Logo
শিরোনাম

বকশীগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহতের লাশ উত্তোলনে বাধাঁ

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহত রিপন মিয়ার লাশ উত্তোলনে বাধাঁ দিয়েছেন মামলার বাদী আকতার হোসেন। তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে গত মঙ্গলবার লাশ উত্তোলন করতে গেলে বাধাঁ প্রদান করেন বাদী ও তার লোকজন। ফলে বাধাঁর মুখে কবর থেকে লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম। এই ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। লাশকে পুজিঁ করে লাখ লাখ টাকা চাদাঁবাজির অভিযোগ উঠেছে মামলার বাদী আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে। গত ৫ আগস্ট ঢাকা উত্তরায় নিহত হয় রিপন। ২৬ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই খাইরুল ইসলাম বলেন,ময়না তদন্ত ছাড়াই নিহত রিপনের লাশ দাফন করা হয়েছে। তাই মামলাটি অধিক তদন্তের স্বার্থে লাশ উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর বিজ্ঞ আদালত রিপনের লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করতে এসে তার পরিবারের বাধাঁর মুখে পড়ি। ফলে লাশ উত্তালন করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলনের জন্য গেলে নিহত রিপনের পরিবারের লোকজন বাধাঁ প্রদান করেন। তাই লাশ উত্তোলন না করেই ফেরত আসি। এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতের সিদ্ধান্তে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

মামলার বাদী আকতার হোসেন বলেন,তার ভাই রিপন পুলিশের গুলিতে মারা গেছে এমন সকল প্রমানাদি তার কাছে রয়েছে। তাছাড়া লাশ উত্তোলনের বিষয়ে আগে থেকেই আমাকে অবহিত করা হয়নি,তাই বাধাঁ দেওয়া হয়েছে। আইনগত ভাবেই সকল কিছু মোকাবেল করা হবে।

জানা যায়, বকশীগঞ্জ পৌর শহরের চর কাউরিয়া সীমার পাড় এলাকার বাসিন্দা মৃত  রেজাউল করিমের ছেলে রিপন মিয়া ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানীতে কাজ করতো। প্রথম স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন তিনি। আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট বিকালে ঢাকার উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে গুরুতর আহতবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চীন-মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মারা যাওয়ার পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই ৬ আগস্ট বকশীগঞ্জ উপজেলার পানাতিয়া পাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। এই ঘটনার প্রায় ২০ দিন পর রিপন মিয়া পুুলিশের গুলিতে মারা গেছে দাবি করে ২৬ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা করেন নিহত রিপনের বড় ভাই আকতার হোসেন। মামলায় ক্ষমতাচুত্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ নামীয় ১৮জন ও অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামী করা হয়। নামীয় ১৮ জনের মধ্যে বকশীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম তালুকদার জুমান ও সমাজসেবক হাজী আমানুল্লাহসহ বকশীগঞ্জের ১৩ জনকে মামলায় আসামী করা হয়। মামলা দায়েরের পর আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক চাদাঁবাজির অভিযোগ উঠে। বিভিন্ন জনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন,মামলায় আসামী নাম অর্ন্তভুক্ত করণ এবং মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। গত ১৮ জানুয়ারি নিহত রিপনের স্ত্রী খাদিজা বেগম সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন।

খাদিজা বেগম বলেন,তিনি মামলা করতে চাইলে আকতার তাকে বাধাঁ দেয়। পরবর্তীতে তাকে কিছু না জানিয়ে চাঁদাবাজি করার জন্যই মামলার বাদী হয় আকতার হোসেন। অন্যায় ভাবে একটি পক্ষের কাছে সুবিধা নিয়ে বকশীগঞ্জে ১৩ জন নিরীহ মানুষকে মামলায় আসামী করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তাছাড়া লাশকে পুজিঁ করে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য ও চাদাঁবাজি করেছে সে। ৫ আগস্টের আগে আকতার পরিবার পরিজন নিয়ে থাকতো একটি কুড়েঘরে। মানুষের কাছে হাত পেতে চলতো তার সংসার। কয়েক মাসের ব্যবধানে আকতার হোসেন লাখপতি বনে গেছেন। পাকা বিল্ডিং করেছেন। দামী দামী আসবাবপত্র ও নতুন মোটরসাইকেল কিনেছে সে। নিরপরাধ কেউ যাতে হয়রানি না হয় সেজন্য আইন উপদেষ্ঠার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। তবে তার সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আকতার হোসেন।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান,গুলিতে নয়,রিপন মারা গেছে ট্রাক চাপায়। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে একটি মহলের ইন্দনে মামলাটি করা হয়েছে। লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করলেই প্রকৃত সত্য বেড়িয়ে আসবে। লাশ উত্তোলনে বাধাঁ দেওয়ায় বিষয়টি আরো সন্দেহের সৃষ্টি করেছে বলে দাবি তাদের। তাই দ্রুত লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছেন তারা।


আরও খবর



সাগর-রুনি হত্যার তদন্তে সময় বাড়লো আরো ৬ মাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

১৩ বছর ধরে ঝুলে থাকা সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে টাস্কফোর্সকে আরো ছয় মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্টমঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আরশাদুর রউফ তদন্ত শেষ করতে ৯ মাস সময় চান।

তিনি আদালতে বলেন, তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে। আরো সময় দরকার। ৫ আগস্টে ডিবি অফিসে আগুন দেওয়া হয়। তখন অনেক রেকর্ড পুড়ে গেছে।

শুনানি শেষে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ তদন্ত শেষ করতে ছয় মাস সময় দেন।

তদন্তের গোপনীয়তার কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ এদিন অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেনি।

মামলার বাদী পক্ষের কৌঁসুলি মো. শিশির মনির বলেন, বারবার সময় নেওয়া হলে জনমনে খারাপ ধারণার জন্ম দেয়। আমরা বলেছিলাম তিন মাস সময় দেওয়া হোক। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ছয় মাস সময় দেন।

এদিকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল নথি পোড়ার কথা বলায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এই প্রেক্ষাপটে টাস্কফোর্সের অধীনে মামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা পিবিআই একটি বিবৃতি দিয়েছে।

সেখানে বলা হয়, কেউ কেউ ডিবির নথি পুড়ে যাওয়ার নিউজ করছেন তা সঠিক নয়। আগুনে পুড়ে যাওয়ার কথা বলা হয় নাই। অ্যাডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদ রউফ বলেছেন, ডিবির অধিকাংশ অফিসার বদলি হওয়ায় পুরোনো নথি ও ডকুমেন্টস খুঁজে পাওয়া সময় সাপেক্ষ।



আরও খবর



ঝালকাঠিতে ধান কেনাকে কেন্দ্র করে তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম,

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

নলছিটি উপজেলার পৌরসভা এলাকার সূর্যপাশা গ্রামে ধান কেনার নামে ডেকে নিয়ে এক ব্যবসায়ীর তিন ছেলেকে ধারালো দা ও রড দিয়ে কুপিয়ে,পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থল থেকে নগদ ৮৭ হাজার টাকা ও একটি স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।


ঘটনাটি ঘটে সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে সূর্যপাশা এলাকার মোনাই বাড়িতে।


এ বিষয়ে আহতদের পিতা বাদী হয়ে নলছিটি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।  এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সূর্যপাশার বাসিন্দা ও ধান ব্যবসায়ী মো. নুরে আলম হাওলাদারের তিন ছেলে তারেক, তুহিন ও তাহিন হাওলাদার স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার কাজে জড়িত। ঘটনার দিন আসামিরা তাদের মোনাই বাড়িতে ধান বিক্রির কথা বলে ডেকে নেয়। সেখানে গিয়ে ধানগুলো কাঁচা ও ভিজা দেখে তারা না নিতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়।


পরে উত্তেজনার একপর্যায়ে আসামিরা তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন হিরন তালুকদার, হারুন তালুকদার, মজিবর তালুকদার, মাহফুজ তালুকদার, শরিফুল হাওলাদার ও রিয়াম।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, হিরন তালুকদার দা দিয়ে তারেক হাওলাদারের মাথায় পরপর দুটি কোপ মারে, হারুন তালুকদার লোহার রড দিয়ে তার ডান হাতে আঘাত করে। অন্য দুই ভাইকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।


হামলার সময় তারেক হাওলাদারের পকেটে থাকা ধান কেনার নগদ ৮৭ হাজার টাকা এবং একটি রেডমি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

আহতদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী পিতা মো. নূরে আলম হাওলাদার বলেন,আমার ছেলেরা দীর্ঘদিন ধরে ধান কেনাবেচার ব্যবসায় যুক্ত। সেদিন ধান দেখেই না নেওয়ার সিদ্ধান্তে বিরক্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। তারা মারার জন্যই কুপিয়েছে। এমনকি টাকাও নিয়ে গেছে। আমি থানায় মামলা করেছি, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি  করছে। স্থানীয়রা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছেন।


আরও খবর



ভেনিসের মসজিদে নামাজে নিষেধাজ্ঞা, পার্কে হাজার মুসল্লির জুমা আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ইতালি প্রতিনিধি:

ইতালির ভেনিসে মসজিদুল ইত্তেহাদে নামাজ পড়ায় প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। আদালতের নির্দেশনার ভিত্তিতে মসজিদে জামাত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে, মসজিদ কর্তৃপক্ষ আজ স্থানীয় একটি পার্কে জুমার নামাজের আয়োজন করেন।

খোলা আকাশের নিচে হাজারখানেক মুসল্লি শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করেন। নিরাপত্তার স্বার্থে নামাজস্থলে ছিলো পুলিশের টহল।

মসজিদুল ইত্তেহাদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আরিফ মাহমুদ বলেন- ইতালির একজন প্রভাবশালী সিনেটর তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন। তবে ইমামের ধারণা, সিনেটার ব্যস্ত মানুষ, তাকে ভুলভাবে তথ্য দেওয়া হয়েছে।

মসজিদুল ইত্তেহাদ পরিচালনা পর্ষদের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ সম্রাট বলেন- 

প্রশাসনের সাথে তাদের কথা হয়েছে- প্রশাসন নামাজের জন্য বিকল্প জায়গা খুঁজছে যতদিন বিকল্প জায়গা না হয়- তারা পার্কেই জুমার নামাজ আদায় করবেন।

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, তারা শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় আচার পালন করতে চান। প্রশাসনের এ ধরনের সিদ্ধান্ত তাদের কষ্ট দিয়েছে। 

তারা মনে করেন, এ জাতীয় আইন বা নিষেধাজ্ঞা ইতালির সভ্য সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক।

এদিকে, মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন- তারা ইতোমধ্যে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং মসজিদে আবার নামাজ চালুর আশ করেন।

মসজিদুল ইত্তেহাদ কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন থেকে 'মসজিদ বিরোধী আইন' নামে পরিচিত একটি আইনের বিরুদ্ধে এককভাবে লড়াই করছে। তারা এই আইনটির বাতিল চায়। 

ওই আইনে বলা হয়েছে, নামাজ পড়তে হলে- শহরের বাইরে গিয়ে মসজিদ করতে হবে, যা অসম্ভব প্রায়। কারণ মুসলমানরা প্রতিদিন পাঁচবার মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন। 

এই আইনের বিরুদ্ধে মসজিদুল ইত্তেহাদ এককভাবে লড়াই করলেও ভেনিসের অন্যান্য মসজিদ কর্তৃপক্ষকে তাদের পাশে কখনো দেখা যায়নি।

উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর জুন জুলাই মাসে অভিন্ন দাবিতে ইত্তেহাদ কর্তৃপক্ষ পার্কে প্রায় তারা তিন মাস নামাজ আদায় করেছিলেন।


আরও খবর



ছুটির দিনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সবজির বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

শীত মৌসুমের আগে-পরে বাজারে সবজির দামে যে স্বস্তি ফিরেছিল, তা এখন উধাও হয়ে গেছে। গত তিন-চার মাস ধরে তুলনামূলক কম দামে সবজি কিনতে পারলেও, বর্তমানে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেশিরভাগ সবজির দামই ৮০ টাকা ছাড়িয়েছে। আবার কিছু সবজির দাম ছাড়িয়েছে ১০০ টাকা। এমন অবস্থায়, এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পেঁয়াজ এবং ডিমের দামও।২৫ এপ্রিল সকালে রাজধানীর উত্তরা, বাড্ডা ও মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির দোকানগুলোতে গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙা, কচুর লতি, ঢেঁড়শসহ অন্যান্য সবজি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় অধিকাংশটির দামই কেজি প্রতি ৮০ টাকা বা তার বেশি। বরবটি, কচুর লতি, পটোল, চিচিঙ্গা, বেগুন ও শালগম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। আর কাঁকরোল ও শজনের দাম আকাশছোঁয়া। সবজি দুটি মানভেদে ১২০-১৬০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। আর তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম দামে পাওয়া যাচ্ছে করলা, লাউ, ঝিঙে, ধুন্দুল, ঢ্যাঁড়স ও পেঁপে, যেগুলোর কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। সবচেয়ে কম দামের সবজি এখন টমেটো, যা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। এছাড়া, আলু ২০-২৫ টাকা কেজি এবং কাঁচামরিচ ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি এবং বাড়তি পরিবহন খরচই দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী।

আজমপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা বেশি দামে কিনলে বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। গত কয়েক সপ্তাহে পাইকারি বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। বিশেষ করে পটল, বরবটি, বেগুন—এগুলোর দাম বেশ চড়া। আমাদের কেনা দাম বেশি হলে আমরা কম লাভে বিক্রি করতে পারি না। তাছাড়া, শীতের পর আগের মতো এখন আর সহজে মাল পাওয়া যাচ্ছে না। দূরের মোকাম থেকে মাল আনতে খরচ বেশি পড়ছে। এখন যে সবজিগুলো বাজারে আসছে, সেগুলোর চাষের খরচও শীতের সবজির চেয়ে বেশি। সেজন্য দামও বেশি।

পেঁয়াজের দাম নিয়ে রফিকুল ইসলাম নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। আড়তে দাম বেশি। আমরা বেশি দামে কিনে আনি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হই। আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে তেমন নেই।

এমন অবস্থায় বাজারের এই ঊর্ধ্বমুখী দামে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। ছুটির দিনে কিছুটা সাশ্রয়ে বাজার করার আশায় এসেও তাদের পকেটে টান পড়ছে।

আবু সালেহ নামের এক ক্রেতা বলেন, দ্রব্যমূল্যের এই পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে গিয়ে অনেককেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবজির দাম হঠাৎ এত বেশি বেড়ে যাবে ভাবিনি। আজ পুরো সপ্তাহের বাজার করতে এসেছিলাম। কিন্তু আজ সবজির দাম অনেক বেশি। তাই প্রয়োজনের অর্ধেক পরিমাণ কিনেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারলে ক্রেতাদেরও সুবিধা হতো এবং তাদের বিক্রিও বাড়তো।

তবে অনেক ক্রেতাই মনে করেন, বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যও দাম বাড়ার একটি কারণ। এছাড়া, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা যে দামে সবজি কেনেন তার কয়েক গুণ বেশি দামে পরে তারা বিক্রি করেন। যার নজরদারি ঠিকমতো করা হচ্ছে না বলেও মন্তব্য অনেকের।


আরও খবর



ক্রিকেটের নামে অশ্লীলতা, নির্মাতা ও অভিনেত্রীদের লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

শোবিজের তারকাদের অংশগ্রহণে বহুল আলোচিত সেলিব্রিটি ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫ সদ্যই শেষ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে স্বপ্নধরা স্পারটান্সর মুখোমুখি হয় গিগাবাইট টাইটানস। রাত ১০টায় খেলা শেষে ৯ উইকেটে জয়ী হয় গিগাবাইট টাইটানস।

সেলিব্রিটি ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫র আসরের আয়োজন নিয়ে এবার অশ্লীলতার অভিযোগ উঠেছে। যার দরুণ এই ক্রিকেট লিগের কয়েকজনকে লিগ্যাল নোটিশও পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, অশ্লীলতার অভিযোগে সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের মেন্টর নির্মাতা প্রবীর রায় চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, তানিম রহমান অংশু এবং মডেল-অভিনেত্রী মারিয়া মিম, সিনথিয়া ইয়াসমিন, কেয়া পায়েল, মারুফা আক্তার জামান, শাম্মি ইসলাম নিলা ও আলিশার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জাকির হোসেন।

নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেটপ্রেমী। ক্রিকেটের প্রতি আবেগপ্রবণ, তাই বাংলাদেশের ছোট শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিরাও ক্রিকেট খেলা পছন্দ করেন এবং ক্রিকেট নিয়ে নানা কৌতূহল থাকে। জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেট ম্যাচ থেকে শুরু করে ঘরোয়া লিগের সব ক্রিকেট খেলাই শিশু থেকে বয়স্ক সবাই পরিবারকে নিয়ে দেখেন এবং দেখার ইচ্ছা করে। তবে যদি হয় সেই ক্রিকেট ম্যাচ সেলিব্রিটি নিয়ে- তাহলে সাধারণ জনগণের মাঝে আরও কৌতূহল থাকে ক্রিকেট ম্যাচ দেখার, হোক সেটি সরাসরি বা অনলাইনে।

বর্তমানে আমরা দেখতে পেয়েছি, সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ-২০২৫ টুর্নামেন্ট ছাড়া হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন মডেলসহ ছোট ও বড়পর্দার অভিনেত্রীরা অংশগ্রহণ করছেন। সেই সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে মারিয়া মিম, সিনথিয়া ইয়াসমিন, কেয়া পায়েল, মারুফা আক্তার জামান, শাম্মি ইসলাম নিলা ও আলিশা তাদের শালীনতা বজায় না রেখে অশালীন অঙ্গ-ভঙ্গিমাসহ ক্রিকেট খেলার জন্য বা প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সঠিক ড্রেস না পরে ছোট ছোট ড্রেস পরে ক্রিকেট খেলার নামে সমাজে ছোট-বড় সবার মাঝে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দিচ্ছে, যা ক্রিকেট প্রেমীদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলছে। একইসঙ্গে সমাজে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ছে এবং অভিনেত্রী মারুফা আক্তার জামান নিজেও ইন্টারভিউতে বলেন, ফিগার যদি না দেখাতে পারে তাহলে কীভাবে হলো? এ থেকে স্পষ্ট, ক্রিকেটের নামে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দিচ্ছেন অভিনেত্রীরা, যা সমাজের জন্য ক্ষতিকর এবং ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশে বেশিরভাগ যেহেতু মুসলিম মানুষ এবং ইসলামকে ধারণ করে, তাই সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ নামে অশ্লীলতাকে ছড়িয়ে না দিয়ে সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের সব খেলোয়াড়দের শালীন ড্রেস মেইনটেইন করে খেলার জন্য আহ্বান করা হলো। তাতে যেমন সমাজ অশ্লীলতা থেকে রক্ষা পাবে, তেমনি ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে আরও বেশি ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা বাড়বে।

এছাড়া নির্মাতা প্রবীর রায় চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন সেলিম ও তানিম রহমান অংশু উক্ত খেলা পরিচালনা করছেন, তাই তাদের সুপরামর্শে অশ্লীল ড্রেসকোড পরা অভিনেত্রীদের শালীনতায় ফিরিয়ে আনবেন এবং ক্রিকেট খেলার নামে যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ছে তা থেকে ক্রিকেটকে মুক্ত রাখবেন এবং নোটিশ গ্রহীতা মারিয়া মিম, সিনথিয়া ইয়াসমিন, কেয়া পায়েল, মারুফা আক্তার জামান, শাম্মি ইসলাম নিলা ও আলিশা ক্রিকেট খেলার নামে অশ্লীল ড্রেস কোড না পরে সুন্দর শালিন ড্রেস কোডের মাধ্যমে খেলায় অংশগ্রহণের ও প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য আহ্বান করা হলো।

তাদের আগামী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে অশ্লীল ড্রেস পরে ও অঙ্গ-ভঙ্গি করে কেন ক্রিকেট খেলার মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়েছেন, তার জন্য জবাব দাখিল করতে বলা হলো। অন্যথায় সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ-২০২৫ এই ক্রিকেট খেলা নিয়ে সমাজে অশ্লীলতা ছড়ানোর দায়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে, গত ৫ মে রাজধানীর বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। আর টুর্নামেন্টের পর্দা নামে গতকাল। এ আসরে জয় লাভ করেছে গিগাবাইট টাইটানস। আর দলটিতে খেলেছেন চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ, শরিফুল রাজ, মৌসুমী হামিদ, মেহজাবীন চৌধুরী প্রমুখ।

টি-২০ ফরম্যাটে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী এই টুর্নামেন্টে চারটি দল অংশ নেয়। দলগুলো হচ্ছে- গিগাবাইট টাইটানস, জেভিকো কিংস, নাইট রাইডার্স ও স্বপ্নধরা স্পারটানস।


আরও খবর