Logo
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সঙ্গে আনসার বাহিনীর গভীর সম্পর্ক রয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সঙ্গে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে যুক্তফ্রন্ট, বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা দাবী ও অবশেষে স্বাধীনতা অর্জন সবকিছুর সঙ্গে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিটি সদস্যদের ভূমিকা রয়েছে। 

মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে গ্রামের প্রতিটি আনসার ও গ্রাম পুলিশ সদস্যদের মাঝে অস্ত্র দিয়ে পাক-বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর লাল সবুজের বাংলাদেশের প্রতিটি অর্জনের পেছনে এই বাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম। তাই মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আধুনিকায়ন করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্য বাংলাদেশের এক একটি গর্ব। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যদের অনেক ভূমিকা রাখতে হবে। তাই কোন প্রকারের গুজবে কান না দিয়ে সরকারের প্রদান করা প্রতিটি নির্দেশনাকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করার প্রতি তাগিদ দেন মহাপরিচালক।

মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী নওগাঁ কর্তৃক জেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত জেলা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল ইসলাম এনডিসি, এএফডবিøউসি, পিএসসি, পিএইচডি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। এর আগে মহাপরিচালক বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে সমাবেশের উদ্বোধন করেন। 

শান্তি শৃঙ্খলা উন্নয়ন নিরাপত্তা সর্বত্র আমরা এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে আয়োজিত সমাবেশে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী নওগাঁর জেলা কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ রাফি উদ্দিন জাকারিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী রাজশাহী রেঞ্জের উপ-পরিচালক কামরুন নাহার। সমাবেশে নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার সকল আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যরা অংশ গ্রহণ করেন। 

পরে মহাপরিচালক আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের মাঝে বাইসাইকেল ও সেলাই মেশিন বিতরন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। 


আরও খবর



ইলেকশন পর্যবেক্ষণ সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণ বন্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে জাতিসংঘের চলমান সাধারণ অধিবেশনের দিনের কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশিরা যদি বলেন এটা ভালো, আমরা মনে করি ভালো। আর বিদেশিরা যদি বলেন কালো, আমরা মনে করি কালো। তবে এখনো একটা কালচার রয়ে গেছে, তাই আমরা বিদেশিদের নির্বাচনে স্বাগত জানাই। কিন্তু আমি মনে করি ইলেকশন পর্যবেক্ষণ সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত। এটা ভুল সংস্কৃতি। আমরা ২০০৯ থেকে কয়েক হাজার নির্বাচন করেছি। দু-একটি ছাড়া অধিকাংশ সুষ্ঠু হয়েছে।

তিনি বলেন, অধিকাংশ দেশে কোনো ইলেকশন অবজারভার যায় না। আমেরিকায় বিদেশ থেকে কোনো ইলেকশন অবজারভার আসে না। ইংল্যান্ডে, এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারতেও যায় না।

মানবাধিকারবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাক্ষাতে আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গ এসেছে। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তারা বলেছে, শান্তিপূর্ণ হবে কি না। আমরা সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারি না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন শুধু সরকার চাইলে হবে না, দেশের এমন একটা পরিবেশ, সংঘাতবিহীন নির্বাচন করতে সব দলের আন্তরিকতা প্রয়োজন।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




ভিসানীতি নিয়ে বিব্রত, বিভ্রান্ত কিংবা আতংকিত হওয়ার কিছু নাই

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, ভিসা নীতি  নিয়ে বিব্রত, বিভ্রান্ত কিংবা আতংকিত হওয়ার কিছু নাই। আমেরিকা তাদের দেশে কাকে যেতে দেবে আর কাকে যেতে দেবে না সেটা একান্তই তাদের নিজস্ব ব্যাপার। 

তবে আমরা বলতে পারি আমেরিকার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের কোন ঘাটতি নেই। দুই দেশের সম্পর্ক আগে যা ছিলো এখনো তাই আছে। একটি মহল আমেরিকার এই ভিসা নীতিকে পুঁজি করে বাংলাদেশ এর মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।

তিনি বুধবার বিকালে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানাধীন নব-নির্মিত শিবপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন উপলক্ষে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি আরো বলেন, ভিসা নীতিতে কোন বাহিনী, দল কিংবা গোষ্ঠির কথা আমেরিকা উল্লেখ করেনি। তারা নিয়মিত ভাবেই সকলকে ভিসা দেন না। এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। 

এ নিয়ে সরকার কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোন ভাবেই উদ্বিগ্ন নয়। বর্তমান সময় ও নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবেই পরিচালনা করবে। দেশের  নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনীকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে।  প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে আধুনিক এবং কার্যকর পুলিশ বাহিনী  গড়ে তোলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু যে পুলিশ বাহিনীর স্বপ্ন দেখেছিলেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলেছেন। গুজবে কান না দিয়ে জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানান তিনি।

নওগাঁ জেলা পুলিশ আয়োজিত সুধী সমাবেশে রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ ফয়সল মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি, নওগাঁ-২ (ধামইরহাট-পত্নীতলা) আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছি) আসনের সংসদ সদস্য মোঃ  ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, নওগাঁ-৬ (আত্রাই- রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন হেলাল, নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মাওলা, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক প্রমুখ।


আরও খবর

আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে ছাড় নয়

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




ভুয়া দলিল তৈরি করলে ৭ বছরের জেল

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

রোকসানা মনোয়ার : অন্যের জমি নিজের দখলে রাখা, ভুয়া বা মিথ্যা দলিল তৈরি এবং নিজ মালিকানার বাইরে অন্য কোনো জমির অংশবিশেষ উল্লেখ করে দলিল হস্তান্তরে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রেখে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল-২০২৩। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কন্ঠভোটে পাস হয়। এছাড়া সর্বোচ্চ ৬০ বিঘা কৃষি ভূমির মালিকানার বিধান রেখে সংসদে আরো একটি বিল পাস হয়েছে।

বিলে বলা হয়, ভূমি হস্তান্তর, জরিপ ও রেকর্ড হালনাগাদে অন্যের জমি নিজের নামে প্রচার, তথ্য গোপন করে কোনো ভূমির সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ কারো কাছে হস্তান্তর, ব্যক্তির পরিচয় গোপন করে জমি হস্তান্তর ও মিথ্যা বিবরণ সংবলিত কোনো দলিলে সই করলে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। এছাড়া কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে দলিলের কোনো অংশ কাটা বা পরিবর্তন করলে তার সাজাও হবে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কোনো মিথ্যা দলিল প্রস্তুত করার সাজাও একই হবে। প্রতারণামূলকভাবে কোনো ব্যক্তিকে কোনো দলিলে সই বা পরিবর্তনে বাধ্য করার ক্ষেত্রেও একই সাজা ভোগ করতে হবে।

বিলে বলা হয়, সর্বশেষ খতিয়ান মালিক বা তার উত্তরাধিকারসূত্রে বা হস্তান্তর বা দখলের উদ্দেশে আইনানুগভাবে সম্পাদিত দলিল বা আদালতের আদেশের মাধ্যমে কোনো মালিকানা বা দখলের অধিকারপ্রাপ্ত না হলে কোনো ব্যক্তি ওই ভূমি দখলে রাখতে পারবেন না। অবৈধ দখলের সাজা হবে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির নামে স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি অ্যাক্টের অধীনে প্রণীত বা হালনাগাদকৃত বলবৎ সর্বশেষ খতিয়ান না থাকলে এবং খতিয়ান ও হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হলে তিনি ওই জমি বিক্রি, দান বা হেবা বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদন বা দলিল নিবন্ধন করতে পারবেন না। কোনো ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া আবাদযোগ্য জমির উপরিস্তর কাটার সাজা সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। নতুন আইনের আওতায় কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা ও প্ররোচনা দিলে মূল অপরাধীর সমান দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভূমির স্বত্ব সংরক্ষণ ও শান্তিপূর্ণ ভোগদখল বজায় রাখার লক্ষ্যে ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ এবং দ্রুত প্রতিকার নিশ্চিত করতে এই আইন করা হচ্ছে। নাগরিকরা নিজ নিজ মালিকানাধীন ভূমিতে নিরবচ্ছিন্ন ভোগদখল অধিকারসমূহ নিশ্চিত, ভূমি বিষয়ক প্রতারণা ও জালিয়াতির ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত ও প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারি ও সর্বসাধারণের ব্যবহার প্রতিরোধ ও দমনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভূমি সংক্রান্ত কিছু অপরাধের দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ভূমি থেকে বেআইনি দখল, স্থাপনা ব প্রতিবন্ধকতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অবৈধভাবে ভরাটকৃত মাটি, বালু, ইত্যাদি অপসারণ করতে এবং ওই ভূমিকে এর আগের শ্রেণি বা প্রকৃতিতে পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা সন্নিবেশ করা হয়েছে।

ভূমি সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা দূর করা এবং যথাসময়ে জনগণের বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং মাঠ পর্যায়ের মতামত নেওয়াসহ অংশীজনের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।

৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমির মালিকানা নয় : ১৯৮৪ সালের ল্যান্ড রিফর্মস অর্ডিন্যান্স রহিত করে ভূমি সংস্কার বিল-২০২৩ সংসদে পাস হয়েছে। ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কন্ঠভোটে গৃহীত হয়। পাস হওয়া বিলে বলা হয়, ৬০ বিঘার বেশি কৃষি ভূমির মালিক বা তার পরিবার হস্তান্তর, উত্তরাধিকার, দান বা অন্য কোনো উপায়ে নতুন কোনো কৃষি ভূমি অর্জন করতে পারবে না। তবে সমবায় সমিতির মাধ্যমে চা, কফি ও রাবার বাগান, শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম, রফতানমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আইনটি শিথিল থাকবে। এই আইনে বাস্তুভিটার অধিকার, বর্গাচুক্তি ও উৎপন্ন ফসলের ন্যায্য ভাগের কথাও বলা হয়েছে।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




টিকার ট্রায়ালে সহযোগিতা করবে সরকার

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করা এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ রোধে ট্রায়াল পর্যায়ে থাকা টিকাকে আশার আলো হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই টিকার দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ বা আইসিডিডিআরবি। এখন তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল দরকার। সেই ট্রায়ালে সরকার সবধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

২ অক্টোবর দুপুরে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু ভ্যাকসিন তৈরির কার্যক্রম চলছে। আমাদের দেশে যে টিকা আনার চেষ্টা হচ্ছে তা এখনো ট্রায়াল অবস্থা চলছে। আইসিডিডিআরিবি একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এর আগেও কলেরা টিকা আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের এই ডেঙ্গু ভ্যাকসিন নিয়েও যে সহযোগিতা চাইবে তা আমরা করব।

জরায়ুমুখের ক্যানসারের টিকা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, ইপিআইয়ের মাধ্যমিক ১৩টি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। আর এই কার্যক্রমের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন। জরায়ুমুখের ক্যানসারের এই টিকাদানের মাধ্যমে আমরা দেশে আরও একটি মাইলফলক অর্জন করছি। এই জরায়ুমুখ ক্যানসার নীরব ঘাতক। প্রতি বছর দেশে পাঁচ হাজার নারীর মৃত্যু হয়। সারাবিশ্বের তিন লাখের মতো নারী এই রোগের কারণে মারা যায়। যেহেতু একটি ভাইরাস দ্বারাই এই ক্যানসার হয়ে থাকে, তাই এই ভ্যাকসিন নারীদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করবে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি এই ভ্যাকসিন নিরাপদ। সাইড ইফেক্ট নেই। এই ভ্যাকসিন নিয়ে সারাজীবনের জন্য ক্যানসার থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে। তবে তার মানে এই না যে স্ক্রিনিং করা লাগবে না। নারীদের নিয়মিত স্ক্রিনিং করা প্রয়োজন।

জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে সারাদেশে এক কোটি কিশোরীকে বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নয় থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের এক ডোজ এইচপিভি টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে পুরো কার্যক্রম চলবে। প্রাথমিক অবস্থায় রাজধানীতে দেওয়া হবে। পরে অন্যান্য জেলায় দেওয়া হবে। এই টিকা দিয়েছে গ্যাভী।

দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে, যার ফলে প্রতিটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মান বেড়েছে। এমনকি সেগুলোতে আন্তর্জাতিকমানের সেবা পাওয়া যাচ্ছে, ফলে দেশের বাইরে থেকেও অনেকেই সেবা নিতে আসছে।

জাহিদ মালেক বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে এখন ৭০ হাজারের বেশি শয্যা, যা আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে ৪০ হাজারও ছিল না। শুধু শয্যাই বাড়াইনি, অক্সিজেন সাপ্লাইসহ সবধরনের সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে। যে কারণে সরকারি চিকিৎসা সেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা এসেছে এবং তারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে। আমরা চিকিৎসক সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে মেডিকেল কলেজগুলোতে সিট সংখ্যা বাড়িয়েছে। বর্তমানে মেডিকেল কলেজে সিট আছে পাঁচ হাজারের বেশি, যা আগে ছিল তিন হাজারের মতো।


আরও খবর



অডিও রেকর্ড সহ এসপি'র কাছে আলামত

নারীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করলেন চারঘাট থানার ওসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

মাদক ব্যবসা করার জন্য এক নারীর কাছে ৫ লাখ টাকা ঘুষ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ এর পরিদর্শককে বদলির জন্য আরো ২ লাখ, মোট ৭ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করার ''আলাপ-চারিতার'' ৬ মিনিট ৫৩ সেকেন্ট এর অডিও রেকর্ড সহ এক নারীর অভিযোগ। 

অবশেষে রাজশাহীর চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলম কে সাময়িক প্রত্যাহার সহ ঘটনাটি তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

স্বামী জেল-হাজতে রয়েছে সেই সুযোগে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সহ কয়েক জন ঐ নারীর কাছে চাঁদা দাবী করেছেন এমন অভিযোগ নিয়ে ভিকটিম নারী (২৮) চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলম এর অফিসে যাওয়ার পর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলম ঐ নারীকে তার কোয়াটারে ডেকে নিয়ে ''মাদক ব্যবসা করার জন্য ৫ লাখ এবং ঐ নারীর স্বামীকে গোয়েন্দা শাখার যে কর্মকর্তার নের্তৃত্বে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই কর্মকর্তাকে বদলী করার জন্য আরো ২ লাখ  টাকা দাবি করেন ওসি। এছাড়াও ৬ মিনিট ৫৩ সেকেন্ট এর অডিওতে নারীর সুন্দর চেহারা নিয়ে ও আলাপ-চারিতায় মন্তব্য করেন ওসি। 

ঘটনাটি প্রকাশের পরই গত শনিবার রাতেই চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে প্রত্যাহার করে রাজশাহী পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয় বলে নিশ্চিত করেন রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম। তিনি বলেন, জেলা পুলিশ সুপার জনাব সাইফুর রহমান মহোদয় ঐ রাতেই চারঘাট থানার ওসি কে থানা থেকে প্রত্যাহার পূর্বক পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করার আদেশ দেন।গত শনিবার ঐ নারী (২৮)

 ৬ মিনিট ৫৩ সেকেন্ট এর আলাপ-চারিতার অডিও রেকর্ড সহ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। 

উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তার কোয়ার্টার এর কক্ষে ঐ নারীকে ডেকে নিয়ে মাদক ব্যবসা করার জন্য ৫ লাখ দাবি করে অবাধে মাদকের কারবার করতে দিবেন সহ মাদকের মামলায় ঐ নারীর স্বামীকে জেলা গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি'র) যে কর্মকর্তা গ্রেফতার করেছেন তাকে বদলী করার জন্য আরো ২ লাখ টাকা মোট ৭ লাখ টাকা চান ওসি। এসময় আলাপ-চারিতায় ঐ নারীর রুপ (সুন্দর চেহারা) নিয়েও কথা বলেন তিনি। অডিও রেকর্ড তথা

ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার পর থেকে বিশেষ করে চারঘাট থানা এলাকা জুড়ে লোকজনের মাঝে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। 

তবে সর্বশেষ মঙ্গলবার একটি সুত্র জানায়, ঐ নারীর স্বামী পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো। আর সোর্স হিসেবে কাজ করার সুবাদে মাদকের সাথে জড়ীত হয়ে পড়েন। বেশ কিছুদিন পূর্বে ডিবি পুলিশ নারীর স্বামীকে মাদক সহ গ্রেফতার পূর্বক মাদক আইনে মামলা দিয়ে তাকে জেল-হাজতে প্রেরন করেন। তবে ঐ নারীর স্বামী গত ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন বলেও জানিয়েছেন সুত্র। 

ঘটনা যেটিই হোক না কেন, ৬ মিনিট ৫৩ সেকেন্ট এর অডিও এর বিষয়টি সহ সম্পূর্ণ ঘটনাটি'র সত্য রহস্য উদঘার্টন পূর্বক জড়ীতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল সহ সাধারন লোকজন।


আরও খবর