Logo
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধু টানেলে বদলে গেলো চট্টগ্রাম

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার ও সময় প্রায় এক ঘণ্টা কমিয়ে আনছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। দুটি টিউব ও চার লেনের সড়কে নদীর তলদেশ দিয়ে পাঁচ মিনিটে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে যাওয়া যাবে আনোয়ারায়।

সেতু বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম নদীর তলদেশে চলবে যানবাহন। চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও আনোয়ারাকে যুক্ত করবে এ টানেল। এতে নগরের অংশ বাড়বে। সেই সঙ্গে নদীর তলদেশ দিয়ে কম সময়ে যাতায়াত সুবিধা নেবে দুটি আলাদা শহর। অন্যদিকে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব কমে আসবে।

রাজধানী থেকে কক্সবাজারগামী গাড়িগুলো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফৌজদারহাট দিয়ে বন্দর টোল রোডের সঙ্গে নির্মিত আউটার রিং রোড-পতেঙ্গা হয়ে কর্ণফুলী টানেল ব্যবহার করলে চট্টগ্রামের দিকে পথ কমবে প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এতে করে চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ না করেই সময় বাঁচাতে পারবেন চালকরা। কর্ণফুলী টানেল দিয়ে আনোয়ারা উপজেলার সিইউএফএল ঘাট-চাতরি চৌমুহনী-বাঁশখালী-পেকুয়ার মগনামা হয়ে সরাসরি কক্সবাজার সদরে যুক্ত হলে সৈকত নগরীর দূরত্ব কমবে প্রায় ৩০ কিলোমিটারের মতো।

পদ্মা সেতুর পর সরকারের মেগা প্রজেক্টগুলোর অন্যতম বঙ্গবন্ধু টানেল। ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার এ টানেল নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা। এক নগরের দুই শহর সংযুক্ত করার ভাবনা থেকেই কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা করে সরকার।

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং টানেল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজ উদ্বোধন করেন। ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দ্বিতীয় টিউবের বোরিং কাজ উদ্বোধন করেন।

৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার টানেলটি কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছে পশ্চিম প্রান্তে পতেঙ্গা নেভাল একাডেমির কাছ থেকে শুরু হয়ে পূর্ব প্রান্তে চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা (সিইউএফএল) ও কর্ণফুলী সার কারখানার (কাফকো) মাঝখান দিয়ে আনোয়ারা প্রান্তে পৌঁছেছে।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




"বাবাভাণ্ডারী (কঃ) দুঃখী-ভাবী-অসহায়দের আশ্রয়স্থল

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত লক্ষ লক্ষ আশেকানে মাইজভাণ্ডারীদের সরব অংশগ্রহণে মহান ২২শে চৈত্র, গাউসুল আযম, ফানাফিল্লাহ্, বাকাবিল্লাহ্, শেখে ফায়াল, ইউসুফে সানী, জামালে মোস্তফা, হুজুর গাউসুল আযম, শাহ্সুফি সাইয়্যিদ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (কাদ্দাসাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ) এর ৮৭তম পবিত্র ওরশ শরীফ মাইজভাণ্ডার শরীফসহ সারা বিশ্বে মহাসমারোহে উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে 'আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া' পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, জীবনী মুবারক আলোচনা, জিয়ারত, ওয়াজ মাহ্ফিল, ইফতার ও সাহরী আয়োজনসহ ৩ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী পালন করেছে। ৫ এপ্রিল, ২০২৪ মাইজভাণ্ডার শরীফে ইফতারের পূর্বে এবং সাহরীর পূর্বে আলোচনা ও মুনাজাত পরিচালনা করেন, বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এর প্রপৌত্র, মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী। তিনি বলেন, "গাউসুল আযম হযরত সৈয়দ আহমদউল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ) আখেরী জামানার ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে যুগোপযোগী এবং স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি প্রেমের অনন্য এক তরিকা, 'তরিকা-এ-মাইজভাণ্ডারীয়া' প্রবর্তন করেছেন। মাইজভাণ্ডারী তরিকা মূলত ক্বাদেরিয়া তরিকার অনুসরণে প্রবর্তিত হয়েছে। বাংলাদেশে 'ক্বাদেরিয়া' তরিকার মূল দায়িত্ব পালন করছেন হযরত সৈয়দ আহমদউল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ)। তারই স্নেহধন্য ভ্রাতুষ্পুত্র ইমামুল আউলিয়া, হুযুর গাউসুল আযম হযরত সাইয়্যিদ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এ মহতী তরিকাকে পূর্ণতা দান করেছেন। তিনি গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এর সুশোভিত বাগানের শ্রেষ্ঠ প্রষ্ফুটিত গোলাপ। যার সৌরভ আজ বিশ্বজুড়ে। তার মাঝে খিজিরি বেলায়তের ঐশ্বর্য বিরাজমান। তিনি শরীয়তের জ্ঞানে যেমন পারদর্শী ছিলেন, তেমনি প্রবল কষ্ট-সাধনা-রিয়াজতের মাধ্যমে মারেফাতের সীমাহীন খনি অর্জন করেছেন। তিনি দীর্ঘ ১২ বছর সুউচ্চ, দুর্গম পাহাড়ে, বনে জঙ্গলে, নির্জনে মহান আল্লাহ্ তায়ালার ধ্যানে নিমগ্ন ছিলেন। তার নূরানী রূপের আলো, আধ্যাত্নিক শক্তি, মানবিকতা, উদারতা, স্নেহ-ভালোবাসার প্রভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে স্থান পেয়েছেন। আজও জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে অজস্র মানুষ বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এর প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে নবীপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন, আল্লাহ্ তায়ালা ও ইসলামকে জানছেন। বিচ্ছিন্ন জনপদেও তিনি ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিয়েছেন।

মাইজভাণ্ডার শরীফকে গাউসুল আযম ক্বেবলা ক্বাবা (কঃ) ও গাউসুল আযম বাবাভাণ্ডারী (কঃ) দুই সমুদ্রের মিলনস্থলের মত মহাকাব্যিক স্থানে পরিণত করেছেন। বাবাভাণ্ডারী (রাঃ) এদেশের মাটি-মানুষের আবেগ-ভালোবাসার সাথে মিশে আছেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে এ দেশের মানুষের সকল মুক্তি সংগ্রামে এবং অগ্রযাত্রায় তার অবদান অনস্বীকার্য। বাবাভাণ্ডারী (রাঃ) অভাবী, দুঃখী, শোষিত-বঞ্চিতদের আশ্রয়স্থল ; সুখ-দুঃখের সাথী। তিনি মানুষের অন্তরে স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসার শিখা জ্বেলেছেন, নবীপ্রেমের জোয়ার এনেছেন, আহলে বাইতগণের মর্যাদাকে সমুন্নত করেছেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের পতাকাকে উড্ডীন করেছেন। তার বেলায়তের প্রভাব বাংলাদেশের ভূখণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকে নি। কারণ গাউসুল আযম কোন নির্দিষ্ট স্থানের জন্য শুভাগমন করেন না। তিনি সকলের। বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এর জীবনাদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আমাদেরকে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। আল্লাহ্ ও রাসুলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আহলে বাইতগণের এর ভালোবাসায় জীবন সাঁজাতে হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম, খলিফাবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

দোজাহানের বাদশাহ্  হুযুরপুর নূর, আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মুস্তফা, প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং সম্মানিত আহলে বাইতে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) গণের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাতু সালাম নিবেদন শেষে মাহ্ফিলের সমাপনী মুনাজাতে বিশ্ববাসীর কল্যাণে প্রার্থণা করেন শাহ্সুফি সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারী।


আরও খবর



আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

তাপদাহে পুড়ছে দেশ। দিনদিন তাপমাত্রার পারদ ওপরের দিকে উঠছে। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় নতুন করে সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার জন্য হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুরর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আরও ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে জনজীবনের অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এর আগে, গত ১৯ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রথমবার তিন দিনের হিট এলার্ট জারি করা হয়েছিল।

এদিকে সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী, টাঙ্গাইল, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শ্রীমঙ্গল ও চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এ ছাড়া একই সময়ে ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরা হয়নি শিশু আরাফাতের

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে বালুবাহী ট্রাকের চাকায় আরাফাত (৭) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। 


শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে উপজেলার দুর্গাপুর-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ইন্দ্রপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 


এ ঘটনার বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। ফলে এই সড়কে কয়েক ঘন্টার জন্য বন্ধ হয়ে যায় সকল প্রকার যানবাহন। 


নিহত আরাফাত উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. সোহেল মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রমের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী। 


পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায় শিশু আরাফাত। পড়া শেষে পায়ে হেটে বাসার দিকে ফিরছিলো। এই সময় বাড়ির সামনে দ্রুতগতির একটি বালুবাহী ট্রাক তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে মারা যায় শিশু আরাফাত। 


নিহত শিশু আরাফাতের বাবা মো. সোহেল মিয়া বলেন, প্রাইভেট পড়ে আমার ছেলে রাস্তার এক সাইড দিয়েই বাড়ি আসতেছিল। ট্রাক ডাবল ওভারটেক করতে গিয়ে আমার ছেলের উপরে তুলে দেয়। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই। 

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাদেকুজ্জামান বলেন, লোকজন সড়কটি অবরোধ করে রেখেছেন। আমরা যান চলাচল স্বাভাবিক করতে চেষ্টা করছি। তাছাড়াও ঘাতক ট্রাকটি আটকের জন্য চেষ্টা অবাহ্যত রয়েছে। 


আরও খবর



রাণীনগরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগরসহ বিভিন্ন জেলায় চলছে দাবদাহ সেইসাথে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। বৃষ্টির প্রত্যাশায় রাণীনগরে ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন মুসল্লিরা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৮টায় উপজেলা সদরের পূর্ব বালুভরা পাবলিক ঈদগাহ মাঠের আয়োজনে রাণীনগর শের-এ বাংলা সরকারি কলেজ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন নওগাঁর ঐতিহাসিক কুসুম্বা মসজিদের খতিব মাওলানা মোস্তফা আল আমিন।

নামাজ শেষে বৃষ্টির আশায় করা হয় বিশেষ মোনাজাত। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আল্লাহর কাছে দাবদাহ ও প্রাকৃতিক দুর্ভোগ  থেকে মুক্তি চান মুসল্লিরা। একইসাথে, বৃষ্টির মাধ্যমে সারাদেশে শীতল স্পর্শ বুলিয়ে দেয়ার দোয়াও করেন তারা। নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লিরা বলেন, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে প্রকৃতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে বিপর্যয় নেমে এসেছে। এজন্য আল্লাহর রহমতের প্রাকৃতিক দুর্ভোগ থেকে মুক্তিসহ বৃষ্টি প্রার্থনা করেন তারা।  


আরও খবর



নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে শ্রী নিরাঞ্জন উড়াও নামে এক জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ২ বছর এর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আসামীর সামনে এ রায় ঘোষণা করেন নওগাঁ জেলা ও দায়েরা জজ মোঃ আবু শামিম আজাদ। এ মামলাটি রাষ্ট্র পক্ষের হয়ে পরিচালনা করেন, সরকারী কৌসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম সারোয়ার হোসেন।

দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী নিরাঞ্জন উড়াও নওগাঁর পোরশা উপজেলার বরবারিয়া গ্রামের শ্রী যোগেশ্বর উড়াও এর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার বরবারিয়া গ্রামের রামেশ্বর চন্দ্র (৫৫) গত ২০২২ ইং সালের ১ আগস্ট নিজের জমিতে আইল কাটার কাজ করছিলেন। এমতাবস্থায় প্রতিবেশী নিরঞ্জন উড়াও এর লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হোন রামেশ্বর চন্দ্র। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একই দিন তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ আগস্ট রামেশ্বর চন্দ্র মারা যান। এ ঘটনায় ঐ দিন রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। এই ঘটনার তদন্ত শেষে নিরঞ্জন উড়াওয়ের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৬ মে দণ্ডবিধি- ১৮৬০ এর ৩০২/২০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে আদালতে জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অভিযোগ পত্রে উল্লেখিত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামি নিরঞ্জন উড়াও কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন অনাদায়ে তাকে আরো ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।


আরও খবর