Logo
শিরোনাম

বিশ্ব জলবায়ুর নেতিবাচক আচরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আগামীর বাংলাদেশে ব্যাপক অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, অসময়ে প্রবল বন্যা, মরুময়তা, ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপ, খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্র্যোগের সম্ভাবনা ইতোমধ্যে লক্ষ করা গেছে। সম্প্রতি আমাজনের জঙ্গলের তীব্র আগুন এবং বাহামা দ্বীপপুঞ্জে প্রবল ঘূর্ণিঝড় বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাবের প্রমাণ। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশগত সমস্যা পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে প্রকট।

 

ভৌগোলিক অবস্থান, ঘন জনবসতি, জীবিকার জন্য প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীলতা এবং দারিদ্র্যসহ নানা কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্বের বিচারে দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা, পূর্বাঞ্চলের হাওর-বাঁওড়, উত্তরাঞ্চলের খরাপ্রবণ এলাকা বিশ্বের সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ।


জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতেও শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ হিসেবেও বাংলাদেশের নাম রয়েছে সর্বাগ্রে। ভূ-গর্ভ থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের ফলে পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের তথ্যানুসারে, ঢাকা শহরের পানির স্তর বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭০ ফুটের অধিক নিচে। বিগত ৫০ বছরে ধ্বংস হয়ে গেছে বাংলাদেশের ৫২০টি নদী। এক আন্তর্জাতিক গবেষণার তথ্য মতে, ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। জলবায়ুর আমূল পরিবর্তনের কারণে বন্যা ও খরার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। উত্তাপ বাড়ার কারণে হিমবাহের গলন আরও বাড়বে। হিমালয় অঞ্চলে তৈরি হবে অসংখ্য হিমবাহ লেক।

এসব লেকে বিস্ফোরণ হলে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ব-দ্বীপ বাংলাদেশ, এখানে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিজনিত বিভিন্ন হুমকি ও চ্যালেঞ্জের ঝুঁকি অধিক। সেক্ষেত্রে জলবায়ুর চরমভাবাপন্ন বৈরী আচরণ এবং পরিবেশের অবনমন টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে চ্যালেঞ্জস্বরূপ।

জলবায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্যানেলের (আইপিসি) সম্প্রতি রিপোর্টে উল্লিখিত জাতিসংঘের বিজ্ঞানীদের একটি প্যানেল হুঁশিয়ার করেছে, মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের পরিণতিতে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে দ্রুত সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে এবং প্রতিনিয়ত বরফ গলছে। মেরু অঞ্চলের বরফের আচ্ছাদন বিলীন হওয়ার কারণে কার্বণ নিঃসরণের মাত্রাও বেড়ে চলছে। বিভিন্ন জীবজন্তুর আবাসস্থল বদলাচ্ছে। এই শতকের শেষ ভাগে যদি বিশ্বের তাপমাত্রা ১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায় তবে তার পরিণতি কী হতে পারে সে বিষয়ে বিজ্ঞানীরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ভীতিকর দিক হচ্ছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সমুদ্র এবং বরফে আচ্ছাদিত অঞ্চলের বরফ দ্রুত গলার ফলে প্রাণিজগতের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মানুষের নানা কর্মকাণ্ডে পরিবেশে যে বাড়তি তাপ তৈরি হচ্ছে তার ৯০ শতাংশই শুষে নেয় সাগর। ১৯৯৩ সাল থেকে শুষে নেওয়ার এই মাত্রা দ্বিগুণ বেড়েছে। একই সঙ্গে গলছে অ্যান্টার্কটিকা এবং গ্রিনল্যান্ডের বরফও। দেখা গেছে, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যে হারে অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলছে তা তার আগের ১০ বছরের তুলনায় তিনগুণ।

জানা যায়, সারা বিশ্বে ১ লাখ ৭০ হাজার হিমবাহ রয়েছে, যা পৃথিবীর ৭ লাখ ৩০ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে বিদ্যমান। এ থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার ৭ সেন্টিমিটার। বিশেষ করে, আন্দিজ, মধ্য ইউরোপ ও উত্তর এশিয়ায় যেসব হিমবাহ রয়েছে, সেগুলোর বরফ ২১০০ সাল নাগাদ ৮০ শতাংশ গলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এসব বরফগলা পানি গিয়ে পড়বে সাগরে। ফলে সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমেয়। আইপিসির শেষ রিপোর্টে জানা যায়, সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা ১.১ মিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে যা আগের ধারণার চেয়ে ১০ সেন্টিমিটার অধিক। আর তা হলে মারাত্মক পরিবেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বিশ্বের এক ডজনের বেশি বড় বড় শহর। পরিবেশবাদীদের আশঙ্কা, সাগরের উচ্চতা বাড়লে নিচু উপকূলীয় এলাকার ৭০ কোটি মানুষ বিপদে পড়বে। সাগরের তাপমাত্রা বাড়লে আবহাওয়াও দিন দিন বিরূপ আচরণ শুরু করবে।

জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়ও বেড়ে যাবে। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের বেশকিছু জায়গায় বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও করছেন বিজ্ঞানীরা। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি নেই স্থলভাগের খুব ভেতরের বসবাসরত মানুষগুলোর। বন্যায় ক্ষতির মাত্রা বেড়ে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হয়ে যেতে পারে। সাগরের ৯০ শতাংশ প্রবাল বিলীন হতে পারে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে। মাছের শরীরে পারদের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, জলজ প্রাণীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বাড়তি তাপ। সাগরের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখতে রয়েছে বেশকিছু করণীয়। তার জন্য কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমপক্ষে ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে ২০৩০ সালের মধ্যে।

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি নিশ্চিতকরণের জন্য জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, কার্বন নিঃসরণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানোর কোনো উদ্যোগ লক্ষ করা যায়নি। অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ বন্ধে এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিতে অর্থ বরাদ্দে আজও তেমন সাফল্য অর্জিত হয়নি। আইনি কাঠামো বাস্তবায়নে তেমন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্যে আসেনি অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো। অথচ প্যারিস সম্মেলনে ২০১৫ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না বাড়ার বাধ্যতামূলক চুক্তিরও সিদ্ধান্ত ছিল।

এ ছাড়াও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রতিরোধে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার লক্ষ্য নির্ধারণে ধনী দেশগুলো ২০২০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ শতকরা ৪০ ভাগ কমিয়ে আনার কথা ছিল। চুক্তিতে আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে এনে কোপেনহেগেন গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড গঠনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব উদ্যোগ উষ্ণায়ন রোধে তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখেনি। সেই চুক্তির ফলে কার্বন নির্গমন ২০৫০ সালের মধ্যে কার্যত শূন্যে নামিয়ে বিভিন্ন দেশকে এই মুহূর্তে কার্বন নির্গমন ব্যাপক হারে কমানো জরুরি হয়ে পড়েছে। কার্বন নিঃসরণ কার্যকরভাবে বন্ধ বা হ্রাস করা সম্ভব না হলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বর্তমান শতাব্দীতে তীব্রতর হতে থাকবে।
 
ভবিষ্যতে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং যেসব অঞ্চলে পর্যাপ্ত ক্ষতি হয়েছে সেখানে অভিযোজন ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসতে হবে ।

প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অভিযোজন প্রক্রিয়ায় এবং বিকল্প জ্বালানির সন্ধানে সহায়তার লক্ষ্যে উন্নত বা তুলনামূলক ধনী দেশ ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা এবং এই অর্থের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির যে প্রস্তাব রয়েছে তা বাস্তবায়ন আবশ্যক। বর্তমান জ্বালানি ব্যবস্থার কাক্সিক্ষত পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে জ্বালানি সংরক্ষণ, গতানুগতিক জ্বালানি চাহিদা হ্রাস, বিদ্যমান যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি দক্ষতার উন্নয়ন, জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার জোরদার করাও জরুরি। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধ নিশ্চিত করে সামষ্টিক উন্নয়নে সাহায্য-সহযোগিতা বিনিময়, উন্নত বিশ্বের কার্বন নিঃসরণ, জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ন্ত্রণসহ পরিবেশবান্ধব টেকসই উন্নয়ন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।

 বাংলাদেশে খরাসহিষ্ণু কৃষিপণ্য উৎপাদন, আধুনিক পদ্ধতিতে শস্য ও বীজ সংরক্ষণসহ কৃষিজমি রক্ষার্থে বনভূমি উজাড়, জলাধার ভরাট বন্ধ করা ভিন্ন কোনো বিকল্প নেই। ব-দ্বীপ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য প্রকল্পিত দীর্ঘ মেয়াদি ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০, নীতি এবং অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ডেল্টা ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্রোচ গ্রহণ পরিবেশের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে হবে।

চরম ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ। জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা মানুগুলোকে বাঁচাতে না পারলে বিশ্বসভ্যতাই হুমকির মুখে পড়বে। ইন্টারন্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টারের হিসাব অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত ৬ বছরে বাংলাদেশের ৫৭ লাখ মানুষ গৃহহারা হয়েছে। ঢাকার বস্তি এলাকায় বাসবাসকারীদের প্রায় ৭০ শতাংশ পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে স্থানান্তরিত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমও। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের সম্মুখীন হন বাংলাদেশের নারীরা।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের ৮০ শতাংশই নারী। জলবায়ু, খাদ্য উৎপাদন ও নারী- তিনটি একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯ জেলাধীন ১৪৭ উপজেলায় ২০১১ সালের আদমশুমারির ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের মধ্যে ৪৯ শতাংশ নারী। নিমজ্জিত নিম্নাঞ্চলে লবণাক্ত পানি বৃদ্ধির কারণে সেখানে বসবাসরত জনগোষ্ঠী পরিবেশগত, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্যগতসহ জীবন-জীবিকাজনিত নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন। ফলে ঘটছে তাদের পেশার পরিবর্তন। কর্মস্থানের খোঁজে ত্যাগ করছে পুরান আবাসভূমি। বাড়ছে কর্মস্থানহীনতা, পরিবর্তন হচ্ছে তাদের জীবন ও জীবিকা এবং পেশার ধরন।

আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ২০১৫ সালে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) রোডম্যাপ চূড়ান্ত করে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারী ও শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নারী ও শিশুর সামাজিক সুরক্ষাকরণ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ।


আরও খবর

১৫টি রুটে যত বাড়ল ট্রেনের ভাড়া

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান। এমন বার্তা দিয়ে সতর্ক করেছে মার্কিন গোয়েন্দারা। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের মাটিতে ইরানের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে তেল আবিব প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই হামলা সংঘটিত হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ অথবা উত্তর ইসরায়েলে সম্ভাব্য এই হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জানিয়েছে, ইসরায়েলের উত্তর বা দক্ষিণ অঞ্চলে এই হামলা হতে পারে। তবে প্রতিবেদনে ইরান সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, তেহরানের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

এর আগে গতকাল অপর মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিলযুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো মনে করছে, ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা অত্যাসন্ন। এ ক্ষেত্রে ইসরায়েলের সরকারি ও সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে ইরান।

এদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলে মার্কিন সরকারি কর্মচারী ও তাদের পরিবারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মধ্য ইসরায়েল, জেরুজালেম ও বীরশেবার বাইরের অঞ্চলে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে দেশটির উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলোতে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। 


আরও খবর



বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে একক প্রার্থী দিতে আ’লীগের সভা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি:

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল থেকে একক প্রার্থী দিতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ। সেই লক্ষে শনিবার দুপুরে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগ কতৃক আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নূর মোহাম্মদ এমপি। সভায় দলের ৭ জন নেতা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা দিয়ে বক্তব্য রাখেন। যারা প্রার্থী হতে চান তারা হলেন এমপি’র ছোট ভাই ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহীনা বেগম,সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ফড়িং, উপদেষ্ঠা সমাজসেবক এমদাদুল হক এমদাদ,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু জাফর,সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম সওদাগর। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহীনা বেগমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বাবুল তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আগা সাইয়ুম,বগারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গাজী হোসেন আলী, কামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসান জুবায়ের হিটলার, নিলাক্ষিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকা,মেরুরচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আলী,যুবলীগ নেতা মারুফ সিদ্দিকী, ছাত্রলীগের আহবায়ক রাজন মিয়া ও সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক আরিফুজ্জামান প্রমূখ। 

বক্তারা বলেন,দীর্ঘ ৩৫ বছরেও আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থী বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হতে পারেনি। তাই এবার সকল ভেদাভেদ ভুলে জনপ্রিয় একজনকে একক প্রার্থী করতে হবে,তাহলেই দলীয় প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে। 

এমপি নূর মোহাম্মদ বলেন,যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা সকলেই দলের নিবেদিত। সকলেই উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার মত যোগ্য প্রার্থী। তাই আমি প্রত্যাক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে কারো পক্ষে অবস্থান নিতে পারি না। যারা প্রার্থী হয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে বসে আপনারাই ঠিক করেন কে হবেন প্রার্থী। তখন দলীয় নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের পক্ষে কাজ করবে। তাহলে দীর্ঘদিন পরে হলেও জয় নিশ্চিত হবে। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান যিনি আছে তিনি অবশ্যই শক্তিশালী প্রার্থী। তাকে পরাস্ত করতে হলে অবশ্যই দলের একক প্রার্থী থাকতে হবে।


আরও খবর



যুদ্ধবিরতির আলোচনায় নেতানিয়াহুর অনুমোদন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির নতুন আলোচনার অনুমোদন দিয়েছেন। কাতারের রাজধানী দোহা ও মিসরের রাজধানী কায়রোতে এই আলোচনা হবে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) নেতানিয়াহুর দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

গত সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চেয়ে তোলা প্রস্তাব পাস হয়। ওইদিন এই প্রস্তাবে ভেটো দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দোহায় অবস্থানরত আলোচনাকারী দলকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন নেতানিয়াহু।

মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার পরেরদিন মঙ্গলবার জানায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। তবে যুদ্ধরত দুই পক্ষ এবং মধ্যস্থতাকারীরা এ ব্যাপারে খুব বেশি তথ্য জানায়নি।

নেতানিয়াহুর দপ্তর আরও জানিয়েছে, তিনি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নেয়ার সঙ্গে নতুন আলোচনা নিয়ে কথা বলেছেন। তবে বার্নেয়া নিজে দোহা অথবা কায়রোতে যাবেন কিনা সেটি স্পষ্ট করেনি তারা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি প্রাণ হারান।

এরপর ওইদিন থেকেই গাজায় বর্বর হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় এক লাখ মানুষ।

৭ অক্টোবর ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি আরও ২৫০ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে আসেন হামাসের যোদ্ধারা। যারমধ্যে ১০৫ জনকে গত নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী চলা যুদ্ধবিরতিতে ছেড়ে দেয় তারা।

ইসরায়েলের বিশ্বাস হামাসের কাছে এখনো ১৩০ জিম্মি রয়েছে। যারমধ্যে ৩৩ জন ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন।

সূত্র: এএফপি


আরও খবর



বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

 বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত বৈশ্বিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।

২০২৩ সালে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন।

এতে বলা হয়, গত বছর বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বেশ কিছু বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, সরকারের নির্যাতন বা নিষ্ঠুরতা, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি, কঠোর ও জীবনের জন্য হুমকি এমন কারাগার পরিস্থিতি।

এছাড়া নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক ও অন্যান্য বন্দি, সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা ও অযৌক্তিক গ্রেপ্তার, মতপ্রকাশ সীমিত করার জন্য ফৌজদারি মানহানি আইনের ব্যবহার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও ইন্টারনেট ক্ষেত্রে স্বাধীনতার ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধের কথা বলা হয়েছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যাপক দায়মুক্তির অসংখ্য তথ্য পাওয়া গেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিত করতে এবং শাস্তি দেওয়ার জন্য বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি।

বাংলাদেশে মানবাধিকারের সমস্যা হিসেবে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সংস্থার স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য হস্তক্ষেপের কথা বলা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

এছাড়া সংগঠন, অর্থায়ন বা বেসরকারি ও নাগরিক সমাজ সংস্থাগুলো পরিচালনায় সুযোগ অত্যন্ত সীমিত করে আইন প্রণয়নসহ চলাচলের স্বাধীনতার ওপর বিধি-নিষেধ; অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তন করতে নাগরিকদের অক্ষমতার কথা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ওপর গুরুতর ও অযৌক্তিক বিধি-নিষেধ, সরকারি খাতে বড় ধরনের দুর্নীতি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধকেও সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বাল্যবিবাহ, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, যৌন সহিংসতা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার, কুয়ার বা ইন্টারসেক্স (এলজিবিটিকিউআই) ব্যক্তি, ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার ওপর উল্লেখযোগ্য বিধি-নিষেধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও খবর

১৫টি রুটে যত বাড়ল ট্রেনের ভাড়া

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের ১০ চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

দ্বৈতকর পরিহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।

চুক্তিগুলো হলোউভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষাসংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকিসংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতাসংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দুদেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠনসংক্রান্ত চুক্তি।

আর সমঝোতা স্মারকগুলো হলোকূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক হয় তাদের। দুপুরে চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আমির।


আরও খবর

১৫টি রুটে যত বাড়ল ট্রেনের ভাড়া

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪