Logo
শিরোনাম

চাকু ও খেলনা পিস্তল সহ কিশোর গ্যাংকের ৩ সদস্য আটক

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

ধারালো টিপ চাকু, প্লাস্টিকের খেলনা পিস্তল ও গাঁজার পুরিয়া উদ্ধার, কিশোর গ্যাংকের লিডার সহ ৩ জন সদস্য কে আটক করেছে র‌্যাব।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্প থেকে প্রতিবেদক কে জানানো হয়,

র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি চৌকশ অপারেশনাল দল কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ মোস্তফা জামান এবং স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা এর নের্তৃত্বে শুক্রবার দিনগত রাত পনে ৯ টারদিকে জয়পুরহাট জেলার সদর থানাধীন পৃথিবী কমপ্লেক্স এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কিশোর গ্যাংয়ের লিডার বগুড়া জেলা সদরের নিশিনদারা মধ্যপাড়া-এপি সং-প্রফেসরপাড়া, থানা ও জেলা-জয়পুরহাট এর জৈনক

 নওশাদ আলীর ছেলে মোঃ সাঈদ নাঈম (২৪) সহ তার দু' সহযোগী জয়পুরহাট জেলা সদর উপজেলার গুলশানমোড় এলাকার কোরবান আলীর ছেলে মোঃ কারিমুল ইসলাম (২৩) ও শান্তিনগর এলাকার মৃত আব্দুল ওয়াহেদ সরদারের ছেলে মোঃ নাহিদ হাসান (২৩) কে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। 

র‌্যাব আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত ৩ জন জয়পুরহাট সদর থানা এলাকার উদীয়মান কিশোর সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। এরা ৫/৭ জনের একটি দল গ্রুপ লিডার সাঈদের নেতৃত্বে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটিয়ে থাকে। তারই ধারাবাহীকতায় ঘটনার সময় তারা প্রায় ৫/৬ জন জয়পুরহাট সদর থানার সামনে পৃথিবী সিনেমা কমপ্লেক্সের ৩য়' তলায় একত্রিত হয়ে ছিনতাইয়ের প্রস্তুুতি নিচ্ছিল। এ সময় জয়পুরহাট র‍্যাব ক্যাম্পের আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করলে কিশোর সাঈদ গ্যাংয়ের মূলহোতা সাঈদ সহ ৩ জন সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। এসময় র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আরো ২/৩ জন পালিয়ে যায়। তল্লাশীতে তাদের কাছ থেকে একটি প্লাস্টিকের পিস্তল, ধারালো টিপ চাকু, গাঁজার পুরিয়া সহ মাদক সেবন করার অন্যান্য সরঞ্জামাদিও উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব।


আরও খবর



ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে কমলাপুরে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। নাড়ির টানে বাড়ির পথে মানুষ। এতে বাস, লঞ্চ টার্মিনালের মতো কমলাপুর রেলস্টেশনেও বেড়েছে চাপ। এদিকে শেষ মুহূর্তের দিন ট্রেন যাত্রায় ভেঙে পড়েছে রেলের নিয়মশৃঙ্খলা। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছাদ ভর্তি যাত্রী নিয়েই রওয়ানা করছে ট্রেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদে বাড়ি ফেরার তাগিদে সকাল থেকে স্টেশন ভিড় করছেন যাত্রীরা। অনেকের ট্রেনের সময় হয়নি কিন্তু আগেই চলে এসেছেন। অনেকে টিকিট পাননি কিন্তু এসেছেন, কোনোভাবে যাওয়া যায় কিনা। টিকিট কাউন্টারের সামনেও কিছু লোকের জটলা চোখে পড়েছে। প্ল্যাটফর্মে তো মানুষে মানুষে ভরপুর।

এছাড়া ভোর থেকে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ময়মনসিংহ-জামালপুর আর উত্তরবঙ্গের সব ট্রেনেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের ভেতর গাদাগাদি করেই উঠছে ঘরে ফেরা মানুষেরা। বাড়ি ফিরতে মরিয়া যাত্রীরা ট্রেনের সিট না পেয়ে উঠেছেন ছাদে। তীব্র গরমেও ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুন। তবে স্বস্তির খবর প্রতিটি ট্রেন কমলাপুর থেকে শিডিউল মেনে সঠিক সময়ে ছাড়ছে। ভোগান্তি থাকলেও যথাসময়ে ট্রেন যাত্রা করায় স্বস্তির কথা জানিয়েছে কেউ কেউ।

রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী মারিয়া বলেন, নিদির্ষ্ট সময়ে ট্রেন পাওয়া ঈদের আগে যেন বাড়তি আনন্দ। সময়মতোই পরিবারের কাছে যেতে পারবো, এই ভেবে বাকি কষ্ট, কষ্টই মনে হচ্ছে না।

সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী আজাদ হোসেন বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটায় কোন ভোগান্তি হয়নি। আর এখানে এসে মানুষের চাপের কারণে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে এটি ঈদে স্বাভাবিক পরিস্থিতি। আমরা এতে অভ্যস্থ।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৭টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে কমলাপুর ছেড়েছে। আজ সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও সবগুলো ট্রেন যথাসময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। যাত্রী সাধারণের কোন অভিযোগ-আপত্তি নেই। দিনের বাকি সময়ও নিরাপদ যাত্রা হবে বলে আশা করছি।


আরও খবর



নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে ইসরায়েলজুড়ে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানী তেল আবিব বিক্ষোভ উত্তাল। এতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। ইহুদিবাদী নেতা নেতানিয়াহুকে চুক্তির পথে বাধা বলে উল্লেখ করে তাকে ক্ষমতাচ্যুত না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

এর আগেও এমন বিক্ষোভ হয়েছে। তবে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন তিনি পদত্যাগ করবেন না।

গাজায় হামলা ঘিরে সাধারণ মানুষ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রবল চাপে রয়েছে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক জোট। গাজায় জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সংহতি জানিয়েছে এসব আন্দোলকারী।

গত শনিবার শুরু হওয়া বিক্ষোভ ছড়িয়েছে তেল আবিব, জেরুজালেম, হাইফা, বেয়ার শেভা, সিজারিয়া এবং অন্যান্য শহরে। প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নেমে আসা হাজারও বিক্ষোভকারী। তারা গাজায় এখনও বন্দি থাকা ইসরায়েলিদের মুক্তির দাবি জানান।

বিক্ষোভে অংশ নিয়ে জিম্মি লিরি আলবাগের মা শিরা আলবাগ বলেন, আমার ছেলে এবং অন্য জিম্মিরা কী অবস্থায় আছে, সেই চিন্তা ও ভয়ে ১৭৬ দিন ধরে অন্য কিছু ভাবতে পারি না।

তিনি বলেন, জিম্মি বিনিময় চুক্তিতে যে-ই বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাকে ইসরায়েলের জনগণ ক্ষমা করবেন না। এখন আর কোনো অজুহাত চলবে না।

বিক্ষোভে অংশ নেন প্রায় ৫৪ দিন আগে মুক্তি পাওয়া জিম্মি রাজ বেন-আমি। বিক্ষোভকারীরা জিম্মি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তারা সবাই বাড়ি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামব নাবলে স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভ দমাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই মধ্যে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামলায় ১২শর বেশি মানুষ নিহত হয়। জিম্মি করে নিয়ে যায় আরও ২৪২ জনকে। ওই দিন থেকে পাল্টা আক্রমণে তীব্র আক্রোশে গাজার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার দেশটি। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলায় পুরো গাজা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

প্রায় ছয় মাসের মতো ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ৩২ হাজার ৭০৫ ফিলিস্তিনি। আর আহত হয়েছেন ৭৫ হাজার ১৯০ জন। ঘরবাড়ি হারিয়ে গাজার বাসিন্দারা প্রায় সবাই উদ্বাস্তু হয়ে গেছে।

কঠোর অবরোধ ও অবিরাম হামলার মধ্যে থাকা গাজাবাসীরা অনাহারে ভুগতে ভুগতে দুর্ভিক্ষের প্রান্তে চলে গেছে। ইতোমধ্যেই অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় শিশুসহ অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষুধায় বেপরোয়া হয়ে ওঠা লোকজন ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ,নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পঞ্চকরনে গৃহিনীকে (৫০) প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে রাস্তায় ফেলে মারধরের ঘটনায় আবুল

আইচ(৫৫) নামে এক ইমামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোরেলগঞ্জ থানার মামলা নং ২৩, তারিখ-২৮.৩.২০২৪।

কুমারিয়াজোলা গ্রামের সবুর শেখের ছেলে আবুলাইচ শেখ মহিশচরণী আফতাব আলী খানের বাড়ির জামে মসজিদের ঈমাম ও মহিষচরণী জেন্নাতিয়া হাফেজিয়া মাদরাসার শিক্ষক। বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

  এর আগে, বুধবার বিকেলে মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগে ঈমাম আবুল আইচ তার প্রতিবেশি ওই নারীকে পঞ্চকরন ইউনিয়নের কুমারিয়াজোলা গ্রামের পাঁচগাও বাজার ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় লোকজনের সামনেই ঘাড় ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে স্বজোরে খাড়া লাথি দিয়ে গুরুতর আহত করে।

তাৎক্ষনিক ঘটনাটি নিকটস্থ ফাড়ি পুলিশকে জানিয়েছেন এবং আহত ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য ওই গৃহিনীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি গোপনে স্থানীয় এক যুবক মোবাইলে ধারণ করলে পরে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে গেলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

বিজলী আক্তার নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান দাবী করে বলেন, অপরাধে প্রকাশ্যে ঘাড়ধরে ধাক্কা  মেরে রাস্তায় ফেলে আমার মাথায়, চোখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। লাথি মেরে তলপেটে গুরুতর আঘাতে রক্তাক্ত জখম করে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে প্রশাসনের কাছে আমার ওপরে এ হামলাকারীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

 এ বিষয়ে পঞ্চকরন ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার বলেন, বিজলি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, তার ওপরে এ ধরনের হামলার ঘটনা দূঃখজনক। হামলাকারীদের আইনের আওতায় দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী করেন তিনি।

এ বিষয়ে  মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, মধ্য বয়সী এক নারীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। একমাত্র আসামি আবুল আইচকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও খবর



দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য নামাজ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে সারা দেশ এই গরমে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে ফসল এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ বিশেষ মোনাজাত করেছেন মুসল্লিরা

টানা খরায় পুড়ছে ঈশ্বরদীও। চারিদিকে বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছে। বৃষ্টি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে ফসল। নেমে গেছে পানির স্তর। দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট। বাতাসে আর্দ্রতা কমে গেছে। আকাশে মেঘ নেই বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাসও নেই। সোমবার (১৭ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ  তাপমাত্রা ছিল। 

ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটির উদ্যোগে শহরের পূর্বটেরী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়

নামাজে ইমামতি করেন ঈশ্বরদী সিদ্দিকীয়া কওমিয়া মাদ্রাসার প্রাক্তন মুহ্তামিম মাওলানা আব্দুল হান্নান। ইসতিসকার নামাজের আগে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান দেন ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি ওয়ালিউল্লাহ

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লি এম এস জোহা বলেন, অতি তীব্র তাপদাহে ঈশ্বরদীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গরমের তীব্রতা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) তার জীবদ্দশায় এরকম ইসতিসকার সালাত আদায় করতেন। আমরাও ইসতিসকার নামাজে আজ অংশ নিয়ে আল্লাহ কাছে বৃষ্টি গরমের তীব্রতা নিরসনের জন্য দোয়া কামনা করেছি।  

কুমিল্লা : তাপদাহ থেকে রক্ষা রহমতের বৃষ্টির জন্য ঢাকার পর এবার কুমিল্লায় ইসতেসক্বার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমিল্লা ওলামায়ে ক্বেরামের উদ্যোগে সকাল ১০টায় নগরীর রেসকোর্স নূর মসজিদ তাবলিগ মার্কাজে ওই সালাতের আয়োজন করা হয়। নামাজ মোনাজাত পরিচালনা করেন মুফতি ছামসুল ইসলাম জ্বিলানী। নামাজে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের দুই শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা

মুফতি ছামসুল ইসলাম জ্বিলানী বলেন, ‘আমরা অপরাধী এই অপরাধের কারণে আজ আজাব নেমে এসেছে তাই মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বৃষ্টির জন্য নামাজ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে

মানিকগঞ্জ : প্রচণ্ড দাবদাহে সারাদেশের মতো মানিকগঞ্জের জনজীবন বিপর্যস্ত। অবস্থায় বৃষ্টির জন্য মানিকগঞ্জে বিশেষ নামাজ মোনাজাত করেছেন মুসল্লিরা। সকাল ১০ টার দিকে শহীদ মিরাজ তপন স্টেডিয়ামে ইস্তিসকার সালাতের আয়োজন করে  জেলা ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদ। জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই নামাজে ইমামতি করেন হযরত মাওলানা মহিবুল্লাহ

ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, মহানবী (সাঃ) তৎকালীন সময়ে অনাবৃষ্টি খরার সময় সাহাবীদের সাথে নিয়ে খোলা ময়দানে দুই রাকাত ইস্তিসকার নামাজ আদায় করতেন। আমরা আমাদের প্রিয় নবীর সুন্নাহকে অনুসরণ করে বৃষ্টির জন্য দুই রাকাত নামাজ আদায় করেছি। মহান আল্লাহ আমাদের নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিবেন এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা

চুয়াডাঙ্গাচুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বয়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে প্রকট আকার ধারণ করে রূপ নিয়েছে অতি তাপপ্রবাহে। তীব্র গরম তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এমন অবস্থায় চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকা) আদায় করা হয়েছে। সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় শতাধিক মুসুল্লি নিয়ে এই নামাজের জামাতে ইমামতি করেন মুফতি আব্দুর রাজ্জাক। নামাজ শেষে বৃষ্টি চেয়ে এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়

ঝিনাইদহতাপদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে একফোঁটা বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন ঝিনাইদহের মুসল্লিরা সকালে শহরের ওয়াজির আলী স্কুল মাঠে জেলা ইমাম পরিষদের আয়োজনে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয় এতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকশ মুসল্লি অংশ নেন

নামাজের ইমামতি করেন শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব শায়েখ মোহাম্মদ সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের পাপ থেকে মুক্তি চেয়েছি খোদার কাছে। নবী করিম (সাঃ) খোদাতাআলার কাছে বিশেষ নাময়ের মাধ্যমে মুক্তি চাওয়া হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আমরা তার রহমত পাব


আরও খবর



বিলুপ্ত হচ্ছে হাজার কোটি টাকার ইভিএম

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

বহুল আলোচিত নির্বাচন কমিশনের কেনা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে। সরকার নতুন করে টাকা বরাদ্দ না দিলে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেই হবে এর সমাপ্তি। পুড়িয়ে বা নষ্ট করে ফেলা হবে সচল-অচল মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার এ মেশিনগুলো।

২০১৮ সালে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ইভিএম প্রকল্প চালু করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওইসময় দেড় লাখ ইভিএম ক্রয় করে ইসি। যেখানে প্রতিটি ইভিএম কিনতে খরচ হয় ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। মেশিনগুলোর জীবনকাল কমপক্ষে ১০ বছর ধরা হলেও পাঁচ বছরের মাথায় নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে বেশিরভাগ যন্ত্র। বর্তমানে দেড় লাখের মধ্যে ১ লাখের বেশি ইভিএম নষ্ট। এতে রাষ্ট্রের ক্ষতি প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। আর মেরামতের জন্যও নেই অর্থের জোগানও।

এদিকে চলতি বছরের জুনেই শেষ হচ্ছে ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ। সরকারি অর্থ বরাদ্দ না পেলে শেষ হবে ইভিএম অধ্যায়। প্রকল্প হাতে নেয়ার সময় সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এ পরিণতি বলে মনে করছেন ইভিএম প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

ইভিএম প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান জানান, পরবর্তীতে কমিশন যখন এ প্রকল্প নেয়, তারপর থেকে ৬০ থেকে ৭০ হাজার ইভিএম মেশিন বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডে (বিএমটিএফ) সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়। সেভাবেই ৬০ থেকে ৭০ হাজার ইভিএম সংরক্ষণ করে আসছিল। এখন পর্যন্ত বিএমটিএফে এক লাখ দুই হাজারের মতো ইভিএম সংরক্ষণ আছে। ওয়ারহাউসের একটি খরচ আছে কিন্তু সমস্যা হয়ে গিয়েছিল যে, প্রকল্পে ওয়ারহাউসের ভাড়াটা ধরা ছিল না। এটা একটা বড় সমস্যা।

ভবিষ্যতে ইভিএম আবার আসবে কিনা তা জানতে চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেবে নির্বাচন কমিশন। সরকার নতুন করে অর্থ বরাদ্দ না দিলে এবারের উপজেলা নির্বাচনই হবে ইভিএমে শেষ নির্বাচন এমনটাই জানিয়েছে কমিশন। সেক্ষেত্রে পুড়িয়ে ফেলা হবে সচল-অচল মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার ইভিএম।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, সংরক্ষণ করার টাকা না পেলে সেক্ষেত্রে আমাদের এগুলো ধ্বংস করতে হবে। এ প্রকল্প যখন পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তখন পরিকল্পনাটা ত্রুটিপূর্ণ ছিল। ইভিএম ক্রয় করা এবং ব্যবহার করা হবে সেটার জন্য বাজেট রাখা হয়েছিল। কিন্তু সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়নি, সেক্ষেত্রে এই প্রজেক্টটা ঠিকবে না।

সংসদ, স্থানীয় ও উপনির্বাচন মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার নির্বাচন হয়েছিলো ইলেকট্রনিক এ ভোটিং মেশিনে।


আরও খবর