Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

বিএনপির সঙ্গে গণতন্ত্র চর্চা করার মতো মানসিকতা নেই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল :

বিএনপির সঙ্গে গণতন্ত্র চর্চা করার মতো মানসিকতা নেই মন্তব্য করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আলোচিত সংসদ সদস্য একে এম শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করার চেষ্টা করলে এখানে থাকতে দেব না।‘নেতৃবৃন্দ বলছেন গণতন্ত্রের কথা, ভোট নিরপেক্ষ হওয়ার কথা। বিএনপির ভাইয়েরা যারা আছেন, ২০০১ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত কী করেছেন? পঁচাত্তর সালের পর আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন কী করেছিলেন? এই আদালত থেকে আওয়ামী লীগের নেতাদের মার খেয়ে চলে যেতে হয়েছে। এগুলো কি সামান্য অত্যাচার? নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্যানেলে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি আরে বলেন, ‘আপনারা দেখবেন লিংকরোডে পাপ্পু ও মনিরের কবর রয়েছে। তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল, এমনকি তাদের লাশের উপরও গুলি করা হয়েছিল। আমাদের বাড়ি ঘরেও হামলা করা হয়েছিল, ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় এক খুনির নির্দেশে নয়জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। বিএনপির আমলে নারায়ণগঞ্জের ৪৯ জন লোককে আমাদের হাত দিয়ে দাফন করতে হয়েছে।’ 

বিএনপি বলেছিল ১০ ডিসেম্বর হ্যান হবে, ত্যান হবে; আমি বলেছিলাম ঘোড়ার ডিম হবে। এখনও বলছি ঘোড়ার ডিম না, বিএনপির কোনো ডিমই হবে না। ঘোড়াও ওদের জন্য ডিম পাড়বে না। ওদের দিন শেষ। বিএনপি এখন আম্মা গ্রুপ, ভাইয়া গ্রুপে ভাগ হয়ে গেছে।’ 

বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আপনারা অনেক বড় বড় কথা বলছেন, শান্ত থাকুন, নারায়ণগঞ্জের পরিবশে শান্ত থাকতে দেন। আমরা সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আমাদের ওপর অনেক নির্যাতন করা হয়েছিল। সেগুলো যদি একবার আমাদের মাথায় মনে পড়ে যায়, তাহলে কিন্তু আপনাদের নারায়ণগঞ্জে বাস করা কঠিন হয়ে যাবে।‘আমরা ধৈর্য ধরেছি, কিন্তু আমরা দুর্বল না। আপনারা যে অপরাধ করেছেন তার জন্য বিচার হয়েছে। জনগণ আপনাদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে সব জায়গায় এবং নারায়ণগঞ্জ বারেও রায় দেওয়া হয়েছে।’


নির্বাচনের বছরে বিরোধী শক্তি নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হতে পারে বলেও সতর্ক করেন শামীম ওসমান। তিনি বলেন, ‘এই বছরটা হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে সংকটের বছর। সব অশুভ শক্তি, সব ষড়যন্ত্রকারী এক হয়েছে। এরা কামড় দেওয়ার চেষ্টা করলে আমরাও যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, যারা জাতির পিতার সৈনিক, আমরাও প্রস্তুত আছি, ওই সমস্ত অশুভ শক্তির বিষদাঁত ভেঙে দেওয়ার জন্য। আমরা প্রস্তুত থাকব, ছিলাম, আছি এবং নারাণগঞ্জে আগামীতে নেতৃত্ব দেব।’ 

আইনজীবীদের নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আইনজীবী প্যানেলের এই বার একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এবারের প্রার্থী সভাপতি জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক মোহসিনসহ প্রতিটা সদস্য যেন সমান ভোট পান। এই বিষয়টা আপনাদের দৃষ্টি রাখার জন্য বলছি। ব্যক্তিগত দ্বন্ধে যাবেন না। সবাই একত্রিত হয়ে বারের আওয়ামী লীগের প্যানেলকে জয়যুক্ত করবেন।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, মনিরুজ্জামান বুলবুল, এক্স পিপি ও সিনিয়র আইনজীবী ওয়াজেদ আলী খোকন, আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের সভাপতি প্রার্থী হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোহসিন মিয়াসহ আওয়ামী লীগপন্থি বারের আইনজীবীরা।

নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত জুয়েল-মোহসিন প্যানেলে ১৭ প্রার্থী প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভারতজুড়ে কার্যকর হলো সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে সোমবার (১১ মার্চ) এই সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সিএএ চালু করার কথা ঘোষণা দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সংসদে আইনটি পাস হওয়ার প্রায় চার বছর পর চালু হলো নতুন এই নাগরিকত্ব আইন।

গত মাসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, এই আইন নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য, এটি কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। এর লক্ষ্য হলো নির্যাতিত অমুসলিম অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরই চালু হলো সিএএ।

এদিকে সিএএ নিয়ে সরকারের বিজ্ঞপ্তি জারির ঠিক আগেই সংবাদ সম্মেলন করে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, কারো অধিকার কেড়ে নেওয়া হলে আন্দোলন হবে। তবে আইনটা আগে আমি দেখব। যদি দেখি কোনো শ্রেণির মানুষের ওপর বৈষম্য হচ্ছে, তাহলে তার বিরোধিতা করব। কোনো বৈষম্য মানব না।

তিনি আরও বলেন, দেশের কিছু ভালো হলে আমরা যেমন অভিনন্দন জানাই তেমনি দেশের কোনো খারাপ হলে আমরা তাকে সমর্থন করতে পারি না। আমি সকলকে বলব, আপনারা ভয় পাবেন না, চিন্তা করবেন না। আধার কার্ড যখন বাতিল হচ্ছিল, আমরা রুখে দাঁড়িয়েছিলাম। আজও যদি কারো অধিকার কেড়ে নেওয়া হয় তৃণমূল একমাত্র দল এই ইস্যুতে সবার প্রথমে সরব হবে।

ভারতজুড়ে সিএএ আইন কার্যকর করার খবর পেয়েই আনন্দে মাতলেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার মতুয়া অধ্যুষিত ঠাকুরনগরের মানুষজন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বরে ভারতের সংসদে পাস হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। এই আইন অনুযায়ী ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা অমুসলিম নাগরিকরা (হিন্দু শিখ খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ) ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন।

যদিও এই আইনের বিরোধিতা করে প্রতিবাদে নেমেছে কংগ্রেস, তৃণমূলসহ বিরোধী দলগুলো। তাদের দাবি ধর্মের ভিত্তিতে এই আইন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এই আইনকে কেন্দ্র করে ভারতজুড়ে সে সময় সহিংসতা, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভে নষ্ট হয় কোটি কোটি রুপির সরকারি সম্পত্তি, মৃত্যু হয় প্রায় শতাধিক বিক্ষোভকারীর।

সে সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের যুক্তি ছিল, করোনার কারণেই এই আইনের রূপায়ণ শুরু করা যাচ্ছে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের স্পষ্ট বার্তা ছিল, এই আইন নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য, এটি কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। সিএএ হলো বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে নির্যাতিত উদ্বাস্তুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের একটি আইন।

সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশিত প্রামাণিক গণমাধ্যমকে জানান, ভারতের কোনো নাগরিকের নাগরিকত্ব যাবে না। এটা মানুষকে নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার আইন, কারোর নাগরিকত্ব ছিনিয়ে দেওয়ার আইন নয়। আমি সবাইকে বলব নিশ্চিন্তে থাকুন।


আরও খবর



মানুষের কল্যাণে যারা কাজ করছেন তাদের সম্মান দিন

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীরবে-নিভৃতে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে পুরস্কারে সম্মানিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে অন্যরা অনুপ্রাণিত হতে পারে।

তিনি বলেন, আমি আপনাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি, যারা বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে ও অন্যান্য এলাকায় নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে চলেছেন, তাদের খুঁজে বের করে পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করার জন্য। তাদের জন্য নয়, বরং জনগণের কল্যাণের জন্য। কারণ, তারা কখনোই সামনে আসেন না বা আসতে চান না। নিজস্ব উদ্যোগে বা স্বপ্রণোদিত হয়ে যারা মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন অবদান রেখে যাচ্ছেন, তাদেরকে পুরস্কৃত করতে পারাটাই সবচেয়ে বড় কথা।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে জাতীয় পর্যায়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ প্রদানকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য যারা স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এই পুরস্কার প্রাপ্তির ফলে মানুষের জন্য কাজ করা ও দেশের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে আরো অনেকে অনুপ্রাণিত হবেন এবং দেশের কল্যাণে কাজ করবেন, সেটাই আমরা আশা করি।

সরকারপ্রধান তাঁর ভাষণে বিগত ১৫ বছরের দেশ শাসনে আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, অন্তত এইটুকু দাবি করতে পারি বাংলাদেশের সেই হারানো গৌরব আমরা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর যে মর্যাদা বাংলাদেশ অর্জন করেছিল এবং ৭৫-এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর যা হারিয়ে যায়।

তিনি বলেন, জাতির পিতা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে দেশকে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় রেখে যান। সেখান থেকে আমরা আরো এক ধাপ উত্তরণ ঘটিয়ে দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা এনে দিতে পেরেছি। ২০২৬ সাল থেকে যা কার্যকর হবে। আজ জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে। জয় বাংলা আবার ফিরে এসে এখন আমাদের জাতীয় স্লোগানে পরিণত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাস বিকৃতির যত চক্রান্তই হোক না কেন আজকের নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে চায়, বুঝতে চায়। সেই প্রেরণা নিয়েই সামনের দিকে চলতে চায় এবং জীবনকে গড়ে তুলতে চায়। আর এটাই আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় আশার বাণী।

এরআগে গত ১৫ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

পুরস্কার প্রাপ্তরা হচ্ছেন: স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে কাজী আব্দুস সাত্তার বীর প্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসা বিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ, সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিক উজ জামান, ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন, সমাজ বা জনসেবায় অরন্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী ও এসএম আব্রাহাম লিংকন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন পুরস্কার বিতরণী পর্বটি সঞ্চালনা করেন এবং পুরস্কার বিজয়ীদের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরেন। স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ বিজয়ীদের পক্ষে মোহাম্মদ রফিক উজ জামান অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, উর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে দেশবরেণ্য কবি-সাহিত্যিক লেখকসহ দেশের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কভিড-১৯ পরবর্তী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং একে কেন্দ্র করে নিষেধাঞ্জা ও পাল্টা নিষেধাঞ্জায় বিশ^ব্যাপী খাদ্য পণ্য ও পণ্য পরিবহনের মূল্যবৃদ্ধিতে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতিতে কৃচ্ছতা সাধন এবং দলের নেতা-কর্মীসহ সামর্থ্যবানদের সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, মানুষের যাতে কোন কষ্ট না হয় সেজন্য আমরা এই রমজান মাসে মানুষের মাঝে বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ করছি। আমরা ইফতার পার্টি বাদ দিয়েছি। আমাদের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সকলকে আহ্বান করেছি ইফতার পার্টি না করে ইফতার সাধারণ মানুষের মাঝে আপনারা বন্টন করেন। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইফতার পার্টি করা বড় কথা নয়, মানুষকে দেওয়াই বড় কথা। কাজেই, আমরা খাওয়ার বিষয়টা বাদ দিয়ে দেওয়ার দিকেই মনোযোগ দিয়েছি। মানুষের যাতে কোনো রকম কষ্ট না হয় সেদিকে আমরা লক্ষ রেখেছি। এই সময় ন্যায্যমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী প্রাপ্তিতে এক কোটি কার্ড করে দেওয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকার প্রধান বলেন, আজ ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের সেই কালরাতে গণহত্যার কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

তিনি বলেন, 'আর যারা সেই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের প্রতি জাতির ঘৃণা প্রকাশ করছি।'

শেখ হাসিনা এসময় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনকে 'গণহত্যা' উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে যাচ্ছে। আমরা ফিলিস্তিনিদের সাথে আছি। আমরা যুদ্ধ চাই না শান্তি চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ মানুষের জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনে না। কারণ, যুদ্ধকালীন অবস্থা কী রকম হয় তা আমরা জানি, আমরা ভূক্তভোগী।

তিনি জাতির পিতার রেখে যাওয়া পররাষ্ট্র নীতি 'সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, এর উল্লেখ করে মিয়ানমারের ১০ লাখের অধিক জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদান এবং প্রতিবেশির সঙ্গে সংঘাতে না জড়িয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের নিজ দেশে সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টার উল্লেখ করেন।

সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ শান্তি প্রিয় দেশ। তারপরও দুর্ভাগ্য, আমাদের দেশের অভ্যন্তরে অনেকে অগ্নিসন্ত্রাস,খুন-খারাবি-অনেক কিছু করে থাকে। কাজেই তাদের সুমতি হোক, সেটাই আমরা চাই। কারণ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলে একটি দেশ যে উন্নতি করতে পারে তার প্রমাণ আমরা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের কাছে সম্মানিত। কারণ, তাঁরা জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে আমাদের বিজয় এনে দিয়েছিলেন। কাজেই তাদের সম্মান দেওয়া এবং আমাদের এই গৌরবটা যেন হারিয়ে না যায় আমরা তার ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারদের সদস্যদের ভাতা, গৃহহীনদের জন্য বীর নিবাস তৈরিসহ তাঁর সরকার প্রদেয় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, দল মত নির্বিশেষে মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পরে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের এসডিজি বাস্তবায়নের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব লক্ষ্য স্থির করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো। স্বাধীনতার মাসে এটাই আমাদের প্রত্যয়। দেশবাসীকে স্বাধীনতা ও জাতিয় দিবসের শুভেচ্ছাও জানান প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



সর্বকালের সর্বনিম্ন দামে ভারতীয় রুপি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতের মুদ্রার দরপতন অব্যাহত রয়েছে। মুদ্রাটির অবমূল্যায়ন ঘটেছে। এতে ভারতীয় রুপির মান সর্বকালের সর্বনিম্নে নেমে গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

তাতে বলা হয়, প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ইউএস ডলারের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ফলে এশিয়ার অধিকাংশ কারেন্সি দর হারিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের মুদ্রার অবনমন ঘটেছে।

আলোচ্য কার্যদিবসের শেষ ভাগে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ৮৩ দশমিক ৪৩ রুপিতে। ভারতীয় ইতিহাসে যা সবচেয়ে কম। সবমিলিয়ে চলতি সপ্তাহে ইন্ডিয়ান রুপির পতন ঘটেছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। সাপ্তাহিক হিসাবে বিগত ৭ মাসের মধ্যে তা সর্বোচ্চ মূল্য হ্রাস।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলোচিত দিনে ভারতের সরকারি ব্যাংকগুলোতে মূল বৈশ্বিক মুদ্রা ডলারের চাহিদা ব্যাপক ছিল। মূলত, আমদানিকারকদের কাছে মুদ্রাটির আবেদন ছিল তুমুল। এছাড়া বৈদেশিক তহবিলের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ব্যাপক চাপে পড়েছে ভারতীয় রুপি।

বেসরকারি খাতের মাঝারি আকারের এক ব্যাংকের কোষাধ্যক্ষ প্রধান বলেন, ইতোমধ্যে চীনের মুদ্রা ইউয়ান দুর্বল হয়েছে। এটিও বিশ্ববাজারে প্রচলিত অন্যতম মুদ্রা। ভারতীয় রুপির ওপর যা অধিক চাপ সৃষ্টি করেছে। ফলে নিম্নগামিতায় আগের নজির ভেঙে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে এটি।

এদিন ডলার সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। বর্তমানের তা ১০৪ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। গত ১ মাসের মধ্যে যা সর্বাধিক। এই প্রেক্ষাপটে কোরিয়ান ওনের মান হ্রাস পেয়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। মার্কিন শেয়ারবাজারও নিম্নমুখী হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দিনের শুরুতে ডলার সরবরাহ করেছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। তবে কর্মদিবসের শেষদিকে ভারতীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সেই প্রবণতা দেখা যায়নি। ফলে দেশটির মুদ্রা রুপির মূল্য সর্বকালের সর্বনিম্নে নেমে গেছে।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ভারতে লোকসভা নির্বাচনের তফসিল

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ৪৭ দিন ধরে চলবে এ নির্বাচন।

ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমার জানান, আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ৫৪৩ আসনের এ নির্বাচন। সাত ধাপে ভোট চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ৪ জুন।

প্রথম দফায় ভোট হবে ১৯ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফার ভোট ২৬ এপ্রিল, তৃতীয় দফা ৭ মে, চতুর্থ দফা ১৩ মে, পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৫ মে এবং সপ্তম দফার ভোট নেয়া হবে ১ জুন।

কোন রাজ্যে কোন দফায় নির্বাচন?


প্রথম দফায় (১৯ এপ্রিল)
পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু ও কাশ্মির, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, লক্ষদ্বীপ, আন্দামান নিকোবার, বিহার, সিকিম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, আসাম, অরুণাচল প্রদেশ।

দ্বিতীয় দফা (২৬ এপ্রিল) কেরল, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু ও কাশ্মির, আসাম, মণিপুর, ত্রিপুরা।

তৃতীয় দফা (৭ মে) জম্মু ও কাশ্মির, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ছত্তিশগড়, গোয়া, দাদরা-নগর হভেলী ও দমন-দিউ।

চতুর্থ দফা (১৩ মে) মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িষ্যা, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মির, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড।

পঞ্চম দফা (২০ মে) লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মির, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িষ্যা, মহারাষ্ট্র।

ষষ্ঠ দফা (২৫ মে) দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িষ্যা।

সপ্তম দফা (১ জুন) হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, চণ্ডিগড়, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িষ্যা।

চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন


সিকিম, ওড়িষ্যা, অরুণাচল প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ
চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনও হবে লোকসভার সাথে। পাশাপাশি, বিহার, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, কর্নাটক, তামিলনাড়ুতে উপনির্বাচন লোকসভার সাথেই হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

অরুণাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন ১৯ এপ্রিল, সিকিমে বিধানসভা নির্বাচন ১৯ এপ্রিল, অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন ১৩ মে এবং ওড়িষ্যায় বিধানসভা নির্বাচন হবে চার দফায়, যথাক্রমে ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন।

চার রাজ্যেই গণনা ৪ জুন।

এক দশক পরেও বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে না জম্মু ও কাশ্মিরে। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার লোকসভা নির্বাচনের সাথে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িষ্যা, অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিমে বিধানসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেও বাদ থেকে গেল ভারতের বৃহত্তম (আয়তনের হিসাবে) কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরও খবর



রাজউক ও গণপূর্তকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা রোধে রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া অগ্নিকাণ্ড রোধে এ ‍দুই প্রতিষ্ঠানকে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার সকালে ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি আয়োজিত ২৩তম আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সেমিনারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয়, রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। সামান্য একটা ভুলের জন্য ৪৫টা প্রাণ চলে গেল, এর থেকে মর্মান্তিক আর কিছু হতে পারে না। আমি মনে করি, এর বিরুদ্ধে অভিযান চলা উচিত এবং চলবে।

এ সময় হাসপাতালে সব ধরনের অনিয়ম বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অভিযান চলবে জানিয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, অতীতে কী হয়েছে সেগুলো মনে রাখা যাবে না। ইচ্ছা করলেই অনিয়ম করে আর হাসপাতাল খোলা যাবে না। অভিযান লাগাতার চলবে।

মন্ত্রী বলেন, আমি বাংলাদেশের সব হাসপাতাল বন্ধ করার পক্ষে না। হাসপাতাল থাকবে, সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালও থাকবে। কিন্তু সে হাসপাতালগুলোকে নিয়ম মেনে যা যা ক্রাইটেরিয়া দরকার সেগুলো মেনে চলতে হবে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন। আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দুজন ছাড়াও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আটজন ভর্তি আছেন। এরমধ্যে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে, ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় মামলা করা করেছে। শুক্রবার (১ মার্চ) দিবাগত রাতে রমনা থানা পুলিশ বাদী হয়ে করা ওই মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।

এর আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনটিতে অবস্থিত চায়ের চুমুকের দুই মালিক ও কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তথ্য জানতে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে আরও কয়েকজনকে।


আরও খবর