Logo
শিরোনাম

চলছে আমের মৌসুম, কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

বাইরে এখন তীব্র রোদের আঁচ। সঙ্গে গা পোড়ানো গরম। বাজারে আসছে কাঁচা আম, দেখলেই যেন জিবে জল এসে যায়। গ্রীষ্মে কাঁচা আম সবচেয়ে সুস্বাদু খাবারগুলোর মধ্যে একটি। এ সময় কাঁচা আমের এক গ্লাস শরবত সারা শরীরে এনে দিতে পারে প্রশান্তি

কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন সি, কে, এ, বি৬ এবং ফোলেটের মতো অগণিত প্রয়োজনীয় ভিটামিন বিভিন্ন নিরাময়কারী উপকারিতা নিয়ে আসে। হজমের সমস্যা নিরাময়, দৃষ্টিশক্তি উন্নত করা এবং ওজন কমানোর জন্য কাঁচা আম বেশ কার্যকরী। চলুন জেনে নেয়া যাক কাঁচা আম খাওয়ার কিছু অবাক করা উপকারিতার কথা-

১. তীব্র তাপ থেকে রক্ষা

ব্যায়ামের পরে এক গ্লাস কাঁচা আমের রস একটি দুর্দান্ত সতেজ পানীয়। এটি প্রচণ্ড তাপের প্রভাব কমায় এবং শরীরে সোডিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ ভারসাম্যহীনতা সংশোধন করে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করে। গ্রীষ্মকালে যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থগুলো ঘামের মাধ্যমে নিঃসৃত হয়, তাই কাঁচা আম শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য একটি আদর্শ খাবার হিসেবে কাজ করে।

২. হজমের সমস্যার চিকিৎসা করে

গ্রীষ্মকালে ক্রমবর্ধমান গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার চিকিৎসার জন্য কাঁচা আম একটি আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক প্রতিকার। এটি পাচক রসের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, অ্যাসিডিটি, বুক জ্বালাপোড়া, সকালের অসুস্থতা এবং বমি বমি ভাবের চিকিৎসা করে পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে।

৩. ওজন কমাতে সাহায্য করে

যারা ওজন কমাতে বা শরীরের বাড়তি ক্যালরি খরচ করতে চান, তাদের জন্য এখন আদর্শ ফল কাঁচা আম। পাকা মিষ্টি আমের চেয়ে কাঁচা আমে চিনি কম থাকে বলে এটি ক্যালরি খরচে সহায়তা করে।

৪. হৃদরোগের চিকিৎসা

কাঁচা আমে থাকা প্রয়োজনীয় বি ভিটামিন নিয়াসিন এবং ফাইবার হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য দুর্দান্ত। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

৫. লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে

কাঁচা আম লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং লিভারের রোগের চিকিৎসার জন্য দুর্দান্ত। এটি পিত্ত অ্যাসিডের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে চর্বি শোষণ বৃদ্ধি করে।


আরও খবর

কখন কীভাবে দই খাবেন

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে বাড়ছে ভোগ্যপণ্যের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

শুধু ব্যবসা নয়, শস্যভাণ্ডার হিসেবেও খ্যাত বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। জেলার ১৫ উপজেলার প্রতিটিতে আবাদ হয় প্রচুর ধান-চাল, ডাল, সবজি ও ফল-ফলাদি। লবণ ও মাছ উৎপাদনের প্রাকৃতিক উৎসও চট্টগ্রাম। আবার ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, গমসহ নানা ভোগ্যপণ্যের আমদানি আসে এই চট্টগ্রামে।

কিন্তু চট্টগ্রামে এসব ভোগ্যপণ্যের দাম মোটেও স্বাভাাবিক নয়। এমনকি দেশের কোনো কোনো এলাকার চেয়ে এসব ভোগ্যপণের দাম অনেক বেশি চট্টগ্রামে। এর মূলে সরবরাহে কারসাজি। যার কারিগর মধ্যস্বত্বভোগীরা। যাদের বেড়াজালে এসব ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী কৃষক যেমন প্রতিনিয়ত ছিড়ে চ্যাপ্টা হচ্ছে, তেমনি চ্যাপ্টা হচ্ছে ভোক্তাও।

এমন অভিযোগ শুধু উৎপাদনকারী কৃষক, আমদানিকারক বা ভোক্তা নয়, খোদ বাজার মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) নেতারাও করেছেন। বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে মধ্যস্বত্বভোগী অসাধু ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের কারসাজির প্রমাণও সামনে নিয়ে এসেছেন ক্যাব নেতারা।

ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু বলেন, চট্টগ্রামে আমদানি করা ভোগ্যপণ্য পাইকারি দরে বিক্রি হয় চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে। পাইকারি চাল বিক্রি হয় পাহাড়তলী বাজারে। সবজি বিক্রি হয় রিয়াজুদ্দিন বাজারে। দেখা যায়, এসব বাজারে হাজার হাজার বেপারির অবস্থান। যাদের সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের ২০ থেকে ২৫ জনের আড়তদারের চুক্তি থাকে।

আবার এসব বেপারি চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকদের কাছে অগ্রিম টাকা দিয়ে ফসলি জমি কিনে রাখেন। পরে ওই জমিতে উৎপাদিত ফসল আড়তদারদের কাছে পৌঁছে দেন। এই আড়তদাররাই জমি কেনার টাকা দেন ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের। আর বিনিময়ে আড়তদাররা সব ধরনের সবজিতে কেজিপ্রতি ৬ টাকা ৪ আনা কমিশন পান। আড়তদারদের কাছ থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা কিনে নেন। সেখান থেকে ভোক্তাপর্যায়ে পৌঁছায়। এভাবে হাতবদলের কারণে সবজির দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

বিষয়টি স্বীকার করেছেন রিয়াজুদ্দিন বাজারের আড়তদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক শিবলীও। তিনি বলেন, কৃষকরা সরাসরি আমাদের কাছে সবজি বিক্রি করতে পারেন না। বেপারির মাধ্যমে বিক্রি করতে হয়। বেপারিরা চট্টগ্রামের সবজি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে নিয়ে যায়। এতে সংকটও সৃষ্টি হয়। গ্রীষ্মকাল এলে যখন ফলন কমে যায় বা গরমে নষ্ট হয় তখন সবজির দাম অত্যধিক বেড়ে যায়।

তিনি বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে সবজির বাজার একেবারে অস্থির। কাঁকরোল, ঝিঙা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার ওপরে। কচুরলতি ৯০ টাকা এবং পটল, করলা, ঢেড়শ, বরবটি ও চিচিঙ্গা কিনতে গুনতে হচ্ছে কেজিতে ৭০ টাকার বেশি। অথচ ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা উৎপাদনকারী কৃষক থেকে ৩০-৩৫ টাকার নিচে কিনেছে সব সবজি।

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার কৃষক আবু হানিফ বলেন, আমি ২০ শতক জমিতে কাকরোল চাষ করেছি। ফলনও হয়েছে ভালো। কিন্তু দাম পাচ্ছি না। বাজারে ১২০ টাকা কেজিতে কাকরোল বিক্রি হলেও আমরা পাই কেজিপ্রতি ৩০ টাকা। বেপারিদের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম টাকায় চাষ করায় তাদের ইচ্ছার ওপর কোনো রকম কথা বলা সম্ভব হয় না বলে জানান তিনি।

একই অবস্থা পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও। দেশীয় পেঁয়াজ এখন খুচরায় বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৫৪ টাকায়। যা কৃষক পর্যায়ে দাম মিলছে ১৪ থেকে ১৫ টাকায়। চট্টগ্রামে আবার তেমন পেঁয়াজ উৎপাদন হয় না। মেহেরপুর, রাজবাড়ী, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মধ্যস্বত্বভোগীরা কৃষকের কাছ থেকে কম দামে পেঁয়াজ কিনে মজুত করে রেখেছেন। এখন তা বেশি দামে বাজারে ছাড়ছেন। এর প্রভাব পড়ছে ভোক্তাপর্যায়ে। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৮ টাকায়। যা ক্রয় পর্যায়ে ২৪-২৫ টাকায় কিনছে আমদানিকারকরা।

একসময় মধ্যস্বত্বভোগীর ভূমিকা কম ছিল, এখন বেড়েছে। পাকিস্তান আমল থেকে এর চর্চা হয়ে আসছে।

হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীর অস্তিত্ব নতুন কিছু নয়। সেই পাকিস্তান আমল থেকে এর চর্চা হয়ে আসছে। একসময় মধ্যস্বত্বভোগীর ভূমিকা কম ছিল, এখন বেড়েছে। আর তাদের ছাড়া কৃষকের কোনো পণ্যই বিক্রি করার সুযোগ নেই। গাড়ি ভাড়া বৃদ্ধিও পণ্যের দাম বাড়ার জন্য কিছুটা দায়ী।

এদিকে মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি জিরাশাইল চালের দাম ১৪ টাকা বেড়ে ৮৪ টাকা, নাজিরশাইল ১২ টাকা বেড়ে ৮৮ টাকা, কাটারি সেদ্ধ চাল ১৪ টাকা বেড়ে ৮৬ টাকা, মিনিকেট আতপ চাল ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মোটা চাল, গুটি স্বর্ণা, ভারতীয় সেদ্ধ চাল, পাইজাম ও বেতি চাল বিক্রি হচ্ছে আগের দরে। প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৬ টাকা, গুটি স্বর্ণা ৫০, ভারতীয় সেদ্ধ চাল ৫৫, পাইজাম ৫৬ ও বেতি চাল ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম নিজামউদ্দিন বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে চালের দাম বেড়ে যায়। ভরা মৌসুমে ধান মজুত করে পরে চড়া দামে বিক্রি করেন তারা। বাজারেও এর প্রভাব পড়ে। বোরো ধান মাত্র উঠতে শুরু করেছে। আশা করা যায়, ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে চালের দাম কমে আসবে।

এদিকে কয়েক মাস আগেও খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় মুরগির ডিম (বাদামি) ডজনপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার জানান, বর্তমানে একটি ডিম উৎপাদন করতে ১০ টাকার ওপর খরচ পড়ে। কিন্তু বিক্রি করতে হচ্ছে ৮ টাকায়। কারণ ডিম উৎপাদন করলেও কোনো খামারি ডিমের দাম নির্ধারণ করতে পারেন না। মধ্যস্বত্বভোগীরাই দাম নির্ধারণ করে কিনে নেন। তারাই পরে তা পাইকারের কাছে বিক্রি করেন। সেখান থেকে খুচরা পর্যায়ে যায়। এটা একটা সিস্টেমে পরিণত হয়েছে। এর ওপর বড় ফার্মগুলো মুরগির বাচ্চা বাড়তি দরে বিক্রি করছে। এ কারণে মুরগির বাজারদরটাও বাড়তি।

ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ার পেছনে পাইকারি ব্যবসায়ীরাও দায়ী। এ কারণে কৃষক লবণের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। চাক্তাই, মাঝিরঘাট ও বাংলাবাজার এলাকার পাইকারি লবণ বিক্রেতারা প্রতি কেজি লবণে ২ টাকা বাড়িয়ে ৯ টাকায় বিক্রি করছেন। বস্তাপ্রতি (৭৪ কেজি) ১৪০ টাকা দাম বাড়িয়ে ৬৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। দাম বাড়ানোর পেছনে দেখিয়েছেন সরবরাহ সংকটের অজুহাত।

বিশ্ববাজারে গমের দাম কমে এসেছে। কিন্তু পাইকারি ব্যবসায়ীরা সরবরাহ সংকটের অজুহাতে প্রতি কেজি গমে ৩ টাকা বাড়িয়ে ৩৪ টাকায় বিক্রি করছেন। বস্তা ১১০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়।

এদিকে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জে প্রতি লিটার পাম অয়েলে ১২ টাকা ৬ পয়সা বেড়ে ১৩৯ টাকা ৮৭ পয়সা এবং লিটারপ্রতি ৭ টাকা ২৩ পয়সা বেড়ে সয়াবিন তেল ১৫১ টাকা ৯২ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। মণপ্রতি হিসাবে, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাম অয়েলে ৫০০ টাকা ও সয়াবিনে ৩০০ টাকা বেড়েছে। অথচ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকায়, খোলা সয়াবিন তেল ১৬৯ টাকায় বিক্রি করার কথা। কিন্তু বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৮০ টাকারও বেশি দামে।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের আইনবিষয়ক সম্পাদক এবং চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন দাবি করেন, খাতুনগঞ্জে অধিকাংশ ভোগ্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী। তবে বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে এখানে বেড়ে যায়। বিশ্ববাজারে কমে গেলে এখানেও কমে। এখানে মধ্যস্বত্বভোগীর হাত নেই বলে দাবি করেন তিনি।

কিন্তু তার এই দাবির সঙ্গে একমত নন ক্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। তিনি বলেন, এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণেই বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। বিশ্ববাজারে কোনো একটা পণ্যের দাম কমলে আমাদের ব্যবসায়ীরা আর সে পণ্যের দাম কমান না। এখন খুচরা ব্যবসায়ীরাও অতি মুনাফালোভী হয়ে উঠেছেন। এসব ব্যাপারে সরকারকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কঠোরভাবে বাজার তদারকি করতে হবে। ব্যবসায়ীদেরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ বলেন, আমাদের জনবল সীমিত। তবু আমরা বিভিন্ন বাজার তদারকি করছি। কারসাজি পেলেই জরিমানা ও সতর্ক করছি। বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছি। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।


আরও খবর



বাংলাদেশিদের জন্য ইউএই ভিসা পুনরায় চালু

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যে টেকসই কূটনৈতিক উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা ইস্যু পুনরায় চালুর ক্ষেত্রে ইউএই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।


রবিবার ইউএইর বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আলহামুদি ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি ইউএই সরকারের সঙ্গে সিদ্দিকীর সক্রিয় যোগাযোগের প্রশংসা করেন, যার মধ্যে ভিসা সুবিধা ও বিনিয়োগ সহযোগিতা সংক্রান্ত একাধিক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অন্তর্ভুক্ত ছিল।


রাষ্ট্রদূত আলহামুদি বিশেষ দূতকে জানান, ইউএই দূতাবাস এখন প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা ইস্যু করছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের জন্য দলভিত্তিক ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুততর করা হয়েছে, যা জনগণের চলাচল ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে সহায়ক হচ্ছে।


এক বড় অগ্রগতির অংশ হিসেবে, ইউএইর মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় দক্ষ কর্মীদের জন্য অনলাইন ভিসা সিস্টেম পুনরায় চালু করেছে।

এর ফলে, মার্কেটিং ম্যানেজার ও হোটেল কর্মীদের মতো পেশাজীবীদের জন্য ইতিমধ্যে ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। এছাড়া, নিরাপত্তা প্রহরী পদের জন্য ৫০০টি ভিসা প্রদান করা হয়েছে এবং আরও ১,০০০টি ভিসা অনুমোদিত হয়ে ইস্যুর অপেক্ষায় রয়েছে।


অপেক্ষা করা হচ্ছে যে ইউএই ধাপে ধাপে আরও ভিসা সীমাবদ্ধতা শিথিল করবে। রাষ্ট্রদূত আরও জানান, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উপস্থাপিত মানবিক ও সহানুভূতিশীল মামলাগুলোর বিষয়ে নমনীয়তা অব্যাহত থাকবে।


বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এসব অগ্রগতিকে স্বাগত জানান এবং রাষ্ট্রদূতের খোলামেলা মনোভাব ও সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বাংলাদেশ-ইউএই মধ্যে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (CEPA) বিষয়ক আলোচনা শুরুর জন্যও কৃতজ্ঞতা জানান, যা ইতিমধ্যে নীতিমালার বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে।

এই মাসের শেষ দিকে একটি উচ্চপর্যায়ের ইউএই মন্ত্রিসভা প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে, যাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করা যায়।


আরও খবর



পাকিস্তানের সাইবার হামলায় ভারতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট!

প্রকাশিত:শনিবার ১০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসূসের’ অংশ হিসেবে শুরু হওয়া একটি সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে ভারতের বিদ্যুৎ গ্রিড বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিটিভি নিউজ।

১০ মে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা। এই বিষয়ে ভারতের গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। শনিবার সকালে প্রকাশিত ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যমের ওই খবর সত্য নয়।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগারগুলোতে অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানে ফাতেহ-১ মধ্যম-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রসহ একাধিক অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে এবং ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী আরও জানিয়েছে, ৭ মে ভারতের হামলায় কয়েকজন পাকিস্তানি বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

পাকিস্তান সরকার দাবি করেছে, যেসব স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো ভারত ব্যবহার করছিল পাকিস্তানি নাগরিকদের ওপর হামলার জন্য।

ভারত পাকিস্তানের মসজিদ, উপাসনালয় এবং বেসামরিক স্থাপনায় হামলায় যেসব সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করেছে- সেখানে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, এতে দাবি করা হচ্ছে ভারতের মিসাইল হামলায় পাকিস্তানের নূর খান ঘাঁটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভিডিওতে ঘাঁটি সদৃশ একটি জায়গায় বিশাল বিস্ফোরণ ঘটতে দেখা যায়। তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, হামলায় বিমান থেকে মিসাইল ছুড়ে ঘাঁটি ধ্বংসের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় বাহিনী।

পাকিস্তানের ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক দাবি করেছেন, ভারতের কিছু মিসাইল তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে বিমানঘাঁটির কাছে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।

কিন্তু ঘাঁটির কোনো সম্পদ (বিমান বা অন্যান্য জিনিস) ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। ভারতের এ হামলার পর পর পাকিস্তানের পুরো আকাশসীমা শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি হুমকির সুরে বলেন, এখন ভারত আমাদের হামলা প্রত্যক্ষ করবে। গত ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারায়। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেশটিতে 'অপারেশন সিঁদুর' নামে সামরিক অভিযান শুরু করে ভারত।

এতে পাকিস্তানে বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিশোধে পালটা হামলা চালিয়ে ভারতের বেশ কয়েকটি বিমান এবং ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।


আরও খবর



২০০ কেজি ওজনের বোমা নিষ্ক্রিয় করলো সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল টিম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

 নিজস্ব প্রতিবেদক :

মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়কালের একটি ১৫০-২০০ কেজি ওজনের মিলিটারি অর্ডিন্যান্স (এরিয়েল বোম) সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর  সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। এটি বাংলাদেশে উদ্ধারকৃত সবচেয়ে বড় বোমা।

সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়,গত ২৮ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. সকাল ৬:৪৫ ঘটিকার দিকে জনৈক জামাল উদ্দিনের জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি খননের সময় বোমা সদৃশ বস্তু দেখতে পান ভেকু চালক। জমির মালিক বস্তুটি মাটি দিয়ে ঢেকে রাখেন। সংবাদ পেয়ে গজারিয়া থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে এটি বোমা হিসেবে শনাক্ত করে। পরবর্তীতে সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়। 

সিটিটিসি সূত্রে আরো জানা যায় ২৯ এপ্রিল বিকাল ৪:৩০ ঘটিকার দিকে সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের ১২ সদস্যের একটি চৌকস দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমাটি পরীক্ষা করে। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা যায়, উদ্ধারকৃত বস্তুটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়কার  অত্যন্ত বিপজ্জনক এরিয়েল বোমা এবং ওজন আনুমানিক ১৫০-২০০ কেজি। বোমাটি স্থানান্তর করা সম্ভব না হওয়ায় এবং জননিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বোমাটি  ঘটনাস্থলেই নিষ্ক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে রাত ৮:০০ ঘটিকার দিকে  যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সফলভাবে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে।নিষ্ক্রিয়করণের সময় আশপাশের কিছু টিনের ঘর সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হলেও যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে কোনো প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের এই সাহসী ও পেশাদারিত্বপূর্ণ কার্যক্রম স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে। এ ঘটনা দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর দক্ষতা ও প্রস্তুতির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। 

এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



মাগুরার শালিখায় ধানের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

ব্যাস্ত সময় পার করছেন মাগুরার শালিখা উপজেলার বোরো চাষীরা। স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ মূল্যে কৃষাণ ক্রয়, শ্রমিক সংকট , বৈরী আবহাওয়া তার উপর কারেন্ট পোকার উপদ্রব সব মিলিয়ে চাষীদের কপালে যেন চিন্তার ভাঁজ। সরেজমিন উপজেলার তালখড়ি, শতখালী, ধনেশ্বরগাতীসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, কেউ ধান কাটছে, কেউ দিচ্ছে ধানের সারি, কেউ আবার গরু, মহিষ, ঘোড়াগাড়ি যোগে ধান বয়ে নিচ্ছেন বাড়িতে, কেউ কেউ আবার নিকটবর্তী জমি থেকে মাথায় করে ধান বয়ে নিচ্ছেন বাড়িতে। অনেকে আবার ধান কেটে মাঠেই সেরে ফেলছেন মাড়ায়ের কাজ। পুরুষের পাশাপাশি ধান কাটা ও মাড়াই করার কাজে অংশ নিচ্ছেন মহিলারাও। দেখে মনে হচ্ছে দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের। রোদের তাপ বেশি থাকায় কাজের জন্য সকাল ও বিকালকেই বেছে নিচ্ছেন অধিকাংশ চাষী।

আড়পাড়া ইউনিয়নের দিঘী গ্রামের কৃষক রতন বিশ্বাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ বছর ৭ বিঘা জমিতে ধান লাগাইছি, ফসল অনেক ভালো হয়েছে তবে কৃষাণের (ধান কাটার শ্রমিক) যে মূল্য তাতে করে এক মণ ধানে মিলছে একজন কৃষাণ। এতে করে ধান ঘরে তুলতে মোট ফসলের এক তৃতীয়াংশ ধান শ্রমিকদের পাছে ব্যয় হবে বলে মনে করছেন তিনি। আড়পাড়া ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামের কৃষক রবি বিশ্বাস বলেন, এ বছর বোরো ধানের মৌসুমে ১২ একর জমিতে ধান রোপন করেছি। প্রাকৃতিক পরিবেশ যদি অনুকূলে থাকে তাহলে দায়-দেনা পরিশোধ করে সোনা-মণিদের ভোরণ পোষণের পাশাপাশি নিজের আর্থিক যোগান দিতে সক্ষম হব অন্যথায় বিপদের শেষ হবে না।

তালখড়ি ইউনিয়নের ছান্দড়া গ্রামের কৃষক ফিরোজ হোসাইন বলেন, গত বছর যে জন (কৃষাণ) কিনেছি ৬-৭শ টাকা দিয়ে এবছর তা ১১-১২শ টাকা তার উপর জমিতে কারেন্ট পোকা লাগদিছে ফলে ধান ভালো হলেও চিন্তায় আছি দাম নিয়ে । ধানের দাম যদি ভালো হয় তাহলে তো বেঁচে গেলাম না হলে সমস্যায় পড়ে যাব। এছাড়াও কৃষক এনামুল বিশ্বাস,নজরুল মোল্যা, হরিদাস, গোপাল সহ একাধিক কৃষকদের সাথে কথা হলে জানা যায়, ফসল ভালো হলেও শঙ্কা কাজ করছে বৈশাখীর ঝড় নিয়ে পাশাপাশি শ্রমিক সংকট এবং কিষাণের মূল্য যেন তাদের দুশ্চিন্তার বড় কারণ। তবে শ্রমবাজারের শ্রমিক মূল্য নির্ধারণ করে দিলে একদিকে শ্রমিক এবং অপরদিকে ধান চাষিরাও একটি নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে উভয়ের কাজ সম্পন্ন করতে পারবে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর ১৩ হাজার ৫৭৫ হে. জমিতে বোরো ধানের আবাদ অর্জিত হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ হে. বেশি। এখন পর্যন্ত ২০ শতাংশ জমির ধান কর্তন হয়েছে যেখানে গড় ফলন হেক্টরে ৪.২টন (চাউলে) এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে শতভাগ ধান কর্তন সম্ভব হবে বলে জানা গেছে

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর হোসেন বলেন, ধান কর্তনের ক্ষেত্রে কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার মেশিন ব্যবহার করে ধান কর্তন করলে একদিকে যেমন অর্থ সাশ্রয় হবে অপরদিকে কৃষকদের সময় বেঁচে যাবে। এতে করে শ্রমিক সংকটও কেটে যাবে বলেও মনে করছেন তিনি।


আরও খবর