নিজস্ব প্রতিনিধি লালমনিরহাট।
তিস্তায় ২৫ সেন্টিমিটার পানি কমলেও দুর্ভোগে রত্নাই ও সতী নদী পাড়ের মানুষ, ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীর তালিকা জানেন না জেলা মৎস্য অফিসার।
লালমনিরহাটে তিস্তার পানি ২৫ সেন্টিমিটার কমে ৫২.২৫ লেবেলে বইছে দূর্ভোগ কমেনি সতী, রত্নাই নদী পাড়ের পানিবন্দি মানুষগুলোর। জেলা মৎস্য অফিসার জানেন না কতটা পুকুরের মাছ ভেসে এলগেছে কিংবা কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্য চাষীদের। এদিকে লালমনিরহাট কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, মাঠ পর্যায়ের কাজ করা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী জেলায় চলমান বন্যায় 89 হেক্টর আবাদি জমিতে কৃষকদের উৎপাদিত ঘরে তোলার উপযোগী ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে। অপরদিকে তিস্তার পানি ২৫ সেন্টিমিটার কমলেও,বইছে ৫২ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার এর উপর দিয়ে। তবে রত্নাই ও সতী নদী পাড়ের মানুষের দুর্ভোগ এখনো কমেনি। অপরদিকে লালমনিহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, কোথাও পানিবন্দি আছে এমন কোন খবর তার কাছে নেই। তবে বলল আসলে বাংলাদেশিদের জন্য যথেষ্ট পরিমান বরাদ্দ রয়েছে যা প্রয়োজন নেই সেগুলো নিয়ম মেনে বিতরণ করা হবে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষী আসাদুল হক সহ অসংখ্য চাষিরা জানান তাদের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য জেলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তর থেকে কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী তাদের খোঁজ খবর নেননি। বিগত বছরগুলোর ন্যায় এ বছরও ক্ষতিগ্রস্ত মৌচাষিরা হতাশ তারা কোনো সরকারি সহায়তা ইতিপূর্বেও পাননি এবার পাবেন বলে এমন আশা করতেই পারেন না তারা।
সতী নদীপাড়ের বন্যার পানিতে নিমজ্জিত ধান , আমন বীজতলা সহ বিভিন্ন জাতের ফসল বানের পানিতে তলিয়ে আছে। তবে কেউ কেউ পানি থেকে ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, জেলার তিস্তা ধরলা সহ কয়েকটি নদীর পাড় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। কোথাও কোথাও সেগুলো ভাঙ্গনরোধে চেষ্টা চলছে। বড় ধরনের ভাঙ্গন ঠেকাতে প্রস্তুত আছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলেই স্থায়ী ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব।