Logo
শিরোনাম

চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলেন তাসকিন

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের বিমান ধরলেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। চলতি জিম্বাবুয়ে সিরিজের স্কোয়াডে রাখা হয়নি তাকে। গোড়ালিতে ব্যথা অনুভব করায় তাকে চিকিৎসা করাতে যুক্তরাজ্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

রবিবার রাতে ইংল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তাসকিন লেখেন, ‘আমি কিছুটা গোড়ালির ব্যথায় ভুগছিলাম, তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আমাকে এই সিরিজ (জিম্বাবুয়ে) থেকে বিশ্রাম দিয়েছে এবং একজন গোড়ালি বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠাচ্ছে। বিসিবিকে তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ। ইনশাআল্লাহ, আমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব! আমাকে আপনারা দোয়ায় রাখবেন।’

বর্তমানে তিন ফরম্যাটেই জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ তাসকিন আহমেদ। তবে জিম্বাবুয়ে সিরিজে তাকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে। একই কারণে চট্টগ্রাম টেস্টেও খেলা হচ্ছে না এই টাইগার পেসারের।

এর আগে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছিলেন ২৯ এপ্রিল তাসকিনের জন্য ইংল্যান্ডের এক চিকিৎসকের অ্যাপয়নমেন্ট নেওয়া হয়েছ। ফলে এর আগেই তিনি সেখানে থাকবেন। তাসকিনের সঙ্গে থাকবেন দেবাশীষও।


আরও খবর

শনিবার থেকে ফের শুরু আইপিএল

মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫




নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

‘বাংলাদেশ মনে করে চলমান সংকটের একমাত্র সমাধান রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন’ উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শরণার্থী হিসেবে দীর্ঘ অবস্থান রোহিঙ্গাদের মধ্যে হতাশা বাড়াচ্ছে। তারা নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে৷ দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট শুধুমাত্র একটি মানবিক সমস্যা নয়, এটি বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ, যার রয়েছে সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক এবং পরিবেশগত প্রভাব।

২৩ এপ্রিল কাতারের দোহায় ড. ইউনূস আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে একটি গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন। ‘বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তুচ্যুত জনগণের সামাজিক ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ-রোহিঙ্গা ইস্যু’ শীর্ষক এই বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মানবিক সহায়তা তহবিল কমিয়েছে, যা এই সংকটকে আরও জটিল করে তুলবে। বাংলাদেশ মনে করে চলমান সংকটের একমাত্র সমাধান রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন।

বাংলাদেশ জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে নিউইয়র্কে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে উচ্চ পর্যায়ের একটি সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে, সেখানে কাতারকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, জাতিগত নিধন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় কোনভাবেই শাস্তির বাইরে থাকতে পারে না, এজন্য আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে চলমান প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে বাংলাদেশ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে মিয়ানমারের বিচার হতে পারে রাখাইনে ফিরে যেতে রোহিঙ্গাদের আস্থা।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক মহলে চাপ বাড়াতে কাতারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ওআইসিভূক্ত দেশগুলোকে সক্রিয় করতে কাতারকে এগিয়ে আসতে বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

এ সময় তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি শুধু আলোচনা আর আনুষ্ঠানিকতা নয়, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সত্যিকারভাবে কাজ শুরুর আহ্বানও জানান।


আরও খবর



দেশজুড়ে বইছে মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:শনিবার ১০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ঢাকাসহ দেশের ছয় বিভাগ ও পাঁচ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র, মাঝারি ও মৃদু ধরনের তাপপ্রবাহ। আগামী কয়েকদিন এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য মতে, শনিবার (১০ মে) দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় আর ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের দেওয়া ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও মৌলভীবাজার জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

রবিবারের (১১ মে) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপামাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

সোমবারের (১১ মে) পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানায়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। চলমান ভাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গায় থেকে প্রশমিত হতে পারে।

মঙ্গলবার (১২ মে) সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সাজদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বুধবার (১৩ মে) ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুদ্ধ থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।


আরও খবর



নাকের ব্ল্যাকহেডস দূর করার উপায়

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইট হেডসের সমস্যা কম বেশি সবারই বেশি আছে। নাকের দুপাশে এই কালো কালো দানার মতো স্পট দেখা যায়। এগুলোই ব্ল্যাকহেডস। তবে এই ব্ল্যাকহেডস দূর করতে যেতে হবে না পার্লরে। ঘরে বসেই দূর করা সম্ভব এই ব্ল্যাকহেডস।

প্রতিদিন নিয়ম করে নিতে হবে ত্বকের যত্ন। কারণ প্রতিদিন বাইরে বের হলে দূষণ, ধুলা ময়লা ছাড়াও কারণে ত্বকের বারোটা বাজে। আমাদের নাকের দুপাশে ভরে যায় ব্ল্যাকহেডস। কারো কম বা কারো আবার বেশি হয়। এই সমস্যা সবারই আছে। ঘরে বসেই এই ব্ল্যাকহেডস দূর করা সম্ভব। জেনে নিন তেমনই ৪ সহজ উপায়।

ব্যবহার করুন দুধ

দুধে রয়েছে এনজাইম, প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। তাই ব্ল্যাকহেডস দূর করতে খুবই কাজে দেয় এই উপাদানটি। এছাড়া ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে আপনার বলিরেখাও মলিন করে তোলে। কিন্তু ব্ল্যাকহেডস সরাতে কীভাবে এই দুধ ব্যবহার করবেন? জেনে নিন।

একটি বাটিতে ২ টেবিল চামচ দুধ এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস নিন। তাতে সামান্য পরিমাণে দানা দানা লবণ মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি ব্ল্যাকহেডসের উপর লাগিয়ে সামান্য ঘষে নেবেন। তবে জোরে চাপ দিয়ে ঘষবেন না। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এতেই দূর হবে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা।

কাজে লাগবে ওটস

ব্ল্যাকহেডস দূর করতে আপনি কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করতে পারেন। তার মধ্যে ওটস অন্যতম। এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন পেস্ট। কীভাবে ব্যবহার করবেন? ব্ল্যাকহেডস দূর করতে কীভাবে কাজে লাগাবেন এই ওটসকে?

একটি পাত্রে পরিমাণমতো ওটস নিয়ে গুঁড়া করে নিতে হবে। খেয়াল রাখবেন ওটস যেন সামান্য দানা দানা থাকে। এর সঙ্গে সামান্য পানি আর মধু মিশিয়ে নিন। ওটস আপনার ত্বককে এক্সফোলিয়েট করবে। আর মধু আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে। ব্ল্যাকহেডসের উপর এই প্যাক লাগিয়ে সামান্য ঘষে নিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।

তেল নিয়ন্ত্রণে ডিমের সাদা অংশ

ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ থেকেই দেখা দেয় নানা সমস্যা। এতে বাড়তে পারে ব্ল্যাকহেডস। আর দেখা দিতে পারে ব্রণ সমস্যা। তাই আপনার মুখের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এই কাজটি জন্য আপনাকে সাহায্য করতে পারে ডিমের সাদা অংশ। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ রোধ করে। সেই সঙ্গে ধুলা-ময়লা থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। তাই ব্ল্যাকহেডস হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটা কমে যায়।

একটি পাত্রে ডিমের সাদা অংশ নিন। তাতে যোগ করুন এক চা চামচ মধু। তারপর খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এবার আপনার মুখে যেখানে ব্ল্যাকহেডস আছে, সেখানে এটি ভালো করে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিনেই পার্থক্য চোখে পড়বে।

ব্যবহার করুন পেট্রোলিয়াম জেলি

সবার বাড়িতে নিশ্চয় পেট্রোলিয়াম জেলি আছে। এটি ব্যবহার করেই ব্ল্যাকহেডস দূর করতে পারেন। আপনার নাকের দুপাশে যেখানে ব্ল্যাকহেডস আছে, তার উপর পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন। এবার গরম পানিতে ভিজানো তোয়ালে ভালো করে নিংড়ে নিন। সেটি আপনার মুখের উপর দিয়ে রাখুন। বেশ কিছুক্ষণ মুখের উপর রাখতে হবে। এতে মুখের রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। এবার তোয়ালে সরিয়ে ওয়াইপস বা টিস্যু দিয়ে পেট্রোলিয়াম জেলি মুছে নিন।


আরও খবর

কখন কীভাবে দই খাবেন

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের হিড়িক

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

দীর্ঘ কারাভোগের পর গত ১৫ জানুয়ারি ছাড়া পান ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। ছাড়া পাওয়ার ৩ মাস ২ দিন পর গত ১৭ এপ্রিল রাজনৈতিক দল আ-আম জনতা পার্টির ঘোষণা দেন তিনি। এছাড়া ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’ নামে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। এ দলের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন এবং মহাসচিব হয়েছেন সাংবাদিক শওকত মাহমুদ। শুধু রফিকুল আমীন কিংবা ইলিয়াস কাঞ্চনই নন; গত ৮ মাসে রাজনৈতিক দল ও প্ল্যাটফরম হয়েছে ২৬টি। এর মধ্যে ২২টিই রাজনৈতিক দল। বিশ্লেষকরা বলেছেন, দেশের বাতাসে এখন নির্বাচনের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তাই নানারকম আর্থসামাজিক লক্ষ্য এবং সমাজে ব্যক্তিগত প্রভাব বাড়াতে এসব দল হচ্ছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে মুসকিল লীগ, নতুন বাংলা, বঙ্গবন্ধু দুস্থ ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ, বাংলাদেশ ইত্যাদি পার্টির মতো দলের আত্মপ্রকাশ নতুন আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দল গঠনের এ প্রবণতা নতুন কিছু নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে এমন নতুন নতুন দল গঠন করতে দেখা গেছে। আর নির্বাচনকেই এর প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন তারা। এরশাদ আমলে এমন রাজনৈতিক দল তৈরির হিড়িক পড়েছিল। সেসময় ১২০টির মতো রাজনৈতিক দল গঠন হলেও পরে তা হারিয়ে গেছে। সেই পরিস্থিতি নতুন এসব দলের ক্ষেত্রেও হতে পারে।

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর অর্থাৎ ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫-এর ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত গত ৮ মাসে অন্তত ২২টি রাজনৈতিক দল ও ও চারটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম আত্মপ্রকাশের খবর এসেছে। যার মধ্যে গত বছর ১১টি আর চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে আরো ১১টি দল গঠিত হয়েছে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে তিনটি করে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে ‘ব্যাঙের ছাতার মতো এমন অনেক দল গজিয়ে ওঠে’। তবে নতুন নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশকে আপাতদৃষ্টিতে গণতান্ত্রিক চর্চার সঙ্গে যুক্ত করা হলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেক ক্ষেত্রেই তা স্বার্থ ও ক্ষমতাচর্চার একটি রূপ বলেই মত বিশ্লেষকদের। একইসঙ্গে ভোটের সময় জোট-রাজনীতিও এ প্রবণতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রভাব রাখে বলেও মনে করেন অনেকে।

ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত রফিকুল আমীনের হঠাৎ রাজনীতিতে নাম লেখানোর কারণ কী? প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, রাজনৈতিক পরিচয় না থাকার কারণে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর অন্য অনেকে জেল থেকে ছাড়া পেলেও তিনি তা পাননি। ‘যেদিন হাসিনা পালিয়ে গেল, ৫ তারিখ, ৬ তারিখ, ৭ তারিখ, ৮ তারিখ, ৯ তারিখ- এ কয়দিনে ঢাকা জেল খালি হয়ে গেছে। মানুষকে দিনরাত ছেড়ে দিছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এত লোকের জামিন কীভাবে হলো? বলে, না জামিন হয়নি তো। এদের রাজনৈতিক বিবেচনায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, আমি তখন সুপারের (জেল সুপার) কাছে দৌড়ায়ে গেলাম। আমি তো এত বছর আটকে আছি, আমাকে ছাড়েন। বলল, আপনি তো কোনো রাজনৈতিক দল করেন না। আপনি যদি অন্তত হরাকাতুল জিহাদও করতেন বা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমও করতেন, তা-ও আপনাকে আমি ছেড়ে দিতাম। মানে ওনারা রাজনৈতিক লেবেল থাকলে ছেড়ে দেবে, বলেন তিনি। রফিকুল আমীন জানান, এ রাজনৈতিক মঞ্চকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে তিনি তার ‘জুলুমের কথা তখন যে প্রশাসক থাকবে, যে রাষ্ট্রশাসন করবে তার কাছে’ পৌঁছাবেন।

রাজনীতিতে আসা নতুন দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব নিয়ে আলোচনায় রয়েছে এনসিপি। দলটি এখনো নিবন্ধন পায়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি নামক যে রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম থেকে দলটি তৈরি হয়েছে, সেগুলোও বর্তমানে সচল আছে। রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি প্ল্যাটফরমগুলো থেকে নতুন ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ তৈরি হয়েছে। এছাড়া এনসিপির গঠন থেকে বেরিয়ে আসা শিবিরের সাবেক নেতাদের নতুন সংগঠন ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ’রও এ মাসের মধ্যেই আত্মপ্রকাশের কথা।

অদ্ভুত সব নামের দলগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান বলেন, একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নতুন দল হতেই পারে। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দলের কাজই হবে রাজনীতি করা। কিন্তু দেশে একটি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নানা হিসাব-নিকাশ হচ্ছে। নির্বাচন হবে কি না, হলে কী রকম হবে। ফলে রাজনীতির পানি, নির্বাচনের পানি ঘোলা হচ্ছে। এ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য অনেকেই রাজনৈতিক দল গঠন করছে। এদের হয়তো সাধারণ মানুষ চেনে না। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগও নেই। তারপরও কিছু একটা পাওয়ার আশায় কেউ কেউ রাজনৈতিক দল করছে।

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তী সময়ে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের (জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা) নিবন্ধন বাতিল করা হয়। গত বছর ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আদালতের নির্দেশে এবি পার্টি নিবন্ধন পায়। এছাড়া নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য এবং গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) ও বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি ( বিএমজিপি)। এ অবস্থায় এখন ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০।

ইসি সচিবালয়ের তথ্যানুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন পেতে নতুন ৯৩টি দল আবেদন করে। এর মধ্যে ভুঁইফোঁড় দল হিসেবে পরিচিত দুটি দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিকে নিবন্ধন দেয় তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। তার আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে শর্ত পূরণ না করার কারণ দেখিয়ে আবেদন করা ৭৬টি দলের কোনোটিকেই নিবন্ধন দেয়নি ইসি। পরে ২০১৯ সালে ববি হাজ্জাজের দল এনডিএম আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায়। ইসিতে নিবন্ধিত এ দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ এবং তাদের জোটের শরিকসহ ২৭টি দল গত বছরের ৭ জানুয়ারি বিতর্কিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। এসব দলের বেশিরভাগের কার্যক্রম নেই বললেই চলে।

ইসি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যেসব দল আবেদন করে নিবন্ধন পায়নি, সেসব দলের তালিকাও সংরক্ষণ করে রেখেছে। এ ধরনের অনিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৮৭। এ দলগুলোর মধ্যে রয়েছে নৈতিক সমাজ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি, মুসকিল লীগ, নতুন বাংলা, বঙ্গবন্ধু দুস্থ ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ, বাংলাদেশ ইত্যাদি পার্টি, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি), বৈরাবরী পার্টি, বাংলাদেশ বিদেশ প্রত্যাগত প্রবাসী ও নন-প্রবাসী কল্যাণ দল, গণরাজনৈতিক জোট (গর্জো), বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), নাকফুল বাংলাদেশ, মুক্ত রাজনৈতিক আন্দোলন, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ জনতা পার্টি (বিজেপি), জনতার অধিকার পার্টি (পিআরপি), বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা লীগ, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জনস্বার্থে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা কল্যাণ পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড, গণঅধিকার পার্টি (পিআরপি) ও বাংলাদেশ গরিব পার্টির মতো প্রায় অপরিচিত ও বিচিত্র নামের দলগুলোও।

এ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, এর আগেও আমরা দেখেছি যখন নির্বাচনের গন্ধ এসে নাকে লাগে, তখন হঠাৎ করেই এমন অনেক দল গজিয়ে ওঠে ব্যাঙের ছাতার মতো। এ ধরনের দল তৈরির প্রবণতা দেখা গিয়েছিল এরশাদের আমলেও। এরশাদের আমলে বড় দলগুলো এরশাদের সঙ্গে নির্বাচনে সহযোগিতা করেনি বা করতে চায়নি, তখন এরশাদ দেখাতে চেয়েছিল যে দেশে প্রচুর রাজনৈতিক দল আছে। সুতরাং তারা নির্বাচনে এলে তো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। সেসময় ১২০টার বেশি দল গঠন হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ৯০টা দল নিয়ে জোট করার নজির আছে উল্লেখ করে ‘এরা জাস্ট সংখ্যা’ বলে মন্তব্য করেন এ বিশ্লেষক। একইসঙ্গে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যেও এসব দল তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, এটা নির্বাচনি রাজনীতির একটা প্রবণতা। ওয়ান ম্যান শোর মতো রাতারাতি রাজনৈতিক দল হয়। তারা নানা সুবিধার আশায় এটা করে। কখনো আবার সরকারের ইচ্ছায় হয়। গত নির্বাচনের আগেও আমরা দেখেছি। আর এটার সুযোগ তৈরি হয় রাজনীতিতে গুণগতমানের অবনমনের কারণে। ৯০-এর দশকের পরে দেশে কোনো আদর্শিক দল তৈরি হয়নি। এটা নির্বাচনকে সামনে রেখে হয়েছে।

বড় রাজনৈতিক দলগুলোও এরকম রাজনৈতিক দল তৈরিতে কাজ করে। তারা এদের নিয়ে জোট করে। জোটে দলের সংখ্যা বাড়ায়। শক্তি দেখায়। তবে নির্বাচনের পর এসব রাজনৈতিক দল আর সক্রিয় থাকে না। কয়েকটি বড় দলই থাকে। এরা নির্বাচন সামনে রেখে আসে আবার নির্বাচনের পর হারিয়ে যায়। এখন একটা বদ্ধমূল ধারণা হয়ে গেছে সবার মধ্যে যে রাজনীতি করলে খুব দ্রুত লাভবান হওয়া যায়। রাজনীতি করলে খুব দ্রুত টাকা-পয়সা কামানো যায়, আর ব্যক্তিগত প্রভাব খাটানো যায়- এটা ভেতরের উদ্দেশ্য আর কী। এর বাইরে এসব দলের রাজনীতিতে কতটুকু আদর্শ থাকে, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। মূল যেটা সেটা হচ্ছে, এটার পেছনে একটা রাজনৈতিক অর্থনীতির বিষয় জড়িত আছে। তবে বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস বলছে, অনেক দল এলেও তাদের মধ্যে খুব কমসংখ্যকই দিন শেষে রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে পারে।


আরও খবর



অনির্দিষ্টকালের জন্য আইপিএল স্থগিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের কারণে এবারের আইপিএল স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিসিসিআইয়ের এক সূত্র আজ শুক্রবার ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে খবরটি নিশ্চিত করেছে।

ভারতের জম্মুসহ সীমান্তবর্তী কয়েকটি এলাকায় গতকাল মিসাইল হামলা চালায় পাকিস্তান। এয়ার রেইড সতর্কতার অংশ হিসেবে এরপর ধর্মশালায় স্টেডিয়ামের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয় এবং পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ধর্মশালা স্টেডিয়াম পাঠানকোট থেকে ১০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বে অবস্থিত, যেখানে মিসাইল হামলার কারণে এয়ার রেইড সতর্কতার ঘণ্টা বাজানো হয়। এরপর আইপিএল স্থগিত করার এই সিদ্ধান্ত নিলো বিসিসিআই।

হিন্দুস্তান টাইমসকে বিসিসিআইয়ের সেই সূত্র বলেছে, ‘আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য আইপিএল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এ কারণে আমরা টুর্নামেন্টটি এখন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। টুর্নামেন্টটি পরে শুরু করা যাবে কি না, আর করলে সেটা কখন, এ বিষয়ে আমরা পরে সিদ্ধান্ত নিবো। এ মুহূর্তে জাতীয় স্বার্থ আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।


আরও খবর

শনিবার থেকে ফের শুরু আইপিএল

মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫