Logo
শিরোনাম

বিশ্বম্ভরপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রবাসীর পক্ষ থেকে ব্যাগ বিতরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শফিউল আলম,স্টাফ রিপোর্টার :

 সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর   ইউনিয়নের অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রবাসী জিয়াউল হক এর পক্ষ থেকে স্কুল ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে।২২ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে শ্রেণিকক্ষে ব্যাগ বিতরন করা হয়।


এদিকে স্কুল সভাপতি মাইন উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক  আলমগীরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান  অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিয়াউল হক বলেন, এক সময় আমি এ  বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছি।এ গ্রামের সন্তান আমি, সুখে-দুঃখে সবসময় গ্রামবাসীর পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ। লেখাপড়া করে তোমরা মানুষের মত মানুষ হও এই প্রত্যাশা সব সময়। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি কে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ-সময় উপস্থিত বিদ্যালয়ের ভূমি দাতা ও ম্যানেজিং কমিটির  সহ-সভাপতি নুর আলম সুমন,সদস্য শাহিনুল ইসলাম, তৌহিদা বেগম, সহকারি শিক্ষক পিংকি তালুকদার,চঞ্চলী রানী দে,সাবেক সভাপতি বেলায়েত হোসেন তালুকদার, জাহাঙ্গীর আলম,সাংবাদিক শফিউল আলম, শাহ আলম, শাহিন মিয়া প্রমুখ।


আরও খবর



সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তাঁর দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন। নিউইয়র্কে এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।

বিএনপি নির্বাচন চায় না, উল্লেখ করে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের একটি হোটেলে নিউইয়র্ক মেট্রাপলিটন আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ।

এ সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন, বিএনপি কী আসলেই নির্বাচন চায়? তাদের নেতা কে? প্রধানমন্ত্রী এখন জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক অবস্থান করছেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, পলাতক আসামি, অর্থ চোর, অস্ত্র চোরাচালানকারী, খুনি ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী (তাদের নেতা) এই যদি একটি দলের নেতা হয়-তবে মানুষ কেন সেই দলকে এবং তাকে ভোট দেবে?

তিনি বলেন, তারা ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট পায়নি এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেনি।

নির্বাচন ঠেকানোর নামে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এখনো সেই পোড়া মানুষের মুখ দেখলেই বোঝা যাবে যে কী জঘন্য কাজ হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যারা এটি করেছে, তাদের মতো আর কেউ ঘৃণ্য হতে পারে না।

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ইনশাআল্লাহ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের অন্তত অনুধাবন করা উচিত যে- তারা নৌকায় (আ.লীগের নির্বাচনী প্রতীক) ভোট দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছে এবং নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ায় আজ জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, নৌকায় (দেশের জনগণ) ভোট দেওয়ার কারণে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যারা বিদেশে থাকেন তাদের বুঝতে হবে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বিদেশে কারও সঙ্গে কথা বলা যেত না, এখন মানুষ বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখে।

প্রধানমন্ত্রী অপপ্রচারে কর্ণপাত না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন সবসময় উজ্জ্বল হয়-তা আপনাদের সকলকে সর্বদা মনে রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আজ যখন বিশ্বনেতারা (বাংলাদেশের সাফল্য) স্বীকৃতি দিচ্ছেন, তখন আমাদের কিছু পাপাচারী যা বলছে তাতে মনোযোগ দেওয়ার দরকার নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্তরা এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে ও তাদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও অ্যাপসের মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে।

নিন্দুকদের মুখোশ উন্মোচন করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, মিথ্যা অপপ্রচার করলে তাদের মুখ উন্মোচিত করতে হবে।

তিনি বলেন, মানুষের সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার।এই চোরচক্র থেকে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

সূত্র : বাসস।


আরও খবর



নওগাঁ শিক্ষক সমিতির নতুন সভাপতি মহাতাফ সাধারণ সম্পাদক গফুর

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র  রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা শিক্ষক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শেষে আগের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন করে সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নওগাঁ সেন্টাল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মহাতাফ হোসেন ও দ্বিতীয়বারের মতো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন রাণীনগর উপজেলার মধুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল গফুর প্রাং। 

জানা যায়, গতকাল শনিবার জেলার ১১টি উপজেলার নির্ধারিত কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে আনন্দ ঘন ও উৎসব মুখর পরিবেশে নওগাঁ সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুলে এই কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাউন্সিল অধিবেশন পরিচালিত হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন নওগাঁর ঐতিহ্যবাহী বদলগাছি উপজেলার বালুভরা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোতালেব। কাউন্সিলে ৬৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি গঠন করা হয়।

জানতে চাইলে শিক্ষক মোঃ আব্দুল গফুর প্রামাণিক বলেন, আমাকে দ্বিতীয় বার নির্বাচিত করায় আমি জেলার সকল শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি আশাবাদী আগামীতে মানসম্মত শিক্ষার মান আরো প্রসারিত করতে এবং শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবী আদায়ে নতুন গঠিত জেলা শিক্ষক সমিতি দৃঢ় ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট থাকবো।

নওগাঁ জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মহাতাফ হোসেন বলেন, আমাকে ঐতিহ্যবাহী এ জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত করায় জেলার সর্বোস্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানায়। সেই সাথে সকলের কাছে দোয়া চাই আমি যেন আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারি।


আরও খবর



নওগাঁয় নিয়োগ না পেয়েও 'ব্যানবেইসে' শিক্ষক হিসেবে তথ্য.?

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিদ্যামাধুরী শিক্ষায়তন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ না পেলেও বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) এর ঘরে শিক্ষক হিসাবে ফারুক হোসেন নামের এক জনের নাম আপলোড করা হয়েছে। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসাবে কখনোই নিয়োগ পাননি। তবে অভিযোগ উঠেছে ব্যাকডেটে তার নিয়োগ দেখানো হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পরিমল রায় দাবী করেন ভুলবসত তার নাম গিয়েছে। 

স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে, বিদ্যামাধুরী বিদ্যায়তন বালিকা বিদ্যালয়টিয় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এমপিওভুক্ত। নবম ও দশম শ্রেণীর এমপিওভুক্ত হয়নি। এরমধ্যে গত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখে ব্যাকডেটে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক হিসাবে ফারুক হোসেন নামের একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে তার দুইদিন পর ৯ জানুয়ারি সরেজমিনে প্রতিষ্ঠানে গেলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ভারতী রাণী ও ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি তার স্বামী পরিমল রায় দাবী করেন তাদের প্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ে কোন শিক্ষককে তারা নিয়োগ দেননি। তাদের প্রতিষ্ঠানে ওই পদ শুন্য রয়েছে। এসময় ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হাজিরা খাতায় ও ব্যানবেইজের তথ্য ফরমে ফারুক হোসেন নামের কোন শিক্ষকের তথ্য পাওয়া যায়নি। এ সময় প্রধান শিক্ষকের ম্যাসেঞ্জার থেকে প্রতিনিধির ম্যাসেঞ্জারে এ সব তথ্য পাঠাতে অনুরোধ করলে তিনি ম্যাসেঞ্জারে প্রতিনিধিকে তথ্যগুলো প্রেরণ করেন। যা প্রতিনিধির ম্যাসেঞ্জারে বিদ্যমান। এরপর প্রতিনিধির হাতে আসা গত বছরের আপলোডকৃত ব্যানবেইস-এ শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য।  সেখানে দেখা যায় ফারুক হোসেনকে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক হিসাবে গত ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল তারিখে যোগদান দেখানো হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, গত ২০২১ সালের ৩১ মে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন স্বাক্ষরিত পরিপত্রের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) পদে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এ পদে নিয়োগের লক্ষে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষমতা দেওয়া হয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কে। তারপর থেকে এ পদে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।

এবিষয়ে ২০২২ সালের ৭জানুয়ারি ফারুক হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, তিনি বিদ্যামাধুরী বিদ্যায়তন বালিকা বিদ্যালয়ে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের পদে নিয়োগ নেননি। তিনি ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক নয়। তিনি তার পূর্বে থেকে একটি এনজিওতে কর্মরত অবস্থায় রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। বর্তমানে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটা বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক ভারতী রাণী বলেন ফারুক হোসেনকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি রেগুলার নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক নন। তাহলে ব্যানবেইজে শিক্ষক হিসাবে তার নাম কিভাবে আসলো?  সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কিভাবে তার নাম এসেছে এবিষয়ে দেখে জানাবো। তবে তিনি কবে জানাবেন তা নির্দিষ্ট করে বলতে বললে রেগে যান।

বিদ্যালয়ের সভাপতি পরিমল রায় বলেন, তাকে আরও আগে থেকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এবার ভুলবসত হয়তো শিক্ষক হিসাবে তার নাম ব্যানবেইজে আপলোড হয়েছে। এরপর ব্যানবেইজ থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হবে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ বলেন, আমি এই উপজেলায় ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি যোগদান করি। তখন থেকে এ পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের কোন শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। আর ব্যানবেইসে শিক্ষক হিসাবে ফারুক হোসেনের তথ্য কিভাবে আপলোড করলো তা আমি জানিনা। তথ্য আপলোড করার দায়িত্ব প্রতিষ্ঠান প্রধানের। নিয়োগ না নিয়েও তিনি কিভাবে তার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসাবে একজনের নাম সংযুক্ত করলেন তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।


আরও খবর



একমি ল্যাবরেটরিজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার)

ঢাকার ধামরাইয়ে একমি ল্যাবরেটরিজ নামে একটি ওষুধ কারখানায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ঢুলিভিটা এলাকায় কারখানার ভেতরে নির্মাণাধীন ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন- গাইবান্ধা সদর উপজেলার রিভাইদপুর এলাকার মো. সালাম (৪২) ও মমিন (৩০)। আহতরা হলেন- একই এলাকার মো. শরিফুল (২৮) ও মো. মোস্তফা (৩০)। হতাহতরা ভবন নির্মাণের পাইলিং শ্রমিক ছিলেন।

পুলিশ জানায়, একমি ল্যাবরেটরিজের কারখানার ভেতরে একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিংয়ের কাজ চলছিল। সেখানে অসাবধানতার কারণে রড বিদ্যুতায়িত হয়। এতে চার শ্রমিক আহত হন। উদ্ধার করে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে নেওয়ার পথে গুরুতর আহত দুইজনের মৃত্যু হয়। অন্য দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন।

ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। বাকি দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। 

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, অসাবধানতার কারণে বিদ্যুতায়িত হন তারা। বিষয়টি নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। এই বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, একমি ল্যাবরেটরিজের দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কারখানায় জ্যেষ্ঠ্য কোনো কর্মকর্তা নেই জানিয়ে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। তথ্য পেতে পরবর্তীতে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি। এমনকি নিজের নামও প্রকাশ করেননি তিনি।


আরও খবর



স্পর্ধাই এখন ভরসা তাদের, ক্ষমতার লাগাম পরানোর কাজ আমাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মেজর জিল্লুর রহমান অবঃ

আমেরিকার  পত্রিকার সম্পাদক  বেন  ব্রেডলির উক্তি দিয়ে শুরু করলাম  বুঝার সুবিধার্তে।   হায়রে সেই  উৎসবের ভোটের দিনের আমেজ ! বড় নেতা মেঝ নেতা সেঝ নেতা নোয়া নেতা ,  চ্যালা চামুন্ডারা কি যতনে সম্মানে ঘাড়ের  উপর হাত সযত্নে রেখে কানের কাছে মুখ  লাগিয়ে ভোটের মাঠে সমার্থন ভিক্ষা করছে । সাথে নিশ্চয়তা দিচ্ছে আপনার জমির আইল নিয়ে যে ঝামেলা আছে নেতার নলেজে আছে আগামীকালই আপনার কষ্ট বিসমিল্লাহ বলে শেষ করে আপনার সাথে বাড়িতে ডাল ভাতের  নাস্তা খাব। 

 ভোটের মাঠে কত  কদর কত জামাই আদর । ১৪ সালে এক ধাক্কায়  সে মালিকানার  স্বত্ব  অক্কা পেয়ে  শ্মশানে  শুব্র  বস্ত্র উরাচ্ছে। সেই যে ভোটারের  কপাল পুড়ল সে কপাল আর ভাল হল না। এখন ভোটেরদিন কেন্দ্রে যেতে বাধা।  কেউ  বলে কষ্ট করে আপনার যাওয়া লাগবে  না আপনার দায়িত্ব আমরা সেরে ফেলেছি কাকা। 

 আগে রাতে ঘুম ভাঙ্গায় ঘরে ঢুকে চরন ধরে বলত ক্ষমা করেন আমার বাবা নাই আপনি আমার আব্বা কথা দেন  এতিমকে সন্তানের স্নেহ দিবেন কথা দেন ভোট আমায়  দিবেন। সেই ছেলে এখন আমারে দেখে ষাঁড়ের মত কুন্দায়,  আর কয় আমি নৌকা মার্কা কিনে আনছি ভোট না দিলেও আমি নির্বাচিত। দেশের মালিক হওয়ার গৌরবের  সেইদিন  খুশি আর অপমানের সাগরে ফেলে গেলি কই । 

  সেবার নির্বাচনে  প্রার্থিদের বাড়িতে ঘন ঘন  রাতবেরাত হানা দেওয়ায়   বিরক্ত হয়ে  রজব ভাই ভাবী  হাতের খড়ের তৈরি কাথার  নিচে ডুব মেরেছে অতিস্ট হয়ে। জির্ন কাঠের দরজায়  উপরের চৌকাতে  জং ধরা লোহার  শিকল ঝুলন্ত  ছিল। পালাক্রমে  কয়েকজন প্রার্থি  সজরে  ঝাকিয়ে ডেকে তাদের সাড়া না পেয়ে চলে যায়। শেষবার নাছোড়বান্দা  ক্যান্ডিডেট  ইয়াহিয়া  শিকল ঝাকাতে লাগল  ও  কাকি  ও কাকা দরদের সুরে মায়াবী ডাক শিকল আছড়ানো তালে তালে বেশ সঙ্গিত উপভোগ করলাম । হায়রে !! মিনিট দশেক পর খড়াত করে আমার সেকল ছিড়ে গেলে বুঝতে পারলাম । ছেড়া শিকল ইয়াহিয়া  হাতে নিয়ে সে কেটে পড়ে। সকালে আমার কাছে বিচার আনে।  ইয়াহিয়াকে বল আমার শিকল গুতাতে গুতাতে ছিড়ে নিয়ে গেছে গত রাতে । ইয়াহিয়া নতুন শিকল কিনে মিস্ত্রি দিয়ে লাগিয়ে দিল। রজব মিয়া বলল তোমারে ভোট দেব , তুমি জিতবা যে মানুষ বাইশ মিনিট বিরামহীন শিকল ঝাকাতে পারে  ভোটের  জন্য সে ভোট পাওয়ার যোগ্য তোমার অসীম  ধৈর্য  ।  এই  ছিল  ভোটার আর  নেতার   সম্পর্কের  কেমিস্ট্রি । 

  প্রতিবার ভোটের আগে  উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দাঙ্গা।  অবস্থা দিষ্টে  প্রমান করে লুটপাটের অংশী হতে ভাগ বাটোয়ারায় ভাগ বসাতে  দল গুলো  মরনপণ  লড়াই  চালায় । এবার অবস্থা বেগতিক।  রাজনৈতিক সংঘাত দিব্যি ছড়িয়ে পড়ছে দু ধারায় । নির্দলিয় সরকারের অধিন নির্বাচন চায় সকল বিরোধী দল  এক ধারা । শুধু সরকারী ধারা সংবিধান নিদেন রক্ষা কবচ কামড়ে তাদের কমান্ডে  রথ পাড়ি দিতে চায় । ক্ষমতা হারা দলের নিরাপদ প্রস্থান তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত্তের গ্যারান্টি দিতে পারলে গনতান্ত্রিক সকল প্রক্রিয়া সমাধান সহজ হবে। 

  ভোট বড়  সকলের বালাই কাকে ভোট দিয়া উচিৎ  ভোটারের ভাবনায় কুলায়  উঠে না। তারা মিডিয়া দ্বারা,  দলের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। জনজীবনে  কে নেতা হবে না হবে জনগণ আজ  গ্রাহ্য করে না ।  এখন মাইকে ডেকে কেন্দ্রে ভোটার  ভিড়ানো  যাচ্ছে না । ভোট সে তো  দেশের খাজাঞ্চি  নিয়ন্ত্রণ এবং  প্রভাব-প্রতিপত্তি  জাহির  করার  স্বার্থে  ক্ষমতা  দখলই  ভোটের রাজনীতির  প্রধান  আদি কথা। 

 জনহিতের  কথা  নিছক ভাঁওতাবাজি  কেতাবি বুলি। গায়ের জোরে  অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভোট  কেটে  আখের গোছাতে গিয়ে  যদি  জন কল্যাণ  হয়ে যায়, তাই প্রকৃতির  দয়ায় মানুষের লাভ।  বেহুদা উন্নয়নের  কাজগুলো ভোটের আগে ভাগে  করতে পারলে সব  দিক  দিয়ে লাভ হয় ।  যে প্রকল্প না  করলে  কর্মির, নেতার  দলের  লাভ  নেই  তা  চড়া গলায়  বক্তৃতায়  পুষিয়ে  দেওয়া হয়। ধাপ্পা বাজীর রাজনীতি জনগণ  বুঝে । কিন্তু  প্রশ্ন হল  এর প্রতিরোধ করার উদ্যোগ কে করবে?  প্রার্থী  একটু এ দিক-ও দিক করতে পারলে  জিতে  যাওয়ার  সম্ভাবনা নিশ্চিত । প্রশাসন,  কমিশন, পুলিশ  সেভাবে  সাজানো  থাকে । এমনই  মন মেজাজ  থেকে প্রার্থীরা  ও তাঁদের দলবল  লাঠিয়াল মাঠে  অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে।  এই   ভোটের  পরিণাম   মৃত্যু  পর্যন্ত গড়ায় তাতে কি । 

 গত দুই টার্ম ইলেকশনের কারিশমা  নিয়ে অভিজ্ঞ রাজনিতিক দির্ঘকাল মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন  মঞ্জু এক স্বাক্ষাতকারে লজ্জিত হয়ে বললেন আমার এলাকার মানুষ আমাকে জিজ্ঞাসা করে আপনি নাকি এম পি হয়েছেন? যারা  আমাকে ভোট  দিয়ে এম পি নির্বাচিত  করবে  খোদ  তারাই জানে না কিভাবে এম পি হলাম  ।  তিনি ক্ষেদের সাথে বললেন জনগণের সমর্থন এড়িয়ে এম পি হব  এই  জন্য দেশ স্বাধীন করা হয়নি। 

 অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে ছলে বলে  কলে কৌশলে বিচিত্র আবরনে যুক্ত। ফলে তাঁরা প্রার্থীদের সরাসরি প্রশ্ন করে,  “আপনাকে ভোট দিলে আমি কী পাব?”  ভোটে জয়ী হওয়ার জন্য আজগুবি প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন ব্র্যান্ড নিউ  প্রার্থীরা। একটা পরিবারের যত সদস্য আছে, সবাইকে কিছু না কিছু দিতে হবে। তাঁর সত্যিই চাকরি পদোন্নতি  সাহায্য  পাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে কি না, তা নিয়ে কথা বলতে গেলেই বিপদ। এমন জোড়াতালি দিয়ে  ক্ষমতায় এসে প্রত্যাশা  আর  প্রাপ্তির  বিস্তর  ফারাগ ফেরাস্তাও  সীমাহীন চাহিদা   মিটাতে পারবে না তাই সরকার তাদের  দলীয়  প্রার্থির  আকাম কুকর্ম  অন্ধ হয়ে না দেখার ভান করে  ।  

 আমরা আর কত দিন ভোটের নামে এই  প্রহসন  সন্ত্রাস,  ক্ষমতায় যেয়ে  দুর্নিতি, অর্থ  পাচার,  ব্যাংক লুট দেখব ।  মেগা প্রজেক্টে হরিলুট মুখ বুজে   সহ্য করে যাব?  বিকল্পের রাস্তা আমাদেরই  খুঁজে বের  করতে হবে। এই দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে, সৎ প্রার্থি দরকার।  দলীয় প্রতিক বাতিল সহ ভোটগ্রহণ পদ্ধতির অবিলম্বে পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। দু’টি আধুনিক ও অভিনব পদ্ধতির শরণাপন্ন হওয়া যেতে পারে। অনলাইনে মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার থেকে নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত  পোর্টালে লগ ইন করে ভোট প্রদান করা যেতে পারে। বর্তমানে জনসংখ্যার একটি বড় অংশ স্মার্টফোন ব্যবহারে পারদর্শী। নির্ভয়ে তাঁরা তাঁদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে সক্ষম হবে। নির্দলিয় সারকার ভোট পরিচালনা করবে। 

 চিরাচরিত ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় যে বিপুল  পরিমাণ অর্থের অপচয় হয়, তার থেকেও অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যাবে । এ  ব্যবস্থায়  মাস্তানি গুণ্ডামি লোপ পাবে ।  

গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হল ভোটাধিকার এবং স্বাধীন মতপ্রকাশ। কিন্তু ভোটাধিকার প্রয়োগ যদি শেষ পর্যন্ত  নির্বোধ  জনগণের  সামনে  খেল  তামাশা হয়ে দাঁড়ায়, তা হলে আর গণতন্ত্রের থাকে কী! নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল থেকে শুরু করে নির্বাচন পর্যন্ত চলে লাগামহীন সন্ত্রাস। এমনকি ভোটের পরেও সে সন্ত্রাসের অবসান হয় না। যে দল যখন ক্ষমতায় থাকে, পুলিশ-প্রশাসনকে কব্জা করে ভিন্ন মত বা দলকে আটকাতে সব রকম অগণতান্ত্রিক কলাকৌশল প্রয়োগ করে। তাই আমাদের   দেশে   সন্ত্রাস, রক্তপাত আর মৃত্যু নির্বাচনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে।  সর্বশক্তি খাটিয়ে  জনবিচ্ছিন্ন  দলের অথর্ব লোকটির   নামে সিল মেরে বাক্স  ভরে পেশি শক্তিধারীরা তাই ভোট নামক  জনপ্রিয়তার পরিক্ষায় মানুষ  ঘৃণায় মুখ  ফিরিয়ে নিয়েছে  । এখন আমরা  নিয়ন্ত্রিত  মিডিয়ার মাধ্যমে, বিশেষ  করে  ডিজিটাল  সামাজিক  মাধ্যমের দৌলতে ‘গণতন্ত্র নিধনের মহোৎসব’ ঘরে বসে প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি।

  নির্বাচন কমিশনের আশ্বাস, কোর্টের কড়া নির্দেশ, এ সব উপেক্ষা করে গণতন্ত্রের হত্যালীলা চলতেই থাকে। ভোটে সন্ত্রাস, বেনিয়ম এ সব নিয়ে কিছু দিন আলোচনা, তর্কবিতর্ক, এক সময় তা থিতিয়ে যায়। ভোট ‘লুট’ করে  ছিন্তাই করে  জেতা প্রার্থীরাও ‘নির্বাচিত’ শংসাপত্র নিয়ে দিব্যি কোনও না কোনও পদ আলোকিত  করে  বেসরমের  মত  বসে পড়েন। সব দেখে-শুনেও ঠুঁটো জগন্নাত  নির্বাচন কমিশন বা আদালতকে আর তেমন টু শব্দ করতে  দেখা যায় না। এ ভাবেই চলছে আমাদের আবিষ্কৃত  গণতন্ত্র এবং চলবেও।

একজনের বংশীর সুরে হেলা দুলা চলছে  দেশের শব কাঠামো।  

 সরকার ও তাদের চেলা চামুণ্ডারা   ধরাকে সরা জ্ঞান করে কি হনু রে তত্তে ভর করে চলছে!!  ক্ষমতার উত্তাপে দিশেহারা দলবাজরা  যেদিক তাকায়  একান্ত  অনুগত প্রজারা  জি হুজুর শব্দ উচ্চারণের উদগ্র বাসনায় গলা খাকড়া দিয়ে  আওয়াজ  দিতে সদা প্রস্তুত দেখে । সন্ত্রাসীরা দখল বানিজ্যের বণিক নেতা,  চাঁদাবাজ নেতা, দুর্নিতিবাজ নেতার ইশারায় দিন শেষে পকেটে  ভাগ পায়।

  বিনা পরিশ্রমে পকেটে   টাকা আমদানি হলে সেই জাত পায়ে দাড়াতে পারে না। আশা  জাগায় ভরসা জাগায় এমন কথা  শুনা যায় না। দম্ভের গনতন্ত্র অসীম ক্ষমতার  বিরামহীন আস্ফালন উদ্বেগের বার্তা মনে ঘুরপাক খাচ্ছে আমজনতার । জনগনের  শাসনই গনতন্ত্র সে কথা জাতি ভুলে যেতে বাধ্য হয়েছে। ক্ষমতায় আসিনরা এক এক জন  প্রাচীন  সম্ম্রাজ্জের রাজতন্ত্রের বহুদা ক্ষমতার সম্রাট  ভয়ঙ্কর প্রতীক। তাদের চাটুকারিরা  নির্লজ্জ আবিজাবি সুত্র ধরে নেতাদের তাদের পোষ্যদের পর্যন্ত  শুভেচ্ছে বাণীর  প্লাবনে ভাসিয়ে দেয় নেট দুনিয়া। ঘুনে ধরা সমাজ দাড়াতে পারবে না ঘুনের লেশমাত্র অবশিষ্ট থাকতে। আপাদামস্তক সংস্কার আমাদের এখন দরকার।  

 সরকার সত্যের মুখমুখি হতে ডরায় । তাই সত্য প্রকাশের উদ্দত হলে গলাটিপে শ্বাস রোধ করে ধরে। শাসকের বিরোধিতা  করাকে অনুগত মিডিয়া দিয়ে  রাষ্ট্রদ্রোহ  বলে  নির্বিচারে  প্রচার চালাচ্ছে । কয়েদ খানায় ভরছে প্রতিবাদি কন্ঠ  । কতদিন কতদূর  এক পরিবার কেন্দ্রিক শাসন পদ্ধতি চালান যায় । দুর্নিতি  গনতন্ত্র, দেশের মানুষের পছন্দমত   ভোটোধিকার, মানব্ধিকার,  অর্থ পাচার নিয়ে দেশে  বিদেশে এখন বাংলাদেশ নিয়ে   প্রবল  দুর্নামের আলোড়ন । জাতি সঙ্গের ডেমোক্রাসি কাউন্সিল থেকে  বাংলাদেশকে বহিষ্কারের  চিঠি বিশ্ব মিডিয়ায় । 

 বিরোধিরা এককাট্টা  নির্দলিয়  সরকারের অধিন নির্বাচনের দাবীতে। দু দলের মুখমুখি সমরে গন মাধ্যম নিরব, সুশীল সমাজ মুখে কুলুব এঁটেছে। উচ্ছিষ্ট ভোগী  স্বঘোসিত বুদ্ধিজীবী চাপা চালিয়ে যাচ্ছে  যার যার  দলের পক্ষে ।  এফ বি  সি  আই  এর সভায়  তাজা তাজা বণিক নেতারা যা  বললেন তাতে মনে হল তারা সকলে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য , তৃপ্তির সাথে  প্রধানমন্ত্রীর   স্থুতি  গাইলেন। প্রশ্নাতীত ভক্তি  প্রতিযোগীতা করে কে  কার আগে   স্তুতির ছোপে  প্রধানমন্ত্রীর  নেক নজরে  আসন সংরক্ষিত করতে পারে তার মহড়া দেখাল। 

 চ্যানেল  গুলি আছে সরকারের বন্দনা ডালি সাজিয়ে।  বিরোধীদের প্রতিবাদ সমাবেশর  তীব্রতা ঘোমটা  পরাতে  ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায় । বিরোধীদের শক্তি মত্তা জাহিরের  জানালা খিড়কি  দিতে মোলায়েম কন্ঠে সকল কূটপন্থা  জারি থাকে বিলম্ব অনুমতি হাজার শর্ত  । পত্রিকা টি ভি  চ্যানেল সরকারের অধিনস্থ একান্ত  বাধ্যগত ছাত্র  বুঝাই যায়। প্রধান বিচারপতিকে দেশ ছাড়া করেছে এক নেতা ঘোষনা দিলেন কি আর বাকি আছে সর্বনাশের।  

 সংবাদ মাধ্যম  নিজেদের ভুমিকা পালন না করে জনতার অনাস্থার সৃস্টি করছে এখন তারা টোপা শ্যালারমত জনতার অবিশ্বাসের দিঘীতে ভাসছে । সরকারের  সত্যি ভাল ভাল  কাজ  প্রচার করলেও  এখন তা   বিশ্বাস করাতে তাদের বেগ  পেতে হচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের  দোষ ত্রুটি দুর্নিতি লুটপাট স্বজনপ্রীতিসহ  সকল অপকর্ম  চোখের  আড়াল করতে সংবাদ মাধ্যম  মায়ের আচঁলে  ঢেকে রাখছে এমন ধারনা উৎপাদন  করে যাচ্ছে । বাংলার বানী, দিনকাল, জঙ্কন্ঠ  মানুষ  ছুয়ে দেখে না পড়েও না। অতি তোষামোদির ফলে পত্রিকা  চলার শক্তি হারিয়েছে  মনে রাখতে হবে।  

 নেতারা কর্মিরা  চাটুকাররা  অনেক পেয়েছে  আর কত নিজের বিবেকের বিরুদ্ধে কাজ করে মানুষকে কষ্ট দেওয়া।  শাসকের জিগির গাইতে বড় বড় পত্রিকার সম্পাদক  সরকার বসিয়েছে। তাদের হাল চাল কর্ম সব ক্ষমতাসিন্দের  তোয়াস করা  তাদের কর্মে  প্রকাশ পায়। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে  ঘোড়ার মত হটাত উলটা লম্পপ দিয়ে সোস ফেলে দিবে। ঘোড়া বেশী দুরত্তে দেখতে পায় না তাই  দ্রুত গতিতে চলার সময় সামনে খানা খন্দক খাল বিল যখন  হঠাত  চোখে পড়ে তখন আর ব্রেক করে নিজের দেহ সাম্লাতে পারে না তাই উলটা পিছনে ডিগবাজী খায় । 

 অবস্থা এমনি হবে জনগণের জানার অধিকার কার্পেটের নীচে চেপে রাখলে  ঘোড়ারমত ডিগবাজী সরকারকে দিতে হবে । নির্লজ্জ তেল মর্দন  এমন পরিস্থিতি করবে।  সাগরিকা সিনেমায় কেদার দা  অনেক আগেই বলে গেছে তেল মারা  যার অভভাস সে চরকা পেলেই তেল মারে আপন পর দেখেনা। এরা বাতাশের গতিবিধি দেখে পাল তোলে । তেল চরকায় মারা শুরু করে। গলার সুর অনেকের পরিবর্তন হওয়া শুরু হয়েছে। 

সরকার সহি  চেস্টা করলে  কষ্ট  জনগণ  মেনে নেয়।   কিন্তু নেতা কর্মিদের লুটপাট  দলীয় দাপট মানুষের  প্রতিহিংসার ক্ষোভ তৈরি করে।  

টক শোর  উপস্থাপক অনেকে সরকারী দলের নয়া কাডারদেরমত   বাকবাকুম রবে  দলীয় প্রপাগান্ডা চালান যা শ্রুতি কটু।   

সংবাদ  মাধ্যম নেতাদেরা  নৈতিক শিক্ষার ঘাটতি কেটে উঠতে  অনুকরন করতে পারেন  অনেক  বিশ্বনন্দিত প্রবাদ পুরুষ সম্পাদকের নীতি। অনেক  প্রাতঃ   সরণীয় সম্পাদক   লোভ মোহ ভয় উপেক্ষা করে  পৃথিবিতে  অনুকরণীয় নজির তৈরি করে রেখেছে। আমেরিকার কথাই ধরুন ।  

ভিয়েতনাম  যুদ্ধ সংক্রান্ত  গোপন নথি  যা পেন্টাগন পেপারস নামে পরিচিত । ঐ গোপন নথী  প্রকাশ করার দায়ে ওয়াশিংটন পোস্টকে সুপ্রিম কোর্টে  নিয়ে যায় তৎকালিন আমেরিকার সরকার । রিপোর্ট  আলোয়  আসবে কি না  তা নিয়ে  সংবাদপত্রের সম্পাদকের মধ্যে বিতর্ক  চলে।  

দি পোস্টের   প্রবাদ প্রতিম সম্পাদক বেন ব্রাডলি ঐ নাজুক পরিস্থিতে  মেরুদণ্ড সোজা রেখে  সরকারকে  ছবক দিয়ে বলেছিলেন ,”  ওদের  ক্ষমতার লাগাম পরানোর  কাজটা তো আমাদের” আমাদের সংবিধানে গণতন্ত্রে আমাদের নিজেদের  ভুমিকা যথাযথ পালনের  ক্ষমতা  দেওয়া আছে  সংবাদ মাধ্যমকে । গন মাধ্যমের  কাজ শাসকের গুনাগুন করা আর দোষ ত্রুটি ঢেকে চলা নয়  বরং দোষ গুলি যথাযথ প্রচারের আলোতে আনা চাই, যাতে গণতন্ত্র সঠিক পথে চলে । 

  গণতন্ত্রে সংবাদ পত্রের গুরুত্ব অপরিসীম , সংবাদ মাধ্যমের কাছে  প্রত্তাশাও  অনেক বেশী। প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে ডাকা হয় চিহ্নিত তোসামোধকারি সুবিধাবাদীদের  । তারা মাইক্রোফোন হাতে প্রশংসায় বলে ফেলেন এত উন্নতি কি করে করলেন কি ম্যাজিক বাক্স আপনার আছে । এসব বলবে তো দলীয় নেতারা তেলমারা  সাংবাদিকের কাজ না। সংবাসদ সম্মেলন না বলে  প্রধানমন্ত্রীর বন্দনা সভা বললে সঠিক হবে। কি বিপরীত নিতি দুই দেশের  সাংবাদিকদের মধ্যে। 

পছন্দমত  নেতা নির্বাচন করার সুজগ দিতে আমেরিকা মাজায় গামছা বেঁধে নেমেছে। মানব ধিকার ভটাধিকার গণতন্ত্র নামে এবার খেল তামাশা কেউ করতে পারবে না । জনতার ইচ্ছাকে সম্মান জানাতে পারলে ভাল। পশ্চিমারা  আমেরিকা জাতিসংগ  গুস্রা প্রকাশ করছে । কৌশলে এদের অভিযোগ অনুযোগ সুরাহা করতে হবে দেশের স্বার্থে। এদের যত দূরে রাখা যায় ততই ভাল।   

। আমাদের সংবাদ  মাধ্যম কি সেই পথে  হাটতে  পারছে চাইলেও কি পারে ? ঠ্যাঙ ভেঙ্গে দিবে গুঙ্কির্তন  ছাড়া বেসুরা কির্তন ছাপালে। জেনে শুনে এই ঝুকি নিতে পারলেই একজন নন্দিত বেন ব্রাডলি বাংলাদেশ পাবে।    


লেখক, মেজর জিল্লুর রহমান নিরাপত্তা বিশ্লেষক 

[email protected]


আরও খবর