Logo
শিরোনাম

বিজিবি সদস্যর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টারঃ


বিজিবি'র এক সদস্যর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার।

জয়পুরহাটে এক বিজিবি সদস্যের ‘গুলিবিদ্ধ’ হয়ে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিজিবি’র পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  

নিহত বিজিবি সদস্য নেপাল দাস (৩৫), জয়পুরহাট ২০ বিজিবির সিপাহী। সে ফরিদপুর জেলার মধুখালি মেঘচামী এলাকার নারায়ণ দাসের ছেলে।

জেলার গোয়েন্দা বিভাগ সূত্র জানায়, হত বৃহস্পতিবার ১৭ নভেম্বর রাতে বিজিবি জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনস্থ পাঁচবিবি বিশেষ ক্যাম্পে দায়িত্বরত সদস্য নেপাল দাস গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন বিজিবি’র অন্যান্য সদস্যরা। পরে তাকে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সিপাহী নেপালকে মৃত ঘোষণা করেন। 

শুক্রবার ১৮ নভেম্বর সকালে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ সরদার রাশেদ মোবারক সাংবাদিকদের জানান, নেপাল দাসের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। মৃতদেহের ডান পিঠ ও হাতে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। 

এবিষয়ে জয়পুরহাট ২০ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জয়পুরহাট থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, ময়না তদন্ত শেষে বিজিবি’র পাহাড়ায় নেপালের মৃতদেহ রাতেই ফরিদপুরে তার গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। 

এর বেশী কোন তথ্যই দিতে নারাজ বিজিবি বা পুলিশ প্রশাসন। তার শরীরে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা করা হয়েছে বলেও পুলিশ সুত্র জানায়।


আরও খবর



নতুন কারিকুলামে প্রতি বিষয়ে ৫ ঘণ্টার পরীক্ষা!

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

নতুন শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীর চূড়ান্ত মূল্যায়ন নিয়ে তুমুল সমালোচনার পর মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার খসড়া চূড়ান্ত করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

জানা গেছে, শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে খসড়াটি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, আগের পদ্ধতিতে আর পরীক্ষা হবে না। এটিকে মূল্যায়ন বলা হচ্ছে।

আগে তিন ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা হলেও নতুন মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ভিন্ন হচ্ছে। নতুন কারিকুলাম চালুর পর আগের মতো পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ছিল। শিক্ষার্থীদের অভিভাবরাও উদ্বেগে ছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এ তথ্য জানিয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেছেন, মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সভা হয়েছে। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সভায় পরীক্ষা পদ্ধতি ফেরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরেকটি সভা করে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

জানা গেছে, নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতির পরীক্ষায় মার্কিং (চিহ্নিত) করার নিয়ম থাকবে না। রিপোর্টিং ভালো, অর্জনের পথে এবং প্রাথমিক পর্যায় এমন তিনভাগে ফলাফল হবে। চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মিডটার্ম ও ফাইনাল পরীক্ষা হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে চূড়ান্ত পরীক্ষার মাধ্যমে।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১০টি সাধারণ বিষয় পড়তে হবে। এসএসসি পরীক্ষা হবে দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রমের ওপর। আর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রতি বছর দুটি পাবলিক পরীক্ষা হবে। গত বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে এবং আগামী বছর চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালু হবে এ নিয়ম। এর আলোকে ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা হবে।

খসড়া অনুযায়ী, প্রতিটি মিড টার্ম ও চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টার। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে অন্য কেন্দ্রে। আর চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির পরীক্ষা হবে নিজ স্কুলে। এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলবে। এতে ছয়টি সেশন থাকবে। চার ঘণ্টা থাকবে ব্যবহারিক। মিডটার্ম ও বার্ষিক চূড়ান্ত পরীক্ষায় সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে। ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে নতুন কারিকুলামের আলোকে।

চলতি বছরের জুন মাস থেকেই এ প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন হবে স্কুলে। এর আগেই সব চূড়ান্ত হবে জানিয়ে এনসিটিবির সদস্য (কারিকুলাম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেছেন, অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদদের নিয়ে খসড়া করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন।

চলতি মাসের শুরুতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে সমন্বয় কমিটি গঠন করে সরকার। সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন)। সমন্বয় কমিটিতে সদস্য হিসেবে কাজ করছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান। এছাড়া, আরও বিভিন্ন দপ্তরের নয় কর্মকর্তাকে সদস্য হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে।


আরও খবর



ইতালিয়ানদের সম্মানে ভেনিস বাংলা স্কুলের ইফতার ও আলোচনা

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক, ইতালি :

ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে পাঁচটি স্তম্ভের উপর। প্রথমটি হলো কালিমা বা শাহাদা। অর্থাৎ এক আল্লাহ এবং নবী রাসুলগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। যারা এটি করবে তারা মুসলিম। আর একজন মুসলিমের উপর আল্লাহ রোজার বাধ্যবাধকতা দিয়েছেন, যেমন দিয়েছিলেন অন্যান্য নবী রাসুলগণের অনুসারীদের উপর। সুতরাং রোজা শুধু মুসলিমদের জন্য নয় বা নবী মোহাম্মদ প্রদত্ত নতুন কিছু নয়। অন্যান্য ধর্ম অবলম্বীদের জন্যও রোজার বাধ্যবাধকতা আছে বা ছিলো। যেমন, বাইবেল অনুসারীরাও ৪০ দিন উপবাস করেন। ভেনিস বাংলা স্কুলের আয়োজনে ইতালিয়ানদের সম্মানে ইফতার ও আলোচনায় এসব কথা বলেন, প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার কামরুল হাছান।

ভেনিস বাংলা স্কুলের সভাপতি সৈয়দ কামরুল সরোয়ারের সভাপত্বি আয়োজিত আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠিত হয় ৬ এপ্রিল, শনিবার ভেনিস বাংলা স্কুলের মেসত্রেস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে। এ সময় প্রায় ৩০ জন ইতালিয় শিক্ষক, সাংবাদিক এবং অন্যান্য পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইঞ্জিনিয়ার কামরুল হাছান বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে ইতালিয় বন্ধুদের কাছ থেকে কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হই। যেমন, বর্তমান সময়ে যুদ্ধ-বিগ্রহের কারণে জিহাদ শব্দটা বার বার সামনে আসছে। আমাদের বুঝতে হবে জিহাদ অর্থ ধর্ম যুদ্ধ নয়। জিহাদের অনেক রুপ আছে। কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়, ইনসাফ, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টার নাম জিহাদ। হুট করে অস্ত্র-পাতি, বোমা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ার নাম জিহাদ নয়, ওটা সন্ত্রাস। জিহাদ এবং সন্ত্রাস দুইটা আলাদা বিষয়। কেউ জিহাদ করতে চাইলে ইসলামের বিধান মেনে করতে হবে। মনগড়া কোনো মতবাদে হিজাদ হয় না। অন্যায় ভাবে কাউকে হত্যা করলে তা গোটা মানবজাতীকে হত্যার সামিল অপরাধ হিসাবে গণ্য করে ইসলাম।

তিনি রোজার আধ্যাতিক ও সাইন্টিফিক দিকসহ মুসলিম নারীদের হিজাব ব্যবহারের বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করেন।

কামরুল হাছান যোগ করেন, ইতালিয় সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ইতালিতে বসবাসকারী সকল ধর্মের মানুষ তাদের ধর্ম স্বাধীন ভাবে পালন, প্রচার এবং উদযাপন করতে পারবে। কিন্তু মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব ঈদের দিনে মুসলিম শিক্ষার্থীদের ছুটি দেয়া হয় না। কর্মজীবীদের বাধ্যতামূলক কাজে যেতে হয়। এতে সামাজিক এবং ধর্মীয় বৈষম্য সৃষ্টি হয়। যা মুসলিমদের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। ইতালিয় সরকারের উচিৎ এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা। 

অপর আলোচক ইঞ্জিনিয়ার লিয়ন শরিফ বলেন, মিডিয়ার প্রপাকান্ডায় বিভ্রান্ত হয়ে অনেকে হয়তো মনে করেন মুসলিমরা সন্ত্রাসী বা ইসলাম সন্ত্রাসীদের ধর্ম। আসলে তা নয়। বিশ্বমুসলিম কম্যুনিটিকে কোনো জাতী বা গোষ্ঠীর নিজস্ব কর্ম দিয়ে বিচার করলে তা সুবিচার হবে না। ইসলাম বুঝতে হলে কোরান, হাদিসের কাছে যেতে হবে। পড়াশুনা করতে হবে।

তিনি উপস্থিত ইতালিয়দের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের বুঝতে হবে, যারা ইসলামের নামে সন্ত্রাস করে তারা যেসব অস্ত্র, যানবাহন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেগুলো তারা বা কোনো মুসলিম রাষ্ট্র বানায় না। যারা তাদের কাছে ওসব অস্ত্র, গাড়ি, প্রযুক্তি বিক্রি করে তারাই আবার মিডিয়ার মাধ্যমে ইসলামের গায়ে সন্ত্রাসের ট্যাগ লাগায়। সুতরাং যেসব গোষ্ঠি সন্ত্রাস করে এবং তাদের কাছে যারা অস্ত্র বিক্রি করে উভয়ই বিশ্বমানবতা বিরোধী অপরাধী। উভয়ই সমান ভাবে সন্ত্রাসের অংশীদার।

লিয়ন বলেন, এক সাথে বসবাসের জন্য, ইন্টিগ্রেশনের জন্য সবার মধ্যেই মেনে নেয়ার, মানিয়ে নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। ভৌগলিক কারণে, ধর্মীয় কারণে বাংলাদেশি এবং ইতালিয় বা ইউরোপিয়দের কালচার এক নয়। এক হওয়া সম্ভবও নয়। সুতরাং কাউকে তিরস্কার করে, অধিকার বঞ্চিত করে, সন্ত্রাসের ট্যাগ লাগিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করা কঠিন হয়ে পড়ে।

তিনি যোগ করেন, ইতালিয় মিডিয়ায় রোজাকে 'রমাদান' হিসাবে উল্লেখ করা হয়, যা সঠিক নয়। রমাদান একটি মাসের নাম। এ মাসে মুসলিমরা রোজা রাখেন। সুতরাং রোজা বা সওম বললে তা সঠিক হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে ছিলেন, পলাশ রহমান, মারতা লাভারা ফাচ্চিনি, জাকমো বেল্লাতো, সোহেলা আক্তার বিপ্লবী, আনতোনিয় স্পানো, আলেসসানদ্রো, জান্নি দাল্লা পেল্লেগ্রিনা, জাদা, ক্লাউদিয়া মানতোভান, মানুয়েলা যোরদানা, আকতার উদ্দিন, মোহাম্মদ উল্লাহ সোহেল, আনদ্রেয়া অনোরি, ভালেরিয়া তোনিয়লি, আলেসসানদ্রা বারদেল্লি, গাবরিয়েলে মালুতা, মারিয়া কারমেলা, সেরজো, ফাবরিচ্ছিয়, লাওরা, মিকেয়লা, কাজী টিপু, জানফ্রাংকো বোনেচ্ছো, ইকবাল হাসান, ফিয়রিনা মাসুম, লোরেনছো পোরচিলে, প্রমূখ।

আলোচনা শেষে ফিলিস্তিনির মাজলুমদের জন্য এবং বিশ্বশান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। বিরিয়ানিসহ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহি বিভিন্ন পদের ইফতার পরিবেশন করা হয়।


আরও খবর

রোজার আগে পেঁয়াজ-চিনি আমদানি নিয়ে আলোচনা

শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪




৫৪ জেলায় বইছে তাপদাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

সবচেয়ে উষ্ণতম মাস এপ্রিল তাই দেশের প্রায় সবখানে এখন তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে অবস্থায় দেশের ৫৪ জেলায় বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ আগামী তিনদিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া অফিস

সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের দেওয়া পূর্বাভাসে তথ্য জানানো হয়েছে। রাঙামাটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্ব্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে

এদিকে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। তীব্র গরমে উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ। এতে ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুন

আবহাওয়া অফিস বলছে, রংপুর ,নীলফামারী, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা,বরিশাল ,চট্টগ্রাম, সিলেটে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ পরবর্তীতে সারা দেশে বিস্তার লাভ করতে পারে কোনো কোনো জেলায় তাপমাত্রা  উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রির ওপরে

আবহাওয়াবিদ শাহীনুর ইসলাম জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার রংপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

এদিকে গত চারদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু মাঝারি তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে মানুষ বাইরে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। সকাল ১০টার পর থেকে রোদের তাপে তেতে উঠছে চারপাশ। জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেশিরভাগ দিনই ৩৮ ডিগ্রির ওপরে থাকছে

এছাড়া গত দুইদিনের প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে  কুষ্টিয়ার জনজীবন। ঈদের পরদিন থেকে জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপদহের কারণে চরম বিপাকে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তারা বলছেন, প্রচন্ড তাপদাহের কারণে তাদের রাস্তায় বের হয়ে কাজ কর্ম করতে চরম কষ্ট হচ্ছে

কুষ্টিয়ার কুমারখালী আবহাওয়া অফিস বলছে, কুষ্টিয়ায় সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৮ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে


আরও খবর

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24

খরচ কমলো হজ প্যাকেজের

শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24




ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন,স্টাফ রিপোর্টার :

ঢাকার ধামরাইয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধে মারাত্মক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীণ রয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

গত রাত মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) ভোরে সেহরি রান্নার সময় এমন ঘটনা ঘটেছে।

আহতরা হলেন নান্নু মিয়া (৬০), তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪৮), একমাত্র কন্যা সাথী আক্তার (২১) ও ছেলে সোহাগ মিয়া (১৮)। বর্তমানে সকলেই শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

আহত নান্নু মিয়া উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের উত্তর পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ধামরাই পৌরসভার মোকামটোলা ইব্রাহিম হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া। নান্নু মিয়া ইব্রাহিম হোসেনের ৪ তলা বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকেন।

জানা যায়, ভোর রাতে নান্নু মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম সেহরি রান্নার সময় ঘরে জমানো গ্যাসে অটো সুইচ দিলেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই সাথে তিনটি কক্ষের সব পুড়ে যায় এবং ঘরে নান্নু মিয়াসহ স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা মারাত্মক ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। তাদের আর্তচিৎকারে বাড়ির মালিক ইব্রাহিম হোসেনসহ প্রতিবেশীরা নান্নাু মিয়া ও তার স্ত্রী পুত্র ও কন্যাকে উদ্ধার করে অতিদ্রুত ইসলামপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার ইমারজেন্সিতে দ্বায়িত্বে থাকা চিকিৎসক দ্রুত তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।

স্থানীয়রা জানায়, সেহরির সময় হঠাৎ করে বাড়ির মালিক ইব্রাহিম হোসেনের ঢাক চিৎকারের শব্দ শুনতে পাই। পরে এগিয়ে দেখি তার বাড়ির নিচ তলায় ভাড়াটিয়া নান্নু মিয়ার কক্ষে আগুন লেগেছে। পরে সেখান থেকে অগ্নিদগ্ধ সবাইকে উদ্ধার করে ইসলামপুর সরকারি হাসাপাতালে নিলে সেখান থেকে আবার তাদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি অগ্নিদগ্ধ ৪ জনকেই স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ওই পরিবারে লাইন গ্যাস ও সিলিন্ডার গ্যাস দুটোই আছে। তবে গ্যাসের সিলিন্ডার ফাটেনি। ধারনা করা হচ্ছে লাইন গ্যাসের সুইচ খোলা ছিল। সেই গ্যাস ধীরে ধীরে ঘরের ভিতর জমা হয়েছে এবং রান্নার সময় আগুন দেওয়ার সাথে সাথেই তিনটি কক্ষে মালামাল যা ছিল পুড়ে গেছে এবং পরিবারে ৪ জন সদস্য ছিল সবাই মারাত্মক ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। তারা বর্তমানে শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীণ রয়েছে। তবে সব মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকা মালামাল পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।

অগ্নিদগ্ধদের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা বলেন, আজ সেহরির সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে চার জন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।তাদের অবস্থা খারাপ হওয়ায়।তাদের কে শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বস্তির ঈদযাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে ঈদে ঘরমুখো মানুষ বেশ স্বস্তিতে বাড়ি যাচ্ছেন। তবে বিকালের পরে যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ।

সোমাবার (৮ এপ্রিল) সকালে মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক থাকার চিত্র দেখা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ও যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, বাস স্ট্যান্ডের যানবাহন সড়ক দখল করে রাখাসহ নানা সমস্যা সমাধানে ডিভাইডার দিয়ে পৃথক পৃথক লেন করা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব স্থানে যানজটের শঙ্কা রয়েছে সেখানে ইউটার্ন দেওয়া হয়েছে। এতে যানজট অনেকাংশে কমে গেছে। তাছাড়া এবারের ঈদকে আরও স্বস্তির করতে মেঘনা টোল প্লাজায় নতুন করে ছয়টি কাউন্টার বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে এবার মহাসড়কের যানবাহনের চাপ নেই।

মহাসড়কের চিটাগাং রোড এলাকায় দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আসতে কোনও সমস্যা হয়নি। সড়ক প্রায় ফাঁকা বলা চলে। এতে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পেরেছি। এখান থেকে বাসে করে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা দেবো। আশা করছি, বাকিটা পথ স্বস্তির হবে।

সিএসজিচালিত অটোরিকশাচালক রফিক মিয়া বলেন, মহাসড়কে কোনও যানজট নেই। আজ গাড়ি চালাতে কষ্ট হয়নি। যানজটের ভোগান্তি নেই।

কুমিল্লাগামী তিশা পরিবহনের বাসের জব্বর মিয়া বলেন, মহাসড়কের কোনও পয়েন্টে যানজট চোখে পড়েনি। এক টানে চিটাগাংরোড চলে এসেছি। প্রতিদিন এমন সড়ক থাকলে ভালো হতো। তবে এখনো ঈদের আরও কয়েকদিন বাকি আছে, ওই সময়ে যানজট হয় কি না তা বলা সম্ভব নয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. রেজাউল হক বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিকের তুলনায় কম রয়েছে। গাড়ির চাপ একেবারে নেই। তবে বিকালের পর থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে পারে।

এবারের ঈদযাত্রায় যানজট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মহাসড়কে যানজট হওয়ার শঙ্কা নেই। আশা করছি, ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে। কারণ ঈদকে কেন্দ্র করে মেঘনা টোল প্লাজায় নতুন করে ছয়টি টোল কাউন্টার চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ইউটার্ন দেওয়া হয়েছে ও পুলিশের কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। ফলে যানজটের শঙ্কা নেই।


আরও খবর

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24

খরচ কমলো হজ প্যাকেজের

শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24