Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

বিস্ফোরক মামলায় নওগাঁয় বিএনপির ৯ নেতা কারাগারে

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :


নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের ৯ জন নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার ৪ জানুয়ারি দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ঐ ৯ জন উপস্থিত হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। তবে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক মোঃ আবু শামীম আজাদ তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ফজলে হুদা বাবুল, বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জাকির হোসেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদি চৌধুরী ও দম্পর সম্পাদক শাহিন হোসেন, উপজেলার কোলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওমর ফারুক, বালুভরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ হোসেন, মিঠাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মথুরাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সহভাপতি রুস্তম আলী এবং  বদলগাছী উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি দুলাল মোহরী।

মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় বদলগাছী উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগের শোক র‌্যালিতে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।  বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠেনর নেতা-কর্মীরা

বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে এমন অভিযোগে উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ছানাউল হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠেনর ১৮ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০ জনের বিরুদ্ধে বদলগাছী থানায় মামলা করেন। ঐ দিন রাতেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির আট নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। ঘটনার পর থেকে মামলায় বাকী আসামিরা পলাতক ছিলেন ।

আজ দুপুরে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদের আদালতে ওই মামলার নয় আসামি হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।


আরও খবর



বায়ুদূষণে সবার শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

রাজধানী ঢাকায় বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে। বিশ্বের ১০০ শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে আজ রোববার (১০ মার্চ)  ঢাকার অবস্থান শীর্ষে। সকাল ৮টার দিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (আইকিউ এয়ার) সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তালিকায় আজ সবার শীর্ষে অবস্থান করা ঢাকার বাতাসের মানের স্কোর ২১২। অর্থাৎ, নগরবাসীর জন্য আজ ঢাকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর। পাশাপাশি তালিকার দুই নম্বরে আছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি। শহরটির বাতাসের মানের স্কোর, ১৯৫। বাতাসের এই মান নাগরিকদের জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে ধরা হয়। এছাড়া সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষ তিন নম্বরে আছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ১৮৮। অর্থাৎ, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির এই শহরের বাতাসও আজ নাগরিকদের জন্য অস্বাস্থ্যকর

একিউআই বা বায়ুমান নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩) । একিউআই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে নগরবাসীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।  প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে তথ্য দেয় এবং কী ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।


আরও খবর



সময়মতো ছাড়ছে না অধিকাংশ ট্রেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনায় সারা দেশে শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে অধিকাংশ ট্রেনই সময় মতো ছাড়তে পারেনি।

স্টেশন সূত্র জানিয়েছে, সকাল থেকে ধূমকেতু এক্সপ্রেস, তিতাস কমিউটার, নীলসাগর, রংপুর এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস দেরিতে ছেড়ে গেছে।

দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এ নিউজ লেখা পর্যন্ত (বেলা ১১টা ১৪ মিনিট) ট্রেনটি স্টেশনে ছিল।

রেল সূত্র জানিয়েছে, সর্বশেষ ১২ ঘণ্টায় লালমনি এক্সপ্রেস ৬ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট দেরিতে, রংপুর ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট দেরিতে, কুড়িগ্রাম ৭ ঘণ্টা ৪০ মিনিট দেরিতে, নীলসাগর ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট দেরিতে, ধূমকেতু ৩ ঘণ্টা ১০ মিনিট দেরিতে, পদ্মা ৫ ঘণ্টা ২৫ মিনিট দেরিতে, পঞ্চগড় ৯ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট দেরিতে, চিত্রা ৬ ঘণ্টা ১৫ মিনিট দেরিতে চলাচল করেছে।

দেরিতে থাকা একতা এক্সপ্রেসের যাত্রী শহিদুল ইসলাম বলেন, ট্রেন কোথাও দুর্ঘটনা ঘটলে শিডিউল ঠিক থাকে না। যুগের সঙ্গে সবকিছু পরিবর্তন হয়েছে শুধু রেলের সময়সূচির পরিবর্তন হয়নি।

এ বিষয়ে ঢাকা (কমলাপুর) রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, চারটি ট্রেন দেরিতে চলছে। এগুলো হলো- পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও একতা এক্সপ্রেস। ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য সোমবার (১৮ মার্চ) অনেকগুলো ট্রেন দেরিতে চলেছে।


আরও খবর



মিয়ানমার শরণার্থীদের ফেরত পাঠাচ্ছে ভারত

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ২০২১ সাল থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত। এরই মধ্যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর থেকে প্রথম দফায় বেশ কয়েকজনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। শুক্রবার বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং বলেছেন, মিয়ানমারের যেসব নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল, তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শুক্রবার প্রথম দফায় তাদের কয়েকজনকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

বীরেন সিং আরও বলেন, ভারত ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। তার পরও মানবিক বিবেচনায় দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের বিপদগ্রস্ত নাগরিকদের আশ্রয় ও সহায়তা দিয়েছে ভারত সরকার।

ভারতের মিজোরাম, মণিপুর, অরুণাচল ও নাগাল্যান্ড রাজ্যের সঙ্গে প্রায় ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার সীমান্ত আছে। নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ের দিক থেকেও মিয়ানমারের জনগণ ও ভারতের এই চার রাজ্যের জনগণ বেশ কাছাকাছি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির দলকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলে নেয় সামরিক বাহিনী। ক্ষমতা দখলের পরপরই ফুঁসে ওঠে মিয়ানমার। এরসাথেই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু মিয়ানমারের পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভ দমনে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার শুরু করার পর ২০২২ সালের দিকে গণতন্ত্রপন্থীদের একাংশ জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোতে যোগ দেওয়া শুরু করে। ২০২৩ সালের শেষের দিকে বিদ্রোহীরা ক্রমাগত রাজ্য দখলে নিচ্ছে। ফলে মিয়ানমারে চলছে তীব্র গৃহযুদ্ধ।


আরও খবর



ঈদের চাঁদ দেখে বিক্রি হবে তিন দিনের ট্রেনের টিকিট

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির তারিখ ঘোষণা করা হলেও ঈদের তিনদিন (১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল) এর টিকিট বিক্রি করা হবে চাঁদ দেখার পরই বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

সম্প্রতি ঢাকায় রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান রেলওয়ের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সরদার সাহাদাত আলী।

তিনি বলেন, এপ্রিলের ১০, ১১ ও ১২ তারিখের ট্রেনের টিকিট বিক্রয় করা হবে ঈদের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। অগ্রিম ও ফেরত ঈদ যাত্রার টিকিট শতভাগ অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে। একজন যাত্রী অগ্রিম যাত্রা ও ফেরত যাত্রার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ বার করে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন এবং প্রতি ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৪টি টিকিট ক্রয় করতে পারবে। একজন যাত্রীর সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহযাত্রীদের নাম ইনপুট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। ঈদযাত্রার টিকিট রিফান্ড করা যাবে না। এ ছাড়া ঈদের আগের ৭ দিন ও ঈদের পরের ৭ দিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে।

তিনি আরও বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের ডে-অফ (সাপ্তাহিক ছুটি) বাতিল করা হয়েছে। ৩ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব ট্রেনের কোনো ডে-অফ থাকবে না। ঈদের পর যথারীতি সাপ্তাহিক ডে-অফ কার্যকর থাকবে। এ ছাড়া ঈদের দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।

আগামী ১০ এপ্রিলকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ধরে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের এ ট্রেন যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে আগামী ২৪ মার্চ। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। এবারের ঈদে ১৬টি ট্রেন নতুন যুক্ত হয়েছে।


আরও খবর



রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কেন বাড়ে?

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

রক্তে এলডিএল খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ছে মানেই বিপদ। হার্টের রোগের পিছনে যে এই উপাদানটির হাত রয়েছে। তা এখন সকলেই জানেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে স্ট্রোক, করোনারি ডিজিজ, হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এখন প্রশ্ন হলো, কোলেস্টেরল কী? তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়ই বা কী?

মোমের মতো চটচটে একটি পদার্থ হলো কোলেস্টেরল। যার উৎসস্থল হলো লিভার। রক্তের মাধ্যমে বাহিত হয়ে কোলেস্টেরল শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছায়। কোলেস্টেরল মানেই যে খারাপ, এমন ধারণাও ঠিক নয়। রক্তের মধ্যে সাধারণত দুধরনের কোলেস্টেরল থাকে।

লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) এবং হাই-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল)। এই দুয়ের মধ্যে হার্টের বন্ধু হল এইচডিএল। অন্যটিই যত নষ্টের গোড়া। চিকিৎসকেরা বলেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে ভাসতে থাকা ওই চটচটে পদার্থগুলোই এক সময়ে ধমনীর গায়ে আটকে যায়। ধমনীর গায়ে অবাঞ্ছিত কিছু প্লাক তৈরি করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়, শুরু হয় নানান সমস্যা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে ওষুধের উপর ভরসা করতেই হয়।

১) রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বাইরের ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার। এই ধরনের খাবারের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। যে কারণে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরল। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে আগে সেই সব খাবার খাওয়া কমাতে হবে।

২) পলি এবং মোনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সাথে ফাইবারজাতীয় খাবার থাকাও প্রয়োজন। ওট্‌স, গম, কিনোয়া, ব্রাউন রাইস, টাটকা শাকসব্জি, বিভিন্ন রকমের বাদাম, বীজ, ফল- রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

৩) এলডিএল বশে রাখতে আরো একটি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। আখরোট, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম, সামুদ্রিক মাছ, টোফুর মতো খাবার এ ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।

৪) কোলেস্টরলের সমতার অভাব হওয়ার আরো একটি বড় কারণ হলো শরীরচর্চা না করা। মধ্যবয়সিদের মধ্যে এই প্রবণতা আরো বেশি। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করাও জরুরি। তার জন্য যে জিমে যেতেই হবে এমন নয়। সাধারণ কিছু যোগব্যায়াম, সাইক্লিং, সাঁতারের মতো ব্যায়াম করা যেতেই পারে।


আরও খবর