
রাজনৈতিক দলগুলোর মিডিয়া কাভারেজের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের তুলনায় বিএনপিকে বেশি প্রধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে মনে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের উচিত বিরোধীদলের বিভিন্ন বক্তব্যের সঙ্গে সরকারি দলে বক্তব্য দেওয়া। কারণ সরকারি দলেরও তো তাদের নিজেদের বক্তব্য আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মিডিয়ায় বড় বড় কভারেজ হয়। আমাদের বড় বড় নেতাদের নামটাও বলে না। কিন্তু কোথাকার কোন সম্পাদক... কোন মহানগর নেতারাও! আশ্চর্য হয়ে যাই! মূল্যবোধের এত অবক্ষয় আমাদের দেশে। কল্পনা করতেও ভয় লাগে। আমরা তো পাই না। তাদের সাত আটজনকে দিয়ে তারপর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসে। তারপর আবার ত্রিশ সেকেন্ড দিয়েই শেষ।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘আপনি লক্ষ্য করবেন যে কি অবস্থা। এসব চ্যানেলগুলো শেখ হাসিনা দিয়েছেন। তারা আজকে কি আচরণটা করছে। অনেকেই...আমি সবার কথা বলবো না। তারপর বিভিন্ন মিডিয়া কিভাবে আজকে আচরণ করছে। গণমাধ্যম কি আচরণটা করছে? এই বিষয়টি আমাদের মনে হয় তাদের সাথে আলাপ করা উচিত।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা তাহলে কি পদ্মা করে ভুল করেছেন? করোনাকালে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়ে যেটা আমেরিকাও পারেনি। যেটা আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হার্টস নিজে স্বীকার করেছেন। সেটা করে ভুল করেছেন? শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভারসাম্যমূলক অবস্থায় রেখে কি ভুল করেছেন? মেট্রোরেল, মধুমতি সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল ঢাকা নারায়ণগঞ্জ শীতলক্ষ্য সেতু, এগুলো কিন্তু কাজ থেমে নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে অনেকগুলো উদ্বোধন হয়ে যাবে।’
‘ফ্লাইওভারই হয়েছে ২২টির মতো। আন্ডারপাস ৩০টির ওপরে। রূপপুর পরমাণু কেন্দ্র, হয়ে যাচ্ছে মাতারবাড়ি, পায়রা সমুদ্রবন্দর...এগুলো করে কি শেখ হাসিনা ভুল করেছেন। এগুলো করে কি তিনি ভুল করেছেন। উন্নয়নের কোনো মূল্য নেই? উন্নয়নের মূল্য আছে। আমরা দেখাবো। আগামী নির্বাচনে। মানুষ দুইটা বিষয়কে গুরুত্ব দেবে। শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সততা ও উন্নয়ন।