
ইয়াশফি রহমান :টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬
উইকেটে ১৫৬ রান করেছে ইংল্যান্ড। জবাবে চার উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান করে বাংলাদেশ। প্রথমবারের
মতো টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশদের হারাল টাইগাররা। বিশ্বকাপের পর দু’দলের প্রথম
ম্যাচ।
এই জয়ের রূপকার নাজমুল
হোসেন শান্ত। বিপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন। তার দুর্দান্ত ফিফটিতে ১৫৭ রানের
লক্ষ্য অনায়াসেই পাড়ি দেয় বাংলাদেশ। সেটাও দুই ওভার হাতে রেখেই। ৩০ বলে ৮ চারে ৫১
রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন শান্ত। উদ্বোধনীতে ঝড় তুলতে পারেননি লিটন দাস ও রনি
তালুকদার। তবে পথটা দেখিয়ে গেছেন তারা। সেখানে হাল ধরেন শান্তই। মিডল অর্ডারে
তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। মঈন আলীর বলে আউট হন তিনি। অধিনায়ক
সাকিব আল হাসান অপরাজিত ২৪ রানে। আফিফ হোসেন অপরাজিত ১৫ রানে।
ইংল্যান্ডের
হয়ে একটি করে উইকেট তুলে নেন জোফরা আর্চার মার্ক উড, আদিল রশিদ ও মঈন আলী।
আগে
ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ফিল সল্ট ও জস বাটলার ভালো শুরু এনে দেন। ফিল
সল্টকে ফিরিয়ে ৮০ রানের এ জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। এরপর সাকিব আল হাসান ফেরান
ডেভিড মালানকে (৪)।
বেন
ডাকেট ও জস বাটলার দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। দলীয় ১৩৫ রানে এই জুটি ভাঙেন
মোস্তাফিজুর রহমান। তিন চারে ২০ রান করা ডাকেট বোল্ড হন ফিজের বলে।
পরের
ওভার বিদায় নেন ফিফটি করা ইংলিশ অধিনায়ক। হাসান মাহমুদের বলে শান্তর হাতে ক্যাচ
দিয়ে ফেরেন ৬৭ রানে ফিরেন বাটলার। টিকতে পারেননি স্যাম কুরান। মাত্র ৬ রান
করে হাসানের বলে শান্তর হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
শেষ
ওভারের প্রথম বলে ক্রিস ওকসকে (১) বোল্ড করেন তাসকিন আহমেদ। মঈন ৮ ও জর্ডান ৫ রানে
থাকেন অপরাজিত।
বাংলাদেশের
হয়ে দুইটি উইকেট নেন হাসান। একটি করে উইকেট নেন নাসুম, তাসকিন, মোস্তাফিজ, ও
সাকিব।
এ
ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছে তৌহিদ হৃদয়ের। এ ছাড়া একাদশে ফিরেছেন আট বছর
পর জাতীয় দলে ডাক পাওয়া রনি তালুকদার। এ ছাড়া ফিরেছেন শামীম হোসেনও।