Logo
শিরোনাম

বিশ্বে কলেরার ঝুঁকিতে ১০০ কোটি মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

বিশ্বের ৪৩টি দেশের অন্তত ১০০ কোটি মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন। ২৪টি দেশে ইতোমধ্যে এ রোগের প্রাদুর্ভাব শুরুও হয়ে গেছে। গত বছর মে মাসের মাঝামাঝি কলেরার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল, তবে তার ব্যাপ্তি ছিল কম। ২০২২ সালের মে মাসে ১৫টি দেশে দেখা দিয়েছিল কলেরা।

জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ইনসিডেন্ট ম্যানেজার হেনরি গ্রে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ডব্লিউএইচওর এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, যেসব দেশের লোকজন কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে চলতি বছরই তাদের এই ঝুঁকি থেকে বের করে আনা সম্ভব।

তবে এ জন্য আমাদের প্রয়োজন অন্তত ৬৪ কোটি ডলারের একটি তহবিল যা এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই, সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন হেনরি গ্রে। তহবিল গঠনের জন্য ধনী ও দাতা দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে যে ৪৩টি দেশ কলেরা প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকিতে আছে, সেগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি চলতি বছর প্রথমবারের এ তালিকায় এসেছে। পাশাপাশি কয়েক বছর আগেও কলেরায় যে মৃত্যুহার ছিল, সম্প্রতি তাতে উল্লম্ফন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলেও জানিয়েচেন হেনরি গ্রে।

দারিদ্র্য, সংঘাত ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন দেশে নতুন ভাবে কলেরার ঝুঁকি বাড়ছে উল্লেখ করে ডব্লিউএইচওর এই কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছর বিভিন্ন দেশ আমাদের কাছে প্রায় ২ কোটি ডোজ কলেরার মুখে খাওয়ার টিকা (ওর‌্যাল ভ্যাক্সিন) চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছে, কিন্তু আমাদের কাছে আছে মাত্র ৮০ লাখ ডোজ টিকা।

কলেরা সম্পূর্ণ প্রতিরোধের জন্য একজন ব্যক্তিকে অন্তত ২ ডোজ টিকা গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু টিকার স্বল্পতার কারণে আমরা বিভিন্ন দেশকে অনুরোধ জানিয়েছি তারা যেন আপাতত এক ডোজ করে টিকা দেন লোকজনদের।

একই কারণে, অর্থাৎ টিকার ডোজের ঘাটতি থাকায় আমাদের কলেরা নির্মূল প্রচারাভিযানও থেমে আছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ হতাশাজনক।

হেনরি গ্রে জানান, আগামী ১২ মাসে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে কলেরা টিকা সরবরাহ ও কলেরা নির্মূল প্রচারাভিযানের জন্য জাতিসংঘের শিশু অধিকার ও সহায়তা সংস্থা ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আর এই যৌথ কার্যক্রমের জন্য ডব্লিউএইচওর প্রয়োজন ১৬ কোটি ডলার এবং ইউনিসেফের প্রয়োজন ৪৮ কোটি ডলার।

সংবাদ সম্মেলনে ইউনিসেফের পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি বিভাগের প্রধান জেরোমি পাফমান জামব্রুনিও উপস্থিত ছিলেন। ইউনিসেফের এই কর্মকর্তা জানান, গত বছর নভেম্বরে বিশ্বজুড়ে কলেরা নির্মূল প্রচারাভিযানের জন্য ১৫ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছিল ইউনিসেফ। তবে তারপর থেকে দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এই প্রচারাভিযানের ব্যাপ্তি আরও বাড়ানো এখন জরুরি।

এটা আমাদের জন্য একটা সতর্কঘণ্টা। যদি এখন থেকে কাজ শুরু করা না যায়, সেক্ষেত্রে সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে মোড় নেবে, সংবাদ সম্মেলনে বলেন জামব্রুনি।

সূত্র : এএফপি


আরও খবর

একদিনে করোনায় মৃত্যু ২

শুক্রবার ০২ জুন 2০২3




জুমার দিন সব দিনের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

জুমার দিনের মর্যাদা ও সম্মান সপ্তাহের অন্য দিনের চেয়ে বেশি। এই দিনকে আল্লাহ তাআলা সব দিনের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। কোরআন ও হাদিসে এই দিনের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে।

কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং যাবতীয় কাজকর্ম ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর; যদি তোমরা জানতে। (সুরা জুমা)।

আল্লাহর রাসুল (সা.) একটি হাদিসে বলেছেন, মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১০৯৮)

আউস ইবনে আউস (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করাবে (জুমার নামাজের পূর্বে স্ত্রী-সহবাস করে তাকেও গোসল করাবে) এবং নিজেও গোসল করবে অথবা উত্তমরূপে গোসল করবে। এরপর ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবে, আসার সময় হেঁটে আসবে, কোনো বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছি বসবে, এরপর দুটি খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং খুতবার সময় কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপে এক বছর নফল রোজা ও এক বছর নফল নামাজের সওয়াব পাবে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৩৪৫)

ফজিলতের পাশাপাশি জুমার নামাজ অনাদায়ে হাদিসে শাস্তির কথা বলা হয়েছে। কেউ পরপর তিন জুমা আদায় না করলে তার জন্য সতর্কবাণী উল্লেখ করেছেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

এক হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত পরপর তিন জুমা পরিত্যাগ করে, আল্লাহ তাআলা তার অন্তরে মোহর এঁটে দেন। (বুখারি, হাদিস: ১০৫২; তিরমিজি, হাদিস: ৫০২; মুসলিম, হাদিস: ১৯৯৯)

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পেছনের দিকে নিক্ষেপ করল। (মুসলিম)।

তবে অপর এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, চার শ্রেণির লোক ব্যতীত জুমার নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গোনাহ। চার শ্রেণির লোক হলো: ক্রীতদাস, স্ত্রীলোক, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক, মুসাফির ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। (আবু দাউদ)।

এ ছাড়া নামাজ পড়া মুসলিমদের একটি নিদর্শন। তাই হজরত উমর (রা.) বলতেন, নামাজ ত্যাগকারী নির্ঘাত কাফের (বায়হাকি: ১৫৫৯, ৬২৯১)। হজরত আলি (রা.) বলেন, যে নামাজ পড়ে না সে কাফের। (বায়হাকি: ৬২৯১)

নামাজ পরিত্যাগকারীর ব্যাপারে কোরআন-সুন্নাহর দলিলগুলো প্রমাণ করে, বেনামাজি ব্যক্তি ইসলাম নষ্টকারী বড় কুফরিতে লিপ্ত। তাই জুমা ও যেকোনো ওয়াক্তের ফরজ নামাজের প্রতি গুরুত্ব দেয়া জরুরি।


আরও খবর



ডেঙ্গুর চার ধরনের মধ্যে সব সক্রিয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৪১জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার :বর্ষার আগেই এবার চোখ রাঙাচ্ছে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু। ডেঙ্গুর ৪টি ধরনই এখন সক্রিয়। বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই দেশজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ২ হাজার। দেশে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রজনন মৌসুম। এবার বর্ষা মৌসুম শুরু না হতেই আক্রান্ত রোগী আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে, যা গত বছরের প্রথম পাঁচ মাসের তুলনায় ছয়গুণ বেশি। ফলে আক্রান্ত ও মৃত্যু আরো বাড়ার শঙ্কায় আছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জটিলতা এড়াতে সরকারি ল্যাবে শনাক্তকারী কিট সরবরাহের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে নতুন চারজন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

শুক্রবার (২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন চারজন ডেঙ্গুরোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন ভর্তি রোগীর দুই জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং দুই ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে সারা দেশে সর্বমোট ৩৩২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ২৮৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৪৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ২ হাজার ১৩৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৪৭৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬৫৯ জন হয়েছেন। একই সময়ে সারা দেশে সর্বমোট ছাড়প্রাপ্ত ডেঙ্গু রোগী ১ হাজার ৭৯৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ছাড়প্রাপ্ত রোগী ১ হাজার ১৮০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬১৩ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি এবং এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় দেশের বেশিরভাগ হাসপাতাল ডেঙ্গুর রিপোর্ট দেয়নি, তাই সেগুলো শনিবারের রিপোর্টের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।

পরিসংখ্যান বলেছে, ২০২২ সালের প্রথম ৫ মাসে ডেঙ্গু রোগী ছিল ৩১৭ জন। ওই সময়ে এই রোগে কারো মৃত্যুর খবর মেলেনি। তবে এ বছরের প্রথম ৫ মাসেই আক্রান্ত ১ হাজার ৯২৭ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রোগী বেড়েছে ১৬ গুণ।

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজিস্ট ডা. মো. জাহিদুর রহমান খান বলেন, এই সংখ্যা সামনে আরো বাড়বে। কারণ দেশে এখন ডেঙ্গুর চারটি ধরণই সক্রিয় রয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রতি ১০০ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে মাত্র ২৫ জনের লক্ষণ দেখা যায়। তাই জটিলতা এড়ানো ও সুচিকিৎসায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ডেঙ্গুর ধরণ পরীক্ষা করা দরকার। তবে এজন্য সরকারি হাসপাতালের ল্যাবে সরবরাহ করতে হবে শনাক্তকারী কিট। রোগটির টিকা ও ওষুধ না থাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নেই বলেছেন এই বিশেষজ্ঞ।

এছাড়া সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে মানুষকে সচেতন থাকার আহ্বান জনিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও নানা দিকনির্দেশনা দিয়েছে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে। কীটতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এ রোগে আক্রান্ত রোগী যদি কোমরবিডিটি বা দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগে আক্রান্ত হয়, তাদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি থাকে। ডেঙ্গু রোগের বিস্তারকে সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বে অবহেলাকে দুষছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যেহেতু রোগটি সারাবছর ধরেই ছড়াচ্ছে, তাই এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এডিস মশা নিধন কর্মসূচি সারাবছর অব্যাহতভাবে রাখতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ (প্রাণিবিদ্যা বিভাগ) অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, সম্প্রতি হওয়া বৃষ্টিপাত এর মূল কারণ হতে পারে। অনেক জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে এডিস মশার লার্ভা। এর মধ্যে রয়েছে বহুতল ভবনের ছাদ, পার্কিংয়ের জায়গা, নির্মাণাধীন ভবনের বেজমেন্ট। বাড়িতে জমিয়ে রাখা পানিতেও জন্ম নিচ্ছে ডেঙ্গু মশা। তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু নিধনে সঠিকভাবে কর্ম পরিচালনা করলে এ রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও ডেঙ্গু টেস্টকারীদের ডেঙ্গু ধরা পড়লে তাদের বসবাসের স্থান যাচাই করে হটস্পট নির্ধারণ করতে হবে।

এরপর সে সব জায়গায় ডেঙ্গু মশার বিস্তার রোধ করতে হবে। বিশেষ করে উড়ন্ত মশারা ডেঙ্গু ছড়ায়। তাই এই হটস্পট নির্ধারণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশা নিধনে জনসম্পৃক্ততা ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোয় ফগিং করে উড়ন্ত এডিস মশা নিধন কর্মসূচি জরুরি। কবিরুল বাশার আরো বলেন, এ বছর জুন মাসের শেষ দিকে ঈদুল আজহার ছুটিতে মানুষজন ঢাকা থেকে গ্রামে যাবে। এই সময়ে শহর থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ গ্রামেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই ঢাকার বাইরে আঞ্চলিক শহর ও গ্রামে ডেঙ্গু নিধনে ব্যবস্থা নিতে হবে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, এবছর অন্য বছরের তুলনায় মৌসুম শুরুর আগেই আক্রান্ত রোগী বেশি। তাই আগের চেয়ে এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হওয়ার আশঙ্কা আছে। এরই মধ্যে অনেক রোগী আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।

এদিকে, ডেঙ্গুর প্রকোপে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষায় অতিরিক্ত খরচ যাতে না হয়, সেজন্য মূল্য উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ডেঙ্গু শনাক্তের পরীক্ষার ফি বাবদ সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা নিতে পারবে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো। এর বেশি নেওয়া হলে ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সরকারি হাসপাতালগুলোয় ডেঙ্গু শনাক্তের পরীক্ষার ফি ১০০ টাকা।

 


আরও খবর

একদিনে করোনায় মৃত্যু ২

শুক্রবার ০২ জুন 2০২3

ডেঙ্গু আক্রান্ত ছাড়াল ২ হাজার

বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩




আইএমও মহাসচিব প্রার্থী বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থার (আইএমও) মহাসচিব পদে বাংলাদেশের প্রার্থিতার পক্ষে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকায় কর্মরত অন্তত ১৫টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ২৫টি দেশকে। তবে সৌদি আরব ছাড়া যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানিসহ ২৪ দেশের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত হন।

আগামী জুলাইয়ে অনুষ্ঠেয় আইএমওর নির্বাচনে মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে মইন উদ্দিন আহমেদকে।

আন্তর্জাতিক নৌ-নিরাপত্তা, নৌবাণিজ্য এবং নৌ চলাচলে পরিবেশ দূষণ রোধে কর্মপন্থা গ্রহণের সুপারিশ করে থাকে জাতিসংঘের সংস্থা আইএমও।

কূটনীতিকদের ব্রিফ করার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা অনেক ভালোভাবে ও দক্ষতার সঙ্গে দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিকদের বেশ ভালো মানের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। তাদের অব্যাহতভাবে এ মানের নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাতিল প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না, তা জানতে চান সাংবাদিকরা।

জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, এটা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। আমাদের হাতে প্রচুর কাজ আছে। আমরা এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা এনগেজমেন্টে যেতে চাচ্ছি না। ইটস নট এ ইস্যু। এটা আমাদের নিয়মিত কার্যপরিধির একটা অংশ ও সবাইকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

কূটনীতিকদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাতিল নিয়ে আর কথা বলতে চান না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। বলেন, আমরা খুবই অবগত ও এটাই আমাদের লাস্ট ওয়ার্ড। কূটনীতিকদের নিরাপত্তা পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে অনেক ভালোভাবে, দক্ষতার সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী, সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অব্যাহতভাবে দিয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতেও দিয়ে যাবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিন্তু এ রিলেটেড ভুল তথ্যের ভিত্তিতে যে প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে, আমরা যথেষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছি। এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলতে চাই না।

 


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




করমন্ডল এক্সপ্রেস ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছিল

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৮জন দেখেছেন

Image

ভারতের ওডিশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ জানা গেছে। দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছিল। এ থেকে দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওডিশা রাজ্যের বালেশ্বরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সিগন্যালিং কন্ট্রোল রুমের ভিডিওতে দেখা গেছে, ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছে শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস। তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। ওই মহলের মতে, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট আসার পরেই করমন্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। যে ঘটনায় ইতোমধ্যে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

রেলের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, খড়গপুর ডিভিশনের সিগন্যালিং রুমের ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিটে ওডিশার বালেশ্বরে জেলার বাহাঙ্গাবাজার স্টেশন পেরিয়ে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমন্ডল এক্সপ্রেস। যে লুপ লাইনে আগে থেকেই একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। মূলত মেইন লাইন ধরে ভুবনেশ্বরের দিকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল করমন্ডল এক্সপ্রেসের। সেই ভুলের কারণেই ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। যে ভিডিওর ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ উঠে এসেছে, সেই ভিডিওটি ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস হাতে পাওয়ার দাবি করেছে। ওই ভিডিওতে নাকি দেখা গেছে যে, দুটি মেইন লাইন এবং দুটি লুপ লাইন আছে।

ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমন্ডল এক্সপ্রেস, তখন সেটি ঘণ্টায় ১২৭ কিলোমিটার বেগে ছুটছিল, যা দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের সাধারণ গতিবেগ। সেইসময় লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা মারে করমন্ডল এক্সপ্রেস। লুপ লাইন থেকে কয়েকটি বগি ছিটকে মেইন লাইনে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে সেই মেইন লাইন দিয়ে আসে এসএমভিটি বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেটি করমন্ডলের ছিটকে যাওয়া কোচে ধাক্কা মারে। লাইনচ্যুত হয়ে যায় ওই ট্রেনেরও কয়েকটি বগি।

তবে চালকের ভুলে নাকি অন্য কারও ভুলে সেই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে এখনও কিছু বলতে চাইছেন না ভারতীয় রেলের কর্তারা। ইতোমধ্যে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেলওয়ে বোর্ড। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে যে প্রযুক্তিগত কারণে নয়, বরং মানুষের ভুলেই সেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস


আরও খবর



নওগাঁয় মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে ৩জন নারীকে পিটিয়ে আহত করলেন শিক্ষিকা

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ২৩২জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর একজন শিক্ষিকা, তার স্বামী, শ্বাশুড়ি ও ভাসুড়ের বিরুদ্ধে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ এর জের ধরে চোখে মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে ৩ জন নারীকে বেদম পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ।

শনিবার ৩ জুন দুপুরে মারাত্মক আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার চাঁন্দাশ ইউনিয়ন এর বাগডোব বাজারের মৃত হবিবর রহমানের স্ত্রী বৃদ্ধা মাজেদা বেওয়া (৬০) জানান, তিনি তার দুই মেয়ে সুফিয়া বেগম (৩৫) ও রুবিয়া বেগম (৩০) কে নিয়ে তার স্বামীর পৈত্রিক ভিটায় বসবাস করে আসছেন। এরমধ্যে তার ২জন মেয়ে ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতে যায়। এসময় তিনি একা সে বাড়িতে থাকেন। এই সুযোগে তার প্রতিপক্ষ আহম্মদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম মুকুল, তার স্ত্রী গুড়হাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষিকা নাজমা আকতার, নাজমার শ্বাশুড়ি ছফেরা বেগম ও জ্যাঠাতো ভাসুর মৃত ফজর মাস্টারের ছেলে গঙ্গারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষক বকুল হোসেন জমিজমা নিয়ে বিরোধ তৈরি করে তাদেরকে বাড়ি ভিটা থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছেন। এনিয়ে আদালতে একের পর এক মামলা দায়ের করে তাদেরকে হয়রানী করছেন। তাদের মাটির বাড়ির দেয়াল ও ধারি সংলগ্ন স্থানে পানি উত্তোলনের মর্টার বসানোর ফলে পানি জমে দেয়াল ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। দেয়ালের পাশ দিয়ে যাবার রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় দেয়াল ও ধারি মেরামতের জন্য বাড়ির পিছনে যেতে পারেন না। এছাড়া ঘরের দীর্ঘদিনের পুরনো টিন দিয়ে পানি পড়তে থাকায় টিন মেরামত করতে গেলে বাঁধা দেন।

বৃদ্ধা মাজেদা আরো অভিযোগ করেন, শনিবার ৩ জুন বেলা ১১টার দিকে প্রতিপক্ষ মুকুল বিরোধীয় জমিতে লাগানো গাছের আম পাড়তে গাছে ওঠেন। গাছের ডাল মাজেদা বেওয়ার বাড়ির টিনের উপর পড়ায় টিন ফুটো হয়ে যায়। তাই তিনি ও তার দুই মেয়ে সেখানে গিয়ে খাঁচি দিয়ে আম পাড়ার পরামর্শ দেন। এতে মুকুল রেগে গিয়ে গাছ থেকে নেমে তাদেরকে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করেন। এনিয়ে হৈচৈ শুরু হলে মুকুলের স্ত্রী আগে থেকে তৈরি করে রাখা মরিচের গুড়ো প্রতিপক্ষদের চোখে ছিটিয়ে দিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হন। এসময় নামজার শ্বাশুড়ি ও ভাসুরও সেখানে এসে মারামারিতে যোগ দেন।

হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে এব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও তিনি জানান।

বিকেলে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে শিক্ষিকা নাজমা আকতার বিরোধীয় জমির আমগাছ থেকে আম নামানোর কথা স্বীকার করে জানান ওই ৩জন নারী উল্টো তাকে ও তার শ্বাশুড়িকে মারধর করেছেন। 


আরও খবর