শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, মিলগেট থেকে শুরু করে কোথাও চালের দাম বাড়েনি। একটা মৌসুম শেষ আরেকটা মৌসুম শুরু হলে এই দুই মৌসুমের মাঝখানে চালের দাম একটু ওঠানামা হয়। ইতিমধ্যে আমন মৌসুম এর ধান কাটা-মাড়াই শুরু হচ্ছে। এছাড়াও ওএমএস চলমান রয়েছে। তাই চালের দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
শনিবার দুপুরে নওগাঁ চেম্বার অফ কর্মাস ভবনে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ উদ্বোধনে শেষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, সরকারী গুদামে যে খাদ্য মজুত থাকার কথা, তার দ্বিগুন আছে। প্রায় ১৮ লাখ টন চাল সরকারী গুদামে মজুদ আছে। পাশাপাশি সরকারী ও বেসরকারী ভাবে আমদানী করা হচ্ছে। এরসাথে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই যোগ হবে নতুন আমনের ফলন। সব মিলিয়ে দেশে খাদ্য সংকটের কোন শংকা নেই।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকার প্রান্তিক কৃষকদের নায্যামূল্য দিতেই ধান কিনে। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলো কি হলো না সেটা কোন বড় কথা নয়। আমরা চাই কৃষকেরা ধানের নায্যা মূল্য পাচ্ছেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, চকচকে চাউল না খেয়ে সবাইকে নন-পলিশ চাল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। আগের মত মানুষ যদি নন-পালিশ চাল খাওয়া শিখে তাহলে আমাদের দেশে ১৮ থেকে ২০ লাখ চাল সেফ হবে। তখন আমদানি করার প্রয়োজন হবে না।
খাদ্য নিয়ে অযথা কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে সে দিকে ব্যবসায়ীসহ সকলকে সচেতন থাকার আহবান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।
এসময় সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার ও আনোয়ার হোসেন হেলাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ইব্রাহিম, এফবিসিসিআই ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিন হেলালি, পরিচালক মোসাদ্দেক হোসেন খান ও যশোধা জীবন দেবনাথ, এফবিসিসিআই এর পরিচালক ও নওগাঁ চেম্বার অফ কর্মাসের সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টুনুসহ চেম্বারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে চেম্বারের মেম্বার-ডে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন। তারা দেশের যে কোন সংকটে সরকার কে সহযোগিতা ও মানুষের পাশে দাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন।