্থায় বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেটের দাম না কমানোর কোনো ধরনের যৌক্তিক কারণ কিংবা অজুহাত অবশিষ্ট থাকে না।

ফয়েজ আহমদ লিখেছেন, সরকার মোবাইল অপারেটরগুলোকে পলিসি সাপোর্ট দিয়েছে। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্তরগুলোতে পাইকারি পর্যায়ে ইন্টারনেটের দামও কমিয়েছে। এখন তাদের জাতীয় উদ্যোগে শরিক হওয়ার পালা। মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানোর পদক্ষেপে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিও সামান্য কিছুটা কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ফয়েজ আহমদ উল্লেখ করেন, ঈদুল ফিতরের দিন থেকে সরকারি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটক ১০ শতাংশ মূল্য ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে।

ফয়েজ আহমদ বলেন, সরকার আশা করে, অতি দ্রুতই তিনটি বেসরকারি মোবাইল কোম্পানি অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে মোবাইল ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর ঘোষণা দেবে। সরকার এখানে দুই ধরনের মূল্য ছাড় আশা করে। প্রথমত, মার্চ মাসে এসআরও অ্যাডজাস্টমেন্ট বাবদ মোবাইল কোম্পানিগুলো যে মূল্য বাড়িয়েছিল, সেটা কমাবে। সরকার শুল্ক বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়ে তা থেকে সরে এসেছে। কিন্তু সেই মতে বর্ধিত মূল্য কমায়নি মোবাইল কোম্পানিগুলো। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক গেটওয়ে/আইটিসি, আইআইজি ও ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন পর্যায়ে যতটুকু পাইকারি দাম কমানো হয়েছে, তার সমানুপাতিক হারে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমবে।

প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী বলেন, বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের মানে ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে। মানের তুলনায় দাম অনেক বেশি। এমতাবস্থায় গ্রাহকস্বার্থে যৌক্তিক পদক্ষেপ নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


আরও খবর



নওগাঁয় ২৪ ঘন্টার মধ্যেই হত্যা রহস্য উদর্ঘাটনসহ মূলহোতাকে আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দা থানা পুলিশ মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আব্দুর জব্বার হত্যা রহস্য উদঘার্টন পূর্বক মূলহোতাকে আটক করেছে। একই সাথে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি লাঠি উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে মান্দা থানাধীন কশব মধ্যপাড়া তালপুকুরিয়া বিলের মাঝে ধান ক্ষেতের ভেতর অর্ধ-গলিত এক ব্যাক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে লোকজন থানায় খবর দিলে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রির্পোট অন্তে মৃতদেহটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করার পাশাপাশি হত্যা রহস্য উদঘার্টনেও কাজ শুরু করেন মান্দা থানা পুলিশের চৌকস টিম এবং মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঐ দিন 

বুধবার রাতে মান্দা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কশব ভোলাগাড়ী বাজার এলাকা থেকে আব্দুল জব্বার হত্যার মূলহোতা আমিনুল ইসলাম বুলবুল (২২) কে আটক পূর্বক জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আমিনুল ইসলাম বুলবুল আব্দুল জব্বারকে লাঠিদিয়ে আঘাত করে হত্যায় দায় শিকার করেন পুলিশের কাছে। আটককৃত আমিনুল ইসলাম বুলবুল এর দেওয়া তথ্য ও দেখানো মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত লাঠিও উদ্ধার করেছেন পুলিশ। 


আটককৃত যুবক আমিনুল ইসলাম বুলবুল হলেন, মান্দা থানাধীন কশব ভোলাগাড়ী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। আর হত্যাকান্ডের শিকার আব্দুল জব্বার হলেন, মান্দা উপজেলার নূরুল্যাবাদ গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে। তিনি গত শুক্রবার বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন এমনকি তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিলো। এব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান প্রতিবেদককে জানান, আব্দুল জব্বারের মৃতদেহ উদ্ধারের পরই মৃত্যু রহস্য উদঘার্টনে পুলিশ কাজ শুরু করে এবং ঐ দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে আটক করার পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং

লাঠির আঘাতে আব্দুল জব্বারের মৃত্যু হয়েছে বলেও পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তার স্বীকারোক্তি ও তার দেখানো স্থান থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। 

এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জাহানারা বিবি বাদি হয়ে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করে জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য বৃহস্পতিবার আমিনুল ইসলাম বুলবুল কে নওগাঁ বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে চীনের বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনের দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

চীনের উপহারের একটি হাসপাতাল দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্মাণ এবং ভাঙ্গা-কুয়াকাটা ৬ লেন সড়ক বাস্তবায়নের দাবিতে নলছিটি বাসস্ট্যান্ডের চায়না কবরস্থানের সামনে মানববন্ধন ও বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

২২ এপ্রিল, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় স্থানীয় সাধারণ মানুষ এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে বক্তব্য রাখেন ইজিবাইক শ্রমিক নেতা আল-আমিন হাওলাদার, বিডি ক্লিন সমন্বয়কারী মারজান, সমাজকর্মী বালী তূর্য প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়কের পাশে নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকায় অথবা কুমারখালি মরা নদীর ১২০ একর খাসজমিতে চীনের উপহারে একটি ১০০০ শয্যার “চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল” স্থাপন সময়ের দাবি। তারা আরও বলেন, মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ৬ লেন সড়ক বাস্তবায়ন এই অঞ্চলের পর্যটন, ব্যবসা ও সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।

সমাজকর্মী বালী তাইফুর রহমান তূর্য তার বক্তব্যে বলেন, ভারত সবসময় বন্ধু পরিচয়ে আমাদের শোষণ করেছে, কিন্তু চীন বরাবরই বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে পাশে থেকেছে। নলছিটির সঙ্গে চীনের সম্পর্ক প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো—যার সাক্ষ্য মেলে “চায়না বাজার”, “চায়না ফিল্ড” এবং “চায়না কবর” এর অস্তিত্বে।

জনশ্রুতি অনুযায়ী, সপ্তম শতাব্দীতে চীনের তাং রাজবংশের এক ব্যবসায়ী নলছিটিতে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন এবং তাঁকে চায়না ফিল্ড সংলগ্ন স্থানে দাফন করা হয়। সেই কবরস্থান আজও স্থানীয়রা শ্রদ্ধার সঙ্গে সংরক্ষণ করে আসছেন।

এছাড়া বক্তারা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, দপদপিয়া এলাকাটি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে সংযুক্ত ও একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ কেন্দ্রস্থল হওয়ায় হাসপাতাল নির্মাণের জন্য উপযুক্ত স্থান। তারা জানান, হাসপাতাল স্থাপনে জমি ও স্থানীয় সহযোগিতা প্রদানে নলছিটির জনগণ প্রস্তুত রয়েছে।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসে প্রেরণ করা হয়। প্রায় শতাধিক লোকের অংশগ্রহণে এই কর্মসূচি ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



পাচারের ২৫ বিলিয়ন ডলার ফেরাতে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ |

Image

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিপুল অর্থ দেশে ফেরত আনতে ব্যাপক প্রচেষ্টা জারি রেখেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার তীব্র বিক্ষোভের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। হাসিনার আমলে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক অভিজাতদের বিদেশে পাচার করা বিপুল সম্পদ অনুসন্ধানে অভিযান শুরু করেছেন ড. আহসান এইচ মনসুর।

‘বাংলাদেশ আপ এগেইনস্ট টাইম টু ফাইন্ড স্টোলেন বিলিয়নস: সেন্ট্রাল ব্যাংক গভর্নর’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অনলাইন আল জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটির ইনভেস্টিগেটিভ ইউনিটকে (আই-ইউনিট) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। সাক্ষাৎকারে আহসান মনসুর বিদেশে পাচার হওয়া বিপুল অর্থ দেশে ফেরত আনার বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন।

বাংলাদেশের ১১টি প্রভাবশালী পরিবারকে টার্গেট করে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করে আল জাজিরা বলছে, প্রভাবশালী এসব পরিবারের বিরুদ্ধে গত এক দশক ধরে বৃটেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে কোটি কোটি ডলার পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। যাদের সম্পদের সন্ধানে ১১টি বিশেষজ্ঞ দলও গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রশ্নবিদ্ধ এ সম্পদের পরিমাণ আঁতকে ওঠার মতো। ১১টি পরিবারের মধ্যে একটির বিরুদ্ধেই ১৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে একটি ব্যাংক থেকে প্রায় ৯০ শতাংশ আমানতই তুলে নিয়ে গেছে তারা। ফলত ব্যাংকটি প্রায় ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।

আহসান মনসুর, আইএমএফ-এর সাবেক অর্থনীতিবিদ। পাচারকৃত অর্থ দ্রুত উদ্ধার করা নিয়ে তিনি বেশ উদ্বিগ্ন। কেননা, দ্রুত সন্ধান না পেলে বেশিরভাগ অর্থ হাওয়া হয়ে যেতে পারে।

আল জাজিরাকে তিনি বলেছেন, আমরা জানি সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, সম্পদের পরিমাণ কমে যেতে পারে। আহসান মনসুরের সন্ধান কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ব্রিটেন। বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া আনুমানিক ২৫ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ উদ্ধার এবং জব্দ করার জন্য ইতোমধ্যেই ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কমনওয়েলথ দফতর এবং লন্ডনের আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বাংলাদেশ।

আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, উল্লিখিত পরিবারগুলোর অনেকেরই এখানে বহু সম্পদ রয়েছে, বিশেষ করে লন্ডনে।

তিনি বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো আমরা এই সচেতনতা তৈরি করতে চাই যে, বিশ্ব থেকে চুরি হওয়া সম্পদের প্রিয় হচ্ছে ব্রিটেন। আর বাংলাদেশ সেই দেশগুলোর মধ্যে একটি যেখান থেকে এখানে প্রচুর চুরি হওয়া সম্পদ এসেছে।

এর আগে আল জাজিরার আই-ইউনিটের এক খবরে প্রকাশ করা হয়েছে যে, হাসিনার সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর একারই লন্ডন এবং দুবাইতে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থের সম্পদ রয়েছে। আই-ইউনিটের ওই খবরটি গত বছর প্রকাশ করা হয়। ব্রিটেনে সাইফুজ্জামান এবং তার পরিবারের ৩৬০টির বেশি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই লন্ডনে। বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন ইতোমধ্যেই সাইফুজ্জামানের ৪০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে এবং তাকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আর সাইফুজ্জামানের বিদেশে থাকা সম্পত্তি দ্রুত জব্দ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যেন সেগুলো বিক্রি করতে না পারে।

যদিও সাইফুজ্জামানের দাবি হচ্ছে আগের সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ‘ডাইনি হান্ট’ শুরু করা হয়েছে। তার সম্পদ বৈধভাবে উপার্জন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক যখন এসব সম্পদ জব্দ করার দিকে মনোনিবেশ করেছে তখন আহসান মনসুর চাচ্ছেন, ব্রিটেন এবং অন্যান্য জায়গায় এসব অভিজাত পরিবারের কোটি কোটি ডলার পাচারে সহায়তাকারী আইনজীবী, ব্যাংকার এবং এস্টেট এজেন্টদেরও তদন্তের আওতায় আনা হোক।

মনসুর বলেছেন, আইন লঙ্ঘন করে অপরাধীদের পুনর্বাসনে সহায়তা করছে এমন এজেন্ট বা ব্যাংক অপারেটর সংখ্যা অনেক। এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

গভর্নর জানিয়েছেন, পাচারকৃত অর্থের নিয়ন্ত্রণ পেতে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তিনি স্বীকার করেছেন যে, কর্তৃপক্ষের কাজের মাত্রা এবং জটিলতা নিয়ে লড়াই করার কারণে অর্থ উদ্ধার কার্যক্রম কিছুটা ধীরগতিতে এগোচ্ছে। তবে বৃটেন সরকার এক্ষেত্রে সহায়তা করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এসব অপরাধী চক্রের মূল হোতার বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহের জন্য বিদেশে অর্থ পাচারে সহায়তাকারীদের সঙ্গে দর কষাকষি করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। এমনকি হারিয়ে যাওয়া অর্থ বাংলাদেশে ফেরত আনতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরিকল্পনাও রয়েছে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিবর্তনের পর পাচারকৃত কোটি কোটি ডলার উদ্ধারের কার্যক্রম পরিচালনা জটিল হয়ে পড়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) তহবিল স্থগিত করে দেওয়ার ফলে বাংলাদেশে যে তদন্তকারী সংস্থা কাজ শুরু করার কথা ছিল তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের পূর্ণ শক্তিতে ঢাকায় থাকার কথা ছিল। তাদেরকে ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়েছে। তবে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আর আসতে পারেনি। যা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।


আরও খবর