Logo
শিরোনাম

চাল ও আটার দাম আরও বেড়েছে

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

এক সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে বেড়েছে মোটা চালসহ প্রায় সব ধরনের চালের দাম। মোটা চাল ন্যূনতম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২ টাকা। আর মাঝারি ও চিকন চালের দাম বেড়েছে ২-৫ টাকা পর্যন্ত।

আর গত এক মাসে তিন দফা বেড়ে আটার দাম প্রতি কেজি ৭৫ টাকায় ঠেকেছে। দুই কেজি ওজনের প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। খোলা আটা নিলে পাওয়া যাচ্ছে ৫-১০ টাকা কমে। তবে কমেছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। কিছুটা কমতি সবজির দামও। তেল, চিনি, আটা, ডাল ও অন্যান্য মুদি উপকরণের দাম আগের মতোই রয়েছে। রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

তার দেওয়া হিসাবে, বাজারে মোটা পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬-৬০ টাকা। মাঝারি মানের মিনিকেট ৭০-৭২ টাকা ও সরু নাজির চাল ৭৫-৮৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে পাইজাম চালের দাম বেড়েছে ২ টাকা, মিনিকেট ২ টাকা ও ভালো মানের নাজিরশাইল চালের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। চিকন চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে ৬৮ টাকা, মাঝারি বা পাইজাম চাল ২ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা এবং মোটা চাল কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

বাজারে কথা হয় বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে। তারা বললেন, যখন চালের কেজি ৫০ টাকা ছিল তখন ৩২ টাকায় এক কেজি আটা কেনা যেত। এখন লাগে ৬৫ টাকা। সেজন্য সকালে রুটি খাওয়া বন্ধ করেছেন তিনি।

অন্যদিকে বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে দুই সপ্তাহ আগে বেড়ে যাওয়া তেল ও চিনির দাম। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৯০ টাকা এবং চিনির দাম ১০৭ টাকা নির্ধারিত রয়েছে। তবে চিনি ১১০ থেকে ১১৫ টাকা আর ১৯০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে তেল-চিনি।

বাজারে প্রতি কেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। আকার ভেদে পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা। বাজারে শিমের কেজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ৬০-৮০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, মিষ্টিকুমড়ার কেজি ৫০-৫৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢ্যাঁড়শ ৬০, কচুরলতি ৭০-৮০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৬০-৮০ ও ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা কেজি।

বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা। বাজারে সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা। আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা। প্যাকেট চিনির কেজি ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খোলা আটার কেজি ৬০-৬২ টাকা ও প্যাকেট আটার কেজি ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকায়।

দেশি মশুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মশুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা। বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা। আগে এক লিটার তেলের বোতলের দাম ছিল ১৭৮ টাকা। তেলের ৫ লিটারের বোতল আগে ছিল ৮৮০ টাকা। এখন পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯২৫ টাকায়। লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা।

বাজারে কমেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। ফার্মের লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। কিছুদিন আগে লাল ডিমের ডজন ছিল ১২৫-১৩০ টাকা। বেড়েছে হাঁসের ডিমের দাম। ডজনে ১০ টাকা করে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়। কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা। কেজিতে ১০ টাকা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৫০-১৬০ টাকা। কমেছে সোনালি মুরগির দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০-৩০০ টাকা। গত সপ্তাহে কেজি ছিল ৩০০-৩১০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ টাকায়।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁর উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শীত। এই শীতে গরম কাপড়ের অভাবে অনেকটাই নাজেহাল হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল, ভবঘুরে ও খেটে খাওয়া নিম্ম আয়ের মানুষরা। এমন শীতার্ত মানুষদের শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা করতে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক। চলতি শীত মৌমুসে দেশের শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছেন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক ও ফকির গ্রুপের এমডি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আক্তারুজ্জামান (সিআইপি) ও ফকির মাশরিকুজ্জামান। ইতিমধ্যেই দেশের শীত প্রবণ সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ বিভিন্ন জেলার শীতার্ত মানুষদের মাঝে স্থানীয়দের সহযোগিতায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। স্যারদের নির্দেশনা মোতাবেক পুরো দেশের যে সব অঞ্চলে শীত বেশি হয় সেই সব জেলায় ধারাবাহিক ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান রাখা হবে বলে জানিয়েছে ফকির গ্রুপের আইটি বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দীন। দেশব্যাপী শীতবস্ত্র বিতরণের অংশ হিসেবে উত্তরের জেলা নওগাঁর রাণীনগরে সহস্রাধিক শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ফকির নিটওয়্যারস লিমিটেডের আয়োজনে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম, ফকির গ্রুপের হিসাব শাখার সিনিয়র অফিসার আশরাফুজ্জামান। এই বিতরণ কার্যক্রমে স্থানীয় ভাবে সহযোগীতা করেন রিপন নীল, আবু হাসান আকাশ প্রমুখ।

আয়োজকরা জানান, আগামীতে যদি এই অঞ্চলে শীতের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পায় তাহলে সরকারের পাশাপাশি ফকির গ্রুপের আয়োজনে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে আরো বেশি সংখ্যক শীতবস্ত্র নিয়ে হাজির হবে ফকির গ্রুপ। শুধুমাত্র নিশ্চিত করতে হবে যেন শীতবস্ত্রগুলো প্রকৃত শীতার্ত মানুষরা পান। এই উপজেলায় আগামীতে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে শীতবস্ত্র বিতরণের আশ্বাস প্রদান করেন আয়োজকরা।  


আরও খবর



ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতীমূলক

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। এখনও লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতীমূলক। এ ধরনের কর এমন এক সময়ে বাড়ানো হলো যখন দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে শুধু নিম্ন আয় ও প্রান্তিক আয়ের মানুষ নয়; মধ্যবিত্তরাও হিমশিম খাচ্ছেন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানী নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। তারা এখনো বাজার সিন্ডিকেট দমন করতে পারেনি। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা মানুষ। প্রতিদিনের সংসারের ব্যয় মেটাতে জনগণকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এর মধ্যে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। তাতে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরেক দফা বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

এমনিতেই মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। সেখানে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, আচার, টমেটো কেচাপ বা সস, জুস, টিস্যু পেপার, ফলমূল, সাবান-ডিটারজেন্ট পাউডার, মিষ্টি, চপ্পলের ওপর ভ্যাট হার বৃদ্ধি মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষকে আরও চাপে ফেলবে, বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, বাজেটের আগেই এসব পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমবে। নতুন করে সংকটে পড়বে ব্যবসা-বাণিজ্য। জনজীবনের নিত্য দুর্ভোগ কিংবা বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি শুধু সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করেন, তাহলে জনগণের কাছে সংস্কার আগে না সংসার প্রশ্নটিই মুখ্য হয়ে উঠতে পারে।

তিনি আরও বলেন, দুর্ভোগ মেনে নিলেও জনগণ এখনো সরকারের বিরুদ্ধে তেমন উচ্চবাচ্য করছে না। কারণ, জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সফল দেখতে চায়। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেরা নিজেদেরকে সফল দেখতে চায় কিনা, মানুষের ক্ষুধা নিবৃত্তির কার্যক্রমের মাধ্যমে সেটি তাদেরকেই প্রমাণ করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন— বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ফরিদপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিমুজ্জামান, সহ প্রচার আসাদুল করিম শাহীন, কেন্দ্রীয় নির্বাহীর কমিটির সদস্য (দফতরে সংযুক্ত) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, তারিকুল আলম তেনজিং, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির জাহিদ প্রমুখ।


আরও খবর



নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কে ট্রাক চাপায় ৩ বন্ধুর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের কেশরহাট নামক এলাকায় অজ্ঞাত ট্রাক চাপায় দুটি মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী মোট ৩ জন বন্ধু যুবকের মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়। নিহতরা সবাই নওগাঁর মান্দা উপজেলার বাসিন্দা। গত বুধবার দিনগত রাতে নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের কেশরহাট এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় স্পটেই ৩ জনের মৃত্যু হয়। সড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে মোহনপুর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের টিম দূর্ঘটনাস্থলে পৌছানোর পরও সে সময় প্রথমে নিহতের নাম-পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তাদের নাম পরিচয় সনাক্ত করার পর স্বজনদের কাছে নিহত ৩ বন্ধু যুবকের মৃতদেহ হস্তান্তর করেন পুলিশ। নিহত ৩জন বন্ধু হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার বনকুড়া গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে কাউসার আলী (১৯), দক্ষিণ চকবালু গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে কাউসার হোসেন (২০) ও আশরাফ আলীর ছেলে সাহাদৎ হোসেন (১৯)। নিহত ৩জন বন্ধু ২০২৩ সালে এইচএসসি পাশ করেন। মান্দা উপজেলার বনকুড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জব্বার জানান, নিহত ৩ জন বন্ধু গত বুধবার সন্ধার পর দুটি মোটরসাইকেল যোগে রাজশাহী থেকে নিজ বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলাতে ফেরার পথে নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের কেশরহাট এলাকায় পৌছালে সে সময় অজ্ঞাত একটি ট্রাক তাদেরকে চাপাদিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ৩ জন বন্ধুর মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর পৌছার পর থেকে এলাকার লোকজনের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছাঁয়া। পরে আইনানুগ পক্রিয়া শেষে নিহত ৩ জন বন্ধু যুবকের মৃতদেহ গ্রামে নিয়ে আসাহয় এবং বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মান্দা উপজেলার দক্ষিণ চকবালু গ্রামে কাউসার হোসেন ও সাহাদৎ হোসেন এর এবং বেলা ১১টায় কাউসার আলীর জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবর স্থানে দাফন সম্পূর্ন করা হয়। একই সড়ক দূর্ঘটনায় ৩ জন বন্ধু (যুবকের) মৃত্যুতে তাদের পরিবার, স্বজন ও গ্রামবাসী সহ এলাকাজুড়ে লোকজনের মাঝে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।


আরও খবর



সুখবর পেলেন অপূর্ব

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে গেল সপ্তাহে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বের অভিষেক হয় কলকাতার সিনেমায়। ওপার বাংলার নির্মাতা প্রতিম ডি গুপ্ত’র ‘চালচিত্র’ দিয়ে তার এই যাত্রা শুরু। সিনেমাটি মুক্তির এক সপ্তাহের মধ্যেই সুখবর পেলেন এই অভিনেতা। জানলেন, ‘চালচিত্র’র সিকুয়েলের খবর। আর নতুন পর্বেও পাওয়া যাবে অপূর্বকে।

গেল ২০ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়াচালচিত্রসিনেমায় রহস্যময় এক চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপূর্ব। তার অভিনীত চরিত্রটি গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। সিনেমাটি বক্স অফিসে প্রত্যাশা অনুযায়ী আলোড়ন তুলতে না পারলেও সমালোচকদের নজর এড়ায়নি। অল্প সময় পর্দায় থাকলেও প্রশংসিত হয়েছে অপূর্বর অভিনয়।

অপূর্বর প্রশংসা করে নির্মাতা প্রতিম ডি গুপ্ত বলেন, ‘অপূর্বর মধ্যে একটা চার্ম আছে। কারণে তাকে নাটকীয়ভাবে দেখানোর চেষ্টা করেছি। দর্শকদের সেটা খুব পছন্দ হয়েছে।

চালচিত্র গল্পের প্রেক্ষাপট ১২ বছর আগের একটি মামলা। সেখান থেকেই শুরু হবে সিকুয়েলের গল্প। ছাড়া সিনেমাটি যেখানে শেষ হয়েছে, তার পরের গল্পও বলা হবে নতুন সিনেমায়। তাই এটিকে শুধু সিকুয়েল বলতে নারাজ নির্মাতা।

সিনেমার নাম চূড়ান্ত না হলেও জানা গেছে, প্রযোজনায় থাকছে ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন। আর শুধু অপূর্বই নন, ‘চালচিত্র প্রথম পর্বের অভিনেতা টোটা রায় চৌধুরী, অনির্বাণ চক্রবর্তী, ব্রাত্য বসু, শান্তনু মাহেশ্বরীরাও থাকবেন পরের পর্বে। বর্তমানে এর চিত্রনাট্য নিয়ে ব্যস্ত আছেন নির্মাতা। আর নতুন বছর শুরু হবে এর শুটিং।


আরও খবর



দেশে বর্তমানে বেকার ২৬ লাখ ৬০ হাজার মানুষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জানিয়েছে, বর্তমানে বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দেশে কিছুটা বেড়েছে। ২০২৪ সালের শুরুতে দেশে বেকার মানুষ কম থাকলেও বছর শেষে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে এই সংখ্যা। দেশে বর্তমানে মোট বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৬০ হাজার।

দেশে কর্মে নিয়োজিত বা শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। সম্প্রতি ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শ্রমশক্তি জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিএস।

জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষি, সেবা ও শিল্পসহ সব খাতেই কমেছে কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী। নারীর চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে পুরুষ বেকারের সংখ্যা।

বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস শেষে দেশে পুরুষ বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৯০ হাজার। এ ছাড়া নারী বেকারের সংখ্যা ৮ লাখ ৭০ হাজার।

২০২৩ সালের একই সময়ে পুরুষ বেকার ১৬ লাখ ৪০ হাজার, আর নারী বেকার ছিল ৮ লাখ ৫০ হাজার। সে হিসাবে পুরুষ বেকার বেড়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার এবং নারী বেকার বেড়েছে ২০ হাজার।

বিবিএস জানায়, শ্রমশক্তিতে এখন (তৃতীয় প্রান্তিকে) ৫ কোটি ৯১ লাখ ৮০ হাজার নারী-পুরুষ আছেন। অথচ ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে এ সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা কমেছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার। যেখানে মোট শ্রমশক্তিতে থাকা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৫ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার লোক কর্মে নিয়োজিত। বাকিরা বেকার।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নিয়ম অনুযায়ী, বেকার জনগোষ্ঠী মূলত তারা, যারা গত সাত দিনের মধ্যে মজুরির বিনিময়ে একঘণ্টা কাজ করার সুযোগও পাননি। এ ছাড়া গত এক মাস ধরে কাজ খুঁজেছেন, কিন্তু মজুরির বিনিময়ে কোনো কাজ পাননি। বিবিএস এ নিয়ম অনুসরণ করেই বেকারের হিসাব দিয়ে থাকে।


আরও খবর