Logo
শিরোনাম

বিএনপি পাকিস্তানের দোসর হয়ে জনগণকে শোষণ করত: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image



ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :


বিএনপি পাকিস্তানের দালাল হয়ে জনগণকে শোষণ ও অত্যাচার করত বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। 


তিনি বলেন, বিএনপির সময় ঋণখেলাপির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ছিল।


শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার বনগজ-কৃষ্ণনগর সড়কের তিতাস নদীর উপর নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।



আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তাদের সরকারের আমলে যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকার-আল বদরদের সঙ্গে মিলে পাকিস্তানের দালাল হয়ে বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ ও অত্যাচার করত। আর এখন জনগণের উন্নয়ন হচ্ছে তা মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতাদের সহ্য হচ্ছে না। সে জন্য তাদের মাথা খারাপের অবস্থা হয়েছে।


মন্ত্রী বলেন, ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনটি ছিল (১৭ মে) বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বপ্ন দেখার দিন, নতুন ভবিষ্যৎ গড়ার যে স্বপ্ন সেই স্বপ্ন দেখার দিন। শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের আজকের ১৭ মে বাংলাদেশে ফিরে এসে মানুষ যে স্বপ্ন দেখত মানুষকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছে শেখ হাসিনা মানুষের সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। 


এইজন্য ১৯৮১ সালের ১৭ই মে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে গাঁথা থাকবে।



এসময় আরও উপস্থিত আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মোমিন বাবুল, ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিকুল ইসলাম সাফিসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দাবি করা হয়েছে, নেতানিয়াহুর বিমানটি অধিকৃত অঞ্চলের বাইরে অজানা স্থানে চলে গেছে। ইরানের বিরুদ্ধে হামলার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অজানা স্থানে, সম্ভবত গ্রিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুক্রবার হিব্রু সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২-এ খবর জানিয়েছে। তেল আবিব থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

গতকাল ভোর থেকে ইসরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানের আশপাশে এবং অন্যান্য শহরে ধারাবাহিক সামরিক হামলা শুরু করে। এরপর ইরানের সশস্ত্র বাহিনী প্রতিশোধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই অবস্থায় নেতানিয়াহুর অজানা স্থানে চলে যাওয়ার খবর এলো।

ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনার প্রতিবেদন অনুসারে, চ্যানেল-১২ নেতানিয়াহুর বিমানের একটি ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, দুটি যুদ্ধবিমান তাকে পাহারা দিয়ে ইসরাইলি অঞ্চলের বাইরে একটি অজানা স্থানে নিয়ে যাচ্ছে।

পরে আরেক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নেতানিয়াহুকে বহনকারী বিমানটি গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে অবতরণ করেছে।


আরও খবর



ড. ইউনূস ও তার কিছু পোষা স্টুডেন্ট ছাড়া সবাই নির্বাচন চায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ড. ইউনূস ও তার কিছু পোষা স্টুডেন্ট ছাড়া সবাই নির্বাচন চায়। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চায়। নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত সকল দল নির্বাচন চায়। বিদেশিরাও নির্বাচন চায়। নির্বাচন চায়না শুধু এ সরকার।

রাজনীতিবিদদের হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে জানিয়ে বিএনপির নেত্রী রুমিন বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় যেমন রাজনীতিবিদদের চরিত্র হরণ করা হচ্ছিল, আমি গত কয়েকমাস ধরে দেখতে পাচ্ছি এমন। যখন আমরা আন্দোলন করেছি, তখন এরা ছাত্রলীগ হয়ে লুকিয়ে ছিল ভাই। এরা জায়গায় জায়গায় ছাত্রলীগ হয়ে লুকিয়ে ছিল। তখন নুরুল হক নুরু মার খেয়েছে, আমি সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, সাকি ভাই তখন আন্দোলন করেছে। মার খেয়েছে, রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে, এসব দিন আমরা পার করেছি। তো এখন তারা আমাদের কথায় কথায় ভারতের দালাল, -এর এজেন্ট এসব বলে।

রুমিন ফারহানা বলেন, একটা দেশে ড. ইউনূস ও তার কিছু পোষা স্টুডেন্ট ছাড়া সবাই নির্বাচন চায়। প্রশাসন নির্বাচন চায়, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চায়। নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত সকল দল নির্বাচন চায়। বিদেশিরাও নির্বাচন চায়। নির্বাচন চায়না শুধু এ সরকার।

বিনিয়োগ কমে যাওয়ার বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, এ সরকার না ওপরে ওপরের জিনিসগুলো খুব ভাল দেখায়। আশিক চৌধুরীকে নিয়ে এসে একটা চমৎকার প্রেজেন্টেশন দিলো। কিন্তু রিপোর্টে দেখা গেল, ২৬ শতাংশ বিনিয়োগ কমে গেছে। গত বছরের ৯ মাসের সঙ্গে এ মাসের ৯ মাস তুলনা করলে ২৬ শতাংশ কমেছে বিনিয়োগ।

অনুষ্ঠানের শেষের দিকে রুমিন ফারহানা বলেন, আমি শুধু একটা কথাই বলব। নির্বাচিত অতি খারাপ সরকারও অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে বেটার হয়।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে ঊর্ধ্বগতি

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত শনিবার সন্ধ্যায় হামলার পরের দিন রবিবার রাতেই মার্কিন শেয়ারবাজারে তেলের ফিউচার দাম বেড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্য ৩ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি ব্যারেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৭৬ দশমিক ৪৭ ডলার। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হিসেবে পরিচিত ব্রেন্ট তেলের দাম ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭৪ দশমিক ৫৯ ডলার।

তবে শেয়ারবাজারে সার্বিকভাবে বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। ডাও ফিউচারস সূচক ২৫০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ফিউচারস এবং নাসডাক ফিউচারস— উভয় সূচকই প্রায় শূন্য দশমিক ৬ থেকে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।

এদিকে বিশ্ববাজারে এই অস্থিরতার মধ্যেই মার্কিন ডলারের মান বেড়েছে প্রায় শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। বৈশ্বিক সংকট ও অনিশ্চয়তার সময়ে ডলারের মান সাধারণভাবে বৃদ্ধি পায়। তবে, ট্রাম্প প্রশাসনের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির কারণে এই প্রবণতা এবার কতটা স্থায়ী হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে নতুন মাত্রা ও মার্কিন পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় বাজারে উদ্বেগ বাড়ছে, যার প্রভাব সরাসরি জ্বালানি ও বিনিয়োগ খাতে পড়ছে।

গতকাল বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।

এই প্রণালি বন্ধ থাকলে বিশ্ববাজারে তার বড় প্রভাব পড়বে। বিশ্বের মোট জ্বালানি তেলের প্রায় ২০ শতাংশ এই প্রণালি দিয়েই পরিবহন করা হয়।


আরও খবর



মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী। সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা-রাত-মধ্যরাত সারাক্ষণই শুধু মশা, মশা আর মশা। শত শত মশা, লাখ কোটি মশা। মশা নিধনের যেন কোনো কর্তৃপক্ষ নেই। একমাত্র কর্তৃপক্ষ সিটি করপোরেশন নির্বিকার। মশা দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কামড়ানো আর রক্তচুষার কাজ। 

গুলশানের লেকপাড় এলাকার বাসিন্দা নাহিদ হাসান একটি অ্যাপার্টমেন্টের ছয়তলায় থাকেন। সেখানে মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। বললেন, মশা দিনের বেলায়ও গুনগুন করে। ছয়তলার ফ্ল্যাটে দরজা-জানালা বন্ধ করলেও মশার যন্ত্রণায় দিনের বেলায় স্প্রে করতে হয়। তার পরও মশার গান থামে না।

পল্লবীর রূপনগর এলাকায় মুদি দোকান করেন মফিজুর রহমান। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দোকান খোলা থাকে। সমকালকে তিনি বলেন, সকালে দোকান খোলার সঙ্গে সঙ্গে কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হয়। তার পরও নিস্তার নেই। অবস্থাটা এমন, যেন কয়েলের ওপরেই মশা বসে থাকে।

পল্লবীর আরেক বাসিন্দা বিকাশ চন্দ্র রায় বলেন, বিকেল হতেই মশা জেঁকে বসে। সাততলার ওপরেও মশা। মশক কর্মীদের এখন তেমন দেখাই যায় না।

বস্তি এলাকার চিত্র আরও খারাপ। কড়াইল বস্তির রাসেল মিয়া বলেন, শীত শেষ হতেই মশার যন্ত্রণা বেড়েছে। দিনে মশা। যখন সাহ্রি খাইতে উঠি, তখনও মশা। বস্তিতে তো কয়েল সব সময় লাগানো যায় না; কখন কী হয়! তাই ঘরে থাকলে মশারির মধ্যেই থাকতে হয়।

রাজধানীর অধিকাংশ এলাকার চিত্র এমনই। এর মধ্যে শনির আখরা, রায়েরবাগ, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর, মাণ্ডা, মুগদাপাড়া, খিলগাঁও, পুরান ঢাকার কিছু এলাকা, মিরপুর, গাবতলী, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, আদাবর ও রামপুরার পরিস্থিতি বেশি খারাপ।

রাজধানীতে ভয়াবহভাবে মশার উৎপাত বাড়লেও দুই সিটি কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। কার্যকর তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ নগরবাসীর। রাজধানীর শনির আখরা বাসিন্দা রোকন মিয়া বলেন, আগে মশার ওষুধ না দিলে কাউন্সিলর অফিসে যাইতাম। এখন মশার ওষুধ দেয় না। কোথায় যাব, সেটাও জানা নাই। 
মিরপুরের বাসিন্দা দিদার একই কথা বললেন,
আগে প্রতি সপ্তাহে মশার ওষুধ ছিটানো হতো। কিন্তু এখন নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে না।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে পালিয়ে যান সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলররা। পরে অন্তর্বর্তী সরকার মেয়র ও কাউন্সিলরের স্থলাভিষিক্ত করে আমলাদের। তবে ছয় মাসেও শৃঙ্খলা ফেরেনি নগর ভবনে। আগে মেয়র ও কাউন্সিলররা নগরীর মশক নিধন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম দেখভাল করতেন। এখন প্রশাসক ও আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের ঘাড়ে এই মহাকর্মের ভারে এ কার্যক্রম অনেকটাই স্থবির। জনপ্রতিনিধি না থাকায় ওয়ার্ড পর্যায়ে মশক নিধন কার্যক্রমে মাঠে নেই মশক কর্মীরাও। 

এরই মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত চার মাসে কিউলেক্স মশার ঘনত্ব বেড়েছে। জানুয়ারিতে প্রতিদিন গড়ে তিন শতাধিক প্রাপ্তবয়স্ক মশা ফাঁদে ধরা পড়েছে, যা অক্টোবর ও নভেম্বরে ছিল দুইশর কম। মশার ঘনত্ব বেশি পাওয়া গেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উত্তরা, দক্ষিণখান ও মিরপুর এলাকায়।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এ ধারা অব্যাহত থাকলে বেড়ে চরমে পৌঁছাবে। তারা বলছেন, মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণে গত বছর এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে দুই সিটিতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা ২২ বছরের রেকর্ড ভেঙে দেয়।  মাসের মাঝামাঝি থেকে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে মশা জন্মানোর হারও বেড়েছে। তাই অতি জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ না নিলে মার্চ মাসেই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে শুরু করবে। 

গত জানুয়ারিতে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ মশা গবেষণার জন্য রাখা ফাঁদে ধরা পড়ছে। রাজধানীর চার এলাকার পাঁচ স্থানের মধ্যে উত্তরায় মশা সবচেয়ে বেশি।

সেখানে জানুয়ারিতে প্রতিদিন গড়ে ৪৫০ মশা ফাঁদে ধরা পড়েছে। ডিসেম্বরে একই ফাঁদে মশার সংখ্যা ছিল ৩০০। ফেব্রুয়ারিতে এ সংখ্যা আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষক। উত্তরার পর সবচেয়ে বেশি দক্ষিণখানে ৪১০টি এবং মিরপুরে ৩৫০টি প্রাপ্তবয়স্ক মশা ধরা পড়ছে। 

কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, মার্চে কিউলেক্স মশার ঘনত্ব অনেক বেশি হবে। এ ছাড়া তাপমাত্রা বাড়লে মশা জন্মানোর হারও বাড়বে। তিনি বলেন, অনেক দিন ধরে বৃষ্টিপাত না থাকায় মশা জন্মানোর স্থান যেমন ড্রেন, ডোবা, নালা-নর্দমায় জৈব উপাদান বেড়ে যায়। এগুলো মশার লার্ভার খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এতে বংশবিস্তার বেড়ে যায়। তাই অতি জরুরি ভিত্তিতে মশা জন্মানোর স্থানগুলো পরিষ্কার করে লার্ভা মারার জন্য কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

নগরবাসীর অভিযোগ, আগে সপ্তাহে একবার মশার ওষুধ ছিটালেও এখন এক মাসেও তাদের দেখা যায় না। তবে দুই সিটি করপোরেশন দাবি করছে, তারা প্রতিদিন মশার ওষুধ ছিটাচ্ছে। কিন্তু যে হারে মশার উপদ্রব বাড়ছে, তা নিধনে সিটি করপোরেশনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

উত্তর সিটির স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, চলতি অর্থবছরে মশা নিধনে প্রায় ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এর মধ্যে মশা নিধনে কীটনাশক কিনতে রাখা হয় ৬৫ কোটি টাকা। বাকি অর্থ ফগার, হুইল, স্প্রে মেশিন, পরিবহন, ব্লিচিং পাউডার ও জীবাণুনাশক এবং মশা নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রপাতি কিনতে বরাদ্দ রাখা হয়। এ টাকা দিয়ে ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভাষ্য একই রকম। কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।

নগরীতে পাঁচ শতাধিক খাল-ডোবা রয়েছে। এসব নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। আবার যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশকে নোংরা করে রাখা হয়। এসব থেকেও জন্ম নেয় নতুন মশা। মিরপুরের রূপনগর খাল, বাইশটেকি, মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খালসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি খাল ও জলাশয় ঘুরে দেখা যায়, ময়লা-আবর্জনা, প্লাস্টিক, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ফেলে খালগুলো ভরে ফেলা হয়েছে।

রূপনগর খালে পড়েছে আশপাশের এলাকার কয়েকটি ড্রেন। এসব ড্রেনও ময়লা-আবর্জনায় পূর্ণ। তাতে জন্ম নিয়েছে লার্ভা। মেথর প্যাসেজ এলাকা ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি। সেখানেও জন্ম নিচ্ছে মশা। মশক কর্মীরা সেখানে লার্ভিসাইডিং করলেও তাদেরই ঘিরে ধরে মশা। আবার এক দিন পরিষ্কার করে গেলে পরদিন একই অবস্থা।

উত্তর সিটি করপোরেশনের একজন মশক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা বাসাবাড়ির আশপাশে ফগিং আর সকালে মশা যেখানে জন্মায়, সেখানে লার্ভিসাইডিং করি। কিন্তু এক ভবন থেকে আরেক ভবনের মাঝখানে যে মেথর প্যাসেজের গলি থাকে, সেখানে প্রবেশ করা যায় না। সেখানে ময়লা ফেলে স্তূপ করে রাখা হয়। তাতে মশার ওষুধ দিলেও কাজ হয় না। আবার খোলা ড্রেনে ওষুধ দিলেও কিন্তু বক্স কালভার্টে দেওয়ার উপায় নেই। সেখানে ড্রেনের পিট খুললে হাজার হাজার মশা বের হয়। সেখানে এত পরিমাণ ময়লা ফেলা হয়, প্রবেশ করাই যায় না।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, মশা নিধনে আমরা নিয়মিত ক্রাশ প্রোগ্রাম, লার্ভিসাইড বা কীটনাশক প্রয়োগ করছি। কিন্তু তা তেমন কাজে আসছে না। 

তিনি বলেন, ড্রেন, ডোবা, নর্দমা, বিল-ঝিল-খালে পানির প্রবাহ নেই। এসব স্থানে দীর্ঘদিন মানুষ ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। এখানে লার্ভিসাইডিং ও ফগিং কোনো কাজে আসে না। একদিকে খাল-নর্দমা পরিষ্কার করলে আরেক দিকে ভরে যায়। এ ক্ষেত্রে নগরবাসীর সচেতনতা ছাড়া মশক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

দক্ষিণ সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. নিশাত পারভীন বলেন, কিউলেক্স মশা আগের চেয়ে বেড়েছে, এটা ঠিক। তবে মশা যাতে কমিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।


আরও খবর



বিশ্ব বাবা দিবসে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনুভূতি

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

‎মো. হৃদয় হোসাইন‎, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

‎পৃথিবীর অধিকাংশ ভালোবাসা উচ্চারিত হয় শব্দে, আবেগে, চোখের জল আর হাসিতে। কিন্তু কিছু সম্পর্ক আছে, যা প্রকাশিত হয় নিঃশব্দে—অভিনয়ের বাইরে, নিঃস্বার্থ আর নিরব ভালোবাসায়। এমনই এক সম্পর্ক—বাবা আর সন্তানের। বাবা, যিনি হয়তো আবেগপ্রবণ নন, কিন্তু তার জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্তে, প্রতিটি পরিশ্রমে সন্তান থাকে সবচেয়ে বড় প্রেরণা।

‎বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে দেশের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে  খোঁজার চেষ্টা করেছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস  সাংবাদিক মো. হৃদয় হোসাইন। 

‎বাবা আমার জীবনের প্রথম হিরো

‎বাবা আমার জীবনের প্রথম হিরো। আমি যখন হাঁটতে শিখিনি, তখনও তিনিই আমার পথের দিশারি ছিলেন। আজ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি, কিন্তু এখনো কোনো সমস্যায় পড়লে প্রথম মনে পড়ে বাবার কথা। তার নীরব ত্যাগই আমার জীবনের ভিত্তি। বাবার অনুপ্রেরণায় আমি এতোদূর আসতে পেরেছি। বাবা নামটিই নিরব এক ভালোবাসার উচ্চারণ। 

‎তামান্না

‎শিক্ষার্থী, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়  

‎বাবা আমার ছায়ার মতো সঙ্গী

‎আমার বাবা কখনো আমাদের সামনে আসেন না, নিজের আবেগ প্রকাশ করেন না। কিন্তু যখন প্রয়োজন হয়, তিনি ঠিক আমার পেছনে ছায়ার মতো দাঁড়িয়ে থাকেন। তিনি হয়তো বলেন না ‘ভালোবাসি’, কিন্তু তার প্রতিটি কাজই সে কথাটাই বলে দেয়, আরও দৃঢ়ভাবে। বাবারা খুব একটা প্রকাশ করেন না। তারা ফুলের তোড়া, কার্ড বা স্ট্যাটাসের ভাষায় নিজেদের ভালোবাসা বোঝাতে পারেন না। কিন্তু তাদের নিঃশব্দ পরিশ্রম আর ছায়ার মতো উপস্থিতিই সন্তানের জন্য সবচেয়ে বড় আশ্রয়।

‎ মীর মাহফুজারা রহমান

‎শিক্ষার্থী, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

‎আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি

‎বাবা হচ্ছেন আমার আত্মবিশ্বাসের উৎস। যেকোনো ব্যর্থতায় আমি যখন ভেঙে পড়ি, তিনি খুব অল্প কথায় আমাকে আবার নতুন করে দাঁড়াতে শেখান। জীবনে বহুবার হেরেছি, কিন্তু বাবার মুখটা মনে করে আবার উঠে দাঁড়িয়েছি।

‎রাকিবুল বাপ্পি

‎শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 

‎বাবা হলেন আমার প্রথম শিক্ষক ‎

‎বাবা শুধু  আমার অভিভাবক নন, আমার জীবনের শিক্ষকও। তিনি শিখিয়েছেন কীভাবে সম্মান করতে হয়, দায়িত্ব নিতে হয়, মানুষ হতে হয়। এখন বুঝি, তার শাসনের আড়ালে ছিল অগাধ ভালোবাসা। বিশ্ব বাবা দিবসে বাবাকে বলতে চাই, বাবা, আপনি আমাদের জীবনের নায়ক। আপনার অবদান কোনো দিবসে সীমাবদ্ধ নয়, তা আমার প্রতি নিঃশ্বাসে জড়িয়ে থাকে।

‎মো: ইথারুল ইসলাম‎, শিক্ষার্থী, বুয়েট


আরও খবর