Logo
শিরোনাম

বৃষ্টি শীতের আগমনী বার্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

শীতের আবহে থাকা দেশে হঠাৎ করেই নিম্নচাপের কড়া নাড়া। তারপর সেই নিম্নচাপ পরিণত হলো ঘূর্ণিঝড়ে। মিধিলি নামের ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মিথিলার কবির বিদ্যাপতির পদের মতোই মিহি বৃষ্টি ঝড়ল দেশজুড়ে। গুনগুনিয়ে কে যেন গেল শুনিয়ে, শীতের ওড়নি পিয়া গিরিসের বাও, বরিসার ছত্র পিয়া দরিয়ার নাও।  আবহাওয়া অফিসও বলছে, এই বৃষ্টির প্রভাবে দেশজুড়ে ৩-৪ চার ডিগ্রি কমতে পারে তাপমাত্রা। মানে শরতের ফালি মেঘের আকাশ ডিঙিয়ে হেমন্তের হীম আভার ঘোর কাটিয়ে এবার দেশে নামতে চলেছে পুরোদস্তুর শীত। কারণ তো ওই ঝরে গেছে নভেম্বর রেইন।

গরমক্লিষ্ট মনের এবার শীতল হাওয়ায় প্রাণ এলিয়ে দেওয়ার পালা। ঋতু বৈচিত্র্য হারাতে বসা এ তল্লাটে এখন নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার দেখা পাওয়া ভার। উল্টো গরমের প্রকোপটাই সারা বছর থাকছে বেশি। তবে কেবল শীত নয়, এই বৃষ্টি মনে করায় একটা গানের কথাও। যে গানের নাম নভেম্বর রেইন। ১৯৯২ সালে প্রকাশ হওয়া রক ব্যান্ড গানস অ্যান্ড রোজেস-এর সাড়া জাগানো গান এটি। যে গানের ভাঁজে ভাঁজে বিরহের আঁচ। প্রেমিকার রহস্যময় মৃত্যু আর শোকগাঁথা যার উপজীব্য 

তবে নভেম্বর রেইন সবার জন্য রোমান্টিক নয়। অফিসগামীদের হঠাৎ বিপদে ফেলে। খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েন বিপাকে। কারণ এই সময়ে কারোই যে বৃষ্টি বরণের প্রস্তুতি থাকে না খুব একটা। তারপরও মৃদু বর্ষণমুখর এমন দিন প্রকৃতির এক অনিন্দ্য দান। দুঃখের সাথেও তো বৃষ্টির আছে সখ্য। সুখ যেমন বৃষ্টিতে ভেলা ভাসায়, দুঃখও তো তেমন বৃষ্টি দরিয়ায় ভাসায় আপন ডিঙি নাও। আর দিন শেষে তো কথা থাকে ওই, বৃষ্টিরা কখনো একা আসে না। সাথে নিয়ে আসে ভালো-মন্দের অনেক কিছু। 


আরও খবর

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শিল্প প্রবৃদ্ধিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ব্যবসায়ী নেতাদের সহায়তা প্রদানে প্রধান উপদেষ্টার আশ্বাস

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

 প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের শিল্প প্রবৃদ্ধিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ব্যবসায়ী নেতাদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। 



প্রধান উপদেষ্টা আজ এখানে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে বলেন, ‘আমরা শিল্পকে একটি নতুন স্তরে নিয়ে যেতে চাই’। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান। 



প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লব দেশে আশার নতুন যুগের সূচনা করেছে এবং অন্তর্বর্তী সরকার শিল্প, অর্থ ও উৎপাদন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।



ব্যবসায়ী নেতারা পোশাক ও ওষুধ খাতে সাম্প্রতিক অস্থিরতার বিষয় তুলে ধরে বলেন, তারা সন্দেহ করেন দেশের বাইরে বসবাসকারী গ্রুপসহ বহিরাগতদের প্ররোচণায় কারখানাগুলোতে ভাঙচুর করা হয়েছে। 



শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, কল-কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।



অধ্যাপক ইউনূস ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে বলেন, তার সরকার কারখানাগুলোকে সহিংসতা ও হামলা থেকে রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব শিল্পকে সুরক্ষা দেয়া।


তিনি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ব ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে আরও অর্ডার পাওয়ার প্রয়াসে শ্রম সংস্কার করতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান।



তিনি বলেন, "আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করার বড় সুযোগ আছে। আমাদের শ্রম আইনকে আইএলও মানদন্ডে উন্নীত করতে হবে।"



প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি সারা বিশ্বের শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রধান নির্বাহীদের সাথে কথা বলেছেন এবং তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগে এবং আরও অর্ডার দিতে আগ্রহী।



স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ ও মীর নাসির হোসেন, বিজিএমইএ সভাপতি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসের এজাজ বিজয় সভায় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




নিজ ঘরে মিললো যুবকের গলাকাটা লাশ

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

লালমনিরহাট প্রতিনিধি::



লালমনিরহাটের আদিতমারীতে নিজ বাড়ি থেকে তাহমিদুল রহমান তারা (৩৫) নামে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার (৩১ আগস্ট) উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের টিপার বাজার এলাকা থেকে আদিতমারী থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। মৃত তাহমিদুল রহমান তারা ওই এলাকার মৃত আহমেদের ছেলে।


এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা তার নিজ বাড়িতে গলা কেটে খুন করে। তিনি তার ঘরে একাই থাকতেন। তার স্ত্রী দেশের বাইরে ও পরিবার বাইরে থাকার সুযোগে কেউ তাকে হত্যা করেছে। পরে সকালে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।


মৃত তাহমিদুল রহমান তারার ভাই ইউপি সদস্য মুকুল জানান, আমার ভাই সাদাসিধে এবং খুবই সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। তার স্ত্রী বিদেশে থাকে। কে বা কাহারা রাতের আধাঁরে আমার ভাইকে খুন করে পালিয়ে গেছে। আমরা এর সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার চাই।


আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে আমরা ধারনা করছি তাকে খুন করা হয়েছে। তার গলায় কাটা দাগ রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



এক মাস অতিবাহিত হলেও দিরাইয়ে মুতিয়া হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার হয়নি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : :


৫ সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পরও সুনামগঞ্জের দিরাই থানায় বিধবা মুতিয়া বিবি (৮০) হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এ অভিযোগ জানান, দিরাই থানার জগদল ইউনিয়নের পুকিডহর গ্রামের মৃত আসাদ খান ও নিহত বিধবার পুত্র মোঃ ফরমান খান। নিহত মুতিয়া বিবির পুত্র ফরমান খান (৫৯) একই দিন প্রতিপক্ষের বন্দুকের গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হন।


সেদিন ছিল সোমবার ২৯ জুলাই বিকেল ৩ ঘটিকা। ওইদিন পুকিডহর গ্রামে প্রতিপক্ষরা গ্রামের দুদিক থেকে ঘেরাও করে দা,লাঠি,রামদা,ছুলফিসহ দেশীয় অস্ত্র ও বন্দুক দ্বারা গুলি করে ফরমান খানসহ তার পরিবারের মোট ২১ জনকে আহত করে। আহতদেরকে ঘটনার পরপরই দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৪ জনকে সিলেটস্থ এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।


সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরমান খানের বিধবা মাতা মুতিয়া বিবি (৮০) একইদিন রাত ১১টায় মারা যান। এ ঘটনায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার নায়নগর গ্রামের মৃত আব্দুল বারিকের পুত্র দুলাল মিয়া (৪১) এবং পুকিডহর  গ্রামের মৃত আলিম উদ্দিনের পুত্র শেলাল আহমদ,গুল আহমদ ও আবদাল নূর,মৃত রছদ খানের পুত্র নজমুল খান ও সুয়েব খান,আব্দুল আওয়ালের পুত্র মনাফ,রুপ উদ্দিন,খোকন ও ছাইদ উল্লা,মৃত মাহমুদ খানের পুত্র কামাল খান,এলমান খানের পুত্র নুহান খান,ছমরু খানের পুত্র আনছার খান ও দরছত খান,নাজির খানের পুত্র রুপন খান ও ইছাক খান,মৃত শফিক উল্লার পুত্র সৈয়দ উল্লাহ,মুছন উল্লা ও শরিফ উল্লাহ এবং মৃত আমিন খানের পুত্র আবুবকর সায়েদ খান ও সালামত খানসহ মোট ৩৭ জনকে আসামী করে ফরমান খান দিরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৪ (জিআর ১২০/২৪) তাং ১৬/০৮/২০২৪ইং।


কিন্তু ঘটনার ২৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যা মামলার কোন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়নি। বাদী ফরমান খান বলেন, আমার চাচাতো ভাই সাবাজ খান আর ভাতিজা আলম খান ছাই দিয়ে হাওরে মাছ ধরতে গেলে প্রতিপক্ষরা নৌকাযোগে দলবেধে তাদের কাছে গিয়ে মাছ ধরতে নিষেধ করে। এতে মৌখিক বাদানুবাদের জের ধরে আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে প্রভাবশালী ইউপি সদস্য দুলাল মিয়ার নির্দেশে তারা একতরফাভাবে আমাদের বসতবাড়ীর দুদিকে ঘেরাও করত: অতর্কিত হামলা চালায়। মায়ের খুনের ঘটনায় দুলাল মিয়াকে প্রধান আসামী করে মোট ৩৭ জনের বিরুদ্ধে আমি দিরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।


কিন্তু পুলিশ প্রধান আসামী দুলাল মিয়াকে বাধ দিয়ে গত ১৬ আগস্ট মামলাটি এফআইআর করেছে। জানা  গেছে, পুকিডহর গ্রামের প্রবাসী আরজু খান ও হোসেন খানের মধ্যে জমিজমা ও আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। দু’পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলাও রয়েছে। গত বছরের ২৫শে অক্টোবর দু’পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে আরজু খানের পক্ষের দুলাল মিয়া নামের এক যুবক খুন হন।


দিরাই থানার ওসি মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন,বিদেশী টাকার গরমে পুকিডহর গ্রামের দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বিরোধ আছে। তবে বৃদ্ধা মুতিয়া বিবি খুনের অভিযোগের বিষয়টি সঠিক বলেই আমরা তদন্ত জেনেছি এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করেছি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দিরাই থানার এসআই মোঃ রাজু মিয়া বলেন, আমরা হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।



আরও খবর



নওগাঁয় আম আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির অনুদান বিতরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

 

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ

নওগাঁর সাপাহারে আম আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধমীয় প্রতিষ্ঠান, অসহায় দুস্থ্য ও এতিম শিশুদের মাঝে অনুদান বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় নওগাঁর সাপাহার উপজেলা আম আড়ৎ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর অফিস ঘরে এ অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। আম আড়ৎ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি শ্রী কার্তিক সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাপাহার উপজেলা সমবায় অফিসের সহকারী পরিদর্শক এস এম জাহাঙ্গীর আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে ইসলামী ব্যাংক সাপাহার শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ রাশেদুল হক, এনআরবিসি ব্যাংক এর ব্যবস্থাপক, আম আড়ৎ সমিতির সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদিন, সাধারণ  সম্পাদক ইমাম হোসেন রিফাত প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় সমিতির সকল সদস্য ও উপকার ভোগী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন ও অসহায়, দুস্থ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য শেষে অতিথিদ্বয় বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ, মন্দির, কবর স্থান, মহাশ্মসান, এতিমখানা, সহ অসহায় দুস্থ্যদের মাঝে ৩ লাখ টাকার চেক বিতরণ করেন। ইতোপূর্বে উক্ত সমিতির পক্ষথেকে সাপাহার, বাজার জামে মসজিদ, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১০ লাখ টাকার অনুদান প্রদান করা হয়েছে বলে সমিতির সভাপতি, সম্পাদক জানিয়েছেন।

আরও খবর



বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনঃ গণত্রাণ কর্মসূচি ২০২৪

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

১) গত ২২/০৮/২০২৪ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর টিএসসি, ডাকসু এবং সেন্ট্রাল ফিল্ডে গণত্রাণ কার্যক্রম চলমান। প্রথমিকভাবে সংগ্রহীত অর্থ, রসদ দিয়ে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। পরবর্তীতে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় শুকনো খাবার এর বদলে ভারি খাবারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তার পরিপেক্ষিতে আমরা ২৮/০৮/২০২৪ তারিখ থেকে গণরান্না কর্মসূচি শুরু করি যার মাধ্যমে আমরা আশ্রয়কেন্দ্র এবং দুর্গম অঞ্চলে চাল-ডালের প্যাকেজ পাঠাই। আমাদের এই বৃহৎ কর্মযজ্ঞে প্রতিদিন প্রায় ১০০০/১২০০ এর অধিক স্বেচ্ছাসেবী দিন রাত ক্লান্ত পরিশ্রম করে। 


২) গত ২২/০৮/২০২৪ থেকে ০৪/০৯/২০২৪ পর্যন্ত প্রায় ১৯১ টি ট্রাক বন্যা কবলিত অঞ্চল গুলতে পাঠানো হয়। আমরা বেসরকারি এবং বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার এর মাধ্যমেও দুর্গম অঞ্চলগুলতে ত্রাণ সহয়তা পাঠিয়েছি। 


৩) গত ২২/০৮/২০২৪ থেকে ০৪/০৯/২০২৪ পর্যন্ত নগদ অর্থ, মোবাইল ব্যাংকিং এবং ব্যাংকিং মাদ্ধমে আমাদের মোট সংগ্রহঃ ১১,১০,১৩,৫৬৯ টাকা। 


৪) গত ২২/০৮/২০২৪ থেকে ০৪/০৯/২০২৪ পর্যন্ত গণত্রাণ এবং গণরান্না কর্মসূচি বাবদ আমাদের খরচঃ 


চিনি: ২৫,৭২,৮০০ টাকা

চিরা: ১৬,৮৭,৪০০ টাকা

পানি: ১,৭৬,০০০ টাকা

কয়েল: ৫,৮৫,০০০ টাকা

কাটার: ১,৬২০ টাকা

ডাল: ১,৩০,০০০ টাকা

ড্রাই কেক: ২৪,৭২০ টাকা

ফিটকিরি এবং অন্যান্য: ১,০১,২৩০ টাকা

গণ রান্না প্রথম ব্যাচঃ ৭,৫৮,৪২০ টাকা

সাবান, শ্যাম্পু, শিশুর খাদ্য এবং অন্যান্যঃ  ৯,৪০,৬৫৫ টাকা

ব্যাগ:  ৮০,৮৬০ টাকা

বোস্তা, ক্যারারেট এবং মোমবাতি: ২,৮৩,৪৮০ টাকা

নগদ সহায়তা: ৮,৯৬,০০০ টাকা

চাল: ১,৩০,৫০০ টাকা

খাবার: ১২,১৩,০৩০ টাকা

গুর: ১০,৪৯,৯২৮ টাকা

মুড়ি: ১৪,১১,৫০৪ টাকা

তেল: ৮৭,০০০ টাকা

পেঁয়াজ: ৫০,৬০২ টাকা

প্যাকেট বিস্কুট: ৩,৩৮,৮০০  টাকা

পলি: ২,৪৪,২৫৫ টাকা

বস্তা, দড়ি এবং স্টাশনারিঃ ৩,০৪,৭৮৪ টাকা

শুতলি ও স্টাশনারিঃ ৯,৭৫১ টাকা

খেজুর: ৩৯,২৯,৩১০ টাকা

শ্রমিক এবং স্টাশনারিঃ ৪৪,০০০ টাকা

টর্চ এবং লাইটার ১,১২,০০০ টাকা

মেডিকেল ক্যাম্প: ১,৫০,০০০ টাকা

স্টাশনারিঃ ৬৪,৭৭০ টাকা

পরিবহন এবং শ্রম: ৭৭,৬০০ টাকা

হাতুড়ি, হ্যান্ড মাইক, আইডি কার্ড: ৩৯,৬২০ টাকা

মোট খরচঃ ১,৭৫,১২,৭৯৪ টাকা

আমাদের ফান্ডে বর্তমানে রয়েছেঃ ৯,৩৫,০০,৭৭৫ টাকা। 

৪) এই টাকা আমাদের সমন্বয়ক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর একজন সম্মানিত শিক্ষকের দ্বারা পরিচালিত জনতা এবং সোনালি ব্যাংকের একাউন্টে জমা রয়েছে । আমাদের এই অর্থ আমরা আগামিতে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছি। এই অর্থ কিভাবে এবং কাদের মাধ্যমে বাবহারিত হলে সর্বচ্চ মানুষের উপকার হবে সেই বিষয়য়ে স্থানীয় এবং বাংলাদেশের ছাত্র-জনাতার পরামর্শ আহ্বান করছি। তাদের মতামতের ভিত্তিতেই এই অর্থগুলো ব্যবহার করা হবে।


আরও খবর

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪