Logo
শিরোনাম

চাঁদপুরে ৬ লাখ টাকা নিয়ে কর্মসংস্থান ব্যাংকের প্রহরি লাপাত্তা !

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

কামরুজ্জামান টুটুল, চাঁদপুর থেকে :

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্মসংস্থান ব্যংকের  নিরাপত্তা প্রহরী বাবুল হোসেন পাটোয়ারী ব্যাংকের পৌনে ৫ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন। এ ঘটনায় উক্ত শাখা থেকে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন শাখা ব্যবস্থাপক। ঘটনাটি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ শাখার। গত ৩ জুলাই বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত বাবুল হোসেন পাটোয়ারি  পাশের শাহরাস্তি উপজেলার টামটা ইউনিয়নের গোলপুরা পাটোয়ারি বাড়ির শফিকুর রহমান পাটোয়ারির ছেলে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জুলাই বিকালে ব্যাংকের লেনদেন শেষে বাবুল পাটোয়ারীর মাধ্যমে প্রায় ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩০ টাকা জমা দেবার জন্য হাজীগঞ্জ বাজারস্থ জনতা ব্যাংকে জমা দেবার জন্য পাঠানো হয় এর পর থেকে বাবুল নিখোঁজ রয়েছে। 

এ বিষয়ে কমর্মসংস্থান ব্যাংক হাজীগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক  নাছিমা বেগম জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছি বলেন এ বিষয়ে কোন বক্তব্য না নেয়ার অনুরোধ করেন।  তবে তিনি  আরো জানান, বিষয়টি নিয়ে বাড়া-বাড়ী না করাটাই ভালো। ঘটনা যা ঘটেছে পুলিশ বিষয়টি দেখছে।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। অপর দিকে নিখোঁজ নিরাপত্তা প্রহরি বাবুলের স্ত্রীও একটি সাধারণ করার জন্য থানায় এসেছিলো। বিষয়টি তদন্ত করা দেখা হচ্ছে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তার কারণ ছিল তিনি বিশ্বাসী ছিলেন

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, গবেষক :

সমস্যাটা ধর্ম নয়, সমস্যাটা হল ধর্ম আপনার চিন্তাপ্রক্রিয়ার সামর্থ বা কগনিটিভ এবিলিটিকে গোলমেলে করে দিয়েছে কিনা। চিন্তাপ্রক্রিয়ার সামর্থ বা কগনিটিভ এবিলিটি দুই ভাবে এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। এক উয়োক সংস্কৃতি। বাংলাদেশের মেয়েদের ক্ষেত্রে যেমন হয়। একটি মেয়ের যত সমস্যা থাক, বিয়ে দিয়ে দিলে সেটা ঠিক হয়ে যাবে এটা হল সেই উয়োক সংস্কৃতির চিন্তা। যার অর্থ হল মেয়েটাকে মানুষ হিসাবে না ভেবে তাকে দেহসবর্স্ব একটি ভোগ্যবস্তু ভাবা। মেয়েটি নিজেও এটি ভাবা শুরু করলে তখন তার চিন্তাপ্রক্রিয়ার সামর্থ সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। জীবনের সব সমস্যাকেই সে বিয়েতে নিয়ে যায় এবং একটি মূল্যবান বর পাবার জন্য যা যা করা দরকার সে সেগুলো করতে থাকে। তার চিন্তা করার ক্ষমতাকে সে অবহেলায় হারায়। 

দুই হল জীবনে প্রথম আঘাত পেলে বা প্রথম কোন জটিল সামাজিক মানসিক সমস্যায় পড়লে সে যখন আর সেটা চিন্তা করে সেটার সমাধান করতে পারে না। তখন সে চিন্তা করা থামিয়ে দেয় এবং নিজেকে একটি মানসিক শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে। সেটা পশ্চিমা উয়োকিজম হতে পারে, সেটা কোন ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বা বাম ভাবধারার উয়োকিজম হতে পারে। এই উয়োকিজম হচ্ছে মনোবিদ্যাগতভাবে নার্সিসিজম। যেখানে মানুষ নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োগ করে তার দল বা গোষ্ঠীর জন্য কি আচরণ করা অভিপ্রেত সেটা শিক্ষা করা এবং সেই আচরণ অনুসরণ করা নিজেকে মূল্যায়িত করা। এই ধরণের আচরণ বহুদিন অনুসরণের ফলে তার মস্তিস্কের সুক্ষ্ম চিন্তা করার ক্ষমতা ঝরে যায় যেটাকে নিউরোসায়েন্সের ভাষায় প্রুনিং বলে। 

আমাদের অবিবাহিত মেয়েদের জন্য বিয়ে যেরকম, সব চিন্তাগত সমস্যার সমাধান, পুরুষদের জন্য তেমনই হল ধর্ম। যেমন মানসিক সমস্যা থাকায় কোন মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেয়া হল, যখন তাকে নিয়ে স্বামী বিপদে, সে তখন ছুটে গেল হাদিসে কি বলা আছে। সেখানে বলা আছে স্ত্রীকে প্রহার করা যাবে। ব্যাস তার সমস্যার সমাধান হয়ে গেল। এখন স্ত্রীর পাগলামি দেখা দিলে সে প্রহার করে। 

পশ্চিমা আধুনিক উয়োকিজম কিন্তু চিন্তাগতভাবে একই। সেখানে হাদিসের স্থানে আছে মিডিয়া ও পপুলার কালচার। মানুষ চিন্তা ভাবনা না করে কোন সমস্যায় কি করতে হবে সেটা সোপ অপেরা, নাটক, সিনেমা, টিভি, সামাজিক মাধ্যম থেকে অনুসরণ করে। প্রথা বা পারিবারিক বা সামাজিক মূল্যবোধের আর প্রচলন নাই।

ধর্ম বা আর্ট হিসাবে নাটক, নভেল, সাহিত্য, সিনেমার লক্ষ্য কিন্তু কোন ভাব বা ধারার অনুসরণকারী তৈরি করা নয়। সেটার লক্ষ্য চিন্তাশীলতার চর্চা। জীবনের জটিলতার সরল সূত্র আবিষ্কার করা এবং কিছু সাধারণ মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠা যার ফলে সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা এবং মানুষ মনে বিশ্বাস, ভালবাসা এবং আনন্দ বিরাজ করে।

চিন্তাপ্রক্রিয়ার সামর্থ কমে যাওয়া বা কগনিটিভ এবিলিটি ডিক্লাইনেশন কখনই আমাদের সেই পথে নিয়ে যাবে না। সেই কারণে একজন আধুনিক, শিল্পমনা বা ধার্মিক ব্যক্তিকে অবশ্যই জীবনের সুক্ষ্ম বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তায় সক্ষম হতে হবে। যারা জীবনের সুক্ষ্ম বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তায় সক্ষম নয়, তারা ধার্মিক নয়। জীবনের সুক্ষ্ম বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তায় যারা এলোমেলো, ধর্ম বা ঈশ্বর আর মহাবিশ্ব নিয়ে চিন্তা তারা কিভাবে করবে? এরা সবাই ভুয়া।

মানুষ হিসাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের চিন্তাপ্রক্রিয়া ছিল অত্যন্ত পরিষ্কার। শুধু রাজনীতি নয়, দেশের মানুষ, সমাজ ও ধর্ম নিয়ে তার মনে ছিল স্বচ্ছ ধারণা। তাই নানা প্রলোভন ও আন্তর্জাতিক চাপ সত্বেও তিনি তাঁর বিশ্বাসে অটল ছিলেন। একজন প্রকৃত মুসলমান হল যাকে সবাই বিশ্বাস করে, যে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে বা যে দেশকে ইসলামী রাষ্ট্র বানায় সে নয়। এই কারণেই নানা ব্যর্থতা সত্বেও এমনকি দুর্ভিক্ষের বছরেও তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। 

বঙ্গবন্ধুর এই জনপ্রিয়তার কারণ ছিল শুধুই তিনি বিশ্বাসী ছিলেন বলে। যে কারণে তাকে হত্যাকারী সামরিক কর্তারা অন ক্যামেরা ইন্টারভিউতে বলেছিল যে তিনি এত জনপ্রিয় ছিলেন যে তাকে হত্যা করা ছাড়া কোন উপায় ছিল না।

সামনের নির্বাচনেও এই মুসলিম সমাজে মানুষ যাকে বিশ্বাস করে সে ভোট পাবে। যারা তাকে খুন করেছে তারা বা যারা বিদেশের কাছে দেশ বিক্রি করেছে তারা এই বিশ্বাসের ইসলামকে ধরতে পারে না। যেমন ধরতে পারেনি পশ্চিম পাকিস্তানীরা। কারণ তারা বিশ্বাসী ছিল না, তারা ছিল এক একজন শৃগালের মত ধূর্ত ও শঠ। 

লন্ডনে বসে যারা দেশের সামনের নির্বাচন ও রাষ্ট্র শাসনের দুরভিসন্ধি ও চক্রান্তে রত, তারা পাকিস্তানিদের অনুসারী যারা নিজেরাও শৃগালের মত ধূর্ত ও শঠ যেটা জাতির কাছে প্রমাণিত। যে যাই বলুক নির্বাচন বিশ্বাসের খেলা। মানুষ যাদের বিশ্বাস করে তারা জিতবে।


আরও খবর

অভিজাতরা কেন সালাফি হচ্ছে

শুক্রবার ২০ জুন ২০25




সরকারি চাকরিজীবীদের শাস্তিতে হচ্ছে নতুন বিধান

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

আওয়ামী লীগ থেকে সুবিধাভোগী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর বিপাকে পড়েন। তাদের সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা করতে দেখা গেছে। সরকারি কর্মচারীরা দায়িত্বে অবহেলা বা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে, দীর্ঘ প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় না গিয়ে, তাদেরকে দ্রুত বরখাস্ত করার বিধান আনছে সরকার।

এজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘সরকারি চাকরি আইন-২০১৮’ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, এ ধরনের অভিযোগ গঠনের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। সংশোধিত আইনের খসড়া ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে। শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বছরের পর বছর ধরে চলা শাস্তিমূলক মামলার দীর্ঘসূত্রিতা এড়াতে এ সংশোধন আনা হচ্ছে।

নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, সরকারি দায়িত্বে অবহেলা বা শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে হবে। এরপর অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে সর্বোচ্চ ২০–২৫ কার্যদিবস সময় লাগবে। কেউ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে জবাবদানের সময়সীমা শেষ হওয়ার দিন থেকেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। সর্বোচ্চ ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল করতে পারবেন। নতুন আইন অনুযায়ী, দাবি আদায়ে দলবদ্ধ কর্মসূচি, বলপ্রয়োগ, সভা-সমাবেশ, কর্মবিরতি—সবকিছুই শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হবে।

সূত্র বলছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে জনপ্রশাসনের একাংশের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, একদল কর্মকর্তা দলবদ্ধভাবে জনপ্রশাসন সচিবকে অবরুদ্ধ করে নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতি আদায় করেছেন। প্রশাসন ও অন্যান্য ক্যাডারের মধ্যে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে জড়ানোর ঘটনাও ঘটেছে। কেউ কেউ কর্মবিরতিতে গেছেন, কেউ আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন। এসব বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার মনে করছে, সরকারি চাকরিজীবীদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে এবং আন্দোলন, সভা-সমাবেশ ও কর্মবিরতির মতো কর্মসূচিকে নিরুৎসাহিত করতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ প্রয়োজন রয়েছে। ফলে নতুন সংশোধিত আইনে সরকার সভা-সমাবেশ, অবস্থান কর্মসূচি ও ধর্মঘটসহ যেকোনো ধরনের দলবদ্ধ কর্মসূচিকে শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে এসব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে।

বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তিতে পাঁচ বছর

বর্তমান প্রক্রিয়ায় কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে গেলে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, তদন্ত কমিটি গঠন, প্রতিবেদন দাখিল এবং মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ প্রশাসনিক ধাপে যেতে হয়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার আপিল করার অধিকারও রয়েছে। এসব প্রক্রিয়া শেষ হতে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। তবে নতুন আইনে এসব বাদ দিয়ে সুস্পষ্ট অভিযোগ থাকলে ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা নিষ্পত্তির বিধান রাখা হচ্ছে।

নির্দিষ্ট সময়সীমা

নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, সরকারি দায়িত্বে অবহেলা বা শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে হবে। এরপর অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে সর্বোচ্চ ২০–২৫ কার্যদিবস সময় লাগবে। কেউ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে জবাবদানের সময়সীমা শেষ হওয়ার দিন থেকেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। সর্বোচ্চ ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল করতে পারবেন। নতুন আইন অনুযায়ী, দাবি আদায়ে দলবদ্ধ কর্মসূচি, বলপ্রয়োগ, সভা-সমাবেশ, কর্মবিরতি—সবকিছুই শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হবে। কেউ এসব কর্মসূচিতে অংশ নিতে অন্যকে প্ররোচিত করলেও একই শাস্তির আওতায় পড়বেন। কর্মস্থলে অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকলেও কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরি থেকে অব্যাহতির বিধান রাখা হয়েছে। তবে আইনের এই খসড়া নিয়ে সরকার জনমত নেয়নি। সচরাচর আইন প্রণয়নের আগে মতামত আহ্বান করা হলেও এবার গোপনীয়ভাবে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই গান

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই গান- কথাটি সংগীতাঙ্গনে বেশ প্রচলিত। পাড়া-মহল্লায় এখনও ঈদ উৎসবে গানের তালে মেতে উঠেন সংগীতপ্রেমীরা। ক্যাসেট-সিডি পরবর্তী সময়ে গানের বাজার দখল করে নিয়েছে ইউটিউবসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম।

কোরবানির ঈদের আলোচিত কিছু গান নিয়ে এবারের আয়োজন- বাপ্পা মজুমদারের আগামীকাল সংগীতশিল্পী ও সুরকার বাপ্পা মজুমদারের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ঈদ উপলক্ষে প্রকাশ হয়েছে আগামীকাল শিরোনামের গান। সুর, সংগীত ও কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি গানের কথাও লিখেছেন বাপ্পা মজুমদার। ভিডিও তৈরি করেছেন আহাদ অন্তর। 

সম্প্রতি প্রকাশিত গানের পোস্টার বাপ্পা মজুমদারকে দেখা গেছে রোবট মানবের আদলে। ন্যানসির দুই গান এই ঈদে ন্যানসির ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ পেয়েছে কথা দিয়ে শিরোনামের গান। লিখেছেন ও সুর করেছেন তরুণ মুন্সী। সংগীতায়োজনে সেতু চৌধুরী। এ ছাড়া প্রত্যয় খানের সুর করা আরেকটি গান প্রকাশের কথা রয়েছে ন্যান্সির। কেনো ধূসর সময়, হঠাৎ হয়েছে আজ রঙিন/ কেন এ কার ছোঁয়ায়, বদলে যে যায় প্রতিদিন- এমন কথার গানটি লিখেছেন ফয়সাল রাব্বীকিন।

কর্ণিয়ার জামদানি ঈদের প্রকাশ হয়েছে কর্ণিয়ার নতুন গান জামদানি। লিখেছেন ও সুর করেছেন তানভীর আহমেদ। গানের একটি অংশে কর্ণিয়ার সহশিল্পী হিসেবে কণ্ঠও দিয়েছেন তানভীর। ভিডিও বানিয়েছেন রাজ শংকর বিশ্বাস। কর্ণিয়া, তানভীরের সঙ্গে ভিডিওতে মডেল হয়েছেন সামিয়া অথৈ। জামদানি প্রকাশ হয়েছে কর্ণিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে। চিরকুটের হিয়া গত মাসে প্রকাশ পেয়েছে চিরকুট ব্যান্ডের চতুর্থ অ্যালবাম ভালোবাসাসমগ্র। ঈদ উপলক্ষে ব্যান্ডটি প্রকাশ করেছে হিয়া গানের মিউজিক ভিডিও। কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি গানটি লিখেছেন ও সুর করেছেন শারমিন সুলতানা সুমি। আফফান আজিজ প্রিতুলের নির্দেশনায় ভিডিওতে অংশ নিয়েছেন চিরকুটের সদস্যরা। ব্যান্ডটির ইউটিউব ও ফেসবুক পেজে প্রকাশ হয়েছে হিয়ার মিউজিক ভিডিও। একাধিক গানে কাজী শুভ গত রোজার ঈদে একাধিক গান প্রকাশ করেন কাজী শুভ। 

এবার ঈদেও বেশ কটি গান প্রকাশ করেছেন তিনি। কাজী শুভর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হয়েছে ভালো মানুষ ভালোবাসা পায় না শিরোনামের গান। কথা ও সুর করেছেন হানিফ খান, সংগীতায়োজনে আহমেদ সজীব। সৌরভ ঘোষ নিলয়ের পরিচালনায় এতে মডেল হয়েছেন তারেক ও তৃষা। এ ছাড়া আই কে মিউজিক স্টেশন থেকে প্রকাশ হয়েছে কাজী শুভ ও কোনালের দ্বৈত গান ছাইড়া যাব না। আরেকটি ইউটিউব থেকে প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে একক গান মায়া মায়া লাগে। অমি-আঁচল জুটির গান ঈদ উপলক্ষে নতুন মিউজিক ভিডিও নিয়ে এসেছেন সংগীতশিল্পী সৈয়দ অমি ও তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা আঁচল আঁখি। অমির গাওয়া তোর মনেতে থাকতে দেনা আজীবন শিরোনামের গানটি লিখেছেন সোহাগ ওয়াজিউল্লাহ। সুর করেছেন জিয়াউল হক সোহাগ, সংগীতায়োজনে রিয়েল আশিক। সৈয়দ অমি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে গানটি। তানজিব সারোয়ারের নামের জীবন নামের জীবন শিরোনামের নতুন গান নিয়ে এসেছেন তানজিব সারোয়ার। গানটি লিখেছেন জে এস জিসান, সুর করেছেন রিয়াদ আহসান, সংগীত আয়োজনে এ পি শুভ। ভিডিও নির্মাণে জিসান। মডেল হয়েছেন তারেক জামান ও শবনম শিলা। 

সিনেমার গান শুভ-মন্দিরার রসায়নে মাশার কণ্ঠ মিঠু খানের ঈদের সিনেমা নীলচক্রর টিজার প্রকাশিত হয়েছে। এসেছে গানও। তবে সিনেমার নায়ক-নায়িকা তথা আরিফিন শুভ ও মন্দিরা চক্রবর্তীর প্রেমময় রসায়নটা দেখা যায়নি সেভাবে। নতুন গান যেতে যেতের দৃশ্যে সেটাই উঠে এলো। শুক্রবার প্রকাশিত হওয়া গানটি গেয়েছেন মাশা ইসলাম। ওয়াহিদ বাবুর কথায় গানের সুর-সংগীত করেছেন ইমন সাহা। গানের দৃশ্যে রাতের সড়কে স্কুটি চড়ে কোথাও যাচ্ছেন শুভ-মন্দিরা। টগরের পর্দায় ইমরান-আনিসা ইমরান মাহমুদুল ও আতিয়া আনিসা দেশের জনপ্রিয় দুই কণ্ঠশিল্পী। আলোক হাসানের ঈদের সিনেমা টগরর গানের দৃশ্যে বিশেষ চমক হিসেবে হাজির হয়েছেন তারা। প্রকাশিত হয়েছে ও সুন্দরী শিরোনামের গানটি। রবিউল ইসলাম জীবনের কথায় গানের সুর-সংগীত ইমরানের। পর্দায় আছেন আদর আজাদ ও পূজা চেরি। পর্দায় রাজ-ফারিণ, নেপথ্যে হাবিব সিনেমায় কমই গান করেন হাবিব ওয়াহিদ। 

এবার ঈদের ইনসাফ-এ গেয়েছেন তিনি। তোমার খেয়ালে শিরোনামের গানটি গতকাল সন্ধ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। তন্ময় পারভেজের কথায় গানের সুর-সংগীত করেছেন আরাফাত মহসীন নিধি। গানের দৃশ্যে রোম্যান্টিক আবহে ধরা দিয়েছেন শরিফুল রাজ ও তাসনিয়া ফারিণ। 


আরও খবর



রিজার্ভ ছাড়াল ২৬ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও রপ্তানি আয় ইতিবাচক থাকায় বাড়ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মোট মজুদ বা রিজার্ভ।বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শেষ তথ্য অনুযায়ী (৪ জুন) পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মোট বা গ্রোস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ০৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২০ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখনো ১৬ বিলিয়নের ঘরে রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এসব তথ‌্য জানিয়েছেন।

মুখপাত্র জানান, রিজার্ভ বৃদ্ধি পাওয়ায় বৈদেশিক লেনদেনে চাপ কমেছে। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় মূল্য বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরও ডলারের দাম ১২৩ টাকার মধ্যে স্থিতিশীল রয়েছে। একই সঙ্গে এখন অনেক ব্যাংক গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র খুলতে পারছে, যার ফলে পণ্যের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে।

এর আগে ৬ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মার্চ ও এপ্রিলের আমদানি বিল বাবদ ১ দশমিক ৮৮৩ বিলিয়ন (১৮৮ কোটি ৩০ লাখ) মার্কিন ডলার পরিশোধ করার পর মোট রিজার্ভ ২৫ বিলিয়নে নেমে যায়। বিপিএম-৬ কমে ২০ বিলিয়নে নামে।

তারও আগে ৪ মে মোট রিজার্ভ ছিল ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ বা প্রকৃত রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫




শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরছেন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারেক রহমান নিশ্চিয়ই দেশে ফিরবেন, অবশ্যই দেশে ফিরবেন। শিগগিরই ফিরবেন।’ তবে সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণের তথ্য জানাননি তিনি।

এ সময় লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের দিনক্ষণও জানান তিনি।

এসময় এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থান কী হবে এ বিষয়ে গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে।

প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেখুন এই বিষয়ে আমরা দলগত কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা আশা করছি যে, সরকারকে একটা বিবেচনা করতে, কিছুটা বলা যেতে পারে বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতেই তারা বিবেচনা করবেন।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সময়টা (এপ্রিল) তো ঠিক না। আমি প্রথম দিন বলেছি, টাইম ইজ নট গুড ফর ইলেকশন। এপ্রিল মাস, আপনার রোজার মাস, রোজ শেষ হবে, ঈদ শেষ হবে। এর কয়েক দিন পরে নির্বাচন। আপনি ভাবেন রোজার মাসটায় প্রার্থীদের কী অবস্থা হবে…রাজনৈতিক কর্মীদের কী অবস্থা হবে? আমি নিজেই এখন চিন্তিত যে, প্রত্যেক দিন আমাকে ইফতার পার্টি করতে হবে। ইটস নো জোক। এটা বিরাট ব্যাপার। প্রার্থীদের ব্যয় দ্বিগুন হয়ে যাবে এবং এই ক্ষেত্রে আমরা চিৎকার করি অর্থ ব্যয় কমাতে হবে, ওই সময় হলে তো ব্যয় বাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘শুধু তাই নয়, ওই সময় প্রচন্ড গরম থাকবে আবহাওয়া, ঝড়-বৃষ্টি আছে। দিনের বেলা আমাদের যে নির্বাচনি কালচার, জনসভা করতে হয়, সেই জনসভায় লোকজন আনাটাই মুশকিল হবে। রোদ্রে মধ্যে কে আসবে? রাত্রিবেলা মিটিং করতে হবে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ সময়ে ডিসেম্বর-নভেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হয়েছে। দুবার বোধহয় হয়েছে ভিন্ন সময়ে, দুই ইলেকশনই ঝামেলা ছিল।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫