Logo
শিরোনাম

বিশ্বের অনেক দেশ ও অঞ্চলে এবার মন্দা আসবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ ও করোনা মহামারি বিশ্বের অনেক কিছুই বদলে দিয়েছে । এরপর চলতি বছর বিশ্বের অনেক দেশ ও অঞ্চলের আর্থনীতি মন্দায় পড়বে। তবে পরিস্থিতি বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য ও অর্থনীতির জন্য অনুকুলে থাকবে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে প্রকাশিত এক জরিপের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এই সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। মূলত অর্থনীতিবিদদের ওপর এই জরিপ করা হয়। অর্থনীতিবিদরা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো এখন পণ্যের জন্য আর এককভাবে চীননির্ভর থাকতে চাইছে না। আমদানির উৎস বাড়ানোর জোর চেষ্টা করছে তারা। এতে সবচে বেশি লাভবান হতে পারে বাংলাদেশ ও ভারতের মতো দেশ । 


আরও খবর

ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট?

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




বুড়িগঙ্গার পানি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) ৪ মিলিগ্রাম/লিটার থাকা প্রয়োজন। কিন্তু বুড়িগঙ্গা নদীতে সদরঘাট টার্মিনাল থেকে শ্যামপুর বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনাল পর্যন্ত দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) মাত্র ০.১৪ থেকে ০.৭২ মিলিগ্রাম/লিটার বলে জানিয়েছে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলন (পরিজা) ও মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্র।

বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে পরিজা ও মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবেদন প্রকাশ ও গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জানানে হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মিঠা পানি নদীবেষ্টিত শহর ঢাকা। এই বিশাল মিঠা পানির জলাধার ইতোমধ্যে ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাছাড়া অভিন্ন নদীর পানি উজান থেকে প্রত্যাহার করায় ধীরে ধীরে উত্তরাঞ্চল মরুকরণের দিকে যাচ্ছে এবং দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোতে লবণাক্ততা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ পানির কারণে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় নেমে আসবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুড়িগঙ্গা নদীর পরিবেশ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এতে কোনো জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। অপরিশোধিত শিল্পকারখানায় বর্জ্য ও পয়:বর্জ্য, নৌযানের বর্জ্য, কঠিন বর্জ্য নদীতে ফেলার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

পরিজার সভাপতি প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ডাকসুর সাবেক জিএস ডা. মোস্তাক হোসেন।

বক্তারা বলেন, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে বর্তমানে ২.২ বিলিয়ন মানুষ বিশুদ্ধ পানীয় জল থেকে বঞ্চিত এবং এদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্ব জনসংখ্যা ২ বিলিয়ন বৃদ্ধি পাবে এবং বিশ্বব্যাপী পানির চাহিদা ৩০ শতাংশ বেড়ে যাবে। বর্তমানে বিশ্বে কৃষি খাতে ৭০ শতাংশ (যার বেশির ভাগই সেচ কাজে), শিল্প খাতে ২০ শতাংশ (বিশেষ করে জ্বালানি ও উৎপাদনে), গৃহস্থালি কাজে ১০ শতাংশ (যার এক শতাংশেরও কম সুপেয় পানি) হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এদেশে ছোট বড় ৪০৫টি নদী রয়েছে। এরমধ্যে অভিন্ন নদীর সংখ্যা ৫৭টি। ৫৪টি ভারতের এবং ৩টি মিয়ানমারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। দেশের নদীগুলোর ৪৮টি সীমান্ত নদী, ১৫৭টি বারোমাসি নদী, ২৪৮টি মৌসুমী নদী। মানুষের অত্যাচারে নদীগুলো আজ মৃতপ্রায়। উজানে পানি প্রত্যাহারের কারণে উত্তরাঞ্চলের নদীগুলো শুল্ক বালুচরে পরিণত হয়েছে এবং দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোতে লবণাক্ততা বেড়েই চলেছে। দখল, ভরাট, আর বর্জ্যে নদীগুলো এখন নিস্তব্ধ স্রোতহীন এবং দূষণের ভারে পানি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে জীববৈচিত্র শূন্য হয়ে পড়ছে। ফলে পরিবেশ, প্রতিবেশ, অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য ও জীবন-জীবিকা মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন।

ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, নিরাপদ পানি অভাবে মানব শরীরের কিডনি, লিভার, হার্টসহ নানান অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যেতে পারে। নিরাপদ পানির অভাবে ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষ পেটের সমস্যাসহ নানান সমস্যায় ভুগে থাকেন।

ঢাকা শহরের লক্ষ লক্ষ প্রান্তিক মানুষ পানির ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত দাবি করে পরিজার সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল বলেন, সকালবেলায় বস্তির মানুষেরা এক কলসি পানির জন্য এই শহরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে; যা তাদের জীবন জীবিকাকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলছে। সরকারকে এই প্রান্তিক মানুষের কথা ভেবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

একটি রোডম্যাপ করে দেশব্যাপী পানির অধিকারের জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে আহ্বান জানান মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের সদস্য সচিব মাহবুল হক।

 


আরও খবর



অবৈধ ও ক্ষতিকর ট্যাবলেট-ইনজেকশনসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাজধানীর লালবাগ এলাকা থেকে অবৈধ এবং মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক এক লাখ ৬৬ হাজার পিস ট্যাবলেট, ইনজেকশন ও সাপ্লিমেন্টারিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রায়হানুর রহমান (৩১) ও মো. তাহানান জাওয়াদ (২৪)। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা ট্যাবলেট, ইনজেকশন ও সাপ্লিমেন্টারির দাম প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।

বুধবার র‍্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম জে সোহেল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও র‌্যাব-১০ লালবাগে যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে আনুমানিক অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের এক লাখ ৬৬ হাজার পিস অবৈধ বিদেশি যৌনশক্তিবর্ধক এবং মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক ট্যাবলেট, ইনজেকশন ও সাপ্লিমেন্টারিসহ ওষুধ কালোবাজারি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‍্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তাররা পেশাদার ওষুধ কালোবাজারি চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বেশ কিছুদিন ধরে অবৈধ বিদেশি যৌনশক্তিবর্ধক এবং মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক ট্যাবলেট, ইনজেকশন ও সাপ্লিমেন্টারিসহ বিভিন্ন প্রকার ওষুধ কালোবাজারি ও চোরাচালানের মাধ্যমে সংগ্রহ করে মজুত করে রাখতেন। পরে ওই ওষুধ দেশের বিভিন্ন এলাকার দোকানে সরবরাহ করতেন।


আরও খবর



মানিকদির ‘আতঙ্ক’ নাজিমের দৌরাত্ম্য যেন থামছেই না

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

 ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদি এলাকার এলাকারআতঙ্কনাজিম উদ্দিন ভূঁইয়ার দৌরাত্ম্য যেন থামছেই না অন্তত ৩০ মামলা অসংখ্য সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের হলেও জমি দখল, হামলা, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজ চলছে সমান তালে তার বাহিনীর ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটে এলাকাবাসীর ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মাসিক হাজার টাকা বেতনে ভাঙারীর দোকানে চাকরি নেয়া নাজিম উদ্দিন অদৃশ্য শক্তির ছত্রছায়ায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন

জমি দখলে ব্যবহার করছেন নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. নামে সাইনবোর্ড তার কর্মকান্ড দিনদিন এতোই ভয়ংকর হয়ে উঠছে যে, সম্প্রতি তার নির্মাণাধীন নকশাবহির্ভূত ভবনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালাতে গেলে নাজিমের বাহিনীর তোপের মুখে পড়ে

এলাকাবাসী জানায়, সমপ্রতি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হোসেন হত্যা চেষ্টা মামলায় জেল খেটে এসে অতীতের চেয়ে বেপরোয়া হয়ে গেছেন নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হোসেন সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর ঊর্ধ্বতন আরো কয়েকজন কর্মকর্তাসহ জোয়ার সাহারা মৌজার ৫৬১, ৫৬২ ৫৬৩ নম্বর দাগের কয়েক বিঘা জলাশয় জমি কেনেন নিজেদের টাকায় মাটি কিনে জমিতে ফেলে ভরাট করেন ক্যান্টনমেন্ট থানা আওয়ামী লীগের কর্মী হয়েও বারবার নাজিম বাহিনীর হাতে নির্মম অত্যাচারের শিকার হন তিনি প্রায় ১৫-২০ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার জমি নাজিম উদ্দিন জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন বলে মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে জমির কাছে গেলেই লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণের অভিযোগ রয়েছে নাজিমের বিরুদ্ধে


অপর এক মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২১ সালে বৃদ্ধ বোরহান উদ্দিনের কাছে চাঁদা দাবি করলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন এরপর নাজিম বাহিনী তাকে আক্রমণ করে তার জমি দখল করে নেয় এলাকাবাসী আরো জানায়, নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. নামে ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া তার চার ভাইকে নিয়ে এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেন এই সন্ত্রাসী দলে এলাকার কিছু কিশোর বয়সি ছেলে এবং কয়েকজন হিজড়াও রয়েছে জমি দখলে জাল দলিল দেখিয়ে তার নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. কোম্পানির সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়া হয় এছাড়াও লোভনীয় মূল্যে ফ্ল্যাট, প্লট, জমির শেয়ার বিক্রির নামেও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তার একটি জমির শেয়ার মালিক ফ্ল্যাট মালিকদের চাপে নির্মাণ কাজ শুরু করলেও জমির আসল মালিকরা আদালতে দেওয়ানী মামলা করলে আদালত নির্মাণ কাজে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালতের নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে রাজউকের নকশা বহির্ভূত নির্মাণকাজ চালিয়ে যান পরে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০ মার্চ মানিকদি এলাকায় নির্মাণাধীন মারওয়া টাওয়ারের অভিযান চালায় রাজউক সময় অভিযানে আসা রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিমের তোপের মুখে পড়েন ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রশাসনের কর্মকাণ্ডকে অবৈধ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নির্বাহী ম্যাজিট্রেকে হুমকিও দেন নামিজ উদ্দিন অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে মারওয়া টাওয়ারের নকশা অনুমোদন করিয়ে নিয়ম অমান্য করে প্রায় ১২-১৫ ফুট বাইরে কলাম নির্মাণ করে তিন তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ করিয়েছেন নাজিম উদ্দিন


তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়ে নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া সবসময় গণমাধ্যমকে বলে এসেছেন অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রতিপক্ষ অকারণে অসত্য তথ্য প্রকাশ করছে সবশেষ মারওয়া টাওয়ারে অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটকে তোপের মুখে ফেলার বিষয়ে বলেছেন, রাজউকের উচিত ছিল তাকে ভবনের বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলার সুযোগ দেয়া


আরও খবর



স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। রাজধানী ঢাকাও দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু কয়েক দিনের তীব্র গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাস স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

তবে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২২৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এ ছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরের স্কোর ১৭৬, তৃতীয় অবস্থানে থাকা মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের স্কোর ১৬৩ আর ১৫৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



মেরাগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মিলল কৃষকের মরদেহ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে পরিবারের দাবী এটি হত্যা। 

রবিবার (৩১ মার্চ) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রকোনা গ্রামে আত্রাখালী নদীর পাড়ের একটি মেরাগাছে

থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুল রহিম(৩০)। নিহত আব্দুল রহিম ওই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে রহিম তার কৃষি জমিতে পানি দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। এরপর রবিবার সকালে পরিবারের লোকজন শুরু করলে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে নদীর পাড়ের একটি মেরাগাছে পরিবারের লোকজন রহিমের ঝুলন্ত দেহ দেখে পান। এ সময় ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহ উদ্ধার গিয়ে থানায় নিয়ে আসে ।

নিহত আব্দুল রহিমের চাচা আহমদ আলী বলেন,"আমার ভাই বউ (রহিমের মা) সকালে বাড়ি থেকে খোঁজতে বের হয়ে নদীর পাড় দিয়ে যাওয়ার সময় একটা মেরা গাছে দেখে রহিম ঝুলে আছে । নিজে সে আত্মহত্যা করছে এমন কিছু লক্ষণ তার শরীরের মাঝে ভাসছে না। যে কেউ তারে মেরে ঝুলাইয়া রাখছে । 

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর সার্কেলের এএসপি মোহাম্মদ আক্কাস আলী জানান, লাশ সুরতহাল করে মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের পরেই বলা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। 


আরও খবর