Logo
শিরোনাম

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

বায়ুদূষণের দিক দিয়ে আজ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের শীর্ষে অবস্থান করছে ঢাকা। দূষণ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার ঢাকার বাতাসের মান ‘বিপজ্জনক’।

সংস্থাটি জানিয়েছে, আজ সকালে ঢাকার বায়ু মান সূচকের (একিউআই) স্কোর ছিল ৩৭৪। দ্বিতীয় স্থানে আছে মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুন। সকালে সেখানকার একিউআই রেকর্ড করা হয় ২১৬। আর তৃতীয়স্থানে আছে ভারতের দিল্লি। বিশ্বের অন্যতম জনবহুল এ শহরের রবিবার সকালের বায়ু মানের স্কোর ছিল ২১৫। এ দুটি শহরের বাতাস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলে জানিয়েছে আইকিউএয়ার।

উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরেই ঢাকা বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহরের শীর্ষে অথবা দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি ভালো না হওয়ায় সাধারণ মানুষ বায়ুজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।


আরও খবর

বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫




হাসনাতের পোস্ট ‘রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি : সেনাসদর

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

রিফাইন্ড (সংশোধিত) আওয়ামী লীগ গঠনে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে চাপ দেওয়ার বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ সম্প্রতি ফেসবুকে যে পোস্ট দিয়েছেন, তাতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সেনাবাহিনী সদরদপ্তর।

সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজের গতকাল শনিবারের এক প্রতিবেদনে এ প্রতিক্রিয়া জানানোর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সেনাসদরকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্ট সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বৈ অন্য কিছু নয়। এর আগে গত শুক্রবার হাসনাত আবদুল্লাহ এক পোস্টে লেখেন, ১১ই মার্চ, সময় দুপুর ২:৩০।

কিছুদিন আগে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ভারতের। সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন, তাপসকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।

আমিসহ আরও দুজনের কাছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয় ১১ই মার্চ দুপুর ২:৩০এ। আমাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হয় আসন সমঝোতার বিনিময়ে আমরা যেন এই প্রস্তাব মেনে নিই। আমাদেরকে বলা হয়, ইতোমধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে-তারা শর্ত সাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে। একটি বিরোধী দল থাকার চেয়ে একটি দুর্বল আওয়ামী লীগসহ একাধিক বিরোধী দল থাকা নাকি ভালো। ফলশ্রুতিতে আপনি দেখবেন গত দুই দিন মিডিয়াতে আওয়ামী লীগের পক্ষে একাধিক রাজনীতিবিদ বয়ান দেওয়া শুরু করেছে।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল নেত্র নিউজকে দেওয়া সেনাসদরের এক বিবৃতিতে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে সেনানিবাসে খোদ সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গেই ১১ মার্চ বৈঠকটি হয়েছিল। তবে হাসনাত আবদুল্লাহকে ডেকে নিয়ে যাওয়া এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে তাদেরকে প্রস্তাব বা চাপ প্রয়োগের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বরং হাসনাত আবদুল্লাহ ও তার দলের আরেক মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমের আগ্রহেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে নেত্র নিউজ যোগাযোগ করলে একজন মুখপাত্রের মাধ্যমে বক্তব্য দেয় সেনাসদর। হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্টকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বৈ অন্য কিছু নয় বলেও মন্তব্য করা হয়েছে সেনাসদরের বিবৃতিতে। এ ছাড়া ২৭ বছর বয়সী এই ছাত্রনেতার বক্তব্যকে অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ব গল্পের সম্ভার হিসেবেও আখ্যা দিয়েছে সেনাবাহিনী।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে আগস্টে যে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল, তার সূচনা ঘটেছিল সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালে আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মাধ্যমে। পরবর্তী সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠিত হলে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর গঠিত নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় ওই আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্তত তিনজন ছাত্রনেতা দায়িত্ব পালন করেন। তাদেরই একজন নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি নামের একটি নতুন দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই দলে দুই আঞ্চলিক মুখ্য সমন্বয়কের পদ পান হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।

নেত্রর প্রতিবেদনে বলা হয়, তার (হাসনাত আবদুল্লাহ) পোস্টের পর ওই রাতেই জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সেখানে নেত্র নিউজের একজন প্রতিবেদক হাসনাত আবদুল্লাহকে প্রশ্ন করেন, সেনানিবাসে তিনি যে বৈঠকটির কথা বলছেন, তা কি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে হয়েছিল কি না। কিন্তু এই বিষয়ে তিনি সরাসরি জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানান।

হাসনাত বলেন, আমি তো সেখানে ক্যান্টনমেন্ট উল্লেখ করেছি, আপনারা কথা বলতে পারেন সেখানে। আরেকজন সাংবাদিক তাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করেন, কার উদ্যোগে বৈঠকটি হয়েছিল। জবাবে হাসনাত বলেন, সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা ও বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্ন ছিল। এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য আমাদেরকে আহ্বান জানানো হয়েছিল।”’

সংবাদ সম্মেলনের পর নেত্র নিউজের একজন প্রতিবেদক আবারও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বাইনারি বা হ্যাঁ-না জবাব দিতে রাজি হননি।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাদের কাছে পাঠানো বিবৃতিতে সেনাসদর নিশ্চিত করে জানিয়েছে যে সেনাপ্রধানের সঙ্গেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল, তবে ওই বৈঠক ছাত্রনেতাদের আগ্রহেই হয়েছিল বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়।

সেনাসদরের বিবৃতি উল্লেখ করে নেত্রর প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সারজিস আলম দীর্ঘদিন যাবৎ সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ইচ্ছা পোষণ করছিলেন। পরবর্তীতে সারজিস আলম ১১ই মার্চ ২০২৫ তারিখে সেনাপ্রধানের মিলিটারি এডভাইজারকে ফোন দিয়ে সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিলিটারি এডভাইজার তাদেরকে সেনাসদরে আসার জন্য বলেন। অতঃপর ১১ই মার্চ দুপুরে সারজিস আলম এবং হাসনাত আবদুল্লাহ সেনাসদরে না এসে সরাসরি সেনাভবনে সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করেন। পরবর্তীতে সেনাপ্রধান অফিস কার্যক্রম শেষ করে সেনা ভবনে এসে তাদের সঙ্গে দেখা করেন।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদেন বলা হয়, সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে ছাত্রনেতাদের বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল, তা নেত্র নিউজ স্বতন্ত্রভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ ইউনিটের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পৃথকভাবে নেত্র নিউজকে বলেছেন যে ছাত্রনেতাদের আগ্রহ ও উদ্যোগেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে বহু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে সেনাবাহিনী ও এর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ভূমিকা ছিল। ঐতিহাসিকভাবেই দেশটিতে এখনো রাজনীতি ও বিভিন্ন বেসামরিক কার্যক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর প্রভাব লক্ষ্যণীয়। তবে শেখ হাসিনার পতনপরবর্তী সময়ে বারবার কোনো ধরনের সেনা হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা বা আগ্রহ উড়িয়ে দিয়েছেন সেনাবাহিনীতে মৃদুভাষী হিসেবে পরিচিত জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। কিন্তু তারপরও সেনাবাহিনীর অবস্থান ও ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে বিদ্যমান অস্বস্তি চাপা দিয়ে রাখা যায়নি।

তবে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের ওই বৈঠক তাদের ব্যক্তিগত কারণে নাকি জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে পুর্বানোমোদিত ছিল সেটি স্পষ্ট হওয়া যায়নি। শনিবার সিলেটে এক ইফতার মাহফিলে জাতীয় নাগরিক পার্টির আরেক নেতা নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী হাসনাতের ওই ফেসবুক পোস্টকে শিষ্টাচার বর্জিত হিসেবে উল্লেখ করেন।


আরও খবর



নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতি, ৬ ডাকাত আটক

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতির ঘটনায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৬ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নওগাঁ জেলা পুলিশ। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করেছেন পুলিশ। সোমবার ৩ মার্চ দুপুর ১টায় নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে  এসব তথ্য জানান নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার।

গ্রেফতারকৃত ৬ জন হলেন, জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার আওড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে শামীম ইসলাম সব্দুল (২৭),  হাতিয়র গ্রামের অরুণ চন্দ্র বর্মনের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র বর্মন (৩০), ও একই উপজেলার ঝামুটপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল লতিফ ওরফে নাঈম (২৭), গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পুরন্দর গ্রামের মনসুর বেপারীর ছেলে শাহারুল ইসলাম (৩৭) ও একই গ্রামের মফিজ উদ্দীনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০) এবং বগুড়ার কাহালু উপজেলার সিন্ধুরাইল গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে শাহাদাত হোসেন (৪০)। নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারী রাতে নওগাঁর পত্নীতলায় একটি বিআরটিসি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে এবং তদন্ত শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় জয়পুরহাট, গাইবান্ধা ও বগুড়ায় অভিযান পরিচালনা করে ৬ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে জয়পুরহাটের কালাই থেকে, দুইজন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে এবং একজন বগুড়ার কাহালু থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত মোবাইল, একজোড়া কানের দুলসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে করাত, কয়েকটি হাসুয়া, একটি প্লাস এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি হায়েস মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, নওগাঁয় গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে ৫জন গত ২৮ ফেব্রুয়ারী পাবনার সাঁথিয়ায় সংঘটিত ডাকাতির সাথেও জড়িত ছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শহিদুলের বিরুদ্ধে ৬টি, শাহারুলের বিরুদ্ধে ২টি, শামীমের বিরুদ্ধে ২টি এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে একটি করে ডাকাতির মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান এবং অন্য ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য নওগাঁ জেলা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান ও ফারজানা হোসেন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মহাদেবপুর সার্কেল) জয়ব্রত পাল সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



হিযবুত তাহরীরের কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রবাদী সংগঠন হিযবুত তাহরীর আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনটির প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে পুলিশ সদর দফতর। জানিয়েছে, হিযবুত তাহরীর নিষিদ্ধ সংগঠন। আইন অনুযায়ী তাদের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ।৭ মার্চ এক ক্ষুদে বার্তায় এই হুঁশিয়ারি দেয় পুলিশ সদর দফতর।

পুলিশ সদর দফতরের বার্তায় বলা হয়, হিযবুত তাহরীর একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন। আইন অনুযায়ী এদের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, জননিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচনায় সরকার ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপর থেকে সংগঠনটির যেকোনো কার্যক্রম বেআইনি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর যেকোনো প্রচারণামূলক কার্যক্রম কঠোর নজরদারিতে রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে তা দমনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীর ‘মার্চ ফর খিলাফাহ’ কর্মসূচি ঘোষণা করায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে হিযবুত তাহরীরের তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিট। তারা হলেন- মনিরুল ইসলাম (৪০), মোহতাসিন বিল্লাহ (৪০) ও মাহমুদুল হাসান (২১)।

সিটিটিসি সূত্র জানায়, রাতে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন সেক্টর-১১ ও সেক্টর-১২ এলাকায় হিযবুত তাহরীরের কতিপয় সক্রিয় সদস্য ৭ মার্চ বায়তুল মোকাররাম মসজিদ এলাকায় ‘মার্চ ফর খিলাফাহ’ নামক একটি সমাবেশ পালনের বিষয়ে গোপন পরিকল্পনা করছে। এমন খবরে সিটিটিসির টিম ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা হয়েছে।

সিটিটিসি সূত্র আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রত্যেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সক্রিয় সদস্য মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে এবং তাদের কাছ থেকে জব্দকৃত আলামত থেকে প্রাথমিকভাবে এর সত্যতাও পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



তীব্র খাদ্য ঘাটতিতে পড়তে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সরবরাহ তহবিলে তীব্র ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি বলছে, দ্রুত তহবিল পাওয়া না গেলে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার মাসিক রেশনের পরিমাণ অর্ধেকের বেশি কমাতে হবে। ০৭ মার্চ ঢাকা থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে ডব্লিউএফপি এ সতর্কতা জারি করে।

আগামী এপ্রিল মাসে পূর্ণ রেশন বজায় রাখার জন্য জরুরিভাবে ১ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার দরকার বলে জানিয়েছে ডব্লিউএফপি। সংস্থাটির মতে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের জন্য প্রয়োজন হবে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার।

সংস্থাটি জানায়, রোহিঙ্গাদের মাসিক রেশনের জন্য জনপ্রতি বরাদ্দ বর্তমানে সাড়ে ১২ মার্কিন ডলার। জরুরি নতুন তহবিল না পেলে তা প্রায় অর্ধেক করে ছয় মার্কিন ডলারে নামিয়ে আনতে হবে। আর এটা ঘটবে এমন সময় যখন রমজানের শেষের দিকে তাঁরা ঈদ উদ্‌যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটকে বিশ্বের বৃহত্তম এবং দীর্ঘস্থায়ী সংকটগুলোর মধ্যে একটি অভিহিত করে বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির পরিচালক ডম স্ক্যাল্পেলি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের বেঁচে থাকার জন্য সম্পূর্ণরূপে মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। খাদ্য সহায়তায় যেকোনো হ্রাস তাদের ক্ষুধার গভীরে ঠেলে দেবে এবং বেঁচে থাকার জন্য মরিয়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে।’

এর আগে ২০২৩ সালে তহবিলের তীব্র সীমাবদ্ধতার কারণে ডব্লিউএফপি প্রতি মাসে প্রতি ব্যক্তির রেশন ১২ মার্কিন ডলার থেকে ৮ মার্কিন ডলারে নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়। এর পরিণতিতে তীব্র খাদ্যসংকট দেখা দেয়। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির মাত্রার বাড়ে। এরপর তহবিল পাওয়ার পর রেশন বাড়ানো হয়।

স্ক্যালপেল্লি বলেন, এখন আমাদের আগের চেয়ে আরও বেশি করে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। এই পরিবারগুলোর আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। ডব্লিউএফপির খাদ্যসহায়তাই হলো তাদের বাঁচা আর হতাশার মধ্যে পার্থক্য। এ সংকট আরও বাড়তে না দেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।


আরও খবর



নওগাঁয় ৮ বছর বয়সি নাতনিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দাদা আটক

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ৩য়' শ্রেণিতে পড়ুয়া ৮ বছর বয়সি নাতনিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দাদা আমিনুল ইসলাম (৫০) কে আটক পূর্বক সোমবার দুপুরে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে গ্রামবাসী। শিশু ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ইটালী গ্রামের মাদ্রাসা পাড়ায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে ইফতারি করানোর কথা বলে মাদ্রাসা পাড়ার মৃত সাদেক আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে ভুদি তার প্রতিবেশী ভাতিজার মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া নাতনীকে পাশের গ্রামের দিকে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে সন্ধায় বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে শিশুটিকে মাঠের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে শিশু শিক্ষার্থীর চিৎকারে ঘটনাস্থলে লোকজন এগিয়ে গেলে আমিনুল ইসলাম সেখান থেকে পালিয়ে যায়। শিশুটি বাসায় এসে ঘটনাটি জানায়। পরে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সোমবার দুপুরে গ্রামবাসী আমিনুল ইসলাম ওরফে ভুদিকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেন। এব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিন রেজা বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হয়েছে। সেই মামলায় আমিনুল ইসলাম ভুদিকে গ্রেফতার করে সোমবার বিকেলে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর