রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইলমে গায়েব প্রসঙ্গে অসংখ্য হাদিসে পাক রয়েছে; তার মধ্য হতে কিছু হাদিসে পাক আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।
প্রচারেঃ-মোতালিব শেখ আল মাইজভান্ডারি
সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ,,,,,,,,,,,
(১) বুখারী শরীফের بَدْءِ الْخَلْقِ শীর্ষক আলোচনায় ও মিশকাত শরীফের بَدْءِ الْخَلْقِ وَذِكْرُ الْاَنْبِيَاءِ শীর্ষক অধ্যায়ে হযরত উমর ফারুক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত
قَامَ فِيْنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَقَامًا فَاَخْبَرَ نَا عَنْ بَدْءِ الْخَلْقِ حَتَّى دَخَلَ اَهْلُ الْجَنَّةِ مَنَازِ لَهُمْ وَاَهْلُ النَّارِ مَنَازِ لَهُمْ حَفِظَ ذَلِكَ مَنْ حَفِظَهُ وَنَسِيَهُ مَنْ نَسِيَهُ.
-‘‘হুজুর ﷺ এক জায়গায় আমাদের সাথে অবস্থান করেছিলেন, সেখানে তিনি (ﷺ) আমাদেরকে আদি সৃষ্টির সংবাদ দিচ্ছিলেন, এমন কি বেহেশত বাসী ও দোযখ বাসীগণ নিজ নিজ মঞিলে বা ঠিকানায় পৌঁছে যাওয়া অবধি পরিব্যাপ্ত যাবতীয় অবস্থা ও ঘটনাবলীর র্বণনা প্রদান করেন। যিনি ওসব স্মরণ রাখতে পেরেছেন, তিনি তো স্মরণ রেখেছেন, আর যিনি স্মরণ রাখতে পারেন নি, তিনি ভুলে গেছেন।’’
🔴(ক. বুখারী: আস-সহিহ: ২৮৬ হাদীস: ৩১৯২, মুসলিম: আস-সহিহ: কিতাবুল ফিতান: ২/৩৯০পৃ. খতিব তিবরিযী: মিশকাত: ৫/৫০৬ হাদীস: ৫৬৯৯, তিরমিজী: আস-সুনান: ৪/৪১৯ হাদীস: ২১৯১, আবু দাউদ: আস-সুনান: ৪/৪৪১পৃ. হাদীস: ৪২৪০)
(২) মিশকাত শরীফের اَلْمَعْجِزَاتِ অধ্যায়ে হযরত আমর ইবনে আখতাব (رضي الله عنه) থেকে একই কথা বর্ণিত, সেখানে আছে
فَأَخْبَرَنَا بِمَا كَانَ وَبِمَا هُوَ كَائِنٌ فَأَعْلَمُنَا أَحْفَظُنَا
-‘‘আমাদেরকে সেই সমস্ত ঘটনাবলীর খবর দিয়েছেন, যেগুলো কিয়ামত পর্যন্ত ঘটতে থাকবে। আমাদের মধ্যে সব চেয়ে বড় ‘আলিম হলেন তিনি, যিনি এসব বিষয়াদি সর্বাধিক স্মরণ রাখতে পেরেছেন।’’
🔴(ক. মুসলিম: আস-সহীহ: ২/৩৯০ পৃ. হাদিস: ২৫, খতিব তিবরিযী: মিশকাত: ৪/৩৯৭ হাদীস: ৫৯৩৬, মুসলিম: আস-সহীহ: ৪/২২১৭ হাদিস: ২৮৯২, আহমদ ইবনে হাম্বল: আল-মুসনাদ: ৫/৩৪১ পৃ.)
(৩) মিশকাত শরীফের اَلْفِتُنُ শীর্ষক অধ্যায়ে বুখারী ও মুসলিম শরীফের বরাত দিয়ে হযরত হুযাইফা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত হয়েছে
مَا تَرَكَ شَيْئًا يَكُونُ فِي مَقَامِهِ ذَلِكَ إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ، إِلَّا حَدَّثَ بِهِ حَفِظَهُ مَنْ حَفِظَهُ وَنَسِيَهُ مَنْ نَسِيَهُ،.
-‘‘হুজুর ﷺ সে জায়গায় কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে, সব কিছুর খবর দিয়েছেন, কোন কিছুই বাদ দেননি। যাদের পক্ষে সম্ভব, তাঁরা সব স্মরণ রেখেছেন, আর অনেকে ভুলেও গেছেন।"
🔴( ক. বুখারী: আস-সহীহ: ১১/৯৭৭ পৃ. হাদিস: ৬৬০৪, মুসলিম: আস-সহীহ: কিতাবুল ফিতান: ২/৩৯০ হাদিস: ২২১৭, খতিব তিবরিযী: মিশকাত: ৫/৪৬১পৃ. হাদিস: ৫৩৭৯, ইমাম বায়হাকী: দালায়েলুল নবুয়ত: ৬/৩১৩ পৃ., ইমাম কুস্তালানী: মাওয়াহেবে লাদুন্নীয়া: ৩/৯৫পৃ. আবু দাউদ: আস-সুনান: হাদীস: ৪২৪০, আহমদ ইবনে হাম্বল: আল-মুসনাদ: ৫/৩৮৩-৩৮৯, ইমাম আবু নুয়াইম: দালায়েলুল নবুয়ত: ২০ পৃ. হাদিস: ২৭৩, তিরমিজী: আস-সুনান: ৪/৪১০ হাদীস: ২১৯১)
(৪) মিশকাত শরীফের ‘ফযায়েলে সায়্যিদুল মুরসালীন’ শীর্ষক অধ্যায়ে ‘মুসলিম শরীফের’ বরাত দিয়ে হযরত ছাওবান (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করা হয়েছে
إِنَّ اللهَ زَوَى لِي الْأَرْضَ، فَرَأَيْتُ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا،.
-‘‘আল্লাহ তা‘য়ালা আমার সম্মুখে গোটা পৃথিবীকে এমনভাবে সঙ্কুচিত করে দিয়েছেন যে, আমি পৃথিবীর পূর্বপ্রান্ত ও পশ্চিমপ্রান্ত সমূহ স্বচক্ষে অবলোকন করেছি।’’
🔴(ক. মুসলিম: আস-সহিহ: কিতাবুল ফিতান: ২/৩৯০পৃ. মুসলিম: আস-সহিহ: ৪/২২১৬ হাদিস: ২৮৮৯, বায্যার: আল-মুসনাদ: ৮/৪১৩-৪১৪ হাদিস: ৩৪৮৭, ইবনে মাজাহ: আস-সুনান: হাদীস: ৩৯৫২, আবু দাউদ: আস-সুনান: কিতাবুল ফিতান: ৪/৯৫ হাদিস: ৪২৫২, ইমাম আহমদ: আল-মুসনাদ: ৫/২৮৪ হাদিস: ২২৫০, আবু দাউদ: আস-সুনান: ৪/৯৭ পৃ. হাদিস: ৪২৫২, মুসলিম: আল-সহীহ: হাদিস: ২৮৮৯)
(৫) মিশকাত শরীফের ‘মাসাজিদ’ অধ্যায়ে হযরত আবদুর রহমান ইবন আয়েশ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে
رَأَيْتُ رَبِّيَ عَزَّ وَجَلَّ فِي أَحْسَنِ صُورَةٍ قَالَ: فَبِمَ يَخْتَصِمُ الْمَلَأُ الْأَعْلَى؟ قُلْتُ: أَنْتَ أَعْلَمُ قَالَ: فَوَضَعَ كَفَّهُ بَيْنَ كَتِفِيَّ فَوَجَدْتُ بَرْدَهَا بَيْنَ ثَدْيَيَّ فَعَلِمْتُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ.
-‘‘আমি আল্লাহ তা’য়ালাকে সুন্দরতম আকৃতিতে দেখেছি।....তিনি স্বীয় কুদরতের হাতখানা আমার বুকের উপর রাখলেন, যার শীতলতা আমি স্বীয় অন্তস্থলে অনুভব করেছি। ফলে, আসমান যমীনের সমস্ত বস্তু সম্পর্কে অবগত হয়েছি।’’
🔴(ক. ইমাম দারেমী: আস-সুনান: কিতাবুর রুইয়াত: ২/৫১পৃ. হাদিস: ২১৫৫, ইবনে সা’দ: তবাকাত: ৭/১৫০ পৃ. ইমাম তাবরানী: মুসনাদি-শামীয়্যীন: ১/৩৩৯-৩৪০ হাদিস: ৫৯৭, ইমাম তাবরানী: মু’জামুল কবীর: ২০/১০৯ হাদিস: ২১৬, ইমাম বায্যার: আল-মুসনাদ: ৭/১১০-১১১ হাদিস: ২৬৬৮, সুয়ূতি, জামিউল আহাদিস: ২০/৮২পৃ. হাদিস: ১৫৬৮৮, ইবনে সালেহ: সবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ: ১০/১০ পৃ. )
(৬) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন
إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ رَفَعَ لِيَ الدُّنْيَا فَأَنَا أَنْظُرُ إِلَيْهَا وَإِلَى مَا هُوَ كَائِنٌ فِيهَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ كَأَنَّمَا أَنْظُرُ إِلَى كَفِّي هَذِهِ،.
-‘‘আল্লাহ তা’য়ালা আমার সামনে সারা দুনিয়াকে তুলে ধরেছেন। তখন আমি এ দুনিয়াকে এবং এতে কিয়ামত পর্যন্ত যা’ কিছু হবে এমনভাবে দেখতে পেয়েছি, যেভাবে আমি আমার নিজ হাতকে দেখতে পাচ্ছি।’’
🔴(ক. ইমাম আবু নুয়াইম: হুলিয়াতুল আউলিয়া: ৬/১০১ পৃ., মুত্তাকী হিন্দী: কানযুল উম্মাল: ১১/১৩৭৮ হাদিস: ৩১৮১০, ইবনে হাজার হায়সামী: মাযমাউদ যাওয়াহিদ: ৮/২৮৭ পৃ.)
(৭) মিশকাত শরীফের ‘মাসাজিদ’ অধ্যায়ে ‘তিরমিযী শরীফের’ উদ্ধৃতি দিয়ে হযরত মুয়াজ বিন জাবাল (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত আছে
فَتَجَلَّى لِي كُلُّ شَيْءٍ وَعَرَفْتُ -‘‘
তখন প্রত্যেক কিছু আমার কাছে উন্মুক্ত হয়েছে এবং আমি এগুলো চিনতে পেরেছি।’’
🔴(ক. ইমাম তিরমিজী: আস-সুনান: কিতাবুত তাফসীর: ৫/১৬০ হাদিস: ৩২৩৫, খতিব তিবরিযী: মিশকাত: ১/৭১-৭২ পৃ. হাদিস: ৬৯২)
(৮) হযরত আবু যর গিফারী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে
لَقَدْ تَرَكْنَا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَمَا يُحَرِّكُ طَائِرٌ جَنَاحَيْهِ فِي السَّمَاءِ إِلَّا ذَكَّرَنَا مِنْهُ عِلْمًا.
-‘‘হুজুর ﷺ আমাদেরকে এমনভাবে অবহিত করেছেন যে, একটা পাখীর পালক নাড়ার কথা পর্যন্ত তাঁর বর্ণনা থেকে বাদ পড়েনি।’’
🔴(আহমদ ইবনে হাম্বল: আল-মুসনাদ: ৫/১৫৩ পৃ. হাদিস: ২১৩৯৯, আহমদ ইবনে হাম্বল: আল-মুসনাদ: ৫/৩৮৫-৩৮৯ পৃ., তাবরানী: মু’জামুল কবীর: ২/১৫৫ হাদিস: ১৬৪৭, ইমাম আবু ই’য়ালা: আল-মুসনাদ: ৯/৪৬ হাদিস: ৫১০৯, বায্যার: আল-মুসনাদ: ৯/৩৪১ হাদিস: ৩৮৯৭)
(৯) মিশকাত শরীফের ‘বাবুল ফিতান’ নামক অধ্যায়ের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে হযরত হুযাইফা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে
مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ قَائِدِ فِتْنَةٍ، إِلَى أَنْ تَنْقَضِيَ الدُّنْيَا، يَبْلُغُ مَنْ مَعَهُ ثَلَاثَ مِائَةٍ فَصَاعِدًا، إِلَّا قَدْ سَمَّاهُ لَنَا بِاسْمِهِ، وَاسْمِ أَبِيهِ، وَاسْمِ قَبِيلَتِهِ -
-‘‘হুজুর ﷺ পৃথিবীর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য কোন ফিত্না পরিচালনা কারীর কথা বাদ দেন নি, যাদের সংখ্যা তিনশত কিংবা ততোধিক হবে; এমন কি তাদের নাম, তাদের বাপের নাম ও গোত্রের নামসহ আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন।’’
🔴(ক. ইমাম আবু দাউদ: আস-সুনান: ৪/৪৪৩ হাদিস: ৪২৪৩, খতিব তিবরিযী: মিশকাত: ৫/৪৬৩ হাদিস: ৫৩৯৩, এ হাদিসটিকে আলবানী মিশকাতের তাহক্বীকে সনদ ‘হাসান’ বলেছেন।)
(১১) মিশকাত শরীফের مَنَاقِبِ اَهْلَ الْبَيْتِ শীর্ষক অধ্যায়ে 🔴(হযরত আবি আম্মার সাদ্দাদ বিন আব্দুল্লাহ (رضي الله عنه) তিনি ) হযরত উম্মে ফযল বিনতে হারেস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত আছে তিনি একদা স্বপ্ন দেখেছিলেন; আর রাসূল (ﷺ) তার ব্যাখ্যায় বলে দিলেন
رَأَيْتِ خَيْرًا تَلِدُ فَاطِمَةُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ غُلَامًا يَكُونُ فِي حِجْرِكِ
-‘‘হুজুর ﷺ হযরত উম্মুল ফযল (رضي الله عنه) এর নিকট ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, তুমি ভাল স্বপ্ন দেখেছ। হযরত ফাতিহা তুয যুহরা (রাদিআল্লাহু আনহা) এর ঘরে এক পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করবে, সে তোমারই (হযরত উম্মুল ফযল (رضي الله عنه) কোলে লালিত পালিত হবে।’’
🔴(ক. খতিব তিবরিযী: মিশকাত: ৫/৫৭২ হাদিস: ৬১৮০, বায়হাকী, দালায়েলুল নবুয়ত, ৬/৪৬৯পৃ. দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ.১৪০৫হি. তিনি সনদসহ, মুকরীজি, ইমতাউল আসমা, ১২/২৩৭পৃ. ও ১৪/১৪৫পৃ. দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, ১৪২০হি. ইবনে কাসির, মু‘যাজাতুন্নবী (ﷺ), ১/৩২৫পৃ. মাকতুবাতুত্-তাওফিকহিয়্যাত, মিশর।
আহলে হাদিস আলবানী তার মিশকাতের তাহক্বীক গ্রন্থে এ হাদিসের সনদের ব্যাপারে নিরব ছিলেন।)
(১২) বুখারী শরীফে اِثْبَاتِ عَذَابِ الْقَبْرِ শীর্ষক অধ্যায়ে হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত (এছাড়া অন্য অনেক ছাহাবী হতেও) আছে
مَرَّ بِقَبْرَيْنِ يُعَذَّبَانِ، فَقَالَ: إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنَ البَوْلِ، وَأَمَّا الآخَرُ فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ، ثُمَّ أَخَذَ جَرِيدَةً رَطْبَةً، فَشَقَّهَا بِنِصْفَيْنِ، ثُمَّ غَرَزَ فِي كُلِّ قَبْرٍ وَاحِدَةً، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لِمَ صَنَعْتَ هَذَا؟ فَقَالَ: لَعَلَّهُ أَنْ يُخَفَّفَ عَنْهُمَا مَا لَمْ يَيْبَسَا.
-‘‘হুজুর ﷺ একদা দুটো কবরের পার্শ্ব দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন কবর দুটোতে আযাব হচ্ছিল। তিনি (ﷺ) বললেন এ দু’জনের আযাব হচ্ছে কিন্তু কোন গুরুতর অপরাধের জন্য নয়। তাদের মধ্যে একজন প্রশ্রাবের সময় সতর্কতা অবলম্বন করতো না। অপরজন চোগলখুরী করে পরস্পরের মধে ঝগড়া সৃষ্টি করত। তখন তিনি (ﷺ) খেজুরের একটি কাঁচা ডাল নিয়ে তা’ দুভাগে ভাগ করলেন ও অংশ দু’টো উভয় কবরে একটি করে পুঁতে দিলেন এবং ইরশাদ করলেন ততক্ষণ পর্যন্ত ডাল দু’টো শুকিয়ে না যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের শাস্তি লাঘব হবে।’’
🔴(ক. বুখারী: আস-সহীহ: ১/৬১১ পৃ., মুসলিম: আস-সহীহ: ১/১৪১পৃ. আবু দাউদ: আস-সুনান: ১/৬ হাদিস: ২০-২১, নাসাঈ: সুনানে কোবরা: ১/৭ পৃ., ইমাম বায়হাকী: সুনানে কোবরা: ১/১০৪ পৃ. ইবনে খুযায়মা: আস-সহিহ: ১/৩২-৩৩ হাদিস: ৫৫, আবি শায়বাহ: আল-মুসান্নাফ: ৩/৩৭৭পৃ., আবি আওয়ানাহ: মুসনাদ: ১/১৯৬, ইবনে হিব্বান: আস-সহীহ: ৬/৫২ পৃ., ইবনে মাজাহ: আস-সুনান: ১/১২৫ হাদিস: ৩৪৭, দারেমী: আস-সুনান: ১/২০৫পৃ. হাদিস: ৭৩৯, খতিব তিবরিযী: মিশকাত: ১/১৫-১৬ পৃ.)
(১৩) বুখারী শরীফের
كِتَابُ الْاِعْتِصَامِ بِالْكِتَاِب وَالسُّنَّةِ
এ ও তাফসীরে খাযেনে لاَ تَسْئَلُوْا عَنِ الْاَشْيَاءِ اِنْه تُبْدَ لَكُمْ
আয়াতের ব্যাখ্যায় উল্লেখিত আছে
قَامَ عَلَى المِنْبَرِ، فَذَكَرَ السَّاعَةَ، وَذَكَرَ أَنَّ بَيْنَ يَدَيْهَا أُمُورًا عِظَامًا، ثُمَّ قَالَ: مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَسْأَلَ عَنْ شَيْءٍ فَلْيَسْأَلْ عَنْهُ، فَوَاللَّهِ لاَ تَسْأَلُونِي عَنْ شَيْءٍ إِلَّا أَخْبَرْتُكُمْ بِهِ مَا دُمْتُ فِي مَقَامِي هَذَا، قَالَ أَنَسٌ: فَأَكْثَرَ النَّاسُ البُكَاءَ، وَأَكْثَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَقُولَ: سَلُونِي، فَقَالَ أَنَسٌ: فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ فَقَالَ: أَيْنَ مَدْخَلِي يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: النَّارُ، فَقَامَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حُذَافَةَ فَقَالَ: مَنْ أَبِي يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: أَبُوكَ حُذَافَةُ، قَالَ: ثُمَّ أَكْثَرَ أَنْ يَقُولَ: سَلُونِي سَلُونِي.
-‘‘একদিন হুজুর ﷺ মিম্বরের উপর দাঁড়ালেন। অতঃপর কিয়ামতের উল্লেখপূর্বক এর আগে যে সমস্ত ভয়ানক ঘটনাবলী ঘটবে, সে সম্পর্কে বর্ণনা দিলেন। এরপর তিনি (ﷺ) বললেন, ‘যার যা খুশী জিজ্ঞাসা করতে পার।’ খোদার শপথ, এ জায়গা অর্থাৎ এ মিম্বরে আমি যতক্ষণ দন্ডায়মান আছি, ততক্ষণ তোমরা যা কিছু জিজ্ঞাসা কর না কেন, আমি অবশ্যই উত্তর দেব।’ জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আরয করলেন, ‘পরকালে আমার ঠিকানা কোথায়?’ ফরমালেন জাহান্নামের মধ্যে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হুযায়ফা (رضي الله عنه) দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলেন ‘আমার বাপ কে? ইরশাদ করেন, হুযায়ফা।’ এরপর রাসূল (ﷺ) বার বার ইরশাদ ফরমান, জিজ্ঞাসা করো, জিজ্ঞাসা করো।’’
🔴(ক. বুখারী: আস-সহীহ: ৯/৯৫পৃ. হাদিস: ৭২৯৪, ইবনে হিব্বান, আস্-সহিহ, ১/৩০৯পৃ. হাদিস: ১০৬, বগভী, শরহে সুন্নাহ, ১৩/২৯৯পৃ. হাদিস, ৩৭২০, আব্দুর রায্যাক, জামেউ মা‘মার বিন রাশেদ, ১১/৩৭৯পৃ. হাদিস, ২০৭৯৬, মাকতুবাতুল ইসলামী, বয়রুত, প্রকাশ.১৪০৩হি., ইমাম খাযেন, তাফসীরে খাযেন, ২/৮২পৃ. দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ. ১৪১৫হি.)
(১৪) মিশকাত শরীফের مناقب على رضى الله عنه অধ্যায়ে বর্ণিত হযরত সাহল বিন সা‘দ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত আছে -
قَالَ يَوْمَ خَيْبَرَ: لَأُعْطِيَنَّ هَذِهِ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلًا يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهَ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ.
-‘‘হুযুর(ﷺ) খায়বারের যুদ্ধের দিন ইরশাদ ফরমান:- ‘আমি আগামী দিন এ পতাকা এমন এক ব্যক্তিকে অর্পণ করবো, যার হাতে আল্লাহ তা’আলা ‘খায়বরের বিজয় নির্ধারণ করেছেন। তিনি এমন এক ব্যক্তি, যিনি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসেন।’’
🔴(ক. বুখারী: আস-সহিহ: কিতাবুল ফাযায়েল: ৩/১৩৫৭পৃ. হাদিস নং: ৩৪৯৯, মুসলিম: আস-সহিহ: কিতাবুল ফাযায়েল: ৪/১৮৭২ হাদিস: ২৪০৭, বায়হাকী: সুনানে কোবরা: ৬/৩৬২ হাদিস: ১২৮৩৭
ঘ. মুসলিম: আস-সহীহ: কিতাবুল ফাযায়েল: ২/২৭৯ পৃ., বুখারী: আস-সহীহ: কিতাবুল জিহাদ: ২/৫০৬পৃ. ইমাম আবু নাঈম ইস্পাহানী: হুলিয়াতুল আউলিয়া: ১/৬২ পৃ. ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল: আল-মুসনাদ: ৪/৫২ পৃ. ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল: ফাযায়েলে সাহাবা: ২/৫৮৪পৃ. হাদিস: ৯৮৮, ইমাম নাসায়ী: ফাযায়েলে ছাহাবা: ১৫-১৬ পৃ. হাদিস: ৪৬-৪৭, খতিব তিবরিযী: মিশকাত: ৪/৪২৮ হাদিস: ৬০৮৯)
(১৫) মিশকাত শরীফের ‘মাসাজিদ’ অধ্যায়ে হযরত আবু যর গিফারী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে
عُرِضَتْ عَلَيَّ أَعْمَالُ أُمَّتِي حَسَنُهَا وَسَيِّئُهَا، فَوَجَدْتُ فِي مَحَاسِنِ أَعْمَالِهَا الْأَذَى يُمَاطُ عَنِ الطَّرِيقِ، -
-‘‘আমার সামনে আমার উম্মতের ভালমন্দ আমলসমূহ পেশ করা হয়েছে। আমি তাদের নেক আমল সমূহের মধ্যে রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সমূহ অপসারণের মত পুণ্য কাজও লক্ষ্য করেছি।’’
🔴(ক. খতিব তিবরিযী: মেশকাত: ১/১৫০পৃ. হাদিস: ৭০৯, মুসলিম: আস-সহীহ: কিতাবুল মাসাজিদ: ১/২০৭ পৃ. হাদিস ৫৫৩ এবং ৫৭, আহমদ ইবনে হাম্বল: আল-মুসনাদ: ৫/১৮০ পৃ., আবু নঈম ইস্পাহানী: দালায়েলুল নবুয়ত: ২০৬ পৃ. হাদিস: ২৮০, আবু আওয়ানা: আল- মুসনাদ: ১/৪০৬ পৃ. বায়হাকী: সুনানে কোবরা: ২/২৯১ পৃ., ইবনে মাজাহ: আস-সুনান: ২/১২১৪পৃ. হাদিস: ৩৬৭৩)
(১৬) ‘মুসলিম শরীফের كتاب الجهاد ২য় খন্ডে ’ এর ‘বদরের যুদ্ধ’ শীর্ষক অধ্যায়ে হযরত আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে
فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَذَا مَصْرَعُ فُلَانٍ، قَالَ: وَيَضَعُ يَدَهُ عَلَى الْأَرْضِ هَاهُنَا، هَاهُنَا، قَالَ: فَمَا مَاطَ أَحَدُهُمْ عَنْ مَوْضِعِ يَدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
-‘‘হুজুর ﷺ ইরশাদ ফরমান এটা হলো অমুক ব্যক্তির নিহত হয়ে পতিত হওয়ার সুনির্দিষ্ট স্থান’ এবং তিনি (ﷺ) তাঁর পবিত্র হস্ত মুবারক যমীনের উপর এদিক সেদিক সঞ্চালন করছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন যে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ হুজুর ﷺের হাতের নির্দেশিত স্থানের কিঞ্চিত বাহিরেও পতিত হয়নি।’’
🔴(মুসলিম: আস-সহিহ: কিতাবুল জিহাদ: ২/১০২পৃ. হাদিস: ১৭৭৯, ইমাম তাবরানী: মু’জামুল আওসাত: ৮/২১৯ হাদিস: ৮৪৫৩, আবু দাউদ, আস-সুনান: ৩/৫৮ হাদিস: ২৬৮১, ইমাম জওজী: আল-ওফা বি আহওয়ালিল মুস্তফা: ১/৩০৬ পৃ., ইবনে ছালেহ: সুবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ: ৪/৫৪-৫৫ পৃ., ইবনে কাসীর: বেদায়া ওয়ান নেহায়া: ৩/২৭৬ পৃ., ইবনে কাসীর: সিরাতে নবুবিয়্যাহ: ২/৩৪৭ পৃ., বুরহান উদ্দিন হালবী: সিরাতে হালবিয়্যাহ: ২/৩৯৫ পৃ.)
(১৭) মিশকাত শরীফের ‘মুজিযাত’ অধ্যায়ে হযরত আবু হুরাইরা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে
فَقَالَ الرَّجُلُ: تَاللَّهِ إِنْ رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ ذِئْبٌ يَتَكَلَّمُ! فَقَالَ الذِّئْبُ: أَعْجَبُ مِنْ هَذَا رَجُلٌ فِي النَّخَلاتِ بَيْنَ الْحَرَّتَيْنِ يُخْبِرُكُمْ بِمَا مَضَى، وَمَا هُوَ كَائِنٌ بَعْدَكُمْ.
-‘‘জনৈক শিকারী আশ্চর্য হলে বললো, নেকড়ে বাঘকে আজ যেরূপ কথা বলতে দেখলাম সেরূপ ইতিপূর্বে আর কখনও দেখিনি। তখন নেকড়ে বাঘ বলে উঠলো, ‘এর চেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো ঐ দুই উন্মুক্ত প্রান্তরের মধ্যবর্তী মরূদ্যানে (মদীনায়) একজন সম্মানিত ব্যক্তি (হুযুর (ﷺ)আছেন, যিনি তোমাদের নিকট বিগত ও অনাগত ভবিষ্যতের বিষয় সম্পর্কে সংবাদ পরিবেশ করেন।’’
🔴(ক. খতিব তিবরিযী: মিশকাত: ৪/৩৯৪ পৃ. হাদীস: ৫৯২৭, ইমাম ইসহাক: সিরাতে ইবনে ইসহাক: পৃ.- ২৬১ হাদিস: ৪৩৩, ইবনে সা’দ: তবকাতুল কোবরা: ১/১৭৪ পৃ. আহমদ ইবনে হাম্বল: আল-মুসনাদ: ৩/৮৩ হাদিস: ১১৮০৯, ইমাম আবু নুঈম ইস্পাহানী: দালায়েলুল নবুয়ত: ১১২ পৃ. হাদিস: ১১৬, ইমাম আবু নুঈম ইস্পাহানী: দালায়েলুল নবুয়ত: ১৮২ পৃ. হাদিস: ২৩৪, ইমাম বগভী: শরহে সুন্নাহ: ১৫/৮৭পৃ. হাদিস: ৪২৮২, এ হাদিসটিকে আহলে হাদিস আলবানী সে মিশকাতের তাহক্বীক করতে গিয়ে সনদটি সহিহ বলে মত প্রকাশ করেছেন। (আলবানী, তাহক্বীকে মিশকাত, ৩/১৬৬৬পৃ. হাদিস: ৫৯২৭, মাকতুবাতুল ইসলামী, বয়রুত, লেবানন, তৃতীয় প্রকাশ.১৯৮৫খৃ.)
(১৮) তাফসীরে খাযেনের ৪র্থ পারার আয়াত
🔴(সূরা: আলে ইমরান: আয়াত: ১৭৯, পারা: ৪)
এর ব্যাখ্যায় ইমাম হযরত সুদ্দি (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত একটি হাদিস উল্লেখ করা হয়েছে
قاَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُرِضَتْ عَلَىَّ امُّتِىْ فِىْ صُوَرِ هَا فِى الطِّيْنِ كَمَا عُرِضَتْ عَلَى اَدَمَ وَاُعْلِمْتُ مَنْ يُؤْمِنُ بِىْ وَمَنْ يُّكْفُرُ بِىْ فَبَلَغَ ذَلِكَ الْمُنَافِقِيْنَ فَالُوا اِشْتِهْزَاءً زَعَمَ مُحَمَّدٌ اَنَّهُ يَعْلَمُ مَنْ يُؤْمِنُ بِهِ وَمَنْ يَّكْفُرُ مِمَّنْ لَمْ يُخْلَقْ بَعْدُ وَنَحْنُ مَعَهُ وَمَايَعْرِفُنَا، فَتَلَغَ ذَلِكَ رَسُوْلَ اللهِ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَقَامَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَحَمِدَ اللهَ وَاَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ مَابُالُ اَقْوَامٍ طَعَنُوْا فِىْ عِلْمِىْ لاَتَسْئَلُوْنِىْ عَنْ شَيْئٍ فِيْمَا بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ السَّاعَةِ اِلاَّ اَنْبَئْتُكُمْ بِهِ.
‘‘হুযুর (ﷺ) ইরশাদ ফরমান আমার কাছে আমার উম্মতকে তাদের নিজ নিজ মাটির আকৃতিতে পেশ করা হয়েছে, যেমন ভাবে আদম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে পেশ করা হয়েছিল। আমাকে বলে দেয়া হয়েছে কে আমার উপর ঈমান আনবে আর কে আমাকে অস্বীকার করবে। যখন এ খবর মুনাফিকদের কাছে পৌঁছালো, তখন তারা হেসে বলতে লাগলো, ‘হুযুর (ﷺ’)ওসব লোকদের জন্মের আগেই তাদের মুমিন ও কাফির হওয়া সম্পর্কে অবগত হয়ে গেছেন, অথচ আমরা তাঁর সাথেই আছি কিন্তু আমাদেরকে চিনতে পারেন নি।’ এ খবর যখন হুযুর (ﷺ এর ) নিকট পৌঁছলো, তখন তিন মিম্বরের উপর দাঁড়ালেন এবং আল্লাহর প্রশংসা করে ইরশাদ ফরমান এসব লোকদের কি যে হলো, আমার জ্ঞান নিয়ে বিরূপ সমালোচনা করছে। এখন থেকে কিয়ামত পর্যন্ত যে কোন বিষয় সম্পর্কে তোমরা আমাকে জিজ্ঞাস করো, আমি অবশ্যই বলে দিব।’’
🔴(ক. ইমাম খাযেন: লুকাবুত তা’ভীল: ১/৩২৪ পৃ. দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ.১৪১৫হি.।)
এ হাদীস থেকে দু’টি বিষয় সম্পর্কে জানা গেল। এক, হুযুর (ﷺ এর ) জ্ঞান সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করা মুনাফিকদের বৈশিষ্ট্য। দুই, কিয়ামত পর্যন্ত সমস্ত ঘটনাবলী সম্পর্কে হুজুর ﷺ অবগত।
(১৯) মিশকাত শরীফের ‘কিতাবুল ফিতান’ যুদ্ধ বিগ্রহের বর্ণনা শীর্ষক অধ্যায়ের প্রথম পরিচ্ছেদে মুসলিম শরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত আছে
إِنِّي لَأَعْرِفُ أَسْمَاءَهُمْ وَأَسْمَاءَ آبَائِهِمْ وَأَلْوَانَ خُيُولِهِمْ هُمْ خَيْرُ فَوَارِسَ أَوْ مِنْ خَيْرِ فَوَارِسَ عَلَى ظَهْرِ الأَرْض.
-‘‘তাদের নাম, (দাজ্জালের বিরুদ্ধে জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণকারীগণের) তাঁদের বাপ-দাদাদের নাম ও তাদের ঘোড়াসমূহের বর্ণ পর্যন্ত আমার জানা আছে, তাঁরাই হবেন ভূ-পৃষ্ঠের সর্বোৎকৃষ্ট ঘোড়া সাওয়ার।’’
🔴(ক. খতিব তিববিযী: মিশকাত: ৫/৪৬৭ হাদিস: ৫৪২২, মুসলিম: আস-সহিহ: কিতাবুল ফিতান: ২/৩৯২ পৃ. হাদিস: ২২২৪, আহমদ ইবনে হাম্বল: আল-মুসনাদ: ১/৩৮৫ পৃ., হাকেম নিশাপুরী: আল-মুস্তাদরাক: ৪/৪৪৭পৃ. আব্দুর রায্যাক: আল-মুসান্নাফ: হাদিস: ২০৮১, ইমাম আবি শায়বাহ: আল-মুসান্নাফ: ১৫/১৩৯পৃ. ইমাম জুরকানী: শরহুল মাওয়াহেব: ৭/২০৬ পৃ., ইমাম কুস্তালানী: মাওয়াহেবে লাদুন্নীয়া: ৩/৯৫ পৃ.)
(২০) মিশকাত শরীফের مناقب ابي بكر وعمر অধ্যায়ে বর্ণিত আছে। হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাদি আল্লাহু আনহু) হুজুর (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকট জানতে চাইলেন, এমন কেউ আছেন কিনা, যা’র নেকী সমূহ তারকারাজির সমসংখ্যক হবে?” হুজুর ﷺ উত্তরে ইরশাদ ফরমান, হ্যাঁ এবং তিনি হলেন হযরত উমর (رضي الله عنه)।’’
🔴(ক. খতিব তিবরিযী: মিশকাতুল মাসাবিহ: ৪/৪২৩ পৃ. হাদিস: ৬০৬৮, তিনি ইমাম রাজীন (رحمة الله)‘র
সুত্রে বাংলাদেশ তাজ কম্পানী, ঢাকা।