
এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:
দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার প্রথম দিনেই বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে ছুটছে দর্শনার্থীরা। বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই সুন্দরবনের করমজলে দর্শনার্থীরা আসছেন। সকাল ১১টা পর্যন্ত অন্তত ১০টি ট্যুরিস্ট বোডে করে দর্শনার্থীরা করমজলে পৌছেছে। দীর্ঘদিন পরে সুন্দরবনে আসতে পেরে খুশি দর্শনার্থীরা। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন পদ্মাসেতু উন্মুক্ত থাকায় সারাদেশ থেকে আগের তুলনায় বেশি দর্শনার্থী আসবেন সুন্দরবনে।
ঢাকার জসিম উদ্দিন নামের একব্যক্তি বলেন, অনেকদিন ধরে পরিকল্পনা ছিল সুন্দরবনে আসব। কিন্তু ইন্টারনেট ঘেটে জানতে পারলাম ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবন বন্ধ। গতকাল রাতে এসে মোংলা হোটেলে ছিলাম। সকালেই করমজলে আসলাম বন্ধুদের নিয়ে। খুব ভাল লাগছে। শুধু জসিম নয়, করমজলে আসা বেশিরভাগ দর্শনার্থীদের আসা সুন্দরবন দেখে তাদের ভাল লাগবে।
মোংলার ট্যুরিস্ট বোড মালিক রুবেল হোসেন বলেন, তিনমাস বেকার ছিলাম।এই সময় যেমন আয় করতে পারিনি, তেমনি হতাশাও কাজ করেছে। এখন সুন্দরবন উন্মুক্ত হয়েছে। আশাকরি দর্শনার্থী আসবে বেশি বেশি, আমাদের আয় বাড়বে। এছাড়া এখন পদ্মাসেতু উন্মুক্ত হয়েছে। যার ফলে ঢাকা থেকে একদিনে এসেই সুন্দরবন ঘুরে ঢাকায় ফিরে যেতে বাড়বে। আমরা মনে করছি এজন্য সুন্দরবনে দর্শনার্থী বাড়বে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল বন্য প্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, প্রজনন মৌসুম হওয়ায় তিনমাস সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধ ছিল। এই সময় সুন্দরবনে শুধু দর্শনার্থী নয়, মাছ-গোলপাতা ও মধু আহরণও বন্ধ ছিল। যার কারণে সুন্দরবনের প্রাণ প্রকৃতি নিজেদের মত বেড়ে উঠেছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে সুন্দরবনে দর্শনার্থীরা আসছেন। ১১টা পর্যন্ত অন্তত ১০টি ট্যুরিস বোডে শতাধিক দর্শনার্থী করমজলে এসেছে। আশাকরি বেলা বারার সাথে সাথে দর্শনার্থীও বাড়বে। আগামীকাল শুক্রবার যেহেতু ছুটির দিন, সেক্ষেত্রে আগামীকাল আরও বেশি দর্শনার্থী আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।