
বুলবুল আহমেদ সোহেল ঃ
রাজধানীর রামপুরা থেকে নিখোঁজের তিনদিন পর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরেশের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের বনানীঘাট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে পরিবারের লোকজন এসে তার লাশ শনাক্ত করেন।
নিহতের স্বজনদের দাবি ৪ নভেম্বর রাতে রামপুরা থেকে নিখোঁজ হয় সে। এ ব্যাপারে রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরেশের সাথে সর্বশেষ বনশ্রীর এক নারীর সর্বশেষ কনটাক্ট হয়। সে সূত্র ধরে পুলিশ ওই নারীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোন ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
ফারদিন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। ভর্তিপরীক্ষার সময় বুয়েট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছিল। বুয়েট ডিবেট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ছিল ফারদিন। ওয়াল্ড ইউনিভার্সিটির ডিবেট চেম্পিয়ন শীপ হিসেবে আগামী জানুয়ারি মাসে স্পেন যাওয়ার কথা ছিল। তাদের করোরই ধারণা নেই কারা কি কারণে তাকে হত্যা করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে ধারণা করছেন ফারদিনের মেধার কারণে ঈর্ষান্বিত হয়ে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।
মরদেহ উদ্ধার কারি নৌ পুলিশ জানিয়েছে লাশটি নদীর জোয়ারে ভেসে এসেছে। ৯৯৯ এ খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান ; দুপুরে ফারদিনের প্রথম জানাজা হবে বুয়েটে। বিকেলে ডেমরা সামসুল হক স্কুল ও কলেজে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পৈতৃক ভিটা নারায়ণগঞ্জের দেলপাড়ায় তৃতীয় জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হবে। পরবর্তীতে পারিবারিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কোন থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে শিক্ষার্থীর ফারদিন নূর পরশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়না তদন্তের ডা. ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের শরীরের বুকে ও মাথায় যে পরিমাণ আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে তাতে নিশ্চত এটি হত্যাকান্ড। তার ভিসেরা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন বেলে মৃত্যুর কারন সম্পর্কে স্পষ্ট হওয়া যাবে।
নিহতের পরিবার সুষ্ঠ তদন্ত শেষে খুনিদের শনাক্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।