Logo
শিরোনাম

বিএনপিকে মিডিয়া কাভারেজ বেশি দেওয়া হচ্ছে

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

রাজনৈতিক দলগুলোর মিডিয়া কাভারেজের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের তুলনায় বিএনপিকে বেশি প্রধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে মনে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমের উচিত বিরোধীদলের বিভিন্ন বক্তব্যের সঙ্গে সরকারি দলে বক্তব্য দেওয়া। কারণ সরকারি দলেরও তো তাদের নিজেদের বক্তব্য আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মিডিয়ায় বড় বড় কভারেজ হয়। আমাদের বড় বড় নেতাদের নামটাও বলে না। কিন্তু কোথাকার কোন সম্পাদক... কোন মহানগর নেতারাও! আশ্চর্য হয়ে যাই! মূল্যবোধের এত অবক্ষয় আমাদের দেশে। কল্পনা করতেও ভয় লাগে। আমরা তো পাই না। তাদের সাত আটজনকে দিয়ে তারপর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসে। তারপর আবার ত্রিশ সেকেন্ড দিয়েই শেষ। 

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘আপনি লক্ষ্য করবেন যে কি অবস্থা। এসব চ্যানেলগুলো শেখ হাসিনা দিয়েছেন। তারা আজকে কি আচরণটা করছে। অনেকেই...আমি সবার কথা বলবো না। তারপর বিভিন্ন মিডিয়া কিভাবে আজকে আচরণ করছে। গণমাধ্যম কি আচরণটা করছে? এই বিষয়টি আমাদের মনে হয় তাদের সাথে আলাপ করা উচিত।

সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা তাহলে কি পদ্মা করে ভুল করেছেন? করোনাকালে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়ে যেটা আমেরিকাও পারেনি। যেটা আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হার্টস নিজে স্বীকার করেছেন। সেটা করে ভুল করেছেন? শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভারসাম্যমূলক অবস্থায় রেখে কি ভুল করেছেন? মেট্রোরেল, মধুমতি সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল ঢাকা নারায়ণগঞ্জ শীতলক্ষ্য সেতু, এগুলো কিন্তু কাজ থেমে নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে অনেকগুলো উদ্বোধন হয়ে যাবে।’

‘ফ্লাইওভারই হয়েছে ২২টির মতো। আন্ডারপাস ৩০টির ওপরে। রূপপুর পরমাণু কেন্দ্র, হয়ে যাচ্ছে মাতারবাড়ি, পায়রা সমুদ্রবন্দর...এগুলো করে কি শেখ হাসিনা ভুল করেছেন। এগুলো করে কি তিনি ভুল করেছেন। উন্নয়নের কোনো মূল্য নেই? উন্নয়নের মূল্য আছে। আমরা দেখাবো। আগামী নির্বাচনে। মানুষ দুইটা বিষয়কে গুরুত্ব দেবে। শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সততা ও উন্নয়ন।


আরও খবর



২৩ নাবিকের মুক্তি যেকোনো সময়

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করা জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ২৩ নাবিক ও জাহাজের মুক্তিপণের দরকষাকষি শেষ পর্যায়ে। যে কোনও সময় মুক্তি মিলতে পারে।

ঈদের আগে নাবিকদের মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাদের দেশে আসতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।

এমন তথ্য জানিয়েছেন কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, নাবিক ও জাহাজের মুক্তি বিষয়ে জলদস্যুদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। যে কোনো সময় হয়তো ভালো খবর আসতে পারে।

জানা যায়, ভারত মহাসাগর থেকে এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই হওয়ার আট দিনের মাথায় তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে জলদস্যুদের সঙ্গে শুরু হয় আলোচনা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনা এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। জিম্মিদশার অবসান হতে পারে কয়েক দিনের মধ্যে। ঈদের আগেই নাবিকরা মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মুক্তি পাওয়ার পর ৫ থেকে ১০ দিন সময় লাগতে পারে নাবিকদের দেশে ফিরতে। কেননা তারা মুক্তি পাওয়ার পর তৃতীয় কোনো দেশ হয়ে দেশে ফিরবেন।

সূত্র আরও জানায়, বর্তমানে আলোচনা চলছে মুক্তিপণ নির্ধারণ ও প্রদানের প্রক্রিয়া নিয়ে। অতঃপর মুক্তিপণের অর্থ পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি পরিবহন সংস্থাকে নিয়োগ করা হবে। ওই পরিবহন সংস্থা নগদ ডলার কিংবা জলদস্যুদের চাহিদামতো মুদ্রায় পৌঁছে মুক্তিপণ পৌঁছে দেবে নির্ধারিত স্থানে।


আরও খবর



প্রচণ্ড গরমে পুড়ছে দেশ, বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

রাজধানীসহ সারাদেশই প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে পুড়ছে। প্রখর রোদের পাশাপাশি ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি মিলেছে না কোথাও। ছোট-বড় সবাই গরমে কাবু হচ্ছে। অনেক সময় আমাদের নিজেদের অজান্তেই দূষিত পানি ঢুকে যাচ্ছে পেটে, আর দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া।

হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাধারণ সময়ের তুলনায় এখন হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের অধিকাংশই শিশু। এমনকি ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে জনসমাগম বাড়লে হাসপাতালেও রোগী সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের অন্যতম ভরসা কেন্দ্র আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) হাসপাতালে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাধারণ সময়ে আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি থাকে ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ পর্যন্ত। তবে বর্তমানে হাসপাতালটিতে দৈনিক ৫শ থেকে ৬শ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।

হাসপাতালটির পরিসংখ্যান বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, গরমের কারণে স্বাভাবিকভাবেই সবার তৃষ্ণা বেশি থাকে, যার ফলে যেখানেই সে পানি পায় সেটিই খেতে চায়। যে কারণে গরম এলেই ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়।

জানা গেছে, রোববার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত একটা থেকে আজ (সোমবার) দুপুর পর্যন্ত আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালে আড়াইশো জনের মতো ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। এর আগে গত রোববার ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৩৪ জন, শনিবার ৫২৫, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রোগী ভর্তি হয়েছিল ৫৯৫ জন।

গত ১৫ দিন আগে পাতলা পায়খানার সঙ্গে জ্বর দেখা দেয় রাজধানীর শেওড়াপাড়া এলাকার সায়মা ভুঁইয়া নামে তিন বছরের এক শিশুকন্যার। এর একদিন পর স্থানীয় ফার্মেসি থেকে জ্বরের ওষুধ এনে খাওয়ানো হয়ে তাকে। এরপর সামান্য জ্বর কমলেও কমছিল না পাতলা পায়খানা। এরপর পাতলা পায়খানা কমার পর আবারও জ্বর আসে তার। সঙ্গে আবারও শুরু হয় পাতলা পায়খানা। এভাবে থেমে থেমে চলতে থাকে। এরমধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা নিলেও অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকে শিশু সায়মার। নিরুপায় হয়ে অবশেষে চিকিৎসা নিতে আসে আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে।

কর্তব্যরত চিকিৎসক শুরুতেই স্যালাইন দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেন। চিকিৎসক জানান, এরইমধ্যে অনেকটা সংকটাপন্ন অবস্থার মুখোমুখি হয়ে পড়েছে সায়মা। শরীরে রক্তের পাশাপাশি সোডিয়াম, পটাশিয়ামও আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। তবে সপ্তাহ খানেক চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠার ব্যাপারেও আশাবাদী কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।

এদিকে শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে শিশু সায়মার মা বলেন, শুরুতে মেয়ের ডায়রিয়া দেখা দেয়। সঙ্গে শুরু হয় জ্বর এবং প্রচণ্ড বমি। ১৫ দিন আগে যখন ডায়রিয়া দেখা দেয়, তখন থেকেই তার জ্বর। তবে মাঝখানে জ্বর ছাড়ে, আবার আসে। এরকম কয়েকদিন হয়েছে। প্রথমে ফার্মেসি থেকে ওষুধ এনে খাওয়ানো হয়েছে। এরপর স্থানীয় বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসক দেখিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি। সবশেষে যখন দেখছি তার অবস্থার কোনো উন্নতি হচ্ছে না, বরং দিন দিন খারাপ হচ্ছে, তখনই আত্মীয় স্বজনদের পরামর্শে এই হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।

তিনি বলেন, গতকালের তুলনায় আজকে অবস্থা কিছুটা ভালো। ডাক্তার বলেছেন অন্তত ৭ থেকে ১০ দিন এখানে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে। আমার সন্তান যদি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়, তাহলে আরও ১৫-২০ দিন থাকলেও কোনো সমস্যা নেই।

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে দেড় বছর বয়সী শিশু রিফাত হোসেনকে নিয়ে আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন বাবা রাশেদুল ইসলাম। তিনি আশঙ্কা করছেন, তীব্র গরমের কারণেই তার সন্তান ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে।

রাশেদুল ইসলাম বলেন, গতকালও আমার বাচ্চা ভালো। রাতে তাকে সুস্থ নিয়েই ঘুমায়েছি। পরে আনুমানিক রাত ১টার দিকে হঠাৎ করে বাচ্চাটা কেঁপে উঠে কান্নাকাটি শুরু করে। তখন তাড়াহুড়া পরে ঘুম থেকে উঠে দেখি সে কান্নাকাটি করছে আর বারবার মোচড় দিচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পরই শুরু হয় পাতলা পায়খানা। সারারাতই আমাদের এভাবে যায়। এরপর সকালে তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাই, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়াই। এরপরও কোনোভাবে পাতলা পায়খানা কমছিল না, তাই দুপুরের দিকে এই হাসপাতালে নিয়ে আসি।

তিনি আরও বলেন, আমরা যে পানি খাই যতটুকু জানি পিউর, কোন ঝামেলা নাই। আমার আরও ছোট বাচ্চা আছে, তারাও সেই পানি খায়, কখনও তাদের এরকম সমস্যা হতে দেখিনি। আমার কাছে মনে হয়েছে গরমের কারণেই এই সমস্যাটা দেখা দিয়েছে। এক জায়গায় যাতায়াত করতে গিয়ে গাড়িতে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মতো গরমে ছিল। এতে করেই সে অসুস্থ হয়ে যায়।

শিশু সায়মা-রিফাতের মতো এরকম শতাধিক শিশু ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে যে পরিমাণ রোগী হাসপাতালটিতে ভর্তি আছেন, ঈদের ছুটি শেষে ঘরমুখো সব মানুষ রাজধানীতে ফিরলে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছে আইসিডিডিআরবি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়রিয়া পানিবাহিত রোগ। দূষিত পানি পান করার মাধ্যমে এ রোগ হয়। সাধারণত দিনে তিন বা এর চেয়ে বেশি বার পাতলা পায়খানা হতে শুরু করলে তার ডায়রিয়া হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। গরম এলেই ডায়রিয়ার সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে। বিশেষ করে শিশু-কিশোররা এই রোগে বেশি ভুক্তভোগী হয়।

তাদের মতে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শহরে টেপের পানি সেপটিক ট্যাংক বা সুয়ারেজ লাইনের সংস্পর্শে দূষিত হয়। অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন, যেখানে-সেখানে ও পানির উৎসের কাছে মলত্যাগ, সঠিক উপায়ে হাত না ধোয়া, অপরিচ্ছন্ন উপায়ে খাদ্য সংরক্ষণ এবং ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে এ সময় দোকান, রেস্তোরাঁ বা বাসায় পচন ধরা ফ্রিজের খাবার গ্রহণ ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

আইসিডিডিআর,বির অ্যাসিস্ট্যান্ট সাইন্টিস্ট (নিউট্রিশন অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল সার্ভিসেস ডিভিশন) ডা. সারিকা নুজহাত বলেন, এখনো আমাদের হাসপাতালে রোগীর পরিমাণ সহনীয় পর্যায়ে আছে। কিছুদিন যাবত কেবল গরম পড়েছে, আবার ঈদের ছুটিটাও এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। হয়তো আগামী ১/২ সপ্তাহের মধ্যেই রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়ে যাবে।

তিনি বলেন, যেহেতু গরমটা বেশি, স্বাভাবিকভাবে মানুষ বেশি তৃষ্ণার্ত ও পিপাসার্ত থাকে। আমাদের পরামর্শ হলো যেসব ছোট বাচ্চা বুকের দুধ খায়, তাদের অবশ্যই বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এটি বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাছাড়া বাইরের খাবারদাবারে বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার খুবই কম হয়, যার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বড়দের মধ্যে যারা বাইরে কাজ করেন তাদের বেশিরভাগই গরমে পিপাসা মেটাতে বাইরের বিভিন্ন শরবত ও খোলা পানি পান করেন। তাদের ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, বাইরের এসব খোলা পানীয় শরবত কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। বাইরে কাজ করতে হলে অবশ্যই বাসা থেকে বিশুদ্ধ পানি বোতলে করে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।

সারিকা নুজহাত আরও বলেন, এখন যেহেতু গরমের সিজন, বাসায় খাবার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। এক্ষেত্রে খাবার সংরক্ষণের দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে। এই গরম নষ্ট, পচা-বাঁশি খাবার কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। এমনকি বাইরের খোলা খাবার পরিহার করতে হবে।


আরও খবর



দূষণের কবলে রাজধানীবাসী

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সপ্তাহের শুরুতেই দূষণের কবলে পড়েছে রাজধানীর বাসিন্দারা। আজ শনিবার ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সকাল ৯টা ৯ মিনিটে ১৮৭ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে শহরটি।

ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা যথাক্রমে ২১২, ১৮১ ও ১৬৮ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

সূত্র : ইউএনবি


আরও খবর



৪০ ডিগ্রি ছাড়াল তাপমাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশে তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খেপুপাড়ায় (পটুয়াখালীর কলাপাড়া) ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আজকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খেপুপাড়ায় (পটুয়াখালীর কলাপাড়া) ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খেপুপাড়ায় একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার খেপুপাড়ায় সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রোববার রাঙ্গামাটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও বলেন, আজ রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। ঢাকায় আজ সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে; যা গতকাল ছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে রংপুর ও নীলফামারী জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এর ফলে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়।


আরও খবর



দুই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এল মার্চে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

দেশে মার্চ মাসে বৈধপথে প্রায় দুই বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে। যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ২১ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা (প্রতি এক ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মার্চে বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে ১৯৯ কো‌টি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার এসেছে। এরম‌ধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৬ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার বা ২ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৭ হাজার মার্কিন ডলার বা ৩৮৭ কোটি টাকার বেশি এসেছে।

দৈনিক গড়ে আসছে ৬ কোটি ৪৪ লাখ ডলার বা ৭০৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার বেশি।

আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ১৮ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। ৮১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার এসেছে বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে।

এদিকে আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা সাতটি। এসব ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশিখাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২.১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল এবং দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আর ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর মাসে এসেছিল ১৯৩ কোটি ডলার এবং শেষ মাস ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

অন্যদিকের দেশের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে থাকা ডলার সংকটও কিছুটা কমছে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলার সংকট কমে আসার পেছনে কয়েকটি উদ্যোগ কাজে এসেছে। এর অন্যতম হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ির কারণে আমদানি কমে আসা। একইভাবে ডলারের দাম নিয়ে কড়াকড়ি অবস্থান থেকে সরে আসায় রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বেড়ে যাওয়া। পাশাপাশি টাকার সংকট কিছুটা কমে আসার কারণ হলো ডলারের বিপরীতে টাকা অদলবদলের (সোয়াপ) সুবিধা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই দেশে ডলারের সংকট শুরু হয়। দুই দেশের এ যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাজারে জ্বালানিসহ খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পায়। এতে হঠাৎ বেড়ে যায় আমদানি খরচ। রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতির মধ্যেই ২০২২ সালের জুনে ৮৩৭ কোটি ডলারের আমদানি দায় শোধ করতে হয় বাংলাদেশকে। এরপর ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এলসি খোলার বিপরীতে শতভাগ পর্যন্ত নগদ টাকা জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়।

এ কারণে কমতে থাকে আমদানি দায়। কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আমদানি দায় পরিশোধ হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। মাসটিতে আমদানি দায় পরিশোধ হয় ৪৬৭ কোটি ডলারের। তার আগের মাস জানুয়ারিতে আমদানি দায় পরিশোধ হয়েছিল ৫৯৬ কোটি ডলারের। আমদানি দায় পরিশোধ হলে সংশ্লিষ্ট মাসের প্রকৃত ডলার খরচ সে হিসাবে ডলারের ওপর চাপ কিছুটা কমে আসছে।

 


আরও খবর

মুরগি ও সবজির বাজার চড়া

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪