Logo
শিরোনাম

চালের বাজারে আবারও অস্বস্তি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

আতপ চাল রপ্তানিতে বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। এখন থেকে বাংলাদেশে আতপ চাল আমদানিতে ২০ শতাংশ হারে রপ্তানি শুল্ক দিতে হবে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের। খুদ রপ্তানিও নিষিদ্ধ করেছে দেশটি। আমদানিকারকদের আশঙ্কা, ভারতের এ সিদ্ধান্তে আবার অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে চালের বাজার। এদিকে, শুল্ক বৃদ্ধিকে দাম বাড়ানোর অজুহাত হিসেবে কাজে লাগাচ্ছেন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।

লাগামহীনভাবে চালের দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয় সরকার। এ লক্ষ্যে আমদানি বাড়াতে দেওয়া হয় শুল্ক ছাড়। গত ২৮ আগস্ট চাল আমদানির ওপর ১০ শতংশ শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করে বাজারে। আমদানি বেড়ে যাওয়ায়, কয়েক দিনের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরায়, সব ধরনের চালের দাম কেজিতে কমে আসে ৫ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু ভারত আতপ চাল রপ্তানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আবার অস্থিতিশীল হচ্ছে চালের বাজার।

আমদানি করা চাল পাইকারি ও খুচরা বাজারে আসছে না- এমন অভিযোগ করে পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানি করা চালের পুরোটাই কিনে নিচ্ছেন মিল মালিক ও হাতে গোনা বড় কয়েকটি কোম্পানি। দেশের উৎপাদন এবং আমদানি মিলে পুরো মজুদ থাকছে তাদের কাছেই। আর তাদের খেয়াল-খুশিতেই নির্ধারিত হচ্ছে দাম। সরবরাহ বাড়াতে মিল গেট এবং মজুদ পর্যায়ে তদারকির দাবি ব্যবসায়ীদের।


আরও খবর



নওগাঁয় জীবন্ত মাতৃ পূজা করলেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভক্তির মাধ্যমে সকল মানুষ এর প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত করার প্রত্যয় নিয়ে শুক্রবার দিনব্যাপী নওগাঁর মহাদেবপুরে ''রঘুনাথ জিউ মন্দির'' প্রাঙ্গণে দিন ব্যাপি এ মাতৃ পুজার আয়োজন করেন বাংলাদেশ সনাতন বিদ্যাপীঠ মহাদেবপুর উপজেলা শাখা।

সনাতন বিদ্যাপীঠের পরিচালক অমিত কুমার মন্ডল জয়ের পরিচালনায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৩ শতাধিক সনাতন ধর্মীয় সন্তান তাদের জীবন্ত মায়ের চরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে এ পূজা করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল দেবী দূর্গার আগমনী নৃত্য, রাবন বধ, রুদ্রা নৃত্যানুষ্ঠান, ছোটদের নাটক ও সনাতন ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশন।

মহাদেবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি অজিত কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে জীবন্ত মাতৃপূজা ও দেবীর আগমনী (মহালয়া) উৎসব অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি তপন কুমার সেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদ ৪৮, নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের সাংসদ আলহাজ্ব ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহাদেবপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অনুকূল চন্দ্র সাহা বুদু, জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম নূরাণী আলাল, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ হাসান তরফদার শাকিল, চেরাগপুর ইউপি চেয়ারম্যান শিবনাথ মিশ্র শিবু, মন্দির কমিটির সভাপতি নির্মল চন্দ্র বিশ্বাস, সহ সভাপতি ও সাবেক শিক্ষক মাতৃ প্রসাদ, সাধারণ সম্পাদক অমিয় কুমার মন্ডল, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রভাত কুশুম ব্যানার্জী বাবুল। উপজেলা আ'লীগের সহঃ সভাপতি বদিউজ্জামান বদি, যুগ্ম সম্পাদক বাবুল চন্দ্র ঘোষ, প্রচার সম্পাদক বিশ্বনাথ অথিকারী গোপাল।


আরও খবর



অপহরনের এক মাস পর স্কুল ছাত্রী উদ্ধার' যুবক আটক

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় থানা পুলিশের অভিযান। অপহরনের এক মাসপর অপহৃত স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী (১৫) কে উদ্ধার সহ অপহরনের অভিযোগে অভিযুক্ত রাসেল হোসেন (২৫) নামে এক যুবক কে আটক। 

আটককৃত যুবক রাসেল হোসেন নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পানিয়ালপাড়া গ্রামের আফতাব হোসেন এর ছেলে। স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী অপহরনের ঘটনাটি ঘটে গত ১৩ আগস্ট নওগাঁ রাণীনগর উপজেলায়। এঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর রাণীনগর থানা পুলিশের চৌকস টিম শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযান পরিচালনা করে ছাত্রীকে উদ্ধার সহ অভিযুক্ত এক যুবক কে আটক করেন।

উদ্ধার করার পর ভিকটিম স্কুল ছাত্রীকে শনিবার মেডিকেল চেকআপে পাটানো হয়েছে এবং গ্রেফতার রাসেলকে বিজ্ঞ আদালত এর মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।

এব্যাপারে রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ থানায় দাখিলকৃত মামলার এজাহার এর বরাদ দিয়ে জানান,গত ১৩ আগস্ট রাণীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক স্কুল ছাত্রী সকালে বাড়ী থেকে বের হয়ে বিদ্যালয়ে যায়। এরপর বিদ্যালয় ছুটি হলে বিকেল সারে ৪টা নাগাদ বাড়ী ফেরার সময় গ্রেফতারকৃত রাসেল সহ আরো কয়েক জন জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। এঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাসেল সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে আসামী করে থানায় অপহরন মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার আবাদ পুকুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার সহ রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো জানান, স্কুল ছাত্রীকে মেডিকেল চেকআপ করার জন্য নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চেকআপ শেষে জবানবন্দির জন্য আদালতে হাজির করা হবে এবং রাসেলকে  বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল - হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।


আরও খবর



দশমিনায় এইচএসসি পরীক্ষায় পরিদর্শক প্রাথমিকের শিক্ষক

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নাঈম হোসাইন দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

পটুয়াখালীর  দশমিনায় এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে কক্ষ পরিদর্শক প্রেরনে মানছেনা কোন নিয়মনীতি পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব ও আবদুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল্লাহ। 

 জনা যায়, ২০২৩ সনের এইচএসসি ও কারীগরি পরীক্ষায়( বিজ্ঞান, মানবিক, অর্থনীতি)  মোট  অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা আনুমানিক ১৫শত জন। সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট দুটি বিদ্যালয়ে কেন্দ্র হিসাবে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলায় মোট কলেজ চারটি,  এমপিও কলেজের সংখ্যা দুইটি। এমপিও কলেজের ইনডেক্সধারী শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকা সত্য তাদের নিয়মিত পরীক্ষায় বাদদিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমিক, মাদ্রাসার ও প্রাথমিক শিক্ষক- শিক্ষিকা নিয়ে কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব পালনে ব্যবহার করা হয়। পরীক্ষা শুরুর পূর্বে  পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণে উপজেলায় বিভিন্ন কমিটি করা হলেও তা সম্পর্কে অবহিত বা জানানো  হয়নি উপজেলার তিনটি কলেজের অধ্যাক্ষকে এবং তাদের এ সম্পর্কে দেয়া হয়নি কোন চিঠি। পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শক নিয়ে রয়েছে কলেজ গুলোর মধ্যে নানা অভিযোগ। গত ৩১ আগস্ট   ডাঃ ডলি আকবর মহিলা কলেজের শিক্ষক কতৃক অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব এর অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাফিসা নাজ নীরা বিষয়টি নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা কমিটি ও বিভিন্ন কলেজের প্রভাষক ও শিক্ষকদের নিয়ে  তার কক্ষে বসেন। সেই সভায় অনিয়মের বিষয় আলোচনা হয় এবং সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়া হয়। অদ্য ৩ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা কেন্দ্রে কক্ষপরিদর্শক দায়িত্ব দানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের দিকনির্দেশনা অমান্য করে কেন্দ্র সচিব ও অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল্লাহ কলেজের ইনডেক্সধারী শিক্ষক -শিক্ষিকাদের কেন্দ্র কক্ষ পরিদর্শক না দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমিক,মাদ্রাসা ও প্রাথমিকের শিক্ষকদের দিয়ে কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়।


ডাঃ ডলি আকবর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) আবদুল করিম বলেন, চলোমান এইচএসসি পরীক্ষার কোন কমিটির কাগজপত্র পাইনি। আমি সদস্য হিসাবে আছি। ৩ সেপ্টেম্বর সকালে কারিগরি বিষয়ের মার্কেটিং নীতি ও প্রয়োগ- ২ পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২ শত ৮৮ জন অনুপস্থিত ২। পরীক্ষায় কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে কলেজের ইনডেক্স ধারী শিক্ষক -শিক্ষিকা বাদ দিয়ে মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও প্রাথমিকের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দায়িত্ব দেয়া হয়। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। কেন্দ্র সচিব সহ ২-৩ জন শিক্ষক তাদের ছক বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্র সচিবকে ব্যবহার করছে।

 এ সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্র সচিব ও আবুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষকে (ভারপ্রাপ্ত)  একাধিক বার মোবাইল করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাফিসা নাজ নীরা বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র সচিবকে কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে নীতিমালার প্রতি গুরত্ব দিয়ে ৩১ আগস্ট  দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অদ্য অর্থাৎ  রবিবার  পরীক্ষা কেন্দ্রে কলেজের ইনডেক্স ধারী শিক্ষক-শিক্ষিকা বাদ দিয়ে মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও প্রাথমিক শিক্ষকদের কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব দিয়েছে তা আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি দেখবো।


আরও খবর



সংসার চলছেনা স্বল্প আয়ের মানুষের

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। বাজারে অস্থিরতা যেন কাটছেই না। ফলে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষ। বাজারে গিয়ে তারা হিমসিম খাচ্ছেন। মাস শেষে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে। ঋণ করে সংসার চালাতে হচ্ছে স্বল্প আয়ের এসব মানুষকে।

বাজারে গিয়ে সাধ্যের মধ্যে চাহিদামত পণ্য ক্রয় করতে না পেরে বিপাকে পড়ছেন তারা। ফলে প্রতিদিনের খরচের তালিকায় করতে হচ্ছে কাটশাট। অনেক সময় কমিয়ে দিচ্ছেন খাবারের মেনু।

বর্তমান পরিস্থতিতে কারো কারো পক্ষে সংসারের ব্যয় বহন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অনেকে সঞ্চয় ভেঙে ছেলে-মেয়েদের পড়ার খরচ জোগাচ্ছেন। সন্তানদের পুষ্টিকর খাবার তো দুরের কথা স্বাভাবিক দুবেলা দুমুঠো খাবারই এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশেষ করে স্বল্প বেতনে চাকরি করা শিক্ষিত মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে গেছে। তারা না পারছেন বলতে, না পরছেন সইতে।

যদিও নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার ইতোমধ্যে কিছু পণ্যের দাম নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। কিন্তু তাতে লাভ হচ্ছে না। খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়ছে না। ক্রেতাদের পণ্য কিনতে হচ্ছে বিক্রেতাদের নির্ধারিত দামেই।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, মালিবাগ রেলগেট, খিলগাঁও রেলগেট, শান্তিনগর, মতিঝিল এজিবি কলোনি, মুগদা, রামপুরা, উলনসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মাছ-মুরগি সবজিসহ সব পণ্যের দাম বাড়তি। কাঁচা মরিচ, আদা ও টমেটোর দাম আবারও বেড়েছে। সবজি মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

ইমরান হোসেন রাজধানীর বাংলামোটরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিন সদস্যের পরিবার নিয়ে থাকেন শনির আখরা এলাকায়।

তিনি বলেন, বাসা আর অফিস কাছাকাছি। যাতায়াত খরচ নেই। একটি মেয়ে ক্লাস ওয়ানে পড়ে। যে বেতন পাই তা বাসা ভাড়া দিয়েই শেষ। চাকরির পাশাপাশি ছোট একটা ব্যবসা করি। ব্যবসা আর চাকরি মিলে কোনোমতে সম্মান নিয়ে বেঁচে আছি।

ইংরেজিতে মাস্টার্স করা আফজাল আরও বলেন, গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ। মাসে একবার বাড়ি যাই। বাড়িতে বয়স্ক বাবা-মা আছেন। তাদের খরচসহ দেখভাল করতে হয়। যে আয় করি তার চেয়ে ব্যয় বেশি।

একটা কথা কি জানেন, আমরা যারা শিক্ষিত স্বল্প আয়ের মানুষ। আমাদের চেয়ে বেশি কষ্টে আর কেউ নেই। না পারি হাত পাততে, না নারি সম্মান নষ্ট করতে। বাজারের যে অবস্থা। ভয়ে বাজারে যাই না। কোনো মতে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি।

রাজধানীর মগবাজার রেলগেট এলাকায় থাকেন রফিকুল ইসলাম। বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তগাছায়। মিডিয়া কর্মী রফিকুল জানান, এভাবে চলা যায় না। প্রতি মাসেই ঋণ হতে হচ্ছে। বেতন বাড়ছেনা। ইনক্রিমেন্ট নেই। সঞ্চয়তো দুরের কথা, ঢাকা শহরে বেতনের টাকা দিয়ে থাকা যায় না। যে বেতন পাই বাসা ভাড়া দিতেই শেষ। কিন্তু একশেণীর মানুষের কাছে টাকার অভাব নেই, তাদের কোনো সমস্য নেই। তারা টাকার পাহাড় বানাচ্ছে। সমস্যা শুধু আমাদের মত মানুষের।

এদিকে বাজারে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, নিত্যপণ্যের মজুত ও সরবরাহ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। বাজার ও গুদামে পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। সিন্ডিকেটের কারসাজির কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে। নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য এক বা একাধিক পণ্য টার্গেট করে পরিকল্পিতভাবে দাম বাড়ানো হচ্ছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে আলু, ডিম, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে কারা ভোক্তার পকেট কেটেছে, অসাধু পন্থায় অতিমুনাফা করছে, সেই তথ্য সরকারের কাছে আছে। তাই ভোক্তাদের স্বার্থে অসাধু ব্যবসায়ীদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে। তবেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা কমবে।


আরও খবর



নওগাঁয় চালককে অজ্ঞান করে অটো-বাইক ছিনতাইকালে একজন আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগার বদলগাছী থেকে ইঞ্জিন চালিত অটো রিকশা চোর চক্রের মূলহোতা গ্রেফতার এবং অজ্ঞান অবস্থায় ভিকটিম অটো-বাইক চালক কে উদ্ধার করেছে র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩ জয়পুরহাট ক্যাম্প এর চৌকস টিম।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব কাম্প থেকে প্রতিবেদক কে জানানো হয়, র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশনাল দল ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক ও স্কোয়াড কমান্ডার ইমদাদ হোসেন বিপুল এর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে  অভিযান পরিচালনা করে নওগাঁর বদলগাছী থানাধীন চকবেনী এলাকা হতে আন্তঃজেলা চোর চক্রের মূলহোতা রাজু মন্ডল (৪০), পিতা-মৃত সোলায়মান মন্ডল, গ্রাম-নগরজান, থানা-শীবগঞ্জ, জেলা-বগুড়া কে গ্রেফতার করেন এবং অজ্ঞান অবস্থায় (ভিকটিম) অটো-বাইক চালক জিল্লুর রহমান রহমান, পিতা-মৃত হবিবর রহমান, সাং-সিধাতৈল, থানা-পত্নীতলা, জেলা-নওগাঁকে উদ্ধার করেন।

র‌্যাব আরো জানায়, আটককৃত আসামী রাজু মন্ডল আন্তঃজেলা চোর চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। সে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে প্রথমে সারাদিনের জন্য অটো রিক্সা ভাড়া করেন এবং পরবর্তীতে সন্ধ্যা হলেই অটো (ড্রাইভার) চালক কে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে অজ্ঞান করে অটো রিক্সা নিয়ে পালিয়ে যায়। আসামীর স্বীকারোক্তিতে জানা যায় এর আগেও বিভিন্ন জেলায় সে ৫টি ইঞ্জিন চালিত অটো রিক্সা একই কায়দায় চুরি করেছে বলেও জানিয়েছেন র‌্যাব।

র‌্যাব আরো জানান, গত বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাজু মন্ডল ১হাজার টাকায় সারা দিনের জন্য অটো রিক্সা ভাড়া নেয়। পরবর্তীতে দিন গড়িয়ে রাত হলে আসামী কৌশলে ভিকটিম অটো বাইক চালককে চেতনা নাশক জুস খাইয়ে অজ্ঞান করেন এবং ভিকটিমকে সুবিধাজনক জায়গায় ফেলে দেয়ার সুযোগ খুজে বেড়াচ্ছিল তখন তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সোর্সের মাধ্যমে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে র‌্যাবের চৌকস টিম অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের মূলহোতা কে গ্রেফতার করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার পূর্বক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।

এব্যাপারে গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানায় হস্তান্তর করা হয় বলেও জানিয়েছেন র‌্যাব।


আরও খবর