Logo
শিরোনাম

বৃষ্টি শীতের আগমনী বার্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শীতের আবহে থাকা দেশে হঠাৎ করেই নিম্নচাপের কড়া নাড়া। তারপর সেই নিম্নচাপ পরিণত হলো ঘূর্ণিঝড়ে। মিধিলি নামের ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মিথিলার কবির বিদ্যাপতির পদের মতোই মিহি বৃষ্টি ঝড়ল দেশজুড়ে। গুনগুনিয়ে কে যেন গেল শুনিয়ে, শীতের ওড়নি পিয়া গিরিসের বাও, বরিসার ছত্র পিয়া দরিয়ার নাও।  আবহাওয়া অফিসও বলছে, এই বৃষ্টির প্রভাবে দেশজুড়ে ৩-৪ চার ডিগ্রি কমতে পারে তাপমাত্রা। মানে শরতের ফালি মেঘের আকাশ ডিঙিয়ে হেমন্তের হীম আভার ঘোর কাটিয়ে এবার দেশে নামতে চলেছে পুরোদস্তুর শীত। কারণ তো ওই ঝরে গেছে নভেম্বর রেইন।

গরমক্লিষ্ট মনের এবার শীতল হাওয়ায় প্রাণ এলিয়ে দেওয়ার পালা। ঋতু বৈচিত্র্য হারাতে বসা এ তল্লাটে এখন নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার দেখা পাওয়া ভার। উল্টো গরমের প্রকোপটাই সারা বছর থাকছে বেশি। তবে কেবল শীত নয়, এই বৃষ্টি মনে করায় একটা গানের কথাও। যে গানের নাম নভেম্বর রেইন। ১৯৯২ সালে প্রকাশ হওয়া রক ব্যান্ড গানস অ্যান্ড রোজেস-এর সাড়া জাগানো গান এটি। যে গানের ভাঁজে ভাঁজে বিরহের আঁচ। প্রেমিকার রহস্যময় মৃত্যু আর শোকগাঁথা যার উপজীব্য 

তবে নভেম্বর রেইন সবার জন্য রোমান্টিক নয়। অফিসগামীদের হঠাৎ বিপদে ফেলে। খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েন বিপাকে। কারণ এই সময়ে কারোই যে বৃষ্টি বরণের প্রস্তুতি থাকে না খুব একটা। তারপরও মৃদু বর্ষণমুখর এমন দিন প্রকৃতির এক অনিন্দ্য দান। দুঃখের সাথেও তো বৃষ্টির আছে সখ্য। সুখ যেমন বৃষ্টিতে ভেলা ভাসায়, দুঃখও তো তেমন বৃষ্টি দরিয়ায় ভাসায় আপন ডিঙি নাও। আর দিন শেষে তো কথা থাকে ওই, বৃষ্টিরা কখনো একা আসে না। সাথে নিয়ে আসে ভালো-মন্দের অনেক কিছু। 


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

হরতাল-অবরোধের প্রভাব নেই রাজধানীর সবজির বাজারে। সপ্তাহ ব্যবধানে শীতকালীনসহ অন্যান্য সবজির দাম কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন ও সরবরাহ ভালো থাকায় এসব সবজির দাম কমেছে।

আর সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১০ টাকা কমে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ২৪ নভেম্বর রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজারে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমে বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, ধুন্দল ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২০০ টাকা, কলার হালি ২০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আলুর কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, নতুন আলু ১০০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১৫০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি মুলা ৩০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা ও গাজর ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মুলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ৮ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

শেওড়াপাড়ার সবজি বিক্রেতা দেলোয়ার বলেন, শীতের সবজি বাজারে প্রচুর পরিমাণে আসছে, যার প্রভাব দামে পড়েছে। গত সপ্তাহে শিম ৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছি সেটা আজ ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। ফুলকপি বড় আকারের ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি। হরতাল-অবরোধের কারণে সবজির বাজারে প্রভাব পড়েনি।

এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বিক্রেতারা বলছেন, ব্রয়লারের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে।

তালতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা সুমন বলেন, গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছিলাম। গতকালও ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি করেছি। তবে শুক্রবার হওয়ায় পাইকারি বাজারে কেজিতে ৫ টাকা বেশি দিয়ে আনতে হয়েছে। তারপরও গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কমেছে।

তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে দাম কমায় আমরাও কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমিয়ে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি করছি। আমরা সোনালি ২৮০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৭০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি, লেয়ার ৩২০ টাকা টাকা দরে বিক্রি করছি।

বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে লাল ডিমের ডজন ১৩৫ টাকা, হাঁসের ডিম ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

বাজারে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কেজি ৯০০ টাকা, শিং মাছ (আকারভেদে) ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুইয়ের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, মলা ৬০০ টাকা, বাতাসি টেংরা এক হাজার ২০০ টাকা, টেংরা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা এক হাজার ২০০ টাকা, বাইম এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা এবং আইড় মাছ ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর

সোনার ভরি ১ লাখ ৬৩৭৬ টাকা

বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩




রাণীনগরে মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলীর গণসংযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

 কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ) : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে নওগাঁর রাণীনগরে জনসংযোগ উঠান বৈঠক করে বেড়াচ্ছেন নওগাঁ- (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার মনোনয়ন প্রত্যাশী রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নওশের আলী। একইসঙ্গে নৌকার পক্ষে গনজোয়ার তুলতে প্রতিনিয়ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পাড়া মহল্লায়, হাট বাজারে জনসংযোগ উঠান বৈঠক করে সরকারের দৃশ্যমান উন্নয়ন তুলে ধরে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চাচ্ছেন তিনি।

 

এরই ধারাহিকতায় সোমবার বিকেলে রাণীনগর উপজেলার পারইল ইউনিয়নের ডুবাগাড়ী বাজার এলাকায় এক উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ- আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নওশের আলী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম রহিমুল বাশার বাবলু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম শরীফ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি পিন্টু মোল্লা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আল্লামা ইকবাল ইংরেজ,

 

বর্তমান ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুর রহমান সোহান, উপ গ্রন্থনা প্রকাশনা সম্পাদক রোকনুজ্জামান রাব্বি, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আলিফ হোসেন প্রমূখ। উঠান বৈঠকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নওশের আলী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার জনবান্ধব সরকার। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সবাই নিরাপদ, শান্তি স্বস্তিতে থাকে, দেশও এগিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছেন। তাই দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন আন্দোলনের নামে জামায়াত বিএনপির নৈরাজ্যের সৃষ্টি করেছে।

সাধারণ মানুষের জান মালের ক্ষতি করছে, তাঁরা বিদেশিদের দারস্থ হয়ে আগামী নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করছে। তাঁরা জালাও পোড়াও মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসতে চায়, তাদের সে সুযোগ দেওয়া হবেনা। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জামায়াত-বিএনপির এমন নৈরাজ্য প্রতিহত করে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করতে সবার প্রতি আহবান জানান তিনি


আরও খবর



বিএনপি'র নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নে সব প্রস্তাবে রাজি হয়নি আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

জতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যাবে কি যাবে না, তা নিয়ে এখনও রহস্য রয়ে গেছে।

 বিএনপি যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বলছে যে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা কোন নির্বাচনে যাবে না এবং এই দাবিতে তারা এখন অবরোধসহ বিভিন্ন আন্দোলন করছে।

কিন্তু, বাস্তবতা হলো- বিএনপির সঙ্গে কূটনৈতিক মহলের আলাপ-আলোচনা এবং সমঝোতা চেষ্টা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত তিনজন নেতা বিভিন্ন পর্যায়ের কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। কূটনীতিকরা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন।

বিএনপির প্রথম দাবি হলো- নির্বাচনের তফসিল পেছাতে হবে। অন্তত দুই সপ্তাহ নির্বাচনের তফসিল পিছিয়ে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এমন নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। 

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা মার্কিন প্রতিনিধিদের কাছে নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই বক্তব্যটি নিয়েই আওয়ামী লীগের একজন নেতার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিরা কথা বলেছেন।

তবে, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পরিস্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন পেছানো যেতে পারে, অন্যান্য তারিখগুলো সমন্বয় করা যেতে পারে। তবে, ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন, এটা পরিবর্তন করা যাবে না। 

এর ফলে সাংবিধানিক সংকট দেখা দিতে পারে। আওয়ামী লীগ সেই সুযোগ দেবে না।

বিএনপি চায় নির্বাচনের তফসিল জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে নিয়ে যেতে। ২৩-২৪ জানুয়ারির দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হলে তারা বিষয়টি ‘ভেবে দেখতে পারে’ বলে জানিয়েছেন। 

ড. আব্দুল মঈন খানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগাযোগ করেছেন। মঈন খান তাদেরকে অন্তত পাঁচটি শর্ত দিয়েছেন। এর মধ্যে প্রথম শর্তই হলো, নির্বাচন পেছাতে হবে। দ্বিতীয় শর্তে বলা হয়েছে যে, বিএনপির যেসব নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্ত করতে হবে।

মঈন খান যুক্তরাজ্যের কূটনীতিকদের বলেছেন যে, আমরা কাদেরকে নিয়ে কার সঙ্গে সংলাপ করবো। আমাদের সব নেতাকর্মীই তো জেলে। আর, এ কারণেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদসহ বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদেরকে কারামুক্তি না দিলে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা সম্ভব নয় বলে ড. মঈন খানের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে, তার ভাষায়, যে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো করা হচ্ছে এবং ‘নির্বিচারে সাজা’ দেওয়া হচ্ছে তাও অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানান ড. মঈন খান। 

তার মতে, প্রথমে সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে এবং সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি করেই বিএনপিকে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য যথাযথ সময় দিতে হবে। তারপর বিএনপি হয়তো নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করবে। 

এছাড়াও মঈন খান নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কিছু পরিবর্তন এবং প্রশাসনের পরিবর্তনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন। 

তিনি মনে করেন যে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা নেই। এই নির্বাচন কমিশনকে পরিবর্তন করে অন্তত আস্থাশীল একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে বিএনপি নির্বাচনের বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে।

এছাড়াও তিনি বর্তমান প্রশাসন; বিশেষ করে মাঠ প্রশাসন সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগের অনুগত বলে দাবি করেছেন এবং এই প্রশাসনকে যদি রাখা হয় তাহলে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আর এই সমস্ত দাবি যদি সরকার পূরণ করে তাহলে বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে। তখন তারা হয়তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুটিকে আর সামনে আনবে না। কিন্তু, আওয়ামী লীগের সঙ্গে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা এই সমস্ত প্রস্তাব নিয়ে যোগাযোগ করলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পরিস্কার বলে দেওয়া হয়েছে যে, প্রথমে বিএনপিকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে হবে এবং তাদেরকে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিতে হবে।

এরপর কি কি বিষয় নিয়ে সমঝোতা করা যায়, সেটি আলোচনা হতে পারে।


আরও খবর



বিএনপি এলে তফসিল পুনর্নির্ধারণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, বিএনপি একটা বড় দল, নির্বাচনের বাইরে আছে। তারা যদি অংশগ্রহণ করে, তফসিল পেছানোর সুযোগ রয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে আসার প্রস্তাব এলে বিবেচনায় নেওয়া যাবে। তফসিল পুনর্নির্ধারণ করা হবে।

২৪ নভেম্বর মৌলভীবাজার সার্কিট হাউজের মুন হলে আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন তিনি। মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ইসি কর্মকর্তা বলেন, আলোচনায় আমন্ত্রণ জানালে ২৬টি দল আসে, ১৮টি দল আসে না। কারা নির্বাচনে এলো আর কারা এলো না, এটা তাদের দলীয় ব্যাপার। এজন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪ এর মধ্যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচন করার। ভোটাররা ভোট দিতে এলেই নির্বাচন সফল হবে।

ভোটারের অংশগ্রহণই হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোটে জনগণ যদি যোগ দেয় তবে সেটাই অংশগ্রহণমূলক হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা, না করা তো আমার ওপর নির্ভর করে না। দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।

নির্বাচনের সময় মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন তিনি। ওই সময়ে অনলাইন, আইপি টিভি ও সোশ্যাল মিডিয়ায় যেন অপপ্রচার চালানো না হয়, সেদিকে সাংবাদিকদের নজর রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন আনিছুর রহমান। বলেন, আগামী নির্বাচনে শর্তসাপেক্ষে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে, যা আগে ছিল না। ভোটের দিন নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক থাকবে, তবে গুজব ছড়ানো থেকে সাবধান থাকতে হবে। যদিও মূলধারার গণমাধ্যম এসব করে না।

সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবী চন্দ, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. উর্মি বিনতে সালাম প্রমুখ।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




ফ্যামিলি কার্ড ছাড়াও পাওয়া যাবে টিসিবির পণ্য

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মঙ্গলবার থেকে রাজধানীতে ফ্যামিলি কার্ডের বাইরে ২৫ থেকে ৩০টি ট্রাকের মাধ্যমে মশুর ডাল, সয়াবিন তেল, আলু ও পেঁয়াজ ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

তিনি বলেছেন, আগামীকাল থেকে রাজধানীতে ২৫ থেকে ৩০টি ট্রাকে মশুর ডাল, সয়াবিন তেল, আলু ও পেঁয়াজ টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। একেকজন ২ কেজি মশুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি আলু ও ২ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। প্রতিটি ট্রাক থেকে প্রায় ৩০০ জনকে এ পণ্য দেওয়া হবে। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের বাইরে এ পণ্য বিক্রি হবে। এর ফলে নতুন করে ৯ হাজার পরিবার এ সুবিধায় যুক্ত হবে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এসব কথা জানান সচিব।

তিনি আরো জানান, ট্রাকে প্রতি কেজি মুশুর ডাল ৬০ টাকা, প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা ও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি করা হবে। চিনি পাওয়া গেলে দেওয়া হবে। আপাতত চিনি দেওয়া হবে না। আমরা সব কর্মদিবসে কার্যক্রম চলমান রাখব। শুক্র-শনিবার বন্ধ থাকবে।


আরও খবর

কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩