Logo
শিরোনাম

বকশীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়েছে। আলহাজ্ব মানিক সওদাগর সভাপতি ও জাহিদুল ইসলাম প্রিন্সকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট বকশীগঞ্জ উপজেলা কমিটি এবং এডভোকেট আনিছুজ্জামান গামা সভাপতি ও সাইফুল ইসলাম শাকিল তালুকদারকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট পৌর কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কমিটি প্রকাশ করা হয়। এর আগে গত ১২ মার্চ কমিটির অনুমোদন দেন জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহ মোহাম্মদ ওয়ারেছ আলী মামুন। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পুর্নাঙ্গ কমিটি জমা দানের নির্দেশ দিয়েছে জেলা কমিটি। উপজেলা বিএনপির কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসিবুল হক সঞ্জু,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ক্বারী ও ময়নুর হোসেন সম্পদকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পৌর বিএনপির কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সানোয়ার সওদাগর,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও সাংবাদিক শাহজাহান পারভেজ শাহীনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।

জানা যায়, ১৬ বছর পর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বকশীগঞ্জে বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বকশীগঞ্জ খয়ের উদ্দিন মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ জামালপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। উৎসব মুখর পরিবেশে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও সেদিন কমিটি ঘোষনা করা হয়নি। সম্মেলনের ২৩ দিন পর কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি।  

এ বিষয়ে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাকিল তালুকদার বলেন,পৌর বিএনপির সকল নেতাকর্মীর পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ সাবেক এমপি জননেতা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ও জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম,সাধারণ সম্পাদত এডভোকেট শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন ভাইয়ের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সাথে আমাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা সততার সাথে পালনের জন্য সকলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি।

বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভ্পাতি আলহাজ্ব মানিক সওদাগর বলেন,নতুন কমিটি দিয়ে তৃনমূল নেতাকর্মীদের চাওয়া পাওয়া পুরন করেছেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ভাই। তাই এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ও জেলা কমিটির সভাপতি ,সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত এর দিকনির্দেশায় সুন্দর একটি পুর্নাঙ্গ কমিটি উপহার দেয়া হবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



সবজিতে আর স্বস্তি নেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

অস্থির হয়ে উঠেছে সবজির বাজার । শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে গত তিন-চার মাস সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে যে স্বস্তি ছিল, তা আর নেই। তবে দাম কমেছে খাসির মাংস ও সব ধরনের মুরগির। আর স্থিতিশীল রয়ে মাছের দাম। অধিকাংশ সবজির দামই ৮০ টাকার ওপরে। পাশাপাশি দাম বেড়েছে পেঁয়াজ ও মুরগির ডিমের। এ ছাড়া আগের মতোই বাড়তি দামে চাল বিক্রি হচ্ছে।


শীত মৌসুমে দাম কিছুটা কম থাকার পর রমজানে সবজির দাম চলে এসেছিল সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে। তবে ঈদের পর থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে শাক-সবজির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কোনো কোনো সবজিতে দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতাদের দাবি, এ সময় এমনিতেই সবজির দাম একটু চড়া থাকে।


রাজধানীর খিলক্ষেতের সবজি বিক্রেতা বলেন, বাজারে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রীষ্মকালীন সবজি আসেনি। আর এসব সবজির উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় মৌসুমের শুরুর দিকে দাম বিছুটা চড়া থাকে। ধীরে ধীরে কম আসবে।


কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী বলেন, এবার শীত মৌসুমে কৃষক লোকসানে ছিল। সবজির দাম পায়নি তেমন। ফলে তারা গ্রীষ্মকালীন সবজিতে কিছুটা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। তাছাড়া এসময় এমনিতেও সবজির দাম কিছুটা বেশি থাকে।


বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি করলা ৬০-৭০ টাকা, বেগুন ৫০-৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কহি ৬০ টাকা, লতি ৭০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা ও টমেটো ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, পটোল ৫০-৬০ টাকা, সজনে ডাটা ১০০-১২০ টাকা ও ধনেপাতা ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে প্রতি পিস চালকুমড়া ৫০ টাকা ও লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা।


দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচেরও। খুচরা পর্যায়ে মানভেদে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। পাইকারি পর্যায়ে যা কেনাবেচা হচ্ছে ৭০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েকদিনে বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির কারণে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম।


ক্রেতারা বলছেন, রমজানে সবজির দাম কম থাকলেও, ঈদের পর থেকেই শাক-সবজির বাজার চড়া। দাম কমাতে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে। না হলে ফের অস্থির হয়ে উঠবে নিত্যপণ্যের বাজার। আরকে রাডার নামে এক ক্রেতা বলেন, রমজানে হাতের নাগালে ছিল সবজির দাম। এখন হঠাৎ করেই বাড়ছে। বাজারে দ্রুত মনিটরিং জোরদার করতে হবে। না বাজারে নতুন করে সিন্ডিকেট তৈরি হবে।


তবে রমজানজুড়ে ভোগানো লেবুর দাম কমে এসেছে। মান ও আকারভেদে প্রতি ডজন নেমে এসেছে ৩০-৫০ টাকায়। বিক্রেতার বলছেন, রমজানে যেখানে লেবুর হালি বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকায়, সেখানে এখন দাম কমে ডজনই বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

 

এদিকে পহেলা বৈশাখ থেকে চড়েছে পেঁয়াজের বাজার। বর্তমানে দামে বেড়ে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। সামনে দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

 

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি হালি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে দাম। সামনে দাম আরও বাড়তে পারে।

তবে বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে আলুর দাম। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর জন্য গুনতে হচ্ছে ২০-২২ টাকা। এছাড়া প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। আর প্রতিকেজি আমদানি করা রসুনের জন্য ১৮০ থেকে ২২০ ও দেশি রসুনে গুনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।


বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের দাম। বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকা, কাতল ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।


এছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, আইড় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, টেংরা ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা ও শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আর বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ টাকায়। এছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২,৫০০ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ২০০০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে, আর ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ১৪০০-১৫০০ টাকা পর্যন্ত।


এদিকে, গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে কমেছে সব ধরনের মুরগির দাম। কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৫০ টাকায়।


এছাড়া দেশি মুরগি ৬৫০-৬৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৭০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।


বাজারে কমেছে খাসির মাংসের দামও। তবে স্থিতিশীল রয়েছে গরুর মাংসের দাম। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকায়। আর ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকায়।


তবে কিছুটা বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০-১৩০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ১৮০-২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


এদিকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা করা হয়। তবে দাম বাড়লেও বাজারে চাহিদার তুলনায় বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ কিছুটা কম বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।


আরও খবর



ঈদের দিনে সড়কে মৃত্যুর মিছিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

চলতি বছর মানুষের ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা, প্রাণহানির খুব একটা ঘটনা ঘটেনি। তবে ঈদের দিনে দেশের দশ জেলায় সড়কে ঝরল ২১ প্রাণ। এর মধ্যে চট্টগ্রাম ৫, বগুড়া ৩, মেহেরপুর ৩, গাজীপুর ২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২, কিশোরগঞ্জ ২, ফরিদপুর, নাটোর, মাগুরা ও ঝিনাইদহে ১।

সোমবার (৩১ মার্চ) পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। বেশিরভাগ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেল কেন্দ্রীক। কোথাও মোটরসাইকেল ধাক্কা দিয়েছে। কোথাও আবার মোটরসাইকেলকে চাপা দেওয়ায় বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। ঈদের দিনে এক দুর্ঘটনায় পাঁচজন মারা গেছে চট্টগ্রামে। দুই বাসের সংঘর্ষে এতগুলো প্রাণ চলে গেছে।

চট্টগ্রাম: ঈদের দিন সকালে ৭টা ২৫ মিনিটে চট্টগ্রামের লোহাগড়ায় দুই বাসের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত ও কমপক্ষে ৯ জন আহত হন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন- লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের আধার মানিক এলাকার মো. আলমের ছেলে রিফাত হোসেন (১৯), একই এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে আরফাত হোসেন (২১), একই ইউনিয়নের চকোরিয়া পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে নাজিম উদ্দিন (২৫), একই উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সুখছড়ি মৌলভী পাড়ার আমির হোসেনের ছেলে জিসান হোসেন (২২) ও সাতকানিয়া উপজেলার ডেলিপাড়া এলাকার মো. সাত্তারের ছেলে মো. সিদ্দিক (২০)।

জানা যায়, তারা কক্সবাজারের টেকনাফ কোটবাজার এলাকার ব্যবসায়ী ও কর্মচারী। ব্যবসা শেষে মিনিবাস ভাড়া করে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি ফিরছিলেন।

শেরপুর: শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের ঝুপুনিয়া সেতুর মোড়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি গাছে ধাক্কা দেয়। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অলোক সরকারকে (২০) মৃত ঘোষণা করেন।

বগুড়া: বগুড়ার শেরপুরে দুপুর সোয়া ২টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা ও তার শিশুকন্যা নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন, শরিফুল ইসলাম (৩২), তার শিশুকন্যা সেজদা (৩)। জানা যায়, উপজেলার মহিপুর জামতলা এলাকায় শরিফুল ইসলাম তার শিশুকন্যা সেজদাকে মোটরসাইকেলে নিয়ে মহাসড়কের পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে যাওয়ার সময় ঢাকাগামী একটি বাস তাদের চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক বাবা-মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন।

মেহেরপুর: মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে মোটরসাইকেল-মাইক্রোবাস ও ব্যাটারি চালিত পাখিভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ব্যাংক কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান শোভন (২৯), মোটরসাইকেল আরোহী আল ইমরান (২৮) ও পাখিভ্যানের যাত্রী জুবায়ের হোসেন (৮) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিনজন। সোমবার (৩১ মার্চ) বিকেলে শহরের আহম্মদ আলী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অদূরে এই ঘটনা ঘটে।

গাজীপুর: গাজীপুরে সকাল ১০টার দিকে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ দুইজন নিহত হয়। আহত হয় সিএনজি চালকসহ আরও চারজন। নিহতরা হলেন, শিশু তাবাসসুম (৫) ও তার আত্মীয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। এঘটনায় আরো দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় রাজমনি হোটেলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের একজন কিশোরগঞ্জ জেলার দ্বীন ইসলাম। তবে নিহত সিএনজি অটোরিকশা চালকের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছে। উপজেলার আগরপুর-পোড়াদিয়া সড়কের লক্ষ্মীপুর মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন, গোবরিয়া নামাকান্দা গ্রামের কৃষক নোহাজ উদ্দিনের ছেলে শামীম মিয়া (২৫) এবং লক্ষ্মীপুর কাছারীপাড়া গ্রামের কৃষক তারা মিয়ার ছেলে আল আমিন (২৭)। দুজন পেশায় কাঠমিস্ত্রি ছিলেন।

ফরিদপুর: ফরিদপুরে নগরকান্দায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সূর্য বেগম (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত সূর্য বেগম মিনার গ্রামের তৈয়ব মাতব্বরের স্ত্রী। মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সূর্য বেগম রাস্তার ওপর পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পেলে মোটরসাইকেল চালক পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সূর্য বেগমের পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রামে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কায় আব্দুল্লাহ নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিকেলে লক্ষ্মীকোল বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন আব্দুল্লাহ। বাড়ি থেকে ২০০ গজ দূরে যেতেই মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মাগুরা: মাগুরার রামনগরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় অজ্ঞাত নারী নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাগুরা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহম্মদ আলমগীর কবীর বলেন, রামনগর বাজার মোড় এলাকায় সড়ক পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক নারী নিহত হয়েছেন। মোটরসাইকেলটি আটক করা হয়েছে। তবে, চালক পালিয়ে গেছেন। নিহতের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে আলমসাধুর চাপায় আরিফ হোসেন নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের চাচাতো ভাই ও আলমসাধুর চালক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, দুই ভাই সারাদিন আখের রস বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলাম। আমি আলমসাধু চালাচ্ছিলাম, আর আরিফ আলমসাধুর উপরে থাকা রস চাপা মেশিন ধরে বসেছিল। ফুলবাড়ি নামক স্থানে পৌঁছালে গাড়ির সামনের চাকা খাদে পড়ে। সে সময় আরিফ উপর থেকে নিচে পড়লে ওর মাথার ওপর দিয়ে চাকা চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।


আরও খবর



পর্যটকদের বরণে প্রস্তুত প্রকৃতিকন্যা সিলেট

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

পর্যটনের আদর্শ স্থান হিসেবে পরিচিত সিলেট। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি খ্যাত এই অঞ্চলে বিশেষ ছুটি ছাড়াও প্রায় সারা বছর দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে। এবারে ঈদে লম্বা ছুটি আর ভারতীয় ভিসা বন্ধের সুযোগে সিলেটে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক সমাগমের আশা সংশ্লিষ্টদের।

পর্যটক বরণে এরই মধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। নিরাপদ ও ভোগান্তিমুক্ত চলাচল নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সিলেট প্রশাসন পর্যটকদের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলার কথাও জানিয়েছে।

জানা গেছে, এরই মধ্যে সিলেটের পর্যটন স্পটগুলোতে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। পর্যটক বরণে স্পটগুলোতে শেষ সময়ের প্রস্ততি চলছে। ভ্রমণ পিপাসুদের নজর কাড়তে শেষ হয়েছে ধোয়ামোছা ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ।

এবার জাফলং, ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর, বিছনাকান্দি ও রাতারগুলে পর্যটক ভিড় জমবে। প্রকৃতি কন্যা খ্যাত সিলেটের উঁচু-নিচু পাহাড় আর ঢেউ খেলানো চা-বাগান পর্যটকের আকর্ষণের অন্যতম উপলক্ষ্য।

এছাড়াও হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরান (রহ.) মাজার জিয়ারতের জন্য অধিকাংশ পর্যটকের পছন্দের গন্তব্য সিলেট।

এই অঞ্চলের অন্যান্য পর্যটন স্পটের মধ্যে রয়েছে, লালাখাল, শ্রীপুর, পান্তুমাই, মায়াবতি ঝর্ণা, জৈন্তিয়া রাজবাড়ী, ডিবির হাওর, লোভাছড়া, বড়লেখার মাধবকুণ্ড, জকিগঞ্জে তিন নদী সুরমা-কুশিয়ারা-বরাক মোহনা, তাহিরপুরের টেকেরঘাট, শিমুলবাগান, বর্ষার অন্যতম আকর্ষণ টাঙ্গুয়ার হাওর, মৌলভীবাজারের হাকালুকি, শ্রীমঙ্গলের চা বাগান, হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক।

সিলেট নগরে এছাড়াও দেখার মতো অনেক স্থাপনাও রয়েছে। কিনব্রিজ, আলী আমজাদের ঘড়ি, চাঁদনি ঘাটের সিঁড়ি, জিতু মিয়ার বাড়ি, খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান, শাহী ঈদগাহ, রাজা গৌর গোবিন্দের টিলা, লাক্কাতুরা ও মালনীছড়া চা বাগান। শিশুদের বিনোদনের জন্য ওসমানী শিশু উদ্যান ও এম সাইফুর রহমান শিশু পার্কের নগরজুড়ে গড়ে ওঠা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রিজেন্ট পার্কসহ বিভিন্ন পার্কে ভিড় করেন স্থানীয় দর্শনার্থীরা। স্থানীয়দের পর্যটনের নতুন আকর্ষণ হিসেবে যোগ হয়েছে গোলাপগঞ্জের উঁচু-নিচু টিলাভূমিতে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা আনারস বাগান।

এবার ঈদের ছুটি সিলেটে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক সমাগমের আশা পর্যটন ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটবে।

এদিকে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকার পূর্বাভাসও দিয়েছে সিলেট আবহাওয়া অফিস। সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন বাসসকে জানিয়েছেন, এবার আবহাওয়া অনেকটা পর্যটকদের অনুকূলে থাকবে। 

ঈদ পরবর্তী এক সপ্তাহ সিলেটে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে, তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে অগ্রিম বুকিং দিতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। এরই মধ্যে ৫০ ভাগ হোটেল অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এপ্রিলে ৮-৯ তারিখ পর্যন্ত কেউ কেউ বুকিং দিয়ে রাখছেন।

সিলেট নগরের হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার আবু তাহির জানান, এরই মধ্যে সাড়া পাচ্ছেন তারা। এপ্রিলের ২ তারিখ থেকে বুকিং কনফার্ম করেছেন অনেকে। কেউ কেউ যোগাযোগ করে হোটেলের সুযোগ-সুবিধা ও ভাড়া জেনে নিচ্ছেন। তিনি আশা করছেন, তার হোটেলের কোনো কক্ষ খালি থাকবে না।

সিলেট হোটেল এন্ড গেস্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সুমাত নূরী জুয়েল বলেন, সবসময়ই ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য সিলেট। কক্সবাজারের এবং সিলেটকে বেছে নেন সারাদেশের পর্যটকরা। তবে, বড় একটি অংশ ভারতের কলকাতা কিংবা সেভেন সিস্টার্সের দিকে ঝুঁকে থাকেন। এবার ভারতীয় ভিসা বন্ধ থাকা এবং সরকারি লম্বা ছুটির কারণে এইসব পর্যটক সিলেট কিংবা কক্সবাজারে যাবেন। তাই, অন্য যে কোনো বছরের চেয়ে এবার সিলেটে পর্যটক বেশি হবে বলে আশা আমাদের।

সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও রেইনবো হোটেল এন্ড গেস্ট হাউজের স্বত্বাধিকারী খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, আমার জানামতে এরই মধ্যে বেশির ভাগ হোটেলের ৫০ ভাগ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। অনুকূল পরিবেশ থাকলে এবার সিলেটে রেকর্ডসংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটবে।

আগত পর্যটকদের জন্য কী সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে প্রশাসনও উদ্যোগী হয়েছে। গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী বাসসকে বলেছেন, অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও জাফলংয়ে পর্যটকদের সমাগম বেশি হবে। আগের তুলনায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় সেখানে কয়েক লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে আশা করছি।

এছাড়া পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। 

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহার বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা-পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা একযোগে তৎপরতা চালাবেন। পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সেজন্য উপজেলায় পরিবহণ, ঘাট ইজারাদার ও পর্যটন কেন্দ্রের ফটোগ্রাফারদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক হয়েছে। সে ব্যাপারে তাদেরকে সচেতন করা হয়েছে।

দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ফয়েজ হাসান ফেরদাউস বলেন, এবার লম্বা ছুটি হওয়াতে অন্য বছরের তুলনায় বেশি সংখ্যক পর্যটক সমাগম হবে। ভারতের ভিসা বন্ধ থাকায় এবার চাপ আরো বাড়বে।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে হোটেল-মোটেলগুলো ৬০-৭০ শতাংশ বুক হয়ে গেছে। আশা করছি এবার ভালো ব্যবসা হবে। এতে করোনা পরবর্তী বিগত বছরগুলোর ক্ষতি পুষিয়ে ওঠতে পারবেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

ট্যুরিস্ট পুলিশ সিলেট অঞ্চলের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, সিলেটে ব্যাপক পর্যটক উপস্থিতির বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। পোশাকধারী ছাড়াও সাদাপোশাকেও তৎপরতা চালাবে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মো. সম্রাট তালুকদার জানান, এবার ঈদে পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রতিটি স্পটে থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে জেলা পুলিশ। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করতে হবে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ইতোমধ্যে পর্যটন এলাকাগুলোয় প্রশাসনের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। পর্যটকদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ একযোগে কাজ করবে।

তিনি বলেন, প্রতিবছর সিলেটে পর্যটকদের আগমন ঘটে। ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সাইন বোর্ড লাগানো হয়েছে। পর্যটন এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।

শের মাহবুব মুরাদ আরো বলেন, আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্টে যাতে অতিরিক্ত টাকা না নেয় সেজন্য নিদের্শনা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যটকরা যাতে এই এলাকায় নকল পণ্য ও কসমেটিকস কিনে প্রতারিত না হয় সেজন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে। বিভিন্ন বিষয়ে সমন্বয় রক্ষার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসময়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে।


আরও খবর



ঢাকায় বাড়তে পারে তাপমাত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রাজধানী ঢাকা এবং আশপাশের অঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা আজ দুপুর পর্যন্ত আগের তুলনায় কিছুটা বাড়তে পারে। সেইসঙ্গে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের তাপমাত্রাও সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। আর এসময় দক্ষিণ-পশ্চিম অথবা দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরো জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৬ শতাংশ। আর মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি বলেও জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে মঙ্গলবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারা দেশের আজকের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সেইসঙ্গে রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



বেড়েছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, কমেছে মুরগির

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। আর আগের তুলনায় কমেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। ১৮ এপ্রিল বাজারগুলোতে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে। বিক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মিরপুর ২ নম্বর কাঁচা বাজার, কাজীপাড়া বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম হয়েছে ১৮৯ টাকা, যা এত দিন ছিল ১৭৫ টাকা। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন ও সয়াবিনের বিকল্প খোলা পাম তেলের দামও বেড়েছে লিটারে ১২ টাকা।

শীত মৌসুম শেষ হয়েছে আরও আগেই। বাজারে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন ধরনের গ্রীষ্মের সবজি। তবে এসব সবজির দাম তুলনামূলক বেশি। যেমন প্রতি কেজি পটোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি ২২০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঈদের আগে অর্থাৎ গত মাসের শেষে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। ওই সময় সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকায়। কেজিতে দাম কমেছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়েছে ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলো। এতে এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম হয়েছে ১৮৯ টাকা, যা এত দিন ছিল ১৭৫ টাকা। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন ও সয়াবিনের বিকল্প খোলা পাম তেলের দামও বেড়েছে লিটারে ১২ টাকা।



আরও খবর