Logo
শিরোনাম

ছাগলকাণ্ডের সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

বিডি টুডেস রিপোর্ট:

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী মো. ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। 

অবৈধভাবে আমদানি নিষিদ্ধ আমেরিকান ব্রাহামা জাতের গরু চোরাচালান, জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে তা কোটি টাকা দাম হাঁকিয়ে বিক্রির বিষয়ে সোমবার (১ জুলাই) দুদকের একটি দল অভিযান চালায় সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে।



 অভিযান চলাকালে জব্দ করা হয় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু নথিপত্র।


অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। এসময় কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের পরিচালক ডা. মনিরুল ইসলামের সাথে কথা বলেন তদন্তকারী দলের সদস্যরা।


দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, ২০২১ সালে ১৮টি আমেরিকান ব্রাহামা জাতের গরু বাংলাদেশে এনে তোলপাড় সৃষ্টি করেন ইমরান। 



আমদানি নিষিদ্ধ থাকায় ব্রাহমা জাতের গরু বাজেয়াপ্ত করে ঢাকা কাস্টমস। গরুগুলো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে রাখা হয়। পরে রহস্যজনকভাবে গরুগুলো চলে যায় ইমরানের সাদিক অ্যাগ্রোতে।


কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের পরিচালক ডা. মনিরুল ইসলাম জানান, ব্রাহমা জাতের গরুগুলো আমদানি নিষিদ্ধ হলেও ফ্রিজিয়ান জাত বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এনেছিলেন সাদিক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী মো. ইমরান হোসেন।



পরে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কতিপয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে মাংস বিক্রির শর্তে ব্রাহমা জাতের সেই গরুগুলোকেই কৌশলে নিলামে তুলে নিয়ে যান সাদিক অ্যাগ্রোতে। নিলামে বিক্রি হওয়া গরুগুলো জবাই করে সেই মাংস ঈদুল ফিতরের সময় সুলভ মূল্যে বিক্রির কথা থাকলেও তা করেনি সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান হোসেন। 



পরিবর্তে কমদামি গরুর মাংস বিক্রি করে ব্রাহামা জাতের সেই গরুগুলো উচ্চ বংশের গরু বলে কোটি টাকা দাম হাঁকিয়ে আলোচনায় আসে সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান। একইভাবে যশোর থেকে সংগ্রহ করা একটি ছাগলের ১৫ লাখ টাকা দাম হাঁকিয়ে ১২ লাখ টাকায় বিক্রিকাণ্ড থেকে বের হয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ড. মতিউর রহমানের গোপন রাখা স্ত্রী ও সন্তানদের পরিচয়। পরে একে একে বের হয়ে আসে তার সম্পদের পাহাড়।




এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন নীতিমালার আলোকে যেসব গরুর জাত পালনের অনুমতি আছে সেখানে ব্রাহামা জাতের কোনো অনুমোদন নেই। ফলে এই জাত পালনের কোনো অনুমোদন আমরা দেইনি।



 কিন্তু অবৈধভাবে আনা ব্রাহামা গরুগুলো ছিল প্রজনন অনুপযোগী। ফলে নিয়ম অনুসারে এসব প্রজনন অনুপযোগী গরু খামারিদের সংগঠনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কোনো ব্যক্তিকে দেওয়া হয়নি। 



কিন্তু ইমরান কৌশলে এসব গরু নিজের নামে নিয়ে নিয়েছেন। আবার এসব গরুর মাংস বিক্রি না করে কোরবানির পশু হিসেবে বাজারেও বিক্রি করেছেন।



আরও খবর



মাওলা আলী মুশক্বিল কোশা (عليه السلام) শানে শতাধিক হাদিস

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

★মুমিনদের আমলনামার শিরোনামঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

عُنْوَانُ صَحِيفَةِ الْمُؤمِنِ حُبُّ عَلِيِّ بْنِ أََبِي طَالِبٍ.

মুমিনের আমলনামার শিরোনাম হলো আলী (رضي الله عنه) এর ভালোবাসা।

(আল মানাকিব – ইবনে মাগাযেলী: ২৪৩/২৯০, কানযুল উম্মাল ১১:৬০১/৩২৯০০, তারীখে বাগদাদ : ৪:৪১০)

★আরবের সরদারঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

أَنَا سَيِّدُ وُلْدِ آدَم، وَ عَلِيٌّ سَيِّدُ الْعَرَبِ.

আমি আদম সন্তানদের সরদার আর আলী (رضي الله عنه) আরবদের সরদার।

(আল মু’জামুল আওসাত-তাবারানী ২:২৭৯/১৪৯১, ইমাম আলী (رضي الله عنه) (অনুবাদ)- ইবনে আসাকির ২:২৬২/৭৮৯, কানযুল উম্মাল-১১-১৮/৩৩০০৬)।


★ হিকমতের দরজাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَنَا دَارُ الْحِكْمَةِ، وَ عَلِيٌّ بَابُهَا.


আমি হিকমতের গৃহ আর আলী (رضي الله عنه) তার দরজা।


(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৭/৩৭২৩, হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৪, আল জামিউস্ সাগীর ১:৪১৫/২৭০৪)


★ জ্ঞানের নগরীর দরজাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَنَا مَدِينَةُ الْعِلْمِ وَ عَليُّ بَابُهَا، فَمَنْ أَرَادَ الْمَدِينَةَ فَلْيَأتِ البَابَ.


আমি সমস্ত জ্ঞানের নগরী আর আলী (رضي الله عنه) তার দরজা।কাজেই যে এই নগরীতে প্রবেশ করবে তাঁকে দরজা বা দ্বারের মধ্য দিয়ে আসতে হবে।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৬-১২৭, জামেউল উসুল ৯:৪৭৩/৬৪৮৯, উসুদুল গবাহ্ ৪:২২, তারীখে বাগদাদ ১১:৪৯-৫০, আল বেদায়াহ্ ওয়ান নেহায়া ৭:৩৭২, আল জামেউস্ সাগীর ১:৪১৫/২৭০৫, সহি তিরমিজি, ৫ম খণ্ড, পৃ;২০১)


★ উম্মতের মধ্যে সর্বাপেক্ষা জ্ঞানীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَعْلَمُ اُمَّتِي مِنْ بَعْدِي عَلِیُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ.


আমার পরে আলী (رضي الله عنه) হলো আমার উম্মতের মধ্যে সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী। (কানযুল উম্মাল ১১:৬১৪/৩২৯৭৭, আল ফেরদৌস ১:৩৭০/১৪৯১)


আমার উম্মতের মধ্যে আমার পর সর্বোচ্চ জ্ঞানী ব্যক্তি হলেন আলী। (মসনদে আহমদ, ৫ম খ-, পৃ. ৩২)


★ মহানবী (ﷺ)-এর ভাইঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইমাম আলী (رضي الله عنه)কে বলেনঃ


أَنْتَ أَخِي فِي الدُّنْيَا وَ الْاَخِرَة.


তুমি দুনিয়া এবং পরকালে আমার ভাই।

(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৬/৩৭২০, আর রিয়াদুন নাদ্রাহ ৩:১২৪)


★ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর মনোনীতঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَمَّا أَنْتَ يَا عَلِيّ، أَنْتَ صَفِيِّي وَ أمِينِي.


আর তুমি হে আলী (رضي الله عنه)! তুমি আমার মনোনীত এবং আমার আমানতদার।


(খাসায়েসে নাসায়ী : ১৯, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১৫৬)


★ মহানবী (ﷺ)-এর স্থলাভিষিক্তঃ


হুজুর (ﷺ) হযরত আলী (رضي الله عنه)র প্রতি ইঙ্গিত করে বলেনঃ


إِنَّ هَذَا أَخِي وَ وَصِيِّي وَ خَلِيفَتِي فِيكُمْ، فَاسْمَعُوا لَهُ وَ أَطِيعُوه.


জেনে রেখো যে, সে তোমাদের মাঝে আমার ভাই, উত্তরসূরি এবং স্থলাভিষিক্ত।সুতরাং তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং তার আনুগত্য করবে।


(তারীখে তাবারী ২:২১৭, আল কামিল ফিত্ তারীখ ২:৬৪, মাআলিমুত্ তানযীল ৪:২৭৮)


★ মুমিনদের অভিভাবকঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


إنَّ عَلِيّاً وَلِيُّكُمْ بَعْدِي.


নিশ্চয়ই আলী (رضي الله عنه) আমার পরে তোমাদের অভিভাবক।


(কানযুল উম্মাল ১১:৬১২/৩২৯৬৩, আল ফেরদৌস ৫:২৯২/৮৫২৮)


★ বিচারের সিংহাসনেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَقْضَي اُمَّتِي عَليُّ.


আলী (رضي الله عنه) আমার উম্মতের মাঝে সর্বাপেক্ষা বিচক্ষণ বিচারক।


(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৬৭, মানাকিবে খারেযমী ৩০, যাখায়িরুল উকবা ৮৩)


★ উম্মতের জন্য হুজ্জাত বা দলিলঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَنَا وَ عَلِيٌّ حُجَّةٌ عَلَي أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ.


কেয়ামতের দিন আমি এবং আলী (رضي الله عنه) আমার অনুসারীদের জন্য হুজ্জাত (দলিল) এবং পথপ্রদর্শনকারী। (তারীখে বাগদাদ ২:৮৮)


★ মহানবী (ﷺ)-এর একই বংশধারাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَنَا وَ عَلِيٌّ مِنْ شَجَرَةٍ وَاحِدَةٍ، وَ النَّاسُ مِنْ أشْجَارٍ شَتَّي.


আমি আর আলী (رضي الله عنه) একই বৃক্ষ থেকে, আর অন্যেরা (মানুষ) বিভিন্ন বৃক্ষ থেকে।


(আল মানাকিব – ইবনে মাগাযেলী :৪০০/৫৩, কানযুল উম্মাল ১১:৬০৮/ ৩২৯৪৩, আল ফেরদৌস ১: ৪৪/১০৯, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১০০)


★ উম্মতের হেদায়াতকারীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أنَا الْمُنْذِرُ وَ عَلِيٌّ الْهَادِي، بِكَ يَا عَلِيُّ يَهْتَدِي الْمُهْتَدُونَ.


আমি হলাম সাবধানকারী।আর হে আলী (رضي الله عنه)! তোমার মাধ্যমে পথ অন্বেষণকারীরা পথ খুঁজে পাবে।


(তাফসীরে তাবারী ১৩:৭২, ইমাম আলী (رضي الله عنه) (অনুবাদ)- ইবনে আসাকির ২:৪১৭/৯২৩)


★ জাতির পথ-প্রদর্শকঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইমাম আলী (رضي الله عنه)কে বলেনঃ


أنْتَ تُبَيِّنُ لِأُمَّتِي مَا اخْتَلَفُوا فِيهِ بَعْدِي.


আমার পরে আমার উম্মত যে বিষয়ে মতবিরোধ করবে তুমি তার সমাধান দান করবে।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২২, কানযুল উম্মাল ১১:৬১৫/৩২৯৮৩, আল ফেরদৌস ৫:৩৩২/৮৩৪৯, হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৪)


★ মহানবী (ﷺ)-এর থেকেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

أنْتَ مِنِّي وَ أَنَا مِنْكَ.


তুমি আমার থেকে আর আমি তোমার থেকে।


(সহীহ বুখারী ৪:২২, ৫:৮৭, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৫/৩৭১৬, মাসাবিহুস সুন্নাহ ৪:১৭২/৪৭৬৫ ও ১৮৬/১০৪৮, তারীখে বাগদাদ ৪:১৪০)


মিনদের কর্তৃত্বের অধিকারীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইমাম আলী (رضي الله عنه)কে বলেনঃ


أنْتَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤمِنٍ وَ مُؤمِنَةٍ بَعْدِي.


আমার পরে তুমি প্রত্যেক মুমিন নর ও নারীর ওপর কর্তৃত্বের অধিকারী।

(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৪, আল মুজামুল কাবীর-তাবারানী ১২:৭৮/১২৫৯৩)


★ আদর্শের পথে শহীদঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইমাম আলী (رضي الله عنه)কে বলেনঃ


أنْتَ تَعِيْشُ عَلَي مِلَّتِي، وَ تُقْتَلُ عَلَي سُنَّتِي.


তুমি আমার পন্থায় জীবন যাপন করবে,আর আমার আদর্শের পথেই শাহাদাত বরণ করবে।


(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৭/৩২৯৯৭, আল মুস্তাদরাক-হাকেম :৩/১৪২)


★ সকল মুমিনের নেতাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


إِنَّ عَلِيّاً مِنِّي، وَ أََنَا مِنْهُ، وَ هُوَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤمِنٍ بَعْدِي.


নিশ্চয়ই আলী (رضي الله عنه) আমার থেকে আর আমি আলী (رضي الله عنه) থেকে।আর সে আমার পরে সকল মুমিনের নেতা।


(খাসায়েসে নেসায়ী :২৩, মুসনাদে আহমাদ ৪:৪৩৮, আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী


★ আলী (رضي الله عنه) এর জন্য দোয়াঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


رَحِمَ اللهُ عَلِيّاً ، اَللَّهُمَّ أَدِرِ الْحَقَّ مَعَهُ حَيْثُ دَارَ.


আল্লাহ আলী (رضي الله عنه)র ওপর রহমত বর্ষণ করুন! হে আল্লাহ! আলী (رضي الله عنه) যেখানেই আছে সত্যকে তার সাথে ঘুরিয়ে দিন।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৩/৩৭১৪, ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির, ৩:১৫১/১১৬৯-১১৭০)


★ মহানবী (ﷺ)-এর হারুন


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইমাম আলী (رضي الله عنه) কে বলেনঃ


أنْتَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَي إِلَّا أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدي.


আমার নিকট তুমি মুসার কাছে হারুনের ন্যায়। শুধু আমার পরে কোনো নবী নেই।


(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৪১/৩৭৩০, মাসাবিহুস্ সুন্নাহ ৪:১৭০/৪৭৬২, সহীহ মুসলিম ৪:৪৪/৩০)


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَبْشِرْ يَا عَلِيُّ، حَيَاتُكَ مَعِي وَ مَوتُك مَعِي.


হে আলী (رضي الله عنه)! সুসংবাদ তোমার ওপর। তোমার জীবন আমার সাথে আর তোমার মরণও আমার সাথে।


(ইমাম আলী (رضي الله عنه)-ইবনে আসাকির ২:৪৩৫, ৯৪৭, মাজমাউয যাওয়াযেদ ৯:১১২, কানযুল উম্মাল ১৩: ১৪৪/৩৬৪৫৩)


★ সর্বপ্রথম নামাজীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

أََوَّلُ مَنْ صَلَّي مَعِي عَلِيٌّ.


সর্বপ্রথম আমার সাথে যে নামাজ পড়েছে সে হলো আলী (رضي الله عنه)।

(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৬/৩২৯৯২, আল ফেরদৌস ১:২৭/৩৯)


★ শ্রেষ্ঠতম পুরুষঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


خَيْرُ رِجَالِكُمْ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ.


আলী (رضي الله عنه) তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম পুরুষ।

(তারীখে বাগদাদ ৪:৩৯২, মুন্তাখাবু কানযুল উম্মাল ৫:৯৩)


★ উম্মতের পিতার ন্যায়ঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


حَقُّ عَلِيٍّ عَلَي الْمُسْلِمِينَ حَقُّ الوَالِدِ عَلَي الْوَلَدِ.


মুসলমানদের ওপর আলী (رضي الله عنه)র অধিকার, সন্তানের ওপর পিতার অধিকারের ন্যায়।

(আর রিয়াদুন্ নাদরাহ ৩:১৩০, ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির ২:২৭২/৭৯৮-৭৯৯)


★ ইবাদতের সারসত্যঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


ذِكْرُ عَلِيٍّ عِبَادَةٌ.


আলী (رضي الله عنه)কে স্মরণ করা ইবাদততুল্য।


(কানযুল উম্মাল ১১, ৬০১/৩২৮৯৪, আল ফেরদৌস ২:২৪৪/৩১৫১, ওসীলাতুল মুতাআবেবদীন খ: ৫ আল কাসাম ২:১৬৮)


★ মজলিসের সৌন্দর্যঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


زَيِّنُوا مَجَالِسَكُمْ بِذِكْرِ عَلِيٍّ.


তোমাদের মজলিসগুলোকে আলী (رضي الله عنه)র নাম উচ্চারণের মাধ্যমে সৌন্দর্যমন্ডিত করো।


(আল মানাকিব – ইবনুল মাগাযেলী : ২১১/২৫৫)


★ সর্বদা সত্যের সাথে


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


رَحِمَ اللهُ عَلِيّاً ، اَللَّهُمَّ أَدِرِ الْحَقَّ مَعَهُ حَيْثُ دَارَ.


আল্লাহ আলী (رضي الله عنه)র ওপর রহমত বর্ষণ করুন! হে আল্লাহ! আলী (رضي الله عنه) যেখানেই আছে সত্যকে তার সাথে ঘোরাও।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৩/৩৭১৪, ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির, ৩:১৫১/১১৬৯-১১৭০)


★ রাসূলুললাহ (ﷺ)-এর গোপন রহস্যের আধার


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


صَاحِبُ سِرِّي عَلِيُّ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ.


আলী (رضي الله عنه) আমার গোপন রহস্যকথার একমাত্র আধার।


(আল ফেরদৌস ২:৪০৩/৩৭৯৩, আল ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির ২:৩১১/৮২২)


হযরত ইমাম নেসায়ী (رضي الله عنه) উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালমা (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন- ঐ জাত পাকের কসম ! রাসূলে পাক (ﷺ) এর বেসালে হক (ইন্তেকালের) সময় সবচেয়ে নিকটে ছিলেন হযরত আলী আলাইহিস সালাম। দরজার নিকট আমি দেখেছি , হুযুর পাক আলীর মুখে মুখ লাগিয়ে, বুকে বুক ড  এবং চুপি চুপি কিছু গোপন কথা বলেছেন। 

[খাসায়েসে কুবরা , পৃষ্টা-২৮-২৯, মিশরেছাপা, ইয়া মুকালরেবুল ক্বুলুব, পৃষ্টা-৪৫]


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জ্ঞানের ভান্ডারঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ خَازِنُ عِلْمِي.


আলী (رضي الله عنه) আমার জ্ঞানের ভান্ডার।


(শারহে নাহজুল বালাগা – ইবনে আবিল হাদীদ ৯:১৬৫)


★ সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ.


আলী (رضي الله عنه) সৃষ্টিকুলের সেরা।


(আল ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির ২:৪৪৩/৯৫৯, মানাকিবে খারেযমী : ৬২)


★ মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ خَيْرُ الْبَشَرِ، مَنْ أَبَي فَقَدْ كَفَرَ.


আলী (رضي الله عنه) সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, যে তা মানবে না সে নিঃসন্দেহে কাফের।


(সিয়ারু আ’লামুন নুবালা ৮:২৫০, ইমাম আলী (رضي الله عنه)-ইবনে আসাকির ২:৪৪৪/৯৬২-৯৬৬, তারীখে বাগদাদ ৭:৪২১)


★ জ্ঞানের আধারঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ عَيْبَةُ عِلْمِي.


আলী (رضي الله عنه) আমার জ্ঞানের আধার।


(আল জামেউস্ সাগীর ২:১৭৭, শারহে নাহজুল বালাগা – ইবনে আবিল হাদীদ ৯:১৬৫)


★ সর্বদা কুরআনের সাথেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ مَعَ الْقُرْآنِ وَ الْقُرْآنُ مَعَ عَلِيٍّ.


আলী (رضي الله عنه) কুরআনের সাথে আর কুরআন আলী (رضي الله عنه)র সাথে।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪, 

কানযুল উম্মাল ১১:৬০৩/৩২৯১২) ✅


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকটেঃ


হযরত বাররাহ (رضي الله عنه) এবং হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, 


عَلِيٌّ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ رَأسِي مِنْ بَدَني.


আলী আমার দেহের মাথার ন্যায়। 

১. হাদিসটি তারীখে বাগদাদ ৭:১২, হযরত বাররাহ (رضي الله عنه) হতে এবং 

২.দায়লমী হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করছেন। 

৩.মুত্তাকী আল হিন্দীঃ কানযুল উম্মাল ১১:৬০৩/৩২৯১৪।

৪.মাসিক আলোকধারা, ১৭শ বর্ষ, ৮ ম সংখ্যা (আগষ্ট ২০১২ সংখ্যা), ২৩ পৃষ্টা।


★ আল্লাহর নিকটেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ مِنِّيكَمَنْزِلَتِي مِنْ رَبِّي.


আমার নিকটে আলী (رضي الله عنه)র মর্যাদা হলো যেমন আমার প্রতিপালকের নিকটে আমার মর্যাদা।


(আস সাওয়ায়িকুল মুহরিকা :১৭৭, যাখায়িরুল উক্বা : ৬৪)


★ কেয়ামতের দিন বিজয়ীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ وَ شِيعَتُهُ هُمُ الْفَائِزُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.


আলী (رضي الله عنه) এবং তাঁর অনুসারীরা নিঃসন্দেহে কেয়ামতের দিন বিজয়ী।


(আল ফেরদৌস ৩:৬১/৪১৭২, ওয়াসীলাতুল মুতাআবেবদীন খ:৫, আল কিস্ম ২:১৭০)


★ বেহেশতের তারকাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ يَزْهَرُ فِي الْجَنَّةِ كَكَوْكَبِ الصُّبْحِ لِأَهْلِ الدُّنْيَا.


আলী (رضي الله عنه) বেহেশতের মধ্যে দুনিয়াবাসীর জন্য ভোরের তারকার ন্যায় উজ্জ্বল।


(আল ফেরদৌস ৩:৬৩/৪১৭৮, কানযুল উম্মাল ১১:৬০৪/৩২৯১৭)


★ তাকে কষ্ট দিও নাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


مَنْ آذَي عَلِيّاً فَقَدْ آذَانِي.


যে ব্যক্তি আলী (رضي الله عنه)কে কষ্ট দেয় সে আমাকে কষ্ট দেয়।


(মুসনাদে আহমাদ ৩:৪৮৩, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২২, দালায়িলুন নব্যুওয়াত ৫:৩৯৫, আল ইহ্সান- ইবনে হাববান ৯:৩৯/৬৮৮৪)


★ আল্লাহর অস্তিত্বে মিশে আছেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


لَاتَسُبُّوا عَلِيّاً، فَإِنَّهُ مَمْسُوسٌ فِي ذَاتِ اللهِ.


তোমরা আলী (رضي الله عنه)কে গালমন্দ করো না। সে আল্লাহর সত্তায় ফানা গেছে্। অর্থাৎ, আল্লাহর ভালবাসায় বিলীন হয়ে গেছে। 


(আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী ১৯:১৪৮/৩২৪, হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৮, কানযুল উম্মাল ১১:৬২১/৩৩০১৭)


★ মুনাফিকরা তাঁকে ভালোবাসে নাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


لَا يُحِبُّ عَلِيّاً مُنَافِقٌ، وَ لاَ يُبْغِضُهُ مُؤمِنٌ.


মুনাফিকরা আলী (رضي الله عنه)কে ভালোবাসে না, আর মুমিন তাঁকে ঘৃণা করে না।


(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৫/৩৭১৭, আর রিয়াদুন নাদ্রাহ ৩:১৮৯)


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হক (অধিকার) পূরণকারীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ مِنِّي وَ أَنَامِنْ عَلِيٍّ، وَلَا يُؤَدِّي عَنِّي إِلَّا أَنَا أَوْ عَلِيٌّ.


আলী (رضي الله عنه) আমা থেকে আর আমি আলী (رضي الله عنه) থেকে, আমি আর আলী (رضي الله عنه) ব্যতীত কেউই আমার (রেসালাতের) অধিকার পূরণ করেনি।


(মাসাবিহুস সুন্নাহ ৪:১৭২/৪৭৬৮, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৬/৩৭১৯, মুসনাদে আহমাদ ৪:১৬৪)


★ মুসলমানদের সরদারঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ سَيِّدُ الْمُسْلِمِينَ، وَ إِمَامُ الْمُتَّقِينَ، وَ قَائِدُ الْغُرِّ الْمُحَجَّلِينَ.


আলী (رضي الله عنه) মুসলমানদের সরদার, পরহেযগারদের নেতা এবং সফলকামদের পথ প্রদর্শক।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৮, আল মানাকিব-ইবনুল মাগাযেলী ১০৪/১৪৬)


★ নাজাত দানকারীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


حُبُّ عَلِيٍّ بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ.


আলী (رضي الله عنه)র প্রতি ভালোবাসা আগুন থেকে মুক্তির কারণ।


(আল ফেরদৌস ২:১৪২/২৭২৩)


★ ঈমানে সর্বাপেক্ষা অবিচলঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ الصِّدِّيقُ الْاَكْبَرُ، وَ فَارُوقُ هَذِهِ الْاُمَّةِ، وَ يَعْسُوبُ الْمُؤْمِنِينَ.


আলী (رضي الله عنه) ঈমানে সর্বাপেক্ষা দৃঢ়পদ, উম্মতের মধ্যে হক ও বাতিলে পার্থক্যকারী আর মুমিনদের কর্তা।


(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৬/৩২৯৯০, আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী ৬:২৬৯/৬১৮৪)


★ তাঁকে অভিসম্পাত করো নাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

مَنْ سَبَّ عَلِيّاً فَقَدْ سَبَّنِي.


যে ব্যক্তি আলী (رضي الله عنه)কে গালমন্দ করে সে যেন আমাকেই গালি দিল।


(মুখতাসারু তারীখে দামেস্ক – ইবনে মাঞ্জুর ১৭:৩৬৬, ফাযায়েলুস সাহাবা ২:৫৯৪/১০১১, খাসায়েসে নাসায়ী :২৪, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২১, মানাকিবে খারেযমী : ৮২)


★ আল্লাহর রাস্তায় কঠোরতাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَيُّهَا النَّاسُ، لَا تَشْكُوا عَلِيّاً، فَو اللهِ إِنَّهُ لَأَخْشَنُ فِيذَاتِاللهِ، أَوْ فِي سَبِيلِ اللهِ.


হে লোকসকল! আলী (رضي الله عنه)র বিরুদ্ধে নালিশ করতে যেও না। সে আল্লাহর কারণে অথবা তাঁর সন্তুষ্টির জন্যেই কঠোর হয়।


(মুসনাদে আহমাদ ৩:৮৬, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৪)


★ সত্যিকারের সৌভাগ্যঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


إنَّ السَّعِيدَ كُلَّ السَّعِيدِ، حَقَّ السَّعِيدِ، مَنْ أحَبَّ عَلِيّاً فِي حَيَاتِهِ وَ بَعْدَ مَوتِهِ.


নিশ্চয়ই সবচেয়ে সৌভাগ্যবান এবং সত্যিকারের সৌভাগ্যবান সেই ব্যক্তি যে আলী (رضي الله عنه)কে তার জীবদ্দশায় এবং তার মৃত্যুর পরে ভালোবাসে।


(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৯১, ফাযায়িলুস সাহাবা ২:৬৫৮/১১২১, আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী ২২: ৪১৫/১০২৬, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১৩২)


★ পাপ ধ্বংসকারীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


حُبُّ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ يَأْكُلُ الذُّنُوبَ كَمَا تَأْكُلُ النَّارُ الْحَطَبَ.


আলী (رضي الله عنه) এর ভালোবাসা পাপসমূহকে খেয়ে ফেলে যেভাবে আগুন কাঠকে খেয়ে ফেলে।


(আর রিয়াদুন্ নাদরাহ ৩: ১৯০, কানযুল উম্মাল ১১:৬২১/৩৩০২১, আল ফেরদৌস ২:১৪২/২৭২৩)


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উত্তরসূরিঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


لِكُلِّ نَبِيٍّ وَصِيٌّ وَ وَارِثٌ، وَ إَِنَّ عَلِيّاً وَصِيِّي وَ وَارِثِي.


প্রত্যেক নবীর ওয়াসী এবং উত্তরসূরি থাকে। আর আমার ওয়াসী এবং উত্তরসূরি হলো আলী (رضي الله عنه)।


(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৩৮, আল ফেরদৌস ৩:৩৩৬/৫০০৯, ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির ৩: ৫/১০৩০-১০৩১)


★ তার দিকে তাকানো ইবাদতঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


َالنَّظَرُ إِلَي وَجْهِ عَلِيٍّ عِبَادَةٌ.


আলী (رضي الله عنه)র মুখের দিকে তাকানো ইবাদত।


(আল মানাকিব- ইবনে মাগাযেলী ২০৬/২৪৪-২৪৬ ও ২০৯/২৪৮-২৪৯ ও ২১০/২৫২-২৫৩, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৪২, আর রিয়াদুন্ নাদ্রাহ ৩:১৯৭)


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ওয়াসীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত আলী (رضي الله عنه)র প্রতি ইঙ্গিত করে বলেনঃ


هَذَا أَخِي وَ وَصِيِّي وَ خَلِيفَتِي مِنْ بَعْدِي، فَاسْمَعُوا لَهُ وَ أَطِيعُوه.


এ হলো আমার ভাই, আর আমার পরে আমার ওয়াসী এবং খলীফা। তার নির্দেশের প্রতি কর্ণপাত করো এবং তার আনুগত্য করো।


(তারীখে তাবারী ২:৩৩১, মাআলিমুত তানযীল ৪:২৭৯, আল কামিল ফিত তারীখ ২:৬৩, শারহে নাহজুল বালাগা 

– ইবনে আবিল হাদীদ ১৩:২১১, 

কানযুল উম্মাল ১৩:১৩১) 


★ ফেরেশতাকুলের দরূদঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


إنَّ الْمَلَائِِكَةَ صَلَّتْ عَلَيَّ و عَلَي عَلِيٍّ سَبعَ سِنِيْنَ قَبْلَ أَنْ يُسْلِمَ بَشَرٌ.


কোনো মানুষ মুসলমান হওয়ার সাত বছর পূর্ব থেকেই ফেরেশতারা আমার এবং আলী (رضي الله عنه)র ওপর দরূদ পাঠাতো।


(কানযুল উম্মাল ১১: ৬১৬/৩২৯৮৯, মুখতাসারু তারীখে দামেস্ক -ইবনে মাঞ্জুর ১৭:৩০৫)


★ ঈমানের মানদন্ডঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আলী (رضي الله عنه) কে বলেনঃ


لَوْلَاكَ مَا عُرِفَ الْمُؤمِنُونَ مِنْ بَعْدِي.


যদি তুমি না থাকতে তাহলে আমার পরে মুমিনদের শনাক্ত করা যেত না।


(আর রিয়াদুন নাদ্রাহ ৩:১৭৩, আল মানাকিব- ইবনুল মাগাযেলী :৭০/১০১, কানযুল উম্মাল ১৩ :১৫২/৩৬৪৭৭)


★ সর্বদা সত্যের সাথেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ مَعَ الْحَقِّ وَ الْحَقُّ مَعَ عَلِيٍّ، لَنْ يَفْتَرِقَا حَتَّي يَرِدَا عَلَيَّ الْحَوضِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.


আলী (رضي الله عنه) সত্যের সাথে আর সত্য আলী (رضي الله عنه)র সাথে, এই দুটো কখনো একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না যতক্ষণ না কেয়ামতের দিন হাউজে কাওসারে আমার সাথে মিলিত হবে।


(তারীখে বাগদাদ ১৪:৩২১, ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির ৩:১৫৩/১১৭২)


★ তাঁর থেকে পৃথক হয়ো না!


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


مَنْ فَارَقَ عَلِيّاً فَقَدْ فَارَقَنِي وَ مَنْ فَارَقَنِي فَقَدْ فَارَقَ اللهَ عَزَّوَجَلَّ.


যে ব্যক্তি আলী (رضي الله عنه) থেকে পৃথক হয় সে আমা থেকে পৃথক হলো আর যে আমা থেকে পৃথক হলো সে মহান আল্লাহ থেকে পৃথক হয়ে গেল।


(আল মানাকিব- ইবনে মাগাযেলী ২৪০/২৮৭, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪, আল মু’জামুল কাবীর- তাবারানী ১২:৩২৩/১৩৫৫৯)


হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত- একদা একজন আরবী এসে নবীজীর নিকট জিজ্ঞাসা করল - হে আল্লাহর রাসুল ! আমি শুনেছি আপনি বলেছেন- "তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্ত করে ধরো এবং পরস্পর পৃথক হয়ো না। (আল-কুরআন) সেই রজ্জু (রশি) কি যাকে আমরা অনুসরণ করবো? তখন রাসুলে পাক (ﷺ) নিজের হাত আলীর হাতের উপর রেখে বললেন, এই আলীই খোদার মজবুত রজ্জু (রশি) তাকে অনুসরণ করো। 

[ইয়া নাবিউল মাওয়াদ্দাত,পৃষ্টা-১১৯, 

ইয়া মুকাল্রেবুল ক্বুলুব, পৃষ্টা-৪৫]


আরও খবর



নওগাঁয় মামাকে হত্যা মামলায় ভাগ্নের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় মামাকে হত্যা করায় মোঃ বাবুল রহমান নামে এক জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ রায় দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। বুধবার ৯ এপ্রিল দুপুরে তার উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন জেলা দায়রা জজ মোঃ রোকনুজ্জামান। মামলাটি রাস্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর আবু জাহিদ মোঃ রফিকুল আলম ও আসামী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী মোঃ আব্দুল লতিফ।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাবুল রহমান নওগাঁ জেলার সাপাহার থানাধীন খেড়ন্দা গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা যায়, বাবলু রহমান পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে তার বাবা-মাকে মারপিটসহ শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলেন। ঐ ঘটনায় তার মা হালিমা খাতুন গত ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ মে শিরন্টি ইউনিয়ন পরিষদে ছেলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর বার বার নোটিশ করেও সে ইউনিয়ন পরিষদের শালিসে উপস্থিত না হওয়ায় ও তার অত্যাচার মা সহ্য করতে না পেরে শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং তাকে শাসন করার জন্য গত ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মে তার ভাই ফয়েজ উদ্দিনকে তার বাড়ীতে আসতে বলেন। এরপর তার বাবাসহ তার ফুফাতো ভাই আশরাফুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই আসাদুল ইসলামকে নিয়ে গত ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মে বিকাল অনুমান ৪ টায় তার ফুপুর বাড়ীতে যায়। এসময় বাদীর ফুফু-ফুফা (আসামীর পিতা-মাতা) এবং অন্যরা আপোষ মিমাংসার আলোচনা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে সে উত্তেজিত হয়ে তার শয়ন ঘর হতে একটি লোহার রড নিয়ে এসে ফয়েজ উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে সাক্ষীদের সামনে রড দিয়ে মাথায় স্ব-জোরে আঘাত করে। সেই আঘাতের ফলে বাদীর বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়। সে সময় তারা ভিকটিমকে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ভিকটিমের অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিমের অবস্থা আরও খারাপ হলে তাকে গত ২৫ মে সন্ধ্যা সোয়া ৬ সময় সময় রাজশাহীর সিডিএম হসপিটালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৭ মে রাত সারে ১২ টার সময় সে মৃত্যু বরণ করেন। 

এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর আবু জাহিদ মোঃ রফিকুল আলম বলেন, আসামীর বিরুদ্ধে পেনাল কোর্ট এর ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় উল্লেখিত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড সহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে আসামী পক্ষের আইনজীবী মোঃ আব্দুল লতিফের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ থাকায় তার কোন মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



ঘুরে আসুন সুন্দরবনের দ্য ফরেস্ট রিট্রিটে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সেন্ট অগাস্টিন বলেছেন, ‘পৃথিবী একটা বই, আর যারা ভ্রমণ করে না, তারা বইটি পড়তে পারে না’। ভ্রমণপিপাসু মানুষ বদ্ধ ঘরে না থেকে ছুঁটে বেড়ায় এক স্থান থেকে অন্যত্র।

যারা বনের কাছে যেতে চান? পাখির আওয়াজে মুগ্ধ হতে চান? ঝি ঝি পোকার ডাক শুনতে চান? তারা নববর্ষের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন সুন্দরবনের দ্য ফরেস্ট রিট্রিটে।

এখানে রাত্রিযাপন করতে পারবেন প্রকৃতির কোলে। এই রিসোর্টের রুম থেকেই সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। দোলনায় দোল খেতে খেতে বানর, হরিণ, মেছো বাঘ, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, জলজ্যান্ত কুমির দেখতে পারবেন। কখনোবা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের হুংকারও শুনতে পারবেন।

ইকো রিসোর্ট দ্য ফরেস্ট রিট্রিট খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের পশ্চিম ড্যাংমারি গ্রামে গড়ে উঠেছে।

ড্যাংমারি গ্রামে বয়ে যাওয়া চাংমারি খালের পাশে বাঁশ-কাঠ, গোলপাতা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই রিসোর্ট।

যেভাবে বুকিং করবেন : রিসোর্টের নিজস্ব ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট রয়েছে। তার মাধ্যমে অগ্রিম বুকিং করতে হবে।

দরদাম : এখানে বিভিন্ন আকৃতি ও সুবিধার কটেজ ও ডুপ্লেক্স কটেজ রয়েছে। এখানে জনপ্রতি ৩৪৫০ টাকা থেকে ৪,৯০০ টাকায় জনপ্রতি রাত্রিযাপন করতে পারবেন।

নিরাপত্তা : এগুলোতে আছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ। আছে নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী। এ ছাড়া কোস্ট গার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং বন বিভাগের কর্মকর্তারা সব সময় টহল দেন এসব এলাকায়।

প্যাকেজে যা রয়েছে : এক দিনের প্যাকেজে দুপুর, রাত ও সকালের খাবার সংযুক্ত। আগাম বুকিং দিলে নির্দিষ্ট রিসোর্ট মোংলা ঘাট থেকে ট্যুরিস্ট বোটে নিয়ে যাবে। এতে এক ঘণ্টার নদী ভ্রমণ হয়ে যাবে। এ ভ্রমণে দেখা যাবে মোংলা বন্দর, মাছেদের নাচানাচি, ডলফিনের লাফালাফি। এ ছাড়া কুমিরের বিচরণ তো রয়েছেই। আর থাকবে চোখজুড়ানো বন। দুপুরে লাঞ্চ। বিকেলে পর্যটকদের বইঠা নৌকায় সুন্দরবনের ভেতরে এক ঘণ্টা ক্রুজিং করানো হয়। এ ভ্রমণ জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ধারিত হয়। রাতে রিসোর্টে রাতযাপন। দ্বিতীয় দিন সকালে নাশতা শেষে ১১টায় চেক আউট শেষে বোটে নিয়ে যাবে করমজল। সেখানে ঢোকার জন্য ৪৬ টাকা জনপ্রতি টিকিট কাটতে হবে। করমজলে বিভিন্ন বন্য প্রাণীর দেখা মিলবে। তারপর ওয়াচ টাওয়ারে উঠে উপভোগ করা যাবে সুন্দরবনের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য।

যেভাবে যাওয়া যায় : ঢাকা থেকে সরাসরি মোংলায় যাওয়া যায় বাসে। সেখানে নেমে যাঁরা প্যাকেজে আসবেন, তাঁরা রিসোর্টের নিজস্ব বোটে চলে যাবেন। যাঁরা রুম বুকিং দিয়ে আসবেন, তাঁরা বোট ভাড়া করে রিসোর্টে যেতে পারবেন। এ ছাড়া সেপ্টেম্বর থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত নিজস্ব গাড়ি নিয়েও রিসোর্টে যাওয়া যাবে। সড়কপথে যেতে চাইলে মোংলা যাওয়ার তিন কিলোমিটার আগে লাউডোব ফেরিঘাটে নেমে যেতে হবে। সেখান থেকে ফেরি পার হয়ে সরাসরি রিসোর্টগুলোতে যাওয়া যাবে। তবে বর্ষাকালে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম নৌকা।

খাবারদাবার : প্যাকেজে গেলে রিসোর্টগুলোর মেনু অনুযায়ী তিন বেলা খাবার পাবেন। চাইলে অর্ডার করেও খাওয়া যাবে। এগুলো অবশ্যই বুকিংয়ের সময় রিসোর্টে জানাতে হবে। এখানে দক্ষিণাঞ্চলের বৈচিত্র্যময় মাছ পাওয়া যায়। ঘুরতে এলে সেগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের যেকোনো খাবার খেতে পারেন।

সাবধানতা : পরযটকদের খেয়াল রাখতে হবে প্রকৃতি ও পরিবেশের কোনো ক্ষতি যাতে না হয়।


আরও খবর



গজারিয়ায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শাহাদাত হোসেন সায়মন : গজারিয়ায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার সময় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ওয়াজীর আলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে ঘুরে শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর নেন। পরবর্তী সময়ে বেলা সোয়া বারোটার দিকে গজারিয়া থানা পরিদর্শন করেন। এ সময় গজারিয়া থানা পুলিশের একটি দল জেলা প্রশাসককে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। গজারিয়া থানা পরিদর্শন শেষে তিনি টেংগারচর ইউনিয়ন পরিষদ ও ডিজিটাল সেন্টার পরিদর্শন করেন। এ সময় জেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তাসহ গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশরাফুল আলম ও সহকারী কমিশনার(ভুমি) মো.মামুন শরীফ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্হিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার দিনব্যাপি সরকারী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসক, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, সহকারী কমিশনার(ভুমি) এর কার্যালয়,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় পরিদর্শনসহ একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। একই দিনের বিকালে গজারিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুইদিনব্যাপী আয়োজিত বর্ষবরণ উৎসবের দ্বিতীয় দিনের বৈশাখী মেলা পরিদর্শন ও বিভিন্ন কার্যক্রম উপভোগ ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করার কথা রয়েছে জেলা প্রশাসকের।


আরও খবর



৩৬ টাকায় ধান, ৪৯ টাকায় চাল কিনবে সরকার

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

গতবারের তুলনায় কেজি প্রতি চার টাকা করে বাড়িয়ে এবারের বোরো মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। নির্ধারণ করা হয়েছে গমের দামও। ২৪ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে চলতি বোরো মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ নিয়ে ব্রিফকালে খাদ্য ও ভূ‌মি উপ‌দেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এই তথ্য জানান। উপদেষ্টা বলেন, গতবারের তুলনায় কেজি প্রতি ৪ টাকা বেশিতে ধান ও সিদ্ধ চাল কেনা হবে।

তিনি বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে ৩৬ টাকা কেজি দরে সাড়ে ৩ লাখ টন ধান কেনা হবে। আর ৪৯ টাকা কেজি দরে কেনা হবে ১৪ লাখ টন সেদ্ধ চাল।

এছাড়া সরকার ৩৬ টাকা কেজি দরে গম কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। গতবার বোরো মৌসুমে ৩২ টাকা কেজি দরে ধান ও ৪৫ টাকা কেজি দরে চাল কিনেছিল সরকার।


আরও খবর