Logo
শিরোনাম

বৃষ্টিতে উপেক্ষা করেও মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধ করেন মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) এর সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে কোটা-পদ্ধতি বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে মাভাবিপ্রবি থেকে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের থেকে জানা যায়, আজ শনিবার সকাল ৮ ঘটিকা থেকেই  বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে এই  মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হয়। এরপর সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে দলে দলে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করে। পরবর্তীতে তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক অবরোধের সিদ্ধান্ত নেয়। টাঙ্গাইল শহর থেকে পায়ে হেঁটে এসে তারা মহাসড়কে অবস্থান নেয়। সকাল ১০.৩০ ঘটিকা থেকে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মহাসড়কে অবস্থান নেন।  

সরেজমিনে টাঙ্গাইলের নগর জলফৈ (বাইপাস) এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক অবরোধ করে কোটা বাতিলের আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে শুরু করেন। 'সারা বাংলায় খবর দে-কোটা প্রথার কবর দে, বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই, শেখ হাসিনার বাংলার- বৈষম্যের ঠাঁই নাই, কোটা না মেধা মেধা-মেধা, মেধা যার- চাকরি তার সহ বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে আন্দোলনকে মুখরিত করে তোলে। এ সময় মহাসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানবাহন চলাচল থেমে যায়।  অ্যাম্বুলেন্সসহ সকল জরুরি যানবাহনের জন্য আলাদা লেন করে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বিএমবি বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীরা কখনও সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলন করতে চাই না, আমরা পড়াশোনা করতে চাই। কিন্তু আমাদের কিছু করার নাই। কারণ যে পরিমাণ কোটা, তাতে দেশের মেধাবীরা চাকুরি না পেয়ে দেশের বাইরে চলে যাবে, দেশে সরকারি চাকুরিতে করার আগ্রহও হারাবে।

সমাবেশে  অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌকির আহমেদ বলেন, বৈষম্যমূলক কোটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। আমরা ইতোপূর্বেও সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। এ বৈষম্য দূর না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। 

টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং  বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাকিব বলেন,  এই আন্দোলন কোনো সরকার বিরোধী আন্দোলন না, এই আন্দোলন আমাদের সকলের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের আন্দোলন। যৌক্তিক দাবি আদায়ের আন্দোলন। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যেতে চাই।


আরও খবর



‎শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সাহসী দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি 

‎বাংলাদেশের ইতিহাসে শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম উচ্চারিত হয় গভীর শ্রদ্ধা, আবেগ ও গর্বের সঙ্গে। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রপতি ছিলেন না—তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতার ঘোষক, দক্ষ সংগঠক, দূরদর্শী কূটনীতিক এবং শক্তিশালী প্রশাসক। তাঁর দেশপ্রেম, স্বনির্ভরতার দর্শন, ও উন্নয়ন-কেন্দ্রিক নেতৃত্ব বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ভিত্তিকে নতুনভাবে নির্মাণ করেছিল।

‎আজ ৩০ মে, তাঁর শাহাদাতবার্ষিকীতে জাতি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে সেই নেতাকে, যিনি জীবনের শেষদিন পর্যন্ত বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল ও মর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন।

‎ স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে আত্মপ্রকাশ

‎১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী যখন নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর বর্বর হামলা চালায়, তখন মেজর জিয়াউর রহমান ছিলেন চট্টগ্রামে। ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জাতির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা  পত্র পাঠ করেন—“আমি মেজর জিয়া বলছি… আমি স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে ঘোষণা দিচ্ছি।” 

‎ মেজর জিয়ার সেই ঘোষণাই লাখো মুক্তিযোদ্ধার মনোবল জোগায়।পরবর্তীতে তিনি ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন।

‎ যুদ্ধাহত দেশকে পুনর্গঠনের নেতৃত্ব

‎স্বাধীনতার পর একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত, অনুন্নত দেশের সামনে অর্থনীতি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও প্রশাসনিক পুনর্গঠন ছিল বিরাট চ্যালেঞ্জ। ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসেন জিয়াউর রহমান। প্রথমে তিনি প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে এবং পরে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেশের হাল ধরেন।

‎তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ফিরে পায় এক নতুন রাজনৈতিক দিশা, অর্থনৈতিক গতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক পরিচিতি।

‎ বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তন

‎একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বের করে এনে জিয়াউর রহমান দেশের রাজনীতিতে পুনরায় বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেন। তিনি সাংবাদিকতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক সংগঠনের অধিকার ফিরিয়ে দেন। ১৯৭৮ সালে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি গণভিত্তিক জনসমর্থন অর্জন করেন।

‎তাঁর সময়েই দেশব্যাপী নির্বাচনের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়, যা আজকের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ভিত্তি গড়তে ভূমিকা রাখে।

‎বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জন্ম

‎১৯৭৮ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। দলটির মূল দর্শন ছিল “বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ”, যার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও জনগণের আত্মপরিচয়ের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা।

‎দলটি স্বল্প সময়েই দেশের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়, যার নেতৃত্বে সরকার পরিচালিত হয় বহু বছর।

‎অর্থনৈতিক সংস্কার ও আত্মনির্ভরতা

‎দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে জিয়াউর রহমান নেন একাধিক সাহসী পদক্ষেপ। তাঁর সময়কালে,গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিপ্লব আসে “সবুজ বিপ্লব” নীতির মাধ্যমে।কৃষকদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ, সার ও আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করা হয়।বেসরকারি খাতকে উৎসাহ দিয়ে তিনি শিল্পায়নে গতি আনেন।ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও পল্লী শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ানো হয়।

‎তাঁর অন্যতম জনপ্রিয় কর্মসূচি ছিল "নিজেকে সাহায্য করো" (Self-Help) — যা আত্মনির্ভরতার চেতনা জাগিয়ে তোলে সাধারণ মানুষের মাঝে।

‎ উপজেলা ব্যবস্থা চালু: বিকেন্দ্রীকরণের রূপকার

‎দেশজুড়ে প্রশাসনিক কার্যকারিতা বাড়াতে তিনি চালু করেন উপজেলা পদ্ধতি—যার ফলে স্থানীয় সরকার শক্তিশালী হয় এবং জনগণের সঙ্গে প্রশাসনের সরাসরি সম্পর্ক তৈরি হয়। এটি ছিল এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, যা প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণে নতুন অধ্যায় সূচনা করে।

‎উপজেলার চেয়ারম্যান, নির্বাচিত পরিষদ ও উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উন্নয়ন ছড়িয়ে দেয়।

‎স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা

‎সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়”—এই নীতিতে বিশ্বাসী রাষ্ট্রপতি জিয়া রহমান স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৯ সালে ওআইসি, নিরপেক্ষ আন্দোলন জোট (NAM), ও ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকে (IDB) যুক্ত হয়। এসব সংস্থায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করেন। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন হয় সম্মানের ভিত্তিতে। মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলায় সে অঞ্চলে প্রবাসী কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং রেমিট্যান্স প্রবাহের সূচনা হয়। তার সময়েই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করে।তিনি বিশ্বাস করতেন, বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় স্বাধীন ও ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত জরুরি। 

‎জনসম্পৃক্ততা ও জনপ্রিয়তা

‎জিয়াউর রহমান সরাসরি জনগণের কাছে পৌঁছাতে বিশ্বাস করতেন। তাঁর শাসনামলে তিনি ৬৪ জেলাতেই সফর করেন, মাঠে-ঘাটে গিয়ে মানুষের কথা শোনেন। তিনি বিশ্বাস করতেন “শাসন নয়, সেবা”—এই আদর্শেই প্রশাসনকে গড়তে হবে।

‎তিনি “জাগো, গড়ো, বদলো”—এই স্লোগানে জাতিকে উদ্দীপ্ত করেন।

‎ শহীদ রাষ্ট্রনায়ক: এক করুণ পরিসমাপ্তি

‎১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে অবস্থানকালে একদল বিদ্রোহী সেনাসদস্য সার্কিট হাউসে হামলা চালিয়ে শহীদ করেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। তাঁর মৃত্যু জাতিকে স্তব্ধ করে দেয়। এই হত্যাকাণ্ড ছিল দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি এবং রাজনীতিতে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।

‎তাঁর শাহাদাতের পর দেশের বিভিন্ন অংশে শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। হাজার হাজার মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজপথে নেমে আসে।

‎ ঐতিহাসিক মূল্যায়ন ও প্রাসঙ্গিকতা

‎আজও জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বগুণ ও দেশপ্রেম রাজনৈতিক ইতিহাসে আলোচিত ও গবেষণার বিষয়। অনেক ইতিহাসবিদ তাঁর সময়কে "উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার যুগ" হিসেবে আখ্যা দেন।


‎তিনি ছিলেন একজন আদর্শনিষ্ঠ, পরিশ্রমী ও নির্লোভ রাষ্ট্রনায়ক—যার মূল দর্শন ছিল জনগণকে সাথে নিয়ে, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে এগিয়ে যাওয়া।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




হরমুজ প্রণালি বন্ধের হুঁশিয়ারি ইরানের

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির প্রভাবশালী একজন উপদেষ্টা মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এ প্রণালি বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেল পরিবহনের প্রধান রুটগুলোর একটি। খবর সিএনএনের।

ইরানের কায়হান পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হোসেইন শরিয়তমাদারি সতর্ক করে বলেছেন, ‘ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর, এখন আমাদের পালা।’

হোসেইন শরিয়তমাদানি ইরানের রক্ষণশীল কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত। অতীতে তিনি নিজেকে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির প্রতিনিধি বলে দাবি করেছেন।

সামাজিকমাধ্যম টেলিগ্রামে কায়হানের বার্তায় শরিয়তমাদারিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, কোনো সংশয় বা বিলম্ব না করে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আমরা অবশ্যই বাহরাইনে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাব এবং একযোগে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি ও ফ্রান্সের জাহাজ চলাচলের জন্য হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়া হবে।


আরও খবর



বালুয়াকান্দীতে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

গজারিয়া(মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধি:

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ওসাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে বালুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক।

বালুয়াকান্দী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোজাফফর হোসেন এর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি নেতা শরীফ হোসেন মাষ্টার,বিএনপি নেতা রেজাউল করিম সেলিম মাষ্টার,আব্দুস সামাদ,মিছির আলী মেম্বার,আবু ইউসুফ খোকন,জসিম উদ্দিন,জজ মিয়া,আবদুল ওয়াদুদ,উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব তোফাজ্জল হোসেনে সরকার, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আলী আরশাদ,মিহিন উল্লাহ,ফুয়াদ মৃধা,কামরুল হাসান জিয়া,ছাত্রদল নেতা সাইদুল ইসলাম,নোমান বিল্লাল,কামরুজ্জামান সানি প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন বালুয়াকান্দী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো:শফিকুল ইসলাম স্বপন।


আরও খবর



মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ, বললেন ট্রাম্প

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২১ জুন ২০২৫ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে তার সম্পর্ক শেষ। তিনি আর সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চান না।

শনিবার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ কথা বলেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে কী না? জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি তা-ই ধরেই নিচ্ছি।’ খবর বিবিসির

মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চান কী না? এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প স্পষ্টভাবে ‘না’ বলে দেন। এই মন্তব্য সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে মাস্কের সঙ্গে তার প্রকাশ্য বিরোধের সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ।

টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও মাস্ক মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারে কোটি ডলার অনুদান দিয়েছিলেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সম্প্রতি তিনি ট্রাম্পের কর ও ব্যয় বিলের কঠোর সমালোচনা করেন।

সম্প্রতি ট্রাম্পের কর ও ব্যয় বিলকে ‘জঘন্য’ বলে কটাক্ষ করেন মাস্ক। তার ওই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেখুন, ইলনের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। জানি না সেটা আর থাকবে কি না।’

মাস্ককে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ভীষণ হতাশ। কারণ, এখানে উপস্থিত অন্য যে কারও চেয়ে তিনি এ বিলের ভেতরের খুঁটিনাটি সম্পর্কে ভালো জানতেন। হঠাৎই এটি নিয়ে তার সমস্যা শুরু হয়েছে।’ তবে ট্রাম্পের এ দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মাস্ক।

ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মাস্ক একাধিক পোস্ট দিয়েছেন। এসব পোস্টে ট্রাম্পকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও ছাড়েননি। প্রমাণ না দিলেও মাস্ক দাবি করেছেন, ট্রাম্প ‘এপস্টেইন ফাইল’-এ আছেন।


আরও খবর



চীনা নাগরিকদের দ্রুত ইসরায়েল ছাড়ার নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

মধ্যপ্রাচ্যের মরু প্রান্তরে ইরান ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান সংঘাত ক্রমেই জটিল দিকে যাচ্ছে। পাল্টাপাল্টি হামলায় বিধ্বংসী সংঘাতে মেতেছে দুই পক্ষই। এ পরিস্থিতিতে ইসরায়েল থেকে চীনের নাগরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলে অবস্থিত চীনা দূতাবাস। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

তেল আবিব চীনা দূতাবাস একটি সতর্কবার্তা জারি করেছে যে, ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। দুই পক্ষের সংঘর্ষের ফলে বেসামরিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। বিষয়টি নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

চীনা দূতাবাস জানায়, ইসরায়েলের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় বাণিজ্যিক ফ্লাইটের মাধ্যমে দেশ ত্যাগ করা সম্ভব নয়। তাই চীনা নাগরিকদের জর্ডান সীমান্ত দিয়ে স্থলপথে ইসরায়েল ত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

দূতাবাসের এই সতর্কবার্তা চীনের ইউচ্যাট চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে, যাতে ইসরায়েলে অবস্থানরত চীনা নাগরিকরা দ্রুত তথ্য পেতে পারেন। এছাড়া চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ইসরায়েলে অবস্থানরত নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতা জারি করেছে।

এদিকে চীনের পক্ষ থেকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর জন্য উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানানো হয়েছে।


আরও খবর