Logo
শিরোনাম

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সব জনতাকেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সব জনতাকেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন জনতা বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে আন্দোলন করছে। এক্ষেত্রে শুধু তৌহিদী জনতা নয়, জনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী সব জনতাকেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড-এর ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কোস্ট গার্ড দিবস-২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, আমাদের নদীপথ ও সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব কোস্ট গার্ডের যা তারা খুব ভালোভাবে সম্পন্ন করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে মাঝে মাঝে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। কোস্ট গার্ড সেগুলো সফলতার সঙ্গে সমাধান করছে। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা আমাদের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করে নিয়ে যায়। এসব ক্ষেত্রেও কোস্ট গার্ড ভালো ভূমিকা রাখছে। কোস্ট গার্ড ও বিজিবির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উপকূল এলাকা আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, পাসপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে দেয়া হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট পাওয়া সহজ হবে না। কারণ, ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া পাসপোর্ট করা যাবে না। তাই রোহিঙ্গারা যেন জাতীয় পরিচয়পত্র না পায় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আরা যারা এরইমধ্যে পেয়েছে তাদের ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করা হবে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, দুর্নীতি আমাদের বড় সমস্যা। এটি আমাদের সব ক্ষেত্রকে গ্রাস করে নিয়েছে। তিনি বলেন, গত ছয় মাসে দুর্নীতির পরিমাণ অনেক কমেছে। তবে এটি এখনো সহনীয় পর্যায়ে আসেনি। তিনি আরো বলেন, দুর্নীতি যদি কমানো যায়, তাহলে সব সেক্টরে উন্নতি হবে।

এসময় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল মো. জিয়াউল হক উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

মাগুরায় ধর্ষণের ঘটনায় নিহত শিশু আছিয়ার গায়েবানা জানাজা ঝালকাঠিতেও অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) জুম্মা নামাজ শেষে  কেন্দ্রীয় ঈদগাহ জামে মসজিদ মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝালকাঠি জেলার আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহবায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ , সদস্য সচিব রাইয়ান বিন কামাল,যুগ্ম সদস্য সচিব ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতিসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। জানাজায় অংশ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমরা এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। ধর্ষকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশ্যে শাস্তি দিতে হবে, যাতে কেউ আর এ ধরনের অপকর্ম করার সাহস না পায়। উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ রাতে মাগুরায় বোনের বাড়িতে আট বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার হয়। ৮ মার্চ তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ দুপুরে তার মৃত্যু হয়।


আরও খবর



‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫ |

Image

বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৬ নগরের মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। আজ রবিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে আইকিউ এয়ারের মানসূচকে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ১৬৫। বায়ুর এই মানকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার নিয়মিত বায়ুদূষণ পরিস্থিতি তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে ধারণা দেয়।

সকাল ৯টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে বায়ুর মান ২০৩ নিয়ে বায়ুদূষণে শীর্ষে ছিল মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন। ১৮৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর। ১৮০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল উজবেকিস্তানের তাসখন্দ। আর ১৭১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে ছিল চীনের চকিং।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। তবে স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ থাকলে তা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (অসুস্থ বা শিশু-বৃদ্ধ) জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। 

স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকলে সে বাতাস অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর

বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫




ঈদকে সামনে রেখে কর্মব্যস্ত তাঁত পল্লি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের তাঁত পল্লি গুলো কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে। বর্তমান বাজার ভালো থাকায় দীর্ঘ দিনের নানা সমস্যা কাটিয়ে লাভের আশা করছেন তাঁত মালিকরা। গত বছরের তুলনায় এবছর চাহিদা অনেক বেশি বলে জানান তাঁত মালিকেরা ।

তাঁত সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে পরিচিত সিরাজগঞ্জ। সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া ও চৌহালী উপজেলায় পাওয়ার লুম ও হ্যান্ডলুম রয়েছে অন্তত ৫ লাখ তাঁত রয়েছে । তাছাড়াও উল্লেখিত এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার তাঁত কারখানা রয়েছে । এতে প্রায় ২৩-২৪ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তারা শাড়ি, লুঙ্গি, ধুতি, গামছা, থ্রিপিস তৈরি করছে । তবে, ৯০ শতাংশ তাঁতে মূলত তৈরি হয় শাড়ি ও লুঙ্গি । আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে ব্যাপক চাহিদা থাকায় সব কারখানায় দিন- রাত ব্যস্ততা বেড়েছে। এখানে তৈরি হয় আন্তর্জাতিক মানের জামদানী, কাতান, সিল্ক, বেনারশি, লুঙ্গি, থ্রি-পিস, গামছা ও থান কাপড়। এখানকার উৎপাদিত কাপড় সমূহের কদর রয়েছে দেশ জুড়ে।

জেলার অর্থনৈতিক চালিকাশক্তির অন্যতম এ শিল্পটির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছে অন্তত ৫ লাখ মানুষ। বছরে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার তাঁত পন্য উৎপাদিত হয় প্রায় ৭০ কোটি মিটার কাপড়। এ কারণে জেলার ব্র্যান্ডিং ঘোষণা করা হয় তাঁতশিল্পকে। নাম দেয়া হয় তাঁতকুঞ্জ সিরাজগঞ্জ।

দিনের আলো ফোটার সাথে সাথেই তাঁতের খট খট শব্দে মুখরিত থাকতো সিরাজগঞ্জের তাঁত পল্লীগুলো। কালের আবর্তে এবং আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে তাঁত কারখানাগুলোতে। উৎপাদন বাড়াতে প্রতিটি কারখানায় যন্ত্র চালিত পাওয়ার লুম দিয়ে শাড়ী, লুঙ্গি আর গামছা তৈরি করা হয়। তাঁত শ্রমিক হামিদ, শহিদুল, আলামিন, মিতু বেগম, জাহানারা জানান, ঈদকে সামনে রেখে এখন এখানকার তাঁত মালিকরা পুরোদমে কারখানা চালু করেছে । ফলে আমাদের ব্যস্ততা বেড়েছে । এখন প্রতিদিনই কাজ হচ্ছে । এখন তাঁত চালু হওয়ায় আমাদের অভাব অনেকটাই দুর হয়েছে।

তাঁত শ্রমিক শফিকুল জানান, প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছি। ফলে সাপ্তাহে ৫ হাজার টাকার বেশি মজুরি পাই। এতে পরিবারের সবার চাহিদা মিটিয়ে সকলকে নিয়ে এবার সুন্দরভাবে ঈদ করতে পারব।

কাপড় ব্যবসায়ী শহীদ সরকার জানান, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কাপড়ের এনায়েতপুর ও সোহাগপুর হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতারা এখান থেকে কাপড় পাইকারি কিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে বিক্রি করেন।

বেলকুচি উপজেলার শফিকুল ইসলাম শফি, খুকনীর ফিরোজ উইভিং ফ্যাক্টরির মালিক ফিরোজ হাসান অনিক আলামিন, আব্দুল আজিজ বাবু সহ একাধিক তাঁত মালিক বলেন, বর্তমান বাজার ভালো থাকায় দীর্ঘ দিনের নানা সমস্যা কাটিয়ে লাভের আশা করছি। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ব্যবসা ভালো হবে বলে মনে করেন তাঁত মালিকরা।

খামার গ্রামের সফল জাতীয় কারুশিল্পী পদকপ্রাপ্ত তাঁতি আফজাল হোসেন লাভলু বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে এবার ভারতে শতকোটি টাকার সুতি শাড়ি ইতিমধ্যেই রপ্তানি হয়েছে। আমিও কয়েক কোটি টাকা মূল্যের শাড়ি রপ্তানি করেছি।

বেলকুচি পাওয়ারলুম এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ এম.এ বাকী বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে তাঁত বস্ত্রের মোট উৎপাদনে ৭০-৭৫ ভাগ সিরাজগঞ্জ জেলাতে উৎপাদিত হয়। যার মূল্য কয়েকশো কোটি টাকা। মালিকেরা সিরাজগঞ্জে উৎপাদিত কাপড়ের সুনাম ধরে রাখার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোশকতা, তাঁত মালিকদের নানা সমস্যা দূরিকরণে সরকারি সহয়োগিতা একান্ত প্রয়োজন। তাছাড়াও সিরাজগঞ্জের তাঁত শিল্প রক্ষায় বাইরের দেশ থেকে অবৈধভাবে শাড়ি আসা বন্ধ এবং রং-সুতা সহজলভ্য করতে না পারলে এই তাঁত শিল্প উন্নয়নে হোচট খাবার কথাও জানান তিনি।

বাংলাদেশ তাঁতবোর্ড সিরাজগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত লিয়াজো অফিসার ইমরানুল হক বলেন, কোন কুচক্রি মহল যেন সুতা ও রংগের দাম বাড়াতে না পাড়ে সেজন্য সরকারি হত্যক্ষেপ কামনা করেন। তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র তাঁতশিল্প রক্ষায় ৫% হারে ঋণসহ বাহারি ডিজাউনের শাড়ী তৈরীর জন্য তাঁতীদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতি সমিতির সভাপতি আলহাজ আব্দুস ছামাদ খান জানান, ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জসহ দেশের তাঁতশিল্পে শ্রমিক ও মালিকদের ব্যস্ততা বেড়েছে। বিশেষ করে তাঁতকুঞ্জ সিরাজগঞ্জে উৎপাদিত শাড়ির সুনাম দেশজুড়ে রয়েছে। তবে এই শিল্পের প্রসার ও ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে সমিতির পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ নেয়া হবে।


আরও খবর



পুরোনো সংবিধান রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

পুরোনো সংবিধান এবং শাসন কাঠামো রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।

সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, শুধু সরকার পরিবর্তন করে প্রকৃত গণতন্ত্র বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, নতুন প্রজাতন্ত্র গড়ার জন্য গণপরিষদ নির্বাচন এবং নতুন সংবিধান প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করবে নাগরিক পার্টি।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক বলেন, নিবন্ধন নিতে শর্তাবলী পূরণ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আগাবো। গঠনতন্ত্র প্রণয়নের কাজ চলছে।

এ সময় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসুদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, সোমবার (৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তারা রাজধানীর রায়েরবাজারে সকাল ১০টায় চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের কবর জিয়ারত করবেন।

দুটি কর্মসূচিতেই জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের রাজনৈতিক যাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিশাল সমাবেশের মধ্যদিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টি। পরে ২১৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।


আরও খবর



রোজা রাখার বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

রোজা রাখা বা না খেয়ে থাকাকে মেডিক্যাল সাইন্সের ভাষায় অটোফেজি বলে। ২০১৬ সালে জাপানের ডাক্তার ওশিনরি ওসুমি এটি আবিষ্কার করে নোবেল পুরস্কার জয় করেন এবং এরপরে থেকে বিশ্বের বহু মানুষ অটোফেজি করতে শুরু করেন।

Autophagy কি?

আমাদের শরীরের কোষগুলো বাইরে থেকে কোনো খাবার না পেয়ে নিজেই নিজের অসুস্থ কোষগুলো খেতে শুরু করে, মেডিক্যাল সাইন্সের ভাষায় একে অটোফেজি বলা হয়।

একটু সহজভাবে বলি- আমাদের ঘরে যেমন ডাস্টবিন থাকে, আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের মাঝেও একটি করে ডাস্টবিন আছে। যেখানে শরীরের অপ্রয়োজনীয় বর্জ জমা হয়। আমাদের খাদ্যাভাস এবং লাইফ স্টাইলের জন্য শরীরের কোষ থেকে ওই বর্জগুলো সাধারণত পরিস্কার করা হয় না। ফলে শরীরে বিভিন্ন প্রকারের রোগের সৃষ্টি হয়। ক্যান্সার বা ডায়াবেটিসের মতন অনেক বড় বড় রোগের

শুরু হয় ওই কোষের ডাস্টবিন থেকে।

আমরা যখন রোজা রাখি বা খালি পেটে থাকি, তখন শরীরের কোষগুলো পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে ডাস্টবিনে মুখ দেয়। অর্থাৎ বর্জগুলো খেয়ে ফেলে। এতে আমাদের শরীর অনেক জটিল কঠিন রোগ থেকে রেহাই পায়। মেডিক্যাল সাইন্সে এই পদ্ধতিকে বলা হয় অটোফেজি।

জাপানের বিজ্ঞানী ওশিনরি ওসুমি আবিষ্কার করেন- একজন মানুষ বছরে অন্তত একমাস রোজা রাখলে বা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত না খেয়ে থাকলে নিম্নলিখিত উপকারগুলো হয়-

১| দেহের সেল বা কোষ পরিস্কার হয়।

২| ক্যান্সার সেল ধ্বংস হয়।

৩| পাকস্থলীর প্রদাহ সেরে যায়।

৪| ব্রেইনের কার্যকরীতা বাড়ে।

৫| শরীর নিজেই নিজেকে মেরামত করে, (Autophazy)

৬| ডায়াবেটিস ভালো হয়।

৭| বার্ধক্য দেরিতে আসে।

৮| স্থূলতা দূর হয়।

৯| দীর্ঘ জীবন লাভ করা যায়।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে রমজান মাসে সবগুলো রোজা রাখার তৌফিক দান করুক, আমিন।


আরও খবর