Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
নওগাঁয় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান

বিশ্বেশ্বর দাস 'দাগু'র পরিবারের উপর হামলা

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রির্পোটারঃ

নওগাঁর মহাদেবপুরে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত, সারাদেশের আলোচিত ও জনপ্রিয় সাবেক প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান শ্রী বিশ্বেশ্বর দাস ওরফে দাগুর পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা হয়েছে। সশস্ত্র হামলায় সাবেক এই চেয়ারম্যানের বিধবা স্ত্রী আরতি রাণী দাস (৬০), মেয়ে অনুপ্রিয়া দাস (৪২) ও স্ত্রীর ভাই শ্রী বৈদ্যনাথ সরকার (৭৫) মারাত্মক আহত হয়েছেন। বৈদ্যনাথ সরকারের মাথায় ৭টি সেলাই দিতে হয়েছে। বুধবার ২৬ অক্টোবর দুপুরে এব্যাপারে আরতি রাণী বাদি হয়ে মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

গরীবের বন্ধু বলে পরিচিত, জীবদ্দশায় অত্যন্ত সাদামাটা সাধারণ পরিবেশে বসবাসকারি সাবেক এই চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বিশ্বেশ্বর দাসের মত তার পরিবার এখনও সামান্য জায়গা জমির উপর ছোট্ট বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। বাড়ি সংলগ্ন সামান্য জমি জবর দখল করতে এবার প্রতিপক্ষরা তাদের উপর হামলা চালানো হয়।

বিশ্বেশ্বর দাসের বিধবা স্ত্রী জানান, মহাদেবপুর দুলালপাড়া গ্রামের মৃত শ্যাম চরণ মন্ডলের ছেলে শ্রী সঞ্জয় মন্ডল (৩৫), মৃত গুরু চরণ মন্ডলের ছেলে শ্রী বিদ্যুৎ মন্ডল বিপু (৪৫), শ্রী সুদর্শন মন্ডল (৪০), শ্রী গোলাক মন্ডল (৫২), পরেশ মন্ডলের ছেলে শ্রী পলাশ মন্ডল (৪২), ফাজিলপুর বিনফরসা গ্রামের মৃত খগেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে শ্রী অমিও মন্ডল (৫৩) ও শ্রী সুনিল মন্ডল (৬২) সোমবার ২৪ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০ টারদিকে হাতে ধারালো হাসুয়া, বাঁশের লাঠি-সোটা নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় প্রয়াত বিশ্বেশ্বর দাসের পরিবারের বসতবাড়ীর পিছনে তাদের জমিতে লাগানো ছোট বড় মেহগনি ও আম গাছ কাটতে থাকে। এসময় বাধা দিতে গেলে তারা বিশ্বশ্বর দাসের পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালান। তাদের হাসুয়ার আঘাতে বৈদ্যনাথ রক্তাক্ত জখম হোন এবং সন্ত্রাসীরা অনুপ্রিয়া দাসের শ্লীলতাহানি ঘটায়। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসী তাদের উপর হামলাকারিদের উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন।

এব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন জানান, ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে দুই মাদকসেবির দুই মাসের কারাদন্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দুই মাদকসেবির দুই মাসের কারাদন্ড ও ১০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন মোবাইল কোর্ট। দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন পূর্ব সরালিয়া গ্রামের মজনু পাহলানের ছেলে আজাদ পাহলান (৪০) ও দক্ষিণ ভাইজোড়া গ্রামের মহারাজ শেখের ছেলে জিহাদ শেখ (২৫)। 

মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম তারেক সুলতান এ দণ্ডাদেশ দিয়ে দুজনকে পুলিশে সোপর্দ করেন। 

এর আগে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মিলন ব্যানার্জীর নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে ইয়াবা সেবনরত অবস্থায় আজাদ ও জিহাদকে আটক করে। তাদের নিকট থেকে ৭ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে দলটি। 


আরও খবর



রমজানে যুদ্ধবিরতি হলো না গাজায়

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

গতকাল রোববার চাঁদ দেখা যাওয়ার পর সোমবার থেকে রোজা শুরু হয়েছে ফিলিস্তিনসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে; কিন্তু রমজানের চাঁদ রাতেও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

গত অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এখন অবধি পেরিয়েছে ৬ মাস। এ ছয় মাসে গাজায় ব্যাপক বোমা বর্ষণের পাশাপাশি ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পণ্যের সরবরাহেও বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, বিশেষ করে খাদ্য ও চিকিৎসা পণ্যের অভাবে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছে গাজায়।

গাজার ভৌগলিক আয়তন ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার। এ উপত্যকার উত্তর ও পশ্চিমে ইসরায়েল সীমান্ত, দক্ষিণে মিসর সীমান্ত এবং পূর্বদিকে ভূমধ্যসাগর অবস্থিত। ২০০৫ সালে হামাস ক্ষমতা দখলের পর থেকে উপত্যকার উত্তর ও পশ্চিম সীমান্ত সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতে। এতদিন পর্যন্ত উপত্যকায় খাদ্য-ত্রাণ ও মানবিক সহায়তার সরবরাহ দক্ষিণে মিসরীয় সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতো; কিন্তু এখন সেই সীমান্তপথটিও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ওপেন আর্মস নামের স্পেনভিত্তিক একটি দাতব্য সংস্থা ভূমধ্যসাগর পথে সম্প্রতি ২০০ টন খাদ্য ও ওষুধবাহী একটি জাহাজ গাজা উপত্যকার উদ্দেশে পাঠিয়েছে। গতকাল এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ত্রাণবাহী জাহাজটি বর্তমানে ভূমধ্যসাগরীয় দেশ সাইপ্রাসের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরশহর লারাঙ্কায় রয়েছে, সোমবারের মধ্যে সেটি গাজার উপকূলের কাছাকাছি থাকবে। গাজার উপকূলে পৌঁছানোর পর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের কর্মীদের তত্ত্বাবধানে এসব ত্রাণপণ্য খালাস করা হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে ওপেন আর্মস।

খাদ্যের অভাবে মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়া গাজা উপত্যকায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান, কানাডা ও অন্যান্য দেশ বিমান থেকে ত্রাণের বস্তা ফেলা শুরু করেছিল, কিন্তু জাতিসংঘের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা বিভাগ জানিয়েছে, উপত্যকায় বসবাসকারী প্রায় ২৪ লাখ ফিলিস্তিনি জনগণের সবার কাছে ত্রাণ পৌছানোর জন্য বিমানের চেয়ে সড়ক পথ বেশি উপযোগী।

গাজায় সাম্প্রতিক যুদ্ধের শুরু থেকে উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার মধ্যে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর। চলতি মার্চের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দিয়েছিলেন যে আসন্ন রমজানে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি হতে যাচ্ছে গাজায়। এই বিরতির সময় উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহে কোনো বাধা দেবে না ইসরায়েলি বাহিনী এবং তার পরিবর্তে নিজেদের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে থেকে ১০০ জনকে মুক্তি দেবে হামাস।

কিন্তু বহু আকাঙিক্ষত সেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি আর হয়নি; আর চুক্তি না হওয়ার জন্য ইসরায়েলের এবং হামাস উভয়ই পরস্পরকে দায়ী করছে। হামাসের দাবি ছিল যে যুদ্ধবিরতির সময় ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই দাবির প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বলেছে, হামাস যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে পুনরায় হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

গতকাল চাঁদরাতে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল ও বিমান অভিযানে গাজার মধ্যাঞ্চল গাজা সিটিতে ১৩ জন এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে গাজা উপত্যকায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। রোববার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতির যেসব শর্ত দিয়েছিল, হামাস সেসবের বিপক্ষে। তাই বর্তমানে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর যে সর্বাত্মক অভিযান চলছে, তা রমজানেও অব্যাহত থাকবে।

এদিকে শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এমএসএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, হামাসকে নির্মূল করার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে, তবে গাজায় যে হারে বেসমারিক লোকজন হতাহত হচ্ছেন তাতে দিন দিন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ওপর অধৈর্য হয়ে উঠছেন তিনি।

তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী যেভাবে অভিযান পরিচালনা করছে, তা ইসরায়েলকে সহায়তার পরিবর্তে ক্ষতি করছে বেশি। গাজার বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানি ঠেকাতে ইসরায়েলি বাহিনীর আরও মনযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন আরও জানান, ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে ইসরালের জনগণের সঙ্গে এ ইস্যুতে তিনি সরাসরি মতবিনিময় করতে আগ্রহী।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির চুক্তি স্বাক্ষর না হলেও সব পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে এবং চুক্তিতে স্বাক্ষরের জন্য ইসরায়েল ও হামাসের ওপর কূটনৈতিক চাপ অব্যাহ রয়েছে।

আমরা আশা করছি রমজানের মাঝামাঝি এ ইস্যুতে একটি মীমাংসায় পৌঁছানো সম্ভব হবে, এএফপিকে বলেন ওই কর্মকর্তা।

সূত্র : এএফপি


আরও খবর



চাল রপ্তানি বন্ধ করে দিল সরকার

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, রমজানে সুগন্ধিসহ সব ধরনের চালের দামই স্বাভাবিক রাখতে আতপ চাল রপ্তানি বন্ধ করেছে সরকার। কারণ এই মাসে সুগন্ধি চালের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়।

তিনি বলেন, সম্প্রতি বিদ্যুতের মূল্য কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। তবে এর কারণে চাল উৎপাদনে কোনো প্রভাব পড়বে না। কৃষক তথা ধান-চাল সেক্টরে সরকার ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ বিতরণ করে থাকে। যা দিয়ে কৃষকেরা স্বল্প মূল্যে সেচ দিতে পারেন। একই সঙ্গে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হচ্ছে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছেন। তার হাত ধরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে। ওই ভাষণে জাতির জন্য স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। এটি এমন একটি ভাষণ যেখানে তিনি এক কথা দুইবার উচ্চারণ করেননি। অথচ সব দিকনির্দেশনা সেখানে ছিল।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ৭ মার্চের ভাষণ দিতে বঙ্গবন্ধুকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের তখনকার অনেক কেন্দ্রীয় নেতা বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন আপনার বক্তৃতায় এটা বলবেন, ওটা বলবেন। কিন্তু বঙ্গমাতা জাতির পিতাকে বললেন, আপনি আপনার মনের কথা বলবেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতি সেদিন বঙ্গবন্ধুর কথা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছিল। তার নির্দেশনা মেনে স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা এনেছিল। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের মানুষকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতে বাধা দেওয়া হয়েছে। কেউ মাইকে এটি বাজালে তাকে অত্যাচার করা হয়েছে। সেই ভাষণ এখন আমাদের গর্বের বিষয়। ইউনেস্কো এটাকে বিশ্বের সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী ভাষণ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত গণহত্যার অভিযান অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে এবং বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর ওই ঘোষণা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হয়।

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। উল্টো তারা বাঙালি বেসামরিক লোকদের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সব রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং সব সচেতন নাগরিক। তবে অভিযানে নেমে তারা রিকশাওয়ালা থেকে নিয়ে সমাজের সব শ্রেণি পেশার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে।

২৫ মার্চ মধ্যরাতে তথা ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতারের আগে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পাশাপাশি যেকোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মুহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এ ঘোষণার নথি সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল না। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার মূল্যবান দলিলটি সেখানে লিপিবদ্ধ হয়েছে এভাবে ইহাই হয়ত আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছেন, যার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ, ১৯৭১।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ ডকুমেন্টস-এ ওই ঘোষণার পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল। ঘোষণায় বলা হয়, এই-ই হয়ত আপনাদের জন্য আমার শেষ বাণী হতে পারে। আজকে থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি, যে যেখানেই থাকুন, যে অবস্থাতেই থাকুন এবং হাতে যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ততদিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান-যতদিন না দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর শেষ সৈনিকটি বাংলাদেশের মাটি থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছে এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হচ্ছে।

তৎকালীন ইপিআর-এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ঘোষণাটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে একটি ভূখণ্ডের, যার নাম বাংলাদেশ। সময় যত পেরিয়েছে, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও এগিয়ে গেছে। মাথাপিছু আয়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধি, বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও ব্যবহার এবং সম্পদ উৎপাদন ও আহরণ দৃশ্যমানভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বার্ষিক বাজেট আজ পরিণত হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেটে। সেদিনের ১২৯ ডলার মাথাপিছু আয়ের দেশটিতে বর্তমান মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৯শ ৬১ মার্কিন ডলার।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসে দারিদ্র্য আর দুর্যোগের বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের পথে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রাপ্তি নিয়েই এবারও জাতি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করবে।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশে ২৬ মার্চ প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এরপর বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্য রয়েছে আজ সূর্যোদয়ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৫টা ৫৬ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন।

সকাল ৭টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে আওয়ামী লীগ শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

 


আরও খবর



সবজির কমলেও মাছ মাংসের দাম বাড়তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মাছ, মাংস, খেজুর এবং বিভিন্ন সবজিসহ মোট ২৯টি নিত্যপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল গত শুক্রবার। এরপর এক সপ্তাহ পেরোলেও নতুন এ দাম বাস্তবায়ন হয়নি এখনো। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে গতকাল দেখা গেছে, সবজি, ডিমসহ কয়েকটি পণ্যের দাম আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও বেড়েছে আলুসহ কয়েকটি পণ্যের। আবার মাছ ও মাংস বিক্রি হয়েছে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রায় ১০-২৫ শতাংশ বেশিতে।

বাজারে গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২০০-২১০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস গড়ে ৭৫০-৭৮০ টাকায়, খাসির মাংস প্রতি কেজি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ ও সোনালি মুরগি ৩২০-৩৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি চাষের পাঙাশ ২০০-২২০ টাকায় ও কাতলা আকারভেদে ৩০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যদিও গত শুক্রবার এসব পণ্যের উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সংস্থাটির হিসাবে প্রতি কেজি ব্রয়লারের উৎপাদন খরচ ধরা হয় ১৪৬ টাকা। আর খুচরা পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করা হয় কেজিপ্রতি ১৭৫ টাকা।

 এছাড়া খুচরায় প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৬৬৪ টাকা, ছাগলের মাংসের (খাসি) কেজি ১ হাজার ৩ ও সোনালি মুরগির মূল্য ২৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। প্রতি কেজি চাষের পাঙাশের উৎপাদন খরচ ধরা হয় ১১৫ টাকা। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে পাঙাশের যৌক্তিক মূল্য ১৮১ টাকা এবং কাতলা মাছের যৌক্তিক মূল্য সর্বোচ্চ ৩৫৪ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সে অনুযায়ী বাজারে মাছ ও মাংস নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রায় ১০-২৫ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

রাজধানীর শাহজাদপুরের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‌মুরগির মাংসের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা কমেছে। কিন্তু এর চেয়ে কমবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ খামারিরা বলছেন তাদের উৎপাদন খরচ বেশি। আমরা কম দামে আনতে পারলে কম দামে বিক্রি করতে পারব।

এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজি ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৭০ টাকা, টমেটো ৫০, শিম ৫০-৬০, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০-৫০, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ ও কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি শুকনা মরিচ ৩৮০-৪৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০-৭০ ও দেশী রসুন ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি বেগুন ৮০-১২০ টাকা, টমেটো ৭০-৮০, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৬০-৭০, মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০ ও কাঁচামরিচ ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আর প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকা ও দেশী রসুন ১৩০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। যদিও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রতি কেজি কাঁচা ও শুকনা মরিচের সর্বোচ্চ দাম যথাক্রমে ৬০ টাকা ও ৩২৭ টাকা নির্ধারণ করেছে। অন্যদিকে সবজির মধ্যে খুচরা পর্যায়ে বাঁধাকপি প্রতি কেজি ২৮ টাকা, ফুলকপি ৩০, বেগুন ৪৮, শিম ৫০, টমেটো ৪০ ও মিষ্টি কুমড়া ২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

কারওয়ান বাজারে সবজি বিক্রেতারা জানান, বাজারে সবজির সরবরাহ আগের চেয়ে বেশি। তার তুলনায় চাহিদা কমেছে। এ কারণে দামও কম। বেশকিছু সবজির দাম অর্ধেকে নামলেও সবজি পুরোপুরি বিক্রি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. বাবুল হোসেন বলেন, ‘‌পেঁয়াজের দাম এখন কমতির দিকে। গত এক সপ্তাহে ২০-৩০ টাকা কমেছে। কৃষকরা পেঁয়াজ তুলে ফেলছেন। অনেকে আমদানির খবর শুনে পেঁয়াজ ছেড়ে দিচ্ছেন। এ কারণে সরবরাহ বেশি। দামও অনেকটা কমেছে।

আলুর দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। যদিও সরকার নির্ধারিত মূল্য সাড়ে ২৮ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। আমদানীকৃত আদার দাম ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে বিভিন্ন সময় দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও বাস্তবায়নকারী বা তদারকি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে তা আর বাস্তবায়ন হয় না। এক সংস্থা আরেক সংস্থার ওপর দায় চাপিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে বাজারসংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে একই ছাতার নিচে এনে মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে।

এ বিষয়ে কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর একটির সঙ্গে আরেকটির সমন্বয় নেই। অতীতেও বিভিন্ন সময় দাম নির্ধারণ করে পরবর্তী সময়ে আর বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। এবারো আমরা তা দেখছি না। প্রতিষ্ঠানগুলো বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। সবগুলো প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে কাজ করতে হবে। তা না হলে এসব মূল্য নির্ধারণ করে সুফল আসবে না।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সংশ্লিষ্ট সবগুলো সংস্থা একযোগে সমন্বিতভাবে কাজ করলে নির্ধারিত মূল্য দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম বলেন, আমরা আইনের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করে দিতে পারি। এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব এজেন্সিরই দায়িত্ব রয়েছে। আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের অংশের বিষয়ে আমরা যথেষ্ট সচেতন রয়েছি। এ মূল্য বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগতে পারে।


আরও খবর