Logo
শিরোনাম

বিপিএল ফাইনালে তামিমকে সম্মাননা দেবে বিসিবি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

আরেকটি বিপিএলের শেষ পর্যায়ে এসে তামিম ইকবাল প্রকাশ করেছেন পরবর্তী বিপিএলেও খেলার তার আগ্রহ রয়েছে। এটি হওয়া স্বাভাবিক। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন, কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটকে তো নয়!

শুধু বিপিএল নয়, আসন্ন প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগেও তামিমের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া সুযোগ পেলে বিভিন্ন দেশে হওয়া সাবেক ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্ট লিজেন্ড লিগেও খেলতে চান তিনি। সুতরাং বাংলাদেশ দলের জার্সি না পরলেও এখনই ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছেন না তামিম। তবে গুঞ্জন সত্যি হলে অদূর ভবিষ্যতে যদি তিনি সংগঠক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন, সেটি হবে ভিন্ন কথা।

জাতীয় দলে যেহেতু আর খেলছেন না, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সিদ্ধান্ত নিয়েছে তামিম ইকবালকে বিদায়ী সম্মাননা জানানোর। আপাতত ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক কোনো ইভেন্ট নেই। বিপিএলের কালকের ফাইনালটাকেই তাই তামিমের বিদায়ী উপলক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছে বিসিবি। কাল সন্ধ্যায় মিরপুরে অনুষ্ঠেয় বিপিএল ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আগে তার হাতে বিদায়ী স্মারক তুলে দেওয়া হবে। ফাইনালের দুই দলের একটি ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম।

বিপিএলের সিলেট পর্ব চলাকালীন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে তামিম থাকবেন কি থাকবেন না, এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সিলেটে নির্বাচকেরা তার মতামত জানতে চাইলে তামিম জানিয়ে দেন তিনি আর জাতীয় দলে খেলবেন না। নির্বাচকেরা তাঁকে আরেকটু ভাবতে বললে তামিম দুই দিন সময় নেন। এরপর গত ১০ জানুয়ারি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান তিনি।

তামিম লিখেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।’ পরে বিপিএলের মধ্যেই এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন তিনি। আজ মিরপুরেও বলেছেন একই কথা।

এর আগে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তান সিরিজের মধ্যে অনেকটা অভিমান থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন তামিম। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে অবশ্য পরদিনই সিদ্ধান্ত পাল্টান। তবে এরপর জাতীয় দলের হয়ে মাত্র দুই ওয়াডেই খেলেছেন তামিম। বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁকে শেষবার দেখা গেছে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে।


আরও খবর

আইপিএলের নিয়মে পরিবর্তন

শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫




তরুণদের নতুন দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আজ আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া তরুণদের রাজনৈতিক দলের নাম দেয়া হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি বা ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি (এনসিপি)। দলটির আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব পদে আখতার হোসেনের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। এছাড়া শীর্ষ নেতাদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির একজন কার্যনির্বাহী সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শুরুতে নতুন দলের নাম বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক নাগরিক সংসদ রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়। পরে জাতীয় নাগরিক পার্টিবাংলাদেশ নাগরিক পার্টি নাম দুটি নিয়ে আলোচনা হয়। শেষ পর্যন্ত গতকাল বিকালের দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি নামটি চূড়ান্ত করা হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে জাতীয় নাগরিক পার্টি হবে তরুণদের নতুন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম, রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ হবে।

জানা গেছে, নতুন দল এনসিপির প্রথম কমিটি হবে ১০০-১৫০ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি। এরই মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কমিটির শীর্ষস্থানীয়দের নাম চূড়ান্ত করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। নতুন দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব পাচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, দলের দায়িত্ব নিতে ২৫ ফেব্রুয়ারি যিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ ছেড়েছেন। নতুন দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পদে থাকছেন সামান্তা শারমিন, যিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয়েছে নুসরাত তাবাসসুম, আরিফুল ইসলাম আদীব, সারোয়ার তুষার, আল আমিন, মনিরা শারমিন, হাসান আলী খানকে।

আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মনোনীত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে থাকছেন ডা. তাসনিম জারা।

কমিটির তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রধান সমন্বয়কারী। এ পদে মনোনীত হয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে থাকছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ। দলের মুখ্য সংগঠক পদে দায়িত্ব পালন করবেন দুজন। তারা হলেন দেশের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তারা দুজনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। নতুন দলের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে থাকছেন সালেহ উদ্দিন সিফাত। রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে আজ নতুন এ দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দলের শীর্ষ পদে মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হবে।

নতুন কমিটি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত দলকে নেতৃত্ব দেবে বলে জানা গেছে। এজন্য দলের আহ্বায়ক কমিটির আকার বাড়ানো হবে। এরই মধ্যে কমিটির একটা খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এতে জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সম্মুখযোদ্ধাদের স্থান দেয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোয়। এছাড়া জুলাই আন্দোলনের আলোচিত নারী নেত্রীরা নতুন দলে জায়গা পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে গতকাল সকাল থেকেই পুরোদমে চলে প্রস্তুতি। আয়োজকরা জানান, অনুষ্ঠানস্থলে মেডিকেল টিম, পুলিশ বুথ, ওয়াশরুম ও পানির ব্যবস্থা থাকবে। একই সঙ্গে ব্যাকস্টেজে মেয়েদের জন্য অন্য বুথের ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি ভিআইপিদের জন্য থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা। অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদেরও যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।


আরও খবর



সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা কখন জরুরি?

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

জীবন মানেই সম্পর্কের মায়াজাল। পরিবার, বন্ধু, প্রেমিক, প্রেমিকা কিংবা জীবনসঙ্গী—প্রতিটি সম্পর্ক আমাদের জীবনের অংশ হয়ে ওঠে। 

কিন্তু কখনও কখনও সম্পর্কগুলো আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তবু, মানুষ সম্পর্ক আঁকড়ে ধরে রাখে, মনে হয়, হয়তো একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। 


কিন্তু সত্যি কি সব ঠিক হয়? 


আর সব ঠিক না হলে, সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসাই কি সঠিক সিদ্ধান্ত নয়?


কেন সম্পর্ক জটিল হয়?


সম্পর্ক তখনই জটিল হয়, যখন সেটা আর হৃদয়ের আরামদায়ক স্থান থাকে না। এটা হতে পারে পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব, মনোযোগের ঘাটতি, বিশ্বাস ভাঙন, কিংবা অবহেলার কারণে। 


আমরা অনেক সময়ই বুঝে উঠতে পারি না—এই সম্পর্কটা আমাদের জীবনের জন্য উপকারী, নাকি ক্ষতিকর।


তাহলে কখন বুঝবেন সম্পর্ক থেকে সরে আসার সময় এসেছে? 


কিছু বিষয় হিসাব নিকাশ করতে পারেন। 


১. বিশ্বাস ভেঙে গেছে?

সম্পর্কের মূলে থাকে বিশ্বাস। যদি সেটা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়া আর সম্ভব নয়। প্রতারণা কিংবা কথায় কথায় মিথ্যা বলার প্রমাণ পেলে দ্রুত সরে আসুন।


২. আপনার অস্তিত্বই যেন তুচ্ছ?

যখন সঙ্গী আপনাকে ‘টেকেন ফর গ্র্যান্টেড’ করতে শুরু করে, তখন বুঝতে হবে, এই সম্পর্ক আপনার আত্মসম্মানকে ধ্বংস করছে। মনে রাখবেন, ভালোবাসার সম্পর্কেও আত্মসম্মান জরুরি।


৩. মনোযোগ আর নেই?

ভালোবাসা মানে পারস্পরিক যত্ন। যদি দেখেন, সঙ্গী আপনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে কিংবা আপনাকে অবহেলা করছে, তবে হয়তো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা আর সম্ভব নয়।


৪. শ্রদ্ধার অভাব?

প্রতিটি সম্পর্কের ভিত্তি শুধু ভালোবাসা নয়, শ্রদ্ধাও। যদি সঙ্গী আপনাকে বারবার অপমান করে কিংবা অসম্মান করে, তবে সেটা সম্পর্ক শেষ করার বড় সংকেত।


৫. দৈনিক ঝগড়া?

যদি প্রতিদিনই কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়, এবং সমাধানের চেষ্টা সত্ত্বেও সমস্যার শেষ না হয়, তবে হয়তো সেই সম্পর্ককে আর চালিয়ে নেওয়া উচিত নয়।


মাথায় রাখবেন, সম্পর্ক শেষ হওয়ার মানে জীবনের শেষ নয়। বরং, এটি একধরনের নতুন শুরু। 


নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের মানসিক শান্তির গুরুত্ব দিন। সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা মানে আপনার জীবনে আরও সুন্দর কিছু শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়া।


জীবন ছোট। এমন সম্পর্ক টেনে নিয়ে চলার কোনও মানে নেই, যা শুধু কষ্ট আর হতাশা এনে দেয়। 


তাই নিজের আত্মসম্মান, শান্তি, আর সুখের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিন। 


মনে রাখবেন, সম্পর্কের মানে যদি বোঝা হয়ে যায়, তবে সেটিকে মুক্তি দেওয়াই শ্রেয়। 


জীবন অপেক্ষা করছে নতুন সম্ভাবনায়, নতুন আনন্দে।


আরও খবর

আজকের শিশু আছিয়াদের আর্তনাদ

রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫




ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যেও জিকার সংক্রমণ পাওয়া গেছে

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি) বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের ক্লাস্টার শনাক্ত করেছে। আইসিডিডিআর,বি’র বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি প্রচলিত জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি পরীক্ষার জন্য একটি ছোট আকারে স্ক্রিনিং করেছেন। তারা ২০২৩ সালে সংগৃহীত রোগীদের নমুনার মধ্যে পাঁচটি কেস শনাক্ত করেছেন, যা ঢাকায় জিকা সংক্রামিত রোগীদের একটি ক্লাস্টার হিসেবে প্রথমবারের মতো চিহ্নিত করা গেছে। এর মধ্যে একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ছিলেন।

সোমবার (৩ মার্চ) আইসিডিডিআরবি তাদের ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

জিকা ভাইরাসকে একটি প্রধান উদীয়মান রোগজীবাণু হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৫৪ সালে নাইজেরিয়ায় প্রথম জিকা ভাইরাস শনাক্ত হলেও পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এশিয়া ও আফ্রিকায় নীরবে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ২০০৭ সালে ফেডারেটেড স্টেটস অব মাইক্রোনেশিয়ার ইয়াপ দ্বীপে প্রথম বড় জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া যায়। ২০১৫ সালে, ব্রাজিলে একটি বড় প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল এবং পরবর্তীকালে দক্ষিণ আমেরিকার বাকি অংশ, ক্যারিবিয়ান এবং অবশেষে বিশ্বের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন এবং ভারতে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া গেছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) রেট্রোস্পেকটিভ সার্ভিল্যান্স স্টাডিতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একজন জিকা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়। ২০১৪ সালে বিদেশ ভ্রমণের পূর্ব ইতিহাস নেই এমন এক রোগীর কাছ থেকে এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, যা ইঙ্গিত দেয় যে, ব্রাজিলে ২০১৫ সালের প্রাদুর্ভাবের আগে থেকেই বাংলাদেশে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল।

আইসিডিডিআরবি জানায়, এই গবেষণায় ২০২৩ সালে মহাখালীতে আইসিডিডিআর,বি’র ডায়াগনস্টিক ফ্যাসিলিটিতে আসা রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করেন এবং জ্বর ও জিকা ভাইরাসের অন্য কোনও লক্ষণ নিয়ে ১৫২ জন রোগীর নমুনায় জিকা ভাইরাসের জন্য পিসিআর পরীক্ষা করেন। এর মধ্যে পাঁচটি নমুনায় জিকা ভাইরাসের সংক্রমণের উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে, বাংলাদেশে রোগের প্রকৃত বোঝা পরিমাপের জন্য দেশব্যাপী আরও বড় পরীক্ষার প্রয়োজন। পাঁচ জন রোগীই একে অপরের থেকে এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বসবাস করতেন এবং গত দুই বছরে দেশের বাইরেও ভ্রমণ করেনি তারা। সব রোগীকে প্রায় এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছিল, যা ইঙ্গিত দেয় যে তারা একই সংক্রমণের শৃঙ্খলের অংশ ছিল। জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের পাঁচ জনের মধ্যে একজন ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন- বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই সহ-সংক্রমণ শনাক্ত হলো বলে জানায় আইসিডিডিআরবি।

আইসিডিডিআর,বি’র জিনোম সেন্টারে গবেষকরা তিন জনের নমুনার পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং করেন। বিশ্বজুড়ে সংগৃহীত অন্যান্য জিকা ভাইরাসের ধরনের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণে তারা দেখেছেন যে বাংলাদেশি ধরনগুলো আফ্রিকান বংশের বিপরীতে জিকা ভাইরাসের এশীয় বংশের অন্তর্গত। ২০১৯ সালে কম্বোডিয়া ও চীনের স্ট্রেইনের সঙ্গে বাংলাদেশের স্ট্রেইনের সবচেয়ে বেশি মিল পাওয়া গেছে। জিকা-আক্রান্ত দেশগুলো থেকে ভ্রমণকারীদের জন্য রুটিন জিকা ভাইরাস, পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে আরও ডায়াগনস্টিক ক্ষমতা এবং পদ্ধতিগত নজরদারি ভবিষ্যতে বড় প্রাদুর্ভাবের চেয়ে এগিয়ে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করে আইসিডিডিআর,বি।


আরও খবর



নওগাঁয় ট্রাক চাপায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ শহর বাইপাস সড়কের খলিসাকুড়ি মোড় এলাকায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী'র মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুর ২টারদিকে।

নিহত স্বামী ও স্ত্রী হলেন, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোলাহাট এলাকার পালসা গ্রামের আফাজ উদ্দিন (৫৬) ও তার স্ত্রী বিলকিস বানু (৪৯)। 

প্রত্যক্ষদর্শী  ও নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে আফাজ উদ্দিন তার স্ত্রী বিলকিস বিবিকে সাথে নিয়ে নওগাঁ শহর থেকে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ি পালসা গ্রামে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে বাইপাস সড়কের খলিসাকুড়ি মোড় এলাকায় আলহেরা রাইচ মিলের সামনে পৌছালে এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে তাদের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে দূর্ঘনাস্থলেই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে স্বামী-স্ত্রী'র মৃত্যু হয়। নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কাজ শেষ করে মৃতদেহ থানায় নিয়ে এসেছে। এখান থেকে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। স্বজনেরা আসলে ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও মোটরসাইকেল টি পুলিশি (থানা) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরতে চায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মায়ানমারে ফিরে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এজন্য মায়ানমারে শান্তি পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ১৪ মার্চ কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক‍্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মায়ানমারের নিরাপত্তার নিশ্চিতের দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আমি দুটি স্পষ্ট বার্তা পেয়েছি।

প্রথমত, রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। এটি তাদের অধিকার, তারা বঞ্চনার শিকার।

আর দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গারা আরো ভালো পরিবেশ চায় ক্যাম্পে। দুর্ভাগ্যবশত যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য অনেক দেশ সম্প্রতি নাটকীয়ভাবে মানবিক সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে।

এই কারণে আমাদের মানবিক সহায়তার মধ্যে খাবারের রেশন কমাতে হয়েছে। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। যত দেশ সম্ভব আমি কথা বলবো, যাতে করে ফান্ড পাওয়া যায় এবং এর থেকে আরও খারাপ পরিস্থিতি না আসে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবে, এমনটি প্রত্যাশা করেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে জোরালো আওয়াজ তুলবো।

কারণ সম্মানের সঙ্গে এখানে বসবাসের জন্য এই সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।

এর আগে, দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক‍্যাম্প পরিদর্শন করেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের কথা শোনেন, বলেন এবং ক্যাম্পের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে বিমানের একই ফ্লাইটে কক্সবাজার যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।


আরও খবর