Logo
শিরোনাম

বিমানবন্দরে লাগেজের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিলে লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:


নতুন কাস্টমস আইন-২০২৩ অনুসারে বিদেশ থেকে আসা কোনো যাত্রী নিজের লাগেজ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিলে বা ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য আনলে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে। 



আর তার লাগেজে থাকা পণ্য রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে। এছাড়া, নিষিদ্ধ পণ্য নিয়ে এলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

কাস্টমসের নতুন আইন-২০২৩ অনুসারে এমন বিধান রাখা হয়েছে। আগামী ৬ জুন থেকে কার্যকর হচ্ছে ওই আইন।


গত ৩০ মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সই করা এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


কাস্টমস আইনের ১৫৪ ধারায় বলা আছে, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কাস্টমসের কাছে তার লাগেজ সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে। যাত্রী বা ক্রু লাগেজে রক্ষিত পণ্য সম্পর্কে কাস্টমস কর্মকর্তার কাছে লিখিত বা মৌখিক ঘোষণা দিতে পারবেন এবং কাস্টমস কর্মকর্তার প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।



 লাগেজ তল্লাশির আগে যাত্রী যদি রক্ষিত পণ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হন এবং তল্লাশিকালে ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কাস্টমস কর্মকর্তা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবেন। তাছাড়া, সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হবে।


প্রসঙ্গত, কাস্টমস আইন ১৯৬৯ অনুসারে, পণ্যের ক্ষেত্রে অসত্য ঘোষণা প্রদান করা হলে বা কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার অথবা ব্যর্থ হলে, সেক্ষেত্রে যাত্রীকে ওই পণ্য-মূল্যের অনধিক তিনগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডের বিধান ছিল।


এর আগে, গত বছরের ৩১ অক্টোবর জাতীয় সংসদে কাস্টমস আইন-২০২৩ পাস হয়। পুরোনো আইনে ২২৩টি ধারা ছিল। 


নতুন আইনে ২৬৯টি ধারা রয়েছে। রাজস্ব সংগ্রহ ও বাণিজ্য সহজীকরণের লক্ষ্যে বিশ্ব কাস্টমস সংস্থার (ডব্লিউসিও) অনুমোদিত আন্তর্জাতিক চুক্তি ও কনভেনশন অনুযায়ী এবং আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা, যেমন- অনুমোদিত অর্থনৈতিক অপারেটর (এইও), পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তি (এমআরএ), ইলেকট্রনিক ঘোষণা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট (পিসিএ) ইত্যাদি নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


আরও খবর



রাণীনগরে ২৯ হাজার কেজি চাল জব্দের ঘটনায় মামলা দায়ের

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগরের আবাদপুকুর এলাকার একটি গোডাউন থেকে ২৯টন সরকারি চাল জব্দ করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছে উপজেলা খাদ্য বিভাগ। উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মো: আনিছুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন থানার ওসি আব্দুল হাফিজ মো: রায়হান।

উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মো: আনিছুর রহমান জানান সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচির চাল কয়েকজন ব্যবসায়ী কিনে উপজেলার আবাদপুকুর বাজারের কুতকুতিতলা এলাকার আমজাদ মন্ডলের মার্কেটের দুইটি ভাড়া করা গোডাউনে মজুদ করে রেখেছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সহকারি কমিশনার (ভ’মি) শেখ নওশাদ হাসানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ওই দুই গোডাউন থেকে ৫০কেজির ৪৫৩বস্তা ও ৩০কেজির ২২২বস্তাসহ মোট ২৯টন ৩১০কেজি সরকারি চাল প্লাস্টিকের বস্তায় পাওয়া যায়। এ সময় গোডাউন থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বেশকিছু সরকারি বস্তাও পাওয়া যায়। অভিযানের সময় চাল ব্যবসায়ী ও গোডাউন মালিকরা পলাতক ছিলো। অভিযান শেষে শুক্রবার রাতে চালগুলো জব্দ করে উপজেলা খাদ্যগুদামে মজুদ করা হয়েছে। এই ঘটনায় গত রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে চাল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গির আলম বাবুকে প্রধান আসামী এবং আরো ৩/৪জনকে অজ্ঞাত করে উপজেলা খাদ্য বিভাগের পক্ষে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 থানার ওসি আব্দুল হাফিজ মো: রায়হান সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দ্রুতই তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।

 উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাকিবুল হাসান জানান আবাদপুকুর এলাকার কুতকুতিতলায় সরকারি বিতরণকৃত চাল ক্রয় করে মজুদ করা হয়েছে মর্মে জানতে পেরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। দিনব্যাপী পরিচালিত অভিযানে বিপুল পরিমাণ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়ায় উদ্ধারকৃত চাল জব্দ করা হয়েছে। এই বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রশাসন যেকোন ধরণের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে সদাতৎপর রয়েছে। আগামীতেও অবৈধ মজুদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।


আরও খবর



গাজীপুরে ডিবি পরিচয়ে ছিনতাইকৃত ৯৮ লক্ষ টাকা উদ্ধারসহ আসামী গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ |

Image

গাজীপুর প্রতিবেদক :

মাল্টি পয়েন্ট বিডি প্রতিষ্ঠানের ভল্টে থাকা নগদ ৯৮,০০,০০০/-টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় আসামী গ্রেফতার ও লুন্ঠিত নগদ টাকা উদ্ধারসহ মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করল পিবিআই গাজীপুর জেলা।

গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন আউটপাড়া সাকিনস্থ রিয়াজ টাওয়ারের ৬ষ্ঠ তলায় মাল্টিপয়েন্ট বিডি নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভল্টে থাকা নগদ ৯৮,০০,০০০/-টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় আসামী গ্রেফতার, লুন্ঠিত নগদ টাকা উদ্ধার ও মামলার মূল রহস্য উদঘাটন সহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামী গ্রেফতার করেছে পিবিআই গাজীপুর জেলা।

ঘটনায় জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ১। মোঃ আব্দুর রহমান @ রাজন (২৮), পিতা-মোঃ হাসান বেপারী, মাতা-রাবেয়া বেগম @ নিলুফা, সাং-গোবিন্দপুর, হাজী বাড়ি, থানা-ফরিদগঞ্জ, জেলা-চাঁদপুর, এ/পি. সরকারবাড়ী মোড়, প্রিয়াংকা ভিলা, ওয়ার্ড নং-১৬, থানা-বাসন, গাজীপুরকে ডিএমপি, ঢাকার পল্টন থানাধীন ফকিরাপুল কাঁচাবাজার এলাকা থেকে গত ইং ২৩/০৪/২০২৫ তারিখ সময় ২০:৩০ ঘটিকায় গ্রেফতার করে তার দেয়া তথ্য মতে সাক্ষী মোঃ আব্দুল গফুর আকন্দ এর উপস্থাপন মতে লুন্ঠিত ২,৫৫,০০০/-(দুই লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার) টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। ঘটনায় জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ২। মোঃ রবিউল ইসলাম (৩০), পিতা-মোঃ ফারুক, সাং- কাহনিয়া, থানা-ইটনা, জেলা- কিশোরগঞ্জ, এ/পি সাং- মালেকের বাড়ী হাজী মান্নানের বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা- গাছা, জিএমপি গাজীপুরকে ইং ২৮/০৪/২০২৫ তারিখ ০৩.১০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়। ঘটনায় জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ৩। মোঃ উজ্জল (৩৬), ৪। মোঃ মিরাজ (২৫), উভয় পিতা-মোঃ হাসান মৃধা, সাং-ছোট চরশিবা, থানা-গলাচিপা, জেলা-পটুয়াখালী দ্বয়কে ভোলা জেলার দুলারহাট থানাধীন শিকদারের চর সাকিনে কিল্লার মাঠ এলাকা থেকে গত ইং ৩০/০৪/২০২৫ তারিখ ভোর ০৫.০০ ঘটিকায় গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ উজ্জল এর হেফাজত হতে ঘটনায় লুন্ঠিত নগদ ২,৫০,০০০/-(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা উদ্ধার এবং আসামী মোঃ আসামী মোঃ মিরাজ এর তথ্য ও দেখানো মতে গাজীপুর টঙ্গীপূর্ব থানাধীন মরকুন সাকিনস্থ আসামী মোঃ মিরাজ এর স্ত্রীর বড় ভাই রাহাত এর ভাড়া বাসায় রেখে যাওয়া লুন্ঠিত নগদ ১৭,৫০,০০০/-(সতের লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা সহ তিন জনের নিকট থেকে সর্বমোট ২২,৫৫,০০০/-(বাইঁশ লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার) টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।

গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন আউটপাড়া সাকিনস্থ রিয়াজ টাওয়ারের ৬ষ্ঠ তলায় মাল্টিপয়েন্ট বিডি নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গত ইং ১৪/০৪/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.১৫ ঘটিকার সময় বাদী মোহাম্মদ একরামুল হক (৩২), পিতা-শাহ মোহাম্মদ মনিরুল হক, মাতা-হাসিনা বেগম, সাং-মির্জারচর, থানা-রায়পুরা, জেলা-নরসিংদী, বর্তমান সাং-মিরেরবাজার, থানা-পুবাইল, গাজীপুর মহানগর সহ তার প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছিলেন। অফিসের কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে ইং ১৪/০৪/২০২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫.৪৪ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন আসামীরা তাদের অফিসে প্রবেশ করে নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাদীর প্রতিষ্ঠানে অবৈধ কার্যকলাপ করা হয় মর্মে জানিয়ে আসামীদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদানসহ প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে বাদীসহ অন্যান্যদেরকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে। একপর্যায়ে আসামীরা বাদীর অফিসের ভল্টে থাকা নগদ ৯৮,০০,০০০/- (আটানব্বই লক্ষ) টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। 

পরবর্তীতে এই সংক্রান্তে মাল্টি পয়েন্ট বিডি প্রতিষ্ঠানের জিএম মোহাম্মদ একরামুল হক বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে জিএমপি বাসন থানার মামলা নং-২০ তারিখ-১৫/০৪/২০২৫ ইং ধারা-১৭০/৩৯৪ পেনাল কোড রুজু হয়।

মামলাটি রুজু হওয়ার পর জিএমপি বাসন থানা পুলিশ গত ইং ১৫/০৪/২০২৫ তারিখ হতে ০৮ দিন মামলাটি তদন্তকালীন সময়ে মামলাটি পিবিআই এর সিডিউল ভূক্ত মামলা হওয়ায় আবেদনের প্রেক্ষিতে অত্র মামলাটি পিবিআই গাজীপুর জেলা অধিগ্রহন করেন।  

অতিরিক্ত আইজিপি পিবিআই জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল মহোদয়ের সঠিক তত্তাবধানে ও জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার পিবিআই গাজীপুর মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় মামলাটি এসআই(নিঃ)/ বিশ্বজিত বিশ্বাস, বিপিএম-সেবা তদন্ত করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ঘটনায় জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত আসামী মোঃ আব্দুর রহমান @ রাজন এর জবানবন্দি মতে, বাইপাস থেকে বাগের বাজার পর্যন্ত নগদ ডিস্টিবিউটর অফিসের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আসামী আব্দুর রহমান ২ মাস পূর্বে চান্দনা ঈদগাহ মাঠে ঘুরতে গেলে রবিউলের সাথে তার পরিচয় হয়। তখন সে জানায় তাদের অফিসে অনলাইনে ক্যাসিনো (জুয়া) এবং অবৈধ লেনদেনের ব্যাবসা চলে। আলোচনার ১০/১৫ দিন পরে রবিউল আব্দুর রহমানকে নিয়ে তার ঘনিষ্ট বন্ধু মিরাজের কাছে যায়। মিরাজের কাছে তাদের অফিসে অনলাইন ক্যাসিনোর ব্যাবসার কথা বলে। তার ৪/৫ দিন পরে মিরাজ তার আপন ভাই মোঃ উজ্জলকে নিয়ে তার কাছে আসে। মিরাজ এবং উজ্জল @ আমিনুর দুজনে মিলে পরিকল্পনা করে তারা ডিবি পরিচয়ে নগদ ডিস্টিবিউটর অফিসে ঢুকে কম্পিউটার তল্লাশি দিয়ে ক্যাসিনোর সাথে সম্পৃক্ততার তথ্য সংগ্রহ করে অফিসের টাকা পয়সা হাতিয়ে নিবে। গার্মেন্টসের বেতনের সময় (৭ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে) তাদের অফিসে কোটি টাকার বেশী ক্যাশ থাকে। পরিকল্পনা মোতাবেক গত ১৪/০৪/২৫ ইং তারিখ বিকাল ৫.৪৫ ঘটিকায় উজ্জ্বল, মিরাজসহ আরো ৪ জন নগদ ডিস্টিবিউটর অফিসে প্রবেশ করে ডিবির পরিচয় দিয়ে অবৈধ ক্যাসিনোর সাথে উক্ত অফিসের সম্পৃক্ততার কথা জানিয়ে অফিসে থাকা ৫/৬ জন লোককে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে অফিসের ভল্টের থাকা ৯৮,০০,০০০/- (আটা নব্বই লক্ষ) টাকা ছিনিয়ে নেয়। আসামী মোঃ আব্দুর রহমান @ রাজন ঘটনার দিন ০২.৩০ ঘটিকার সময় পূর্ব পরিকল্পনা করে একটি তালা কিনে আসামী উজ্জলকে দেয়। ঘটনার পর আসামী উজ্জল তালা দিয়ে অফিসের বাইরের দিক থেকে সবাইকে তালা মেরে দেয়। পরে আব্দুর রহমান অভিনয় করে তালা ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করে। মিরাজ, আব্দুর রহমানের বাসায় গিয়ে তাকে লুন্ঠনকৃত ০৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে। 


আরও খবর



ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে মাভাবিপ্রবির ছাত্রসংগঠনগুলো

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (৯ মে) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে ‘মাভাবিপ্রবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ (বৈছাআ), শিবির, ছাত্রদল ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতাকর্মীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পরীক্ষার্থীরা যেন কোনো সমস্যায় না পড়েন, সে লক্ষ্যে সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।

এছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে তথ্য সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন, পরীক্ষার্থীদের জন্য পথনির্দেশনা, জরুরি প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আগত অভিভাবকদের জন্য অস্থায়ী বিশ্রামস্থলের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ।

শিবিরের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন, “ভর্তি পরীক্ষায় আগত পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা চেষ্টা করছি, যেন তাদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকতে পারি।”আমাদের পক্ষ থেকে যেসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে সেগুলো হলো: তথ্যসেবা, ‘আমানত কর্নার’ (পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার জন্য), কলম উপহার, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ, ছাউনির মাধ্যমে অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা,

চিকিৎসাসেবা এবং হাতপাখা উপহার।

ছাত্রদলের কর্মী মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, “মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের উদ্যোগে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বিগত দিনের মতো ‘এ’ ইউনিটে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্য সহায়তা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া অভিভাবকদের বসার জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি সুপেয় ঠান্ডা পানি, স্যালাইন, বাইক সেবা সহ যত ধরনের সাহায্য দরকার হয়, আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আমাদের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সকল নেতাকর্মীরা উপস্থিত থেকে সর্বপ্রকার সাহায্য-সহযোগিতা করবে।

মাভাবিপ্রবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব তানভীর ইসলাম তামিম বলেন, “আগামী GST ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতায় মাভাবিপ্রবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বেশ কিছু কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট গেট থেকে সন্তোষ বাজার পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াতে ট্রাফিক ব্যবস্থায় সহযোগিতা করবে সংগঠনটির সদস্যরা। পরীক্ষার্থীদের মোবাইল, ঘড়ি ও ব্যাগ নিরাপদে রাখার জন্য থাকবে সুরক্ষিত জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা। অভিভাবকদের জন্য নির্দিষ্ট বসার স্থান ও পর্যাপ্ত সুবিধা রাখা হবে যেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যে অপেক্ষা করতে পারেন। সব মিলিয়ে, কোনো পরীক্ষার্থী যাতে কোনো ভোগান্তির শিকার না হন, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সহানুভূতির সঙ্গে কাজ করবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।”

“আমরা বিশ্বাস করি, এসব উদ্যোগ ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করবে।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কর্মী আক্তারুজ্জামান সাজু বলেন,"আমরা মাভাবিপ্রবিতে আগত ভর্তি পরীক্ষার্থীদের কলম উপহার দিয়ে আন্তরিকভাবে অভ্যর্থনা জানিয়েছি এবং আগামীকাল ‘এ’ ইউনিটের শিক্ষার্থীদেরও জানাবো। পাশাপাশি তীব্র গরমে তৃষ্ণার্ত পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মাঝে পানি বিতরণ করবো, যাতে তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয়।

উল্লেখ্য, ‘এ’ ইউনিটে এবার ১ লাখ ৪২ হাজার ৭১৪ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এর আগে, গত ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা, যার ফলাফল প্রকাশিত হয় ২৮ এপ্রিল। এছাড়া ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২ মে এবং এর ফলাফল প্রকাশ করা হয় ৫ মে। ‘এ’ ইউনিটে সাধারণত বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে থাকে।


আরও খবর



নিজ দেশের শিখদের উপর ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়ল ভারত!

প্রকাশিত:শনিবার ১০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

পাকিস্তানের ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী দাবি করেছেন, শুক্রবার মধ্যরাতে ছয়টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে ভারত, যেগুলো তাদের নিজ রাজ্য পাঞ্জাবে পড়েছে। তার দাবি, ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে পাঞ্জাবের সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের ওপর মিসাইলগুলো ছুড়েছে। খবর দ্য ডন ও রয়টার্সের।

মাধ্যরাতে তার এমন অভিযোগের পর ভারত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এর আগে গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর ও অন্য জায়গায় মিসাইল ছুড়েছিল ভারত।

ওই হামলার পরপরই সবার আগে এটির খবর জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক। পরবর্তীতে ভারতও মিসাইল ছোড়ার সত্যতা স্বীকার করে নেয়।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, ভারত পাঞ্জাবের ঝালান্দার বিভাগের অদমপুর থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইলগুলো ছোড়ে, যার মধ্যে একটি অদমপুরে আঘাত হানে।

আর বাকি পাঁচটি তারা ফেলে পাঞ্জাবেরই অমৃতসরে। তার অভিযোগ, নিজ দেশের শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে লক্ষ্য করে মিসাইলগুলো ছুড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

তিনি বলেন, ভারত তাদের পরিকল্পনার মাধ্যমে, পাঞ্জাবের শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে, আমাদের সব সহমর্মিতা শিখ এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি রয়েছে, যারা ভারতের অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এটি অবাক করার মতো ঘটনা এবং সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে উসকানিমূলক কাজ। যেখানে ভারত এখন নিজ জনগণের ওপর ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়া শুরু করেছে, যেটি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

এর আগে অমৃতসরে রাতের বেলা সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। তখন সেখানকার বিভাগীয় কমিশনার সবাইকে শান্ত থেকে ব্ল্যাকআউট পালনের অনুরোধ জানিয়েছিলেন।


আরও খবর



এই প্রজন্মই দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ

প্রকাশিত:শনিবার ১০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

এই প্রজন্মই দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে ‘কয়েকটি কথা’ শিরোনামে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন।

মাহফুজ আলম লিখেছেন, একটি দলের অ্যাক্টিভিস্টরা বারবার লীগ নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ছাত্ররা রাজি ছিল না, এটা বলে বেড়াচ্ছেন। মিথ্যা কথা। ক্যাবিনেটে প্রথম মিটিং ছিল আমার। আমি স্পষ্টভাবে এই আইনের অনেকগুলো ধারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। নাহিদ-আসিফও আমার পক্ষে ছিল স্বভাবতই।

তিনি আরও লিখেছেন, দল হিসেবে বিচারের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হলে একজন প্রবীণ উপদেষ্টার জবাব ছিল ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মতো পশ্চাৎপদ উদাহরণ আমরা আমলে নিতে পারি কি না। পরবর্তীতে দল হিসেবে লীগকে নিষিদ্ধ করার কয়েকটা আইনি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয় এবং প্রাথমিক ঐকমত্য হয় যে, ফ্যাসিবাদ দূর করতে ও ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে আমরা সেগুলো অনুসরণ করব। গতকাল বিকালে কথা হয়েছে। দল হিসেবে লীগের বিচারের প্রভিশন অচিরেই যুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা। উনাকে ধন্যবাদ।

অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা লিখেছেন, মিথ্যা বলা বন্ধ করুন। ঘোষণাপত্র নিয়ে আপনাদের দুই মাস টালবাহানা নিয়ে আমরা বলব। ছাত্রদের দল ঘোষণার প্রাক্কালে আপনারা দলীয় বয়ানের একটি ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন। সমস্যা নেই, আমরাও চাই সবাই স্বীকৃত হোক। কিন্তু, এখন সেটাও হতে দেবেন না। দোষ আমাদেরও কম না। আমরা আপনাদের দলীয় প্রধানের আশ্বাসে আস্থা রেখেছিলাম।

তিনি লিখেছেন, পুনশ্চ: আমরা নির্বাচন পেছাতে চাইনা। ডিসেম্বর টু জুনের মধ্যে নির্বাচন হবেই। আপনারা যদি মনে করেন, ছাত্ররা নিজেদের আদর্শ ও পরিকল্পনা নিতে পারে না বরং এখান থেকে ওখান থেকে অহি আসলে আমরা কিছু করি, তাহলে আপনারা হয় ছাত্রদের খাটো করে দেখছেন, নয়তো ছাত্রদের ডিলেজিটিমাইজ করার পরিকল্পনায় আছেন।

মাহফুজ আলম লিখেছেন, সেই আগস্ট থেকেই আমরা জাতির জন্য যা ভালো মনে করেছি, সবার পরামর্শ নিয়েই করেছি। বরং, উক্ত দলকেই আমরা বেশি ভরসা করেছি। সবার আগে উনাদের সঙ্গেই পরামর্শ করেছি। ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব। সব দোষ এখন ছাত্র উপদেষ্টা নন্দঘোষ!

আমরা উক্ত দলকে বিশ্বাস করতে চাই উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও লিখেছেন, উক্ত দলের প্রধানকে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। উনি আমাদের বিশ্বাসের মূল্য দিয়ে লীগ নিষিদ্ধ প্রশ্নে ও ঘোষণাপত্র প্রকাশে দেশপ্রেমিক ও প্রাগমাটিক ভূমিকা রাখবেন বলেই আস্থা রাখি। উক্ত দলকে নিয়ে কে কি বলবে জানি না। কিন্তু আমরা চাই উক্ত দল ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে দেশের পক্ষে, অভ্যুত্থানের শত্রুদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ঐকমত্যের নেতৃত্ব দিক। দেশপ্রেমিক ও সার্বভৌমত্বের পক্ষের শক্তি হিসেবে নেতৃত্ব দিলে ছাত্ররা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় উনাদের সঙ্গে চলবেন।

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ঐক্যবদ্ধ হোন। নেতৃত্ব দিন। এই প্রজন্মকে হতাশ করবেন না। এই প্রজন্ম দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ।

প্রসঙ্গত, মাহফুজ আলম ২০২৪ এর জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। বর্তমানে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


আরও খবর